গ্যাংস্টার লাভ পর্ব-৩৯+৪০

0
919

#গ্যাংস্টার_লাভ
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
#পার্ট_৩৯

রেহান রিহার দিকে তাকিয়ে দেখে রিহার চোখের কোনায় পানি । রেহান হন্তদন্ত হয়ে বলে

রেহান : রিহা জান কোথায় কষ্ট হচ্ছে আমাকে বলো তোমার চোখে পানি কেনো রিহা আমাকে বলো খুদা লাগছে

রিহার কোনো রেসপন্স না পেয়ে প্রতিবারের মত এবার ও রেহান হতাশ হয়ে রিহার কপালে চুমু দিল

রেহান : তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠ অনেক মিস করি তোমাকে তোমার সাথে কাটানো মুহুর্ত গুলো কে

কথাটা বলতে বলতে রেহান এর চোখ ভিজে আসলো । রেহান রিহার গায়ে ভালো করে কম্বল দিয়ে বারান্দায় যায় । আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজের কষ্ট কুমানোর চেষ্টা করছে যদি একটু কূমে যায় ।

যাকে নিয়ে এত লড়াই সে যদি পাশে থেকে চলে যায় তাহলে বাঁচতে হবে কার জন্য ।

রেহান আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে ।

এদিকে
আয়াস রেহান এর ঘরে এসে দেখে রিহা শুয়ে আছে । আয়াস রিহার পাশে মাথা নিচু করে বসে আছে চোখ দিয়ে তার পানি পড়ছে

রিহাকে এভাবে দেখবে সে আশা করেনি । হটাৎ আয়াস কিছু একটা শব্দ পেয়ে গান বের করে আর তখনই রিহা ওর পাশে রাখা ফোন টা ফেলে দেয়।

কিছু পরার আওয়াজে রেহান ভিতরে আসে আর এসে তো অবাক ।

আয়াস : এখানেই তুই থাকলে ওয়াশরুমে কে?

আয়াস রেহান কে পাত্তা না দিয়ে আসে পাশে দেখতে থাকে তখনই ওয়াশরুমের দরজা খুলে কেউ বের হতে যাবে

আয়াস গান পয়েন্ট করে রাখে রেহান ও ডোয়ার থেকে গান বের করে

আয়াস সুট করার আগেই সর্ভমানট বলে

সর্ভমানট : আমাকে মারবেন না আমি কিছু করিনি

রেহান : আয়াস রেলাক্স ও এখানের নার্স রিহার দেখা শুনা করে । আর তুমি এত রাতে এখানে কেনো ?
সর্ভমানট : আসলে স্যার
আয়াস : কি আসলে নকলে করছো ?

সর্ভমানট : ম্যাম তো কিছু খান নি তাই ম্যাম কে খাইয়ে দিতে গিয়েছিলাম ম্যাম নষ্ট করে তাই আমি ওয়াশরুমে গিয়েছিলাম (ভয়ে ভয়ে)

রেহান : আচ্ছা ঠিক আছে তুমি যাও

সর্ভমানট চলে যেতেই বলে ।

রেহান : তুই কখন আসলি?

আয়াস : আমি কখন আসছি সেটা বড় কথা না আসল কথা তুই আমাকে রিহার এই অবস্থার কথা কেনো বলিস নি বল (রেহান এর কলার ধরে)

রেহান : আয়াস ছার তুই মিশনে ছিলি তাই বলা হয়নি পরে আমার মাথা থেকে বের হয়ে গেছে

আয়াস : তুই ভুলে যাস না রিহা কে তুই যত ভালবাসিস আমি ও তার থেকে বেশি ভালো বাসি তোর যদি বউ হয় তাহলে আমার ও বোন বুঝলি। অনির কাছে ফোন না করলে তো জানতে পারতাম না (কঠোর গলায়)

রেহান কিছু না বলে আয়াস কে জড়িয়ে ধরে

রেহান : খুব একা একা লাগছিলো রে অনেক একা লাগছিল

আয়াস রেহান এর অবস্থা বুঝতে পেরে জড়িয়ে ধরে ।

আয়াস : কিছু হবে না এখন আমি আসছি তো সব ঠিক হয়ে যাবে

হটাৎ রেহান কি মনে করে বললো

রেহান : আমি কিছু একটা পরার শব্দ পাইছি
আয়াস : ওয়াহরুমে লাইট জ্বলছিল দেখে ভাবলাম তুই পরে বারান্দায় তোর আওয়াজ পেয়ে গান বের করার সাথেই রিহা ফোনে ফেলে

আর কিছু বলতে পারলো না

রেহান : মানে রিহা রেসপন্স করছে

দুইজন রিহার কাছে যায়

রেহান : রিহা প্লিজ আবার নড়িয়ে দেখাও প্লিজ
আয়াস : রিহা বোন আমার আমাকে চিনতে পারছিস ছোট বেলায় তো কত চকোলেট চাইতিস এখন উঠ বোন দেক অনেক চকোলেট দেবো

দুইজন এমন পাগল এর মত বকছে । ওদের কাজ দরজা থেকে মাইশা চৌধুরী দেখছে । চোখের পানি মুছে ঘরে চলে গেলেন ।

রেহান আর আয়াস রিহার সাথে কথা বলে দুইজনেই হতাশ । রেহান নিজেকে আটকাতে পারছে না চোখের পানি বের হয়ে আসছে।

আয়াস রেহান এর কাধে হাত রাখছে ।

পাশাপাশি দুইজন বারান্দায় দাড়িয়ে আছে ।

আয়াস : যেদিন প্রথম রিহা আমাকে দেখেছিল কেমন করে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল আমি ভাবছিলাম সেই ছোট রিহা কি করে এত বড় হয়ে গেলো তোর বাসায় তোর সাথে দেখা করে ফিরার সময় রিহা আমাকে দেখেছিল রাগে ওর মুখ লাল হয়ে গিয়েছিল (হেসে)

রেহান : সব কিছু ঠিক ছিল কিন্ত মাঝখান থেকে আমার আসল রূপ নিজের চোখে দেখে

কথাটা বলতে বলতে রেহান একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো ।

আয়াস : চিন্তা করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে
রেহান : হুম সেই জন্য বেচে আছি

আয়াস : চুপ কর আর কত বার বলবো তোরা ছাড়া আমার কেউ নেই কেনো বুঝিস না

দুইজন দুইজনকে জড়িয়ে ধরলো ।

রেহান : আচ্ছা রিহা রেসপন্স করলো গান দেখে
আয়াস : হা তো
রেহান : ডক্টর বলছিলো রিহা শুনতে পারবে সব বুঝতে পারবে কিন্ত কিছুর করার ক্ষমতা নেই আর ওর উপর চাপ দিলে হয়তো
আয়াস : মানে
রেহান : কিছু না চল তোকে তোর রুম দেখিয়ে দি
আয়াস : হুম

আয়াস একবার রিহা কে দেখে রেহান এর সাথে যায় ।

রেহান ঘরে এসে রিহার হাত ধরে বসে

রেহান : আয়াস এর কথা ও তো তোমার মনে নেই তাই না । আয়াস হলো আমার তোমার আব্বুর বন্ধু তোমার আমার আর আয়াস এর আব্বু ছিল best friend । আয়াসের abbu তোমাকে খুব ভালোবাসত নিজের মেয়ের মতো । আমার আর তোমার আব্বু ব্যাবসা করত আর আয়াসের আব্বু পুলিশ অফিসার ছিল । আয়াস মাঝে মাঝে আমাদের বাসায় আসতো আর তুমি আয়াস ভাইয়া আয়াস ভাইয়া বলে চকোলেট নিতে মনে আছে ।

আয়াস এর আব্বু আম্মু কোথায় যাওয়ার সময় অ্যাকসিডেন্ট করে মারা যায় । আয়াস ওর মামা বাড়ি থেকে বড় হয় আয়াস এখন পুলিশ অফিসার ওর আব্বুর মত । আমি খারাপ লোকদের ধরে নিজের মতো ধোলাই দিয়ে আয়াস এর হাতে দি যদি কখনো ঝামেলায় পরী আয়াস আমাকে বাচায়। তোমার তো কিছু মনে ছিল না তাই ওর সাথে কখনো পরিচয় করাই দি নাই আর আমি ওকে তোমাদের ভার্সিটিতে তোমার উপর নজর রাখতে পাঠায় ।

একটু থেমে আবার বলে

জানো ওর আমরা ছাড়া কেউ নেই আমাকে নিজের ভাই আর তোমাকে নিজের বোন মনে করে । আমার আম্মু কে ও আম্মু বলে ডাকে। তুমি ঠিক হয়ে যায় তাহলে আবার আমরা আগের মত আনন্দ করবো প্লিজ ঠিক হয়ে যাও।

রেহান কথা বলছে তখনই আযান এর আওয়াজ শুনতে পায় । রেহান উঠে ওযু করে নামাজ আদায় করে রিহার পাশে বসে কুরআন পড়তে থাকে ।

পরের দিন বিকালে ।

আয়াস সারাদিন রিহার সাথে বসে রেহান এর মত গল্প করছিল খাওয়া দাওয়া সব বাদ । আয়াস যেতেই রেহান রিহার পাশে চেয়ার টেনে ল্যাপটপে কাজ করছিল

একবার রিহার দিকে তাকাচ্ছে আর কাজ করছে ।

হটাৎ পিছন থেকে কেউ রেহান এর মাথায় আঘাত করে । রেহান এর হাত থেকে ল্যাপটপ পরে যায় রেহান মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে। পিছনে তাকিয়ে দেখে একটা লোক ।

রেহান কিছু না বলে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।

লোকটা রেহান এর পেটে লাথি মারে এবার রেহান উঠে লোকটার নাকে ঘুষি মারে ।

লোকটা কিছুটা ছিটকে পরে। রেহান পকেট থেকে গান করে সুট করতে গেলে একটা চিৎকার করে কানে আসে

কিন্ত টা খুব পরিচিত । রেহান কিন্ত অনুযায়ী তাকিয়ে অবাক এর সাথে ভয়

চলবে

#গ্যাংস্টার_লাভ
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
#পার্ট_৪০

রেহান এর হাত থেকে গান পরে গেলো। রেহান এর চোখ জ্বলজ্বল করছে দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে

রিহা দাড়িয়ে আছে রেহান এর ছোঁয়া ওর অসহ্য লাগছে। রেহান তো রিহাকে এই ভাবে দেখে খুশিতে কেঁদে ফেলে

রেহান : কত অপেক্ষা করেছি জানো অবশেষে আমার কষ্ট সার্থক (কাদতে কাদতে)

যেই লোকটা রেহান কে আঘাত করছিল সে তাকিয়ে আছে । রেহান রিহা কে জড়িয়ে ধরে ছোট বাচ্চাদের মত কেদেই যাচ্ছে ।

রিহা নিজের থেকে রেহান কে ছড়িয়ে নেয়।

রেহান : সবাই জানতে পারলে খুব খুশি হবে আমার রিহা ফিরে আসছে আবার আগের মত হবে এবার আর তোমাকে আমি নিজের কাছ থেকে দূরে যেতে দেবো না কিছুতেই না

রিহা সাড়া মুখে চুমুতে ভরিয়ে । রেহান পিছনে তাকিয়ে লোকটাকে বলে

রেহান : এখন তুমি যেতে পারো
লোকটা : জি স্যার

রিহা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে । রেহান এর মাথা দিয়ে রক্ত পড়ছে কিন্ত ওর সেইদিকে খেয়াল নেই । রিহাকে আবার নিজের বুকের সাথে শক্ত করে চেপে ধরলো যেনো ছেড়ে দিলেই পালিয়ে যাবে ।

রিহা এবার নিজের সব শক্তি দিয়ে রেহান কে ধাক্কা মারে । রেহান অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে

রিহা : কি ভেবেছেন কি আপনি আপনার এইসব নেকামি তে আমি সব ভুলে যাবো কিছুতেই না আমি একবার ভুল করেছি আপনার মত #গ্যাংস্টার কে ভালবেসে কিন্ত আর না আপনার সাথে আমার আর থাকা পসিবল না

কথা টা বলতে বলতে রিহা মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছিল রেহান এসে ধরে। এতদিন কোমায় থাকার ফলে রিহার শরীর অনেক দুর্বল।

রেহান রিহাকে খাটে বসিয়ে দিয়ে পানি খাওয়ায় । এখন ও রেহান এর মাথা দিয়ে রক্ত পড়ছে । রিহা রেহান কে দেখছে । রেহান অস্থির হয়ে রিহাকে জিজ্ঞেস করছে

রেহান এর কোনো কথা রিহার কানে যাচ্ছে না রিহা শুধু রেহান কে দেখছে। খুব ইচ্ছা করছে রেহান কে বুকে জড়িয়ে নিতে কিন্ত ভিতর থেকে একটা চাপা কষ্ট বেরিয়ে আসছে । অভিমানের জন্য রিহা কিছু করতে পারছে না

রেহান : রিহা খুব কষ্ট হচ্ছে (ঝাকিয়ে )

রেহান এর কথায় রিহার হুস ফিরে নিজেকে ঠিক করে রেহান কে জোরে ধাক্কা মারে

রেহান ছিটকে নিচে পড়ে যায় ।

রিহা : দূরে সরে যান আমার থেকে আপনার মুখ ও আমি দেখতে চাই না আপনি একজন খুনি আমার পক্ষে খুনীর সাথে থাকা সম্ভব না
খুনি কখনো কাউকে ভালোবাসতে পারে না

রেহান উঠে রিহার হাত ধরে।

রেহান : রিহা বিশ্বাস করো আমি খুনি না আমি কোনো অন্যায় করিনি অন্যায় তো আমার সাথে হইছে বিশ্বাস করো
রিহা : হা বিশ্বাস আর আপনাকে কখনো না আপনাদের মত মানুষ সব করতে পারে সব নিজের স্ত্রী কে ও খুন করতে ১০বার ভাববে না

রেহান : রিহহা (চিৎকার করে)
রিহা : চিৎকার করে লাভ নেই আমি থাকবো না আর এখানে

কথাটা বলে রিহা ঘর থেকে বের হয় রিহার পিছন পিছন রেহান ও বের হয়

(সরি আমি কোমায় থাকলে কি হয় না হয় বেশি জানি না তাই নিজের মতো বানিয়ে দিলাম এটা just গল্প এর বাইরে কিছু না )

রেহান : রিহা প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেও না আমি বাঁচতে পারবো না তোমাকে ছাড়া রিহা প্লিজ বুঝার চেষ্টা করো প্লিজ

রিহা কোনো কথা শুনছে না শিরি দিয়ে নামছে ।

আয়াস আর মাইশা চৌধুরী ওদের আসতে দেখে । দুইজন রিহাকে দেখে খুব খুশি ।

মাইশা চৌধুরী রিহাকে জড়িয়ে ধরে

মাইশা চৌধুরী : মা আমার তুই সুস্থ হইছিস কত অপেক্ষা করেছি জানিস তুই হাসি মুখ দেখবো বলে আর কখনো আমাকে ছেড়ে একা যাবি না বল যাবি না

রিহা : মামনি আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি কিন্ত আমাকে যেতেই হব

রেহান : আম্মু রিহাকে আটকায় ও আমাকে ছেড়ে চলে যেতে চাইছে প্লিজ ওকে বুঝাও
আয়াস : রেহান তোর মাথা দিয়ে রক্ত পড়ছে কেনো?
মাইশা চৌধুরী : রিহা এসব কি
রিহা : মামনি আমাকে যেতে হবে
রেহান : একবার বলেছি না তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না কথা কানে যায় না (রেগে)
রিহা : আপনার কথা শুনতে আমি বাধ্য নয় এখানে থেকে কি আপনার মরণের খেলা দেখবো
রেহান : হা দেখতে হবে তোমাকে তুমি আমার স্ত্রী
রিহা : কিসের স্ত্রী আমি আপনার মত খুনীর স্ত্রী না জোড় করে বিয়ে করা যায় কিন্ত ভালোবাসা যায় না আর এই বন্ধন থেকে আমি মুক্তি চাই আমার ডিভোর্স চাই

কথাটা বলতে দেরি কিন্ত রেহান এর চর মারতে দেরি না । রিহা গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে ।

রেহান : পেয়েছ ডিভোর্স হইছে শান্তি নাকি আরো লাগবে

মাইশা চৌধুরী আর আয়াস দুইজনের কান্ড দেখছে

রিহা : মারুন মেরে ফেলুন তাও আমি আপনার সাথে থাকবো না কিছুতেই না (কাদতে কাদতে)
রেহান : তুমি চাইলে ও কি আর না চাইলে ও কি তোমাকে আমার সাথে থাকতে হবে
রিহা : কিছুতেই না

কথাটা বলে রিহা দৌড়ে গেটের কাছে যেতে রেহান রিহার হাত ধরে

রেহান : একবার বলেছি না তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না কথা কানে যায় না
রিহা : ছাড়ুন আমাকে
রেহন : ওকে

কথাটা বলে রেহান রিহাকে কাধে নেয় ঠিক বিয়ের দিনের মতো

রিহা : ছাড়ুন বলছি ছাড়ুন আপনাকে আমি শেষ করে দেবো খুন করে ফেলবো
রেহান : আচ্ছা ঠিক আছে শেষ করো তোমার জন্য সব ফ্রী

কথাটা বলতে বলতে রেহান উপরে যাচ্ছে । আয়াস কিছু বলার আগেই মাইশা চৌধুরী থামিয়ে দেয়

আয়াস : আম্মু ওরা
মাইশা চৌধুরী : ১বছরের জমানো রাগ ,অভিমান,দুষ্টুমি আজ সব বের করতে দে ওদের মত ছেড়ে দে দেখবি সব ঠিক হয়ে গেছে
আয়াস : রেহান এর তো মাথা
মাইশা চৌধুরী : মনের আঘাত দূর করে নিক দেখবি সেই আবার মাথার আঘাত দূর করে দিয়েছে

আয়াস আর কিছু বলল না ।

রেহান রিহাকে ঘরে নামিয়ে দিতেই রিহা দরজার কাছে যেতে লাগে

রেহান : কই যাচ্ছ আমি কি যেতে বলেছি
রিহা : আমাকে ছাড়ুন নাহলে আজ আপনার শেষ দিন হবে
রেহান : রেহান চৌধুরীর ওয়াইফ এর একটু তেজ থাকবে না তাহলে কি করে হয় । নাও শেষ করে দাও আমি ও দেখতে চাই কি করতে পারো

রিহা : আপনাকে তো আমি

কথাটা বলতে বলতে রিহা রেহান কে মারতে গেলে রেহান রিহার হাত ধরে ঠোঁটে চুমু খায়

রিহা ঠোঁটে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে । রেহান সেইসব এর তোয়াক্কা না করে স্টাইল দিয়ে সোফায় বসে

রেহান : হা তো কি বলছিলে ? ডিভোর্স চাও তাই তো

রিহা…..
রেহান : ওকে ফাইন ডিভোর্স পেয়ে যাবে কিন্ত আমার শর্ত আছে

রিহা ভ্রু কুচকে রেহান এর দিকে তাকিয়ে আছে

রেহান : ওভাবে তাকিয়ে লাভ নেই আমি বলছি আমার যতদিন না বাচ্চা হচ্ছে তুমি আমাকে ছেড়ে যেতে পারবে না

রিহার চোখ তো কৌটা থেকে বের হওয়ার মত

রেহান : ভয় পাওয়ার কিছু নেই তোমাকে বলছি না আমি আবার বিয়ে করবো আর সেই ঘরে বাচ্চা হবে তারপর তুমি যেখানে খুশি যেতে পারো আর বিয়ের আগের দিন ডিভোর্স দিয়ে দেবো বেপার না

রিহার তো মাথায় আগুন ধরে গেলে ।

রিহা : আমি আগে জানতাম এই লোকের ক্যারাক্টের এর প্রবলেম আছে আজ তার প্রুফ পেলাম নিজের স্ত্রীর সামনে বিয়ে করার কথা বলছে লুচ্চা বদমাইশ(মনে মনে)

রেহান : তোমার বোকামির জন্য আমার লাইফ থেকে রোমান্স এর একটা বছর চলে গেছে সেন্স ফিরে ও তোমার বোকামি শেষ হলো না এখন বুঝো (মনে মনে) কি হলো?

রিহা : আপনি বিয়ে করবেন না কি করবেন টা জেনে আমি কি করবো আমাকে যেতে দিন তাহলে হবে

রেহান : তোমার হলে হবে না আমার ও হতে হবে তোমার পিছনে অনেক টাইম নষ্ট করছি আর না এবার সঠিক মানুষের পিছনে টাইম নষ্ট করবো আমার বিয়ে সকল দায়িত্ব তোমার বুঝলে এখন মাথা ব্যান্ডেজ করে দাও

রিহা : আমি কেনো করবো যাকে বিয়ে করবেন তাকে করে দিতে বলেন
রেহান : r u jelous?
রিহা : im not
রেহান: তাহলে ব্যান্ডেজ করে দাও নাহলে কিন্ত ডিভোর্স পাবে না আমার বিয়ের আগের দিন পর্যন্ত তুমি আমার wife
রিহা : বয়ে গেছে (ভেংচি কেটে)

রিহা চলে যেতে গেলে রেহান রিহাকে টেনে নিজের কোলে বসায়

রেহান : অনেক কষ্ট দিচ্ছ একটা বছর তোমার জন্য তিলে তিলে মরেছি এখন তোমার পালা ভালোবাসার আগুনে আমি একা কেনো মরবো তোমাকে ও মরতে হবে এখন সোজা কথা ব্যান্ডেজ করে দাও
রিহা : আমি পারবো না ছাড়ুন আমাকে
রেহান : ছেড়ে দেওয়ার জন্য তো ধরিনি আমার প্রতি এত রাগ যে আমার রক্ত ও তোমার চোখে পড়ছে না আমার কোনো কথা তো তোমার বিশ্বাস হবে না তাহলে নিজের আব্বুর কাছ থেকে শুনে নাও

কথাটা বলে রেহান ফোনে রিহার কাছে ধরে আর বলে

রেহান : যা যা জানার জেনে নাও

কথাটা বলে রেহান চলে যায় রিহা কানে ফোনে ধরতেই ওর আব্বুর বোকা শুনতে পায়

রিহা কিছুক্ষণ কথা বলে বাকরুদ্ধ হয়ে যায় । হটাৎ ফোনে একটা মেসেজ আসে রিহা open করতেই অবাক ।

রিহার চোখে দিয়ে দুই ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ল।

চলবে