#গল্পঃ গ্রামের লাজুক মেয়ে ?
#লেখকঃ Md: Aslam Hossain Shovo
#পর্বঃ ৮…
√-~ সময় চলে যাচ্ছে, আর রিপ্লাই আসছে না। বুকের মধ্যে ধুকপুক করছে। চোখের সামনে অন্ধকার হয়ে আসছে, কি উত্তর আসবে ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে। প্রায় ২০ মিনিট পর মেসেজ আসলো ~
রিতুঃ আসলে, আপনার কথা আমি আগেই বুবুর কাছে সব শুনছি আমাদের বাসায় থাকতে। আপনার a to z সব আমায় বলছে বুবু। তখনই আপনাকে আমি না দেখেই মনের মধ্যে জায়গা দিয়ে ফেলছি নিজের অজান্তে। তখন থেকে শুধু আপনার কথা ভাবছি। যখন আপনাকে দেখলাম, তখন তো আমি আগের চেয়ে বেশি মায়ায় পড়ে গেলাম আপনার।
কিন্তু মনের মধ্যে একটা ভয় হতে লাগলো। আমি হলাম গ্রামের মেয়ে, আপনি হলেন শহরের ছেলে, আপনি কি আর আমায় ভালোবাসবেন। তখন যানতে পারলাম আপনি আমায় ভালোবাসেন, আমি এতোটা খুশি হয়েছি বলে বুঝাতে পারবো না। আমিও আপনাকে খুব খুব ভালোবাসি… i love you2..
~ আমি আগে ভাবতাম যেই দিন আমার প্রেম হবে সেই দিন লুঙ্গি ড্যান্স দিবো, এখন দেখি লুঙ্গি ড্যান্সও তেমন কিছু না এই খুশির কাছে। মন চাচ্ছে চিৎকার করে বলি, আমিও তোমায় ভালোবাসি। এতোটা খুশি লাগছে বলে বুঝানো মুসকিল। একটা মেয়ের ভালোবাসা পেলে একটা ছেলে একটা খুশি হই আমি জানতাম ও না ~
আমিঃ সত্যি আপনিও আমায় ভালোবাসেন?
রিতুঃ খুব খুব ভালোবাসি।
আমিঃ আপনি এখন থেকে আমায় তাহলে তুমি করে বলবেন ওকে?
রিতুঃ আমি এখন সেটা পারবো না। আমি আপনি করেই বলবো।
আমিঃ আচ্ছা, যখন আমার সাথে একটু ফ্রী হয়ে যাবেন, তখন আপনি কিন্তু তুমি করে বলবেন ওকে?
রিতুঃ ওকে বলবো।
আমিঃ আরেকটা কথা, আপনি কিন্তু কেনো ছেলের সাথে কথা বলবেন না এখন থেকে ওকে?
রিতুঃ আচ্ছা বলবো না। আমিতো এমনিতেও বলি না অন্য ছেলেদের সাথে কথা।
~ তারপর এটা ওটা কথা হলো বাকি রাত টুকু। আর দুই জনে ঘুমালাম না। সকাল হয়ে গেলো। বিছানা থেকে ওঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে ভাবতেছিলাম জবের জায়গায় যাবো কি যাবো না। এমন সময় ভাবি কান টেনে ধরলো ~
আমিঃ এই ভাবি কি করছো?
ভাবিঃ কি শুনলাম হুমম?
আমিঃ কি শুনলে আবার?
ভাবিঃ তোমার সাথে নাকি রিতুর প্রেম হয়ে গিয়েছে?
আমিঃ হুমম ভাবি (মাথা নিচু করে) ?
ভাবিঃ আমি এখন সবাই কে বলে দিবো। তারপর দেখো ব্রেকআপ কিভাবে হয় বলে দিলাম। আমায় না বলে প্রেম করা ?
আমিঃ ভাবি প্লিজ প্লিজ প্লিজ এমন করবেন না। সরি আর কখনো হবে না।
ভাবিঃ তাহলে তোমাকে একটা শাস্তি পেতে হবে..
আমিঃ কি শাস্তি বলুন, আমি রাজি..
ভাবিঃ তুমি চোখ বুঝে থাকবে, আমি তোমার কপালে একটা চুমু দিবো…
আমিঃ হেএএএ…
ভাবিঃ হেএএএএ না হ্যা… খাবে নাকি চুমু বলো তাড়াতাড়ি…
আমিঃ কি বলছেন এগুলো? ভাইয়া দেখলে আপনার সাথে আমারও খবর আছে।
ভাবিঃ আমি এতো বুঝি না… শাস্তি মাথা পেতে নিবে নাকি সবাই কে ডাক দিবো?
আমিঃ না ডাক দিবেন না প্লিজ। আমি রাজি, তাড়াতাড়ি দিন প্লিজ।
~ ভাবি একটা ওড়না এনে চোখ শক্ত করে বেঁধে দিলো। চোখের সামনে শুধু অন্ধকার।
কিছুক্ষণ পর একটা হাতের ছুয়া পেলাম কপালে, তার কিছুক্ষণ পর নরম ঠোঁট কপাল ছুলো বুঝতে পারলাম। কিন্তু অন্যের বউ চুমু খাওয়াও একটা ঘৃণা, ছি ছি… ~
আমিঃ ভাবি আমি চোখ খুলবো কিন্তু..?
ভাবিঃ দাড়াও এক মিনিট…
~ ১ মিনিট পর ~
ভাবিঃ নেও এবার খুলো…
~ চোখ খুলে তো আমি অবাক ?
ভাবি সামনে দাড়িয়ে মুচকি হাসি দিচ্ছে। পাশে ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে আমার দিকে তাকিয়ে চোখ বড় করে রাখছে। ওমা গো,,, আজ আমি গেছি রে ?~
ভাইয়াঃ তোর এতো বড় সাহস, তুমি আমার বউয়ের থেকে ছি ছি ছি… ?
~ আমি কি আর আছি, দৌড়ে গিয়ে ভাইয়ার পা জরিয়ে ধরলাম ~
আমিঃ ভাইয়া আমায় মাফ করে দেও। সব দোষ ওই মুটকু ভাবির। আমায় এবারের মত মাফ করে দেও ভাইয়া ?
~ ভাবি পাশে দাড়িয়ে হি হি করে হাসছে। ভাবির সয়তানি হাসি দেখে আমার খুব রাগ হচ্ছে ~
আমিঃ এই ভাবি, আপনি ওমন করে হাসছেন কেনো? আসুন ভাইয়ার পা ধরে আমার মত করে মাফ চান.. ? (ভাবির দিকে তাকিয়ে ~
ভাবিঃ বয়েই গিয়েছে,,,, আমি পারবো না মাফ চেতে। পারলে তুমি মাফ চাও (হাসতে হাসতে রুমের দিকে হাঁটতে লাগলো)
~ ভাবির হাসি দেখো খুব রাগ হচ্ছে আমার ~
আমিঃ ওই সয়তান, পেত্নী, মুটকি, ভুকটি, ভুত… আমায় ফাসিয়ে দিয়ে হাসা হচ্ছে তাই না? ?
ভাইয়াঃ ওই একে তো আমার বউয়ের থেকে ছি ছি, আবার আমার বউ কে পেত্নী বলছিস?
আমিঃ সরি ভাইয়া, আর বলবো না। এবারের মত মাফ করে দেও প্লিজ।
ভাইয়াঃ আচ্ছা দিলাম। পা ছাড় অফিসে দেরী হচ্ছে আমার।
~ পা ছেড়ে দিলাম। ভাইয়া হাসতে হাসতে বের হয়ে গেলো। এটায় বুঝলাম না, কারো বউয়ের থেকে কপালে চুমু খেলে, সে দেখেও এই ভাবে হাসে নাকি, অবাক করা বিষয়।
রাগ হচ্ছে ভাবির উপর। হাতে একটা পানির বোতল নিয়ে ভাবির রুমে গেলাম, যদি ঝগড়া করে জিতে যায়, তাহলে নিজের কপালে নিজে বোতল দিয়ে বারি দিবো তখন ? ~
আমিঃ ওই পেত্নী ভাবি। আমাকে ফাঁসিয়ে ওই ভাবে হাসলেন কেনো?
ভাবিঃ তুমি আমায় সয়তান বললে কেনো? যাও বলবো না।
আমিঃ বলতে বলছি বলুন।
ভাবিঃ যাও গিয়ে রিতুর কাছে শুনো।
আমিঃ মানে?
ভাবিঃ মানে আবার কি? রিতুর কাছে গেলে সব শুনতে পাবে (হেসে দিয়ে)
আমিঃ এর মধ্যে রিতু আসলো কিভাবে?
ভাবিঃ আরে পাগল। এর মধ্যে রিতুই তো আসল। বিশ্বাস নাহলে তাকে গিয়ে একটু জরিয়ে ধরো, সব বলে দিবে তাহলে সে…হা হা…
আমিঃ আপনি ভাবি কেমন যেনো। সিরিয়াস সময়েও মজা করেন। আচ্ছা যাচ্ছি।
~ রিতুর রুমের দরজা আটকানো। বার বার খুলতে বলছি দরজা, সে ভিতর থেকে বলছে আমি এখন খুলতে পারবো না। অনেক জোর করার পর বললো, আপনি আমায় মোবাইলে মেসেজ দিন, আমি সব বলছি। পরে তার মোবাইলে মেসেজ দিলাম ~
আমিঃ ওখানে ভাবি আমায় ফাঁসিয়ে দিলো কেনো? আপনি নাকি জানেন?
রিতুঃ ওখানে যা হওয়ার কথা ছিলো, তেমন কিছু হয় নাই। আর যা হওয়ার কথা ছিলো না, তাই হয়েছে, আপনি সেটা বুঝতে পারেন নাই ?
আমিঃ সব কিন্তু মাথার উপর দিয়ে চলে গেলো? বলুন কি হয়েছে?
রিতুঃ থাক, বুড়ো দাদুর এতো বুঝতে হবে না গো…
আমিঃ পিচ্চি বলে কি? আমি নাকি বুড়ো দাদু। বলতে বলছি বলো?
রিতুঃ আমি মোটেও পিচ্চি নয়। অনেক বড় হয়েছি আমি। আর বলতে যাবো কোন দুঃখে শুনি?
আমিঃ আমি বুড়ো দাদু হলে, তুমি আমার কাছে পিচ্চি বুঝলে, হা হা। আর আমি তোমার হবু বর, তাই বলতে হবে এখুনি?
রিতুঃ কত ঢং… ঢং দেখে আর বাচি না। যা হয়েছে সত্যি শুনবে তুমি?
আমিঃ অবশেষে মহারানী আমায় তুমি করে বললো। মনের ইচ্ছা তো পূরণ হল একটু হলেও… বলো তুমি?
রিতুঃ ইসসস, ঢং… তোমার কপালে যে ঠোঁট ছুঁয়েছে, সেটা আর কারো ঠোঁট না, আমার ঠোঁট ছিলো। বুবু আমায় জোর করে তোমায় চুমু দিয়েছিলো, ঠিক তখনি ভাইয়া চলে আসে, আমি লজ্জা পেয়ে রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দেই…
আমিঃ ভাবি আমার নাম্বার 1… এমন ভাবি আর কয়েক বছর আগে হলে হলে এতো দিনে ১০ সন্তানের বাপ হতাম, হা হা… তাই মহারানী চুমু যখন দিলেন, আমার ঠোঁট রেখে কপালে কেনো?
রিতুঃ ঢং দেখে মরে যায়। সয়তান, বানর, শিয়াল, বেজী, খাচ্চর, হনুমান…
আমিঃ জানি তো ওগুলো চিড়িয়াখানায় থাকে।
রিতুঃ কচু। ওগুলো হলো আপনি।
আমিঃ ২৩ বছরে যা শুনি নাই, তুমি তা এক সাথে বলে দিলে?
রিতুঃ আমায় বিয়ে করবে তুমি সত্যি?
আমিঃ হুমম অবশ্যই। নাহলে প্রেম করছি কেনো?
রিতুঃ তাহলে একটু এগুলো শুনতে তৈরি হও। বিয়ের পর আরো অনেক শুনতে হবে, হা হা…
আমিঃ আর রোমান্স?
রিতুঃ সেটা ভুলে যান দুষ্টু বর… ☺
~ এই ভাবে আমার ও রিতুর প্রেম চলতে রইলো। সারাদিন কথা বলতাম। আমি যে জব করি, সেটা ভুলেই গিয়েছিলাম তাকে পেয়ে। বাসায় মোটামুটি সবাই জেনে গিয়েছে আমার ও রিতুর কথা। মা-বাবার রিতুকে ভালো লাগায় আর কেনো সমস্যার মধ্যেও পড়তে হলো না। সবাই রিতুকে খুব আদর করা শুরু করলো, যেনো এই বাড়ির মেয়ে। রিতুও মানিয়ে নিয়েছে। ৬ দিন চলে আজ রিতু আমাদের বাসায় এসেছে বেড়াতে। আগামী পরশুদিন সকালে শেরপুর চলে যাবে তাদের বাসায়।
ভাবিকে খুব জোর করেও হলেও মা-বাবা কে রাজি করাতে বললাম যে রিতুর সাথে আমি একা একটু ঘুরতে যাবো। ভাবিও অনেক কষ্ট করে রাজি করিয়েছে ঘুড়তে যাওয়ার ব্যাপার টা। শর্ত একটায়, বিকালে যেতে হবে, সন্ধার আগে বাসায় আসতে হবে ও ছোট বোন মায়াকে সাথে নিতে হবে। কি আর করার আমি রাজি হলাম।
সেই দিন রাত ৮ টা বাজে। বাসায় আমি, ভাবি ও রিতু আছি। ভাইয়া এখনো বাসায় আসে নাই ও বাকি সবাই ছোট মামার বাসায় গিয়েছে পাশের মহল্লায়, মনে হয় আসতে দেরী হবে। ভাবি ও রিতু সবার সাথে মামা বাসায় যায় নাই বলে, আমিও যাই নাই।
আমি আমার রুমে শুয়ে শুয়ে ভাবছি কি করে রিতুর কাছে যাওয়া যায় গল্প করতে। মাথায়,একটা বুদ্ধি এলো…
রিতুকে মেসেজ করলাম-
আমিঃ পিচ্চি তোমার সাথে একটু কথা বলার ইচ্ছা হচ্ছে…
রিতুঃ বলো…
আমিঃ এই ভাবে না, সামনাসামনি গল্প করবো…
রিতুঃ না বাবু, এটা আমি পারবো না। এখন কেউ বাসায় নেই, কেউ এসে দুই জনকে একসাথে দেখলে খুব বাজে একটা ব্যাপার হবে। আমি পারবো না…
আমিঃ আরে পাগলী, কিছু হবে না। আমি আছি তো..
রিতুঃ প্লিজ বাবু আমি পারবো না।
আমিঃ তোমায় বললাম না, সেই বুদ্ধি আমার আসে যে কেউ খারাপ ভাববে না। এখনি টিভির রুমে আসো বলছি…
~ আমি টিভির রুমে গিয়ে রিতুর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। তার কেনো দেখায় নাই। তাহলে মনে হয় আসবে না, আমি মাত্র উঠে আমার রুমে যাওয়ার জন্য হাটা দিয়েছি তখনি মাথায় ওড়না দিয়ে বিশাল ঘুমটা দিয়ে এসেছে টিভির রুমে। আমি আবার বসে পড়লাম। সে আমার থেকে অনেক দূরে বসলো ~
রিতুঃ কি বুদ্ধি করছেন শুনি..?
আমিঃ এই দেখো…
রিতুঃ কি ওটা..???
আমিঃ লুডুর কোড। আমরা গল্প করবো, কিন্তু সামনে লুডু রেখে। যদি কেউ দেখে ফেলে একসাথে বসি আছি, তাহলে ভাববে আমরা লুডু খেলছি হা হা… বুদ্ধি কেমন..??
রিতুঃ তুমি আসলেই সয়তানের ভাই। এতো বুদ্ধি কোথায় পাও তুমি? তার চেয়ে আসো আমরা লুডু খেলি…
আমিঃ চুপ… কিসের লুডু খেলা? প্রেম করবো প্রেম…
রিতুঃ হি হি আচ্ছা তাই হবে…
~ আমি লুডু সামনে রেখে সব কিছু সাজিয়ে নিলাম ~
আমিঃ তুমি ওতো দূরে কেনো? কাছে আসো…
রিতুঃ না।
আমিঃ কেনো?
রিতুঃ এমনি…
আমিঃ ভয় পাচ্ছ কাছে আসতে..?
রিতুঃ হুমম।
আমিঃ আমায় বুঝি তোমার খারাপ ছেলে মনে হয়?
রিতুঃ তা না। কিন্তু তুমি পুরুষ মানুষ তো। পুরুষ মানুষ কে কখনো বিশ্বাস করা যায় না..
আমিঃ হুমম তা ঠিক। তোমায়,একটা বুদ্ধি দিচ্ছি…
রিতুঃ কি?
আমিঃ যদি তোমার শরীরে কখনো কেনো পুরুষ হাত দিতে যায়, সেটা বয়ফ্রেন্ড হক বা হবু স্বামী হলেও, তাকে জোরে করে দুইটা থাপ্পড় দিয়ে দিবে। বুঝলে..? বলো তো তুমি কি করবে..?
রিতুঃ থাপ্পড় দিবো ওমন করলে।
আমিঃ শুধু থাপ্পড় না.. শরীরের যত শক্তি আছে, সব প্রথমে হাতে নিবে, ওই হাত দিয়ে যত জোরে হক থাপ্পড় বসিয়ে দিবে তার মুখে। যেই ছেলে বিয়ের আগে কেনো মেয়ের শরীরে হাত দিতে চাই, সেই ছেলে একটা ভালো মেয়ের যোগ্য স্বামী হওয়ার অধিকার রাখে না বুঝলে। সেটা হবু স্বামী হলেও করবে ওকে। যদি বিয়ে ভাঙ্গে যায়, যাক.. আগে হলো নিজের ইজ্জত। আর বয়ফ্রেন্ড যদি শরীরে হাত দেয়, তাহলে ২ টার জায়গায় ৪ টা দিবে থাপ্পড়। মনে থাকবে তো…
রিতুঃ ওকে ওকে মনে থাকবে। এখন চলো প্রেম করা শুরু করি, হি হি…
আমিঃ হুমম চলো হা হা…
~ রিতুর সাথে গল্প করলাম, তার কি কি পছন্দ সব জানলাম, সাথে একটু লুডু খেললাম৷ ৩০ মিনিট পর রিতু উঠে হাটা দিলো ~
আমিঃ কি হলো, হয়ে গেলো প্রেম করা?
রিতুঃ হুমম। আজ আর না…
আমিঃ আর একটু প্রেম করি আসো..
রিতুঃ না, আর না….
আমিঃ আসো বলছি, নাহলে কিন্তু হুমম।
রিতুঃ নাহলে কি হুমম?
আমিঃ জরিয়ে ধরবো কিন্তু ?
রিতুঃ আসো ধরো তাহলে..
আমিঃ সত্যি ??
রিতুঃ সত্যি আসো। কিছুক্ষণ আগে আমার শুভ বাবু একটা বুদ্ধি শিখিয়ে দিয়েছে, কেউ যদি আমার শরীরে হাত দেয় তাহলে ওই বুদ্ধি ইউস করতে বলছে। এখন ভাবছি, তোমার জন্য কোনটা বরাদ্দ করবো, বয়ফ্রেন্ড নাকি হবু স্বামী ☺
~ আমি দুই হাত আমার মুখে দিয়ে বললাম-
আমিঃ না সোনা, যা করবো বিয়ের পর করবো। গার্লফ্রেন্ডের হাতে থাপ্পড় খেতে চাই না ?
রিতুঃ এই তো আমার ভদ্র বাবুটা.. উম্মা..( হাসতে হাসতে রুমে চলে গেলো)
???????
আগামী কাল রিতু চলে যাবে তাদের বাসায়। আজ বিকালে রিতুকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা আছে। রিতু আমার কাছে বললো, কি পড়বে সে.. আমি বললাম বোরকা পড়তে কালো।
আমার কথা মত, সেও বললো আচ্ছা বোরকা পড়বো।
দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করেই…
তখন বাজে দুপুর আড়াই টা… আর মন মানছে না। জীবনে প্রথম মেয়ে নিয়ে ঘুরতে যাবো, নার্ভাস লাগছে…
আমি গিয়ে আম্মু কে বললামঃ- আমি বিকাল হতে তো অনেক দেরী, এখন ঘুরতে যাবো?
আম্মুঃ…… ~ গল্প চলবে ~
বিঃদ্রঃ রিতু ও শুভর প্রথম এক সাথে ঘুরাঘুরি কেমন হবে, জানতে হলে পড়তে হবে আগামী পর্ব…