গ্রামের লাজুক মেয়ে পর্ব-১৪

0
801

#গল্পঃ গ্রামের লাজুক মেয়ে ?
#লেখকঃ Md: Aslam Hossain Shovo
#পর্বঃ ১৪…

√-শুবশ্রী ভাবিঃ- কি বলবি বল বল?

ঈশাঃ তাহলে শুনুন, রিতু বুবু প্রতিদিন এই শুভ স্যারের সাথে রাতে গল্প করতো মোবাইলে মেসেজ করে। আমাকে না দেখিয়ে মোবাইল লুকিয়ে রাখতো, বুবু ভাবতো আমি কিছু বুঝি না। কিন্তু বুবু যখন ঘুমিয়ে যেতো, তারপর তার মোবাইল নিয়ে আমি তাদের মেসেজ গুলো দেখতাম। দেখতাম কত কত রোমান্টিক গল্প হয়েছে। আমি ক্লাস 8 (৮) এ পড়ি, এই টুকু বুঝার বয়স হয়েছে আমার বুঝলেন।

ভাবিঃ এর মধ্যে তোকে পাপ্পি দেওয়ার কথা আসলো কিভাবে..??

ঈশাঃ যখন বুবু ঘুমিয়ে যেতো, তার কিছুক্ষণ পর আমি মেসেজ দিলাম শুভ ডার্লিং কে । তারপর আমি রাত ২ টা পর্যন্ত রিতু বুবু সেজে প্রেম করতাম ডার্লিংয়ের সাথে..৷ তখন তো একটু পর পর চুমু দিতো ডার্লিং, আর আমার থেকে খেতো কত কত চুমু , তখন লজ্জা করতো না পাপ্পি খেতে তার..? এখন ভদ্র ছেলে সেজে আছে… ?

ভাবিঃ এবার বুঝলে শুভ জ্বীন কার উপর ভর করছে হা হা…

আমিঃ ওহহ তাহলে ঈশা আমার সাথে কথা বলতো, আমি আরো ভাবছি রিতুকেই জ্বীনে ধরছে ☺

রিতুঃ সয়তান একটা ?

ঈশাঃ কেনো গো ডার্লিং, পাপ্পি খেয়েও বুঝো নাই কে দিচ্ছে? বউ না সালি..?

~ আমি, রিতু সাথে কাকিমাও লজ্জা পেয়ে গিয়েছে। ভাবি বিষয়টি বুঝতে পেরে বললো…
ভাবিঃ থাক ওই বিষয় থাক… রিতু তুই বিকালে রেডী থাকিস, ঘুরতে যাবো তোকে নিয়ে…

~ রিতু মাথা নিচু করে বললো, আচ্ছা ~

ঈশাঃ কেনো আমায় বুঝি নিবে না তোমরা? ?

ভাবিঃ তোকে তো নিতেই হবে। শত হলেও হিজল গাছের পেত্নী বলে কথা।

ঈশাঃ আমি মোটেও পেত্নী না। আমি সুন্দরী রাজকন্যা ?

~ কাকিমা সহ সবাই হা হা করে হেসে দিলো।

ঈশাঃ ডার্লিং তোমায় বলে দিলাম, তুমি কিন্তু শুধু আমার, আর কারো হতে দিবো না তোমায় আমি। i love you ডার্লিং…. এখন তুমি i love you2 বলো ডার্লিং..(হাসি দিয়ে)

~ আমি কিছু না বলে কাকিমার কে বিদায় দিয়ে আমি আর ভাবি, তার বড় কাকার বাসার উদ্দেশ্য রওনা হলাম রিতুদের বাসা থেকে ~

?????????????

~ বিকাল বেলা আমি,ভাবি ও ভাবির বড় কাকার মেয়ে ইলা রওনা হলাম রিতুদের বাসার দিকে। গরমের দিন হলেও গ্রামিন পরিবেশ থাকায় খুব বেশি গরম নেই। তারপর আবার ভালোই বাতাস বইছে । রিতুদের বাসার সামনে গিয়ে ভাবি ও তার চাসতো বোন ইলা গিলো বাসার মধ্যে রিতুকে ডাকতে।

~ ইলা খুব মিষ্টি একটা মেয়ে, বয়স ৫-৬ বছর হবে হয়তো। ভালো মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে ইলা। আমিতো ভয়ই পেয়েছিলাম ইলাও আবার ঈশার মত দুষ্টু কিনা ভেবে। ইলার আরো বড় দুই ভাই আছে, খুব ভালো। ইলার বড় ভাইয়ের নাম মোঃ ফয়সাল উদ্দিন ও ছোট ভাইয়ের নাম মোঃ ফাহাদ খান… তারাও আমার সাথে খুব সুন্দর কথা বলে ~

রিতুদের বাসার সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছি যেনো পেত্নী টা না আসে, মানে ঈশা সালিকা।
ভাবতে দেরি নাই, পেত্নী এসে আমার গলা জরিয়ে ধরাও দেরী নেই পিছন থেকে।

ঈশাঃ ডার্লিং তুমি কি আমার জন্য অপেক্ষা করছো?

আমিঃ শুনো বোন আমার। এভাবে পরপুরুষ কে জরিয়ে ধরা তো পাপ। আর তুমি এখন বড় হইছো, কেউ দেখলে খুব বাজে কথা বলবে।

ঈশাঃ ওহহ (গলা ছেড়ে দিয়ে সামনে এসে দাঁড়ালো)

আমিঃ এই তো মিষ্টি মেয়ে। এখন তোমায় খুব মিষ্টি লাগছে গো… তোমাকে তো এখানে আসতে দেখলাম না, কখন এলে…?

ঈশাঃ আমিতো আরো অনেকক্ষন আগে তোমার জন্য এসে এখানে অপেক্ষা করছি। যদি আমায় ঘুরতে না নিয়ে পালিয়ে যাও তাই। বুঝলে ডার্লিং… (আবার হাসতে হাসতে আমার গলা জরিয়ে ধরলো)

আমিঃ আবার সেই কাজটাই করলে তুমি । মানুষ দেখলে কি বলবে বলো তো??

ঈশাঃ কেউ নেই তো ডার্লিং। তোমায় সত্যি আমি পছন্দ করে ফেলছি। রিতু বুবুর সাথে ব্রেকআপ হলে প্লিজ আমার সাথে প্রেম করবে… বলো..?

~ মনে মনে ভাবতে লাগলাম। গ্রামের পরিবেশ বলে এখনো কেউ দেখে নাই, শহরের হলে এতোক্ষনে হয়তো বিয়েও দিয়ে দিতো এই ভাবে কেউ দেখলে ~

আমিঃ আচ্ছা যদি ব্রেকআপ হয়, তাহলে তোমার সাথে প্রেম করবো প্রমিস…

~ এর মধ্যে রিতু সামনে এসে হাজির ~

রিতুঃ কি বললে তুমি? ?

আমিঃ রিতু তোমাকে তো খুব সুন্দর লাগছে আজ ।

রিতুঃ তাই নাকি বাবু… সত্যি বলছো ? (লজ্জা পেয়ে)

আমিঃ হুমম সোনা, সত্যি ?

~ মেয়েদের এই একটা জিনিস খুব চমৎকার। যত বড় অন্যায় করেও যদি একটা ছেলে তার গার্লফ্রেন্ড বা বউয়ের একটু রূপের প্রশংসা করে, তাহলে মেয়েদের সব রাগ শেষ। আল্লাহ জানে রূপ তাদের কাছে এমন কি দামি জিনিস যে রূপ কেই তারা সবকিছু ভাবে হা হা। ভাগ্য ভালো বুদ্ধি টা আমার জানা ছিলো ~

আমি, ভাবি, রিতু, ইলা ও ঈশা ধান খেতের আইল ধরে হাটতে লাগলাম। বিকালের হালকা মিষ্টি রৌদ্র, সোনালী ধানের উপর পড়েছে, সাথে মন শীতল করা ঠান্ডা বাতাসে ধান গাছ গুলোর নাচানাচি করা, যেনো এক অপূর্ব দৃশ্য ????

সুযোগ বুঝে সবাই কে আগে পাঠিয়ে পিছন থেকে রিতুর হাত ধরে ফেললাম। খুব নরম তুলতুলে হাত রিতুর। রিতুকে ইশারা করলাম আস্তে আস্তে হাটতে, যেনো তারা আগে চলে যায়। রিতু বুঝতে পেরে মাথা নাড়িয়ে হুমম বলে মুচকি হাসি দিলো।

বাকি সবাই কথা বলতে বলতে আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণ পর ভাবি ঘুরে তাকিয়ে দেখলো আমরা অনেক পিছনে পরে গিয়েছি। আমি রিতুর হাত ধরে আছি দেখে ভাবি সব বুঝতে পেরে মুচকি হাসি দিলো, আর ভাবি জোরে আমাদের বললো, তোমরা ওই দিকে দেখে আসো, আমরা এখানে আছি । ঈশা সালিকা আমার মুখ কালো করে ভেংচি কাটতে লাগলো দূর থেকেই ?

~ আমি রিতুর হাত ধরে অন্য দিকে হাটতে লাগলাম। রিতু মাথা নিচু করে হাসছে ~

আমিঃ কি হল, তুমি এই ভাবে মিটমিট করে হাসছো কেনো?

রিতুঃ এমনি।

আমিঃ সত্যি করে বলো বলছি…

রিতুঃ তাহলে বলো তুমি হাসবে না..?

আমিঃ ওকে হাসবো না।

রিতুঃ আমার এই ভাবে হাত ধরে হাটতে খুব লজ্জা করছে ?

আমিঃ হা হা, পাগলী বলে কি..? আমার হাত ধরাতে পাগলী লজ্জা পাচ্ছে, আর আমাকে কিস করাতে লজ্জা করে নাই তখন।

রিতুঃ একদম পঁচা কথা বলবে না। নাহলে কিন্তু আড়ি তোমার সাথে ?

আমিঃ ওকে মহারানী আর বলবো না। এখন বলুন আমার কোন দিকে যাচ্ছি..?

রিতুঃ আমি বুঝি মহারানী? আমরা এখন নদীর দিকে যাচ্ছি বুঝলেন আমার মহারাজ…হি হি

আমিঃ হুমম তুমি তো আমার মহারানী… ☺

~ একটু এগিয়ে গিয়ে আমি সরাসরি গিয়ে নদীর ধারে ঘাসের উপর বসে পড়লাম ~

আমিঃ সোনা, তুমিও বসো আমার পাশে…

রিতুঃ ঘাসের উপর বসলে জামায় দাগ পরে যেতে পারে তো।

আমিঃ তাহলে আসো আমার কোলে বসো (মজা করে)

রিতুঃ যদি কেউ দেখে ফেলে তখন?

~ তার মুখ দেখে বুঝতে পারছি রিতুর বসার ইচ্ছা আছে কোলে ~

আমিঃ এই বিকাল বেলা আর কে আসবে নদীর ধারে, আসো বসো সমস্যা নেই।

~ আমার পা সোজা করে বসার কারনে রিতু এসে আমার পায়ের কোমর সোজা সরাসরি বসে বুকের সাথে বুক মিলিয়ে আমার গলা জরিয়ে ধরলো শক্ত করে ~

রিতুঃ বাবু তুমি আমার পিছনের দিকে খেয়াল রাখবে আর আমি এই তোমার পিছনের দিকে রাখবো ওকে, যেনো কেউ আসলে বুঝতে পারি।

আমিঃ তা নাহয় রাখবো। কিন্তু এই ভাবে হঠাৎ করে চমকে দিলে আমি তো মরেই যাবো…

রিতুঃ আমি আবার কি করলাম?

আমিঃ ওই যে হঠাৎ করে কোলে বসলে আবার সাথে গলাও জরিয়ে ধরছো শক্ত করে, এমন হঠাৎ করে সারপ্রাইজ পেলে তো মরেই যাবো সোনা…

রিতুঃ নেকা। তোমার ঢং দেখে আর বাঁচি না। এক কাজ করো, আমাকে শক্ত করে ধরে দোল খাওয়াতে থাকো ও গান শুনাও একটা তুমি…

আমিঃ আমি গান পারি না। কিন্তু দোল খাওয়াতে পারি। তুমি গান শুনাও…

রিতুঃ আমি গান পারি না। নাচ পারি, বিয়ের পর দেখাবো তোমায়…

আমিঃ তুমি তো পিচ্চি অনেক রোমান্টিক… (বলে শক্ত করে ধরে দোল খাওয়াতে শুরু করলাম)

রিতুঃ কেনো? গ্রামের মেয়েরা বুঝি রোমান্টিক হয় না..?

আমিঃ হবে না কেনো, খুব হয়। কেমন রোমান্টিক তুমি তাতো বাসর রাতে বুঝতে পারবো।

রিতুঃ চুপ, আবার পঁচা কথা বললে কেনো?

আমিঃ সরি গো বোন। আর বলবো না।

রিতু আমার গলায় কামড় দিয়ে বললোঃ- বোন বললে খুন করে ফেলবো…

আমিঃ তাহলে কি বলবো?

রিতুঃ সব কিছু বলো, পেত্নী, সাকচুন্নি সহ সব বলো, কিন্তু তাও বোন বলো না কেমন? ?

আমিঃ আচ্ছা মহারানী বলবো না।

~ দুই জন অনেক ক্ষন ওখানে ওই ভাবে বসে গল্প করলাম। সন্ধ্যা হয়ে আসছে দেখে বললাম, চলো ভাবিদের ওখানে যায়।

রিতুঃ আমার তো যাইতে ইচ্ছা হচ্ছে না। এখানে আজীবন থাকতে ইচ্ছা হচ্ছে।

আমিঃ আরামে কোমরের উপর বসে থাকলে তো সারাজীবন থাকতে ইচ্ছা হবেই… আমার যে পা ব্যাথা হচ্ছে… ?

রিতুঃ হি হি হক ব্যাথা। আমি উঠবো না। এই ভাবে থাকবো…

আমিঃ আরে পাগলী। বেঁচে থাকলে আরো অনেক আসা হবে, এভাবে বসা হবে.. এখন চলো।

~ রিতু আমার কোল থেকে উঠে দাঁড়ালো। আমিও উঠে দাড়িয়ে বললাম, তুমি দাঁড়াও আমি পা ধুয়ে আসি নদী থেকে। পায়ে ধুলা লাগছে।
রিতুও জোর করা শুরু করলো সেও আমার সাথে নিচে নদীতে নামবে। কি আর করার আমি করার, তাকে নিয়েই নামলাম নদীতে। এমন সময় ভাবি, ঈশারাও নদীর ধারে চলে এসেছে। আমি তাদের খেয়াল করলেও রিতু তাদের দেখে নাই তখনো।

~ আমি প্যান্ট উঠিয়ে পা ধুতে পানিতে পা দিতেই রিতু বললো, দাঁড়াও…

আমিঃ কিছু বলবে তুমি..?

রিতুঃ এক মিনিট দাঁড়াও…

~ বলে রিতু তার ওড়না বুকে কোমরে বেধে নিয়ে, পায়জামা সামান্য উঠিয়ে সরাসরি নদীর একটু পানির মধ্যে নেমে গেলো। নেমেই তার হাত দিয়ে আমার পায়ে পানি দিয়ে পায়ের ধুলোবালি ধুতে লাগলো ~

আমিঃ এই এই কি করছো পিচ্চি এগুলো..?

রিতুঃ চুপ করে থাকো বাবু। এক মিনিট লাগবে।

~ আমার পায়ের সব ধুলো বালু রিতু নিজের হাত দিয়ে ধুয়ে দিলো। এবার বলতে লাগলো তোমার মুখ এগিয়ে দেও ~

আমিঃ আমার মুখ দিয়ে কি করবে তুমি..?

রিতুঃ আগে দেও তো দেখি…

~ নদী থেকে পরিস্কার পানি এনে নিজের হাত দিয়ে আমার মুখ ধুইয়ে দিলো রিতু। তারপর তার ওড়না দিয়ে আমার মুখ মুছিয়ে দিলো। ভাবি আর ঈশা উপর থেকে দেখে হা করে তাকিয়ে আছে। পরে যখন রিতু তাদের দেখতে পেলো, খুব লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেললো ~

আমি শুধু ভাবছি, এই যুগের গার্লফ্রেন্ড গুলো শুধু মেসেজ ও কলে i love you, janu, mona ছাড়া আর ভালোবাসাটা কি তাও জানেও না।
বয়ফ্রেন্ড তো দূরে থাক, স্বামীর পায়েও হাত লাগাতেও ঘৃণা পায়। তারা শুধু জানে, চকলেট, ফুচকা কিনে খাওয়ানো, ঘুরতে নিয়ে যাওয়া, বয়ফ্রেন্ডের সাথে রোমান্টিক গল্প করলেই হয়তো ভালোবাসা বাড়ে, তাদের এইসব ভুল ধারণা।
সেই তুলনায় গ্রামের মেয়েরাও তো ভালোই, তাদের গার্লফ্রেন্ড বা বউ করা ভাগ্যের ব্যাপার। আবার ভাবলাম গ্রামে তো ঈশা সালিকার মত মেয়েরাও থাকে, তাদের স্বামীর কপালে কত কষ্ট হয় আল্লাহ জানে ?

নদী থেকে উঠে এলাম আমি আর রিতু। তারপর আমরা সবাই নদীর পার থেকে চলে এলাম রাস্তায়।

ঈশাঃ ডার্লিং তোমার হাতটা একটু দিবে, কয়েকদিন ধরে মুখে রুচি নেই। একটু রুচি আনবো (কামড় দিতে চাই)

আমিঃ জানো, আমিও মুখে রুচি পাচ্ছি না… ?

ঈশাঃ তাহলে আমি কি করবো?

আমিঃ তোমার হাতটা দেও..

ঈশাঃ ????

– আমি কিছু না বলে ঈশা কে দিলাম দাবুর “ধর সালিরে ধর” বলে….
ঈশা তো উল্টো দিকে “ওমাগো বাঁচাও” বলে দিলো দৌড় – ☺☺

????????????

আরো দুই দিন রিতুদের গ্রামে বেড়িয়ে তারপর আমি আর ভাবি ঢাকা চলে এসে ভাবিদের ঢাকার বাসায় একদিন বেড়িয়ে তারপর ফরিদপুর চলে এলাম। খুব ভালোই চলছিলো দিন কাল। রিতুর ভালোবাসা আরো বেড়ে গিয়েছে অনেক আগের থেকে। রিতু সব সময় বলে বাবু তোমার কাছে আমায় নিয়ে যাও, আমি তোমার কাছে যাবো। আমিও ভাবতে লাগলাম কিভাবে বিয়ের কথা বাসায় বলা যায়। ভালো সুন্দর ভাবে আরো ২ মাস চলে গেলো। এখন আমাদের সম্পর্কের বয়স প্রায় ৬ মাস….

কিন্তু একদিন এমন একটা ঘটনা ঘটলো যে, রিতুর যেনো তার সব বিশ্বাস এক সেকেন্ডে নষ্ট করে ফেললো…
একদিন সন্ধ্যায়…………….. ~ গল্প চলবে ~

বিঃদ্রঃ এমন কি ঘটনা হলো যে শুভর বিশ্বাস নষ্ট হয়ে গেলো, জানতে হলে পড়তে হবে আগামী পর্ব।