গ্রামের লাজুক মেয়ে পর্ব-১৮

0
898

#গল্পঃ গ্রামের লাজুক মেয়ে ?
#লেখকঃ Md: Aslam Hossain Shovo
#পর্বঃ ১৮…

√-বিছানা থেকে উঠে, রুম থেকে বের হওয়ার পর আম্মু ডাক দিলো…

আম্মুঃ দেখ শুভ, তোর বউকে কত বার মানা করার পরেও কি করতেছে..? এটা কি ঠিক করতেছে তোর বউ..?

~ আমি তাকিয়ে দেখি ভাবি কি বিস্কুট খাচ্ছে বসে বসে ~
আমি গিয়ে বললামঃ- এই তোমায় নাকি আম্মু কি করতে মানা করছে, তুমি তাও করছো কেনো.?

ভাবিঃ কোথায়, কিছু তো বলে নাই আম্মা। দাঁড়াও এক মিনিট।

~ ভাবি আম্মু কে ডাক দিলো- আম্মা আমায় কি করতে মানা করছেন..? আম্মু বললোঃ- কই, কিছু না তো। ভাবি আমায় বললোঃ- কোথায় কি মানা করছে..? ~

আমিঃ তাহলে আম্মু যে বললো, তোর বউকে মানা করছি তাও দেখ কি করে।

ভাবিঃ হায়রে পাগল। আমাকে এখনো বউ বলবে নাকি.? গিয়ে দেখো তোমার বউ রিতু রান্না ঘরে কি করা শুরু করছে।

~ গিয়ে দেখি মুরগি কাটছে, সব বাজার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রইছে। রান্নার প্রস্তুতি চলছে।
আমি পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখি কেউ আছে নাকি, দেখলাম কেউ নেই।
সবাই টিভি দেখছে অন্য রুমে। আস্তে আস্তে পিছন দিয়ে গিয়ে রিতুকে জরিয়ে ধরলাম ~

রিতুঃ এই সয়তান ছাড়ো বলছি।

আমিঃ তুমি বুঝলে কি করে আমি?

রিতুঃ আমার সোয়ামির আদর মাখা ছুঁয়া বুঝি আমি বুঝতে পারবো না, হুমম ?

আমিঃ তাই বুঝি..? সোয়ামি কিসের হুমম…? বলো স্বামী।

রিতুঃ কচু.. তুমি আমার স্বামী হতে যাবে কোন দুঃখে, তুমি হলে আমার সোয়ামি। (মুখ একটু ঘুরিয়ে আমার মুখে পাপ্পি দিয়ে)

আমিঃ তাই বুঝি মহারানী। তাই সোয়ামির বিবির যে ঠোঁটে কি যেনো লেগে আছে, আমি সরিয়ে দিবো নাকি..?

রিতুঃ সয়তান একটা।

আমিঃ সয়তান বললে কেনো?

রিতুঃ তোমার মতলব আমি বুঝি না মনে করছো..??

আমিঃ বুঝলে তাহলে এতো দেরি কেনো শুনি..?

(বলেই তার ঠোঁটে পাপ্পি দিয়ে ধরলাম। এর মধ্যে সালিকা পিছনে এসে বললো)

ঈশাঃ এখন দেখি রান্নাঘরেও রোমান্স হয়…

(রিতুকে ছেড়ে দিলাম)

আমিঃ তুমি সালিকা এখানে কেনো?

ঈশাঃ দেখতে আসছিলাম আরকি, কিভাবে কিভাবে রোমান্স করতে হয়.. ☺

আমিঃ সালিকা তুমি একটা……

ঈশাঃ বলে ফেলুন দুলাভাই, জিনিস বলবেন তো ☺ সত্যি আমি কিন্তু একটা জিনিস, পুরো বোম্বাই মরিচ….

আমিঃ জানি তো হা হা।

~ রিতু সবার জন্য রান্না করলো। সবাই খাওয়া দাওয়া করে ভালো প্রশংসা করলো। আমি যেহেতু আমার খাটে বসে খাওয়া দাওয়া করি সব সময়, তাই রুমেই খাবার দিতে বলছি। ৩ টার দিকে রিতু খাবার নিয়ে রুমে আসলো ~

আমিঃ তুমি খাওয়া দাওয়া করছো?

রিতুঃ না তো।

আমিঃ কখন করবে?

রিতুঃ এই তো এখন তোমার সাথে।

আমিঃ ওহহ তাই, তাহলে খাবার বারো।

~ রিতু খাবার দিলো। পোলাও, মাংস, ডিমের কোরমা ও সাথে পোড়া পোড়া বেগুন ভাজা ?… দুই জনে খাচ্ছি। বিয়ে করলে নিজেকে কেমন যেনো নেতা নেতা মনে হয়, বউ কে যাই বলি তাই শুনে। মজাই অন্য রকম ~

আমিঃ মাংস কি তুমি একা একা খাবে, নাকি আমাকে দিবে.??

~ রিতু বাটি থেকে মাংস তুলে দিতে গেলো ~

আমিঃ কি করছো এটা.??

রিতুঃ তুমি তো বললে মাংস লাগবে..??

আমিঃ লাগবে তো। কিন্তু তোমার হাতের টা দিলে এমন কি হবে শুনি.??

রিতুঃ কি বলো তুমি? হাতের টা তো এঁটে হয়ে গিয়েছে। আবার এটার থেকে আমি কিছু মাংস খেয়ে নিয়েছি এই হাড় থেকে।

আমিঃ তাতে কি হয়েছে। আমি বাকি টুকু খাবো। তুমি চাওনা আমার সওয়াব হক..?

রিতুঃ কিভাবে সওয়ার হবে তোমার?

আমিঃ তাহলে শুনো….⭕স্ত্রীর মুখের খাবার খাওয়া সুন্নাত। আয়েশা রাঃ হাড় যুক্ত গোশত খাওয়ার পর রাসূল সাঃ আয়েশা রাঃ এর খাওয়া হাড় চুষে খেতেন।(মুসলিমঃ৫৭৯)
বুঝলে.?? এখন তো আমায় তোমার হাতের ওই হাড়টা দাও খেতে..

~ রিতু তার হাতের মাংস টুকরো দিয়ে আমাকে, মুচকি মুচকি হাসি দিচ্ছে ~

আমিঃ কি হল বিবিজান? মুখে হাসি কেনো?

রিতুঃ আমার সোয়ামি কত ভালো ☺ বউকে ঘৃণা করে না।

আমিঃ তাই বুঝি বিবিজান..??

রিতুঃ হুমম গো সোয়ামী, ওই সোয়ামী মিষ্টি খাবে??

আমিঃ পিচ্চি বউ আমার বলে কি? খাওয়ার মাঝে বুঝি মিষ্টি খায়..? খাওয়ার শেষে খেতে হয়, বুঝলে…

রিতুঃ ওই সয়তাম। এই মিষ্টি সেই মিষ্টি না, দামি মিষ্টি বুঝলে… ?

আমিঃ এই তাহলে ওটা খাওয়াবে বুঝি? হুমম হুমম খাবো ☺

রিতুঃ এমন করে বললে কিন্তু দিবো না, লজ্জা পাচ্ছি খুব….

আমিঃ আচ্ছা আর বলবো না, তাড়াতাড়ি দেও গো…

~ রিতু একটু কাছে এসে পাপ্পি দিয়ে ধরলো। ৫ মিনিট পর ছেড়ে দিলো ~

রিতুঃ কেমন লাগলো সোয়ামী মিষ্টি খেতে??

আমিঃ একটু ঝাল ঝাল ☺

রিতুঃ সয়তান একটা ?

আমিঃ তুমি তো সয়তানের বউ পেত্নী…

রিতুঃ তুমি কত ভালো, বউকে কত আদর করো ☺

আমিঃ তুমি খাওয়া দাওয়া শেষ করো। তোমায় আরো প্রমাণ দিবো বুঝলে।

রিতুঃ সোয়ামির সব সময় শুধু পঁচা কথা ☺

আমিঃ হা হা হুমম। বিয়ে করছিই তো পঁচা কথা বলতে ?

~ খাওয়া দাওয়া শেষ হলো। আমি খাটের উপর কাত হয়ে শুয়ে ফেসবুক দেখতে শুরু করলাম। রিতু এঁটে থালা বাসন রান্না ঘরে রেখে এসে আমার বুকের সাথে হেলান দিয়ে বসলো, সাথে সাজু গুজু করছে খাটের উপর পা তুলে বসে। একটু পর পর আমার চোখের দিকে তাকিয়ে, লজ্জায় লাল হয়ে আবার অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে। সে কি বলতে চাই বুঝতে পারছি ~

আমিঃ কিছু বলবে তুমি সোনা.?? (মুচকি হেসে)

রিতুঃ না মানে, তুমি বলছিলে কি যেনো প্রমান দিবে.? (লজ্জা পেয়ে)

~ আমি হাসি দিয়ে বললাম, “আসো তাহলে” বলে জরিয়ে ধরে বুকের সাথে মিশিয়ে ধরলাম৷ বউ আমার খুব লজ্জা পাচ্ছে বুঝতে পারছি, মুখ লাল টমেটো হয়ে গিয়েছে লজ্জায়। তাকে জরিয়ে ধরে শুয়ে শুয়ে অনেক গল্প করছি। ঘন্টা খানিক পর দেখি বউ আমার গল্প শুনতে শুনতে বুকের মধ্যে ঘুমিয়ে গিয়েছে। ঘুমালে বউকে খুব মিষ্টি দেখায়৷ আমিও বউকে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লাম ~

ঘুমের মধ্যে মনে হচ্ছে কে যেনো আমার পায়ের তালুতে সুরসুরি দিচ্ছে। ঘুম ভেঙ্গে গেলো। পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার সালিকা ঈশা ও পাশে ছোট বোন মায়া। রিতুর দিকে তাকিয়ে দেখি তখনো রিতু ঘুমাচ্ছে, আর আমি তাকে জরিয়ে ধরে আছি ~

ঈশাঃ এই যে দুলাভাই আপনাদের রোমান্স শেষ হয় নাই?

~ আমি রিতুকে ছেড়ে দিলাম। রিতুর ও ঘুম ভেঙ্গে গেলো ~

আমিঃ তোমরা ঢুকলে কিভাবে?

ঈশাঃ কিভাবে আবার, দরজা তো খোলায় ছিলো।

আমিঃ দেখছো ঈশা, তোমার বুবু কত বড় পাগলী। দরজা লক না করে স্বামীর বুকের মধ্যে শুয়ে আছে।

রিতুঃ তুমি কিন্তু মোটেও আমায় পাগলী বলবে না। যদি দিনের বেলা দরজা লক করতাম, সবাই কি ভাবতো বুঝতে পারছো..??

আমিঃ কি আর ভাবতো। এখন তো সবাই দেখেই নিলো।

রিতুঃ কচু দেখছে। কি আর দেখছে হুমম বলো? এই সামান্য দেখলে কিছু হয় না। ননদী তুমি বলো, এই টুকু দেখলে কিছু হয়..? (আমার ছোট বোন মায়ার দিকে তাকিয়ে)

~ মায়া মুখ চেপে ধরে হি হি করে হাসছে ~

আমিঃ রিতু তুমি তো খুব পেকে গিয়েছো। এই পাকনা বুড়ি হলে কি করে..?

রিতুঃ আমার সোয়ামির থেকে পাকনা হয়েছি বুঝলে.. আমার সোয়ামির লেখা গল্প পড়ে।

আমিঃ তাই আর কি কি শিখছে শুনি আমার গল্প পড়ে পাকনা বুড়ি..?

রিতুঃ এই ভাবে সোয়ামিকে হঠাৎ করে জরিয়ে ধরে তার মন খুশি করে দিতে (আমাকে জরিয়ে ধরে)

আমিঃ পাগলী একটা। (কপালে চুমু দিয়ে)

~ ঈশা ও মায়া হি হি করে হাসছে ~

????

রিতু বিছানা থেকে উঠে চলে গেলো। আমিও ফ্রেশ হয়ে একটু বাসা থেকে বের হলাম ঘুরতে। বন্ধুরা তো মশার মত কামড়াতে শুরু করলো, কেমন হল তাদের ভাবি, বাসর রাতে বিড়াল কয়টা মারছি, সালি কয়টা আছে, আরো হাজার হাজার কথা। তাদের সাথে গল্প করলাম।

রাত ৯ টার দিকে বাসায় আসার সময় ফুচকা আনলাম সবার জন্য। রাতের ডিনারের জন্য আত্মীয় স্বজনের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। বাসায় এসে দেখি অনেক মানুষ বাড়ি ভরতি। ফুচকা ভাবির হাতে দিয়ে আমি রুমে চলে গেলাম। কিছুক্ষণ পর রিতু আমার খাবার রুমে দিলো, আর সে আমায় বললো, তার খেতে দেরি হবে। আমি তাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়লাম ?

রাত ১ টার সময় আমার কপালে রিতুর চুমু খেয়ে ঘুম ভেঙ্গে গেলো।

আমিঃ এই পাগলী, ব্যাপার কি বলো তো? মাঝ রাতে ঘুম থেকে উঠে দুষ্টুমি করছো.?

রিতুঃ সোয়ামী আমার বলে কি, আমি এই মাত্র রুমে এসেছি ঘুমাতে বুঝলে। কত কাজ করতে হলো, কত মেহমান এসেছিলো দেখছিলে..?

আমিঃ এই ভাবে কাজ করছো, আবার অসুস্থ হলে আমি কিন্তু কিছু জানি না তখন।

রিতুঃ আমার কিছু হবে না। আমি গ্রামের মেয়ে বুঝলে, এর চেয়ে বেশি কষ্টের কাজ করতে পারি…

আমিঃ সেই জন্য তো গ্রামের এমন লাজুক মেয়ের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। বউ আমার ১০০ তে ১০০। কিন্তু রোমান্টিক একদম না… (বুকে জরিয়ে ধরে)

রিতুঃ আমি বুঝি রোমান্টিক না.?

আমিঃ একটুও না। আমি চাই আমার বউ অনেক অনেক রোমান্টিক হক…

রিতুঃ হয়েছে, আর ঢং করতে হবে না। এবার আমায় ছাড়ো আর উঠে বসো।

আমিঃ আমি এখন উঠতে পারবো না। আর এই কোলবালিশ ও ছাড়বো না।

রিতুঃ প্লিজ বাবু উঠো…

আমিঃ ঘোড়ার ডিম উঠবো৷

রিতুঃ যদি উঠো, তাহলে আজ অনেক কিছু পাবে বুঝলে… (মুচকি হাসি দিয়ে)

আমিঃ সত্যি ☺

রিতুঃ হুমম পাগল সত্যি ☺

~ আমি উঠে বসলাম। রিতু একটা প্লেটে ফুচকা সাজিয়ে নিয়ে এসে সামনে বসলো ~

আমিঃ এতো রাতে ফুচকা পেলে কোথায়..?

রিতুঃ কেনো, আমার সোয়ামি যে সন্ধ্যা রাতে নিয়ে আসছিলো ভুলে গিয়েছে নাকি? ওখান থেকে আমার ও তোমার গুলো রেখে দিয়েছিলাম, এক সাথে খাবো বলে।

আমিঃ পাগলী একটা। কিন্তু আমি ফুচকা খায় না তো…

রিতুঃ আমি যদি সোয়ামী কে খাওয়ায়ে দেয়, তাহলে কি সোয়ামী খাবে..??

আমিঃ তা অবশ্য খাবো ☺

~ রিতু আমাকে ফুচকা খাওয়ায়ে দিলো। খাওয়া শেষে শুয়ে পরলাম। রিতু আমার বুকের মধ্যে শুয়ে আছে।
বার বার সে বুকের উপর উঠে ঘুমানোর আবদার করছে রিতু । আমিও এটা ওটা দিয়ে বুঝিয়ে মানা করছি বুকের উপর না উঠতে। প্রেম করার সময় তো বললাম, প্রতিদিন বুকের উপর শুয়ায়ে গল্প করবো তার সাথে, কে জানতো বউও এতো ওজন হয়। ওরে আল্লাহ একদিন ওঠাতেই মনে হচ্ছিল আমি চাপা পরে মরে যাচ্ছি। রিতু কি আর শুনে, বার বার এক কথা ~

রিতুঃ বাবু, তুমি কিন্তু প্রমিস করছিলে তোমার বুক শুধু আমার জন্য থাকবে…

আমিঃ প্লিজ সোনা, আমি মরে যাবো। আচ্ছা তুমি যে বললে আজ অনেক কিছু দিবে উঠে বসলে। তোমার কথা কিন্তু শুনছি, দেও এখন অনেক কিছু (মুচকি হাসি দিয়ে)

রিতুঃ ঢং দেখে বাচি না। ফুচকা খেলে ভুলে গেলে.?

আমিঃ ওহহ ফুচকা..

রিতুঃ তুমি কি ভাবছিলে.??

আমিঃ মানে ওই আদর…

রিতুঃ সয়তান, সব সময় শুধু পঁচা কথা। জানো না আমার শরীর খারাপ..

আমিঃ তাহলে আমি বুঝি কখনো আদর পাবো না।

রিতুঃ কেনো সোয়ামী, আমি মানা করছি নাকি.? আমি সুস্থ হবো তারপর। বউয়ের শরীর খারাপ না হয়, এটাও তো তুমি দেখবে, তাই না বলো ☺

আমিঃ হুমম অবশ্যই ?

~ বউকে কাছে নিয়ে দুষ্টুমি করছি গল্প করছি, কি যে মজা লাগছে বুঝানো মুসকিল ☺
আগে যদি জানতাম বিয়ে করে এতো মজা, তাহলে কয়েক বছর আগে করতাম বিয়েটা। এতো মজা এতো মজা বিয়ে করলে, কিভাবে যে বললো, মনে হচ্ছে চিৎকার করে বলি, আমি বিয়ে করে জিতে গিয়েছি ?

গল্প করতে করতে হঠাৎ গেলো বিদ্যুৎ চলে। রাত বাজে ২ টা। বউ আমার বুকের মধ্যে ঘামতে শুরু করলো, ফ্যান বন্ধ হওয়ার কারনে। বউ আমার নরম কন্ঠে বললো~

রিতুঃ বাবু উঠো তো…

আমিঃ আমি আর এখন উঠতে পারবো না। এখন অনেক রাত..

রিতুঃ বাবু বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে, গরম লাগছে উঠো না প্লিজ ।

আমিঃ গরম লাগলে কিছু করার নেই। আমি উঠবো না ☺

রিতু রেগে গিয়ে বললোঃ- ধুর বাল, তোকে সরতে বললাম না? সর এখান থেকে বলছি, নাহলে কিন্তু বাল তোকে লাথি দিয়ে ফেলে দিবো খাট থেকে…. সর বলছি…

~ রিতুর এমন কথা শুনে তাড়াতাড়ি উঠে দাড়ালাম ~

রিতুঃ ওই বাবু কিছু মনে করো না প্লিজ। তুই করে বলায়। বিশ্বাস করো আমি গরম একদম সহ্য করতে পারি না। আমার কাছে এসো না বিদ্যুৎ না আসা পর্যন্ত প্লিজ ।

আমিঃ তাহলে এতোক্ষণ কি করবো আমি.?

রিতুঃ দাড়িয়ে পাখা দিয়ে বাতাস করো আমায়, প্লিজ বাবু..

আমিঃ বললেই হলো, আমি হলাম তোমার স্বামী, আমার কথা তোমার শুনতে হবে, আমি কেনো তোমার কথা শুনবো হুমম (বলে রিতুর পাশে গিয়ে বসলাম)

~ রিতু শরীরের সব শক্তি দিয়ে খুব জোরে চিৎকার করলো-
রিতুঃ ও মা গো, আমি মরে গেলাম গো, মরে গেলাম ?

~ আমি তাড়াতাড়ি উঠে দূরে গিয়ে বললাম-
আমিঃ এই পাগলী, এই তুমি কি বলে চিৎকার দিচ্ছো? এতো রাতে এমন চিৎকার দিলে সবাই আজেবাজে কিছু ভাববে..

রিতুঃ সেই জন্য তো চিৎকার দিলাম। এর পর বিদ্যুৎ না আসা পর্যন্ত আমার কাছে আসবে না ও পাখা দিয়ে বাতাস বন্ধ করলেই এমন চিৎকার করবো। কি বাতাস করো, নাহলে দিলাম চিৎকার ?

~ কি জন্য যে বিয়েটা করছিলাম ?

রাত ২ টায় ঘুম চোখে বউকে বাতাস করতে হচ্ছে, কি কপাল রে ভাই আমার । এই জন্য তো সব বিবাহিতরা বলতো বিয়ে করা মানে কষ্টের জীবনে পা দেওয়া ?
বার বার বউকে বলিতেছি, বউ আমি ঘুমাবো, বউ বলে তাহলে আমি চিৎকার দিবো…ভাইরে ভাই, কি প্যারার জিনিস রে বউ ?….

১ ঘন্টা পর বিদ্যুৎ এলো৷ তখন বউ আমায় বলছে, বাবু বাবু আমার বুকে আসো।
আমি শুধু চোখ গরম করে বললাম, চুপ কর পেত্নী ?….
অন্য দিকে মুখ করে ঘুমিয়ে পড়লাম, মাথায় প্রচুর রাগ নিয়ে।

সকালে আমার ঘুম ভাঙ্গলো মুখে বউয়ের ভেজা চুলের ছুঁয়াতে…
বউয়ের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলাম…

আমিঃ এই রিতু তুমি এটা কি করছো..??

রিতুঃ……. ~ গল্প চলবে ~

বিঃদ্রঃ এমন কি করলো রিতু যে শুভ চমকে উঠলো, জানতে হলে পড়তে হবে আগামী পর্ব।