ছিলাম তো তোমারই পাশে পর্ব-১৯

0
2787

#ছিলাম_তো_তোমারই_পাশে
#পর্ব_19
Writer:: Shaanj Nahar Sanjida


আয়ুশ এক টানে ছায়াকে আকাশের বাইক থেকে নামিয়ে ফেললো।

আশ্চর্য আয়ুশ!এখনই তো আমি পরে যেতাম!(ছায়া রেগে)

তুমি বাইকে কেনো যাবে?আমি যেহেতু তোমাকে নিয়ে এসেছি আমিই তোমাকে নিয়ে যাবো।আর কোনো কথা হবে না।(আয়ুশ দাত চেপে চেপে)

কিন্তু,,,
ছায়া কিছু বলার আগেই আয়ুশ ওকে টেনে গাড়ির কাছে নিয়ে আসতে লাগলো।আর আকাশ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে ছায়া আর আয়ুশ কি করছে।

গাড়ির কাছে এসেই হটাৎ আয়ুশ এর ফোন বেজে উঠলো।আয়ুশ এক হাতে ছায়ার হাত ধরে আরেক হাতে পকেট থেকে ফোন বের করলো।ছায়া আয়ুশ এর ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকাতেই দেখলো সেখানে দেখলো My Love লিখা।

আয়ুশ ফোন ধরে
হ্যালো।নেহা।

এটা বলতে ছায়ার আর বেশিক্ষণ লাগলো না নিজেকে শক্ত করতে।ছায়া এক হেচকা মেরে আয়ুশ থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিলো আর আকাশের কাছে চলে যেতে লাগলো।আয়ুশ ফোন কানে দিয়ে ছায়ার এই কাজে অবাক হয়ে গেলো।

এক মিনিট নেহা।আমি তোমাকে পরে ফোন করছি।
বলেই আয়ুশ ফোন কেটে দিলো।

তোমার প্রব্লেমটা কি?(আয়ুশ ছায়ার সামনে দাড়িয়ে)

আমার কোনো প্রব্লেম নেই।প্রব্লেম হচ্ছে আপনার।আপনি কি চান তা আপনি নিজেই জানেন না।প্লিজ নিজের কনফিউশন দিয়ে আমার জীবনকে কনফিউজ করে তুলবেন না।আমি আকাশ ভাইয়ার সাথেই যাবো।আপনি আপনার পথে চলে যান।আমাদের পথ ভিন্ন।
বলেই ছায়া আয়ুশকে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো।

আকাশ ভাইয়া চলো।
বলেই ছায়া বাইকে উঠলো।

আর আকাশ কিছু না বলেই বাইক স্টার্ট দিয়ে ছায়াকে নিয়ে চলে গেলো।

আয়ুশ শুধু ছায়ার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।পরেই রাগী গাড়িতে জোরে একটা লাথি মারলো।


অন্যদিকে
সুমাইয়া মা।আমি হেল্প করি আপনাকে?(আমি কিচেনে উকি দিয়ে)

তুই আর আমার কথা শুনবি না?হেল্প করতেই হবে তোকে?(সুমাইয়া কোমরে হাত দিয়ে)

হুম।প্লিজ।(আমি কিউট ফেস করে)

আচ্ছা।আমি সব কিছু কেটে রেখে দিয়েছি।তুই বরং পেঁয়াজ কুচি করে দে।পেঁয়াজ কুচি হলেই রান্না বসিয়ে দিবো।দুপুরে বেশি কিছু রান্না করবো না।ডিনারের জন্য এইসব প্রস্তুতি নিচ্ছি।(সুমাইয়া এক বোল পেঁয়াজ আস্থার সামনে রেখে)

এদিকে আমি পেঁয়াজ দেখেই শুকনো ঢোক গিলতে শুরু করলাম।জীবনে কখনো নিজের বাড়িতে কিচেন কেমন তা দেখেছি বলে আমার মনে হয় না।পেঁয়াজ কোনো দিন কুচি করা তো দূরে থাক,,কিভাবে কুচি করতে হয় তাই জানি না।পেঁয়াজ কাটার আগেই আমার কান্না শুরু হয়ে যাবে।পেঁয়াজ দেখে নিজের অবস্থা বিবেচনা করছিলাম তখনই সুমাইয়া মা পিছন থেকে বললো
যদি না পারিস তাহলে করতে হবে না।তুই বরং গিয়ে বস আমি করে নিচ্ছি।(সুমাইয়া মুচকি হেসে)

আমি ভাবছি আমি থাকতে উনি এতো কাজ করবেন। এইটা আমার খুব খারাপ লাগবে।আমি বরং চেষ্টা করি।চেষ্টা করতে তো আর সমস্যা নেই।(আমি মনে মনে)

আমি পারবো কোনো চিন্তা করবেন না।(আমি)

আমি আর সুমাইয়া মা কাজ করছি তখনই আদি আঙ্কেল সুমাইয়া মাকে ডাক দিলো।

সুমাইয়া?(আদি)

ওই দেখো।নির্ঘাত গোসলে গেছে কিন্তু কিছুই নিয়ে যায় নি।এখন সব কিছু গিয়ে আমায় দিয়ে আসতে।আমিও আর পারি না।আভির বাবার এই স্বভাব জীবনেও পাল্টাবে না।(সুমাইয়া কিছুটা হতাশা নিয়ে)

কোথায় সুমাইয়া এসো?(আদি জোরে)

আসছি আসছি।গলা ফাটিয়ে আর চিৎকার করতে হবে না।আমি বরং যাই নাইলে বাড়ি মাথায় তুলে নিবে।তুই এগুলো করে নিস।
বলেই সুমাইয়া মা চলে গেলো।

আমি মুচকি হাসি দিলাম।সত্যিই এখনও তাদের মধ্যে ভালোবাসা কতো।সময় যেনো তাদের ভালোবাসা ছুঁতেও পারে নি।একদম আমার বাবা মার মতো।আমার বাবা তো সকালে রেডি হতে মা লাগবেই।মা ছাড়া উনি যেনো তৈরি হতে পারেই না।সত্যিই ভালোবাসা অসাধারণ হয়।মানুষ পরিবর্তন হলেও ভালোবাসা অপরিবর্তিত।
এতক্ষন তাদের ভালোবাসার কথা ভেবে মুখে হাসি আসলেও পেঁয়াজের দিকে তাকিয়ে খুব কাদতে ইচ্ছে করছে।


অন্যদিকে বাহিরে
সুমাইয়া বসার ঘর পার করে রুমে যাওয়ার সময় দেখলো আভি খুব মনোযোগ দিয়ে লেপটপে কাজ করছে।যেনো এই কাজই ওর সব।
সুমাইয়া তা দেখে মাথায় হাত দিয়ে মনে মনে বলতে লাগলো,,
অপদার্থ একটা।বউকে একা পেয়েও কোনো চান্স মারে না।এমন অপদার্থ ছেলে কে দিয়ে যে কি করে আমার নাতি নাতনী আসবে আল্লাহ মালুম।

এই ছেলে।(সুমাইয়া আভির মাথায় থাপ্পড় মেরে)

মা কি হয়েছে?এইভাবে মারতেছ কেন?(আভি অবাক হয়ে)

আস্থা কিচেনে একা আছে।(সুমাইয়া এক্সসাইটেড হয়ে)

কেনো?সার্ভেন্ট রা কোথায়?(আভি)

তোর শশুর বাড়ি।(সুমাইয়া দাত চেপে চেপে)

মা কি হয়েছে সোজাসুজি বলো।(আভি ভ্রু কুঁচকে)

সুমাইয়া গিয়ে আভির পাশে বসলো
দেখ আস্থা এখন কিচেনে একা আছে।আমি সার্ভেন্ট দের কিছুক্ষনের জন্য বাহিরে যেতে বলেছি।এখন তুই আর ও গিয়ে একটু,,,,

গিয়ে একটু কি?(আভি সন্দেহ দৃষ্টিতে)

গিয়ে একটু রোমান্স কর।এটাও আমায় বলে দিতে হবে।(সুমাইয়া রেগে)

দরকার নেই।আমার কাজ আছে।এই দেখো(লেপটপ দেখিয়ে)কতো কাজ।(আভি)

তোকে লেপটপ,,তোর বাবাকে কাজ আর আয়ুশকে জিম।এদের সাথে বিয়ে দিয়া দরকার।কারণ তোরা তো মানুষ না তোরা এক একটা নমুনা।
সুমাইয়া আভিকে আরো কিছুক্ষন ধোলাই করবে তার আগেই আদি আবার ডেকে উঠলো

সুমাইয়া।কই?কোথায় তুমি?(আদি)

এই পৃথিবীতেই আছি।যদিও কিছু এলিয়েনদের সাথে।যতসব।
বলেই সুমাইয়া হনহনিয়ে উপরে চলে গেলো।

আভি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।মা আমি জানি তুমি কি চাও? কিন্তু আমাদের পক্ষে এইসব সম্ভব না।আমরা চাইলেও স্বাভাবিক সম্পর্কে যেতে পারবো না।
যাইহোক একবার গিয়ে দেখেই আসি আস্থা কি করছে কিচেনে।


কিচেনে
আভি গিয়েই অবাক।আস্থা পেঁয়াজ তো কাটছে না পেঁয়াজের সাথে যেনো কাবাডি খেলছে কে কাকে কাদাতে পারে।
আস্থা কি করছো?(আভি অবাক হয়ে)

আস্থা আভির দিকে তাকিয়ে,,
আভি দেখো না।এই পেঁয়াজ কুচি হচ্ছে না।(আস্থা কাদো কাদো হয়ে)

এদিকে আভি আস্থাকে দেখে হাসবে না কাদবে সেই চিন্তায় মগ্ন।আস্থার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে তো পড়ছেই। নাক দিয়েও পানি অনবরত পড়ছে।এদিকে আস্থার চুল মঞ্জুলিকা ভূতের মতো অগোছালো হয়ে আছে।শাড়ি অর্ধেক কোমরে গুজা আর অর্ধেক গুজা ছাড়া।মত কথা আস্থার অবস্থা খুবই শোচনীয়।

আস্থা এই আস্থাহীন অবস্থা করেছো?(আভি কোনো রকম নিজের হাসি আটকে)

আমি জীবনেও পেঁয়াজ কুচি করিনি।(আমি ঠোঁট ফুলিয়ে)

তাহলে মাকে বলেই হতো।(আভি কিচেনে ঢুকে)

এই না।উনি এমনি আমাকে কোনো কাজ করতে দিতে চান না।এই জানলে আরো আমাকে বকবে আমি কেনো কাজ করছি।(আমি)

তাহলে?(আভি)

আমি অনেক আশা নিয়ে আভির দিকে তাকিয়ে আছি।

এইভাবে কিউট ফেস করে লাভ নেই।তোমার মুখ দেখে আমার কিউট ফিল হওয়া থেকে বেশি ভয় হচ্ছে।(আভি)

আ আ।কিছু করো আভি!(আমি নেকা কান্না জুড়ে দিতে)

ওয়েট করছি।তবে তার আগে যে রান্না করতে এসেছে তার অবস্থা আগে ঠিক করি।
বলেই আভি আমাকে পিছন দিকে ঘুরালো
পরেই আমার চুল গুলো নিয়ে একটা খোঁপা করে দিলো।খোঁপা করার সময় যখন ও আমার ঘাড়ে ওর হাত স্পর্শ করলো তখন আমার শরীর যেনো কেপে উঠলো। একেই হয়তো বলে কোনো পুরুষ যখন ছুঁয়ে দেয় তার অনুভূতি।আর আমি এতে চোখ বন্ধ করে ফেললাম।তারপর ও আমার শাড়ি ঠিক করে এসে তা খুব সুন্দর করে আমার কোমরে গুঁজে দিল আমি আবার ওর স্পর্শ পেয়ে কেপে উঠলাম।পরেই ও একটা টিস্যু পেপার দিয়ে পরম যত্নে আমার চোখ মুখ মুছে দিতে লাগলো।এতো আলতো করে মুছতে লাগলো যেনো আমি একটু হলেই ব্যাথা পেয়ে যাবো।যখন ও আমার চোখ মুখ মুছে দিচ্ছিলো তখন আমি অবাক হয়ে শুরু ওর চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।কতো সুন্দর ওই চোখ জোড়া।কি সুন্দর চোখের পাপড়ি গুলো।কোনো আর্টিফিসিয়াল পাপড়ি কেও হার মানাবে।আর সেই চোখ জোড়া দুটোতে এখন আমি আমার জন্য কেয়ার দেখতে পারছি।মায়া দেখতে পারছি।এখন কেনো জানি মনে হচ্ছে ওই সেই আমার পাশের মানুষটা। ও আছে তো আমারই পাশে কিন্তু আমিই কেনো যেনো ওকে ছুঁতে পারছি না।কেনো ওকে চিনেও চিনতে পারছি না।তুমি তো আছো আমারই পাশে কিন্তু আমিই চিনতে পারছি না।
এই সব ভাবতে ভাবতে কখন যে হাত দুটো ধোঁকা দিয়ে ওর গালে চলে গেলো বুঝতেই পারলাম না।

আমি গালে হাত দেয়াতে আভি অবাক হয়ে গেলো
আস্থা কি হয়েছে?কিছু বলবে?(আভি)

না না।কিছু না।
বলেই হাত পিছনে নিয়ে নিলাম।আর চোখ দুটোও ওর চোখ থেকে সরিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকলাম।


অন্যদিকে আভি যখন আস্থার চুল গুলো বেধে দিতে লাগলো তখন ওর হাত আস্থার ঘাড় স্পর্শ করলো।কেনো জানি আভির মনে হতে লাগলো এই ঘাড়ে মুখ গুজে দিয়ে এক অন্য দুনিয়াতে ঢুবে যেতে কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য দেয়াল যেনো ওদের আটকে রাখছে।কিন্তু আভি কেনো জানি ওই অদৃশ্য দেয়ালটাকে অসহ্যকর লাগছে।
যখন টিসু পেপার দিয়ে আস্থা চোখ মুখ মুছে দিচ্ছিলো তখন কেনো জানি আস্থার চোখে ওর চোখ আটকে গেল কেনো জানি মনে হচ্ছে ওই চোখ জোড়া ওকে কিছু বলছে কিন্তু সেই কথাগুলো ওর অজানা।
যখন আস্থার কোমরে শাড়ি গুজে দিচ্ছিলো।তখন আস্থা ওর স্পর্শ পেয়ে কেপে উঠলো।সেই অনুভূতি ও কেমন যেনো অদ্ভুত ছিলো।
সব মিলিয়ে কিছু একটা চুম্বুকের মত আমাকে আস্থার দিকে আকর্ষণ করছে।

আভি হয়েছে?(আমি নিচের দিকে তাকিয়ে)

আমার কথায় আভির হুশ ফিরল!
হুম।হয়েছে!নাও এখন এইভাবে কিচেনে কাজ করবে।আর শুনো আমি দেখিয়ে দিচ্ছি কি করে পেঁয়াজ কুচি করতে হয়!
বলেই আভি আমার হাত ধরে পেঁয়াজ কুচি করতে লাগলো।যখন আভি পেঁয়াজ কুচি করছিলো তখন ওর মুখ আমার কাঁধের উপরে ছিলো।
আমি পেঁয়াজ কুচি করা রেখে আড় চোখে ওকে দেখছিলাম।কি সুন্দর হতো যদি এটা কোনো স্বাভাবিক কোনো সম্পর্ক হতো!আভি আর আমি যদি এইরকম কোনো রোমান্টিক কাপল হতাম।
ভেবেই ঠোঁটের কোণে একটু মুচকি হাসি চলে আসলো।
আমি পেঁয়াজ কুচি করতে মনোযোগ দিলাম তখনই দেখি কাধ থেকে নাক টানার শব্দ আসছে।তাকিয়ে দেখি আভি কাদঁছে।আমি অবাক হয়ে গেলাম।কিন্তু মুহূর্তেই সেই অবাক হাসিতে পরিণত হয়ে গেলো।

আভি তুমি কাদঁছো?(আমি হাসতে হাসতে)

দেখো আমি কাদছি না।পেঁয়াজ আমাকে কাদাচ্ছে!(আভি নাক টানতে টানতে)

ওরে ওরে আমার বাবুটা কাদঁছে!(আমি মজা নিয়ে)

দেখো আস্থা বেশি হয়ে যাচ্ছে।(আভি কিছুটা রেগে)

কী করবে হা?আরো কাদবে? কাদো।না করেছে কেউ?(আমি আরো মজা নিয়ে)

তবে রে।
বলেই আভি আমাকে সুড়সুড়ি দিতে লাগলো।

আমিও এক পর্যায়ে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতে লাগলাম।হাসতে হাসতে মাটিতে পড়ে যেতে লাগলাম তখনই আভি আমাকে শক্ত করে ধরে ফেললো।আমি একদম আভির খুব কাছে চলে আসলাম।


অন্যদিকে কিচেনে উকি দিয়ে সুমাইয়া আর আদি সব দেখছিলো।
দেখলে।কি সুন্দর বন্ডিং শুরু হয়ে গেলো!(সুমাইয়া)

আমার ছেলে বলে কথা।(আদি প্রাউড ফিল করে)

হয়েছে?(সুমাইয়া ভ্রু কুঁচকে)

তখনই আয়ুশ চিৎকার করতে করতে বাড়িতে ঢুকলো
কী ভাবে কি ও নিজেকে?দেখে নিবো আমি ওকে!(আয়ুশ চিৎকার করে বাড়ি মাথায় তুলে)

আমার আর আভির হুশ ফিরল আয়ুশ এর চিৎকার শুনে।আর তাড়াতাড়ি আমরা নিজেদের ঠিক করলাম।

আয়ুশ চিৎকার করছে না।(আমি কথা ঘুরানোর চেষ্টা করে)

হুম।মনে হচ্ছে।চলো গিয়ে দেখি।
বলেই আভি আর আমি গেলাম বাহিরে।গিয়ে দেখি সুমাইয়া মা আর আদি বাবা দাড়িয়ে দাড়িয়ে আয়ুশ এর কান্ড কারখানা দেখছে।আর আয়ুশ কি যেনো বিড়বিড় করছে আর পায়চারি করে যাচ্ছে।দেখে মনে হচ্ছে ওকে কেউ প্রচন্ড খেপিয়ে দিয়েছে,,

কী হলো বাবা?(আভি সন্দেহ দৃষ্টিতে)

কী জানি?গেছিলো তো পেঁচার মতো মুখ করে।এখন আসলো লুচির মত ফুলে।(আদি ভ্রু কুঁচকে আয়ুশ এর দিকে তাকিয়ে আছে)


চলবে,,,^_^