জোরপূর্বক_ভালোবাসা
Ashiya Nur
#Part- 1
আকাশ এগিয়ে যেতে লাগল, আশিয়ার দিকে। আশিয়া ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে আকাশ একদম কাছে এসে ওর গায়ে থেকে ওড়না নিয়ে ছুড়ে মারল। তারপর ধাক্কা দিয়ে আশিয়া কে খাটে ফেলে দিল। নিজের ভর ও আশিয়ার উপর ছেড়ে দিলো। আচমকা আশিয়ার ঠোঁট নিজের ঠোঁটের ভাজে নিয়ে কিস করতে লাগল।
আশিয়া নিজের সব শক্তি দিয়ে ধাক্কা দিচ্ছে কিন্তু আকাশের সাথে পেরে উঠছে না। চোখ দিয়ে অধরে পানি পরে যাচ্ছে। কি করে আকাশের রাগ কমাবে, এখন তো আকাশ নিজের মধ্যে নেয়।
রেগে গেলে কি থেকে কি করে বসে নিজেই বুঝে না। এখন নিজেকে কি করে রক্ষা করবো আকাশ কে থামাতে হবে। শত ধাক্কিয়ে ও এক চুল ও সরাতে পারছে না আশিয়া। নিজের ভুলের জন্য নিজকে বকছে। এদিকে আকাশ আজ হিংস্র হয়ে উঠেছে। এমন ভাবে কিস করছে আমার ঠোঁট জলে যাচ্ছে। শুধু ব্যথা দিচ্ছে এটা ভালোবাসা না রাগ সব ঠোঁটের উপর দিয়ে যাচ্ছে। ধম ও বন্ধ হয়ে আসছে অথচ আকাশ সরছে না।
হঠাৎ ঠোঁট ছেড়ে গলায় কিস করতে লাগল, ওফ বাচলাম আর একটু হলে আমি এখানে ধম বন্ধ হয়ে মারা যেতাম।
আশিয়া: আকাশ প্লিজ ছারুন আমাকে এসব ঠিক না, আপনি এখন ঠিক নেয় মাথাটা ঠান্ডা করেন প্লিজ!
আমার কথা শুনে আকাশ আমার দিকে তাকালো মাথা উচু করে চোখ গুলো লাল টকটকে হয়ে গেছে। আকাশ ওর হাত আমার মুখের কাছে আনলো তারপর কাটা চুল গুলো কানের গুজে দিল। মায়া ভরা দৃষ্টি দিয়ে বলতে লাগল,,,,,
আকাশ: কেন আমার কথা শুনিস না তুই ? আমার ভালোবাসা কেন মানিস না বল।
আশিয়া: ( চুপ করে আছি কারণ আমি কি বলবো এখন বুঝে উঠছি না। আমি জানি আকাশ আমাকে অনেক ভালোবাসে কিন্তু আমি কি বাসি আর বাসলে ও বলতে পারি না)
আকাশ : কি হলো বল না ভালোবাসিস আমাকে। ওই ছেলের সাথে তোকে ঘুরতে মানা করেছিলাম না তাও কেন তুই তার সাথে ঘুরলি হাসাহাসি করলি। তুই জানিস না তোর সাথে অন্য কাউকে দেখলে আমার মাথায় রক্ত উঠে যায়। অন্য কেউকে দেখলে আমি সহ্য করতে পারি না।
আশিয়া: ও আমার ফ্রেন্ড সেটা আপনি জানেন তবুও কেন এমন করলেন বুঝলাম না।
আকাশ: আমি এতো কিছু জানি না বুঝি না। তুই আমি ছাড়া আর কোন ছেলের সাথে মিশতে পারবি না।
আশিয়া: এই জন্য আমি আপনাকে সহ্য করতে পারি না।
আকাশ : না করতে পারলি ভালোবাসা দিলে হবে।
আশিয়া: আমি বাড়ি যাব। অনেক সময় পেরিয়ে গেছে সন্ধ্যা হয়ে গেছে বাড়িতে চিন্তা করছে সবাই।
আকাশ আমাকে ছেড়ে দিয়ে কিছু চুপ করে রইল। তারপর আমাকে জরিয়ে ধরল।
আকাশ : প্লিজ একটু ভালোবাস না। আমি অনেক করে চাই তোমার ভালোবাসা।
আমি কিছু বললাম না চুপ করে রইলাম। আকাশ কিছু ক্ষণ ওইভাবে রইল তারপর আমাকে ছেড়ে উঠে দাড়াল। আমি ও উঠে ওড়না খুজে পরে নিলাম। আকাশ আমাকে বাইরে নিয়ে এলো এখানে ও তার চামচা দুজন নিয়ে এসেছে।
রাজু আর বাচ্চু দুজন আকাশের বর্ডিগাড সব সময় আকাশ এর সাথে থাকে। আকাশ এর বাবা এখানকার এমপি। ওদের শএু অনেক তাই সব সময় দুজন সঙ্গে থাকে।
আমাকে নিয়ে বাইকের কাছে এলো। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি কারণ আকাশের বাইক ছিলো না। সব সময় মাইকো গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করে। কালে আমি আকাশ কে বলেছিলাম যে আমার বাইক ভালো লাগে কারণ সব সময় আকাশ আমাকে ভার্সিটিতে নিয়ে আসে দিয়ে আসে পা করলে শুনে না। তাই বলেছিলাম কথাটা। আমার এককথায় বাইক কিনে ফেলবে ভাবি নি। খথা গুলো ভাবছিলাম আকাশের কথায় বাস্তবে ফিরলাম,,,
আকাশ : কি হলো এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি উঠবে। তোমার না বলে দেরি হচ্ছে এখন তো মনে হচ্ছে যেতে চাইছো না।
আশিয়া: একদম তা না আপনি বাইক কবে কিনলেন।
আকাশ : আজ কিনলাম কেন তোমার পছন্দ হয় নি।
আশিয়া: জানি না। আপনাকে বাইক কিনতে বলেছে কে??
আকাশ : কেউ না আমার আপন একজনের পছন্দ তার জন্য কিনেছি এবার উঠু। যদি যেতে চাও নয়তো বলো এখানে থেকে যাই দুজন আমার কিন্তু সমস্যা নেয়।
আশিয়া : তার দরকার নেই। চলুন তো দেরি হচ্ছে আমার !( বলেই বাইকে উঠলাম )
আকাশ : এভাবে বসলে পরে যাবে তো। আমাকে ধরো ভালো করে।
আশিয়া: পরবো না চলুন?
আকাশ বাইক চালাতে লাগল। এতো জুড়ে চালাচ্ছে যে মনে হচ্ছে পড়ে যাবো।
আশিয়া: একটু আসতে চালান তো এভাবে কেউ চালায়।
কিন্তু আকাশ থামাচ্ছেই না আমি কোন উপায় না পেয়ে পেছনে থেকে জরিয়ে ধরলাম। আমি জরিয়ে ধরার সাথে সাথে গাড়ি আস্তে চালাতে লাগল। আমি এবার বুঝলাম এতোক্ষণ ইচ্ছা করে এমন করেছে। আকাশ আমার কাছে এলেই কেমন যেন একটা অদ্ভুত অনুভৃতি হয়। আজ যখন আকাশ আমার কাছে এসেছি এখন ও আকাশের শরীর থেকে মাতাল করা গন্ধ পাচ্ছি। যা আমার অনেক ভালো লাগছে কিন্তু প্রকাশ করি নি।
আকাশ: কি হলো নামো নাকি যেতে মন চাচ্ছে না।
আমি আকাশের শরীরের মাতাল করা গন্ধে হারিয়ে গিয়েছিলাম কখন যে এসে পেরেছি টেরই পাই নি আমি তারাতারি করে নেমেই দৌড়ে দেবো কিন্তু তা আর হলো না পেছনে থেকে কেউ আটকে দিলো।
#চলবে