#জোরপূর্বক_ভালোবাসা
#Writer_Ashiya_Nur
#Part 4
বাচ্চু: ভাই আপনি আর ভাবি চলে যান। আমি এখানে আছি যাওয়ার সময় একসাথে যাবো।
আকাশ : আচ্ছা তোমার না যাওয়ার কারণ আমি বুঝেছি। তুমি তোমার হিরোইনের পেছনে যাবে তাই না।
বাচ্চু: ভাই ( একটু লজ্জা পাওয়া মতো করে বলল )
আকাশ : থাক ভাই তুই আর মেয়ে গো মতো লজ্জা পাস না। আমার কেমন জানি লাগে ( বাচ্চুর পিঠে চাপর দিতে দিতে) আচ্ছা যা!
বাচ্চু চলে গেল। ওদের কথা বার্তা আশিয়া কিছুই বুঝতে পারলো না,,, বুঝার চেষ্টা করেছে কিন্তু বুঝেনি। বাচ্চু ভাই ওমন অদ্ভুত ভাবে হাসলো কে আবার লজ্জা ও পেল। বাচ্চু একটু সাদা সিধে টাইপের মানুষ বোঝে কম। একটু গাইয়া টাইপের আর অনেক রসিক মনটা অনেক ভালো।
আকাশ : ওফ জান তুমি এতো কি চিন্তা করো বল তো একবার চিন্তার জগতে গেলে আমি এতো ডেকে ও তোমাকে বাস্তবে আনতে পারি না।( আকাশ দুহাত আমার কাধে রেখে ঝাকুনি দিয়ে )
আশিয়া: ( বাচ্চু ভাইকে নিয়ে ভাবছিলাম হঠাৎ আকাশের কথায় সম্মতি পেলাম ) হুম বাচ্চু ভাই কে কি বললেন? মনে হলো প্রেমে পরেছে !
আকাশ : তোমার মাথা কতো বুদ্ধি গো কথা শুনেই বুঝে ফেললে! ( আমার মাথায় ঢোকা দিয়ে )
আশিয়া: ওফ মাথায় ঢোকা দেন কেন? আর এখানে বুদ্ধির কি আছে আপনাদের কথা যে কেউ শুনলেই বুঝে যেত। ( নিজের থেকে সরিয়ে)
আকাশ : তবুও তোমার মাথায় একটু বেশি আছে!
আশিয়া: বললেন না তো বাচ্চু ভাই কি সত্যি !
আকাশ : হুম কিন্তু বেচারার অনেক প্রেরা গো মেয়েটার যে চাপাঁ আর রাগ ও তো কথায় বলতে পারে না ভয়ে দৌড় পারে।( ইনোসেন্ট মুখ করে)
আশিয়া: চাপাঁ, রাগ কার এতো মেয়ের বাড়ির কই নাম কি?( কৌতূহল হয়ে)
আকাশ : তোমাকে বললে তাকে বলে দেবে তোমাকে জানানো যাবে না চলো গাড়িতে উঠো প্রশন কম করো?
বলেই জোর করে আমাকে গাড়িতে উঠিয়ে দিলো। আমি জিগ্গেস করেই যাচ্ছি কিন্তু বলছে না। আকাশ ও গাড়িতে উঠে বসল তারপর আমার সিট বেল লাগিয়ে দিল।
আশিয়া: প্লিজ বলেন না মেয়েটা কে?
আকাশ : নাহ
আশিয়া: ধুর ( রেগে অন্য দিকে তাকালাম)
আকাশ একবার আশিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলো মুখটা বেজার করে অন্য দিকে তাকিয়ে আছে। এতে আকাশের মনটা খারাপ হয়ে গেল কারণ আকাশ আশিয়ার মুখটা মলিন কিছু তেই দেখতে পাচ্ছে না। তাই ডিসাইড করলে বলেই দেবে কিন্তু একটু অন্য ভাবে।
আকাশ : আচ্ছা বলবো কিন্তু একটা শর্তে !
আশিয়া: ( খুশি হয়ে আকাশের দিকে তাকাচ্ছিল হঠাৎ শর্তের কথা শুনে খারাপ হয়ে গেল মনটা) কি শর্ত!
আকাশ : আগে বলো তুমি রাজি নাকি তারপর বলবো?
আশিয়া: এটা চিটিং করা আগে বলেন !
আকাশ : থাক তাহলে বলবো না।( বলেই গাড়ি চালাতে লাগল)
আশিয়া কিছুক্ষণ চুপ করে রইল তারপর রাজি হয়ে গেল। আকাশ তো রাজি হওয়াতে অবাকের চরম সীমায় পৌঁছে গেল। কারণ সত্যি ভাবে নি এই কথার জন্য শর্ত শুনতে রাজি হবে। আমি তো রাজি না হলেও একটু পর এমনি তে বলে দিতাম।
আকাশ : এতো সহজে রাজি হয়ে গেলে এখন যদি অন্য রকম কিছু চাই কি করবে।( দুষ্টু হাসি দিয়ে )
আশিয়া: মানে ( একটু ভয় পেয়ে)
আকাশ : আচ্ছা আমাকে একটা কিস দাও তো।( ঠোট দেখিয়ে)
আশিয়া: কিহ ( চিল্লিয়ে)
আকাশ : এতো চিল্লাচিল্লি করছো কেন মনে হয় আজ প্রথম। সব সময় আমি জোর করে নেয় আজ তুমি নিজে থেকে দাও।
আশিয়া: অসম্ভব আমার বাচ্চু ভাইয়ের গালফ্রেন্ডকে চিনা লাগবে না থাক!
আকাশ : তা বললে হবে না শর্তে যেহেতু রাজি হয়েছো পূরণ তো করতেই হবে নয়লে আরও বেশি কিছু করবো।
আশিয়া: ( কেন যে রাজি হতে গেলাম ) মনে মনে
আকাশ : কি হলো তারাতারি করো ( মুখটা আমার দিকে বাড়িয়ে)
আশিয়া: আচ্ছা আপনি চোখ বন্ধ করেন?
আকাশ : না তাহলে দেখবো কি করে।
আশিয়া: তাহলে দেবো না?
আকাশ : আচ্ছা করছি করছি ( বলেই চোখ বন্ধ করল)
আমি আকাশের গালে কিস করেছি। আকাশ তো রেগে ফট করে তাকিয়ে গেছে,,
আকাশ : এটা কি হলো আমি অন্য টা বলেছিলাম।
এভাবে এদের খুনশুটি চলে গেল। আকাশ বলে দিয়েছে সুমি সেই মেয়ে সুমি কে এতো বলেছে রাগী চাপাঁ তা নি বকাবকি ও হয়েছে।
এদিকে
সুমি বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছে। প্রচণ্ড গরম পরেছে আজ গেমে একাকার। হঠাৎ ছাতা ধরলো কেউ মাথায় তাকিয়ে দেখে এ আর কেউ না বিটকেল হাসি হাসি মুখ করে বাচ্চু মিয়া আমার দিকে লজ্জা পেয়ে তাকিয়ে আছে।
কিছু বুঝি না আমাকে দেখলে এই বেটা এতো লজ্জা পায় কেন। মনে হচ্ছে এনি নতুন বউ। অসহ্য আমি রক্ত লাল করা চোখ দিয়ে ওর অদ্ভুত হাসি দেখছি মন চাইছে একটা ঘুসি মেরে বলি বেঢা এতো হাসিস কেন রে।
সুমি: এমন বিটকেল র্মাকা হাসি না হাসলে কি তোর হয় না রে( রেগে)
বাচ্চু: আসলে আমার না তোমারে দেখলেই হাসি আসে ( আমতা আমতা করে )
সুমি: কেন রে আমি কি জোকার যে তোর আমাকে দেখলে হাসি আসে।( রেগে চিল্লিয়ে)
বাচ্চু: না না তা হবে কেনে? ( মুখে হাত দিয়ে)
সুমি: কি আমি তোর নানা।
বাচ্চু: ওহো না খালি খালি ভুল বুঝছো।
সুমি: তুই এখানে কি করছিস তোর বন্ধ আকাশ কই?
বাচ্চু: ভাই তো ভাবির সাথে। আমি তো তোমাকে
সুমি : তুই আমাকে কি বল
বাচ্চু: কই কিছু না তো আমি এমনি আইছি এইদিকে।( ভয়ে ভয়ে)
সুমি : সত্যি তো নাকি কিছু আছে। ভালো করে বল? আমার মাথায় ছাতা ধরছোস কেন? তোর মতলবটা কি আমার পিছে পরছোত কেন ( রেগে )
বাচ্চু: ( সঙ্গে সঙ্গে ছাতা সরিয়ে নিল) আচ্ছা আমি যাই
বলে আর এক মিনিট ও দাড়াল না চলে এলে।
আকাশ আশিয়াকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে এলো বাচ্চুকে নিয়ে বাড়িতে।
পরদিন
আশিয়া আর সুমি লাইব্রেরিতে যাচ্ছিলাম হঠাৎ কেউ জোর ধাক্কা দিয়ে আমাকে ফেলে দিল। আমি তো পা ধরে নি চে বসে পরেছি সুমি কাউকে বকছে।
সুমি: ওই ভাবুটি দেখে চলতে পারিস না দেখ তো কি করলি।
আমি উপরে তাকিয়ে দেখি অশি আমি তো সাইট দিয়েই যাচ্ছি লাম বাজলো কি করে ও কি ইচ্ছে করে এমন।
অশি: দেখে না চললে এমনি হয়। আর তুমি আমাকে কথা শুনাচ্ছো কেন আমি ধাক্কা দেয় নাই নিজেই পরে গেছে। হাটতে পারে না গাইয়া ভূত একটা।
সুমি: এই কি বললি তুই গাইয়া। তোর মতো আটা মেখে ইসমাট হতে চাই না রে। প্রেন্তী কোথাকার !
অশি: ইউ রাস্কেল তুই আমায় প্রেন্তী বললি। তুই কি বাচালঁ?
এরা তো ঝগড়া লেগে গেছে সুমি তো আমার কথা ভুলেই গেছে আমি যে নিচে পরে আছি। আমি ও উঠতে পারছি না পা পুরো ব্যাথা হয়ে গেছে।
হঠাৎ সুমি হাতের পানির বতল থেকে পানি নিয়ে অশির মুখে মারলো। স্যার কে দেখে অশিকে ওর ফ্রেন্ড ক্লাসে নিয়ে গেল। আর সুমি বকবক করতে করতে আমাকে ও ক্লাসে নিয়ে গেল কিন্তু বেশি ব্যাথা হওয়ায় বাড়ি চলে এলাম।
আকাশ সকালে কলেজে দিয়ে চলে যায় আর ছুটির সময় নিতে আসে। আমি তো তার আগেই চলে এসেছি বাড়ি।
রাতে
ঘুমের গুরে মনে হচ্ছে কেউ আমার কপালে কিস করছে খুব গভীর ভাবে দেখছে ভয়ে আমার আত্মা শেষ তাকানোর সাহস ও হচ্ছে না। তাও সাহস করে তাকাল আর একজন কে দেখে আমার পুরো পৃথিবী অন্ধকার হয়ে গেল আমি সব চাইতে বেশি যে জিনিস ভয় পায় তাই।
#চলবে