জোরপূর্বক ভালোবাসা Part- 5+6

0
1837

#জোরপূর্বক_ভালোবাসা
#Writer_Ashiya_Nur
#Part_5&6

তাকিয়ে চিৎকার করতে যাবো ভূত বলে। কিন্তু ভূতটা আমার মুখ চেপে ধরেছে আমি তো শেষ ভূতের ভয় সেই ছোট্ট বেলা থেকে আমার এখন ভূত আমার মুখ চেপে ধরেছে। ভয়ে ভয়ে নিজের হাত উঠিয়ে মুখ থেকে সরানোর চেষ্টা করছি। এটা তো মানুষের হাত ছটফট করছি ছুটার জন্য হঠাৎ কথার শব্দ পেলাম। আর নিজেই বোকা বনে গেলাম এটা তো আকাশের কণ্ঠ তাহলে এটা আকাশ আর আমি ভূত ভেবে কি ভয়টায় না পেলাম।
অন্ধকারের কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।

আকাশ : ওফ জান তুমি এতো ছটফট করো কেন। এখনই তো চিৎকার করে সবাইকে জাগিয়ে দিয়েছিলে আমার অবশ্য প্রবলেম নেয় সবাই জানলে।

আশিয়া: একদম রাগ উঠায়বেন না বলে দিচ্ছি। আপনি এখানে কেন এই সময়? ( রেগে)

আকাশ : তুমি আমাকে ছাড়া চলে এসেছো কেন? কতোক্ষণ ওয়েট করেছি জানো পরে সুমিকে ফোন দিয়ে জানতে পারলাম তুমি পায়ে ব্যাথা পেয়েছো। আজ তোমাকে ফোন দিয়ে যাবো কোনো বাহানা শুনবো না।

আশিয়া: আমি ফোন নিতে পারবো না একবার বাড়িতে কেউ জানলে প্রবলেম হবে।

আকাশ : কিছু হবে না,, জানতে পারলে বিয়ে করে নিয়ে যাবো। ( বলে আমার পায়ের কাছে গিয়ে ফোনের আলো জালাল তারপর মলম বের করে লাগাতে লাগল)

আশিয়া: কি করছেন আমি লাগাতে পারি আপনার লাগাতে হবে না।( পা সরিয়ে নিতে গেলে)

আকাশ : একদম পাকনামো করবে না! আমি নিজের হাতে লাগিয়ে দেবো চুপচাপ বসে থাকো। ( একটু সিরিয়াস হয়ে) মেয়েটা নাম কি?

আশিয়া: কোন মেয়ে( অবাক হয়ে )

আকাশ : যার জন্য আমার জান কষ্ট পেয়েছে! ( পায়ে মলম লাগিয়ে আমার কাছে এসে বসলো আমার হাত নিজের হাতের মাঝে নিয়ে ) কি হলো বলো মেয়েটা কে?

আশিয়া: মেয়েটার দোষ নেয় আমি ই অসাবধানতায় হেঁটে যাচ্ছি লাম। তাই ধাক্কাটা লেগেছে!

আকাশ: সুমি আমাকে বলেছে সব তাই কারো দোষ ঢাকতে যেও না।

আশিয়া: বললাম তো আমি কারো দোষ ঢাকতে যাচ্ছি না এটাই ঠিক!

আকাশ আর কিছু বললো না আমার দিকে মায়া ভরা চাহনি নিয়ে তাকিয়ে আছে। চোখের পলক ও ফেলছে না হঠাৎ আমি নিজের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে উঠলাম,,, আকাশ আমার মুখ চেপে ধরেছে কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আববুর ডাক কানে এলো। আববু নিশ্চিত জেগে গেছে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখে রেগে তাকিয়ে আছে।

– কি হলো এভাবে চেচালে কেন? ( ফিসফিসিয়ে রেগে)

আমি উম উম করছি কারণ আকাশ এখন ও আমার মুখ চেপে ধরে আছে। মাথা নারিয়ে যাচ্ছি আববু এদিকে ডেকেই যাচ্ছে অবশেষে বুঝলো আর মুখ থেকে হাত সরিয়ে নিল।

আববু : আশিয়া কি হয়েছে চিৎকার করছিস কেন দরজা খোল? ( দরজায় ধাক্কা দিয়ে)

আশিয়া: আববু সপ্ন দেখে কিছু হয় নাই তুমি শুয়ে পর।

আববু: আচ্ছা।

আববু চলে গেল আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে বললাম,,,এখন চলে যান আববু কিন্তু জেগে আছে ধরা পরলে র্সবনাশ হবে।

বলেই আমি তারাতারি ওড়না পলে পরে নিলাম। এতো ক্ষণ ওড়না ছাড়া ছিলাম বুঝতে পেরেই চিৎকার করেছিলাম।

আকাশ : ভালো করে তো তোমাকে দেখলাম ই না এখনই চলে যাব নাহ।

আশিয়া: দেখেননি মানে এতোক্ষন তো দেখলিনই আর কতো দেখবেন যান না। ( বলে খাটে থেকে ধাক্কা দিতে লাগলাম আমি তো উঠতে পারছি না পায়ে ব্যাথায় )

আকাশ: নাহ আজ এখানে থেকে যাব ভেবেছি?

বলেই আমার পাশে থেকে উঠে গিয়ে অপরপাশে শুয়ে পরলো; কোন জালায় পরলাম একে এখন পাঠানো যাবে কি করে।

আশিয়া: জান না প্লিজ? ( অসহায় মুখ করে )

আকাশ আমার কোন কথা না শুনে জোড় করে খাটে শুয়িয়ে দিল। আমি যেতে বলছি অথচ সে কোন কথায় শুনছে আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জরিয়ে ধরলো। আমি ধাক্কিয়ে যাচ্ছি সে আমার কথা কানে ও তুলছে নাহ।

আকাশ আচমকা বলে উঠল,, আশিয়া প্লিজ ভালোবাসি বলো না আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না! একবার বলো না ভালোবাস আমি জানি তুমি ও আমাকে ভালোবাস কিন্তু মুখে শিকার করো না। আমি তোমার মুখ থেকে শুনতে চাই প্লিজ বলোনা।

খুব মায়া হচ্ছে আকাশ এই ভাবে অসহায় মুখে ভালোবাসা চাওয়া। এই মুখ বলে দিচ্ছে ও আমায় কতো ভালোবাসে আমি ও তো ভালোবেসে ফেলেছি এই লোকটাকে কিন্তু বলতে পারি না শিকার করতে পারি না ভয় হয় যদি হারিয়ে ফেলি তখন কি নিয়ে বাচবো। কিন্তু এখন এই ভালোবাসার কাতর হয়ে যে চাই ছে তাকে কি করে ফিরিয়ে দেব আমি।
চোখ দিয়ে নোনা জল পরছে আমার আকাশ ও কাদছে। আকাশ আমার চোখে পানি মুছে দিল তারপর আমার কপালে কিস করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে উওরের আসায়।

পরদিন

আজ আকাশের জন্য সবচেয়ে খুশির দিন কারণ কাল রাতে আশিয়া ওকে হ্যাঁ বলেছে খুশি তে কি থেকে কি করবে ভেবে পাচ্ছে না।

রাজু: ভাই আপনি তো আজ অনেক খুশি দেখা যাচ্ছে !

বাচ্চু: খুশি তো থাকবেই অবশেষে ভাবি ভাইয়াকে মেনে নিয়েছে। কিন্তু ভাই আমাগো এখন মিলাইয়া দেন আপনার টা তো সেটিং হয়ে গেল।

আকাশ : তোর টাও হবে চিন্তা করিস না। আমি ভেবেছি বেড়াতে যাবো কোথাও কিন্তু তোদের ভাবিকে নেব কি ভাবে ও তো কিছু তেই রাজি হবে না।

বাচ্চু: কোথায় যেতে চান ভাই!

আকাশ : কক্সবাজার

বাচ্চু: তাহলে বিয়ে করে নিয়ে যান এছাড়া উপায় নাই এতো দূর যাবে না।

আকাশ : বিয়ে তো করতে চাইরে সে তো এখন বিয়ে করবে না। আশিয়ার কক্সবাজার যাওয়ার ইচ্ছে তাই যেতে চাইছি।

রাজু: ভাই একটা পথ আছে যাওয়ার।

আকাশ : কি বল তারাতারি?

রাজু: ভাই পিকনিক হলে যেতে পারে।

আকাশ : পিকনিক হলে তো কলেজের সবাই যাবে?

রাজু: সমস্যা কি সবাই তো আপনাদের ব্যাপারে জানেই। স্যারদের বলবেন খরচ আপনার কিন্তু কলেজে যেন বলে সরকার থেকে ফ্রি তে শিক্ষাসফর তাহলে আর ভাবি মানা করবে না।

আকাশ : ঠিক রাজু তোর মাথায় ও তো ভালো বুদ্ধি।

তিনদিন পর কলেজে এলো আশিয়া আকাশের সাথেই এসেছে। সুমির কাছে থেকে জানতে পারলো শিক্ষাসফরে যাওয়ার কথা।
ক্লাসে বসে কথা বলছি লো হঠাৎ অশি সামনে এসে দাড়ালো,,

#চলবে

#জোরপূর্বক_ভালোবাসা
#Writer_Ashiya_Nur
#part 6
আমি, সুমি আর লিমা বসে গল্প করতে ছিলাম পিকনিক নিয়ে। হঠাৎ অশি হাসি মুখ করে আমাদের সামনে এসে দাড়ালো ওর সাথে ওর ফ্রেন্ড ও এসেছে।

সুমি: আবার কি নিয়ে ঝগড়া করতে এসেছিস তোর? ( একটু রেগে জিগ্গেস করলো)

অশি; আই আম সরি আশিয়া সেদিন তোমাকে ধাক্কা দেওয়াটা উচিত হয়নি। আমার জন্য তুমি তিন দিন কলেজে আসতে পরলে না। আমি সত্যি ইচ্ছে করে তোমাকে ধাক্কা দেয় নি। ( মুখটা অসহায় করে বলল কথা গুলো )

আমি তো অবাক নয়নে তাকিয়ে আছি অশির দিকে। একবার সুমির দিকে তাকিয়ে দেখি আগুন চোখে তাকিয়ে আবার অবাক ও হচ্ছে। আমরা তিন জন ই শক হয়ে তাকিয়ে আছি কারণ অশিকে যেমন রাগী অহংকারী দেখিছি। সেই মেয়ে যে কাউকে সরি বলবে সেটা মেনে নিতে পারছি না।

অশি: ( আমার হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে ) আমি সত্যি অনেক সরি আশিয়া আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমার তো ফ্রেন্ড এর তাইনা বলো আমাদের যতবার দেখা হয়েছে শুধু ঝগড়াই হয়েছে এজন্য আমি চাই তোমাদের ফ্রেন্ড হতে ঝগড়া বিবাদ ভুলে যেতে।

আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না। সত্যি হয়তো ফ্রেন্ড হতে চাইছে আর এটা ও সত্যি আমাদের যত বার কাছে এসেছি খালি একটা না একটা বিষয় নিয়ে ঝগড়া করেছি। হঠাৎ সুমি বলে উঠলো,,

সুমি: একদম না তোকে আমার একদম সুবিধায় ঠেকছে না। কোন তো মতলব আছে বল কি মতলবে ফ্রেন্ড করতে এসেছিস আবার সরি বলছিস তুই তো এতো সহজে সরি বলার মেয়ে না।

লিমা: হুম সুমি ঠিক বলেছে? তোমার মতলব টা কি বলতো আমাদের সাথে বন্ধু তো করতে আসলে যে আগে তো খালি ঝগড়ায় লেগে থাকতে।

টগর : দেখছিস অশি তুই ভালো ভেবে এলি ওদের সাথে ফ্রেন্ডশীপ করতে আর ওরা এখন তোকে কি ভাবছে। ( অশির ফ্রেন্ড )

অশি: কি হলো আশিয়া কিছু বলো আমি সত্যি তোমাদের সাথে ফ্রেন্ডশীপ করতে চাই!

এতো করে বলাতে আমি আর না করতে পারলাম না। সব মিটমাট করে নিলাম। কিন্তু এতে সুমি আমাকে অনেক না করেছে কিন্তু আমি শুনিনি সত্যি যদি সে তার ভুল বুঝে তাকে ক্ষমা করা উচিত ফ্রেন্ড ই হতে চাই করলে প্রবলেম কি?

সুমিদের বললাম আমি পিকনিক যাব না। কারণ পিকনিকে গেলে আকাশের সাথে দেখা হবে না। কক্সবাজারে যাওয়ায় অনেক ইচ্ছে আমার বলতৃ গেলে সপ্ন কিন্তু আকাশে থেকে বেশি না।

আর একটা ক্লাস আছে হঠাৎ আরমান আমার পাশে এসে বসলো। আকাশের সেই ব্যবহারের পর আর আরমানের সাথে কথা বলি নি!

আরমান : কেমন আছ আশিয়া?( একটা হাসি দিয়ে )

আশিয়া: এইতো ভাল, তুমি এখানে বসলে যে !

আরমান : কেন তোমার পাশে কি বসতে পারি না নাকি !

আশিয়া: তা পারবে না কেন কিন্তু তুমি তো সামনে ছিলে। সেখানে থেকে পেছনে এসে বসলে যে তাই?

আরমান : এমনি তুমি তো আমায় ভুলেই গেছো ফ্রেন্ড মনেই করো না। নাহলে কি আর এক এই কয়দিন এই ভাবে এরিয়ে চলতে পারতে?

আশিয়া: ( সত্যি এই কয়দিন এক দম কথা বলা হয় নাই ) আসলে

আরমান: আমি সব জানি আমাকে কিছু বলতে হবে না।

আশিয়া: মানে !

আরমান : আমাকে নিয়ে আকাশ জামেলা করছে এইজন্য তুমি আমার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলছো। কিন্তু তুমি ওই ছেলেটাকে কিছু বলো না কেন বুঝলাম না। এখন থেকে আমার সাথে কথা বলবে ঘুরবে ও যদি কিছু বলে তোমাকে তাহলে আমাকে বলবে আমি ওই রাসকেল কে দেখে নেবো।

আশিয়া: দেখে নেবে মানে?

আরমান : ওর এমন অবস্থা করবো যে তোমার দিকে তাকাতে পারবে না।

আশিয়া: তুমি আকাশ কে কিছু বলবে না বুঝছো?

আরমান : কেন বলবো না ওর জন্য তোমার সাথে আমি সময় কাটাতে পারি না।

আরমানের সাথে কথা বলছিলাম হঠাৎ স্যার আসায় আর কিছু বলতে পারলাম না। ছুটির পর আমি আর অশি কথা বলতে বলতে যাচ্ছি। সুমি রেগে চলে গেছে কিন্তু একজন সরি বলেলে তো তাকে সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু সে কেন যে মানসে না। গেটের বাইরে এসেই দেখি আকাশ আর রাজু ভাই দাড়িয়ে আছে।

আজ আমি ভালো করে খেয়াল করলাম আকাশ কে একদম হিরোর মতো এটিডিউট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সাদা শার্ট, কালো পান্ট, চোখে সানগ্লাস , হাতে ঘড়ি, গালে খোচা খোচা দাড়ি, গায়ের রং একদম ফর্সা। এতো সুন্দর লাগছে আমার চোখই সরছে না। এর আগে অনেক বার দেখেছি কিন্তু কখনো এতো ভালো করে দেখেনি আজ কেন জানি নিজের একজন ভেবে দেখতে ভালো লাগছে।
আমাকে দেখেই চোখ থেকে সানগ্লাস খুলে হাতে নিয়ে আমাকে হাই জানালো হাত উচু করে। আমি লজ্জা পেয়ে চোখ সরিয়ে নিলাম।

অশি আমার থেকে আকাশের ব্যাপার জিগ্গেস করছে। আমি কিছু বলেছি কিছু বলিনি।

আকাশ : এতো লেট হলো কেন কখন থেকে ওয়েট করছি জানো। সুমি কে জিগ্গেস করলাম সে কিছু না বলেই চলে গেল মনে হলো রেগে আছে!

আমি : এই যে আমার নতুন ফ্রেন্ড অশি ওর সাথে কথা বলছিলাম তাই একটু দেরি হয়েছে।( অশিকে দেখিয়ে)

আকাশ : ( অশি না শুনে একটু অবাক হয়েই তাকিয়ে আছে। কারণ ওইদিন সুমির থেকে জানতে পেরেছে যার জন্য আশিয়া পায়ে ব্যাথা পেয়ে ছে তার না অশি) ওহ এ তোমার ফ্রেন্ড হলো কবে?

অশি : ( হাত বারিয়ে হাই বলল) হাই,

আমি : আজকেই

আকাশ একবারে জন্য ও অশির দিকে তাকায় নি। শুধু আশিয়ার দিকে তাকিয়ে কথাবলে যাচ্ছে। অশি যে হাই বলেছে তাও দেখে নি দেখার চেষ্টা ও করে নি। অশি তো রেগে তাকিয়ে আছে আকাশ আর আশিয়ার দিকে।

অশি,, আমাকে অবহেলা করা এর শাস্তি তো দুজনেই পাবে ( মনে মনে)
হঠাৎ কেউ কথা বলল,, তাকিয়ে দেখি একটা ছেলে।

– হাই আমি রাজু!( হাত বারিয়ে)

– তো আমি কি করবো আমি রাজু না ফাজু( রেগে)

– না মানে আপনার সাথে একটু পরিচিত হতে এসেছিলাম। আপনার নামটা অনেক সুন্দর?

– আমি জানি। আশিয়া( জোরে চিৎকার করে )

আকাশের সাথে অশিকে নিয়ে কথা বলছিলাম। আকাশ ও আমাকে অশির সাথে থাকতে মানা করছে আমি তাই নি তর্ক করছিলাম হঠাৎ চিৎকার শুনে পেছনে তাকিয়ে দেখি অশি ডাকছে। ও যে এখন ও দাঁড়িয়ে আছে আমি বুঝতেই পারিনি কারণ ওর গাড়ি আছে আমি ভাবছি হয়তো চলে গেছে কিন্তু।

আমি আকাশের কাছে থেকে ওর কাছে যাচ্ছে আকাশ আমার হাত ধরে ফেলল,, কি হলো হাত ধরছেন কেন? অশি ডাকছে শুনে আসি।

আকাশ : ওকে চলে যেতে বলো ওর সাথে মিশো না আমার কেন জানি ওই মেয়েকে ভালো লাগছে না। ( আমার হাত ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে )

আশিয়া: ওফ আবার সবার মাঝেই ধরে রেখেছেন ছারেন সবাই কি ভাবছে আর অশি ও কি ভাববে বলেন তো? ( ছুটানোর চেষ্টা করে )

আকাশ : যা খুশি ভাবুক আমার তাতে কিছু আসে যায় না।

আমি জোর করে ছারাতে চাইলে কি ছাড়াতে পারি। পারলাম না আকাশ কে টেনেই অশির কাছে এসে দাড়ালাম। এখন ও আমার হাত ধরেই রেখেছে কি অসভ্য অশি কি ভাবছে কে জানে লজ্জায় শেষ।

আমি : সরি অশি আমি ভেবেছি তুমি হয়তো চলে গেছো তাই।

অশি: ( মিথ্যা হাসি দিয়ে) ও না আসলে আমি আজ তোমার সাথে যেতে চেয়েছিলাম। আমার গাড়ি আজ আসে নাই?

আমি একবার আকাশের দিকে তাকালাম সে রেগে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। মাথা দিয়ে না করতে বলছে আমি কি করবো আকাশ আমাকে নিয়ে যায় কখনো কাউকে সাথে নেয় না। সুমি, লিমা ওরা নিজেরাই চলে যায় আমাদের সাথে যেতে বললে হয়তো আকাশ না করতো না কিন্তু ওরাই যায় না। আর রাজু ভাইয়া, বাচ্চু ভাইয়া কে তো নেয়ই না।

আমি এখন কি করে অশি কে না করবো যতোই হোক ফ্রেন্ড তো। আকাশ কে একটু বুঝাতে হবে।

রাতে
ফোনে
আকাশ : ওই মেয়েটা তো প্রতিদিন গাড়ি নিয়ে যায় আজ তাহলে নিলো না কেন। ইচ্ছে করে আমাদের সাথে এসেছে।

আমি : এতো রেগে আছেন কেন একদিনই তো প্রতিদিন কি এমন করবে নাকি।

আকাশ : করলে আমি কিছু বলবো না ভেবো না।

আমি : ওফ আচ্ছা।

#চলবে