#জোরপূর্বক_ভালোবাসা
#writer_Ashiya_Nur
#Part_7
আকাশ কে বললাম যে আমি পিকনিকে যাবো কিন্তু সে আমার সাথে উল্টো বলল যাও। যাবে না কেন এতো বড় সুযোগ হাত ছাড়া করো না। আমি ভেবেছিলাম সে খুশি হবে আমি যাব না বলে কিন্তু সে যাবো না বলেছি বলে রাগ করলো । তাই রাজি হয়ে গেলাম রেগেই এক প্রকার।
সুমিকে ফোন দিয়ে জানাতে হবে নয় আবার বলবে তখন এতো করে যেতে বললাম যাবি পা বললি এখন না বলেই এসেছিস।
_হ্যালো সুমি;
_ এই সময় তুই আমি তো ঘুমিয়ে পরেছিলাম।( ঘুমঘুম কণ্ঠে )
_ তোকে একটা কথা বলার জন্য ফোন দিছি।
_ কি কথা বলবি যে এতোরাতে ফোন দিতে হলো। সকালে ও তো বলতে পারতি।
_ তা পারতাম কিন্তু ডিসিশন এখন নিয়েছি তো তাই এখনই বলতে ইচ্ছে হচ্ছে। কাল আমি ও তোদের সাথে পিকনিকে যাবো আমার জন্য ওয়েট করিস।
_ কি তুই যাবি ( অবাক হয়ে) কলেজে না বললি যাবি না এখন বলসিস যাবি।
_ হুম এখন যাবো এখন রাখছি কাল কথা হবে।
পরদিন
_ আপু আমার জন্য কিন্তু অনেক জিনিস আনবে!( আশিয়ার ছোট্ট বোন আলো)
_ আচ্ছা আনবো এখন যেতে দে।
_ আচ্ছা যাও! আর সাবধানে যেও একদম চিন্তা করো না আমি সব করতে পারবো।
আমি আম্মুর সাথে দেখা করে এলাম এখন একটু সুস্থ আম্মু। আমার জন্য এই তিনদিন আলোর কষ্ট করতে হবে। আলো নাইনে পরে। আম্মুকে ভালো করে বলে বেরিয়ে পরলাম।
বাসে উঠে দেখি সবাই উঠে পরেছে পরেছে। সবাই এসে পরেছে আমার আগেই কোথায় বসবো সিট খুজছি সুমি কে খুজছি ওকে তো বলেছিলাম আমি যাবো ও নিশ্চয়ই আমার জন্য সিট রেখেছে। কিন্তু আমার সব আশায় জল ঠেলে দিয়ে দেখা দিল সুমি কিন্তু সুমি আর লিমা বসেছে। একটা সিট ও খালি নাই শেষের দিকে একটা সিট খালি দেখা যাচ্ছে একটা ছেলে বসে আছে মুখ ঢাকা। ছেলে দেখে বসতে ও মন চাইছে না কিন্তু দাড়িয়ে কিভাবে যাবো।
তাই আর কিছু না ভেবে বসে পরলাম। রুমাল দিয়ে মুখ ডেকে রেখেছে হাতে ফোন কিছু দেখছে আর একটু পর পর জানালা দিয়ে বাইরে তাকাচ্ছে। আমি বসার সময় একটু বেশি ওইদিকে গিয়ে পরেছিলাম তার শরীরের সাথে একটু ধাক্কা লাগল সে সঙ্গে সঙ্গে আরও চেপে বসলো একটু লজ্জা লাগছে সে নিশ্চয়ই একা বসার জন্য সিট নিয়েছে একটা বিরক্ত হয়ে আমার দিকে তাকালো। আমি তার চোখ দেখে কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে । সেসব বাদ দিয়ে
আমি : সরি আসলে গাড়ি চলছে তো তাই ধাক্কা লেগে আপনার সাথে লেগেছে। ( ইনোসেন্ট হয়ে)
কিন্তু লোকটা কিছু না বলে স্বাভাবিক ভাবে চোখ ফিরিয়ে নিলো আবার ফোন টাপতে লাগল। আমি ও কিছু বললাম না আর কিন্তু আমার তো ভালো লাগছে না এখানে জানালায় পাশে বসলে ভালো লাগে কিন্তু এই ছেলে যে আমাকে কখনো জানালায় পাশে বসতে দেবে না। ব্যর্থ চোখে একবার তাকালাম প্রথম থেকেই চ।ছেলেটাকে চেনাচেনা লাগছে কোথায় দেখেছি।
আমার পাশে থেকে কেউ ডাক দিলো তাকিয়ে দেখি অশি আমার পাশে র সিটে ও একাই আছে। কিছুক্ষণ আগে তো দেখলাম না অশিকে তখন তো বাস ভরা ছিলো এখন অশির পাশে খালি হলো কিভাবে।
অশি: আশিয়া
আমি : হুম অশি তোমাকে এতোক্ষণ তো দেখলাম না এখানে।
অশি: আমি দেখেছি তুমি আমাকে খেয়াল করো নি।
আমি : না আমি ভালো করেই দেখেছি তোমাকে দেখি নি দেখলে তো তোমার পাশেই বসতে পারতাম।
অশি: এখন আস।
আমি : এখন
অশি: হুম আস। একসাথে বসে গল্প করতে করতে যাই।
আমি : ওকে আসছি।
কথা বলেই উঠতে যাবো কিন্তু উঠতে পারছি না কেউ শক্ত করে ধরে আছে। তাকিয়ে দেখি ওই ছেলেটা এখন রাগ উঠছে কি অসভ্য ছেলে এতোক্ষণ কতো ভালো সেজে ছিল আর এখন গায়ে হাত দিচ্ছে। আকাশ যদি থাকতো এর হাত আজ ভেঙে দিতো ( রেগে তাকিয়ে )
আমি : কি ব্যাপার আপনি আমাকে এভাবে ধরে আছেন কেন ছারেন। এটা কেমন অসভ্যতামী মেয়েদের গায়ে হিয় দিচ্ছেন কেন।( হাত সরানোর চেষ্টা করছি কিন্তু ছারছে তো নাই উল্টো আরও কাছে টেনে নিল।
আমি : কথা বলছেন না কেন ছারুন বলছি।
হঠাৎ ছেলেটা মুখ থেকে রুমাল টা খুলে ফেলল আর আমি ৪৪০ ভোল্টেজের শক খেলাম। সত্যি কল্পনা ও করি নি এই মানুষটা এখানে থাকবে। হা করে তাকিয়ে আছি কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
আকাশ : কি হলো ম্যডাম আপনি হা করে আছেন কেন খুব বেশি শক খেলেন নাকি। ( আমার হা করা মুখ জুবিয়ে দিয়ে )
আমি : আপনি এখানে কেন?
আকাশ : কেন তুমি খুশি হও নি আমাকে দেখে।
আমি : আমার প্রশ্নের উওর দেন!
আকাশ : কি উওর দেবো বলোতো। তুমি যেখানে আমি ও তো সেখানেই যাবো তাই না। তোমাকে কি একা ছারতে পারি বলো।( কথা গুলো আমার গালে হাত দিয়ে বলছিল)
আমি : ( আমি ঠাস করে হাত সরিয়ে দিলাম) একদম টাচ করবেন না। কাল আমাকে বললেন না কেন আপনি ও যাবেন।
আকাশ : সারপ্রাইজ দেবো বলে জান এখন এতো রাগ করো না তো এই সময় টা ইনজর করো। ( বলেই আমাকে জরিয়ে ধরলো)
আমি : ছালুন বলছি ছারুন কোন ইনজয় করব না। আপনি এতো ক্ষণ এখানে ছিলেন তবুও অচেনা দের মতো করে কি ভাব ফোন টিপে ছোয়া লাগলে বিরক্ত হয়। আর এখন সে জরিয়ে ধরে আছে ছারুন আমাকে। আমি অশি র সাথে বসবো।
আকাশ : চুপচাপ বসে থাকে নয়লে কিন্তু সবার সামনেই চুমু দেব।
আমি : অসভ্য, ইডিয়েট এই সব বলতে লজ্জা করে না।
আকাশ : নাহ আমার লজ্জা বলতে কিছু নেয় তুমি ভালো করে যান তাই ওই সব বলে লাভ নাই চুপচাপ এখানে বসে থাক।
আমি : সব সময় জোর না করলে হয় না আপনার তাই না।
আকাশ : জোর না করলে তুমি কথা শুনার মেয়ে নাকি। সব সময় তো খালি না না করতে থাক।
কি আর করবো এখন যে আর এখানে থেকে সরতে পারবো না জানি তাই অশিকে না করে দিলাম। আকাশ আমার সিটে বসে পরলো আর আর জানালার পাশে বসলাম। এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে আকাশ আমার দিকে সব সময় এতো কি দেখে কে জানে। হঠাৎ আমার চুলের কাটা খুলে দিলো আমি প্রশ্ন বোধক চোখে তাকালাম।
আমি : কি হলো চুল খুললেন কেন?
আকাশ : ওই ভাবে ভালো লাগছিলো না এখন ভালো লাগছে। ( বলেই চুল ছরিয়ে দিল)
আমি : ওফ আমার চুল খোলা রাখলে অসহ্য লাগে।
#চলবে