টর্চার Part-08

0
1708

#টর্চার
#Apis_Indica
#part_8
.
.
-দৌড়তে দৌড়তে একটি গাড়ির সামনে এসে পড়ি।।। গাড়িটি আমাকে দেখে খুব জোরে ব্রেক কসে।। আমি ভয়ে ২ কদম পিছিয়ে নেই।। আর এক হাত বুকে দিয়ে হাপাতে থাকি। ভিতর থেকে কেউ এক বের হয়ে আসে।।(আমায়রা)

-ওহো লেডি বাইকার,, তুমিতো দেখছি এখন লেডি রানার ও ভালোই।।। বলে হাসতে লাগলো(এহসান)

-বেটা কিতা কয়(মনে মনে),,(আমায়রা)

-কি হলো ছোট আপ্পি,, মুকের সামনে তুড়ি বাজিয়ে।। ওহো তোমাদের ২ বোনের একি সমস্যা জানোতো কিছু বললেই কই যে হাড়াইয়া যাও হু এই এই দেখ আবার হু তা কই যাও আর ভাই কই হুম।।(এহসান)

-আমি কি,,,কি,,, জা,,,নি,,(আমায়রা)

– আমায়রার দিকে ঝুকে তো কে জানে,,, হুম আমি কিন্তু সবই জানি বুঝলে।। আমাদের বাসায় কিন্তু cc camera লাগানো।। আর তা কিন্তু আমি কেন ভাইও তার ফোনে লেপটপ ও বসে বসে দেখতে পারে।।(এহসান)

-আমি,,, , কি,,,,ছু,,, করিনি,,প্লিজ যেতে আমাকে যেতে দিন।।?

-ওকে আমি কিছু বলবো না গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে ২ হাত ঘসতে ঘসতে আমার মোনা লিসার সাথে মিট করিয়ে দিতে হবে।। সে আমার সাথে রাগ করেছে মুখটা ভার করে।। জানও তো ও তোমাকে কত লাভ করে আর আমি তাকে।। আর তোমাকে ভাইয়ার থেকে নিতেই আসছিলাম।। কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছো কে আমি সত্যি ওকে এই নেউ নুহার সাথে কথা বলো।। বলে ফোনটা এগিয়ে দিল।(এহসান)

– হ্যালো আমু আমি নুহা,,, কিরে শুনে পাচ্ছিস,,, হ্যালো আরে কথা বল।। (নুহা)

– এতক্ষণ এহসানের কথাই ভাব ছিলাম ২ ভাই দুরকম।।তার মধ্যে নুহা হ্যালো হ্যালো করছে তাই কানে ফোন দিলাম।।
-হুম বল বল।। হে আমি ঠিক আছি আচ্ছা আসছি।।। এই নিন কথা বলেন এহসানের দিক এগিয়ে দিয়ে ফোন।।(আমায়রা)

-হুম মো না লি সা বলেন কি হুকুম আছে আমার জন্য,,দুস্টমি হাসি দিয়ে(এহসান)

-বেশি কথা না বলে আর বোন তাড়াতাড়ি নিয়ে আসো,, ওইদিক আন্টি প্রায় চলে আসছে।। ওকে না পেল খবর আছে আমাদের।। ওকে। (নুহা)

– যো হুকুম মেরে মো না লি সা।।বলে এসে ফোন কেটে দিল।। গাড়ির ডোর খুলে বলে উঠলো চলো এবার নয়ত আর মো না লি সা আমার নাথে ব্রেক আপ করে দিবে।।।(এহসান)

-গাড়িতে গিয়ে বসলাম।। আর দুয়া করতে লাগলাম এই আয়মান নামক লম্বু খাসির দর্শন যেন আর না দেখতে হয়।। এমনিতেই অনেক ভয় করতেসে না জানি বেটা গুম থেকে উঠে আমাকে না পেয়ে কি না কি করে ফেলে আল্লাহ মালুম।। আমার চিন্তায় ছেদ পড়ে এহসানের ডাকে।।(আমায়রা)

– আমু তুমি কি ভাবছো আমি জানি।। চিন্তা করো না ভাইয়া যতক্ষণ না আমি চাই তখক্ষন তোমার দেখা পাবে না।। এটাইতো ভাবছে আমি কেন এমন করছি।। তাহলে শুন,, আমার ভাই তোমাকে লাইক করে বাট লাভ করে না সেটা তার ধারনা কিন্তু সে এখন বুঝতে পারছে না যে সে তুমাকে লাইক না লাভ করে বসে আছে।।
-কসম করে বলছি যে দিন ভাইয়া নিজ মুখ থেকে বলে ফেলবে যে সে তোমাকে লাভ করে সে দিন আমি নিজে তোমাকে তার কাছে দিয়ে আসবো।। এভাবে তাকিয়ে আছো কেন হুম সত্যি বলছি।।।(এহসান)

-আমি ভাবছি এ বেটা আমার বোনকে লাভ করে বলে হেল্প করছে এখন তো দেখি না এতো আরো ভয়ানক এক বার এ শহর ছাড়ি দেন আমায় পায় কে হু।। (মনে মনে)
-আমি তার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।।
আমি কেন যাবো ওই টর্চারের দোকানের কাছে।। হু আপনার ভাইতো মানসিক রোগী।। তার ডাক্তার দরকার বুঝলেন।। গাড়ি থামান থামান বলছি আমি নেমে যাবো।। হু রাগে জোরে জোরে বলতে লাগলো। (আমায়রা)

– ওহো আমু তুমি এত হাইপার কেন হো বসো চুপ করে নয় তো ওই টর্চারের দোকেনর কাছে রেখে আসবো বুঝলে।।ধমক দিয়ে বলল।।(এহসান)

-আমি আর কিছু না বলে বসে রইলাম।। যদি সত্যি সত্যি নিয়ে যায় না না আমি আর ওখানে যাবো না।।। তাই চুপচাপ বসে রইলাম।।(মনে মনে)(আমায়রা)

-ওহ আল্লাহ ফাইনালি তুমি চুপ হইসো।। বলে আবার ড্রাইভিংয়ে মন দিলাম।। আমু তুমি আমার ভাইয়ের জন্য একটি পাগলামো হয়ে দাঁড়িয়েছ।। আর আমার ভাইয়ের পাগলামো দুর করার জন্যই তোমাকে দুরে নিয়ে যাচ্ছি।।
কিন্তু যে দিন সে মুখ থেকে একবার বলবে যে সে তোমাকে লাভ করে দেন তোমার মত থাকুক আর না থাকুক তুমি যেই প্রান্তেই থাকো তোমাকে হাজির করবোই।। ভাইয়ের সামনে।। মনে মনে কথা গুলে বাকা হাসি দিলো।(এহসান)

– গাড়ি বাসার সামনে এসে থামতেই যেই না বেড় হবো তখনি এহসানের ডাকলো।।(আমায়রা)

-আমু তোমাকে যা বলেছি মনে রেখ তোমার উপর নজর থাকবে আমার আর হে আমার মো না লি সা কে আমার এত গুলো লাভ দিয়ও।। আর হে পিছন থেকে ২ টা প্যাকেট এগিয়ে এগুলো তোমাদের জন্য।। বায়,, ভাইকেও সামলাতে হবে টা টা।। বলে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে শাাাাহ করে চলে গেল।(এহসান)

-এহসানের কথা ভাবছি তখনি পিছন থেকে নুহা এসে জড়িয়ে ধরলো আমু বলে,,,(আমায়রা)
.
.
.
??⚫(past)
.

– ওয়াশরুম ঝরনার ছেড়ে দিয়ে ফ্লোরে বসে ২ হাটুতে মুখ গুজে কাদঁতে লাগলাম।। আর বাহিরে নুহা দরজা বার বার নক করতেসে।।
সে দিকে আমুর কোনো খেয়ালি নেই সে শুধু কিছুক্ষণ আগের কথা মনে করে কাদঁছে।।(আমায়রা)

*কিছুক্ষণ আগে★

-আয়মান যখন আমুকে পাগলের মতো কিস করছিল।। আমু প্রথম থ হেয়ে গিয়ে ছিল কি হচ্ছে তার সাথে তা যখন বুঝতে পারলো তখনি সে তার সমস্ত শক্তি দিয়ে আয়মানকে ধাক্কাতে লাগলো।। কিন্তু কোনো পুরুষের সাথে কি কখনো কোনো নারী পেরে উঠবে।।

– কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিয়ে ধাক্কা দিয়ে দুরে শরিয়ে দিল।। আর আমু পিছনে দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেলো বড় সর।।আর আহহহহহহহহহ বলে চিৎকার কে উঠলো দেয়ালে ধাক্কা লাগাতে হাতে কিছুটা ছিলে গেছে ঘষা লেগে।।তা চেপে ধরে চোখের পানি ফেলতে লাগলো নিচের দিকে তাকিয়ে।।
আর ওই দিকে আয়মান বেঞ্চে এক পা তুলে বসে এক হাতে মাথার চুল ঠিক করতে লাগলো।। তার ভাব দেখলে মনে হবে কিছুক্ষণ আগে যেন কিছুই হয়নি।।

-এটা তোমার কাল আমাকে কাচের বোতল দিয়ে মেরে ছিলে তার শাস্তি।। কিভেবে ছিলে
উঠে দারিয়ে আমুর কাছে আস্তে আস্তে,,আমি কি তোমাকে ছেড়ে দেবো আমুর কপালের চুল গুলো কানের পিছে গুজে দিতে দিতে,,নোপ বেবী এত সহজ না।।। (আয়মান)

-আমি কি বলব বুঝতে পারতেসি না এই লোক হঠাৎ আমার পিসে কেন পরলো ওহো আল্লাহ রহম করো এর থেকে ছাড়া পেলে মসজিদে ৫০ টাকা দিম।।(আমায়রা)

-কি হলো বেবস কি ভাবছো হুম মুখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে।।(আয়মান)

-দে,,,খু,,,ন ভাইয়া,,, আমি ইচ্ছা করে করিনি বলতে ঠাসসসসসস (আমায়রা)

-এই মেয়ে তুমি আমাকে ভাইয়া বললে কেন হুম কোন যনমের ভাই আমি শুনি। হুম রাগে চেঁচিয়ে বলতে লাগলো(আয়মান)

– গালে হাত দিয়ে ভ্যা ভ্যা করে জোড়ে কেদে দিল।। তা ইচ্ছা করে জোরে জোড়ে।।
(আমায়রা)

– কি বেপার চুপ কি হয়েছে বলবে তো।। আরে ২ হাতে ২ কান চেপে ও মাগো এতো জোড়ে কেউ কাদেঁ।। আচ্ছা চুপ করবে না আমি আমার মতো চুপ করাবো বল।। বাকা হেসে আমি আমার স্টাইলে চুপ করালে কিন্তু আমার অনেক লাভ আর তোমার অনেক লস হয়ে যাবে বলে হাতে লাগলো আমুর ঠোটের দিকে তাকিয়ে।।(আয়মান)

-এ বেটা কি কয়।। আমি এই লম্বু খাসির কথা শুনে কান্না বন্ধ করে ২ হাত ওরনার ২ মাথা নিয়ে মুখে চেপে ধড়লাম।। বেটা ছাগল আমার কান্ড দেখে হাসতে হাসতে বাহিরে চলে গিয়ে আবার পিছনে ফিরে এলো তা দেখে আমি আবার মুখ চেপে ধরলাম।(আমায়রা)

– আমি বেড় গিয়ে আবার পিছনে ঘুরে আমুর দিকে যেতেই সে মুখ চেপে ধরলো আমার এর কান্ড দেখে হাসি পাচ্ছে।। তাও মুখটা গম্ভীরতা ভাব রেখে তার দিকে এগিয়ে গেলাম।। গিয়ে তার কপাল থেকে গাল পর্যন্ত স্লাইড করে বলতে লাগলাম,,, বেবী তোমার উপর শকুনের চোখ পরছে।। সো বি কেয়ার ফুল বলেই হন হন কে বেড় হয়ে গেল।।(আয়মান)

-আমু এখন থ হয়ে দাড়িয়ে আছে।।।কিছুক্ষণ পর তার দেন ভাগ্ঙে ক্লাসে কিছু স্টুডেন্ট আসায়।। সে দৌড়িয়ে বেড় হয়ে যায় চোখ মুছে।। আর নুহাকে ডাকতে লাগলো,,,(আমায়রা)


-দেখুন আপনি এভাবে এগিয়ে আসছেন কেন।। আ,,,মি কিন্তু চিৎকার করব,,, ভয়ে তুতলিয়ে বলতে লাগরো,,,(নুহা)

-তাই ওকে তাহলে দেও বলে আর এক পা না এগিয়ে দুহাত বেধে নুহার দিকে তাকিয়ে রইল।। কি হলো দেও,, আমিও দেখি আমার মো না লি সা র গলায় কত জোড়।। (এহসান)

– দেখুন,,,(নুহা)

-দেখাও।। বাকা হেসে,,(এহসান)

-উহহহহহহহহুু কি চাই আপনার কেন এমন করছেন।।(নুহা)

– উমমম তোমার ফোন নং টা দাও বলে প্যাকেট থেকে ফোন বের করে।।(এহসান)

-এই নাম্বারের জন্য আপনি আমাকে এখানে এভাবে নিয়ে এসেছেন হাহহহ(নুহা)

-তো তুমি কি ভেবেছো আমি তোমাকে,, শয়তানি হাসি দিয়ে।।(এহসান)

– নয় তো কি আপনি জানেন আমি কত ভয় পেয়েছি।। চিংড়ী মাছ কথা কার।। আল্লাহ একটু হলেই হার্ট ফেল হেয়ে যেত।।
দিব না নাম্বার কি করবেন।।(নুহা)

– নুহার কথা শুনে পুরাই থ আমি চিংড়ী মাছ মানে কি,, হু নাম্বার না দিলে যেতে দেব না।। আর যা ভেবে ছিলে তা কিন্তু করে ফেলবো।।বলে বাকা হাসি দিল।।

– নুহা ভয়ে ঢোক গিল্লো আর সাথে সাথে এহসানের হাত থেকে ফোনটা নিয়ে নাম্বার টা দিয়ে এমন মনে হয় হাফ ছেড়ে বাচলো।।(নুহা)

-ঠিক আছে ফোনটা হাতে নিয়ে এখন যেতে পারো।।বলে দড়জা থেকে সরে দাড়াল।(এহসান)

– আমি ধীরেধীরে এহসানকে ক্রস করে যেতে নিব তখনি এহসান আমার হাত ধরে ফেলে।।
(নুহা)

– নুহার হাত ধরে কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলল আমি কিন্তু খুব ডিসেন্ট বয় মো না লি সা।। বলেই বাকা হাসলো আর হাত ছেড়ে দিল।।(এহসান)

-নুহা মুচকি হেসে দৌড় দিয়ে রুম ছাড়লো কিছু দুর যেতেই ধাক্কা খেল কার সাথে তাকিয়ে দেখে আমু,,,
-কিরে কই ছিল,, আর কাদঁছিস কেন বল আমায় কেউ কিছু বলেছে,,(নুহা)

-কাদঁ কাদঁ ভাবে নুহা আমি বাসায় যাবো প্লিজ বাসায় নিয়ে যা (আমায়রা)

-আচ্ছা আচ্ছা আগে কান্না বন্ধ কর আমরা এখনি যাচ্ছি।।(নুহা)..


-অনুস্ঠানের শেষ হওয়ার আগেই তারা বাসায় চলে আসে আর তখন থেকেই আমু ওয়ামরুমে বন্দী।।

-নুহা ডাকতে ডাকতে ক্লান্ত হয়ে অন্য রুমে ফ্রেস হতে চলে গেসে,,,
-আমু কিছুক্ষণ পর বেড় হয়ে ভেজা চুলে বিখানায় শুয়ে পড়ে,,,,


রাত ২ বেজে ১৯ মিনিট,, হঠাৎ আমুর ফোনে রিং বাজতে লাগালো,,,,
কয়েকবার বেজে কেটে গেল,,
আবার বাজায় আমু বিরক্তি নিয়ে ফোন তুলে নাম্বার চেক না করেই,,
-হ্যালো ঘুম ঘুম কন্ঠে,,, আ,, প,, নি,, বলেই উঠে বসলো বিছানায়,, আর হাত থেকে ফোনটা পড়ে গেল।। আবার বাজতে লাগলো আমু কি করবে বুঝতে পারতেসে না ভয়ে রিতিমত কাপতেসে,,,



চলবে,,,,