#টর্চার
#Apis_Indica
#part-9
।
– আমু তোর হলো আর কতক্ষণ লাগবে,,,
আমি গাড়িতে গেলাম তাড়াতাড়ি আয়,(নুহা)
।
-হুম আসছি,,(আমায়রা)
।
-দৌড়ে নিচে নেমে আসলো,,,
-হুম চল চল বলে গাড়িতে বসে পরল(আমায়রা)
।
-আব্দুল চাচা চলেন,,(নুহা)
।
-জ্বি মা(আব্দুল চাচা)
।
-(আমায়রা আজ অনেক খুশি সে তার শহরে যাচ্ছে,, তার মা আজ আসার কথা ছিল কিন্তু হুট করেই তার চাচাতো বোন মিলিকে আজ দেখতে আসবে,, আর হয়তো আজি তার বিয়ে হয়ে যাবে,, তাই আসতে পারে নি।। সে নুহাকে সাথে নিয়ে যাচ্ছে,, তার মা করা করে আদেশ দিয়েছেন।। আমায়রা এতটাই Excited যে বিগত দিন গুলোর কথা যেন তার মনেই নেই।।)
।
-বাহ আমু তোকে তো আজ অনেক হেপি লাগছে।।(নুহা)
।
-হুম।। আজ নিজেকে মুক্ত পাখি মনে হচ্ছে (আমায়রা)
।
-হুম।। নুহা আমুকে জড়িয়ে ধড়ে,, তুই হেপি তো আমিও।।। চল এই হেপিনেস কে সেলিব্রীট করতে একটা গান শুনা হয়ে যাক,, কি বলো আব্দুল চাচা,,,
।
– হুম মা,, বলেন কি গান দিমু(আব্দুল চাচা)
।
– তোমার দিতে হবে না চাচা তুমি শুধু ব্লুটুথ টা ওন কর আমি আমার ফোনের সাথে কানেক্ট করে নিচ্ছি।।(নুহা)
।
-আচ্ছা মা (চাচা)
।
– আমু তুই কোনটা শুনবি,,, (নুহা)
।
– তুই ঠিক কর,, (আমায়রা)
।
-ওকে,, হুম এইটা শুন নতুন গান,,,(নুহা)
.
Rehna tu pal pal dil ke paas
Judi rahe tujhse har ik saans
Khud pe pehle na itna yakeen
Mujhko ho paaya
Mushkil si ghadiyan aasaan huin
Ab jo tu aaya
Ik baat kahun tujhse
Tu paas hai jo mere
Seene se tere sarr ko lagaa ke
Sunti main rahun naam apna
Seene se tere sarr ko lagaa ke
Sunti main rahun naam apna
.
– গান শুনছে আর আমায়রার আয়মানের কথা গুলো মনে করছে,,, তখন খাবারে সে ৩ টা ঘুমের ঔষধ দিয়েছিল,, হয়তো বেটা এখনো বেঘোর ঘুমাচ্ছে,, আচ্ছা আমি ওই লম্বু খাসির কথা কেন ভাবছি,,, হুট হাট বেটার কেথা কেন মনে চলে আসে এটাতো ঠিক বুঝলাম বাসায় গিয়ে মনটাকে ভালকে হুলপাউডার দিয়ে ঘসতে হবে।। তাহলে ওই টর্চারের দোকানকে মন থেকে ভুলা যাবে।। আচ্ছা ধোয়ার পর যদি মনে না আসে তাহলে কি ধরে নেব বেটা ময়লা ?।। হাসতে লাগলো নিজেই।।(আমায়রা)
।
– কি হলো হাসিস কেন, ?(নুহা)
।
– না এমনিতে হঠাৎ একটি মজার কথা মনে পরে গেল তাই।।।(আমায়রা)
।
– ওকে।(নুহা)
।
(তার পর কারও কোনো কথা হয় নি গাড়িতে
নুহা ফোন টিপায় ব্যস্ত আর আমু বাহিরের প্রকৃতি দেখতে,,, আর ওই দিকে না যানি আমাদের আয়মান সাহেব কি করছে,,,)
।
– আহহহহহ,, মাথাটা এত ধরেছে কেন।।।
মাথা চেপে ধরে বসে আছে।। পরখনেই মনে পরে গেল আমায়রার কথা দৌড়ে বের হয়ে যায় আয়মান আর খুজঁতে লাগলো আমুকে।। কিন্তু সে কি জানে তার আমু উড়ান ছু হয়ে গেছে।।। সে আমুকে খুজে না পেয়ে তার ঘরে এসে খুব জোড়ে খাটের টেবিলে থাকা টেবিল লেম্পে লাথি দেয়।।।। কি করবে কিছু যে তার মাথায় আসচ্ছে না তার।। তখনি নিচ থেকে কারো ডাক শুনতে পায় আয়মান,, নিজেকে দ্রুত স্বাভাবিক করে নিচে নেমে আসে।।
– মা কেমন আচ্ছো,, জড়িয়ে ধরে(আয়মান)
।
-ভাল তা তোরা কেমন আছিস সব ঠিক তো আয়মানের মাথার চুল ঠিক করতে করতে বলল, এহসান কই?(মা)
।
-এইতো আম্মি জান আমি এখানে পিছন থেকে এহসান এসে তার মাকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগল,,, তা পাপা কই আর আপনাদের হানিমুন কেমন ছিল হুম।।(এহসান)
।
-কান মলা দিয়ে শয়তান ছেলে মার সাথে ফাজলামো হুম।।(মা)
।
-সরি মা আর হবে না কানে ধড়ে বলতে লাগলো(আয়মান)
।
-তা মা পাপা কই(আয়মান)
।
-কি যেন কাজ পরে গেছে তাই আমাকে নামিয়ে তিনি চলে গেল।। আচ্ছা বাদ দে শুন তোর মোতালেব চাচা আচ্ছে না,, তার মেয়ের বিয়ে আজ আর আমাদের যেতে বলেছে।। আমি আর তোর পাপাতো যেতে পারবো না তাই বলেছি তোরা যাবি।। যা রেডি হয়ে নে।। (মা)
।
-এহসান তুই চলে যা আমি যাবো না। আমার কাজ পরে গেছে একটা(আয়মান)
।
-না ভাই তুমি না গেলে আমি যাবো না।।(এহসান)
।
– রাগি গলায় আমি তোদের দুজন কেই যেত বলেছি।। আমি কারো কথা শুনছি না।। আদুরে কন্ঠে আয়ু ২ টা দিনেরি তো বেপার মার কথা রাখবি না।।(মা)
।
-আর যাই হোক মার কথা ২ ভাই কখনো ফেলবে না তাই দুজনেই মাকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগে ওকে মা।।
-দুজনেই বেগ টেগ গুছিয়ে রেডি হয়ে নেয়।।
উদ্দেশ্য মোতালেব চাচার বাড়ি।। তাড়া রেডি হয়ে গাড়িতে বসতে যাবে তখনি তাদের মা এসে সামনে দাড়ায়।।
।
-সব নিয়েছোতো (মা)
।
-হুম মা।।(আয়ু)
।
-তা মোতালেব চাচার বাড়ি কই মুচকি হেসে।।(মা)
।
-উনার বাড়িত,,,, বলতে গিয়ে থেমে গেল আর মার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে দুজন। মা ফিক করে হেসে দেন।।
-ওরে আমার অবুঝ ছেলেরা রে।।এই নে একটা কাগজ এগিয়ে দিয়ে এখানে তার ঠিকানা আর নাম্বার দেয়া।। আর তোদের নাম্বার তাদের কাছে দিয়ে দিয়েছি।। সাবধানে যাস।।(মা)
।
-ওকে মা বলে আয়ু ড্রাইভিং সিটে বসে পড়ল। আর তার সাথে আয়মান।।
২ জন তাদের গন্তব্য রওনা করলো।।
।
(আর যাই করুক আয়মান আর এহসান তার মার কথা ফেলতে পারে না তাই মুলতো বাধ্য হয়েই যাচ্ছে।। কিন্তু তারা জানে না তাদের জন্য কত বড় সারপ্রাইজ ওয়েট করছে।। হা হা হা।।)
।
??⚫(past)
– ফোনটা আবার উঠিয়ে রিসিভ না করে দৌড়ে বেড় হয়ে গেল বেলকনিতে।। গিয়ে দেখি আয়মান এক হাতে সিগারেট টানছে।।আরেক হাতে তার ফোন কানে দিয়া।। আমুকে এবার ফোন রিসিভ করতে ইশারা করলো আয়মান।। কাপা কাপা হাতে ফোন তুলে নিল আমু।।
– কি হলো এতো ভয় পাচ্ছো কেন,, আমি কি ভুত।।(আয়মান)
।
-মুখ ফোসকে বের হয়ে গেল,,
-ভুতের চেয়ে কম কি? বলেই মুখে হাত চেপে ধরলাম।(আমায়রা)
।
-বাকা হেসে,,
-বাহ ভালইতো বুলি ছুটেছে দেখছি।।(আয়মান)
।
-কাপা কাপা কন্ঠে,,
– কি,,,চ,,,া,,,ই আ,,প,,নার?(আমায়রা)
।
-ডোর ওপেন কর!(আয়মান)
।
-কে,,ন?(আমায়রা)
।
-করতে বলসি?(আয়মান)
।
– করতেসি,,
-বলে নিচে দৌড়,, গেট খুলে দেখি আয়মান দাড়িয়ে আছে।। আমি কিছু বলার আগেই ঘরে ডুকে সোফা দু হাত দু দিক দিয়ে পায়ের উপর পা রেখে বসে পড়লো।।
-আর সম্পূর্ণ রুমে চোখ বুলালো,,
।
-কি চাই আপনার(আমায়রা)
।
-সোফা থেকে উঠে দাড়িয়ে,,,
-তোমাকে।। যাও আমার জন্য কফি নিয়ে আসো।।(আয়মান)
।
– তখনি উপর থেকে চিল্লাতে চিল্লাতে নামতেসে কিরে আমু এতো রাতে কই তুই আমাকে রুমে একা রেখে চলে আসচ্ছিস আমার বুঝ ভয় করে,,, বলতে য্বে তখনি আয়মানকে দেখে উল্টো দিক দৌড় আর বলতে লাগলো না না আমি ভয় পাই না আমি যাই বলেই দৌড়তে লাগলো।।(নুহা)
।
-নুহার কান্ড দেখে আমি আর আয়মন দুজনেই অবাক।। কিছুক্ষণ পর আয়মান আমাকে দেখে ধমকের সুরে বলতে লাগলো তুমি কেন দাড়িয়ে আছো যাও আমার কফি নিয়ে আসো।। আমিও দিলাম দৌড় রান্না ঘরের দিক।। আমার কান্না আসতেসে কারন আমি কফি বানাতে পারি না।। তার উপর এতো রাতে একটা ছেলে আমার বাসায় হায় হায় না জানি কি হবে।। কিছুক্ষণ পর কফি নিয়ে সোফার রুমে আসি,, ওমা আয়মান নেই গেল কই হয়তো আল্লাহ সহী বুঝ দিসে তাই বেটা চলে গেসে।। তা ভেবে পিছনে ঘুড়ি দেখি বেটা সোফায় উবু হয়ে শুয়ে আচ্ছে।। কেন যানি দেখে খুব মায়া হচ্ছে,, আমি তার সামনে যে বললাম আপনার কফি,,
– সে বাধ্য ছেলের মতো উঠে বসলো আর কফি পান করতে লাগলো।। আমি তখনো তার দিক বেহায়ার মত তাকিয়ে আছি।। কিছুক্ষণ পর তার কথায় ধেন ভাঙ্গে।(আমায়রা)
।
– ধমক দিয়ে বললাম এভাবে কি দেখছো?
আমাকে কি যোকার লাগছে।। হুম,,(আয়মান)
।
– না না কি,,,ছু,,,না। আচ্ছা,,,আ,,,পনি,, এত রাতে এখানে কেন?(আমায়রা)
।
-সত্যি বলব?(আয়মান)
-হুম মাথা দুলালাম। (আমায়রা)
।
– আমার আজ বাসা ফিরতে লেট হয়,, তাই মা ঘর থেকে বের করে দিসে,,, ভাবলাম কোনো ফ্রেন্ডস এর বাসায় যাবো বাট কেন যানি তোমার কাছে আসতে মন চাইলো তাই চলে আসলাম।। চিন্তা করো না ভয় নেই সকালে চলে যাবো।।(আয়মান)
।
-আয়মান তার কথা গুলো বলেই সোফায় ঠিক আগের মতো শুয়ে পরলো,,,
-আর আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম,,
-ভালো হইসে বের করে দিসে,, আমি হলে আগে কানে ধরে উঠ বস করাতাম।। পরক্ষনেই আবার লোকটার জন্য মায়া হতে লাগলো।। তাই আমি সেখান থেকে উঠে গিয়ে মেন ডোর লোক করে দেই।। উপরে গিয়ে তার জন্য একটা বালিশ আর চাদর নিয়ে আসি।। তারপর তার মাথাটা তুলে বালিশ দিয়ে দেই। আর চাদর টা গায়ে দিয়ে দেই। তাকে একা রেখে কেন যানি উপরে যেয় শুতে ইচ্ছা করলো না তাই আমিও ঠিক তার উল্টো সাইডের সোফায় শুয়ে পরি।। আর গুমিয়ে পড়ি।।(আমায়রা)
।
?
-কি করছে আমার মো না লি সা,,,(এহসান)
।
-আঙ্গুল চুসছি চুসবেন।।?(নুহা)
।
– কি হলো মো না লি সা তুমি এভাবে কথা বলছো কেন?(এহসান)
-কি সারাদিন খালি মোনা লিসা মোনা লিসা করেন,,, সমস্যা কি বলেনতো আপনাদের ২ ভাইয়ের একজন এখানে এসে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না আরেক জন ফোনের জন্য ঘুমোতে দিচ্ছে না।। হু।।(নুহা)
।
– নুহ মোনা লিসা এটা একটা ইটালিয়ান ভাষা যার অর্থ মাই লেডি।। আর কি বলছিলে এসব ভাইয়া কি তোমাদের এখানে গেছে হা হা হা।।(এহসান)
।
-হুম তো কি মিথ্যা বলছি আপনাদের জন্য আমাদের লাইফটা হেল হয়ে যাচ্ছো আহহহহহহহহহ নেকা কান্না করে,,(নুহা)
।
-ওকে চিল মোনা লিসা।।। কান্না করো না।। আসলে মা আজ ভাই কে দেড়িতে আসার জন্য। বের করে দিসে তাই তোমাদের ওখানে গেসে বুঝলে।।(এহসান)
।
-তাই বলে আমাদের এখানে কেন ভাগীস আব্বু আউট অফ টাউন।। নয়তো মেরে লাশ ফেলে দিত আমাদের।(নুহা)
।
-ওহো মোনা লিসা তোমার কি আমাদের এতো বোকা মনে হয়। আমরা জানি আঙ্কেল ১৫ দিনের জন্য বাহিরে চলে গেছেন।।(এহসান)
।
-আপনারা এতো কি ছু কিভাবে জানেন,, (নুহা)
।
– এটাকে মুহাব্বাত বলে মোনা লিসা।।ওকে অনেক রাত হয়ে গেছে ঘুমিয়ে যাও সকালে ভাইকে আমি নিয়ে যাবো কেমন ওকে বায়।(এহসান)
।
-হুম বায় বলে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে শুয়ে পরেই ঘুম।(নুহা)
।
??
।
সকালে পাখির কিচিরমিচির ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যায় আমুর,, আয়মান এখনো বেগোড় ঘুম। ধীরেধীরে আমু আয়মানের কাছে যায়,,
-কেন যানি আমি তার মায় পরে যাচ্ছি।। সে কি আমাকে লাভ করে? তাই কি এখানে এসেছে।। না না কি ভাবচ্ছি আর যাই হোক এই টর্চারের দোকানকে ভালোবাসা যাবে না।।
।
আল্লাহ তুমি আমার মন কে হেফাজত কর। হাহ।
বলে আয়মানের গায়ে চাদরটা ভাল করে ঢেকে দিয়ে রান্না ঘরে গেলাম যে দেখি খালা নাস্তা রেডি করে ফেলসে আমিও তার সাথে সাথে টুক টাক সাহায্য করতে লাগলাম।
আর খাবার গুলো টেবিলে সাজতে লাগলাম তখনি দেখি আয়মান উঠে গেসে।। তাই দ্রুত তার কাছে গেলাম।(আমায়রা)
।
-আহ একটু ফ্রেস হয়া যাবে কি? (আয়মান)
।
-হুম আসুন আমার সাথে। ওয়ারুমে নিয়ে গেলাম।।(আমায়রা)
।
-তখনি তিনি ভিতর থেকে চিৎকার করে বের হয়ে গেলেন আর হাতের জিনিসটা দেখিয়ে বলতে লাগলেন,,
-এসব কি,,, এগুলো বাথরুমে সাজিয়ে রাখার জিনিস নাকি বলে হাসতে লাগলেন।(আয়মান)
-আমি সাথে সাথে সেটা তার কাছ থেকে নিয়ে দৌড়।। আমি রাতে গোসল করার সময় ওখানে রেখে চলে এসে ছিলাম মনেই নেই বেটা কি ভাববো ছি নিজের কাছেই লজ্জা লাগতেসে হায় কপাল,,
।
।
চলবে,,,