ডিভোর্স পর্বঃ ১৩

0
2735

#ডিভোর্স
পর্বঃ ১৩
লেখকঃ আবু সাঈদ
সরকার

সাঈদঃ কাপড় চেনজ
করার সময় হঠাৎ পিছনে
যা দেখলাম তা দেখে
হার্ট অ্যাটাক করার
মতো অবস্থা….




আমার পিছনে তানিশা
দাঁড়িয়ে আছে

সাঈদঃ এটা কীভাবে
হতে আমি একটু আগে
নিজের হাতে
তানিশাকে কবর দিয়ে
আসলাম তার মানে এটা
তানিশার আত্মা ওর
মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে
আসছে ভয়ে হাত পা
কাঁপতে শুরু করে
দিয়েছে…..


সাঈদঃ দেখো আমার
দিকে আসবা না কিন্তু
এর ফল ভালো হবে না…

তানিশাঃ আপনি প্লিজ
শান্ত হন আমি মরি নি..

সাঈদঃ সব আত্মা গুলো
একি কথা বলে..

তানিশাঃ বিশ্বাস
হচ্ছে না তো আমাকে
ছুয়ে দেখেন তাহলে
আপনার বিশ্বাস হবে
আমি মরি নি এখনো
বেচে আছি…


সাঈদঃ ভয়ে ভয়ে ওর
হাত টা নেড়ে দেখলাম
সত্যিই এটা তানিশা
তাহলে আমি কাকে কবর
দিয়ে আসলাম….

তানিশাঃ ওটা আমি
ছিলাম না আলাদা কেউ
ছিলো…

সাঈদঃ মানে কিছু
বুঝতে পারছি না….


তানিশাঃ আপনি যখন
নীলকে বলছিলেন
আমার কিছু হয়ে গেলে
ওর চাকরিটা চলে যাবে
তখন ও ভয় পেয়ে
আমাকে মাটি থেকে
তুলে বিছানায় শুয়েই
দিয়ে ডাক্তার কে ফোন
করে..

ডাক্তার কে আমিই
বলেছিলাম আমার
জ্ঞান না ফিরলে
কোমায় চলে যাবো
কিন্তু এটা কখনো ভাবি
নি যে নীল আমাকে
মারতে চাইবে….

ডাক্তার চলে যাওয়ার
পর নীল আমাকে গলা
টিপে মারার চেষ্টা
করে…

কিন্তু আমি কোনো
মতো নিজেকে ছারিয়ে
নিয়ে পালিয়ে আসি…

তার পর নীল হাসপাতাল
থেকে একটা মেয়ের
লাশ নিয়ে এসে
আপনাকে ফোন করে
বলে আমার অবস্থা
খারাপ হয়ে গেছে তার
পর প্লেন করে আপনার
দ্বারা এসব করায়৷..



সাঈদঃ ও তার মানে এই
ছিলো নীলের মনে তাই
তো বলি মেয়েটার লাশ
থেকে কাপড়টা সরাতে
দিচ্ছিলো না কেনো…

তানিশাঃ আমি শুধু এত
টুকুই বলতে আসছি নীল
আপনার অনেক বড় ক্ষতি
করার প্লে করতেছে
হয়তো আমাকেও
পাগলের মতো খুজতেছে
পেলে হয়তো মেরেই
ফেলবে….


সাঈদঃ শেষে কী না
যাকে বিশ্বাস করলাম
সেই এমন প্রতিদান
দিলো…

তানিশাঃ আমি এখন
আসি তাহলে…

সাঈদঃ এক মিনিট তুমি
ভিতরে আসলে কীভাবে
.

তানিশাঃ আপনার
কাছে দুইটা ডুপ্লিকেট
চাবি ছিলো তাই না
নীল আপনাকে কথার
তালে ভুলিয়ে একটা
চাবি নিয়ে নিচ্ছিলো
কিন্তু চাবিটা আমি
দেখেফেলেছিলাম ওটা
দিয়েই ভিতরে আসছি…


সাঈদঃ এত রাতে একা
কোথায় যাবা.
.

তানিশাঃ দু চোখ
যেদিকে যায়…

সাঈদঃ এক কাজ করলে
হয় না আজকের রাতটা
এখানেই থেকে যাও…

তানিশাঃ না আমি চাই
না আমার কারণে
আপনার বউ আপনাকে
সন্দেহ করুক….

আমি এটাও জানি যে
সে আপনাকে অন্ধের
মতো বিশ্বাস করে আমি
সেই বিশ্বাসের সুযোগ
নিতে চাই না..


যদি কষ্ট করে আমাকে
আমার বাসায় পৌছে
দিতেs#ssssন..


সাঈদঃ হুম চলো…

তুমি গাড়িতে গিয়ে
বসো আমি আসতেছি
রুমে এসে দেখলাম
স্নেহা ঘুমাচ্ছে…

মেয়েটা মনে হয় না
খায় ঘুমায় গেছে সেটা
মুখটা দেখলেই বুঝা
যাচ্ছে বিয়ের পর এমন
কোন দিন এটা হয় নি
যে সে আমার আগে খায়
ছে তাহলে আজ
কীভাবে খাবে…

কপালে একটু চুমু দিয়ে
আলমারি থেকে ১ লাখ
টাকা বের করে পকেট এ
ডুকিয়ে নিয়ে গাড়িতে
এসে বসলাম…


কিছু খন পর তানিশার
বাসার সামনে চলে
আসলাম…


তানিশাঃ tnx..

সাঈদঃ তানিশা চলে
যাচ্ছিলো ঠিক তখনি
তানিশা শুনো…

তানিশাঃ জ্বী বলেন…

সাঈদঃ এই টাকাটা
রাখো…

তানিশাঃ থাক লাগবে
না…

সাঈদঃ প্লিজ না করিও
না এই টাকাটা দিয়ে
নিজের চিকিৎসা
করিও..

তানিশাঃ কেনো করছে
এসব আমার জন্য…

সাঈদঃ সেটা জানি না
তবে হ্যা তুমি আমার যে
উপকার টা করছো সেটা
কখনো ভুলে যাওয়ার
মতো না…

কোন সময়ে টাকার
প্রয়োজন হলে একবার
ফোন দিও আর হ্যা এটা
ভেবে ভয় পেয়ে ও না
যে আমি টাকা গুলো
ফেরত চাইবো…



তানিশাঃ tnx…,

আপনার এখন যাওয়া
দরকার কয়েক ঘন্টা পরে
সকাল হয়ে যাবে…

সাঈদঃ আচ্ছা আসি
তাহলে…

তানিশাঃ ওকে বাই…



সাঈদঃ তার পর গাড়িটা
স্টার্ট দিয়ে বাসার
উদ্দেশ্য বেড়িয়ে
পড়লাম…

আমি যতটা খারাপ মনে
করছিলাম আসলে ততটা
খারাপ না তানিশা একটু
হলেও ভালো আছে….



কিছু খন বাসায় চলে
আসলাম.

বাসায় এসেই মনে
পড়লো আচ্ছা নীল
তানিশাকে মারতে
কেনো চাইছিলো আর
সে সময় আমার কী হয়ে
গেছিলো যে আমি ওর
পাপ কাজে সাহায্যে
করতে এগিয়ে
গেছিলাম….



বিছানায় এসে শুতেই
স্নেহা শক্ত করে
জরিয়ে ধরলো….


এই মেয়েটা যখনি
আমাক জরিয়ে ধরে তখন
সব কষ্ট আর টেনশন দুর
হয়ে যায়…

সারা রাত যা ধকল
গেছে তাতে বিছানায়
শুতেই ঘুম ধরে গেছে
কখন যে ঘুমায় পড়ছি
মনে নেই যখন চোখ
খুললাম তখন…


স্নেহাঃ ঘুম হয়ছে…

সাঈদঃ হুম…

স্নেহাঃ রাতে তো কিছু
খান নি এখন উঠে ফ্রেশ
হয়ে কিছু খেয়ে নিন না
হলে শরীর খারাপ
করবে…

সাঈদঃ তুমিও তো রাতে
কিছু খাও নি তোমার
শরীর খারাপ করবে
না…


স্নেহাঃ না…

সাঈদঃ বললেই হবে
ফ্রেশ হইছো..

স্নেহাঃ হুম

সাঈদঃ খাবার নিয়ে
আসো ততক্ষণে আমি
ফ্রেশ হয়ে আসি..


ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি
মেয়েটা একটা প্লেটে
ভাত আর মুরগির মাংস
নিয়ে আসছে…

সাঈদঃ তোমার প্লেট
টা কোথায়…

স্নেহাঃ আমি পরে
খাবো আগে তুমি খেয়ে
নাও….

সাঈদঃ প্লেট টা
দেখি…

প্লেট টা হাতে নিয়ে
ভাত গুলো মেখে হা
করো…

স্নেহাঃ তুমি খাও না
আগে…

সাঈদঃ বলছি না হা
করো তার পর স্নেহাকে
খাইয়ে দিয়ে আমিও
খেয়ে নিলাম…


স্নেহাঃ জানো কাল
রাতে আমি একটা
খারাপ স্বপ্ন দেখছি…

সাঈদঃ কীহ….

স্নেহাঃ পরে বলবো
এখন বলতে ভয়
লাগতেছে…

সাঈদঃ আচ্ছা পরে
বলিও…


স্নেহাঃ একটা কথা
বলবো…

সাঈদঃ হুম বলো

স্নেহাঃ একবার
জরিয়য়ে ধরে বৃষ্টির
রাতের মতো চুমু দাও না

সাঈদঃ বাহ বাহ আজ
এতো রোমান্টিক মুডে
আছো যে…

স্নেহাঃ দাও না….

সাঈদঃ আচ্ছা বাবা
দিচ্ছি…

স্নেহাকে জরায় ধরে
দুজনের ঠোঁট করে
দিলাম…

কত খন যে ছিলাম
নিজেও জানি না…






নীলঃ স্যার কতো বকা
যে আমার কথা বিশ্বাস
করে নিলো এখন এমন
কিছু করতে হবে যাতে
সাপ ও মরে লাঠিও না
ভাঙ্গে..


চলবে