#ডিভোর্স
পর্বঃ ৫
লেখকঃ আবু সাঈদ
সরকার
মেয়েটাঃ চল না আজ
রাতেই গ্রাম ছেড়ে
শহরে চলে যাই না হলে
কাল বাবা জোর করে
বিয়ে দিয়ে দিবে…..
।
সাঈদঃ আচ্ছা এভাবে
কাউকে না বলে
মেয়েটাকে নিয়ে কী
পালানো ঠিক হবে.
।
মেয়েটাঃ কী ভাবছিস
হ্যা..
।
সাঈদঃ না মানে ইয়ে
মানে তুমি কী আবেগের
বশে সঙ্গে পালাচ্ছো
নাকি ছেলেটা পছন্দ নয়
তাই..
।
মেয়েটাঃ ভালোবাসি
তোকে তাই তোকে
ছাড়া আর কারো কথা
ভাবতে পারছি না আর
হ্যা তুই যেদিন প্রথম এই
গ্রামে এসেছিলি সে
দিনি তোকে ভালো
লেগেছিলো..
।
সাঈদঃ ও তাহলে আর
তো কোন উপায় দেখতে
পারছি না শহরে গিয়ে
কিন্তু না খেয়ে থাকতে
হবে ( এমনি বললাম )
।
মেয়েটাঃ থাকলে হলে
থাকবো..
।
সাঈদঃ আচ্ছা চলো
তাহলে ব্যাগ হাতে
নিয়ে শহরের উদ্দেশ্য
বেড়িয়ে পড়লাম..
।
।
গ্রাম থেকে একটু দুরে
বাস স্টেশন সেখানে
গিয়ে দাড়িয়ে বাসের
জন্য অপেক্ষা করতে
লাগলাম..
।
মেয়েটাঃ এখান থেকে
শহরে যেতে কত টাকা
লাগবে..
।
সাঈদঃ ৫০০ করে দুজনের
১০০০ টাকা লাগবে..
।
মেয়েটাঃ হয়ে যাবে..
।
সাঈদঃ কী হয়ে যাবে..
।
মেয়েটাঃ না মানে
ইয়ে মানে আমি না
আসার সময় বাবার
পকেট থেকে ২০০০ টাকা
নিয়ে এসেছি আমি
জানতাম তোর কাছে
টাকা নেই..
।
সাঈদঃ হায় আল্লাহ
এটা কোন মেয়ে আমার
কপালে জুটলো যে
আমার সম্পকে কিছু না
জানেই আবার বেকার
উপাধি দিয়ে দিলো…
।
।
কিছু খন পর বাস
আসলো..
।
মেয়েটাঃ যাক এবার
সব চিন্তা শেষ হয়ে
গেলো..
।
সাঈদঃ হয়তো বা..
।
বাসে উঠে দুজনে
পাশাপাশি বসে
পড়লাম..
।
।
মেয়েটাঃ আচ্ছা একটা
বলি..
।
সাঈদঃ হুম বলো..
।
মেয়েটাঃ থাক এখন
বলবো না অন্য কোনো
সময়..
।
তার পর আর কী সারা
রাত জার্নি করে সকাল
বেলা শহরে পৌঁছে
গেলাম…
।
সাঈদঃ সারাটা রাত না
ঘুমাতে পেরে মাথাটা
কেমন যানি করছে..
।
মেয়েটাঃ আচ্ছা এখান
থেকে এখন কোথায়
যাবি..
।
সাঈদঃ এইটা গ্রাম না
শহর তাই আমি তুমি
ভাষা ছাড়ে শুদ্ধ ভাষা
বলো প্লিজ না হলো
লোকজন কী বলবে..
।
মেয়েটাঃ আচ্ছা ঠিক
আছে
।
সাঈদঃ ফোনটা বেড়
করে ড্রাইভারকে ফোন
করললাম…
।
ড্রাইভারঃ স্যার বলুন..
।
সাঈদঃ বাস স্টেশনে
চলে আসো তাড়াতাড়ি..
।
ড্রাইভারঃ জ্বী স্যার..
।
সাঈদঃ আমার সাথে
সাথে আসো না হলে
আবার হারিয়ে যাবে..
।
মেয়েটাঃ আমি মনে হয়
ছোটো বাচ্চা যে
হারিয়ে যাবো ( মনে
মনে ) তার পর ওর পিছু
যেতে লাগলাম..
।
সাঈদঃ বাস স্টেশনের
পাশের সবচেয়ে বড়
হোটলে যেতে না
যেতেই..
।
নীলঃ স্যার আপনি..
।
সাঈদঃ হুম তা কেমন
আছো..
।
নীলঃ স্যার ভালো..
।
সাঈদঃ একটু পর কথা
বলি খুব ক্লান্ত..
।
নীলঃ ঠিক আছে স্যার
পরে কথা হবে..
।
স্নেহাঃ লোকটা ওকে
স্যার করে বলছে কেনো
পাগল হয়ে গেলো
নাকি,..
।
।
সাঈদঃ ওখানে দাড়িয়ে
কী করছো ভিতরে
আসো…
।
মেয়েটাঃ আচ্ছা এত বড়
হোটেলে তো আসলাম
ওত টাকা আছে তোমার
কাছে..
।
সাঈদঃ আচ্ছা তুমি একটু
চুপচাপ থাকো সময় হলে
সব জানতে পারবা..
।
মেয়েটাঃ আচ্ছা..
।
সাঈদঃ তার পর হালকা
নাস্তা করে
ফেলেলাম..
।
।
ওয়েটারঃ স্যার
prament cash নাকি
card করবেন..
।
সাঈদঃ কার্ড এ..
।
তার পর বিলটা দিয়ে..
।
বাইরে আসতেই দেখলাম
ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে
চলে এসেছে..
।
।
মেয়েটাঃ কে এই
ছেলেটা.. এ
ছেলেটাকে আমার
বেকার মনে হচ্ছে না
নিশ্চয়ই আলাদা কোনো
রহস্য আছে.. থাকলেও
আমার কী আমার তাকে
হলেই চলবে..
।
।
সাঈদঃ কী হলো ওভাবে
দাড়িয়ে কী ভাবছো..
।
মেয়েটাঃ কিছু না..
।
সাঈদঃ গাড়িতে বসে
পড়ো..
।
মেয়েটাঃ এদিকে
শুনো..
।
সাঈদঃ হুম বলো
.
।
মেয়েটাঃ হাঠাৎ কার এ
করে কেনো ওত টাকা
ভাড়া কই পাবা..
।
সাঈদঃ ভাবো গাড়িটা
তোমারি..
।
মেয়েটাঃ ভাবলেই তো
গাড়িটা আমার হয়ে
যাবে..
।
সাঈদঃ ভাবো তাহলেই
হয়ে যাবো..
।
মেয়েটাঃ আচ্ছা
ভাবলাম গাড়ি টা
আমার এখন..
।
সাঈদঃ ড্রাইভার
গাড়িটা কার..
।
ড্রাইভারঃ স্যার
গাড়িটা তো আপনার
হঠাৎ এই প্রশ্ন করছেন
কেনো …
।
সাঈদঃ দেখলে গাড়িটা
আসলে আমারি
।
মেয়েটাঃ সত্যি
( একবারে শক
খেলাম)
।
সাঈদঃ কী হলো অবাক
লাগছে নাকি.. এটা তো
কিছুই না আরো অনেক
কিছু বাকি আছে…
।
মেয়েটাঃ এমন না হয়
যে এসব দেখে হার্ট
অ্যাটাক করে মরে
যাই..
।
সাঈদঃ কী হলো
গাড়িতে উঠে বসো..
।
মেয়েটাঃ হুম
বসতেছি…
।
গাড়িরতে উঠার পর.
আচ্ছা তুমি কে বলো
তো..
।
সাঈদঃ আমি আমি এ
আর হ্যা তুমি কিন্তু
আমাকে আগে কিছু
বলার সুযোগ দাও নি
এখন তুমিও আমার মতো
চুপচাপ সব কিছু দেখে
যাও আরেকটা কথা বলি
রাখি আমার যা কিছু
আছে সে গুলা সব
তোমারি..
।
।
মেয়েটাঃ একটা গাড়ি
আছে তায় এত ভাব..
।
সাঈদঃ কিছু খন পর
বাসায় চলে আসলাম.
।
গাড়ি থেকে নামতেই…
।
।
মেয়েটাঃ আমার
জীবনে এত বড় বাড়ি
দেখি নি আর এত সুন্দর
বাড়িটা কার আর আমরা
এখানেই বা আসলাম
কেনো..
।
আচ্ছা এটা কোথায়
আসলাম আমরা .
।
সাঈদঃ তোমার
বাড়িতে..
।
মেয়েটাঃ মানে..
।
সাঈদঃ এই বাড়িটাও
আমার..
।
মেয়েটাঃ নাহ এবার
সিরিয়াস হার্ট অ্যাটাক
হবে..
।
সাঈদঃ ভিতরে চলো..
।
একটু যেতে না যেতেই
হঠাৎ মেয়েটা হাতটা
শক্ত করে জরিয়ে
ধরলো..
।
সাঈদঃ কী হলো..
।
মেয়েটাঃ আচ্ছা
তোমার বাবা মা
আমাকে মনে নিবে
নাকি তাড়িয়ে দিবে
আমার এসবের কিছু চাই
না..
।
না চাই গাড়ি না চাই
এত বড়ো বাসা আমার
তোমাকে হলেই চলবে
আর আমি এটা তো
বুঝতে পেরেছি যে তুমি
সাধারণ কেউ নয়..
।
।
সাঈদঃ বুঝতে যখন
পারছো তখন কথা না
বলে ভিতরে চলো আর
হ্যা আমার বাবা মা
কেউ বেচে নেই…
।
মেয়েটাঃ কথাটা শুনে
খুব খারাপ লাগলো
তাদের বিষয়ে না
জেনে কথাটা বলা ঠিক
হয় নি…
।
।
সাঈদঃ আসো ভিতরে..
।
।
মেয়েটাঃ তার হাতটা
ধরে ভিতরে যেতেই যা
দেখলাম..
।
।
চলবে..