#ডিভোর্স
পর্বঃ ৭
লেখকঃ আবু সাঈদ
সরকার
।
কান্না মিশ্রিত কন্ঠে
স্যার প্লিজ আমার
নীলকে আমার কাছে
ফিরিয়ে দিন…
।
সাঈদঃ হ্যালো কে কথা
বলতেছেন…
।
তানিশাঃ আমি
তানিশা নীল হঠাৎ করে
অঙ্গান হয়ে গেছে ওর
এখনো পযন্ত ঙ্গান
ফিরে নি আপনি প্লিজ
একবার আসুন না..
।
সাঈদঃ ওকে…
।
যাবো নাকি যাবো না
একদিকে স্নেহাও ওয়েট
করছে আর ওদিকে না
গেলেও হয় না..
।
কী করি এখন…
।
এখন একটাই উপায় আছে
স্নেহাকে আমার সঙ্গে
নিয়ে যেতে হবে না
হলে মেয়েটা একলা
বাড়িতে থাকতে ভয়
পাবে..
।
তাড়াতাড়ি রুমের দিকে
গেলাম..
।
স্নেহাঃ সেই কখন
থেকে সেজে আছি
এখনো আসছে না
কেনো..
।
সাঈদঃ রুমের মধ্যে
যেতেই স্নেহা…
।
স্নেহাঃ হুম
।
সাঈদঃ এই শাড়িটা
চেনজ করে নতুন একটা
শাড়ি পড়ো একজায়গায়
যাবো..
।
স্নেহাঃ এত রাতে
কোথায় যাবেন আর আজ
না আমাদের ফুল শয্যার
রাত..
।
সাঈদঃ কথাটা বুঝার
চেষ্টা করো এটা আমিও
জানি কিন্তু না গেলে
যে হয় না যাওয়াটা খুবই
দরকার…
।
স্নেহাঃ আচ্ছা ঠিক
আছে আমি শাড়িটা
চেনজ করে আসতেছি..
।
সাঈদঃ আমি ততক্ষণে
ড্রাইভার কে গাড়িটা
বেড় করতে বললাম.
।
কিছু খন পর স্নেহা
নিচে নামলো দুজনে
গাড়িতে বসে নীলের
বাসার উদ্দেশ্য
বেড়িয়ে পড়লাম…
।
।
গাড়িতে..
।
স্নেহাঃ আচ্ছা একটা
বলবো..
।
সাঈদঃ হুম বলো..
।
স্নেহাঃ ছোট থেকে
শুনেছি ফুলশয্যার রাতে
নাকি বিড়াল মারতে হয়
তা আমি তো আমাদের
রুমে বিড়াল দেখলাম
আচ্ছা বিড়াল কী কেউ
ছেড়ে দিয়ে যায়
।
।
সাঈদঃ এগুলো মিথ্যা
কথা আসলে এমন কিছুই
হয় না সব মানুষের
মিথ্যা কথা…
।
স্নেহাঃ ও..
।
তা এত রাতে কোথায়
যাচ্ছি..
।
সাঈদঃ গেলেই বুঝতে
পারবে..
।
কিছু খন পর নীলের
বাসায় পৌঁছে গেলাম
সেখানে যেতেই..
।
স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি..
।
তানিশাঃ এই উঠো না
আমি আর কখনো তোমার
সঙ্গে ঝগড়া করবো না
তোমার সব কথা মেনে
চলবো..
।
স্নেহাঃ মেয়েটার কী
হয়েছে ও এমন ভাবে
কাদছে কেনো..
।
সাঈদঃ ভিতরে চলো
নিজেই বুঝতে পারবে…
।
ভিতরে যেতেই..
।
তানিশাঃ দেখুন না
নীল আমার সঙ্গে কথাই
বলছে না..
।
সাঈদঃ নীল এই নীল না
এর তো শরীরটা ঠান্ডা
হয়ে আসতেছে এখনি
ডাক্তার কে ফোন
করতে হবে..
।
ডাক্তারকে ফোন করে
তাড়াতাড়ি আসতে
বললাম..
।
ডাক্তার এসে নীলকে
চেক করে বললো
পেসেন্ট এর অবস্থা খুব
খারাপ আমি ঙ্গান
ফিরার ইনজেকশন দিয়ে
দিয়েছি শ্রীঘই ঙ্গান
ফিরে আসবে..
।
সাঈদঃ tnx ডাক্তার..
।
ডাক্তারঃ সাঈদ এই
মেয়েটা কে..
।
সাঈদঃ জ্বী আমার বউ..
।
ডাক্তারঃ oh so sweet
girl কবে বিয়ে করলে..
।
সাঈদঃ আজকেই…
।
কথাটা শুনে তানিশা
ফ্যাল ফ্যাল করে আমার
দিকে তাকিয়ে আছে
এটা ওর কর্ম ফল…
।
সাঈদঃ আমাদের
যাওয়ার হয়ে গেছে আর
হ্যা যাওয়ার আগে
একটা কথা বলছি
মানলে মানবা না হলে
নাই নিজের স্বামীর
খেয়াল রেখো না হলে
জীবনে অনেক পস্তাতে
হবে বলেই চলে
আসলাম…
।
।
স্নেহাঃ কে মেয়েটা
আর ছেলেটাই বা কে..
।
সাঈদঃ ছেলেটা নীল
আমার জুনিয়র
অফিসার..
।
আর মেয়েটা সেই যে
টাকার জন্য নিজের
স্বামীকে ছেড়ে
দিয়েছিলো..
।
।
স্নেহাঃ তার মানে এই
সেই মেয়েটা তুমি
কেনো আসলে এখানে
আমি আগে জানলে
একদম আসতে দিতাম
না…
।
সাঈদঃ ওমা তাই
নাকি…
।
স্নেহাঃ হুম ওই মেয়েটা
তোমাকে এত কষ্ট
দিচ্ছে আর তুমি তার
স্বামীকে দেখার জন্য
ডেং ডেং করে এখানে
চলে আসলে ( রেগে )
।
সাঈদঃ না মানে এটা
তো আমার কর্তব্য
( মেয়েটাকে রাগলে
অনেক কিউট লাগে যখন
রেগে যায় গাল গুলো
রাগে লাল হয়ে যায় )
।
।
স্নেহাঃ আজকের পর
থেকে আর যদি আসো
তাহলে…
।
সাঈদঃ আসবো না
হয়ছে…
।
স্নেহাঃহুম
।
বিয়ে পর কিন্তু সবাই বউ
এর কথা মেনে চলে
তুমিও চলবা..
।
সাঈদঃ এই কথাটা
কোথাও লেখা আছে
নাকি
।
স্নেহাঃ হুম
।
সাঈদঃ বেশি কথা না
বলে বাসায় চলো…
।
।
স্নেহাঃ হুম …
।
তার পর বাসার উদ্দেশ্য
বেড়িয়ে পড়লাম..
।
সাঈদঃ বাসায় ফিরতে
সকাল হয়ে এসেছে
স্নেহা তো গাড়িতেই
ঘুমিয়ে গেছে..
।
মেয়েটাকে ঘুমন্ত
অবস্থায় খুব সুন্দর
লাগে…
।
।
বাসায় এসে স্নেহাকে
কোলে করে বিছানায়
এনে শুয়েই দিলাম.
।
আমি নিচে এসে ফ্রেশ
হয়ে এক কাপ চা খেয়ে
খবরের কাগজ পড়তে শুরু
করলাম…
।
হঠাৎ চোখ পড়লো একটা
বিশাল রেসটুরেন্ট
বিক্রি করা হবে…
।
আচ্ছা এই রেস্টুরেন্টে
টা কিনে যদি স্নেহার
নামে লেখে দিয়
তাহলে ও অনেক হ্যাপি
হবে আর এটা আমি ওকে
সারপ্রাইজ দিবো..
।
নিচের দেওয়া
নাম্বারে কল করে
রেস্টুরেন্ট টা কিনে
ফেললাম…
।
।
।
।
।
।
।
।
।
ওদিকে…
।
।
।
।
।
স্নেহার মাঃ মেয়েটা
শেষ এ এভাবে আমাদের
মানসম্মান মাটিতে
মিশিয়ে দিলো..
।
স্নেহার বাবাঃ সব
কপাল এর দোষ স্নেহার
মা..
।
স্নেহার মাঃ কাল
মায়া বিদেশ থেকে
ফিরবে ওকে আনতে
যেতে হবে..
( মায়া স্নেহার ছোট
বোন বিদেশে লেখা
পড়া করেছে কাল দেশে
ফিরবে )
।
স্নেহার বাবাঃ আজ
থেকে স্নেহা নামের
আমাদের কোন মেয়ে
ছিলো সেটা ভুলে যাও
একটা বেকার অপদার্থ
ছেলের সঙ্গে পালালো
যার কোনো স্ট্যাটাশ
নেই…
।
কাল মায়াকে আনতে
আমরা দুজনে যাবো …
।
।
।
।
স্নেহাঃ ঘুম ভাঙ্গতেই
নিজেকে রুমে মধ্যে
দেখলাম আমি তো
গাড়িতে ছিলাম বাসায়
কখন আসলাম ঠিক
তখনি..
।
চলবে