#ডিভোর্স
পর্বঃ ৮
লেখকঃ আবু সাঈদ
সরকার
স্নেহাঃ আমি তো
গাড়িতে ছিলাম রুমে
কখন আসলাম…
।
সাঈদঃ কাল স্নেহাকে
পুরো সারপ্রাইজ করে
দিবো…
।
স্নেহাঃ উপর থেকে
নিচে নামার সময় ওনার
কথাটা স্পষ্ট শুনতে
পেলাম আচ্ছা ওনি
কোন সারপ্রাইজ কথা
বলতেছেন..
।
নিচে এসে..
।
সাঈদঃ এত তাড়াতাড়ি
ঘুম ভেঙ্গে গেলো…
।
স্নেহাঃ হুম..
।
আচ্ছা আপনি কোন
সারপ্রাইজ কথা বলতে
ছিলেন..
।
সাঈদঃএই রে এই কথাটা
শুনতে পেলো না মানে
ওইটা সিকরেট..
।
স্নেহাঃ ও তাই..
।
সাঈদঃ হুম কালকে
জানতে পারবা…
।
স্নেহাঃ সত্যি..
।
সাঈদঃ হুম…
।
।
।
।
।
স্নেহার মাঃ মায়া
যেনো স্নেহার কথা
জানতে না পারে
নিজেই যখন নিজের
পায়ে কুড়াল মারছে
তখন আমাদের তাকে
ভুলে যাওয়াই উচিত..
।
স্নেহার বাবাঃ হ্যা
মেয়েটা বাসায় আসলে
একটা ভালো ছেলের
সঙ্গে বিয়ে টা দিয়ে
দিতে হবে…
।
স্নেহার মাঃ মেয়েটা
আগে সুস্থ শরীরে ফিরে
আসুক তার পর না হয়
এসব কথা ভাবা যায়…
।
।
।
দেখতে দেখতে দিন
পেরিয়ে রাত… রাত
পেরিয়ে দিনের আলো
ফুটলো..
।
স্নেহার বাবা আর আমি
শহরের উদ্দেশ্য
বেড়িয়ে পড়লাম কয়েক
ঘন্টা পর শহরে পৌঁছে
গেলাম ঠিক তখনি…
।
।
।
মায়াঃ আব্বু কোথায়
তুমি..
।
স্নেহার বাবাঃ এই তো
মা চলে আসছি তুই ৫
মিনিট বসে থাক আমরা
৫ মিনিটে এয়ারপোর্টে
পৌছে যাবো..
।
মায়াঃ ঠিক আছে
বাবা…
।
৫ মিনিট পর..
।
মায়াঃ সামনে মা
বাবাকে দেখতে পেয়ে
ছুটে গেলাম তাদের
কাছে ১০ বছর পর
তাদের সঙ্গে দেখা
হলো…
।
।
স্নেহার মাঃ তুই তো
অনেক বড় হয়ে গেছিস..
।
মায়াঃ হুম কেমন আছো
তোমারা..
।
স্নেহার মাঃ ভালো রে
তুই..
।
মায়াঃ ভালো আচ্ছা
মা স্নেহা আসে নি..
।
স্নেহার মাঃ না ওর
শরীর খারাপ..
।
মায়াঃ ও আচ্ছা মা খুব
খিদে পেয়েছে চলো
কোথাও গিয়ে কিছু
খাই..
।
স্নেহার বাবাঃ
সামনেই একটা বড়
রেস্টুরেন্ট আছে
ওইটাতে চল…
।
।
।
রেস্টুরেন্ট এ এসে যেই
টেবিলে বসতে যাবো
ওমনি…
।
।
ওয়েটারঃ স্যার স্যার
এই টেবিলে বসবেন না..
।
মায়াঃ কেনো..
।
ওয়েটারঃ ম্যাম এই
টেবিলটা স্পেশাল
গেসট এর জন্য..
।
মায়াঃ কে সেই
স্পেশাল গেস্ট শুনি…
।
ওয়েটারঃ এই
রেস্টুরেন্ট এর নতুন
মালিক ওনি তো
কালকেই এই রেস্টুরেন্ট
টা কিনে নিয়েছেন
ওনার বউ কে গিফট
হিসেবে দিবে বলে
ওনি এখনি আসবেন
ওনার বউ কে নিয়ে তাই
এই টেবিলটা এতো
সাজানো হয়েছে…
।
স্নেহার বাবাঃ তা
মানুষটা কী করে যে বউ
এর জন্য এত বিশাল
রেস্টুরেন্ট নিয়েছে..
।
ওয়েটারঃ কাল কথা
বলে যত দুর জানতে
পারলাম..
।
ওনি ব্যাংক এর
সিনিয়ায় অফিসার ..
।
স্নেহার বাবাঃ তাহলে
তো খুব ধনি পরিবারের
ছেলে..
।
আয় মা পাশের টেবিল
টা তে বসি…
।
।
।
।
।
অন্য দিকে…
।
।
সাঈদঃ এত খন লাগে
রেডি হতে…
।
স্নেহাঃ হয়ে গেলো…
।
রুম থেকে বেড়োতেই…
।
সাঈদঃ আজ সুন্দর
লাগছে কেনো
।
স্নেহাঃ জানি না
।
সাঈদঃ বাইরের যেনো
কারো নজর না লাগে…
।
স্নেহাঃ আপনি
যেভাবে তাকিয়ে
আছেন তাতে আপনারি
নজর লাগবে…
।
সাঈদঃ লাগুক..
।
।
চলো তাড়াতাড়ি..
।
স্নেহাঃ হুম…
।
।
।
।
মায়াঃ খাওয়া তো শেষ
এবার যাওয়া যাক…
।
স্নেহার মাঃ হুম উঠতে
যাবো ঠিক তখনি…
।
।
সাঈদঃ গাড়ি থেকে
নিচে নামতেই…
।
হোটেলের ওয়েটার
গুলো আমাদের ফুল
দিয়ে বরণ করে নিলো..
।
স্নেহাঃ আমরা কোথায়
আসলাম হুম আর এরা
আমাদের ফুল দিচ্ছে
কেনো…
।
।
সাঈদঃ এই রেস্টুরেন্ট
টা আজ থেকে তোমার
কাল তোমার জন্য
কিনেছি…
।
স্নেহাঃ সত্যি আমার
জন্য…
।
সাঈদঃ হুম..
।
ভিতরে চলো…
।
ভিতরে যেতেই…
।
স্নেহার বাবাঃ হঠাৎ
গাড়িটা থেকে
স্নেহাকে নামতে দেখে
অবাক লাগছে স্নেহা
এখানে কী করে…
।
স্নেহার মাঃ স্নেহা
এখানে…
।
মায়াঃ মা ওটা স্নেহা
না…
।
স্নেহার বাবাঃ
ওয়েটার…
।
ওয়েটারঃ জ্বী বলুন…
।
স্নেহার বাবাঃ
ছেলেটাকে কে আর
তার পাশের
মেয়েটাকে…
।
ওয়েটারঃ ওনিই তো এই
হোটেলের মালিক আর
পাশের টা ওনার বউ…
।
।
স্নেহার বাবাঃ কথাটা
শুনে মাথায় বাজ পড়ার
মতো অবস্থা…
।
স্নেহার মাঃ স্নেহা
বলছিলো ছেলেটা
বেকার তাহলে এই
ছেলেটা কে..
।
।
।
সাঈদঃ ভিতরে এসে..
।
স্নেহাঃ তুমি আমাক
এততটা ভালোবাসো..
।
সাঈদঃ হুম আজ থেকে
এটার তোমার…
।
এটা তো কিছুই না
আমার যা আছে সব তো
তোমারি…
।
স্নেহাঃ আমার কপালে
এতটা সুখ লেখা ছিলো
সেটা কোন দিন
কল্পনাও করি নি…
।
।
ঠিক তখনি নজর টা
পড়লো পাশের
টেবিলে..
।
ওমনি যা দেখলাম তা
দেখে নিজের চোখকে
বিশ্বাস করতে পারছি
না…
।
সাঈদঃ কী হলো মুখটা
এমন ফ্যকাশে হয়ে
গেলো কেনো…
।
স্নেহাঃ সামনে
সামনে…
।
সাঈদঃ কী হলো ভয়
পাচ্ছো কেনো..
।
স্নেহাঃ পাশের
টেবিলে মা বাবা বসে
আছে…
।
ওরা যদি আমাদের
দেখে ফেলে…
।
সাঈদঃ ও যাক ভালোই
হলো চলো তাদের সঙ্গে
কথা বলে আসি…
।
স্নেহাঃ না আমার ভয়
করছে..
।
সাঈদঃ আমার পিছনে
পিছনে আসো…
।
।
টেবিল থেকে উঠে…
।
স্নেহার বাবাঃ
ছেলেটা তো আমাদের
দিকেই আসতেছে…
।
চলবে