তুই আমার জানপাখি
Faria Siddique
Part 20
সকালে
।
।
।
আমি ঘুমাচ্ছি।।।।
মনে হল কেউ আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে।।।।।
ভোর ৫ঃ০০ টা বাজে।।।
আমি ভালো করে চোখ মেলে দেখলাম আমার হিরো সাহেব মানে রুদ্র আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে।।।।।
আমি অবাক হয়ে ভাবছি কখন আসল আর কিভাবে আসল।।।
আমি তো দরজা বন্ধ করে রেখেছিলাম তাহলে আসল কিভাবে।।।তারপরেই আমার চোখ যায় বারান্দার দিকে।।।।।
আমি ছুটতে চাইলেই রুদ্র আমাকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরল আর বলল
রুদ্রঃপ্লিজ জানপাখি আমার শান্তির ঘুমটা ঘুমাতে দাও।।।।
আমিঃআপনার যত ইচ্ছা আপনি ঘুমান কিন্তু সেটা আমার রুমে না নিজের রুমে।।।।
আর আমাকে ছাড়ুন।।।
রুদ্রঃদেখ আমি এমনিতেই তোমার ওপর রেগে আছি।।।।।
আমাকে আর রাগিও না।।।তাহলে কিন্তু তোমার ওপরই কিন্তু আমার সব রাগ ঝাড়বো।।।।
আমিঃ দেখুন আমাকে ছেড়ে তারপর ঘুমান।।।।।
রুদ্রঃতোমাকে ছাড়লেই আমার শান্তির ঘুম ভেঙে যাবে।।।।আর আমি আমার জানপাখিকে জড়িয়ে ধরে যে শান্তির ঘুম ঘুমাতে পারব তা নিজের রুমে পারব না।।।তাই no more words…..
বলেই আমাকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে গেল।।।
আমি আর কিছু বললাম না।।।।।
১ ঘন্টা পর মহারাজ ঘুম থেকে উঠল।।।।
আমি রাগিভাবে তাকিয়ে আছি।।।।।
রুদ্রঃকি হল।।।।।তাকিয়ে আছ কেন???আর হা কালকের ড্রেস গুলা পরে বাহিরে যাওয়ার জন্য তোমার একটা শাস্তি পাওয়া উচিৎ।।।।
আমি কিছু বলতে যাব তার আগেই রুদ্র আমার ঠোট দখল করে নিল।।।
আমি ছুটার জন্য চেষ্টা করতে লাগলাম।।
কিন্তু এই বডিবিল্ডারের সাথে পারছি না।।
প্রায় ১০ মিনিট পর ছাড়লেন।।।দুইজনই হাপাতে লাগলাম।।।।
রুদ্রঃ আরও পরে ছাড়তাম কিন্তু ভাবলাম তোমার মত পিচ্ছি মেয়ে পারবে না।।তাই ছেড়ে দিলাম।।।।।আর ওইগুলা পরে রুমের বাহিরে যাবা না।।।।।।
আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে চলে গেল কিন্তু আবার ফিরে এসে বলল
রুদ্রঃ আর হা কালকের ঘুমটা আমার লাইফের বেস্ট ঘুম ছিল।।।।।
এই বলেই চলে গেল।।।।।।
রুদ্র যেতেই রুশা আসল আমার ঘরে এসে আমাকে দেখে হাসতাছে।।।।
আমিঃকি হলো এভাবে গরুর মতো বেটকাইতাছস কেন?¿??
রুশাঃনা মানে তুই কি আজকাল লিপস্টিক দিয়া রাতে ঘুমাস নাকি?????(শয়তানি হাসি দিয়ে)
আমি এবার বুঝলাম।।।।।।
আমিঃ তুই যা এখান থেকে।।।।।
রুশাঃআরে যাব পরে আগে বল ভাইয়ার সাথে রোম্যান্স কেমন করলি????
আমি কিছু না বলে রুশাকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দিলাম।।।।
বিকালে
।
।
।
বউমা আমার রুমে এসে বলল রেডি হয়ে নিতে মেহমান রা নাকি আসার শুরু করে দিয়েছে।।।।।
সারাদিন আর রুদ্রের কোন খোজ নেই নি।।।
তারপর আমি শাওয়ার নিয়ে এসে দেখি রুদ্র বসে আছে।।।।
আমিঃ আপনি এখানে কি করছেন????
রুদ্র কিছু না বলে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।।।।
আমিঃ কি হল চুপ করে আছেন কেন???
রুদ্রঃআমি তো জানতাম না যে আমার জানপাখিকে টাওয়ালে এত সুন্দর লাগে।।।।
আমি এতক্ষণে নিজের দিকে খেয়াল করলাম।।।।
আর জামা নিয়ে দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।।।
এসে দেখি রুদ্র নেই।।।
আমি হাফ ছেড়ে বাচলাম।।।।
আমি ভাইয়াদের রুমে গিয়ে তাদের জামা দিয়ে আসলাম।।।।
এসে নিজেও রেডি হয়ে নিলাম।।।
আমি লাল লেহেঙ্গার সাথে বড় বড় ঝুমকা পরেছি।।।।
চুল গুলা মাঝখান দিয়ে সিতা করে একটা টিকলি পরলাম।।।।
একটু ডিপ সাজলাম।।।।
ওরনা একপাশে ছেড়ে দিলাম আর অন্য পাশে কিছু চুল এনে রাখলাম।।।।
লাল কালারের লিপস্টিক দিলাম।।।।
আয়নায় নিজেকে দেখে নিজের প্রেমে পরে গেলাম।।।।।
এমন সময় রুশা ঘরে ঢুকল।।।
রুশাকেও সেই লাগছে হলুদ কালারের লেহেঙ্গাতে।।
আমিঃ বা তোকে তো সেই লাগছে।।।।।
রুশাঃতোর থেকেও কম লাগছে।।।।
আমি আর কিছু বললাম না।।।
সন্ধ্যায়
আমি মিরাজ ভাইয়ার সাথে ভাইয়ার রুমে বসে আছি,।।।।
আমার আর সায়মার ওপর দায়িত্ব পরেছে ভাইয়াকে রেডি করে নিচে নিয়ে যেতে।।
ভাইয়ার রেডি হয়া হয়ে গেছে।।।
আমি আর সায়মা ভাইয়ার দুইপাশে ধরে সিড়ি দিয়ে নামতে লাগলাম।।।
সায়মাকেও আজকে সেই লাগছে।।। সায়মাও লাল লেহেঙ্গা পরেছে আর চুল গুলা বেনি করে একপাশে রেখেছে।।।হালকা সাজ।।।।।
পুরা লাইটের ফোকাস আমাদের ওপরে।।।।
বিশাল আর রুদ্র তো আমাদের দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে।।।।।
মিরাজ ভাইয়া আজকে হলুদ পাঞ্জাবী পরেছে।।।।
আর ওনার সব ফ্রেন্ডরা সবুজ পাঞ্জাবী পরেছে।।।
কিন্তু রুদ্র লাল পাঞ্জাবী পরেছে।।।।।।
আমি ভাইয়াকে স্টেজে বসিয়ে দিয়ে ভাইয়াদের কাছে গেলাম।।।
আমার চার ভাই আজকে লাল পাঞ্জাবী পরেছে।।।।
আমরা পাচজনেই লাল পরেছি।।।
দুই ভাইয়াঃআজকে আমাদের টুকুকে পুরা লালপরি লাগছে।।।।
আমিঃতোমাদের ও সুন্দর লাগছে।।।।।
বিশালঃআমরা জানি আমাদেরকে সুন্দর লাগছে।।।।।(ভাব নিয়ে)
আমিঃতোকে কে বলল যে তোকে সুন্দর লাগছে??দেখ কুত্তা যতই সাজুক তাকে কিন্তু কুত্তাই লাগে।।।।
এই বলেই আমরা সবাই হাসতে লাগলাম।।।
চলবে……….