তুমি নামক প্রাপ্তি পর্ব-১০

0
3729

#তুমি_নামক_প্রাপ্তি
#part:10
#Suraiya_Aayat

” আমার 5 দিনের ছুটি চাই sir .”( আরু নিস্ঙকচে বলল অফিসের বসের কাছে)

” আচ্ছা বেশ তো , আর কালকেই আমি আপনার ফাইলটা চেক করছিলাম, কোন ভুল নেই তাতে, আর সবথেকে অবাক হলাম যখন দেখলাম ছুটির দিনগুলো ছাড়া তোমার এক্সট্রা কোন ছুটি নেই ৷”

কথাটা শুনে আরূ মুচকি হাসলো,তারপর খানিকটা হাসি মুখেই বলল
” প্রয়োজন পড়ে না sir ছুটির, তাই অহেতুক ছুটি নিয়ে কি করবো বলুন তো ৷”

উনি খানিকটা অবাক হয়ে বললেন,,,,,
” কেন ইচ্ছা করে না মা ! সবারই একটা পরিবার আছে সবাই চাই তার পরিবারের সাথে সময় কাটাতে,তেমনি তোমারো তো ইচ্ছা হওয়াটাই স্বাভাবিক ৷”

” আমার পরিবারটা খুব একটা বড়ো নয় sir আবার খুব একটা ছোটও নয় sir, আমার পরিবার বলতে আমি আর আমার ছেলে ৷”

উনি এবার অবাক সুরে বললেন,,,,
” তোমার হাজবেন্ড !”

হাজবেন্ড কথাটা শুনতেই আরূর মুখে একরাশ কালো মেঘ ঘনিয়ে এলো ৷ ওর হাজবেন্ড বলতে আরিশ, আর আরিশ মানেই নিহান, আর নিহান মানেই আরিশ কি সেটা নিয়ে আরু দোটানায় ভুগছে, ও নিজেও যে যানে তার প্রিয় মানুষটার কথা তাই অহেতুক নিজের সম্মান রক্ষাত্রে আরু এমন মিথ্যা কখনোই বলতে রাজী নই তাই এবারো কোন দ্বিধা না রেখে বলল
” আমি সিঙ্গেল মাদার sir.আর এটাই আমার পরিচয় ৷”
আরুর মুখ থেকে এটুকু কথা শোনার পর ওনার মনেও আর কোন সংশয় রইলো না যে আরু ঠিক কি বোঝাতে চাইছে ৷
উনি এবার কথাটা ঘোরানোর জন্যই বললেন
” তুমি সম্পর্কে আমার মেয়ের মতো তাই তোমাকে মা বলে সম্মোহন করলাম, কিছু মনে করোনা মা ৷ আমার একটাই ছেলে কোন মেয়ে নেই ৷”

আরু ওনার কথা শুনে বেশ একটু আবেগাপ্লুত হলো, একরাশ হাস্সোজ্জল মুখ করে বলল
” কিছু মনে করার কি আছে ! আর আপনার মুখে মা ডাকটা শুনে আমার নিজর ও খুব ভালো লেগেছে ৷ নিদ্বিধায় আমাকে মা বলে সম্মোহন করবেন ৷”

উনি এবার খানিকটা হো হো করে হেসে বললেন
” আচ্ছা বেশ বেশ ,বলবো এবার থেকে ৷ তা কোথায় যাচ্ছো মা তোমার ছেলেকে নিয়ে ?”

” একটু দূরে কোথাও ই যাচ্ছি sir ,কক্সবাজারের কাছেই, ইনানী বীচ ৷”

” ওহহহ আচ্ছা , সাবধানে যেও, আর কোন অসুবিধা হলে আমাকে অবশ্যই ফোন করো ,ওখানে আমার একটু আধটু চেনা পরিচিতি আছে আরিকি যদি তোমার কোন সাহায্য করতে পারি ৷”

” অবশ্যই sir .”

উনি একটু ধমক দিয়ে বলল
” sir কিসের ! আমি তোমাকে মা বলে সম্মোহন করেছি আর তুমি আমাকে sir বলো ! আঙ্কেল বলবে ৷”
কথাটা বলে উনি হেসে ফেললেন ৷
প্রথমে ওনার ধমক শুনে আরূ খানিকটা ভয় পেয়ে গেলেও পরে নিজেকে সামলে নিলো, তারপর ওনার হাসির সাথে নিজেও তাল মেলালো ৷
তারপর হাসিটা থামিয়ে বলল
” আচ্ছা sir আসছি, বাসায় গিয়ে আবার অনেক গোছগাছ ও করতে হবে ৷ ”

” আচ্ছা মা সাবধানে যেও ৷”

” আল্লাহ হাফেজ ৷”
কথাটা বলে আরু রূম থেকে বেরিয়ে গেল ৷নিজের ডেক্স থেকে ব্যাগটা কাঁধে তুলে নিয়ে পাশের ডেক্সে বসে থাকা লারার দিকে তাকিয়ে বলল
” কি হলো লারা আজ বাসায় ফেরার জন্য কোন তাড়া দেখছি না যে, অন্যদিন তো 5টা বাজলেই দৌড়াতে দৌড়াতে ছুটে যাও, আজকে এমন নিষ্প্রান আর চুপচাপ কেন ? ”

” বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঝামেলা হয়েছে, সে একদম পছন্দ করে না আমি অন্য কোন ছেলের সাথে কথা বলি ৷ কালকে আমাকে রিফাতের সাথে অফিস থেকে বেরোতে দেখে সেই যে ঝগড়া করে কথা বন্ধ করেছে, আজ এখনো কোন কথা বলেনি ৷”

আরু লারার কথা পরিপ্রেক্ষিতে শুধু ” ওহহ ” শব্দটা বলে বেরিয়ে এলো ৷ লারাকে শান্তনা দেওয়ার মতো কোন শব্দ ওর কাছে নেই,আজ পাঁচ বছর হয়ে গেল নিজের প্রিয় মানুষটাকে কাছে পাইনা, তার সমস্ত আভিমান-অভিযোগ থেকে বঞ্চিত ও ৷ লারার কথা শুনে ওর আরিশের কথা মনে পড়ে গেল ৷ আরিশ ও পছন্দ করতো না যে আরু অন্যকারোর সাথে বেশি কথা বলুক, অনেক অধিকার খাটাতো, কিন্ত আজ মানুষটা নেই ৷ আজ লারার বয়ফ্রেন্ড এমন অধিকার দেখিয়েছে আর তার সাথে কথা বলছেনা বলে মন খারপ, প্রিয় মানুষের কদরটা ঠিক তখন কমে যাই যখন তারা আমাদের থেকে দূরে চলে যাই, সঠিক সময়ে ভালোবাসাটা না বুঝলে তার কষ্টটা হয় সারা জীবনের জন্য ৷

কথাগুলো আরূ ভাবছে আর রাস্তার পাশ দিয়ে হাটছে ৷ অফিস থেকে ওর বাসা প্রায় 20 থেকে 25 মিনিটের রাস্তা, আজকে কেন জানিনা আর হেটে ফিরতে ভালো লাগছে না, ভাবলো একটা রিকশা নেবে ৷ রিকশার জন্য রাস্তার একধারে দঁড়িয়ে থাকতেই হঠাৎ পাশে ফোনে কথা বলার আওয়াজ ভেসে আসতেই আরু ক্লান্ত দৃষ্টিতে পাশ ফিরে তাকাতেই দেখলো মধ্যবয়সী একজন লোক ,বয়স কতোই বা হবে , চোখের আন্দাজে 55 মতো হবে, তিনি ফোনে খানিকটা বিচলতার সুরেই কথা বলছে তা আরু ওনার কথা শুনেই বুঝতে পেরেছে ৷

” তুই চিন্তা করিস না মা আর একটু কষ্ট সহ্য কর আমি আসছি, আর বেশি ভয় লাগলে তোর রহিমা খালার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে রাখ,আজ তোর মা থাকলে হয়তো এতো কষ্ট অনুভব করতিস না ৷”

অপর দিক থেকে মেয়েটা কি বলছে আরু শুনতে না পেলেও মেয়েটার লেবার পেইন আরু খুব ভালো ভাবেই অনুভব করতে পারছে ৷

লোকটা এবার চোখের জল মুছে বলল,,,,,
” আমি এক্ষুনি আসছি,তুই কষ্ট পাস না মা ৷”
কথাটা বলে লোকটা আর কানে ফোন ধরে রাখতে পারলো না, ফোনটা কান থেকে নামিয়ে হাউহাউ করে কাঁদতে লাগলো ৷ হয়তো ওনার কান্নার আওয়াজটা তার কানে পৌচ্ছাছে সেও হয়তো কষ্টে আর কিছু সহ্য করতে পারছে না ৷

আরু ওনার থেকে চোখ ঘুরিয়ে নিলো, ওর চোখেও জল ৷ একটা মেয়ের লেবার পেইন ঠিক কতোটা কষ্টকর তার বাবা হয়তো খুব ভালো ভাবেই উপলদ্ধি করতে পারছে ৷
ওনার কান্না দেখে আরুর মনে পড়ে গেল আর্শিয়ানের জন্ম হওয়ার সময়ের কথা ৷ সেদিন ও কাউকে পাশে পাইনি না আরিশকে না আরুর পরিবারের লোককে ৷সেদিন আরু ওর বাবকে ফোন করেছিলো কিন্তু উনি নাকি বাসায় ছিলেন না ৷ কথাটা শুনে আরু দ্বিতীয়বার আর ফোন করে তাকে আসার জন্য বলেনি ৷ আজ ওর নতুন বস মিনহাজ সাহেবের এমন পিতৃসুলভ আচরন দেখে আরুও অনেক খুশি হয়েছিলো,এমন আচরন ও কখনো ওর বাবার থেকেও পাইনি ৷
মানুষের জীবনটা অনেকটা খেলাঘরের মতো,অনেকে বাবা পেয়েও আবার ভালোবাসা পাইনা , আর আর্শিয়ানও তার বাবার ভালোবাসা পাইনি বলে আরু কখনো ভালোবাসার কমতি রাখেনি ৷

লোকটার কান্নার আওয়াজ আরুর কানে ভেসে আসতেই আরুর পক্ষে সম্ভব না সেখানে আর দাড়িয়ে থাকা ৷ রিকশা করে যাবে ভেবেছিলো কিন্ত সেই মনমেজাজটা আর নেই, না পেরে বিধস্ত মন নিয়ে আবার হাটতে শুরু করলো৷
“হেটেই তো রোজ এতোটা পথ যাই সেখানে একদিন রিকশা করে যাওয়াটা বিলাশিতা ৷”
কথাটা বলে আরু নিজের মনকে শান্তনা দিলো ,দিয়ে রোজকারের মতো আবার হাটতে শুরু করলো ৷

🎀

আরু ব্যালকনিতে বসে আছে চুপচাপ, আজকে আবহাওয়াটা বড্ড গরম ,ভ্যাপসা অনুভুতি ,চারিদিকে দম বন্ধ হওয়া পরিবেশ তবুও নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছে৷ আর্শিয়ান আবিরের সাথে একটু বাইরে গেছে ৷
কিছুক্ষন আগে উপরের ফ্ল্যাটের মহিলাটা এসে ওর সাথে গল্পগুজবে ব্যাস্ত ছিলেন,যদিও তার কথার বেশিরভাগই হলো পরনিন্দা-পরচর্চা যা আরু একদমই পছন্দ করে না ৷ মানুষ কি যে সুখানুভূতি পাই এই কাজটি করে তা আরুর আজও বোধগম্য হয়নি ৷

আজ খুব ইচ্ছা করছে অনিকা খানকে ফোন করতে, এই পাঁচ বছরে ও নিজে খুব কম ফোন করেছে অনিকা খানকে, ওনার মাঝে মা নামক অনুভুতিটা খুব দৃঢ় তবুও আরু অনেক কষ্টে সেই অনুভূতি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে ৷
যা ভাবা তাই কাজ, আর বেশি দেরি না করে অনিকা খানকে ফোন করলেন ৷

কিছুখন ধরে রিং বাজতেই অনিঅঅ খান ফোনটা ধরলেন…..
আরু ভাঙা গলায় বললো
” কেমন আছো মামনি ?”

” ভালো ৷”( গম্ভীর সুরে)

” রেগে আছো আমার ওপর !”(আরুর চোখে জল)

“নাহ ৷”

আরু এবার খানিকটা মুচকি হেসে বলল
” মা হয়ে মেয়ের কাছে রাগ লুকালে হবে ! কি কারনে রেগে আছো শুনি তাহলে আমিও যাগ ভাঙানোর একটা ব্যার্থ চেষ্টা করে দেখতে পারি আরকি !”

অনিকা খান এবার রেগে উঠে চেঁচিয়ে বলল
” তুই আমার সাথে মজা করছিস হ্যাঁ ! সমাজে একটা মেয়ে হয়ে সব একা একাই সহ্য করছিস, একা একাই সব আপদ-বিপদে লড়ছিস একবারো কি আমাদের জানানোর প্রয়োজন বোধ করিস না ! আমরা কি এতোটাই পর !”

কথাটা বলে উনিও ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলেন ৷ আরু চুপ করে আছে, কষ্ট যে ওর ও হচ্ছে !
অনিকা খান কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলেন
” তোর অফিসের বস যে তোর সাথে এতো খারাপ ব্যবহার করেছে সেটা তুই জানাসনি কেনো ! আর কি দরকার এসব জব টব করার, আমাদের কি পয়সা কম পড়েছে! মাস গেলে তোকে টাকা পাঠাতে গেলে তুই নিতে না করে দিস কেনো মা ! আমরা কি তোর জন্য এটুকুও করতে পারবো না !”

অনিকা খান নিজেও ইমোশোনালি কথবার্তা বলছেন আর আরুকেও ইমোশনাল করে ফেলছে দেখে আরু কথা ঘোরানোর জন্য বলল
” তোমার ছেলেকে খুঁজে পেয়েছি ফুপি ৷”

কতটা শুনে অনিকা খান অবাক না হয়ে গম্ভীর হয়ে বললেন,,,,,
” চাইনা আমার অমন ছেলের যে তার নিজের মা-বউ-বাচ্চাকে চিনতে পারে না ৷”

আরু ভেবেছিলো কথাটা ওনাকে বলে ওনাকে অবক করে দেবে কিন্তু এখন ওনার মুখ থেকে এমন কথা শুনে আরু অবাক হয়ে বলল
” তুমি কি করে জানলে ?”

” কালকে সুপারমলে শপিং করতে গিয়ে দেখতে পাই আরিশের মতো একজনকে, নিজের ছেলেকে এতদিন পর চোখে দেখতে পেয়ে আর থাকতে পারলাম না, দৌড়ে ছুটে গেলাম ওর কাছে, গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে হাঈহাউ করে কাঁদতেই ও অবাক লয়ে আমাকে ছাড়িয়ে বলল
“কে আপনি ?”
আমি বারবার ওকে বললাম যে আমি তোর মা, তারপর তোর আর আর্শিয়ানের কথাও বললাম, কিন্ত সে বলে সে নাকি কাউকেই চেনে না , তাই সপাটে একটা চড় মেরে দিলাম ৷”

ওউ খুব অবাক হলো, আমাকে কিছু বলতে যাবে তার আগে ফোন আসতেই জানতে পারলাম যে সে নাকি আজে কক্সবাজার যাচ্ছে ,তার নাকি সুটিং আছে ৷
ওর এমন ব্যাবহার আমার আর সহ্য হয়নি ৷ চলে এসেছিলাম ওখান থেকে, সানা ওর মেয়ে মুগ্ধতাকে নিয়ে আমার সাথে শপিং এ গিয়েছিলো , যদিও আরিশকে ও দেখেনি, আমাকে দেখে চিনতে পারেনি যখন সেখানে সানার সামনেও যদি অমন অপরিচিতদের মতো ব্যাবহার করে তাহলে মেয়েটা কষ্ট পাবে তাই ওকে বলিনি আমি ৷”

কথাগুলো শুনে আরু দীর্ঘশ্বাস নিলো ৷ এখন আর নিজেকে অবাক লাগছে না কারন ওর সাথেও যা ঘটেছে অনিকা খানের সাথেও তাই ঘটেছে আর নিজেকে নিহান হিসাবে পরিচয় দিয়েছে, সেটাও ওর কাছে বেশ পরিষ্কার ৷

অনিকা খান বলে উঠলেন,,,,
” খবরদার ওই ছেলের জন্য কষ্ট পাবি না, ভেবে নে আরিশ আর নেই ৷”

কথাটা শুনতেই আরুর বুকের ভিতর মোঁচড় দিয়ে উঠলো, কষ্ট পেতে পেতে কতোটা কঠোর হয়ে গেলে মানুষ তার নিজের ছেলেকেও ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করে তা আরু অনিকা খানকে দেখে বুঝতে পারছে ৷এটা জানতে পারলো যে আরিশ কক্সবাজার যাচ্ছে, আর ওউ কালকে ইনানী বিচ এ যাবে , কথাটা আরু অনিকা খানকে বললো না তাহলে উনি হয়তো রাগ করে আরুকে যেতে দেবে না ৷

আরু কথা এড়িয়ে বললো
” মুগ্ধতা কেমন আছে ? ছোট্ট পরিটাকে কতো দিন দেখা হয়না ৷”

” যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখলে এমনটাই হয় , এমন ভাবে চলতে থাকলে দেখবি আমরাও কোনদিন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবো ৷”

” এমন করে বলছো কেনো ফুপি !”

“তাহলে আর্শিয়ানকে নিয়ে আসিস না কেনো ? আমাদের কি ওকে দেখতে ইচ্ছা করে না !”

” খুব শীঘ্রই যাবো ফুপি ৷”

” তাহলে কালকেই আই ৷”

কালকে কথাটা শুনে আরু একটু থতমত খেয়ে বলল
” কালকে আমার পক্ষে সম্ভব হবে না, এ সপ্তাহ
পর সব কাজ গুছিয়ে নিয়ে আর্শিয়ানকে নিয়ে যাবো ৷”

এইরকম আরো কিছু টুকটাক কথাবার্তা বলে আরু ফোনটা কেটে দিলো ৷ ব্যালকনির রেলিং ধরে দাড়িয়ে আরু বাইরের দিকে দৃষ্টিপাত করলো ৷ নিহান আজ কক্সবাজার গেছে, ওউ কাল যাবে, যদিওবা দুই তীরের দূরত্বটা অনেক যেমনটা ওর আর আরিশের ৷

🎀

ভোর ভোর আরু আর আর্শিয়ান রওনা দিয়েছে উদ্দেশ্যে কক্সবাজারের স্বল্প মানুষজনের আবাসস্হল ইনানী বীচ্ ৷ সেখানে কি ও নিহানের দেখা পাবে নাকি সমুদ্রও ওকে আর আর্শিয়ানকে একা ছেড়ে দেবে !

Suraiya Aayat

#চলবে,,,,