তুমি নামক প্রাপ্তি পর্ব-১২

0
3164

#তুমি_নামক_প্রাপ্তি
#part:12
#Suraiya_Aayat

“কেমন ঘুরছেন ওখানে ?”
খানিকটা উৎফুল্লতার সাথে কথাটা বলল আবির তা ওর কণ্ঠস্বর শুনেই বোঝা যাচ্ছে ৷

আরুও খানিকটা মুচকি হেসে বলল
” এই তো বেশ ভালোই ঘুরছি, আর্শিয়ান ব্যাপার গুলোকে নিয়ে এনজয় করছে খুব ৷”

” শুনেও ভালো লাগলো ৷”

” হম ৷”

কথাটা বলে আরু চুপ হয়ে গেল ৷ এরপর আবিরের সাথে ওর ঠিক কি বলা উচিত তা ওর জানা নেই ৷

অনেকক্ষন হয়ে গেল আরু কিছু বলছেনা দেখে আবির বলে উঠলো,,,,,,
” ডিনার করেছেন ?”

” হমমম ৷”

আরু আবারো থেমে গেল, আবির ভেবেছিলো আরু হয়তো জিজ্ঞাসা করবে যে প্রতি উত্তরে আবির ও খেয়েছে কি না কিন্ত তা আর হলো না ৷
হয়তো আরু এই মুহূর্তে ওর সাথে কথা বলতে বিরক্তিবোধ করছে বা কথা বলতে চাইছে না সেটা আবিরের বেশ বোধগম্য হচ্ছে তাই খানিকটা শুকনো হেসে বলল
” আচ্ছা অনেক রাত হলো , আপনাকে আর বিরক্ত করবোনা , আপনি ঘুমান ৷”

কথাটা শুনে আরু ফোন কেটে দিলো ৷
হঠাৎ করে কিছু না বলে ফোন কেটে দেওয়াই আবির একটু হাতাশ হলো ৷

ফোনটা কেটে দিয়ে আরু বিছানা থেকে নেমে একটু বাইরের দিকে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই কিছু একটা ভেবে আর্শিয়ানের দিকে তাকিয়ে আবার দু কদম পিছিয়ে গেল ৷ ছেলেটাকে একা রেখে বাইরে যাওয়াটা ঠিক হবে না ভেবে আরু আবার বিছানায় ফিরে গেল ৷ আর্শিয়ানের গায়ে পাতলা কম্বলটা টেনে দিয়ে নিজেও একপাশ ফিরে শুয়ে পড়লো ৷ একটু বেশিই ভারী খাবার খেয়ে ফেলেছে, খাবারটা পেটের ভিতর গিয়ে যেন আইঢাই করছে, একটা আ্যন্টাসিড খেলে মন্দ হতো না , কিন্তু এতো রাতে এই অচেনা জায়গায় চাইলেও সবকিছু হাতের নাগালে পাওয়া সম্ভব নয় ভেবে আরু চোখটা বন্ধ করলো যদি এভাবে কখনো ঘুম চলে আসে ৷

💓

” আরুকে একটা কল দাও,আর এ বাসায় আসতে বলো ৷”

আরুর মা আফসানা বেগম উনি ইমরান সাহেবের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বললেন
” আবার কি মেয়েটাকে অপমান করার জন্য ঢেকে আনছো ! মেয়েটা এ বাড়িতে পা রাখলে তাকে দু দন্ড শান্তিতে বসতে দাও তুমি ! ঠিক এমন কিছু বলো যাতে মেয়েটা রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যাই ৷”

” তোমার এই পুরোনো কাহিনী থামাও আর যা করতে বলছি তাই করো ৷”

” আমি পারবো না ওকে ফোন করতে, আমি মা হয়ে আমার মেয়ের এতো কষ্ট সহ্য করতে পারবো না ৷”
কথাটা বলে আফসানা বেগম চোখের জল ফেলতে লাগলেন ৷”

একেই ওনার পাচারকারীর লোকজন ওনার ওপর চাপ দিচ্ছেন যাতে আরুকে তাড়াতাড়ি পাচারের ব্যাবস্থা করে আর এদিকে ইলমাজ সে আরুর প্রেমে মজনু হয়ে গেছে আর এদিকে আফসানা বেগমের এই তুমুল প্যানপ্যানানি শুনি ইমরান খান এবার রেগে গেলেন রেগে গিয়ে জোর গলায় বলে উঠলেন
” কিসের মেয়ে ! তুমি কেন বারবার ভুলে যাও যে আরু আমাদের মেয়ে নয়, ওকে আমার কুড়িয়ে পেয়েছি ৷”

ইমরান সাহেবের এমন কথা শুনে আরুর মা এবার গর্জে উঠলেন , উনি উঠে ইমরান সাহেবের জামার কলার ধরে বললেন
” খবরদার ইমরান , এই কথা যদি তুমি আর একবার বল তো আমি তোমার জ্বিভ ছিড়ে নেব, আরু তোমার মেয়ে না হতে পারে কিন্তু ও আমার মেয়ে এটা তুমি ভুলে যেওনা ৷ তুমি ওর আসল বাবা না হলেও আমি ওর আসল মা ৷ শুধু আরু কেন আহান ও তো তোমার নিজের ছেলে না এটা কি তুমি ভুলে যাও বারবার ! তুমি আমাকে জোর করে বিয়ে করেছো সেটা কি তুমি ভুলে যাও ? জোর কথে কারোর ভালোবাসা পাওয়া যাই না সেটা কি তুমি ভুলে যাও !”

” এই হারামজাদী একদম চুপ , যত বড়ো মুখ না তত বড়ো কথা ! ”

” আজ তুমি আমাকে চুপ করাতে পারবে না, আজকে আমি বলবোই ৷ তোমাকে কথাগুলো মনে করিয়ে না দিলে তোমার মনে থাকে না ৷”

” কি আর বলবা তুমি কি আর বলার আছে তোমার , তুমি তো একটা বেশ্* ৷ ”

আরুর মা এই কথাটা শুনে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারছে না, চেঁচিয়ে বলল
” হ্যাঁ আর বেশ্য*কেই তো বিয়ে করার জন্য তুমি এতো উতলা ছিলে, তাই জন্যই তো এটা জানা সত্তেও যে আমি আন্তসত্তা তুমি আমার বাবাকে টাকার লোভ দেখিয়ে আমার সংসার আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছো ৷”

” তা সেদিন কোথায় ছিলো তোর স্বামী ! কই সে তো সেদিন , আরে সেদিনই বা বলছি কেনো, আজোও তো তোর খোঁজ নিতে এলো না রে ৷”

” সে কি তোমার মতো, তার কাজটা অনেক সম্মানের আর সততার, আর সেই সততার ছিঁটে ফোটাও তোমার মাঝে নেই ৷ উনি একজন পুলিশ ছিলেন, আমাদের বিয়ের সাড়ে তিন বছর তখন,আমি তখন 2 মাসের প্রগনেন্ট,আর উনি কাজের সূত্রে চিটাগং গিয়েছিলো, বলেছিলো ফিরতে দেরি হলেও হতে পারে, আমি যেন সেই কয়েক দিন বাবার বাসায় থাকি আর তার জন্য অপেক্ষা করি ৷ কিন্তু তুমি আমাকে আমার বিয়ের আগে থেকে ভালোবাসতে , আমি কখনো বাসিনি, তুমি তখন দেশের বাইরে ছিলে আর যখন জানলে যে আমার বিয়ে হয়ে গেছে তোমার তখন ক্রোধ জন্মালো আমাকে পাওয়ার তাই আমার বাবাকে টাকার লোভ দেখিয়ে তুমি আমাকে আবার বিয়ে করেছো ৷ ভাবলেও ঘৃনা লাগে যে টাকাতে আমি বিলিয়ে গেলাম নিজের বাবা কেবল টাকার লোভে তার মেয়েকে বিলিয়ে দিলো ৷ সেদিন আমার আর বাঁচতে ইচ্ছা করেনি, 2 বছর বয়সী আহান আর গর্ভে থাকা আরুর কথা ভেবে আমি কিছু করিনি ৷ সে হয়তো ফিরে এসেছে কিন্ত তার আফসানাকে পাইনি, পাবে কি করে দীর্ঘ 7 বছর যে তুমিকে আমাকে বাড়ির বাইরে পা রাখতে দাওনি, একা বন্ধ ঘরে নিশ্বাস আটকে এসেছে আমার , হাপিয়ে উঠেছিলাম, একসময় সবকিছুর প্রতি মায়া ত্যাগ করে মানিয়ে নিয়েছি নিজেকে ৷ আর তাই আজ তোমার মতো লোকের সাথে আজো সংসার করছি, মুখ ফুটে নিজের জীবনের এ কথা কাউকে কখনো বলিনি শুধু তোমার সম্মানের কথা ভেবে ৷ এইসব কথা যদি তোমার সন্তানরা জানতে পারে তাহলে তারা তোমাকে যে বাবা বলে সম্মোহন করে ,তোমার প্রতি ঘৃনায় তাও করবে না ৷
মুখ বুজে এ সংসারে পড়ে আছি ছেলেমেয়ের কথা ভেবে, কখনো করোর সামনে কষ্ট প্রকাশ করিনি ৷এখন আমার মেয়েটার ওপর তোমার কুনজর পড়েছে,ওর ক্ষতি করার জন্য ফন্দি আটছো ৷”

কথাটা শোনা মাত্রই আরমান সাহেব আফসানা বেগমের চুলের মুঠি ধরে বললেন
” এতদিন যখন কথাগুলো কাউকে বলোস নাই আর কখনো বলবিও না, মনে রাখিস, আর বেশি বাড়াবাড়ি করলে মা মেয়েকে একসাথে প্লেনে তুলে দেবো,ভিনদেশে চলে যাবি ৷”

কথাটা বলে উনি ওয়াশরুমে ঢুকে গেল ৷

আফসানা বেগম ফুপিয়ে কাঁদেছে , কি বলে উনি প্রতিবাদ করবে ? এখন উনি মুখ খুললে ওনার এই মিথ্যা সোনার সংসার ভেঙে যাবে ৷

আরমান সাহেবের রুমের সামনে দাঁড়িয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে সানা কথাগুলো শুনছিলো৷ মুগ্ধতার খাবার গরম করার জন্য কিচেনে যাচ্ছিল তখনই হঠাৎ শ্বশুর-শ্বাশুড়ির ঘরের চিৎকার চেঃচামেচির আওয়াজ শুনে থেমে যেতেই আরমান সাহেব আর আফসানা বেগমের কথাগুলো ওর কানে ভেসে এলো ৷
কথাগুলো শুনে সানার গলা শুকিয়ে আসছে, এগুলো ও কি শুনে ফেললো ! আরমান সাহেব মানুষটা এতোটা নীচ সেটাও আজ ও জেনে গেল ৷ ভয়ে সানা দৌড়ে রুমে ছুটে গেল,মেয়ের জন্য খাবার গরম করার কথা সে ভুলে গেল ৷
রূমে গিয়ে বিছানার ওপর ধপ করে বসে পড়লো, শরীর জুড়ে কাঁপুনি আসছে,নিজেকে অগোছালো লাগছে,থরথর করে কাঁপছে ও ভয়ে আর ঘৃনায় ৷ পাশে ছোট্ট মুগ্ধতা খিদের জ্বালায় কাদছে তার আওয়াজ মনে হচ্ছে সানার কানে যাচ্ছে না, অথচ মুগ্ধতা এতো জোরে কাদছে যে পাশের বাড়ি অবধি শোনা যাবে ৷

অনেকক্ষন ধরে মুগ্ধতার কান্নার আওয়াজ পেয়ে আরমান সাহেব সানার রুমে ছুটে এলেন ৷
এসে দূখেন সানা বিছানার ওপর বসে আলাভোলা হয়ে আছে আর পাশে ছোট্ট মুগ্ধতা হাত পা ছড়িয়ে কাঁদছে ,তা দেখে উনি এবার জোরে ধমক দিয়ে মুগ্ধতাকে কোলে নিয়ে সানাকে বললেন
” মেয়ে পাশে কাঁদছে শুনতে পাচ্ছো না ! কোথায় মনোযোগ বৌমা ? সারা পড়ার লোক শুনতে পাচ্ছে ওর কান্না আর তুমি ওর পাশে বসে শুনতে পাচ্ছো না !”

ওনার ধমক শুনে সানা কেঁপে উঠলো সাথে সাথে এতোখনের ঘোরটাও কেটে গেল ৷ মেয়েকে ওনার কোলে দেখে সানার বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে উঠলো ,মনে হচ্ছে যে উনি এই বুঝি টাকার লোভে মুগ্ধতাকেও বিক্রি করে দেই ৷ মুগ্ধতাকে ছো মেরে ওনার কোল থেকে কেড়ে নিয়ে বলল
” এই তো শুনতে পাচ্ছি বাবা ৷”

উনি আবার ধমকের সুরে বললেন
” সবটাই আমার চোখে পড়েছে, তুমি শুনতে পেলে দিদিভাই এতখন ধরে কাঁদতো না ৷ মেয়ের একটু খেয়াল রাখো ৷”

সানা ওনার কথার সুরে সাই দিয়ে মাথা নাড়ালো ৷
আরমান সাহেব কথাটা বলে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে নিলেই কোন কিছু একটা ভেবে আবার সানার কাছে গিয়ে বললেন
” আরুর সাথে তোমার কথা হয়েছে বৌমা ?”
কথাটা শুনে সানা ঘাবড়ে গেল ৷ কালকে সন্ধ্যাই আরুর সাথে ওর কথা হয়েছে, আর এখন আরমান সাহেব সেই কথাটাই জিজ্ঞাসা করছেন কারন উনি সানাকে আরুর সাথে কথা বলতে দেখেছিলেন সেটা সানার চোখ এড়াইনি ৷

সানা একটু আমতাআমতা করে হমম বলে মাথা নাড়ালো ৷
আরমান সাহেব ভাবুক সুরে বললেন
” আরুর কাছে একটু ফোন করে জানো তো ও কোথায় আছে আর কেমন আছে !”

সানা অবাক চাহনি নিয়ে বলল
” কেন বাবা !”

উনি এবার ভ্রু কুঁচকে খানিকটা নরম সুরে বললেন
” মেয়েটা সেদিন রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলো তারপর থেকে আর কথা হয়নি, আমার ওপর এখনো রাগ করে আছে, মেয়েটা দূরে একা একা থাকে ওর জন্য খুব চিন্তা হয় আরকি ৷”

কথাগুলো উনি সানাকে আরূ 10 মিনিট আগে বললে সানা হয়তো বিশ্বাস করতো কিন্তু এই মুহূর্ত ওনার মুখ থেকে শোনা এই কথাগুলো সানার বিশ্বাস করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে ৷

সানা চুপ করে আছে দেখে উনি আবার বললেন
” কি গো বৌমা ফোন করছোনা যে !”

সানা থতমত হয়ে বলল
” হমম হমম করছি বাবা ৷”

” হমম করো, মেয়েটার জন্য চিন্তাই আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি ৷”

সানা আরুর কাছে ফোন করলো ৷

আরু খেয়াল করছে যে ওর ফোনে সানার থেকে ফোন আসছে কিন্তু ও এখন কথা বলার মুডে নেই ৷ কারন কিছুখন আগেই হোটেলর সিকিওরিটি বলে গেছে বিকাল 4 টের আগে হোটেলের বাইরে বেরোনো যাবে না বিচের ধারে শুটিং হচ্ছে ৷ কথাটা শুনে আরুর মাথা গরম হয়ে গেল ৷ মনে মনে অনেক রাগ হচ্ছে, ইচ্ছা করছে এক্ষুনি ঢাকা ফিরে যাক , কিন্ত চাইলেও যে তা পারবে না, কালকে এসে আজকে ফিরে গেলে আর্শিয়ানের মন খারাপ হয়ে যাবে, তাড়াছা ওর এখানকার সময়গুলো মন্দ কাটছে না, ভালো খারাপ মিশিয়ে চলে যাচ্ছে বেশ ৷

ফোনটা না ধরে ব্যালকনিতে বসে থাকা অর্শিয়ানের কাছে গেল, আজ ওরা মা ছেলে গল্প করবে, কখনো তো ওর এমন সুযোগ হয়নি ৷

ফোনটা কান থেকে নামিয়ে আরমান সাহেবের দিকে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে সানা বলল
” বাবা আরু তো ফোন ধরলো না ৷”

আরমান সাহেব খানিকটা চালাকি সুরে বললেন
” অফিসে কাজ করছে হয়তো ৷”

সানা চুপ করে আছে , কিছু বলছে না দেখে উনি বলে উঠলেন
” আচ্ছা আরুর আফিসের ঠিকানাটা আমাকে দিতে পারবে আমি এখন ওর সাথে গিয়ে একটু দেখা করতাম আরকি ৷”

সানা মাথা নীচু করে বলল
” ও আর আর্শিয়ান ঘুরতে গেছে কালকে সকালের বাসে ৷”

কথটা শুনে ওনার ভ্রু জোঁড়া কুচকে এলো,
” কোথায় গেছে ও একা ছেলেকে নিয়ে !”

” ইনানী বিচ্ ৷”

” সেটা আবার কোথায় ? আগে তো কখনো নাম শুনিনি ৷”

” কক্সবাজার থেকে একটু দুরে, বেশি মানুষজন ওখানে যাই না , খুব কম মানুষই ওখানে ঘুরতে যাই ৷”

” ওহহহ আচ্ছা ৷”
আরমান সাহেব হাসি মুখে সানার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন
” আচ্ছা অনেক উপকার করলে, আরু ফিরলেই না হয় ওর সাথে দেখা করবো, মেয়েটা ঘুরছে ঘুরূক আমি আসি ৷”
কথাটা বলে উনি বেরিয়ে গেলেন ৷
উনি বেরিয়ে যেতেই সানা হাফ ছেড়ে বাঁচলো, যতক্ষন উনি সেই রুমে ছিলেন ততখন সানার এক দমবন্ধকর অনুভুতি হচ্ছিল , মনে হচ্ছিল এই বুঝি উনি মুগ্ধতাকে ওর কাছ থেকে কেড়ে নেন ৷”

সানা মুগ্ধতাকে জড়িয়ে ধরে আছে শক্ত করে , সব কিছু যেন নিমেষেই কেমন ঘোলাটে হয়ে গেল, আপন মানুদেরও আজ বড্ড পর পর লাগছে ৷
এ এক জটিল মিশ্রনের সম্পর্ক সবার মাঝে যেখানে একদল মানুষ বেঁচে থাকার জন্য অর্থটাকেই নিজের সর্বস্ব বলে মনে করে ৷

💓

আরুর কোলে মাথা রেখে উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ের দিকে তাকিয়ে আছে আর্শিয়ান,তার ছোট্ট মস্তিষ্কের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে হাজারো প্রশ্ন ৷

” Mammam can i ask you a question ?”

” হমম বলেন আমার ক্যান্ডিক্রাশ আর্শিয়ান ৷”( মজার ছলে)

আরুর মুখে এমন কথা শুনে আর্শিয়ান মুখে হাত চেপে হাসছে ৷
আরু আর্শিয়ানের হাসি দেখে বললো
” কই জাহাপনা বলেন আপনার কি প্রশ্ন !”

” মাম্মাম কালকের আঙ্কেলটাই কি আমার পাপা ! উনি আমাকে কতো আদর করে জানো !”

আর্শিয়ানের কথা শুনে আরু চমকে গেল সাথে অবাক ও হলো ,
” নাহ উনি তোমার পাপা না, তোমার পাপা তোমাকে অনেক ভলোবাসে আর্শিয়ান ,আর উনি তোমাকে ভালোবাসে না ৷”

কথাটা বলে আর্শিয়ানকে রেখে রুমে চলে গেল ৷

আরু রূমে চলে যেতেই আর্শিয়ান খিলখিল করে হাসতে হাসতে বিড়বিড় করে বলল,,,
” টপ সিকরেট ৷”

#চলবে,,,,,