#তুমি_প্রেম_আমার❤️
#part:17💘
#Writer: #TanjiL_Mim❤️
.
.
🍁
“ফুল দিয়ে সাজানো বিছানায় এক হাত ঘোমটা টেনে বসে আছে মেঘলা’!!বুকের ভিতর দক দক করছে তার’!!অদ্ভুত শিহরণ বয়ে যাচ্ছে তার ভিতর’!!এক অদ্ভুত অনুভূতি নিয়ে অপেক্ষা করছে আকাশের জন্য’!!ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেয়েছে ভাবতেই খুশিতে মন নেচে উঠছে মেঘলার’!!জীবনে মানুষের অনেক বড় পাওয়া হলো নিজের মনের মানুষকে কাছে পাওয়া’!!আর যারা এটা পেয়েছে তারা সবাই খুব লাকি’!!হর্ঠাৎই দরজা খোলার আওয়াজে নড়েচড়ে বসলো মেঘলা’!!
”দরজা বন্ধ করে আকাশ ধীর পায়ে আসলো মেঘলার দিকে তারপর মেঘলার পাশে আসতেই মেঘলা সালাম দিলো’!!
“আকাশও মেঘলার সালামের উওর দিয়ে মুচকি হেঁসে বুকে জড়িয়ে নিল মেঘলাকে’!!খুব গভীর ভাবে জড়িয়ে ধরল আকাশ মেঘলা একে অপরকে’!!তারপর ডুব দিল ভালোবাসায়’!!
*
“খুব ভোরে ঘুম ভাঙল মেঘলার চোখের সামনে দেখতে পেল আকাশ তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে’!!আকাশের এমন কাজ দেখে মুচকি হাসল মেঘলা’!!তারপর আকাশের কপালে পড়ে থাকা চুলগুলো হাত দিয়ে সরিয়ে দিয়ে কপালে চুমু একে দেয় মেঘলা’!!
“কপালে কারো ঠোঁটের স্পর্শ পেয়ে হালকা নড়েচড়ে উঠলো আকাশ’!!মুহূর্তে কে কি করল তা বুঝতে পেরে মুচকি হাসল সে’!!
“ধীরে ধীরে নিজেকে ছাড়িয়ে বিছানা থেকে উঠতে নিচ্ছে মেঘলা’!!কিন্তু যতবারই মেঘলা উঠতে যাচ্ছে ততবারই শক্ত করে জড়িয়ে ধরছে আকাশ মেঘলাকে’!!
“বারবার এমনটা হওয়াতে মেঘলা আকাশের দিকে ঘুরে বললোঃ
——“ও মশাই আপনি তাহলে এখনো ঘুমানো নেই’!”
“আকাশও মুচকি হেসে বললঃ
——-“এত সুন্দরী বউ পাশে থাকলে ঘুমানো যায় নাকি???
——হুম হইছে হইছে’!!এই বলে আবারো মেঘলা উঠতে নিলো সাথে সাথে আবারো টেনে নিজের সাথে মেশালো আকাশ’!!
“এইবার মেঘলা এসে পরল একদম আকাশের বুকে ওপর’!!
——কি হচ্ছে এসব আমাকে যেতে দিচ্ছো না কেন???
“আকাশ একটা দুষ্টটি মার্কা হাসি দিয়ে বললঃ
—–“আগে আমার যেটা চাই সেটা দিয়ে যাও’!!
“আকাশের কথা শুনে মেঘলা অবাক হয়ে বললোঃ
——“কি চাই এখন আমার কাছে তোমাকে দেওয়ার মতো কিছু নেই'”!
——-“অনেক কিছু’ আছে”
——–কি””
“আকাশ আর কিছু না বলেই মেঘলার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট বসিয়ে দিল’!!
“ঘটনাটা হর্ঠাৎ করে হয়ে যাওয়াতে মেঘলা কিছুই বুঝতে পারলো না পরে বুঝতে পেরে সে নিজেও তাল মিলালো’!!
“বেশকিছুক্ষন পর আকাশ মেঘলার ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে বললোঃ
——“এখন যেতে পারো’!!
“মেঘলা লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে বললোঃ
—–লুচু একটা’!”
“বিনিময়ে আকাশ কিছু বললো না’!!শুধু হাসলো’!!তারপর মেঘলা চলে গেল ওয়াশরুমে’!!
__________________________________________
*
“সূর্যের আলো মুখে পরতেই ঘুম ভাঙল আমার’!!এমন সময় আম্মাজান আসল চা নিয়ে’!!আম্মুকে দেখে কিছুটা অবাক হলাম’!!সত্যি একদিনেই আপুকে ছাড়া পুরো বাড়িটাই খালি খালি লাগছে’!!
“আম্মু চা নিয়ে বসলেন বিছানায় তারপর বললোঃ
——”কি ঘুম ভেঙেছে??
——-“হুম কিন্তু ভালো লাগছে না আম্মু আপুকে ছাড়া একা ঘুমাতে??এই বলে আম্মুকে জড়িয়ে ধরলাম আমি’!!
“আম্মুও হালকা হেঁসে আমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললোঃ
——“জানি তো এত দিনের অভ্যাস কী আর এক দিনে যাবে’!!
——-হুম’!!
——–“আচ্ছা শোন চা খেয়ে তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নে মেঘলাদের বাড়িতে যেতে হবে তো নাকি’!!
——“হুম ময়দা সুন্দরী এসে নিক’!!
——-“তুই যে কেন শুধু শুধু রিতু কে ময়দা সুন্দরী ডাকিস তা আজও আমি বুঝলাম না’!!
——-“তোমার এত বুঝে কি লাভ এটা আমার আর আমার বেস্টুর ব্যাপার’!!
——“হুম জানি জানি’!!এই
বলে আম্মু চলে গেল’!!
“তারপর আমিও চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে চা খেতে শুরু করলাম’!!
“তারপর চলে গেলাম’ ওয়াশরুমে’!!
__________________________________________
*
“এদিকে ছাঁদের উপর থাকা একটা খাটে শুয়ে আছে আরুশ আর আরিয়ান’!কালকে প্রচুর কাজ করেছে তারা তাই গভীর রাতে ছাদেই ঘুমিয়ে পরেছিল ওরা’!!তবে রাতে আরিয়ান ঘুমালেও ঘুমাতে পারিনি আরুশ’!!ঘুমাবে কি করে চোখ বন্ধ করলেই যে তার পঁচা পান্তা ভাতের মুখটা ভেসে আসছে তার’!!আরুশ কাল রাতেই ভেবে নিয়েছে আজকে রিতুর সাথে দেখা হলেই মনের কথা বলে দিবে আরুশ’!!তবে রিতু কি তার ভালোবাসা এক্সেপ্ট করে নিবে’!!এসব নানা জিনিস ভাবতে ভাবতেই রাতে আর ঘুমানো হলো না আরুশের'”!
“আরুশের ভাবনার মাঝে হর্ঠাৎই আরিয়ান বলে উঠলঃ
—–“কি এতো ভাবছো মামা????
—–“না তেমন কিছু না???
——“আমি জানি কার কথা ভাবছো মামা তুমি’!!
—–“কি???
——“নিশ্চয়ই পঁচা পান্তা ভাতের কথা তাই না’!!
“আরুশ অবাক হয়ে আনমনে বলে উঠলোঃ
——-“বুঝলি কেমনে????
——-“না বোঝার কি আছে তুমি তো গেছো মামা তা বলছো কবে’!”
——-কি বলব???
——-“ওহ এখন ভাজা মাছ উল্টে খেতে পারছো না’!!যাইহোক আমি বলছি প্রপোজ কবে করছিস???
——–“কিন্তু ও কি মেনে নিবে……
——-“কেনো নিবে না এত সুন্দর দেখতে আমার দোস্তরে কতো প্রপোজ পাইছোস বলতো’!!কারোরেই তো এক্সেপ্ট করস নাই এখন যেহেতু পেয়ে গেছিস তাহলে আর কি’!বেশি না ভেবে আজকে বলে দিবি’!!
——“কিন্তু…..
——-“তোর কোনো কিন্তুতে কাজ হবে না’!!!এই বলে আরিয়ান উঠে চলে গেল নিচে ফ্রেশ হয়ে রেডি হতে……
“আর আরুশ গালে হাত দিয়ে ভাবতে লাগল কি করে বলবে রিতু কে সে মনে কথাগুলো'”!!
__________________________________________
*
“বাস্ত রাস্তায় একটা গর্জিয়াস লাল রঙের একটা থ্রি-পিস পড়ে হেঁটে চলছে রিতু’!!চুলগুলো বেনুনি করা তার’!!চোখে মোটা করে কাজল আইলিনার আর হালকা মেকাপে তৈরি আজ রিতু’!!রোজ কারের মতো আজকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাকে’!!আজকে রিতু কারো কথা ভেবে খুব ডিস্টার্ব’!!সে বুঝতে পারছে না বার বার কেন আরুশের মুখ টাই ভেসে আসছে তার’ সামনে’!!কালকের পর থেকেই কেমন এক অনুভূতিতে মগ্ন সে’!!এতে সে চরম প্রকার বিরক্ত’!!!হাঁটতে হাঁটতে চলে এসেছে সে তার গন্তব্যে………..
“আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমি এমন সময় রুমে প্রবেশ করলো চিরচেনা মানুষ মাই বেস্টু ময়দা সুন্দরী’!!ওকে দেখে মনে হলো কোনো কারনে ডিস্টার্ব সে’!!তাই এক বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে বললামঃ
——“কি হলো পেচার মতো করে মুখটা রাখছিস কেন??
“বিনিময়ে রিতু কিছু বললো না’!!হয়তো আমার কথা ওর কানে যাচ্ছে না’!!আমিও আর কিছু না ভেবে তৈরি হতে লাগলাম’!!
“বেশকিছুক্ষন পর সবাই মিলে তৈরি হয়ে বেরিয়ে পরলাম আপুর শশুড় বাড়ির উদ্দেশ্যে’!!
“আম্মু আব্বু আমি রিতুসহ আরো কিছু মেহমানরা মিলে চললাম’………….
__________________________________________
*
“আয়নার সামনে বসে আছে মেঘলা আর তার পাশে রয়েছে মেকাপ আর্টিস্টরা এই মুহুর্তে সবাই মিলে মেঘলাকে সাজানোর কাজে ব্যস্ত তারা’!!আজকে মেঘলার বউ_ভাত সেই উপলক্ষে আজকে পুরো বাড়ি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে’!!আকাশের পরিবারের অনেক মেহমানরাই এসেছে আজকে’!!সবাই বর্তমানে নতুন বউকে নতুন রূপে দেখার জন্য অতি আগ্রহের সাথে বসে আছে’!!তার সাথে আকাশও
*
“ওদিকে অন্যরুমে পায়চারি করছে আরুশ’!সে কিছুতেই বুঝতে পারছে না কি করে বলবে রিতুকে’!!আর অন্যদিকে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে নিজের চুল খুব সুন্দর করে সাজাচ্ছে আরিয়ান’!!এই মুহূর্তে আরুশের টেনশন টাকে সে মটেও গুরুত্ব দিচ্ছে না’!!সে তার নিজের মতো করে নিজের কাজ করছে’!!আজকে আরিয়ান ব্লাক কালারের সুন্দর শার্ট পরেছে তার সাথে কালো প্যান্ট,হাতে কালো ঘড়ি,চুলগুলো সবসময়ের মতো সুন্দর করে সাজানো’!!সব মিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাকে’!!
“আরুশ আরিয়ানের এমন ডোন্ট কেয়ার ভাব দেখে দাঁত দিয়ে নখ কামড়াতে কামড়াতে বলে উঠলঃ
——–“তুই কি আমার টেনশনটা বুঝতে পারছিস না নাকি…….
——-“কেন কি হইছে??
“আরুশ আরিয়ানের এমন কথা শুনে অবাক হয়ে বললঃ
——–“কি হয়েছে মানে???
——–“তুই কী সত্যি বুঝতে পারছিস না আমি বলতে চাইছি???
“আরিয়ান আয়নার সামনে থেকে সরে এসে বললঃ
——“মামা চাপ নিও না তৈরি হয়ে চলে এসো নিচে কারন টেনশন লেনেকা নেহি টেনশন দেনেকা হে’!!এই বলে আরিয়ান তার হাতে থাকা কালো চশমা পড়ে একটা সুন্দর ভাব নিয়ে চললো তার কাজে”??
“এদিকে আরুশ আরিয়ানের কথার আগামাথা কিছু না বুঝে শুধু হা হয়ে তাকিয়ে রইল আরিয়ানের যাওয়ার পানে’!!তারপর সেও তৈরি হতে লাগলো’!!
__________________________________________
*
“আমাদের গাড়ি এসে থামল আকাশ ভাইয়াদের বাড়ির সামনে’!!তারপর চললাম আমরা বাড়ির ভিতর’!!বাড়ির গেটের সামনে আসতেই দেখলাম আকাশ ভাইয়ার আব্বু সাথে আকাশ ভাইয়া আর কিছু মেহমান দাঁড়িয়ে আছে হয়তো আমাদের স্বাগতম জানানোর জন্য’!!
“তারপর আব্বু আম্মু সাথে কথা বললেন ওনারা তারপর আমরাও চললাম এই বাড়ির ভিতরে’!!বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই হা হয়ে গেলাম আমি’!!পুরো বাড়ি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে’!!তারপর আমি আর রিতু চললাম আপু যেখানে আছে সেখানে’!!হর্ঠাৎই চোখ গেল সামনে থাকা ব্লাক জিন্স শার্ট পরা মিস্টার “ভাঙা টেপ রেকর্ডারের” দিকে’!!তাকে দেখে পুরো হয়ে গেল আমি’!!কত্তো সুন্দর লাগছে ওনাকে’!!এমন সময় মাথায় চাটি মেরে রিতু বললোঃ
——-“কি হলো দাঁড়িয়ে পরলি কেন??
——-“না এমনি চলল”??
“তারপর আমি আর রিতু চললাম নিজেদের গন্তব্যে………
*
“এদিকে আরিয়ান মীমের কান্ড দেখে মুচকি হাসলো’!!তারপর আবার তার কাজে ব্যস্ত হয়ে পরলো সে’!!
.
.
.
.
“আপুর রুমে আসতেই আপুকে দেখে একটা টাশকি ফেলাম আমি’!!আজকে আপু খুব সুন্দর একটা লেহেঙ্গা শাড়ি পরেছে গায়ে ভাড়ি গহনা,মেকাপ চুলগুলো সুন্দর করে সাজানো’!!একপ্রকার হা হয়ে আপুকে জড়িয়ে ধরে বললামঃ
———“উফ আপু তোমাকে কতো সুন্দর লাগছে’!!
“আপু মুচকি হেসে বললঃ
——-“এসে পরেছিস কেমন আছিস তুই আর আম্মু আব্বু আসে নি’!!
——-“সবাই এসেছে তোমাকে ছাড়া ভালো লাগছে না’!!
“বিনিময়ে আপু কিছু বললো না’!!এমন সময় রুমে আসলেন আকাশ ভাইয়ার আম্মু কারণ এখন আপুকে নিয়ে যাওয়া হবে নিচে অনুষ্ঠানে’!!
“খুব সুন্দর ভাবেই বৌ-ভাত এর অনুষ্ঠান শেষ হলো’!!আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা চলে যাবো’!!আপু তো এখনই কান্না-কাটি করে দিচ্ছে’!!
“হর্ঠাৎই মনে রিতু আমার পাশে নেই যা দেখে আমি বেশ অবাক হলাম’!!এখানেই তো ছিল গেল কই???এই ভেবে ওকে খুঁজতে লাগলাম আমি’!!
__________________________________________
*
“ছাদে দাঁড়িয়ে আছে রিতু’!!এদিক ওদিক দেখছে সে’!কারণ কিছুক্ষন আগে আরিয়ান তাকে বললো ছাঁদে আসতে মীম নাকি তাকে ডেকে’!!আশ্চর্য বিষয় হলো মীম তাকে ডাকলে ছাঁদে কেন ডাকবে’!!হর্ঠাৎই কেউ প্রবেশ করল ছাঁদে তাকে দেখে রিতু অবাক হয়ে বলে উঠলঃ
——-“ফাটা ডিসপ্লে আপনি”…………..
“আরুশ কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে বললোঃ
——–“হুম আমি “পঁচা পান্তা ভাত” তোমার সাথে কিছু কথা ছিল……??
——-“আমার সাথে……
——-“হুম…..
——-“ঠিক আছে বলুন………
.
.
.
.
.
“পুরো বাড়ি খুঁজেও কোথায় রিতুকে খুঁজে পেলাম না আমি’!!হর্ঠাৎ মনে হলো ও কোনোভাবে ছাঁদে চলে যায় নি তো’!!যেই ভাবা সেই কাজ’!!তারপর আমিও ছাঁদে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পা বাড়ালাম’!!!সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে উঠতে একপর্যায়ে ছাঁদের দরজা পর্যন্ত এসে গেছি আমি’!!ছাঁদের গেটটা খুলতে যাবো এমন সময় পিছন থেকে কেউ মুখ চেপে ধরল আমার সাথে সাথে ভয়ে ঘাবড়ে গেলাম আমি’!!হর্ঠাৎই অপরপাশের ব্যক্তিটি দেয়ালের সাথে ঝাপটে ধরে মুখ চেপে বললোঃ
——–হুসস………….
!
!
!
!
#চলবে……….
❤