#তোকেই ভালোবাসি
#লেখক – তানভীর হৃদয় নীল
##পর্ব – ২০
– পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে। নিচে যেতেই নিশি ভাবি বললো,কি ব্যাপার তোমার হাতে ব্যান্ডেজ কেন?
তানভীর – তেমন কিছু না। কাঁচের টুকরো দিয়ে সামান্য কেঁটে গেছে।
নুসরাত – মিথ্যা কথা বলছিস কেন?হিয়া তো বললো ওকে বাঁচাতে গিয়ে তোর এই অবস্থা।
রিয়া – আমরা সবকিছু শুনেছি নুসরাতের কাছ থেকে। তারপর ও ভাবি তোকে জিগ্যেস করলো। কিন্তু তুই মিথ্যা বললি।
নিশি – গতকাল ঢাকায় এসেছো।এসেই রাতে পাঁচ জনকে মেরে ফেললে।
রিয়া – একটু আগে টিভির খবরে পাঁচ জনের লাশ দেখিয়েছে। যাদের তুই মেরেছিস।ওরা সবাই আব্বুর লোকজন।
তানভীর – তো আমি কী করবো?
রিয়া -আমার ভাবতেও ঘৃণা করে একজন মন্ত্রী হয়ে। বিনা অপরাধে লোকজন দিয়ে জন্য দিয়ে মানুষকে মেরে ফেলে।
তানভীর – যে নিজের বড় ভাইকে খুন করতে পারে।তার কাছে এইসব কিছুই না।
রিয়া – মানে?
তানভীর – কিছু না।হিয়া তোমাকে গতকাল রাতে ওরা মারতে চেয়েছিলো কেন?
হিয়া – আমার আব্বু একজন সাংবাদিক ছিলেন। মন্ত্রী আসাদ চৌধুরীর কিছু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কথা। আমার আব্বু ও তার বন্ধু জেনে গিয়েছিলো। যার কারণে তিন দিন আগে। ওনার লোকজন আমার আব্বু আর আব্বুর বন্ধুকে মেরে ফেলেছে।
– আমাকেও মেরে ফেললে চেয়েছিলো। কিন্তু আমি দুইদিন লুকিয়ে আমার বান্ধবীর বাসায় ছিলাম। যার কারণে ওরা আমাকে খুঁজে পাইনি।গতকাল রাতে আমার মামার বাসায় যাওয়া জন্য বেরিয়ে ছিলাম। তারপরই ওরা আমার পিছু নেই।
তানভীর – তোমাকে মারতে চাই কেন?
হিয়া – আমার কাছে একটা পেনড্রাইভ আছে।যার মধ্যে মন্ত্রী আসাদ চৌধুরীর কিছু অপরাধমূলক কাজের কিছু ভিডিও আছে। যেগুলো আব্বু আমাকে দিয়েছিলো।
– আব্বু বলেছে যেকোনো মূল্যে ওই পেনড্রাইভ মন্ত্রী আসাদ চৌধুরীর বোন আর ভাইদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
তানভীর – তুমি কী ভিডিও গুলো দেখেছো?
হিয়া – দেখার সময় পাইনি।
তানভীর – ঠিক আছে। তুমি পেনড্রাইভ নিয়ে এসো। আমি তাদের কাছে পেনড্রাইভ পৌঁছে দিবো। তোমার যাওয়ার দরকার নেই।
হিয়া – আচ্ছা আমি নিয়ে আসছি।
– বলেই হিয়া উপরের রুমে চলে গেলো। কিছুক্ষণ পর একটা পেনড্রাইভ নিয়ে এসে। আমার হাতে দিয়ে বললো, ভাইয়া এটাই সেই পেনড্রাইভ।
তানভীর – ঠিক আছে। তুমি কোনো চিন্তা করো না। আমি পেনড্রাইভ মন্ত্রীর পরিবারের কাছে পৌঁছে দিবো। পাশাপাশি মিডিয়ার লোকদের কাছে ও।
রিয়া – পেনড্রাইভে ভিডিও গুলো আমি এখুনি দেখতে চাই।
তানভীর – চিন্তা করিস না।রাতে দেখতে পারবি।হিয়া তোমার মামার বাসা কোথায় বলো? আমার লোকজন তোমাকে ওখানে পৌঁছে দিবে। তাহলে তোমার যেতে আর কোনো সমস্যা হবে না।
হিয়া – সিলেট। কিন্তু ওখানে যাওয়ার আগে। আমার একটু কলেজে যাওয়ার দরকার ছিলো। কিছু কাগজপত্র আনার জন্য।
তানভীর – ঠিক আছে। তুমি নাস্তা করে রেডি হয়ে নাও। আমি তোমাকে কলেজে নিয়ে যাবো। আমি বাহিরে থেকে আসছি।
হিয়া – ঠিক আছে ভাইয়া।
নিশি – এখন আবার বাহিরে যাবে কেন? নাস্তা করে তারপরও যাও। রাকিব আর মামুন ভাই যে সকালে বাসা থেকে বের হয়েছে। এখনও আসার সময় হয়নি। এখন আবার তুমি…।
তানভীর – বাহিরে আমাদের লোকজন আছে। কোনো সমস্যা হলে জানাবেন। আমি খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবো।
নিশি – ঠিক আছে।
– বাসা থেকে বের হয়ে হাঁটতে হাঁটতে কিছুটা সামনে গিয়ে দেখি তিন জন দাঁড়িয়ে আছে।
– ভাই আপনার আসতে এতো সময় লাগে? আমরা সেই কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছি। আর আপনার হাতে কী হয়েছে?
তানভীর – গতকাল রাতে একজন মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে হাত কেটে গেছে। কাজের কথাই আসো এবার।
– ইকরাম ভাইকে যারা মেরেছিলো। গতকাল রাতে ওদের দুজনকে সহ আরো তিন জনকে কে যেন মেরে ফেলেছে। ওখানে যারা মিথ্যা স্বাক্ষী দিয়েছিলো। তাদের সাতজন কে শেষ করে দিয়েছি।
তানভীর – গতকাল রাতে পাঁচ জনকে আমরাই মেরেছি। কিন্তু ওদের মধ্যে দুই জন যে ইকরাম ভাইয়ের খুনের সাথে জড়িত। সেটা আমি আর মামুন ভাই জানতাম না।
– মামুন ভাইকে পুলিশ খুঁজছে। রনিকে মারার পর আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করছে।
তানভীর – এইসব নিয়ে কোনো চিন্তা করো না। দুই দিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।
– ঠিক আছে ভাই । আমরা এখন বাসায় চলে যাচ্ছি। বিকালে দেখা হবে।
তানভীর – ঠিক আছে।
– তিনজনকে বিদায় দিয়ে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় গিয়ে হিয়াকে নিয়ে তার কলেজে চলে গেলাম। কলেজের গেইট দিয়ে ভিতরে গিয়ে কিছু অবাক হয়ে। একটা ক্লাসের সামনে অনেক শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে আছে।
– ক্লাস রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা।কাছে যেতেই জিনিয়া দৌড়ে এসে কাঁদতে কাঁদতে বললো, ভাইয়া জান্নাত কে বাঁচান।
তানভীর – কি হয়েছে জান্নাতের?আর এই রুমের দরজা বন্ধ কেন?
জিনিয়া – আশরাফুল আর তার গার্লফ্রেন্ড মিলে। জান্নাতকে এই রুমে নিয়ে গিয়ে ভেতর থেকে দড়জা বন্ধ করে দিয়েছে। প্লিজ ভাইয়া জান্নাতকে বাঁচান।(কেঁদে কেঁদে)
তানভীর – জান্নাত কে রুমে নিয়ে গিয়ে দড়জা বন্ধ করে দিয়েছে।আর তোমরা এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছো?(রেগে)
মামুন – ছোট্ট ভাই এখন রাগ দেখিয়ে কোনো লাভ নেই।আগে ভেতরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
তানভীর – যা করার তাড়াতাড়ি করেন।(প্রচন্ডভাবে রেগে গিয়ে)
মামুন – ওই তোরা দাঁড়িয়ে আছিস কেন? তাড়াতাড়ি রুমের দরজা ভেঙ্গে ফেল।
– সাথে সাথে চারজন লোক গিয়ে রুমের দরজা ভেঙ্গে ফেললো।দড়জা ভাঙ্গার পর রুমে ভেতরে গিয়ে মাথায় রক্ত উঠে গেলো। রুমের ভিতরে গিয়ে দেখি জান্নাতের হাঁত আর পা বেঁধে ফ্লোরে শুইয়ে দিয়েছে।
– হঠাৎ আমাদের দেখে মেয়েটি বললো,এই তোরা কারা।
আশরাফুল – তোদের সাহস কী করে হলো? রুমের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে আসার।
তানভীর – মামুন ভাই দুজনকে বাহিরে নিয়ে যান।আর প্রিন্সিপালকে খবর দিন।
মামুন – এই ওদের বাহিরে নিয়ে যা।
– জান্নাতের হাত পায়ের বাঁধন খুলে দিতেই জান্নাত আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে
শুরু করলো। আমি কিছু না বলে জান্নাতের চোখের পানি মুছে দিয়ে। জান্নাতকে নিয়ে বাহিরে চলে আসলাম।
– বাহিরে এসে দেখি কলেজের প্রিন্সিপাল সহ সকল শিক্ষক দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ আশরাফুল বললো, স্যার ওদের বলেন আমাকে ছেড়ে দিতে।(ধমক দিয়ে)
প্রিন্সিপাল – এই কে তোরা? বাহিরে থেকে এসে কলেজের ছাএদের গাঁয়ে হাত তুলিস?
তানভীর – আপনার ছাএ কি করেছে সবাইকে জিগ্গেস করেন? জিগ্যেস করেন কেন ওর গাঁয়ে হাত তুলেছি?
প্রিন্সিপাল – ভালোই ভালোই এখান থেকে চলে যা।না হলে পুলিশ দিয়ে থানায় নিয়ে……..
তানভীর – সরি।স্যার আমাদের ভুল হয়ে গেছে।মাফ করে দিয়েন।আমরা আসলে বুঝতে পারি নি।আমরা এখন আসি।
– প্রিন্সিপাল কিছু বলার আগেই জান্নাতকে নিয়ে কলেজ থেকে বাহিরে চলে আসলাম। বাহিরে আসতেই মামুন ভাই বললো, ওদের কিছু না করে। ক্ষমা চেয়ে চলে আসলে?
তানভীর – এখন ওদের কিছু বলে লাভ নেই। ওদের ব্যবস্থা পরে করতে হবে?
জান্নাত – ভাইয়া আজকে তুই না আসলে হয়তো….
তানভীর – চুপ।এই বিষয়ে আরো কোনো কথা নয়। মামুন ভাইয়ের সাথে বাসায় চলে যা। মামুন ভাই তোকে বাসায় পৌঁছে দিবে।
জান্নাত – কিন্তু ভাইয়া…..
তানভীর – এখন বাসায় যা।যা বলার পরে বলিস। মামুন ভাই ওকে নিয়ে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে আসেন।
মামুন – ঠিক আছে।
– মামুন ভাই জান্নাতকে নিয়ে চলে যাওয়ার পর। হিয়াকে সাথে নিয়ে গাড়িতে উঠে বাসায় চলে আসলাম। গাড়ি থেকে নেমে বাসার ভিতরে যেতেই। একজনকে দেখে কিছুটা অবাক হয়ে গেলাম।
চলবে।
#তোকেই ভালোবাসি
#লেখক – তানভীর হৃদয় নীল
#পর্ব – ২১
– নিশি ভাবির সাথে তামিম ভাইয়ের বউ বসে গল্প করছে।এটা দেখেও না দেখার ভান করে। উপরের যাওয়ার জন্য পা বাড়তেই নিশি ভাবি বললো,বাড়িতে মেহমান এসেছে।আর তুমি তার সাথে পরিচিত না হয়ে চলে যাচ্ছ।
নিশি – এ হচ্ছে আমার বান্ধবী তানিয়া।যার সাথে দেখা করার জন্য তোমাদের সাথে ঢাকায় আসলাম।
তানভীর – ভালো।
নিশি – কী হয়েছে তোমার?এই দিকে না তাকিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে আছো। বাহিরে কারো সাথে আবার ঝামেলা হয়নি তো?
তানভীর – কিছু হয় নি।আপনারা বসে কথা বলেন। আমি উপরে যাচ্ছি।
তানিয়া – তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে। বেশি না পাঁচ মিনিট।
তানভীর – আমার সাথে আপনার কোনো কথা থাকতে পারে না।
তানিয়া – এইভাবে কথা বলছো কেন? আসলে গতকাল রাতে হাসপাতালে তোমাকে চিনতে পারি নি। তোমার ভাইয়ার কাছ থেকে তোমার কথা অনেক শুনেছি।
তানভীর – এখানে এসেছেন ভাবির বান্ধবীর পরিচয়ে থাকবেন। পরিবার নিয়ে কোনো কথা বলবেন না।(কিছুটা রেগে)
নিশি – ওর সাথে এইভাবে কথা বলছো কেন?
– ভাবির কথায় উওর না দিয়ে সোজা উপরে চলে গেলাম। উপরে রুমে যেতেই রাকিব এসে ধমক দিয়ে বললো, আশরাফুলকে আজকেও কিছু বলিস নি কেন?
রাকিব – একবার ভেবে দেখ তুই আজকে কলেজে না গেলে। জান্নাতের অবস্থা কী হতো? আশরাফুলকে কিছু না বলে। উল্টো ওদের কাছে ক্ষমা চেয়ে চলে আসলি?(রেগে)
তানভীর – কী বলবো ওকে? কলেজের প্রিন্সিপাল ওর পক্ষ নিয়ে কথা বলে। আশরাফুলকে কিছু না বলে। উল্টা আমাকে পুলিশের ভয় দেখিয়েছে।
রাকিব – ওহ্।সেই জন্য চলে এসেছিস?
তানভীর – তো কী করবো? এমনিতেই আমার হাতের অবস্থা বেশি ভালো না। অযথা ওদের সাথে ঝামেলা করে লাভ নেই। রাতে লোকজন দিয়ে সবকটা তুলে এনে। তারপর সব হিসাব একসাথে মিটিয়ে নিবো।
রাকিব – পুলিশ অফিসার আর ওই দুজন ওকিলকে তুলে নিয়ে এসেছি। কিন্তু কেউই সত্যি কথা বলছে না।তাই হাত পা বেঁধে ফ্যাক্টরিতে রেখে চলে এসেছি। আর অনিকে মেরে ফেলেছি।
তানভীর – সত্যি বলার ব্যবস্থা রাতে করবো। এখন হিয়াকে তার মামার বাসায় পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা কর।
রাকিব – ঠিক আছে। লোকদের বলে দিচ্ছি।
– বলেই রাকিব চলে গেলে। বিকালে রুমে শুয়ে আছি। এমন সময় নুসরাত এসে বললো, তোর সাথে কিছু কথা আছে ।
তানভীর – হুম বল।
নুসরাত – ফুপ্পি তোর সাথে কথা বলতে
তানভীর – ফুপ্পি মানে?
নুসরাত – তোর আম্মু।
তানভীর – আমার কোনো মা বাবা নেই।মা বাবার কাছে অনেক আগেই আমি মরে গেছি।তাই আমার সাথে কারো কোনো কথা থাকতে পারে না।(রেগে গিয়ে)
নুসরাত – প্লিজ। এইভাবে বলিস না।ফুপ্পি জানতে পারলে খুব কষ্ট পাবে। ফুপ্পি, তামিম ভাইয়া সবাই সত্যিটা জেনে গেছে।
তানভীর – তো আমি কী করবো? আমার যা বলার বলে দিয়েছি। এই বিষয়ে আমি আর কোনো কথা শুনতে চাই না।(কিছুটা রেগে)
নুসরাত – প্লিজ আমার কথাটা শুন।
তানভীর – তুই যাবি এখান থেকে? নাকী ঘাড় ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের করে দিবো? (জোড়ে ধমক দিয়ে)
– নুসরাত আর কিছু না বলে। মাথা নিচু করে চুপচাপ রুম থেকে বেরিয়ে গেল। তারপর রাতে মামুন ভাইয়ের ফোন আমি আর রাকিব দুজনে ফ্যাক্টরিতে গেলাম।
– ফ্যাক্টরিতে গিয়ে গাড়ি থেকে নেমে ভেতরে যেতেই মামুন ভাই বললো, তোমার কথা মতো সবাইকে তুলে নিয়ে এসেছি।
রাকিব – এই মেয়েকে তুলে আনলেন কেন?ও আবার কি করেছে?(অবাক হয়ে)
তানভীর – তুই কী ওকে চিনিস?
রাকিব – হুম। নারায়ণগঞ্জ রিফাতের সাথে একদিন দেখেছিলাম।
মামুন – ও রিফাতের চাচাতো বোন।
তানভীর – এতো কিছু জেনে আমার কোনো লাভ নেই। একজন মেয়ে হয়ে অন্য একটা মেয়ের ইজ্জত দিয়ে খেলা করে। তার বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই।
মেয়েটি – আমাকে এখানে তুলে এনেছিস কেন?ওই মেয়ের সাথে তোর সম্পর্ক কী?
তানভীর – ওটা আমার বোন হয়।কি যেন বলেছিলি জান্নাতকে?আগে তোর জানকে খুশী করতে। তারপর ছেড়ে দিবি তাই না?(ধমক দিয়ে)
আশরাফুল – তুই কাকে ধমক দিচ্ছিস? তুই মনে হয় আমার সম্পর্কে এখনো কিছু জানিস না।জানলে আমাদের তুলে আনার সাহস তোর হতো না ।
তানভীর – একজন মেয়েকে ধর্ষন করে।টাকা দিয়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে পার পেয়ে গেছিস।তাই বলে এই ভাবিস না। কেউ তোদের কিছু করতে পারবে না।
আশরাফুল – কে তুই? এতো কিছু জানিস কীভাবে?(অবাক হয়ে)
তানভীর – একটু পর টের পাবি। আমি কে?
রাকিব – এতো কথা না বলে শেষ করে দে। এদের সাথে কথা বলে সময় নষ্ট করার কোন মানে হয় না।(কিছুটা রেগে)
আশরাফুল – বাঁচতে চাইলে আমাদেরকে ছেড়ে। আমার বন্ধু অনিক যদি জানতে পারে। তোদের কাউকে ছাড়বে না।(রেগে গিয়ে)
মামুন – বেঁচে থাকলে তো জানবে?
আশরাফুল – মানে ?
মামুন – পেছনে তাকিয়ে দেখ।
– আশরাফুল পেছনে তাকিয়ে দেখে অনিকের লিংঙ্গ কাটা অবস্থায় তার লাশ ফ্লোরে পড়ে আছে।এটা দেখার সাথে সাথে পেছন থেকে চোখ সরিয়ে নিলো।
– চোখ ফিরিয়ে নিয়ে হাসতে হাসতে বললো, কী ভাবিস অনিকে মেরে পার পেয়ে যাবি? অনিকের বাবা এমপি আনিস রায়হান তোদের কাউকে ছাড়বে না।
– এমন সময় আমাদের লোকজন এমপি আনিস রায়হানকে এনে হাত পা বাঁধা অবস্থায় ফ্লোরে ফেলে দিলো।এটা দেখে ওরা দুজনে অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
রাকিব – দেখ তোদের এমপি আনিস রায়হানের অবস্থা।অনিক মনে তোদের ডাকছে।যা ওর কাছে ওপারে ভালো থাকিস।
– বলেই রাকিব দুজনের বুকে পর পর কয়েকটা গুলি করলো।সাথে সাথে দুজনের মৃতদেহ ফ্লোরে পড়ে গেলো।
#চলবে