#তোকেই ভালোবাসি
#লেখক – তানভীর হৃদয় নীল
#পর্ব – ২৭
জান্নাত – ভাইয়া বড় আন্টি হার্ট স্ট্রোক করেছে।এই হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছে।আংকেল আর রোহান ভাইয়া তোর সাথে কথা বলতে চাইছে।
তানভীর – কি বলছিস এইসব?(অবাক হয়ে)
জান্নাত – তুই চলে আসার পর। তোর লোকজন গিয়ে আন্টির হাতের বাঁধন খুলে দেয়। তখন আন্টি অজ্ঞান অবস্থায় ছিলো। যার কারণে চেয়ার থেকে হাতের বাঁধন খুলে দেওয়ার সাথে সাথে আন্টি ফ্লোরে পড়ে যায়।
– রোহান ভাইয়া তোর লোকজনদের সাহায্য নিয়ে। তাড়াতাড়ি আন্টিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আসার পর ডাক্তার জানায়। আন্টি হার্ট স্ট্রোক করেছে।
তানভীর – ঠিক আছে। তুই আংকেলকে এখানে আসতে বল। আমি এখন কোথাও যেতে পারবো না।
জান্নাত – ঠিক আছে।
– বলেই জান্নাত চলে গেলো। আর রিয়া হাসপাতালের বেঞ্চে বসে বসে কাঁদছে।রিয়ার পাশে তানিশা আপু বসে আছে। আব্বু, আম্মু, তামিম ভাইয়া, তানিশা আপু সবাই এখানে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু কেউই আমার সাথে কথা বলার সাহস পাচ্ছে না।
– হঠাৎ করে মেঝো মামা আর মামী হাসপাতালে চলে আসলো। আমার সামনে এসে মেঝো মামী কাঁদতে কাঁদতে বললো, নুসরাত কোথায়?কী হয়েছে নুসরাতের?
– আমি কিছু বলার আগেই মেঝো মামা এসে। আমার শার্টের কলার চেপে ধরে বললো, আমার মেয়ে কোথায়?কী করেছিস তুই আমার মেয়েকে? আমার মেয়ের যদি কিছু হয়।তোকে কিন্তু আমি ছাড়বো না।(প্রচন্ডভাবে রেগে গিয়ে)
রিয়া – কি করছো জেঠু? তানভীর কে ছেড়ে দাও।তানভীরের কোনো দোষ নেই।সব দোষ আব্বুর। আব্বুর কারণে আজকের বড় ফুপ্পি আর নুসরাতের এই অবস্থা।(কেঁদে কেঁদে)
মেঝো মামা -তোর আব্বুর কারণে মানে?কী বলতে চাইছিস তুই?(জোড়ে ধমক দিয়ে)
রিয়া – আব্বু তানভীরকে গুলি করে মারতে চেয়েছিলো। কিন্তু নুসরাত গিয়ে তানভীরকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়।আর গুলিটা নুসরাতের গাঁয়ে লেগে যায়।(কেঁদে কেঁদে)
– রিয়ার কথা শুনে মেঝো মামা আমার শার্টের কলার ছেড়ে দিয়ে কিছুটা দূরে সরে যায়।
মেঝো মামা – এইসব তুই কী বলছিস?(রেগে)
তানভীর – রিয়ার সাথে এইভাবে বার বার ধমক দিয়ে কথা বলছেন কেন?(রেগে গিয়ে)
মেঝো মামা – ওর সাথে আমি কিভাবে কথা বলবো?সেটা তোর কাছ থেকে শিখতে হবে আমার?(ধমক দিয়ে)
তানভীর – হে শিখতে হবে। কোথায় কিভাবে কথা বলতে হয় সেটা জানেন না? রিয়ার মনের অবস্থা একবার বোঝার চেষ্টা করেছেন?(জোরে ধমক দিয়ে)
– এখানে এসেই আমার শার্টের কলার ধরে নুসরাতের কিছু হলে আমাকে ছাড়বেন না।এতোই যখন মেয়ের প্রতি ভালোবাসা।তাহলে এতো বছরে মেয়ের মনের সামান্য কথাটুকু জানতে পারলেন না কেন?
– সব সময়ই তো টাকার পিছনে ছুটেছেন।কখনোও কী মেয়ের ভালো লাগা,মন্দ লাগা এইসব কিছু বোঝতে চেয়েছেন?আমাকে ভালোবাসার অপরাধে।ওল্টো বেশ কয়েকবার ওর গাঁয়ে হাত তুলেছেন।এখন এসেছেন মেয়ের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে?(প্রচন্ডভাবে রেগে)
বড় মামী – আমাদের ক্ষমা করে দে বাবা। আজকে আমাদের জন্যই তোদের এই অবস্থা।(কেঁদে কেঁদে)
তানভীর – অযথা নিজেকে দোষারোপ করো না মামী।এইসবের পেছনে তোমাদের কারো কোনো দোষ নেই। এই সবকিছুর জন্য ছোট্ট মামা দায়ী।
বড় মামী – তবুও আমাকে ক্ষমা করে দে। সত্যিটা না জেনে এতোদিন তোদের সাথে অনেক অপরাধ করেছি।কিন্তু আসল অপরাধীর বিচার হয়নি।(কেঁদে কেঁদে)
তানভীর – একদম কাঁদবে না। বাসায় গিয়ে রেস্ট নাও।চিন্তা করো না।খুব তাড়াতাড়ি বড় মামার খুনীর শাস্তির ব্যবস্থা করবো।
– বড় মামী কিছু বলতে যাবে। তার আগেই ডাক্তার অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়।
তানভীর – ডাক্তার রোগীর কী অবস্থা এখন?(কাছে গিয়ে)
ডাক্তার – চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনি ঠিক সময়ে রক্ত দেয়াতে। আমরা অপারেশন করতে পেরেছি।রোগীর শরীর থেকে গুলিটা বের করা হয়েছে।
– রোগী এখন সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত।রোগীর শরীর দূর্বল থাকার কারণে। ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে রোগীকে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইনশাআল্লাহ। আগামী কাল সকালে রোগীর সাথে দেখা করতে পারেন।
তানভীর – অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
– ডাক্তার চলে যাওয়ার পর সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে।কেউ কোনো কথা বলছে না।মেঝো মামা অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
– এমন সময় জান্নাত,আংকেল আর রোহান ভাইয়া আসলো। এসেই আংকেল বললো, তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো।
তানভীর – জ্বী বলেন।
আংকেল – তুমি হয়তো জানো না।তোমার আন্টি এর আগেও একবার হার্ট স্ট্রোক করেছিলো।
তানভীর – জানি।নুসরাত আমাকে বলেছিলো।এখন কী বলতে চাইছেন সেটা বলেন?
আংকেল – আমি চাই রাকিব বাসায় ফিরে চলুক।এতে তোমার আন্টি অনেকটা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবে। আর ডাক্তার ও বলেছে তোমার আন্টিকে সবসময় হাসিখুশি রাখার জন্য।যাতে তার উপরে কোনোভাবেই মানসিক চাপ না পড়ে।
রোহান – আজ নিয়ে আম্মু দু’বার হার্ট স্ট্রোক করেছে। তৃতীয়বার যদি হয় তাহলে আর আম্মুকে বাঁচানো যাবে না। প্লীজ ভাই। আমি তোর কাছে হাত জোড় করছি। রাকিবকে বাসায় ফিরে আসতে বল।(কেঁদে কেঁদে)
তানভীর – ঠিক আছে।তোমরা আন্টির কাছে যাও।আমি ওকে ফোন দিয়ে বুঝিয়ে বলছি।
জান্নাত – ভাইয়া তুই কী বাসায় ফিরে যাবি না?
তানভীর – অনেক রাত হয়েছে বাসায় যা।
জান্নাত – আমার প্রশ্নের জবাব কিন্তু পাইনি।
তানভীর – এইসব নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগছে না।রাত হয়েছে বাসায় চলে যা। রিয়া মামুন ভাইয়ের সাথে বাসায় যা।বাসায় গিয়ে রেস্ট নে। আর হে এইসব নিয়ে একদম ভাববি না।
– মামুন ভাই রিয়াকে নিয়ে বাসায় দিয়ে আসেন। রাকিব কে বলবেন যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে আসার জন্য।
মামুন – ঠিক আছে।
– রিয়া মামুন ভাইয়ের সাথে চলে গেলো।বড় মামীরাও চলে গেলো। আম্মু আব্বু কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থেকে চলে গেলো। একঘন্টা পরে রাকিব হাসপাতালে আসলো। কিন্ত আন্টির কাছে যায় নি। বাহিরে থেকে আন্টিকে দেখে চলে এসেছে।
– পরেরদিন সকালে ফ্রেশ হয়ে রুমে গিয়ে দেখি।দু’জন নার্স অজ্ঞান অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে।নুসরাতের দিকে তাকিয়ে নুসরাতের অবস্থা দেখে।কী করবো?কিছুই ভেবে পাচ্ছি না।
#চলবে
#তোকেই ভালোবাসি
#লেখক – তানভীর হৃদয় নীল
#পর্ব – ২৮
– পরেরদিন সকালে ফ্রেশ হয়ে রুমে গিয়ে দেখি।দু’জন নার্স অজ্ঞান অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে।নুসরাতের দিকে তাকিয়ে নুসরাতের অবস্থা দেখে।কী করবো?কিছুই ভেবে পাচ্ছি না।
– নুসরাতের মুখ কালো হয়ে গেছে। আস্তে আস্তে পুরো চেহেরা কালো হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ নুসরাতের এমন অবস্থা দেখে দুজনেই ভয় পেয়ে যায়।কী করবো কিছুই ভেবে পাচ্ছি না।
– এমন সময় দুজন ডাক্তার রুমে আসলো।এসে নুসরাতের অবস্থা থেকে কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।তিনজন মহিলা নার্স এসে ফ্লোরে পড়ে থাকা দুজনকে রুম থেকে নিয়ে যায়।
ডাক্তার – নার্স ওনার শরীরে ইনজেকশন দিয়েছে কে ?(রেগে গিয়ে)
নার্স – স্যার আমি জানি না। এখানে যারা ছিলো তাদের অবস্থান তো দেখলেন। আমার মনে হয় রোগীকে কেউ মেরে ফেলতে চাইছে। নিশ্চয়ই ইনজেকশনের সাথে বিষাক্ত কিছু ছিলো।যার কারণে রোগীর এই অবস্থা।
ডাক্তার – এতো কথা না বলে তাড়াতাড়ি অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাও।(রেগে)
– বলার সাথে সাথে দুজন নার্স তাড়াতাড়ি নুসরাতকে রুম থেকে বের করে নিয়ে যায়।সাথে একজন ডাক্তার ও চলে যায়।
ডাক্তার – আপনারা কোনো চিন্তা করবেন না।আমরা দেখছি কী করা যায়।এই রুমে যে দু’জন নার্স ছিলো। দুজনের জ্ঞান ফিরলে তাদের কাছ থেকে সবকিছু জানা যাবে।যারা রোগীর ক্ষতি করতে চেয়েছিলো।তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাকিব – এই বিষয়ে আপনাদের কোনো কিছু করতে হবে না।এই রুমের সিসি টিভির ফুটেজগুলো দেখান আমাদের।যারা করার আমরাই করবো।
ডাক্তার – ঠিক আছে। ওর সাথে যান আপনারা।(একজন নার্সকে উদ্দেশ্যে করে)
– নার্সের সাথে যাওয়ার পর। নার্স আমাদের একটা রুমে নিয়ে গেলেন। ওখানে যাওয়ার পর নুসরাত যে রুমে ছিলো।ওই রুমের সিসি টিভির দেখালো।
– সিসি টিভির ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। মেঝো মামা নুসরাতের গায়ে ইনজেকশন দিচ্ছে।নার্সরা তাদের কাজে বাঁধা দেয়াতে নার্সদের মাথায় আঘাত করে।যার কারণে দুজন নার্স অজ্ঞান হয়ে ফ্লোরে পড়ে যায়। ইনজেকশন দেওয়া শেষে মেজো মামা হাসতে হাসতে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
– ভিডিও ফুটেজ দেখার সাথে সাথে দুজনের পুরো অবাক হয়ে গেলাম। ওখানে না আর দাঁড়িয়ে না থেকে বাহির চলে আসলাম।
রাকিব – এইসব কি? মামা নুসরাত কে মারতে চাইছে কেন? আর মামার সাথে দুজন লোক কে ছিলো?(অবাক হয়ে)
তানভীর – জানি না। নুসরাতের কিছু হলে ওদের কাউকে ছাড়বো না।(রেগে)
রাকিব – রোহান ভাইয়া এইদিকে আসছে কেন?
তানভীর – আমি কিভাবে বলবো?
– এমন সময় রোহান ভাইয়া এসে বললো, রাকিব আম্মু তোকে দেখতে চাইছে।
– রাকিব কিছু না বলে রোহান ভাইয়া সাথে চলে গেলো। রাকিব চলে যাওয়ার পর একজন নার্স এসে বললো, দুজনের জ্ঞান ফিরছে।আপনার সাথে কথা বলতে চাইছে।
তানভীর – ঠিক আছে। চলেন ওনাদের কাছে।
– তারপর ওই নার্সদের সাথে দেখা করার জন্য গেলাম।ওখানে যাওয়ার পর একজন নার্স বললো, আমাদের ক্ষমা করে দিন। হঠাৎ আপনার মামা এসে এমনটা করবে। আমরা কখনো ভাবতে পারিনি।
নার্স – আপনার মামা আর দুজন লোক মিলে এইসব করেছে।যে কিনা একজন পিতা হয়ে মেয়ের ক্ষতি করতে চাইছে। ইনজেকশনের সাথে বিষ মিশিয়ে ছিলো।
– আমরা চেষ্টা করেছি ওনাকে বাঁধা দেওয়ায় জন্য কিন্তু পারিনি।কাউকে ডাক দেওয়ার আগেই। ওনারা আমাদের মাথায় আঘাত করে অজ্ঞান করে ফেলে।
তানভীর – আমি সবকিছু সিসিটিভির ফুটেজে দেখেছি। এতে আপনাদের কোনো দোষ নেই।
নার্স – কেমন বাবা ওনি?যে কিনা নিজের মেয়েকে মেরে ফেলতে চাইছে।
– নার্সের কথা শুনে কি বলবো কিছুই ভেবে পাচ্ছি না? ওখানে আর না দাঁড়িয়ে সোজা বাহিরে চলে আসলাম। নুসরাতের কেভিনের সামনে গিয়ে দেখি সবাই দাঁড়িয়ে আছ।
মেঝো মামা – নুসরাতের কি হয়েছে?
তানভীর – কেন তুই জানিস না?এখানে এসেছিস আবার নাটক করতে? নুসরাতের যদি কিছু হয়? তোকে জেন্ত মাটির নিচে পুঁতে ফেলবো।(প্রচন্ডভাবে রেগে গিয়ে)
তানিয়া – তুমি মামার সাথে এইভাবে কথা বলছো কেন? ভুলে যেওনা ওনি তোমার মায়ের ও বড় হয়।
তানভীর – কিছুই ভুলেনি।সব কিছু মনে আছে আমার।যে বাবা তার মেয়েকে ইনজেকশনের সাথে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলতে চাই। তার সাথে এরচেয়ে ভালো ব্যবহার করা যায় না।
মেঝো মামা – আমি,আমি কেন নুসরাতকে মারতে চাইবো? এইসব কি বলছিস তুই?(অবাক হয়ে)
তানিয়া – কি বলছো তুমি?একবার ভেবে দেখেছো? আর কিসের ভিত্তিতে এই কথাগুলো বলছো?তোমার কথা যে সত্যি তার প্রমাণ কী?(কিছুটা রেগে)
তানভীর – হে আমি মিথ্যা কথা বলছি।যান আপনি আপনার হাসপাতালের নার্সদের গিয়ে জিগ্গেস করে দেখেন। হাসপাতালের সিসিটিভির ফুটেজগুলো দেখে আসেন।(জোরে ধমক দিয়ে)
– তানিয়া ভাবি কিছু বলার আগে। একজন নার্স এসে বললো, ম্যাম ওনি যা বলছে সত্যি।
তানিয়া – মানে?(অবাক হয়ে)
নার্স – ওনার মামা দুজন লোক নিয়ে আমাদেরকে অজ্ঞান করে ফ্লোরে ফেলে দেয়। তারপর ইনজেকশনের সাথে বিষ মিশিয়ে।ওনার স্ত্রী কে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে।
তানিয়া – কি বলছো এইসব?(কিছুটা রেগে)
নার্স – বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি। আমাদের কথা বিশ্বাস না হলে। আপনি সিসিটিভির ফুটেজ দেখতে পারেন।
– বলেই দুজন নার্স চলে গেলো। এমন সময় মেঝো মামী প্রচন্ডভাবে রেগে গিয়ে মামাকে বললো, তুমি এতোটা খারাপ হবে। আমি সেটা কোনো দিন কল্পনাও করেনি।
– কেমন বাবা তুমি?যে কিনা নিজের মেয়েকে মেরে ফেলতে চাইছো?মানছি তুমি তানভীরকে পছন্দ করো না।ওকে তুমি দেখতে পারো না। যার কারণে নুসরাতের গায়ে বেশ কয়েকবার হাত তুলেছো।
– কিন্তু আজকে তুমি আমার মেয়েকে মেরে ফেলতে চাইছিলে। তুমি মানুষ নাকি অন্য কিছু? আমার মেয়ের যদি কিছু হয়? তাহলে কিন্ত আমি তোমাকে সহজে ছাড়বো না।
মেঝো মামা – কি বলছো এইসব তুমি? বিশ্বাস করো আমি কিছু করেনি। তানভীরকে আমি পছন্দ করতাম না।তার কারণ ও আর রাকিব ভাইজান কে মেরেছিলো। যদিও সেটা সত্যি ছিলো না।
– কিন্তু সত্যিটা জানার পর তো আমি কিছু বলেনি। যেইদিন আমার তোমার অনুমতি ছাড়া নুসরাত কে বিয়ে করেছিলো। বিয়ের দিন বাড়ি থেকে যখন নুসরাতকে নিয়ে আসে। তখন তো কিছু করেনি। তাহলে আজকে কেন আমি নুসরাতকে মারতে চাইবো?
– নুসরাত তো আমারই মেয়ে।আমি ওর বাবা হয়ে। কেন ওকে মারতে যাবো? প্লীজ আমার কথা বিশ্বাস করো।(কেঁদে কেঁদে)
– মামী কিছু বলার আগে রাকিব এসে মামাকে উদ্দেশ্য বললো, তোর সাহস কি করে হলো নুসরাতকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা? নুসরাতের যদি কিছু হয়? তাহলে কিন্তু তোর অবস্থা। তোর ছোট্ট ভাইয়ের চেয়ে খারাপ হয়ে যাবে।(প্রচন্ডভাবে রেগে)
মেঝো মামা – বিশ্বাস কর বাবা। আমি এইসব কিছু করে নি।(কেঁদে কেঁদে)
– রাকিব কিছু বলার আগে তার মোবাইলে ফোন আসলো। ফোন রিসিভ করে কথা বলা শেষে হলে।মেঝো মামার অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
তানভীর – এইভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?
রাকিব – এইসব কি হচ্ছে আমাদের সাথে?কিছুই তো বোঝলাম না।(কিছুটা রেগে)
তানভীর – কী হয়েছে আবার?
রাকিব – লোকদের ফোন দিয়ে বলেছিলাম। মেঝো মামাকে খুঁজে বের করে মেরে ফেলতে। এখন মামুন ভাই ফোন দিয়ে বললো, আমাদের ফ্যাক্টরিতে যাওয়ার জন্য।ওই দুজনকে সহ মেঝো মামাকে ফ্যাক্টরিতে বেঁধে রেখেছে। কিন্তু মেঝো মামাতো আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
#চলবে