#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_৩২
.
.চারিদিকে অন্ধকারে ঢেকে আছে। দূরের রাস্তায় টিম টিম করে আলো জ্বলছে। বারান্দার প্লাস ট্যারেসে রেলিং এর মাঝে থাকা ডিজাইনিং বাল্ব গুলো জ্বলছে যা বৃষ্টির জন্য পানির সাথে আরো সুন্দর দেখতে লাগছে। । পরিবেশ কেমন একটা নেশাময় হয়ে উঠেছে।
বেলা বারান্দার থাই গ্লাস সরিয়ে চলে আসে খোলা আকাশের নিচে। আকাশ ও যেনো আজকে পুরো তার ডানা খুলে দিয়েছে।। এই সব কিছু যেনো বেলা কে নেশা ধরিয়ে দিচ্ছে। তার মনের মধ্যে থাকা সমস্ত রাগ অভিমান গুলো কে নিমেষে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিচ্ছে। বেলা দু হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি কে যেনো নিজের মধ্যে নিয়ে নিচ্ছে। খুশিতে মেতে ওঠে বেলা। আকাশের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আসতে আসতে ঘুরতে থাকে। চোখ বন্ধ বৃষ্টির পানি গুলো টুপ টপ করে বেলার মুখে পড়ছে। এতে যেনো বেলার আনন্দ আরো দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। বেলা পুরোই ভিজে চুপ চুপে হয়ে গেছে মাথার চুল পরনের ড্রেস পুরো ভিজে গিয়ে বেলার শরীরের সাথে চেপে বসেছে। চোখ বন্ধ করে তার সামনে ভেসে সাঁঝ এর মুখ। সাঁঝ এর বাঁকা হাসি সেই চোখ টিপে দেয়া অ্যাটিটিউড নিয়ে চলা সব কিছুই। তার পরেই আসতে আসতে চোখের সামনে ভাসতে থাকে একে একে তাদের এক একটা সুখের স্মৃতি। বেলা চোখ বন্ধ রেখেই মুচকি মুচকি হাসছে।
.
. সাঁঝ বেলা কে খুঁজছে। কারণ সেই অফিসের ঘটনা থেকেই বেলা রেগে আছে সাঁঝ এর ওপর। কথা বলছে না তার সাথে। সাঁঝ কিছু বললেই বেলা রেগে তাকায় তার দিকে মনে হয় তাকে আগুনে পুড়িয়ে মারবে। সে একটু বাইরে গেছিলো। তাই এসেই বেলা কে খোঁজা শুরু হয়ে গেছে। রুমে এসে দেখে বারান্দার গ্লাস খোলা। সেদিকে এগিয়ে যেতেই সাঁঝ এর চোখ স্থির হয়ে যায়। সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে বড় বড় নিশ্বাস নিতে থাকে। হাত মুঠো করে নিজেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা চালায়। বেলা কে এই মুহূর্তে দেখে তার নেশা লেগে যাচ্ছে। তার আসক্তি টা যেনো আরো দ্বিগুণ হারে বেড়ে আছে যেটা হিংস্রতার রূপ নিচ্ছে। বেলা বৃষ্টিতে ভিজে পুরো ভিজে গেছে। তার মাথার থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে যেটা ঠোঁট হতে গলায় আর সেখান গভীরে হারিয়ে যাচ্ছে। বেলার ড্রেস বৃষ্টির জন্য ভিজে গিয়ে তার শরীরে চেপে বসেছে। যার জন্য বেলার শরীরে প্রতিটা ভাঁজ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আর এর জন্য নেশা আসক্তি এক সাথে বেড়ে গেছে মনে এখুনি বেলা কে তার ভালোবাসার চাদরে মুড়ে নিয়ে আদরে আদরে ভরিয়ে দিতে। কিন্তু। কিন্তু । হ্যাঁ তাদের মাঝে আর কোনো বাধা নেই কারণ বেলা তাকে মেনে নিয়েছে। সে আবারও তাকে ভালোবাসে সেটা সে নিজের মুখের স্বিকার করেছে। আর কোনো বাধা নেই তার বেলা কে নিজের করে নিতে। এগুলো ভাবতেই সাঁঝ এর শরীরে শিহরন খেলে যায়। মুখে ফুটে ওঠে এক চিলতে উজ্জ্বল হাসি।হঠাৎ করেই বেলার গলা শুনে ঘুরে দাঁড়িয়ে আসতে আসতে নিজের চোখ খোলে সাঁঝ। বেলা চোখ বন্ধ করেই দু হাত ছাড়িয়ে গেয়ে ওঠে।
.
.
. 🎶 সার্ম হাটা দে জো সাব গিরা লে
আঁখো পে~~~
প্যায়াস মিটা দে ও নামি চুরালে
হোঠো সে~~~
মে জালতি তেরি তু ও সুবহা জো
বুঝা দে~~~🎶
.
. সাঁঝ এগিয়ে এসে হটাৎ করে বেলার বাড়ানো হাত টান মেরে ঘুরিয়ে দেয়। বেলা ঘুরে সাঁঝ এর বুকের ওপর পড়ে সাঁঝ বেলার কোমরে হাত শক্ত করে নিজের সাথে জড়িয়ে নেয়. এক হাত উঠিয়ে মুখের পড়া কিছু খুচরো চুল কানে গুঁজে দেয়। হাত নিয়ে আসতে বেলার মুখে স্লাইড করতে থাকে। বেলা চোখ খুলে তাকালেই দেখে সাঁঝ দাঁড়িয়ে তার সামনে। সাঁঝ এর চোখ গুলো কেমন নেশায় ভরা ঘোর লাগানো। বেলার বুঝতে বাকি থাকে না। সাঁঝ এর দৃষ্টির মানে। বেলা ও এক হাত উঠিয়ে সাঁঝ এর ঠোঁটে স্লাইড করতে থাকে। মুখে আলতো হাসির রেস টেনে আবারো গেয়ে ওঠে।
.
. 🎶 ভিগ লূ~~ভিগ লূ
আজ মে তেরি বারিস মে
ভিগ লূ~~ভিগ লূ
আজ মে তেরি বারিস মে
ভিগ লূ~~~ 🎶
.
. বেলা কোমরে ধরে রেখেছে সাঁঝ।বেলা নিজে কে সম্পূর্ণ পিছনের দিকে হেলিয়ে দেয়। কোমর থেকে যেনো বডি টা কে যেনো হওয়ায় ভাসাতে চায়। দু হাত উপরে তুলে নিয়ে বেলা নিজের মাথার চুল থেকে মুখ পর্যন্ত আঙুল নিয়ে বুলাতে থাকে। বেলার এই মুভমেন্ট গুলো সাঁঝ কে আরো নেশা করে দিচ্ছে। সে এক হাত দিয়ে বেলার কোমর ধরে নিজের সাথে চেপে নেয়। আর এক হাত দিয়ে বেলার মুখের ওপর বুলাতে থাকে আঙুল দিয়ে। চোখ মুখ ঠোঁট গলা হাত আসতে আসতে নিচের দিকে নামতে থাকে। বেলার সারা শরীরে সাঁঝ এর হাত ঘুরে বেড়ায়।
.
. 🎶 আ হোঠো পে খোহাইশ তু বুনলে
বাকি জো হাসরাত ও চুনলে
বিখরে জো কাতরে মেরে
হো~হা তান সে তান উলঝালে জারা
ফির সে মান সুলগা লে জারা
চাখনে তো দে টুকড়ে তেরে
মে জালতি রাতে
তু ও সুবহা জো বুঝা দে
ভিগ লূ~~ভিগ লূ
আজ মে তেরি বারিস মে
ভিগ লূ~~ভিগ লূ
আজ মে তেরি বারিস মে
ভিগ লূ~~~ 🎶
.
. সাঁঝ বেলা কে হ্যাচকা টান দিয়ে উঁচু নিজের সাথে লাগিয়ে নেয়। বেলার মুখে হাত দিয়ে মুখ টা কে নিজের দিকে আরও টেনে আনে। দুজন এর ঠোঁটের মাঝে একটি গ্যাপ নেই। ছুয়ে ছুয়ে লেগে আছে। সাঁঝ বেলার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। বেলা নিজের হাত উঠিয়ে সাঁঝ এর মাথায় রাখে আর এক হাত দিয়ে সাঁঝ এর গলায় জড়িয়ে রাখে। দুজন একে অপরের ঠোঁটে রস শুষে নিতে মেতে উঠেছে। সাঁঝ বেলার কোমরে ধরে বেলা কে ওই অবস্থায় নিজের কোলে তুলে নেয়। বেলা ও নিজের দু পা সাঁঝ এর কোমরে জড়িয়ে নেয়। এখন যেনো দুজন এর মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে চুমু খাওয়ার। দুজন দুজন কে পাগল এর মত চুমু খেতে থাকে। মনে হচ্ছে আজ দুজনের মধ্যে আগুন টা সমান সমান ভাবে লেগেছে। দুজনই দুজন এর নেশায় মেতে উঠেছে। সাঁঝ আসতে আসতে হাত নামিয়ে আনে বেলার গলায়। হাত দিয়ে আসতে আসতে খুলতে থাকে বেলার শার্ট এর বোতাম। বেলা কে চুম্বনরত অবস্থায় পাশের দেয়ালে গিয়ে বেলা কে ঠেকিয়ে দেয়। বেলার সাথে লেগে দাঁড়িয়ে বেলার শার্ট কাঁধের থেকে নামিয়ে দেয় একদিকে।
.
–“আই নিড ইউ বেলা ব্যাডলি । ফিসফিসিয়ে নেশা ধরানো গলায় বলে ওঠে সাঁঝ।
.
.বেলার শরীরে সাঁঝ এর ফিসফিসিয়ে বলার জন্য শিহরন বয়ে যায়। সাঁঝ কে নিজের সাথে আরো গভীর ভাবে মিশিয়ে নেয় বেলা। সাঁঝ এর ঠোঁটে এবার সে একটা কামড় বসায়। কামড় যতো না ব্যাথার ছিল। তার থেকে ও বেশি ছিল বেলার স্পর্শের অনুভূতি এতে সাঁঝ কে আরো পাগল বানিয়ে দেয়। সাঁঝ বেলার ঠোঁটে আরো পাগলের মত চুমু খেতে থাকে। এবারে সাঁঝ বেলার শার্ট এর বোতাম পুরো খুলে ফেলে। সাঁঝ চোখ খুলে। আসতে আসতে বেলা কে দেয়ালের সাথে দাঁড় করিয়ে দেয়। বেলার শার্ট দু দিকে সরিয়ে দেয়। বেলার দু হাত হালকা করে দেয়ালের সাথে লাগিয়ে উঁচু করে দেয়। একদিকে বেলার কাঁধের থেকে শার্ট নেমে যায়। সাঁঝ আসতে আসতে বেলার থেকে কয়েক পা দূরে সরে দাঁড়ায়। বৃষ্টির পানি বেলার মাথায় থেকে বেয়ে ঠোঁট আর তারপরে গলা বেয়ে নিচে নামতে থাকে। আর সাঁঝ তা তৃষ্ণার্ত চোখে দেখতে থাকে। ঘোর লেগে গেছে সাঁঝ এর পুরো পুরো এতক্ষণ যেটুকু কন্ট্রোলে সেটাও এখন ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছে। বেলা কে এই অবস্থায় দেখে যে সাঁঝ এর নেশা আসক্তি চেপে ধরেছে। বেলা তাকে নিজের দিকে গভীর থেকে গভীর ভাবে আকর্ষণ করে চলেছে। এদিকে বেলা সাঁঝ কে নিজের দিকে এই ভাবে নেশা লাগা চোখে তাকাতেই বেলা মাথা ঘুরিয়ে নেয় সরে যেতে নিলে সাঁঝ এসে আটকে দেয়। দু হাত দিয়ে বেলার হাত চেপে ধরে দেয়ালের সাথে। মুখ নামিয়ে আনে বেলার গলায়। একে একে ঠোঁটের স্পর্শ দিতে থাকে যেটা গভীর থেকে গভীর হয়ে চলেছে। তার সাথে আছে জিভ এর লেহন। বেলা সাঁঝ এর স্পর্শ আদরে আরো উত্তেজিত হয়ে পড়ছে. নিজের অনুভূতি গুলো কে বসে রাখতে পারছে না। চোখ মুখ চেপে বন্ধ করে নেয়।নিচের ঠোঁট দাঁত দিয়ে চেপে ধরে। বেলার মনে হচ্ছে সাঁঝ আজকে তাকে তার ভালোবাসার চাদরে মুড়ে আদরে আদরে ভরিয়ে তাকে দম আটকে মেরে ফেলবে।
.
. 🎶 আ এ রাতে লাম্বি তু কার দে
চিঙ্গারি রাগ রাগ মে ভার দে
সারমো সে তু সারমো হ্যায়া
হো~হা রাখলে তু লাব কো লাব পে
মে গুজরি মেরি হাদো সে
ঠ্যেহরু কাহা কুছ তো বাতা
মে জালতি রাতে তেরি
তু ও সুবহা জো বুঝা দে
ভিগ লূ~~ভিগ লূ
আজ মে তেরি বারিস মে
ভিগ লূ~~ভিগ লূ
আজ মে তেরি বারিস মে
ভিগ লূ~~~ 🎶
.
. বেলা সাঁঝ এর হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে সাঁঝ এর মাথা আকড়ে ধরে সাঁঝ এবার বেলার গলা থেকে মুখ তুলে বেলার চোখের দিকে তাকায়। যেখানে আছে পাগল করা চাহনি যা দেখে সাঁঝ কখনই নিজেকে আটকে রাখতে পারবে না। আবারও বেলার ঠোঁট আকড়ে নেয়। প্যাশনেটলি কিস করতে থাকে। বেলার হাত আসতে আসতে সাঁঝ এর মাথায় থেকে গলায় নেমে আসে। হাত দিয়ে সে সাঁঝ এর শার্ট এর বোতাম খুলতে থাকে। সাঁঝ বেলা কে আবারো কোলে তুলে নেয়। দুজন এর ঠোঁট এক অপরের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে আছে. মনে হচ্ছে আজ যেনো তারা তাদের সব পিপাসা মিটিয়ে নেবে। বারান্দা থেকে এসে সাঁঝ তার পা পিছন দিকে ঘুরিয়ে স্লাইডিং এ দিতেই আসতে আসতে বারান্দার গ্লাস বন্ধ হয়ে যায়। এক হাত দিয়ে পাশের পর্দা হালকা টান দিতেই পুরো পর্দা টেনে যায়। রুমে পুরো অন্ধকার হয়ে যায় শুধু ডিম লাইট এর আলো ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছে না। রুমের মধ্যে এই মৃদু আলো দুজন কে আরো নেশায় আসক্ত করে ফেলছে। সাঁঝ বেলা কে চুম্বনরত অবস্থায় নিয়ে গিয়ে বিছানায় ফেলে দেয়। তার পর সেও বেলার ওপর পড়ে। বেলার ওপরে উঠেই আবারো মেতে ওঠে দুজনে একে অপরের ঠোঁটের মাঝে। বেলার হাত আবারো সাঁঝ এর শার্টে গেলেই সাঁঝ বেলা কে ছেড়ে একটু উঁচু হয়ে নিজের গায়ের শার্ট খুলে ছুড়ে ফেলে। আবারও মেতে ওঠে সাঁঝ তার বেলার মাঝে। সাঁঝ আসতে আসতে বেলার পায়ের কাছে চলে যায়। বেলার পা এর কাছে বসে আসতে আসতে স্কির্ট টা ওপরে তুলতে থাকে ঠোঁটের দ্বারা। বেলার পায়ের পাতা থেকে সাঁঝ তার ঠোঁটের স্পর্শ দিতে শুরু করে। বেলা যেনো সুখের সাগর এর মাঝে ভাসতে শুরু করেছে সাঁঝ এর এই স্পর্শ এই আদর তাকে যেনো এক আলাদা অনুভূতির সাথে পরিচয় করাচ্ছে। দু হাতে চাদর খামছে নেয় বেলা চোখ চেপে বন্ধ করে নেয়। নিচের ঠোঁট দাঁত দিয়ে চেপে ধরে। সাঁঝ আসতে আসতে বেলার পেটের ওপরে নিজের মুখ নিয়ে আসে। বেলার পেটে নাভির কাছে নিজের ঠোঁটের স্পর্শ দিতে থাকে। হালকা করে জিভ দিয়ে লেহন করতে থাকে। আর এতেই বেলার পুরো শরীর কেঁপে কেঁপে উঠতে থাকে. তার সাথে বড় বড় নিশ্বাস আর বুকের ওঠানামা যেনো সাঁঝ এর দম আটকে দেয়। তাকে মাতাল করে দিচ্ছে বেলার এই মুভমেন্ট গুলো। আসতে আসতে সে বেলার উপরে উঠে আসে। বেলার গায়ের থেকে তার শার্ট আলাদা করে দেয় । সাঁঝ মুখ গুঁজে বেলার বুকের মাঝে। আসতে আসতে খসে পড়ে তাদের শরীর থেকে তাদের বাকি কাপড় গুলো। সাঁঝ এর প্রত্যেক টা স্পর্শে বেলার শরীর কেঁপে ওঠে যা সাঁঝ কে আরো পাগল বানিয়ে দেয়। সাঁঝ প্রত্যেক টা ভালোবাসার স্পর্শ বেলার শরীরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে। বেলার চোখের কোল বেয়ে গড়িয়ে পড়ে বিন্দু বিন্দু চোখের জল। দু হাতে সাঁঝ কে আকড়ে নেয় নিজের সাথে সাঁঝ বেলার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিয়ে আসতে আসতে আরো গভীর থেকে গভীরে অনুগমন করছে। আসতে আসতে রাতের গভীরতার সাথে তারা দুজন গভীর হতে থাকে একে অপরের মাঝে। ডুবে যায় একে অন্যের ভালোবাসা নেশায় ভরা আসক্তি এর মধ্যে। সারা রুমে বাইরের বৃষ্টির সাথে সাথে তাদের নিশ্বাস এর শব্দে ভোরে যায়। দুজন পুরো পুরি ভাবে এক হয়ে যায়। পূর্ণতা পায় এত দিন পর তাদের ভালোবাসা।
অবশেষে রাতের শেষ অঙ্কে দুজন ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে দুজন দুজন কে জড়িয়ে।
—————–
ভোরের দিকে বেলার হটাৎ করেই ঘুম ভেঙ্গে যায়। তবে এমনি না হঠাৎ করেই অন্য রকম অনুভূতি হওয়াতে ঘুম ভেঙ্গে যায়। শরীরে মধ্যে শুড়শুড়ি অনুভব করে সে। চোখ খুলে পিট পিট করে তাকিয়ে দেখে সাঁঝ তার দিকে তাকিয়ে আছে। সাঁঝ এর হাত তার শরীরের এখানে ওখানে ছুয়ে যাচ্ছে বারবার। আর তার গলার কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে নাক ঘসে দিচ্ছে আবার ঠোঁটের স্পর্শ করছে। বেলা চোখ ঘুরিয়ে সাঁঝ এর দিকে তাকায় সে সরে যেতে নিয়েও পারে না। সাঁঝ তাকে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে রেখেছে । সাঁঝ এর বডির অর্ধেক তার গায়ের ওপরে। সাঁঝ এর দিকে তাকাতে সাঁঝ মাথা উঁচু করে বেলার ঠোঁটে আলতো করে চুমু খায়। বেলা তাকিয়ে দেখে সাঁঝ এর চোখে আবারো কেমন নেশা আর ঘোর লেগে আছে।
.
–“কি হচ্ছে এটা। বেলা কেঁপে কেঁপে বলে ওঠে।
.
–” কই। কোথায় কি হচ্ছে হুম। বেলার গলায় নাক ঘষে বলে ওঠে।
.
–“ছাড়ো আমাকে প্লিজ। বেলা সাঁঝ এমন স্পর্শে কেঁপে উঠে বলে।
.
–” উহুহু । জান প্লিজ প্লিজ লেট মি লাভ ইউ এগেইন ফর ওয়ান লাস্ট টাইম বেবি। বলেই বেলার ওপরে উঠে বেলার গলায় মুখ গুঁজে দেয়।
.
. বেলা এদিকে সাঁঝ এর স্পর্শে কেঁপে উঠছে বারবার। সে চেয়ে ও কোনও বিরোধ করতে পারলো না। আবারও সাঁঝ তার বেলার মাঝে ডুবে যায়।
—————
সকাল নটা ফোনের আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে যায় বেলার। চোখ পিট পিট করে তাকাতেই চারিদিকে কেমন একটা অন্ধকার অন্ধকার মত মনে হয়। রুমের মধ্যে ড্রিম লাইট এর আলো আর বাইরের আলো পর্দার ফাঁক দিয়ে উকি দিচ্ছে রুমের মধ্যে। তাই রুমের মধ্যে পুরো অন্ধকার এসে গ্রাস করতে পারিনি। বেলা তার ওপর ভারী কিছু অনুভব করে। মাথা টা কেমন ভারী হয়ে আছে। আসতে আসতে ভালো করে চোখ খুলে তাকায় । দেখে তার ওপরে সাঁঝ শুয়ে আছে। তার গলায় মুখ গুঁজে ঘুমিয়ে আছে। সাঁঝ এর উষ্ণ নিশ্বাস বেলার গলায় পড়তে বেলা কেঁপে ওঠে। এক হাত উঠিয়ে সাঁঝ এর মাথার চুলের ওপরে রাখে। সাঁঝ তাকে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে রেখে ঘুমিয়ে আছে। বেলার কাল রাতের কথা গুলো মনে পড়তেই লজ্জায় গাল হয়ে যায়। এদিকে বারবার করে সাঁঝ এর ফোন বেজে যাচ্ছে। কিন্তু সেদিকে তার কোনো হুস নেই। বেলা সাঁঝ এর মাথায় হাত রেখে ডাকতে থাকে কিন্তু এতে সাঁঝ বেলা কে আরো শক্ত করে জড়িয়ে নেয়। এদিকে বেলা কোনো রাস্তা না পেয়ে এক হাত দিয়ে সাঁঝ এর মাথার চুল গুলো খুব শক্ত করে চেপে ধরে। আর মুখ নামিয়ে সাঁঝ এর কাঁধে খুব জোরে কামড়ে ধরে।
.
–“উমমম । সাঁঝ মৃদু আওয়াজ করে চোখ খুলে তাকায় বেলার দিকে।
.
–” তোমার ফোন বাজছে। বেলা চোখ ঘুরিয়ে বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ কোনো কথা না বলে আবারো বেলার গলায় মুখ গুঁজে হাত বাড়িয়ে ফোন নিয়ে কানে ধরে। আর বেলা তো চুপ করে দম আটকে রেখেছে। সাঁঝ কোনো কথা না বলে ফোন রেখে দেয়। মুখে ফুটে ওঠে বাঁকা হাসি যেটা বেলা দেখতে পায় না সাঁঝ এর মুখ নিচের দিকে থাকার জন্য। সাঁঝ সমানে বেলার গলায় মুখ তার ঠোঁট দিয়ে স্পর্শ করে যাচ্ছে এদিকে বেলা আর সাঁঝ এই লাভ টর্চার নিতে না পেরে সাঁঝ এর চুল টেনে ধরে সরিয়ে দিতে নেয়। সাঁঝ মাথা উঁচু করে বেলার দিকে তাকায়। বেলার সারা মুখে খুচরো খুচরো তার ভালোবাসার ছোঁয়া লেগে আছে। যেটা হুট করে কেউ বুঝতে পারবে না। বেলার মুখের দিকে দেখে নিয়ে বেলার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়. একটা গভীর চুমু খেয়ে সরে যায়। উঠে নিজের সাথে বেলা কে সহ চাদরে মুড়ে নেয়। বেলা কোলে নিয়ে ওয়াশরুমে দিকে পা বাড়ায়। বেলা অবাক হয়ে গিয়ে পড়ে যাওয়ার ভয়ে সাঁঝ এর গলা জড়িয়ে নেয়। এদিকে বেলা কে কোনো কথা না বলতে দিয়ে ভিতরে ঢুকে যায় সাঁঝ।
————–
বেলা রেডি হচ্ছে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ।ঠোঁটের কোণে লেগে আছে একটা মুচকি হাসি। আর আবারো সাঁঝ এর দুষ্টুমি গুলো মনে পড়ে যায়। পাগল টা তাকে ওয়াশরুমে গিয়ে ও জ্বালিয়ে ছেড়েছে। হটাৎ পিছন থেকে সাঁঝ তাওয়াল দিয়ে বেলার চুল মুছে দেয়। বেলা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পিছনে দাঁড়ানো সাঁঝ কে দেখতে থাকে। সাঁঝ বেলার চুল মুছে পিঠে একটা চুমু খায়। কানের কাছে মুখ এনে মৃদু ভাবে বলে ওঠে।
.
–“তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে। বলেই চোখ তুলে সামনে তাকাতেই সাঁঝ এর চোখ দাঁড়িয়ে যায়।
.
. বেলা ওয়াইন কালার এর একটা রাফেল্ড শাড়ি পড়েছে। পেটের দিকে অংশ বেরিয়ে আছে। তার জন্য সেখান তার ভালোবাসার চিহ্ন স্পষ্ট দৃশ্যমান হয়ে আছে। তার সাথে বেলা কে শাড়িতে দেখে নতুন ভাবে আরও নেশা আসক্তি ভোরে যাচ্ছে তাড়াতাড়ি করে চোখ সরিয়ে নেয়। বেলার গলায় একটা কামড় দেয়।
.
–“আমাকে কি তোমার নেশায় বুঁদ করে রাখার প্ল্যান আছে নাকি। তবে এতে আমার কোনো অসুবিধা নেই। সাঁঝ দুষ্টু হেসে চোখ টিপে বলে ওঠে।
.
. বেলা সরে যেতে নিলে সাঁঝ বেলা কে আটকে শাড়ির পিন খুলে দেয়। আর সাথে সাথে বেলার পেটের কাছের দৃশ্যমান অংশ টা ঢেকে যায়। বেলা ভ্রু কুঁচকে তাকাতে সাঁঝ বেলার ঠোঁটে আলতো চুমু খেয়ে বলে ওঠে।
.
–“আমার আদরের চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল।
.
. বেলা লজ্জা পেয়ে মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে নেয়. এদিকে সাঁঝ বেলার এমন অবস্থা দেখে মুচকি হাসে। তার পরে বেলা কে নিয়ে বেরিয়ে যায়।
————–
সাঁঝ বেলা কে চোখ বেঁধে নিয়ে আসে। ভিতরে নিতেই চোখ খুলে দেয়। বেলা প্রথম চোখ খুলে চোখ চেপে বন্ধ করে নেয়। পাশে সাঁঝ এর চেপে ধরে। চারিদিকে কেমন অন্ধকারে ছেয়ে আছে। বেলা আসতে আসতে তাকাতেই এবারে তার কাছে সামনের দৃশ্য হালকা হালকা পরিষ্কার হয়। আর সাথে সাথে চোখ স্থির হয়ে যায়। মুখ দিয়ে একটা চিৎকার বেরিয়ে যায়।
.
–“দিশা….. ।বেলা কিছুটা পিছনে সরে যায়। পাশে থাকা সাঁঝ এর হাত আরো শক্ত করে চেপে ধরে বেলা।
.
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে…..
#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_৩৩
.
.অন্ধকার আলো আধারি রুমের মধ্যে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বেলা। চোখ সামনের দিকে স্থির হয়ে আছে। এক হাত সাঁঝ এর হাত দিয়ে জড়িয়ে রেখেছে বেলা। চোখ মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেছে পুরো । সাঁঝ বেলার মুখ আর রিয়্যাকশান দেখে ওখানে থাকা গার্ড কে লাইট অন করতে বলে যাতে বেলার এই রকম অদ্ভূত না লাগে। সাঁঝ ইশারা হতে পুরো রুমে লাইট অন হয়ে যায়। লাইট অন হতে বেলা সাঁঝ এর হাত খুব জোরে চেপে ধরে। সাঁঝ এক হাত বাড়িয়ে বেলার কোমর জড়িয়ে নেয় বেলার স্তব্ধ মন কে ঘুরিয়ে নিতে। বেলা চমকে গিয়ে সাঁঝ এর দিকে তাকায়। তারপর আবারো সামনে তাকায়।
.
.দেয়ালের এক কোণে ঘেঁষে বসে আছে দিশা। মাথার চুল গুলো পুরো আউলে ঝাউলে আছে। ড্রেস টা ও ঠিক ঠাক নেই। কাঁধের দিকে অনেকাংশে ছিড়ে গেছে। হাতের ওপর প্রচুর আচড় ও নখের দাগ হয়ে আছে। পায়ের অধিকাংশ জায়গা পুড়ে গেছে। ফেটে ফেটে রক্ত পড়ছে। পায়ের তলায় কাঁচ ফুটে আছে। হাঁটু মুড়ে দু হাত ভিতরে রেখে মাথা টা হাঁটু তে রেখে আছে দিশা। মুখটা ও এখনও দেখতে পাই নি বেলা দিশার। কিন্তু দিশা কে এই অবস্থায় দেখে বেলার কোনো কিছু স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। এই টুকু দেখেই বেলা স্তব্ধ হয়ে গেছে।
.
. বেলার চিৎকার করাতে দিশা মাথা তুলে বসে। আর দিশা মাথা তুলতেই বেলা সাঁঝ কে জড়িয়ে ধরে। কোনো কথা বলতে পারে না। সাঁঝ বেলা কে নিয়ে পাশে থাকা চেয়ারে বসে। তারপর বেলা কেও নিজের কোলের ওপর তুলে বসিয়ে নেয় সাঁঝ। বেলা এখনও সাঁঝ এর বুকের মাঝে মুখ লুকিয়ে আছে। সাঁঝ বেলা কে জড়িয়ে রেখে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। আর এদিকে তাদের এই দৃশ্য দেখছে আগুন চোখ নিয়ে দিশা।
.
–“হুস বেবি সামনে দেখো। ভয় কিসের আমি আছি না তোমার সাথে। কিচ্ছু হবে না। আর আমি কিছু হতে ও দেবো না। যারা যারা তোমার ক্ষতি করার চেষ্টা করবে তাদের হাল এইরকম হবে। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
. বেলা চমকে তাকায় বুক থেকে মাথা তুলে। সাঁঝ এর মুখের দিকে প্রশ্ন নিয়ে দেখে সাঁঝ বেলার মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বেলার ঠোঁটের ওপর আলতো করে চুমু খায়। তারপর সামনে দিকে ইশারা করে তাকানোর জন্য। সাঁঝ দিশার দিকে তাকিয়ে হিংস্র ভাবে বাঁকা হেসে জিজ্ঞেস করে।
.
–“তো কেমন লাগছে এখন দি…শা।
.
. বেলা কিচ্ছু বুঝতে না পেরে সাঁঝ এর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। কারণ সে দিশার দিকে তাকাতে পারছিল না। দিশার মুখের এক সাইট পুরো পুড়ে গেছে। ঘা গুলো দগ দগে হয়ে আছ। অন্য দিকের থেকে মুখে পাঁচ আঙুল এর দাগ বসে আছে। ঠোঁটের কোন ফেটে রক্ত পড়ছে। মাথা ফেটে আছে। কোল বেয়ে রক্ত শুকিয়ে আছে। হাত দুটো মোটা কাঁটা শিকল দিয়ে বাঁধা। যার জন্য হাতে ফুটে গিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে।
.
–“তো ভাল্লাগছে তো নাকি? তুই বেলা কে পুড়িয়ে মারতে চেয়ে ছিলই। তো আমি ভাবলাম সেই অনুভূতিটা কেমন হয় তুই ও একবার টেস্ট করে দেখ। কি তাই না? নিশ্চয়ই খুব ইনজয় করছিস? সাঁঝ বাঁকা হেসে বলে ওঠে।
.
–” মানে? কি বলছো? আমাকে পুড়িয়ে মারতে চেয়ে ছিল মানে? বেলা আতকে উঠে সাঁঝ কে জিজ্ঞেস করে।
.
–” হুম ।সেদিন ইউনিভার্সিটিতে তুমি এমনি এমনি আটকে যাওনি। তোমাকে আটকে রাখা হয়ে ছিল। এবং এটা করেছে এই যে দিশা। তোমাকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে চেয়ে ছিল। সাঁঝ হিংস্র ভাবে দাঁতে দাঁত চেপে বলে ওঠে।
.
. বেলা এটুকু শুনে ভয়ে সাঁঝ কে আরো শক্ত করে জড়িয়ে নেয়। সাঁঝ ও দু হাত দিয়ে আগলে নেয় বেলা কে। বেলা চোখ বন্ধ করলেই সেই দৃশ্য মনে উঠলে ভয়ে আত্মা শুকিয়ে যায়। ওগুলো ভাবতে ও ভয় হয়।
.
–” আরো অনেক কিছু আছে জান। এটা তো এবারে করেছে। তোমাকে কষ্ট দিতে ও আরও অনেক কিছু করে গেছে। বেলা চোখ তুলে সাঁঝ এর দিকে তাকায়। সাঁঝ আবারও বলতে থাকে।
.
–” তোমার মনে আছে চার বছর আগে প্রোগ্রাম এর দিন গ্রীনরুমে তোমার কাছে একটা মেসেজ যায়। যেখানে আমার সাথে দিশার কিছু ক্লোজ ছবি ছিল?
. বেলা মাথা নাড়া দিতে সাঁঝ আবারো বলে ওঠে।
.
–” ওই গুলো দিশা পাঠিয়ে ছিল। তবে ওটা যেমন উদ্দেশ্য তোলা হয়েছে ওটা তেমন কিছু ছিল না। তারপরও তুমি আমাকে বিশ্বাস করে আমাকে প্রোপজ করলে মনে আছে? তুমি আমাকে একটা গোলাপের বুকে দিয়েছিলে মনে আছে?
.
.বেলা এবার চোখে পানি নিয়ে সাঁঝ এর দিকে তাকায় চোখে ফুটে আছে একরাশ অভিমান। সাঁঝ বেলার চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পেরে বেলার ঠোঁটে আবারো চুমু খায়। মুচকি হেসে আবারো বলে ওঠে।
.
–“ওই দিন আমার কিছু কারণ ছিল যার জন্য আমি তোমাকে তখন ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। যেটা কিন্তু একদিকে যেমন সত্যি আবার মিথ্যা। কারণ আমি তোমাকে সামনে থেকে সরিয়ে দিলে ও মন থেকে পারিনি। বুকে হাজারো যন্ত্রণা কষ্ট নিয়ে তোমাকে আমি ওই দিন ফিরিয়ে দিয়েছিলাম এর কারণ আমি তোমাকে পরে বলবো। ওই দিন তোমার দেয়া বুকে থেকে আমি একটা গোলাপ নিয়ে গিয়েছিলাম। নিজের সাথে করে। তুমি তখন পিছন মুড়ে ছিলে তাই তুমি জানতে পারনি। তুমি কি সেই গোলাপ টা আমাদের বাড়ির কোথাও দেখনি? সাঁঝ আবারো প্রশ্ন করে বেলা কে।
.
. বেলা চোখ মুছে মনে করার চেষ্টা করে। হ্যাঁ হ্যাঁ সে তো দেখেছে একটা শুকিয়ে যাওয়া গোলাপ। হ্যাঁ মনে পড়েছে বেলার। সাঁঝ এর সেই সিক্রেট ওয়াডরবে ছিল গোলাপ টা। বেলা মাথা নাড়া দিতে সাঁঝ মুচকি হেসে আবারো বলে।
.
–“ওই দিন বুকে আমি পা দিয়ে পিষে যায় নি।
.
. বেলা এবার যেনো আরো বেশি করে চমকে গেছে। একবার দিশা কে দেখে সামনে তাকিয়ে আবারো। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
–” আমি ওখানে থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর দিশার লোক গিয়ে ওটা পা দিয়ে পিষে দেয়। ওরা আড়ালে দাঁড়িয়ে আমাদের ওপর নজর রেখেছিলো। দিশা আগের থেকেই তোমার করা পাগলামি গুলো জানতে পেরে ছিল আর তাই তোমাকে আমার থেকে দূরে সরানোর জন্য তোমার মনে বিষ ঢুকিয়ে দেয়ার জন্য প্ল্যান করে।
.
–“তাহলে ওই মেসেজ গুলো কি ছিল সাঁঝ? বেলা বলে ওঠে।
.
–” ওইদিন আমার একটা মিটিং ছিল তাই আমি অফিসে গিয়ে আমার কেবিনেই আমি আমার মোবাইল রেখে মিটিং রুমে চলে যাই। ওইদিন আকাশ ও অন্য একটা আরজেন্ট কাজে গেছিলো তাই আমাকে ফোন রেখে যেতে হয়েছিল। আর সেই সুযোগ টাই কাজে লাগায় দিশা। আমার ফোন থেকে তোমাকে এসএমএস করে ডিলিট করে দেয়। যাতে আমি কিছু জানতে না পারি। সাঁঝ এটুকু বলেই থেমে যায়।
.
. সাঁঝ বেলার দিকে তাকিয়ে দেখে বেলার চোখ মুখ পুরো রাগে লাল হয়ে গেছে। রাগী চোখে দিশা কে দেখছেন। যে এই মুহূর্তে তাদের মাথা বাকিয়ে মুখে শয়তানি হাসি নিয়ে তাকিয়ে আছে।
.
–“এরপর ও তোমাকে অনেক ভাবে মারতে চেয়েছে। তোমার মনে আছে যেদিন আমি তোমাকে তুলে বিয়ে করি? ওই দিন ও তোমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলো। তোমার পিছনে লোক লাগিয়ে দিয়েছিলো। সেদিন আমি সময় মত পৌঁছে তোমাকে তুলে নেই। আমি আর এক মুহুর্ত তোমাকে একা ছাড়তে চাইনি তাই তোমাকে বিয়ে করে নিজের কাছে নিয়ে এসেছিলাম। ওইদিন যদি আমি এক মুহূর্ত দেরি করে পৌঁছতাম তাহলে ভাবতে ও পারছি না। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
–“হা হা হা তোকে মেরে ফেলতে চেয়েছি কতবার কিন্তু তুই মরিসনি। তোকে ওই দিন তুলে নিয়ে গিয়ে ওরা তোকে রেপ করত তার পর তোকে মেরে ফেলত হা হা। আরো একটা সিক্রেট জানিস কি তোর বাবা মা ও আমার জন্য আমার বাবার হাতে মরেছে। হা হা হা বলেই বিশ্রী ভাবে হেসে ওঠে দিশা।
.
. এটা শুনেই যেনো বেলার মাথায় রক্ত চেপে বসে। বেলা সাঁঝ এর কোলে থেকে উঠে গিয়ে দিশার গায়ের জোরে একটা পান্চ করে। দিশা ছিটকে দূরে পরে নাক দিয়ে গলগল করে রক্ত পড়ছে। বেলার চোখে থেকে আগুন ঠিকরে বেরিয়ে আসবে এমন অবস্থা। দিশা হাসতে হাসতে উঠে বসে। নাকে থেকে গালে থেকে রক্ত পড়ছে।
.
–“তোকে মারার জন্য আমি রনির সাথে ও হাত মিলিয়ে ছিলাম কিন্ত ওই বিচ টা তোকে ভালোবেসে ফেললো। তাই তোকে পাওয়ার জন্য তোর মামী কে টাকা দিয়ে কিনে নিতে চেয়েছিলো। কিন্তু সাঁঝ তার আগেই তোকে বিয়ে করে ফেলে। হা হা হা তোকে তোলার জন্য আমার ভাই কে তোর পিছনে লাগিয়ে ছিলাম কিন্তু আমার ভাই কে এই সাঁঝ মেরে ফেলেছে। মনে আছে ম্যাডি।
.
–“ম্যাডি ।বেলা ভ্রু কুঁচকে তাকায়।
.
–” হ্যাঁ ম্যাডি আমার ভাই ছিল আমার ভাই। কিন্তু আমি তাকে হারিয়ে ফেলেছি তাই তোকে পুরো মেরে ফেলতে চেয়েছিলাম কিন্তু এই সাঁঝ তোকে বাঁচিয়ে নিয়ে ছিল আবারো। তোকে মারার জন্য আমি স্পেশাল গুণস নিয়ে ছিলাম যে তোকে এক টার্গেটেই শুট করে দিত। কিন্তু আফসোস। দিশা মুখ দিয়ে আওয়াজ করে আবারও বিশ্রী ভাবে হেসে ওঠে।
.
. বেলা ভ্রু কুঁচকে তাকায়। তার মনে পড়ে সেদিন বারান্দায় ও দাঁড়িয়ে ছিল তার কিছু পরে সাঁঝ এসে তাকে টেনে নিয়েছিল আর সাথে সাথে একটা গুলি ওদের পাশ কেটে বেরিয়ে গেছিলো। ভাবতে যেনো এবার বেলার মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।
.
–“তুই জানিস তোর বাবা মা কে কেনো মরতে হয়েছে। হা হা হা শুধু আমার জন্য। তোর বাবা তোকে একটা বড় ডল কিনে দিয়েছিল না। ওটা আমিও পছন্দ করেছিলাম কিন্তু তোর বাবা তোর জন্য নিয়ে চলে যায়। আমার খুব রাগ লেগে ছিল। তারপরেই একদিন আমি স্কুল থেকে ফেরার সময়ে গাড়িতে উঠতে গিয়ে দেখি তোর বাবা আর মা রাস্তার ওপারে দাঁড়িয়ে আছে। দেখেই আবারো আমার মাথায় রাগ উঠে যায়। তোর বাবা কে দেখেই আমি একটা পাথর ছুড়ে ছিলাম কিন্তু সেটা তোর বাবার লাগে নি। তাই আমি নিজেই হাতে একটা পাথরের টুকরো নিয়ে রাস্তা পার হয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু তার আগেই একটা গাড়ি এসে আমাকে ধাক্কা মারে। যার জন্য আমার পা ভেঙে গেছিলো। মাথা ফেটে গেছিলো । তোর বাবা তখন এসে আমাকে তুলে ওখান থেকে আমার ড্রাইভার আমাকে বাড়ি নিয়ে যায়। কিন্তু আমার মনে রাগ টা থেকে যায়। তাই বাড়িতে গিয়ে বলি তোর বাবা আমাকে গাড়ি নিয়ে ধাক্কা দিয়েছে। আর সেটা শুনতেই আর আমার কান্না আর কষ্ট দেখেই আমার বাপি খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে তোর বাবা আর আমার বাবার একমাত্র শত্রু। তারপরেই আমার বাবা প্ল্যান করে তোর বাবার গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করায়। একদিকে ছিল আমার কষ্ট আর অন্য দিকে ছিল বিজনেস শত্রু। তোদের কে মেরে আমার বাবা ওপরে উঠে গেলো। আর তোর বাবা হাওয়া একদম ফুস হয়ে গেছে। বলেই হেসে ওঠে দিশা।
.
. এগুলো শুনতেই বেলার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে। বেলা পাশে টেবিল থাকা লাঠি তুলে নেয়। সেটা নিয়ে বেলা দিশা কে গায়ের জোরে পেটাতে থাকে। বেলার কোনো দিকে কোনো খেয়াল নেই। সে শুধু এখন দিশা কে শেষ করতে উঠে পড়ে লেগেছে। বেলা এক নাগাড়ে পিটিয়ে যাচ্ছে। দিশা মাথা মুখ হাত পা ফেটে রক্ত পড়ছে। বেলার মারার জন্য। দিশা শেষে অজ্ঞান হয়ে যায় মাটিতে হেলে পড়ে। তবুও বেলা পিটিয়ে যাচ্ছে। সাঁঝ উঠে এসে বেলা কে দু হাত দিয়ে জড়িয়ে নিয়ে সরিয়ে নেয়। বেলা এখনও হাত পা ছুড়ছে। সাঁঝ বেলা কে দু হাত দিয়ে জড়িয়ে নেয় নিজের সাথে। বেলার হাতে থেকে লাঠি টা ফেলে দেয়। বেলা সাঁঝ কে ধরে কান্নায় ফেটে পড়ে। এক বুক হাহাকার ফুটে আছে বেলার এই কান্নার সাথে। সাঁঝ বেলা কে জড়িয়ে নিয়ে বেরিয়ে যায়। গার্ড কে ইশারা করে অর্ডার দিয়ে যায় দিশার চ্যাপ্টা ক্লোজ করতে।
.
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে…
.
. ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন রি-চেক করা হয়নি। সবাই নিজেদের মতামত জানাবেন। 😊 😊 😊