তোর আসক্তি পাগল করেছে আমায় পর্ব-৩৮ (১৮+ওয়ার্নিং)

0
3691

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_৩৮

(১৮+ওয়ার্নিং। যাদের পছন্দ হবে না প্লিজ দয়া করে এড়িয়ে যাবেন)

.
.আজ অনেক অপেক্ষার পর এলো এই দিনটা। হ্যাঁ আজ বিয়ের দিন। সব খারাপের অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত আজ বিয়ের দিন এলো। চারিদিকে সাজ সাজ রব পড়েছে। সবাই রেডি হয়ে গেছে। অপেক্ষায় আছে ছয় ব্রাইড এর। গ্রুমরা রেডি হয়ে যে যার গাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে আছে। ব্রাইড গুলো আসতে তারা বেরিয়ে পড়বে বিয়ের ভ্যেনূতে। রওশন ম্যানসনে থেকে বিয়ের ভ্যেনূ পর্যন্ত রাস্তা পুরো সাজানো হয়েছে। রাস্তার ধারে বসানো হয়েছে বিভিন্ন রকমের খাবারের স্টল। যেহেতু এটা দ্য সাঁঝ রওশন লিডার অফ ব্যাঙ্গালোর। এর বিয়ে তাই সবাই দেখার জন্য উৎসুক হয়ে থাকবে। আর বিয়ের ভ্যেনূতে তো আর সবাই ঢুকতে পারবে না। যাদের কাছে তাদের বিয়ের কার্ড আছে তারাই একমাত্র সেটা নিয়ে ঢুকতে পারবে। তাই সাঁঝ এই আয়োজন করেছে যে যারা দেখতে আসবে তাদের জন্য যেনো ভালো ব্যবস্থা থাকে।
.
. সাঁঝ কে আজকে পুরোনো জমানার রাজার থেকে কম কিছু লাগছে না। গোল্ডেন কালার এর হেবি এমব্রইডারি শেরবানি। তার সাথে ডার্ক গ্রীন কালার এর পাজামা আর ডার্ক গ্রীন কালার এর ওড়না যেটা এক সাইটে থেকে হাতে ধরা আছে। গলায় বড় মতির মাল্টিলেয়ার হার। চুল গুলো কে স্পাইক করা ব্যাস। পায়ে নাগরাই জুতো। এতেই যেনো আজকে তার চারপাশের সবাই কে ফিকে লাগছে। চোখ ফেরানো দায় হয়ে গেছে সবাই এর।
.
. এদিকে বেদ পরেছে বেবি পিঙ্ক কালার এর হেবি এমব্রইডারি শেরবানি। গলায় ওড়না যেটা সামনে এনে ফেলা। আর তার সাথে আছে গলায় বড় হার পায়ে নাগরাই জুতো। আর মাথায় পাগড়ি।
.
. নিশান পরেছে সিম্পল সাদা এর ওপরে শেরবানি গলায় জুড়ে খুব সুন্দর ডিজাইন করা। বুকের একদিকে থেকে অন্য দিকের বুকের সাথে খুব সুন্দর ব্রোঞ্জ লাগানো। ওড়না টা কে দুই হাতের সাথে রাখা। মাথায় পাগড়ি দেয়া। পায়ে নাগরাই জুতো।
.
.ওম গ্রে কালার এর শেরবানি পরেছে। মাথায় পাগড়ি গলায় বড় হার কাঁধের একপাশে ওড়না ফেলা।
.
. সারিফ ওয়াইন কালার শেরবানি পরেছে। সাথে গোল্ডেন পাজামা। মাথায় পাগড়ি। গলায় বড় হার। ওড়না কাঁধের সাথে রেখে এক হাতে ধরা।
.
. আকাশ পার্পেল কালার শেরবানি সাথে মাথায় পাগড়ি। কাধের ওপর ফেলা ওড়না।
.
. ছেলে গুলো সব রেডি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের চোখ বাড়ির মেইন গেট এর দিকে। যেখান থেকে পরপর নেমে আসে তাদের ব্রাইড গুলো।
.
. মেয়ে গুলো সব একরকম ড্রেস পরেছে। গেট আপ ও একই। শুধু কালার আলাদা। বেলা পুরো ডার্ক গ্রিন কালার এর ল্যাহেঙ্গা পরেছে। ম্যাচিং জুয়েলারি। মাথায় ওড়না আর তার সাথে পারফেক্ট মেকআপ । ব্যাস এতেই খুব সুন্দর লাগছে।
.. সারা বেবি পিঙ্ক কালার পড়েছে.. শান্তা পরেছে পুরোই রেড। জাকিয়া ওম এর সাথে মিলিয়ে গ্রে কালার এর ল্যাহেঙ্গা পরেছে। রুহি ও ওয়াইন কালার এর পরেছে। আর আলিয়া পার্পেল কালার এর।
.
. এদিকে সব গুলোর চোখ গিয়ে আটকে গেছে মেয়ে গুলোর ওপর। ওরা এগিয়ে আসতে সাঁঝ গিয়ে হাত বাড়িয়ে বেলা কে এনে গাড়ির কাছে বসায়।
.
–“আমাকে কি আজকে মেরে ফেলবে নাকি তোমার এই লুক দিয়ে। সাঁঝ বেলার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে।
.
. বেলা ও সাঁঝ এর দিকে চেয়ে মুচকি হেসে দেয়। সাঁঝ বুকে হাত দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে চোখ বন্ধ করে নেয়। প্রথমে বেলাদের গাড়ি বেরিয়ে যায়। তার পর আস্তে আস্তে পরপর panchta6গাড়ি বেরোতে আছে। সবার সামনে আছে ব্যান্ড বাজা। গাড়ি একদম স্লো চলছে। যার কারণে রাস্তার দুপাশে থাকা লোক গুলো ওদের দিকে ফুল ছুড়ছে।
.
–” ওহ মাই গড এত সুন্দর এরেঞ্জমেন্ট আমি তো খুশিতে পাগল হয়ে যাব। জাকিয়া পুরো এরেঞ্জমেন্ট দেখে বলে ওঠে।
.
. সারা সবাই আনন্দ উপভোগ করতে বিয়ের ভ্যেনূতে পৌঁছে যায়। ওখানে গিয়ে যে যার সিটে বসে পড়ে। কিছুক্ষণ পর বিয়ের কাজ শেষ হতে। ফটোসেশন শুরু হয়। একে একে সবাই ফটো তোলে। এদিকে শান্তা আর বাকি মেয়ে গুলো একসাথে নিচে নেমে ধামাকা ফটো তুলতে থাকে একসাথে পাঁচ জন মিলে ওদিকে ছেলে গুলোও কম কিসে তারা ও একসাথে ফটো তুলছে।

—————-
এখন সব বাড়ির দিকে রওনা হয়েছে। এবার যে যার বাড়ির দিকে। বেদ সারা কে নিয়ে চলে গেছে। ওম জাকিয়া কে নিয়ে গেছে। আকাশ ও আলিয়া কে নিয়ে। শান্তা আর নিশান ও। সবাই একসাথে এতদিন থাকলেও আজকের সব গুলো আলাদা আলাদা ভাবে নিজেদের মধ্যে টাইম স্পেন্ড করতে চাই ছিল। শুধু রওশন ম্যানসনে সারিফ রুহি সাঁঝ বেলা ফিরেছে।
.
. সারিফ আগেই গাড়ি থেকে নেমে রুহি কে নামাতে গেলে রুহি সারিফ কে ঠেলে দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে দৌড় দেয়। সারিফ কিছুক্ষণ বোকার মত দাঁড়িয়ে থাকে। সে বুঝতে পারে না হলো টা কি তার সাথে। কিছুক্ষণ পর পুরো মামলা বুঝতে পেরে সেও ছুট দেয় রুহি এর পিছন পিছন।
.
. এদিকে সাঁঝ এর গাড়ি বাড়ির ভিতর ঢুকতেই সে বেলা কে কোলে তুলে নেয়। বেলা কে কোলে নিয়েই বাড়ির ভিতর ঢোকে। বেলা সাঁঝ মুখের দিকে দেখতে থাকে। তার মনে আছে সেদিনও সাঁঝ তাকে কোলে করে বাড়ির ভিতর নিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু সেদিনের ফিলিংস টা ছিল অন্য রকম।

—————

. নিশান শান্তা বাড়ি যেতেই।নিশান গাড়ি থেকে নেমে হাত বাড়িয়ে দেয় শান্তার দিকে গাড়ি থেকে নেমে আসার জন্য কিন্তু শান্তা চুপচাপ বসে আছে।
.
–“আরে নেমে এসো আমরা চলে এসেছিতো নিশান অবাক হয়ে বলে ওঠে।
.
–” নতুন বউ কখনো হেঁটে হেঁটে যায় না গাধা। শান্তা মৃদু চিৎকার করে বলে ওঠে।
.
. নিশান পুরো ভ্যাবাগঙ্গারাম হয়ে যায় কিছুক্ষণ বুঝতে পেরে বলে ওঠে।
.
–“ওহ আচ্ছা ।বলেই ঝুকে গিয়ে শান্তা কে কোলে তুলে নেয়। শান্তা নিশান এর গলা জড়িয়ে নিয়ে নিশান এর গালে টুপ করে চুমু খেয়ে নেয়। নিশান শান্তার দিকে ঘোর লাগা চোখে তাকিয়ে। মুচকি হাসি দেয়। শান্তা কে রুমে নিয়ে গিয়ে বিছানায় বসিয়ে দেয়। মাথার পাগড়ি খুলে পাশে ছুড়ে ফেলে দেয়। তার পর আস্তে আস্তে পায়ে শান্তার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।শান্তা বিছানায় বসে নিশান এর গতি বিধির ওপরে নজর রাখছিল। নিশান কে নিজের দিকে আসতে দেখে বুকের মধ্যে ধুকধুক করে ওঠে। নিজের মধ্যে কেমন একটা ভয় লজ্জা আর ভালোলাগা অনুভূতি হতে থাকে।
.
. 🎶 আজ জিদ কার রাহা হে দিল।
আজ জিদ কার রাহা হে দিল
কারনা হে ব্যাস তুঝে হাসিল
আজ জিদ কার রাহা হে দিল
হও.. মুঝমে তু
হো ভি জা সামিল
আজ জিদ কার রাহা হে দিল
ওহ… হো ও হো
.
. নিশান আসতে আসতে শান্তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে গায়ের থেকে ওড়না খুলে ফেলে দিয়েছে। শান্তার কাছে এগিয়ে গিয়ে ঝুকে গিয়ে শান্তা কে আসতে আসতে বিছানা থেকে তুলে দাঁড় করিয়ে দেয়। ঘোর লাগা চোখে শান্তা পা থেকে মাথা পর্যন্ত স্ক্যান করতে থাকে। শান্তার গায়ের সাথে লেগে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে শান্তার মাথার থেকে ওড়না খুলে ফেলে। শান্তা কোনা চোখে নিশান এর দিকে দেখতে থাকে। ওর মধ্যে ভয় আর লজ্জা কাজ করলে ও শান্তা আর অন্য মেয়েদের মত নয় শান্তা একদম বোল্ড। নিশান শান্তা এর পিছনে দাঁড়িয়ে এক হাত কোমরে ধরে নিজের বুকের সাথে শান্তা পিট লাগিয়ে নেয়। মুখ নামিয়ে কাঁধের ওপর ঠোঁট বসিয়ে দেয় নিশান। আর কোমরে থাকা হাত টা স্লাইড করতে করতে ওপরের দিকে উঠতে থাকে। শান্তা চোখ মুখ চেপে বন্ধ করে নেয়। এক হাত পিছে মুড়ে নিশান এর মাথায় আকড়ে ধরে। নিচের ঠোঁট টা দাঁত দিয়ে চেপে ধরে। নিশান আর এক নিয়ে এসে শান্তার টপ এর দড়ি খুলতে থাকে। তারপর সারা পিঠ জুড়ে তার ঠোঁটের স্পর্শ দিতে থাকে। শান্তা বড় বড় করে নিশ্বাস নিতে থাকে। নিশান কে ছাড়িয়ে দূরে সরে যায় শান্তা।
.
. 🎶 কাহি খুদকো মুঝমে তু ছোড় যা ছোড় যা
তেরে সাথ মুঝকো তু জোড় যা জোড় যা
এ জো কাচ কি জ্যায়সি এক দিবার হে
মেরে বাহোমে উসে তোড় যা তোড় যা
এ এক আধুরাপান হে এক দুসরে সে ভার দে
জিসে উমর ভার না ভূলে ও লামহে মিল জায়ে
মান লে মুঝে তেরে কাবিল
আজ জিদ কার রাহা হে দিল
হও..মুঝমে তু হও ভি যা সামিল
আজ জিদ কার রাহা হে দিল🎶
.
.নিশান নিজের ড্রেস খুলতে খুলতে শান্তার দিকে এগিয়ে যায়। শান্তা কে সামনে ঘুরিয়ে দেয়াল এর সাথে চেপে ধরে গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়। গলা থেকে মুখ তুলে একবার শান্তার দিকে তাকায় যে এখন চোখ বন্ধ করে রেখেছে। আসতে আসতে শান্তা কে কোলে তুলে নেয় নিশান। বিছানায় গিয়ে শুয়ে দিয়ে নিজে ও ঝুঁকে যায় শান্তা এর ওপর। কিছুক্ষণ নেশা ভরা চোখে তাকিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। আসতে আসতে দুজন এর গায়ের থেকে ড্রেস আলাদা হতে থাকে। রুমের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। শান্তার পুরো শরীরে নিশান এর হাত বিচরণ হতে থাকে। শান্তার ঠোঁট থেকে মুখ তুলে আসতে আসতে নিচের দিকে নামতে থাকে। ভরিয়ে দিতে থাকে ঠোঁটের স্পর্শ দিয়ে। আসতে আসতে দুজন একে অপরের মাঝে ডুবে যেতে থাকে। পরিণতি পেতে থাকে তাদের ভালোবাসার।

___________________

ওম জাকিয়া বাড়িতে ঢুকতে ওম এর আগে গটগটিয়ে বাড়িতে ঢুকে যায় জাকিয়া। ওম ও যায় পিছে পিছে। বাড়ির ভিতর ঢুকতেই পিছন থেকে ওম জাকিয়া কে জড়িয়ে নেয় নিজের সাথে।
কোমরে উঁচু করে ধরে ঘুরিয়ে নিজের দিকে করে নেয়। ওম এক হাত দিয়ে জাকিয়ার মুখ উঁচু করে নিজের চোখের সাথে চোখ রাখে। ওম মুখ বাড়িয়ে জাকিয়ার কপালে চুমু খায়। তার পর সারা মুখে। ঠোঁটের ওপর হাত বুলিয়ে আসতে আসতে নিজের ঠোঁট দ্বারা আকড়ে ধরে জাকিয়ার ঠোঁট।
.
. 🎶 মোহাব্বাত ইবাদাত সিকায়্যাত
মে জিসসে কারু
ওহ তুম হো তুমিই হো জানে যা
গুজারিস ইয়া খাহিস ফরমাইস
মে জিসসে কারু
ওহ তুম হো তুমিই হো সাথিয়া
চ্যাহেরা তেরা মাঙ্গে আখে ও মেরি জানা
তেরি জুসতো জু মে কাটতা হার দিন মেরা
জানা বে জানা বে
মোহাব্বাত কারতে রেহনা বে
হো মৌসম চাহে ক্যায়সে ভি
হামেসা মেরা রেহনা রে
জানা বে জানা বে
মোহাব্বাত কারতে রেহনা বে
হো মৌসম চাহে ক্যায়সে ভি
হামেসা মেরা রেহনা রে 🎶
.
. ওম জাকিয়া কে তুলে নিয়ে রুমে চলে যায়। বিছানায় গিয়ে ফেলে ওম জাকিয়া কে। নিজে ও জাকিয়ার ওপর ওঠে। আবারও একে অপরের ঠোঁটের মধ্যে ডুবে যায়। জাকিয়া ওম কে নিজের ওপর থেকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়ে উঠে সরে যেতে নিলে পিছন থেকে ওম হাত ধরে নেয়। জাকিয়ার মাথায় থেকে ওড়না খুলে ফেলে। এক হত দিয়ে ঘুরিয়ে জাকিয়া কে বেডের সাথে চেপে ধরে আসতে আসতে জাকিয়ার দিকে এগিয়ে যায়। জাকিয়ার ঠোঁটে গভীর একটা চুমু খেয়ে একটা আলতো করে কামড় বসিয়ে দেয়। তারপর মুখ নামিয়ে আনে গলায়। একের পর এক ঠোঁটের স্পর্শ দিতে থাকে ওম তার জাকিয়া কে।
.
. 🎶 জানা বে জানা বে
মোহাব্বাত কারতে রেহনা বে
হো মৌসম চাহে ক্যায়সে ভি
হামেসা মেরা রেহনা রে

জানা বে জানা বে
মোহাব্বাত কারতে রেহনা বে
হো মৌসম চাহে ক্যায়সে ভি
হামেসা মেরা রেহনা রে 🎶
.
. ওম জাকিয়া কে আসতে আসতে নিজের বাহু ডোরে নিয়ে নেয়। নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়ে জাকিয়া কে আদরে আদরে ভরিয়ে তোলে ওম। দুজন একে অপরের মাঝে ডুবে যায়। দুজন এর থেকে আলাদা হতে থাকে ড্রেস। মিশে যেতে থাকে একে অপরের মাঝে। ভেসে যেতে থাকে ভালোবাসার সমুদ্রে।

—————–

বেদ সারা এই মুহূর্তে কিছুটা আলাদা সারা বেদ কে তার নিজের কাছে আসতে দিচ্ছে না। কারণ বিয়ের কথাটা বলার সময়ে সে ডিলে করেছিলো যার জন্য তাকে তার ভাই এর কাছে গিয়ে বিয়ের কথা বলতে হয়েছিলো তাই এখন ভালোবাসার সময়ে সে শত্রু হয়ে গেছে। আপাততঃ সারা বিছানায় হেলান দিয়ে বসে আছে। আর তার থেকে দূরে দাঁড়িয়ে আছে বেদ মুখ শুকনো করে। শেষে এবার সারা উঠে দাঁড়িয়ে বেদ এর কাছে গিয়ে বেদ এর মুখ চেপে ধরে বেদ ঠোঁটে এক জোরে কামড় বসিয়ে দেয়। বেদ প্রথমে হকচকিয়ে গেলেও তার পর নিজেও আকড়ে ধরে সারা কে। সুযোগ যখন পেয়েছে তখন কেউ হাত ছাড়া করে নাকি।
.
. 🎶খেয়ালো মে মেইনে তুঝকো বুনা থা
হাকিকাত মে মুঝকো তু মিল গ্যায়া
এ সোচকে মে খুদ হায়রান হূ
রব কো এ ক্যায়সে পাতা চাল গ্যায়া
লিখিথি মুকাদ্দার মে চাহাথ তেরি ও জানা
কে তু জাহা মে মেরা হো হি গ্যায়া

জানা বে জানা বে
মোহাব্বাত কারতে রেহনা বে
হো মৌসম চাহে ক্যায়সে ভি
হামেসা মেরা রেহনা রে
জানা বে জানা বে
মোহাব্বাত কারতে রেহনা বে
হো মৌসম চাহে ক্যায়সে ভি
হামেসা মেরা রেহনা রে 🎶
.
. বেদ সারা কে তুলে বিছানায় রাখে নিজে ও আসতে আসতে সারার ওপর উঠে পড়ে। সারার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিয়ে শুষে নিতে থাকে সারার ঠোঁটের মিষ্টি রস। ধীরে ধীরে নিজেকে ডুবিয়ে দেয় সারার মাঝে। সারা ও বাধা দেয় না। সে ও আজ ভেসে যায় বেদ এর ভালোবাসার মাঝে। সারা কে তার ভালোবাসা দিয়ে মুড়ে নেয়। তার আদরে আদরে আর উষ্ণ স্পর্শে নিজের করে নেয়। মিশে যায় একে অপরের মাঝে পুরোপুরি ভাবে।

————-
আকাশ আলিয়া । আকাশ আগ্রেসিভ হলে ও আলিয়া লাজুক। আর বাকি মেয়ে গুলোর মত নয়। আলিয়া বিছানায় মাথা নিচু করে বসে আছে। আকাশ তার পাশে। কোনা চোখে একবার আলিয়া কে দেখে নিয়ে। আসতে আসতে নিজের হাত এগিয়ে নিয়ে গিয়ে আলিয়ার হাতে রাখে। মুঠো করে ধরে আলিয়ার হাত। আলিয়া একবার চোখ তুলে তাকিয়ে অন্য দিকে ফিরে যায়। আকাশ ঘুরে বসে আলিয়া কে নিজের দিকে করে নেয়।
.
. আকাশ আলিয়ার মাথার থেকে ঘোমটা ফেলে দিয়ে মুখ টা কে নিজের দিকে ঘোরায়। চোখ তুলে তাকায় একে অপরের দিকে। আকাশ নিজের মুখ নিয়ে গিয়ে আসতে আসতে আলিয়ার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। আলিয়া আকাশের হাত চেপে ধরে চোখ বন্ধ করে আস্তে আস্তে আকাশ এর ভালোবাসার মাঝে ডুবে যেতে থাকে। আকাশ দু হাত দিয়ে আলিয়া কে তুলে নিয়ে শুয়ে দেয়। আকাশ নিজের ড্রেস খুলে ধীরে ধীরে আলিয়ার ওপরে উঠে যায়। আলিয়ার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয় আকাশ। মিশিয়ে নিতে থাকে আলিয়া কে নিজের সাথে। দুজন মিলে যেতে থাকে একে অপরের মাঝে। আলিয়া কে আকাশ ডুবিয়ে নেয় নিজের মাঝে।

————-
রুহি সারিফ এর থেকে শুধু পালিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে আর সারিফ শুধু ওকে ধরতে পিছে পিছে ছুটছে। যেনো দুজন ধরা ধরি খেলছে। সারিফ ছুটে গিয়ে রুহি কে ধরে পিছন দিকে থেকে জড়িয়ে নেয়। তার পর পরই রুহি এর কাঁধে এক জোর কামড় বসায়। এতক্ষন থেকে তাকে ছুট করানোর জন্য। রুহি পিছু সরে যেতে থাকে আর সারিফ তার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।
.
. 🎶 বেপানাহ তুঝপে ফিদা হু
বেপানাহ তুঝে চাহাতা হু
বেপানাহ তুঝে মানতা হু
বেপানাহ বেপানাহ
তু নেশা তু খুমার তেরা জুনুন সারপে সাবার
আজ তু খুদকো মেরে ইয়ার দে পিলা দে পিলা
মুঝে সিরফ তেরি লাগান হে
উসে মিলকে পুরা কারদে
মেরি ইতনিসি হে খোয়াহিস
তেরা পেয়ার মিল জায়ে
বান ভি যা তু মেরি মানজিল
আজ জিদ কার রাহা হে দিল
হও..মুঝমে তু হও ভি যা সামিল
আজ জিদ কার রাহা হে দিল🎶
.
. রুহি সরে যেতে যেতে একদম বিছানার সাথে লেগে যায়। এদিকে সারিফ একদম রুহি গায়ের কাছে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এক হাত উঁচু করে রুহি কে ঠেলে ফেলে বিছানার ওপরে। নিজে ও ঝুঁকে যায় রুহির ওপরে। রুহির পেটের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে ঠোঁটের স্পর্শ দিয়ে ভরিয়ে দিতে থাকে। রুহি বিছানার চাদর চেপে ধরে আছে। সারিফ নিজের মাথা ধীরে ধীরে ওপরের দিকে নিতে থাকে আর এর সাথে রুহির নিশ্বাস জোরে জোরে পড়তে থাকে। রুহির গলায় নিজের মুখ ডুবিয়ে দেয় সারিফ। রুহি এক হাত উঠিয়ে সারিফ এর মাথা আকড়ে ধরে। গলা থেকে মুখ তুলে রুহির ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। ধীরে ধীরে নিজেদের থেকে আলাদা করে দেয় তাদের ড্রেস। মিশে যেতে থাকে একে অপরের মাঝে। সারিফ আদরে আদরে ভরিয়ে দিতে থাকে রুহি কে। ভাসিয়ে নিতে থাকে তার ভালোবাসার মাঝে। ডুবে যায় একে অপরের মাঝে।

————-
সাঁঝ বেলা কে কোলে নিয়ে রুমে নিয়ে আসে। রুমের চারিদিকে ফুল ও মোমবাতি দিয়ে সাজানো। মোমবাতির মৃদু আলোয় ঘরের পরিবেশ আরো মোহনীয় হয়ে উঠেছে। সাঁঝ বেলা কে কোলে থেকে নামিয়ে দিয়ে এগিয়ে যায় সামনে রাখা টেবিলের দিকে। তুলে নেয় শ্যাংপেন এর বোতল। গ্লাসে ঢেলে এক চুমুক দিয়ে এগিয়ে আসে বেলার দিকে। বেলার কাছে এসে দাঁড়িয়ে এক টানে খুলে ফেলে বেলার মাথার ঘোমটা। চুলে টান দিতেই চুল গুলো ঝরে পড়ে পিঠে আর মুখের ওপর। সাঁঝ বেলার চুলে মুখ ডুবিয়ে দেয়। চুলের গন্ধ টেনে নেয় নিজের মধ্যে। বেলা কে ঘুরিয়ে নিজের দিকে ফিরিয়ে নেয়। এক আঙুল দিয়ে বেলার মুখের থেকে চুল গুলো সরিয়ে দেয়। মুখ এগিয়ে নিয়ে গিয়ে মুখে ফু দেয়। সাথে সাথে বেলা চোখ বন্ধ করে নেয়। সাঁঝ বেলার কোমরে হাত দিয়ে নিজের কাছে টেনে আনে।
.
. 🎶 সাসো কো জিনে কা ইশারা মিল গ্যায়া
ডুবা মে তুঝমে তো কিনারা মিল গ্যায়া 🎶
.
. বেলার ঠোঁটের ওপরে আঙুল দিয়ে স্লাইড করে বেলার ঠোঁটের মাঝে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। বেলা সাঁঝ এর চুলের মাঝে নিজের হাত ডুবিয়ে দেয়। প্যাশনেট ভাবে একে অপরের ঠোঁটের মাঝে ডুবে যায়। সাঁঝ বেলার ঠোঁটের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে রেখেই বেলা কে ঠেলে নিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে মেতে ওঠে দুজন একে অপরের ঠোঁটের মাঝে।
.
. 🎶 সাসো কো জিনে কা ইশারা মিল গ্যায়া
জিন্দেগি কা পাতা দুবারা মিল গ্যায়া
তু মিলা তো খুদা কা সাহারা মিল গ্যায়া
তু মিলা তো খুদা কা সাহারা মিল গ্যায়া
গাম জাদা গাম জাদা দিল এ থ্যা গাম জাদা
বিন তেরে বিন তেরে দিল এ থা গাম জাদা🎶
.
. সাঁঝ বেলার ঠোঁট থেকে মাথা তুলে গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়। আসতে আসতে দাঁত দিয়ে টেনে বেলার গলায় থেকে নেকলেস খুলে ফেলে দেয়। তারপরেই নিজের ঠোঁটের বিচরণ করায় পুরো গলা আর ঘাড় জুড়ে। কানের কাছের মুখ নিয়ে কানের পাতায় আলতো করে কামড়ে দিয়ে কানের থেকে মুখ দিয়ে টেনে দুল খুলে ফেলে। বেলা কে ঘুরিয়ে বেলার পিঠ নিজের বুকের সাথে লাগিয়ে নেয় সাঁঝ। বেলার ব্যাকলেস পিঠে নিজের ঠোঁটের স্পর্শ দিয়ে ভরিয়ে দেয়। শেষের বেঁধে থাকা দড়িটাও মুখ দিয়ে খুলে ফেলে। সাথে সাথে বেলা সামনে ঘুরে যায়। সাঁঝ বেলার দিকে তাকিয়ে থেকে আসতে আসতে নিচে হাঁটু মুড়ে বসে পড়ে। বেলার পেটের কাছে মুখ নিয়ে পেটে মুখ ডুবিয়ে দেয়। সারা পেট জুড়ে নিজের ঠোঁটের স্পর্শ দিতে থাকে আর তার সাথে জিভ দিয়ে লেহন করতে থাকে। বেলা সাঁঝ এর মাথা সরিয়ে দিয়ে সরে যেতে নিলে বেলার হাত লেগে পাশের থাকা একটা মোমবাতি পড়ে যায় আর তার সাথে বেলার টপ টা ও গায়ের থেকে খুলে পড়ে। সাথে সাথে বেলা ঘুরে দাঁড়িয়ে সাঁঝ কে জড়িয়ে নেয়। সাঁঝ ও দু হাত দিয়ে বেলা কে জড়িয়ে নেয় নিজের সাথে শক্ত করে।
.
. 🎶মে রাজ তুঝসে কাহু হামরাজ বানজা জারা কারনি হে কুছ গুফতুগু আলফাজ বানজা জারা
.
. সাঁঝ বেলার হাতের কাছে বেঁধে থাকা টপ টা কে খুলে ফেলে দেয়। বেলা কে নিজের থেকে সামনে আনতে গেলে বেলা আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে সাঁঝ কে। সাঁঝ বেলা কে জড়িয়ে নিয়ে মুখ নিচু করে বেলার কাঁধে নিয়ে আসে। বেলার কাঁধে লিক করতে থাকে সাঁঝ। বেলা হাত ঘুরিয়ে সাঁঝ এর বুকের আছে আনে হাত বাড়িয়ে সাঁঝ এর ড্রেস এর বোতাম খুলে ফেলে। সাঁঝ বেলার থেকে একটু দূরে সরে গিয়ে নিজের গায়ের থেকে ড্রেস খুলে ফেলে। সাথে সাথে বেলা সাঁঝ কে জড়িয়ে ধরে। সাঁঝ বেলার কোমরে হাত স্লাইড করতে করতে বেলার এর ল্যাহেঙ্গার দড়ি তে টান মারে। বেলা চমকে গিয়ে সাঁঝ এর থেকে সরে যেতে নিলেই সাঁঝ বেলা কে কোলে তুলে নেয়।
.
. 🎶মে রাজ তুঝসে কাহু হামরাজ বান জা জারা
কারনি হে কুছ গুফতুগু আলফাজ বানজা জারা
জুদা জাব সে হুয়া তেরে বিনা
খামোস রেহতা হু মে
লাব কে পাস আ আব তু মেরি
আওয়াজ বান জা জারা
তু মিলা তো খুদা কা সাহারা মিল গ্যায়া
তু মিলা তো খুদা কা সাহারা মিল গ্যায়া
গাম জাদা গাম জাদা দিল এ থ্যা গাম জাদা
বিন তেরে বিন তেরে গাম জাদা গাম জাদা 🎶
.
. সাঁঝ বেলা কে কোলে নিয়ে বিছানায় শুয়ে দেয় এর পর নিজে ও বেলার ওপর ঝুঁকে পড়ে। বেলার ঠোঁটে ডুব দেয়। বেলার সারা শরীরে সাঁঝ এর হাত এর বিচরণ করে। নিজেদের শরীরের থেকে ড্রেস খুলে রুমের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বেলা কে নিয়ে নিজের ভালোবাসার মাঝে মুড়ে নেয়. আদরে আদরে ভরিয়ে দেয় বেলা কে. ভেসে যেতে থাকে বেলা কে নিয়ে সুখের সাগরে।
.
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে…
.
. ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন রি-চেক করা হয়নি। সবাই নিজেদের মতামত জানাবেন