তোর আসক্তি পাগল করেছে আমায় পর্ব-৩৯ এবংং অন্তিম পর্ব

0
4999

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana (Saba)
#অন্তিমপর্ব
.
.
. মধ্যে রাতের অঙ্কে দুটো ক্লান্ত শরীর একে অপরের সাথে মিশে আছে। সাঁঝ এর বুকের ওপরে মাথা রেখে সাঁঝ কে জড়িয়ে আছে বেলা। গায়ের ওপরে ব্ল্যাঙ্কেটে মোড়া। বাইরে বৃষ্টি নেমেছে। সাঁঝ বেলার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। বাইরের দিকে দৃষ্টি দিতে দেখতে পায় কাঁচের গায়ে বৃষ্টির পানির ঝাঁপটা। যেটা পরিবেশ কে আরো মোহনীয় করে তুলেছে। চোখের পাতায় ভেসে আসছে কিছু পুরোনো স্মৃতি।
.
–“ভালোবাসি ।বেলা মৃদু গলায় বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ মুচকি হেসে বেলার মাথায় নিজের ঠোঁট ছুয়ে দেয়।
.
–” তুমি কিন্তু বললে না তুমি আমাকে কখন থেকে আমাকে ভালোবেসে ছিলে। বেলা ঠোঁট ফুলিয়ে বলে ওঠে।
.
.সাঁঝ বেলার কথায় মুচকি হেসে বেলা কে আরো কিছুটা শক্ত করে জড়িয়ে নেয় নিজের সাথে।
.
–” আমি তোমাকে জানাতে চেয়েছিলাম। যখন তুমি সম্পূর্ণ ভাবে আমার নিজের হয়ে যাবে। যখন আমি তোমাকে নিজের করে নিতে পারবো। তোমার মনের সমস্ত রাগ অভিমান কষ্ট মুছে দিয়ে নিজের করে নেবো। তার পরেই তোমাকে বলতে চেয়েছিলাম। সাঁঝ মৃদু হেসে বলে ওঠে।
.
–“সেদিন ও বৃষ্টির দিন ছিল ঠিক আজকের মত। সেদিন অনেক গুলো মিটিং পর পর করতে গিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত হয়ে যায়। রাস্তা পুরো ফাঁকা ছিল। আর তোর সাথে ছিল ঝুম বৃষ্টি। বৃষ্টির ওই মোহনীয় পরিবেশ উপভোগ করতে করতে আর ল্যাপটপ এর থেকে কিছু কাজ করতে করতে বাড়ি ফিরছিলাম।চোখ তুলে সামনে তাকাতেই হটাৎ করে গাড়ির ভিতর থেকেই দেখতে পাই রাস্তার মাঝে কিছু হচ্ছে। দূর থেকেই দেখতে পাই। গাড়ি ধীরে চালাতে বলি ড্রাইভার কে। তারপরেই চোখ যায় ওখানে রাস্তার মাঝে থাকা ছেলে মেয়ে গুলোর ওপর। তারপরই আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি মেয়ের ওপর যে আমাদের গাড়ি দেখে গাড়ির দিকে ছুটতে ছুটতে আসে। ওই বৃষ্টির পানিতে মেয়েটা ভিজে পুরো চুপচুপে হয়ে গেছে কপাল থেকে ঠোঁট বেয়ে গড়িয়ে পানি পড়ছিল যেটা আমাকে খুব আকর্ষণ করছিলো। মেয়েটার দিকে তাকিয়ে চোখ আটকে গেছিলো। যেটা আমার পঁচিশ বছরের জীবনে প্রথমবারের মত হয়েছিলো। যে আমাকে কোনো আকর্ষন করেছে। মেয়েটা এসেই গাড়ির কাঁচের ওপর নক করতে থাকে। মেয়েটা রাস্তার একটা লোকের জন্য সাহায্য চায়। সাথে সাথে ওদের কে তুলে নেই। গাড়িতে বসে ব্যাক মিরর দিয়ে মেয়েটা কে দেখতে থাকি। মেয়েটার সাথে ছিল তিনটে ছেলে ও একটা মেয়ে যারা ও এই মুহূর্তে চিন্তিত হয়ে আছে। মেয়েটা ভ্রু কুঁচকে চিন্তা নিয়ে কোনো একটা রাস্তার লোক এর মাথায় রুমাল চেপে আছে। আর তার কিছুক্ষণ পর আর মাঝে মাঝে কোনা চোখে আমাকে দেখে যাচ্ছে। বুঝতে পারি আমি ওর দৃষ্টি আমার গাল এর পাশে থাকা তিল এর ওপরে ওর দৃষ্টি। তাছাড়া মেয়েটা কে ও আমি দেখছিলাম। চোখ ফেরাতে পারছিলাম না বুঝতে পারছিলাম যে আমার কি হচ্ছে। আমি চেয়ে ও আমার দৃষ্টি সরিয়ে নিতে পারছিলাম না মেয়েটার ওপর থেকে। হসপিটাল নামিয়ে দিয়ে আমি চলে আসে বাড়িতে। প্রথমে ভেবেছিলাম এটা এমনি একটা আকর্ষণ ছিল এর থেকে আরো কিছু নয়। কিন্তু কোনো মতে মেয়েটা টা কে চোখের সামনে থেকে সরিয়ে দিতে পারছিলাম না। কিন্তু সব সময়ে এর জন্য আমার মাথায় আর মনে এর মাঝে এসে উঁকি দিয়ে যেতো। বারবার চোখের সামনে আসতো বৃষ্টির দিনের ওই মুখ। যার জন্য নিজে কে কাজে ডুবিয়ে ফেলি মেয়েটা কে ভোলার জন্য।
.
–“কিছুদিন পর আবারো মেয়েটা কে দেখি আমার অফিসের নিচে গেটের কাছে। প্রথমে মনে করেছি হয়তো আমার মনের ভুল। কারণ মেয়েটা আমার মন মস্তিষ্কের ওপর দখল নিয়ে নিয়েছে ততদিনে। তাই মনের ভুল ভেবে চোখ সরিয়ে নেই। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আবারো নিচে চোখ পড়তে আমি থমকে যাই। কারণ সে সিকিউরিটি এর সাথে কথা বলছে আর তার সাথে ছিল সেদিন এর সেই ছেলে মেয়ে গুলো। মেয়েটা গেটের কাছে দাঁড়িয়ে এপার ওপারে দেখতে থাকে। আমি বুঝতে পারিনা যে মেয়েটা এখানে কেনো কি করতে এসেছে তাই গার্ড কে ফোন করি। জানতে পারি মেয়েটা এখানে আমার খোঁজে এসেছে। কথাটা শুনতেই আমার মুখে একটা হাসি খেলে যায়। মুহূর্তে মনটা ভালো হয়ে যায়। কেনো জানিনা মেয়েটার ইচ্ছা টা পূরণ করতে ইচ্ছে করলো তাই ওপর থেকে দেখে আমি নিচে নেমে আসি তার সাথেই দেখতে পাই মেয়েটার মুখের উজ্জ্বল হাসি। যে আমাকে দেখেই নাচানাচি শুরু করেছে। আমি অপলক ভাবে তাকে দেখছিলাম তাই যাতে আমার দৃষ্টি বুঝতে না পারে সেই জন্য চোখে গ্লাস পরে নিলাম। যতো আমি কাছাকাছি আসছিলাম তার সাথেই আমার হার্ট বিট দ্রুত গতিতে বিট করতে শুরু করেছে। বুঝতে পারছিলাম না যে হঠাৎ করে এটা কেনো হচ্ছে। মেয়েটা কে দেখেই আমি কিছু সেকেন্ডের জন্য থমকে যায়। মেয়েটা হাসলে তার গালে ডিম্পল পড়ে তার সাথে গজ দাঁত ও দেখা যায়। যার জন্য তাকে আর মোহনীয় সুন্দরী লাগে। আর তার সাথে থুতনিতে একটা কালো তিল যেটা মনে হচ্ছে কু নজর থেকে বাঁচানোর জন্য ওপর আলা নিদারুণ তোফা। যখন দেখলাম ও ফোন নিয়ে ফটো তুলতে যাচ্ছে তখনই আমি হাঁটার গতি কমিয়ে দেই। যাতে ও ফটো নিতে পারে। গাড়িতে ওঠার আগে আমি একবার ওর দিকে তাকায় দেখতে পাই মেয়েটা সাথে সাথে লাফিয়ে উঠে ক্লিক করে মুহূর্ত টা কে। আমার মুখে খেলে যায় একটা মুচকি হাসি। তার পর গাড়ি উঠে যায়। গাড়িতে বসেই দেখতে পাই মেয়েটার খুশিতে উজ্জ্বল মুখটা। যে এই মুহূর্তে বুকে হাত দিয়ে তার বন্ধুদের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গাড়িটা আস্তে আস্তে বেরিয়ে যায়।গাড়িতে বসেই আমি মেয়েটার সম্বন্ধে খোঁজ নিচ্ছিলাম সোসাল অ্যাকাউন্ট দেখতেই জানতে পারি মেয়েটা বেশ পপুলার ওর সাথে বাকি ছেলে মেয়ে মিলে একটা ব্র্যান্ড। তারপরই হটাৎ চোখে পড়ে জাস্ট নাও এর একটা পোস্ট। দেখি কিছু মিনিট আগের তোলা ফটো আর তার সাথে দেখতে পাই ওর লেখা ক্যাপশন। আমি বুঝতে পারছিলাম না এটা কি হচ্ছে। এটা কেমন ধরণের ভালোবাসা ফ্যান টাইপ না অন্য কিছু। তাই আমি গাড়ি নিয়ে সাইট হয়ে যাই। ওরা আমার বেরিয়ে যেতেই ওরাও বেরিয়ে যায়। আমি ওদের পিছু নেই। কিছু মুহূর্ত পরে দেখতে পাই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে ওর গান করা আর পাগলামি গুলো দেখতে থাকি। বুঝতে পারি মেয়েটা গভীর ভাবে আমার নেশায় পড়ে গেছে। ওর ওই পাগলামি যেগুলো আসতে আসতে আমাকে তার দিকে টানতে থাকে। যেটা আমাকে আসক্ত করে। এর পর থেকেই মেয়েটার প্রতিটা খোঁজ আমি নিতে থাকি কোথায় যায় কি করে সব কিছু। ওর সব সময়ে আপডেট নিতে থাকি। ঠিক তেমনই দেখেছিলাম মেয়েটা আমার সব খোঁজ খবর রাখত। আমাকে দেখার জন্য প্রতি দিন সকালে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকতো। দূর থেকেই আমার গাড়ি দেখতে পেলেই দেখেছি ওর মুখের জ্বলে ওঠা ওই হাসিটা। যেটা আমাকে আরো বেশী পাগল করে দিত। দিন দিন বুঝতে পারি এই মেয়েটা কে ছাড়া আমার চলবে না আমি ওর নেশায় নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি যেটা আমি চাইলেও দূরে করতে পারবো নমস্কার।
.
–“তারপর আমার বাড়ির খোজ লাগিয়ে মেয়েটা প্রতি রাতে আসতো আমাকে দেখতে যেটা আমি বাড়ির সিসি টিভি ফুটেজ এর মধ্যে দেখতাম তাই আমিও বাইরে এসে দাঁড়াতাম। যাতে আমাকে দেখতে পায় তাই জন্য তার সাথে আমি দেখতাম মেয়েটার মুখের হাসি যেটা আমাকে দেখার পর ওর মুখে ফুটে উঠত। তার সাথে পেতাম প্রতিদিন একটা করে চিরকুট যেটা অনেকটা ভালোবাসার সাথে লেখা । বুঝতে পারি মেয়েটা আমাকে ভালোবেসে ফেলেছে। আর তার প্রতিটা অনুভূতির সাথে আমার পরিচয় করাতে চাইছে। তার সাথে মেয়েটার থেকে পেলাম একটা মিষ্টি নাম যেটা ও আমাকে মনে করত তার জীবনে “জিন্দেগি” এই নাম টাও আমাকে তার প্রতি আরো আসক্ত করেছিলো।আর তার সাথে সেও আমাকে তার নেশায় আসক্ত করে ফেলেছে। তার ভালোবাসার সাথে আমাকেও জড়িয়ে নিয়েছে। একদিন রাতে আমি বেরিয়ে যাই বাড়ির গেটের বাইরে।কারণ সেদিন ওদের আসতে অনেক রাত হয়ে গেছিল আর আমি অপেক্ষা করছিলাম। দেখি মেয়েটা আমাকে দেখতে না পেয়ে বাইক এর ওপরে উঠে খুঁজে যাচ্ছে। তার পরেই হটাৎ আমাকে সামনে দেখেই চমকে গিয়ে পড়ে যেতে নেয়। সাথে সাথে আমি ধরে নেই। ওই প্রথম ছিল আমাদের মাঝের স্পর্শ। কতক্ষণ ডুবে ছিলাম ওর চোখের মাঝে আমি জানি না। ওর বন্ধুদের ডাকে ঘোর কেটে যায়। তার পরে দাঁড়িয়ে ওদের সাথে অনেক ক্ষণ কথা বলি। কিন্তু আমার নজর ছিল ওর ওপরে। আর মেয়েটা আমি যতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। যেনো আমাকে দেখে তার মনের তৃষ্ণা মিটিয়ে নিচ্ছে। জানতে পারি তাদের আজ একটা প্রোগ্রাম ছিল তাই দেরি হয়ে গেছে আর তারা এর মাধ্যমে উপার্জন করে একটা আশ্রম চালায়। তাই আমি ওদের সাহায্য করতে আর ওকে আমার চোখের সামনে দেখতে আমার কোম্পানী তে সাইন করার কথা বলি। রাত হয়ে যাচ্ছে দেখে আমি না চাইতে ও বাড়ি ঢুকে যায়। ওখানে থেকে যেতেই রাস্তার মাঝে চলে আবারও মেয়েটার অবাধ পাগলামি। আবারও আগের দিনের মতো চলে রাস্তার মাঝে তার অবাধ পাগলামি। আমি বাড়িতে বসেই দেখতে পেতাম কারণ আমার লোক সব সময়ে ওর পিছনে থাকতো আর মিনিট মিনিট ওর সব কিছু আমাকে আপ ডেট করত।
.
–“আমার কোম্পানী জয়েন করার পরেই কিছু না কিছু বাহানায় চলে আসতো আমার কেবিনে। আর তার সাথে ছিল তার প্রতি মুহূর্তের পাগলামি। যেটা আমি ও দেখতাম প্রতি নিয়ত। যেটা আমাকে প্রতিদিন নতুন ভাবে আর নতুন করে আরও বেশি করে আসক্ত করে ফেলেছিল। তাকে ভালোবেসে ফেলি নিজের অজান্তেই অতিরিক্ত ভাবে কিন্তু আমি চেয়ে ও মেয়েটা কে নিজের কাছে আনতে পারছিলাম না আর না পারছিলাম মেয়েটা কে কাছে টেনে নিতে। এর পর ওদের একটা কর্নশাট এর পর মেয়েটা আমাকে প্রোপোজ করে যাতে আমি প্রথমে অবাক হলেও খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু তখন ও সবে ইলেভেনে পড়তো বয়স ও কম এখন যদি প্রেম ভালোবাসার পড়ে তাহলে পড়াশোনা লাটে তুলে দেবে কারণ ওর পাগলামি গুলো আমার সেটাই মনে করায়। তাই সেদিন আমি ওকে ফিরিয়ে দেয়। জানতাম কষ্ট পাবে তবুও আমার বুকে পাথর রেখেই ওকে আমি ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না আর ওকে কাছে দেখে ও ওকে নিজের করতে না পারার যন্ত্রণা আমাকে প্রতি নিয়ত আমার বুকের মাঝে রক্তপাত এর সৃষ্টি করত যেটা আমি সহ্য করতে পারতাম না। তাই ওর ক্যারিয়ার এর কথা ভেবে আমার থেকে ওকে দূরে রাখি যাতে আমি নেশার বসে ওর কোনও ক্ষতি করে না ফেলি। দুদিন পর ওদের থেকে কন্ট্রাক্টড ক্যানসেল করে জানতাম মেয়েটা হয়তো খুব কষ্ট পেয়েছে তাই আমার থেকে দূরে সরে যেতে চাইছে তাই আমি ও দূরে থাকতাম। কিন্তু প্রতি টা মুহূর্তের খবর রাখতাম আমি। সব সময়ে এর জন্য ওর ওপর আমার নজর থাকতো। প্রতি মুহূর্তে ওর জন্য আমি জ্বলে পুড়ে শেষ হতাম। আসতে আসতে দেখতে পাই মেয়েটা কেমন একটা হয়ে যাচ্ছে চেয়েও আমি কাছে যেতে পারতাম না শুধু দূরে থেকেই দেখে যেতাম। আর তার সাথে সহ্য অসহ্য যন্ত্রণা। ওর ওই কঠিন হয়ে যাওয়ার জন্য প্রতি দিন প্রতি মুহুর্ত আমার বুকের মধ্যে রক্তক্ষরণ হতো যেটা আমাকে ক্ষণে ক্ষণে শেষ করে দিচ্ছিল। তারপরেই আঠারো হয়ে যেতেই আর মেয়েটা কে বাঁচাতে নিজের করে নেই। এখন সে পুরোপুরি আমার। আমার বুকের মাঝে রয়েছে। সাঁঝ এর বেলা ।সাঁঝ বেলার মাথায় নিজের ঠোঁট ছুয়ে দিয়ে বলে ওঠে।
.
. এদিকে বেলার চোখের থেকে অঝোরে পানি পড়ে যাচ্ছে। বেলা সাঁঝ এর বুকের মাঝে মুখ গুঁজে ফুফিয়ে কাঁদতে থেকে। সাঁঝ বেলা কে আরো কিছুটা শক্ত করে নিজের সাথে জড়িয়ে নেয়। মাথায় গভীর চুমু খায়।
.
–“ভালোবাসি বেলা । আমার নিজের থেকে ও বেশি এটুকু বলতে পারি। তোমার জন্য আমার নিজের জান ও হাজির। তোমাকে সারাজীবন এই ভাবে ভালোবেসে যেতে চাই। তোমার আসক্তির মাঝে সারাজীবন এর জন্য ডুবে থাকতে চাই তোমার অতিরিক্ত নেশায় বুঁদ হয়ে কাটাতে চাই সারাজীবন। তুমি আমার কাছে কি আমার জীবনের কতটা তুমি নিজে ও জানো না। তোমাকে হারিয়ে ফেললে আমি ও হারিয়ে যাবো। তুমি এই সাঁঝের বেলা। সব সময়ে এর জন্য সারাজীবন এর জন্য। সাঁঝ বেলা শক্ত করে জড়িয়ে নেশাময় ভাবে বলে ওঠে।
.
. বেলা সাঁঝ এর এই কথা গুলো শুনে এবার জোরে জোরে কাঁদতে থাকে। সাঁঝ এর বলা প্রতি টা কথা তার বুকে এসে লেগেছে। বেলা বুঝতে পারে যে সে এত বছর কত ভুল নিয়ে ছিল সে নিজেও কষ্ট পেয়েছে সাথে তার জিন্দেগি কে ও জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করেছে। কত না কষ্ট পেয়েছে ভাবতে বেলার বুক কেঁপে ওঠে। বেলা বোঝে সাঁঝ এর ভালোবাসার গভীরতা। একটা মানুষ কতটা ভালোবাসলে তবে এতটা কষ্ট পায়। এতটা যন্ত্রণা সহ্য করে। সে যে মানুষ টা কে ভুল বুঝে এতদিন ঘৃণা করে এসেছে সেই মানুষটা তাকে পাগলের মত ভালোবেসে গেছে সব সময়ে এর জন্য। তাকে সব বিপদ এর থেকে সব সময়ে রক্ষা করে গেছে আর সেই কিনা ঘৃণা করেছে তাকে। ভাবতেই নিজের ওপর ধিক্কার জানাতে ইচ্ছে করছে।
.
–“ভালোবাসি জিন্দেগি। আমি ও সারাজীবন এর জন্য তোমাকে পাশে চাই। তোমাকে ভালোবাসতে চাই তোমার সাথে পথ চলতে চাই। কখনই তোমাকে আর হারাতে চাই না। সব সময়ে এর সারা জীবন এর জন্য সাঁঝেরবেলা হয়ে থাকতে চাই। বেলা কাঁদতে কাঁদতে বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ বেলা কে জড়িয়ে নেয়। বেলা কে চুপ করাতে থাকে। নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়ে। বেলার এই কান্না যেনো এই মুহূর্তে মধুর মনে হচ্ছে। তাকে আবার ও মাতাল করছে। সাঁঝ বেলা কে কাছে টেনে আবারও তাকে আদরে আদরে ভরিয়ে দিচ্ছে।তার আসক্তি ভরা ভালোবাসার নেশায় ভাসিয়ে নিচ্ছে আবারো। সাঁঝ তার বেলা কে মুড়ে নিচ্ছে তার আদরের চাদরে। আবারও মিশে যায় তাদের ভালোবাসার সাগরে ভেসে যায় ভালোবাসার রাজ্যে।
.
–“তোর আসক্তি পাগল করেছে আমায় । সব সময়ে এর জন্য সারা জীবন এর জন্য যেটা প্রতি মুহূর্তে আরো দ্বিগুণ হচ্ছে। যেটা থেকে দূরে সরে যেতে নিলে আমার মৃত্যু অবধারিত। সাঁঝ মৃদু আওয়াজ বলে উঠে বেলার মাথায় গভীর একটা চুমু খায়।
.
.
.
. সমাপ্ত… ❤️❤️❤️
.