না_চাইলেও_তুমি_আমার পর্ব-১৩

0
2688

#না_চাইলেও_তুমি_আমার
পর্বঃ ১৩
জাহান আরা

গোসল সেরে রাত্রি একটা বেবি পিংক কালার শাড়ি পরে,ঠোঁটে ন্যুড কালার লিপস্টিক,চোখে একটু কাজলের ছোঁয়া দেয়।
নিশান বিছানায় বসে দেখছে রাত্রিকে।ভেজা চুল চুইয়ে চুইয়ে পানি পড়ছে।রাত্রিকে মনে হচ্ছে আফ্রোদিতির মতো।
কে জানে হয়তো দেবী আফ্রোদিতি ও এতো সুন্দরী ছিলেন না।
নিশান উঠে গিয়ে রাত্রির হাত ধরে টেনে এনে বিছানায় বসিয়ে দেয়,লজ্জায় রাত্রি তাকাতে পারছে না নিশানের দিকে,নিশানের স্পর্শ পেতেই কেমন কেঁপে কেঁপে উঠছে।

জীবনের এই সুখ,এই আনন্দের দ্বার রাত্রির কাছে আজ উন্মোচিত হয়েছে,একজন মানুষ আছে যে কি-না শুধুই তার,তাকে আজ রাত্রি পেয়েছে,জীবনটা আজ কেমন পরিপূর্ণ মনে হচ্ছে রাত্রির।

এখন ইচ্ছে হলেই সে কারো বুকে মুখ গুজিয়ে শুয়ে থাকতে পারবে,রাগ করতে পারবে,অভিমান করতে পারবে।
উফফ,কেনো আরো আগে বিয়ে করলো না নিশান তাকে,তাহলে তো এই সুখ সে অনেক আগেই পেতো।

রাত্রির লজ্জাবনত মুখটি দেখে নিশান বুকে টেনে নেয় রাত্রিকে,রাত্রির ভীষণ ভালো লাগে,সবচেয়ে বড় নির্ভরতার স্থান এখন থেকে এটাই তার।
তারপর হঠাৎ করেই রাত্রির মনে পড়ে চন্দ্রর কথা,এই বাড়িতে আসার পর থেকে একবারও চন্দ্রকে দেখে নি,কোথায় আছে না আছে তাও জানে না সে।
খুব রাগ হয় নিশানের উপর,নিশানের জন্যই তো চন্দ্রর খবর নিতে পারে নি সে।

নিশানের বুক থেকে উঠে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায় নিশানের দিকে রাত্রি,রাত্রির এরকম চাহনি দেখে নিশান নড়েচড়ে বসে।

“চন্দ্র কোথায়?”

“চন্দ্র কোথায় আবার,নিষাদের রুমে”

বলেই নিশান থতমত খেয়ে যায়,কি বলে ফেলেছে সে!
রাত্রি বিস্ফোরিত নয়নে তাকায় নিশানের দিকে, কি শুনছে সে,এসব কি বলছে নিশান!

নিষাদের ২ হাত আলগোছে নিজের উপর থেকে সরিয়ে চন্দ্র বিছানায় উঠে বসে,তারপর পা টিপে টিপে উঠে গিয়ে দরজার সামনে দাঁড়ায়।দরজার ছিটকিনি লাগানো,চন্দ্র সাবধানে ছিটকিনি নামিয়ে আনে। তারপর দরজার হাতল ধরে টান দিতেই নিজেই চমকে যায়।দরজা খুলছে না কেনো?

বুকটা খালি খালি লাগতেই নিষাদের ঘুম ভেঙে যায়।কেমন যেনো শূন্যতা অনুভব করছে,হাত বাড়িয়ে দেখে চন্দ্র নেই।বুঝতে পারে তখন বুক কেনো শূন্য মনে হচ্ছে। অজান্তেই হেসে ফেলে নিষাদ,এক রাত বউকে বুকে নিয়ে ঘুমাতেই এই অবস্থা,চন্দ্র যখন চলে যাবে তাকে ছেড়ে তখন কিভাবে থাকবে!

দিশেহারা লাগে কেমন নিষাদের,যদি পারতো তবে চন্দ্রকে বুকের ভিতর বন্দী করে রাখতো।চন্দ্র কেনো পাখি হলো না?

দরজা খুলতে ব্যর্থ হয়ে বিছানার পাশের সোফায় বসে ধপ করে বসে পড়ে।দরজা বাহির থেকে আটকানো!
কিন্তু কেনো?
কে আটকালো দরজা?
নিষাদের দিকে তাকায় চন্দ্র।
নিষাদ কে কেমন নিষ্পাপ দেখাচ্ছে,এরকম স্বামী যেকোনো মেয়েই চাইবে,তবে সে কেনো মানতে পারছে না?

আসলেই কি মানতে পারছে না,না-কি ভিতরে থাকা অভিমান মানতে দিচ্ছে না তাকে?

চন্দ্রর ঘন,লম্বা চুলের পানিতে পিঠ ভেসে যাচ্ছে,বিরক্ত হয়ে চন্দ্র চুল খোপা করে নেয়,তারপর মনে পড়ে চন্দ্রর, তার চুল ভেজা কেনো!
আর পরনের শাড়ি,ব্লাউজ-ই বা কেনো ফ্লোরে পড়ে আছে,সাথে নিষাদের পাঞ্জাবি ও।
তবে কি নিষাদ জোর করে তাকে…!

ফর্সা মুখে অন্ধকার নেমে আসে ভাবতেই,নিষাদ তাহলে তার অধিকার আদায় করে নিয়েছে!
একটু আগের সেই ভালো লাগা ঘৃণায় রূপান্তরিত হয় চন্দ্রর।

ছিঃ
কি অসভ্য লোক,আমার ঘুমন্ত অবস্থার সুযোগ নিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করে নিয়েছে।
বুক ফেটে কান্না আসে চন্দ্রর,কি হয়ে গেলো তার,নিষাদ কিভাবে এতো বড় সর্বনাশ করলো!
কখন যে কেঁদে উঠে চন্দ্র নিজেও জানে না সেটা।

সম্বিৎ ফিরে পায় কারো স্পর্শ পেতেই।নিষাদ টিস্যু দিয়ে গভীর মমতা নিয়ে চন্দ্রর চোখের পানি মুছে দিচ্ছে।
নিষাদের এই আলগা আদর সহ্য হয় না চন্দ্রর,ছিটকে দূরে সরে যায় চন্দ্র।

নিষাদ বুঝতে পারছে চন্দ্র কি ভাবছে,তবুও ঠিক করে নিজের নির্দোষিতা নিজে স্বীকার করবে না চন্দ্র মনে না করা পর্যন্ত। কিছুতেই বলবে না রাতে আসলেই কিছু হয়েছে কি-না।
চন্দ্রর খোপা খুলে গেছে আবার,বিছানার একপাশে বসে চন্দ্র নিঃশব্দে কাঁদছে।

নিষাদ উঠে গিয়ে ওয়ারড্রব খোলে,ভিতরে হেয়ার ড্রায়ার আছে,বিয়ের আগের দিন সব কিছুই কিনেছে সে মারিয়ার জন্য,অথচ সেগুলোর মালকিন আজ চন্দ্র।
হেয়ার ড্রায়ার নিয়ে চন্দ্রর পাশে গিয়ে বসে,চন্দ্র আবার লাফ দিয়ে উঠে যেতে নেয়।

খপ করে নিষাদ চন্দ্রর হাত ধরে টেনে বসিয়ে দেয়,মুখে কৃত্রিম রাগ ফুটিয়ে তোলে।
চন্দ্রর কান্না আরো বেড়ে যায়,নিঃশব্দে কাঁদতে থাকে চন্দ্র।
চুল শুকানো শেষ করে নিষাদ গিয়ে অযু করে আসে,চন্দ্রর ও মনে পড়ে নামাজের কথা।

নিষাদ তার পাশেই আরেকটা জায়নামাজ বিছিয়ে রাখে চন্দ্রর জন্য।অযু করে এসে কোনো প্রতিবাদ ছাড়াই চন্দ্র নিষাদের পাশে দাঁড়ায়।
নামাজ আদায় করে নেয় দুজন মিলে।

মোনাজাতে নিষাদ আল্লাহর কাছে শুধু এটুকুই চায়,সারাজীবন যেনো এভাবে দুজন আল্লাহর ইবাদত করতে পারে পাশাপাশি বসে।

নামাজ শেষ করে নিষাদ সোফায় গিয়ে বসে,চন্দ্র বিছানায়।চন্দ্রর কেমন উসখুস লাগছে,রাতে কি হয়েছে তা জানার জন্য অস্থির হয়ে আছে সে।
কিন্তু কেনো জানি জিজ্ঞেস করতে পারছে না।

নিষাদ চুপ করে বসে আড়চোখে দেখছে চন্দ্রর চটপট করা,ভীষণ মায়া হয় নিষাদের,কিন্তু কিছু বলে না।
বাহিরে পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে,সবাই জেগে উঠেছে,কথাবার্তা শোরগোল আস্তে আস্তে বাড়ছে।

রাত্রির বিস্ফোরিত দৃষ্টি দেখে নিশান বুঝতে পারে কি ভুল করে ফেলেছে সে।ইচ্ছে করে নিজের গালে নিজের চড় বসাতে কিন্তু পারে না রাত্রি আছে বলে।রাত্রি না থাকলে ঠিকই বসাতো।এরকম একটা গাঁধার মতো কথা কিভাবে বললো সে!

“কি বললে তুমি?
আমার বোন কোথায়?”

চকিতেই নিশানের মাথায় বুদ্ধি খেলে যায়,হেসে উঠে বলে,”ভয় পেও না,নিষাদ ওর বন্ধুদের সাথে ছাদে ঘুমিয়েছে,চন্দ্র ওই রুমে একাই আছে,আমি নিজেই তো রাতে ওই রুমে তালা দিয়ে এসেছি যাতে চাইলেও কেউ ওই রুমে যেতে না পারে রাতে।”

রাত্রি স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বলে,”বাবা,তুমি আমায় ভয় পাইয়ে দিয়েছিলে।আমার বুকের ভিতর এখনো ধড়ফড় করছে।”

“এতো ভয়ের কি আছে,আমার উপর ভরসা রেখো,চন্দ্রর যাতে ভালো হবে আমি তাই করেছি রাতে।”

রাত্রি নিশানের বুকে মাথা রাখে,নিশান হাঁফ ছেড়ে বাঁচে।
নিজেকে নিজে সাধুবাদ জানায় উপস্থিত বুদ্ধির জন্য,এটাকেই বলে দারোগার বুদ্ধি,ভেবে মনে মনে হাসে নিশান।

অনেকক্ষণ ধরে হাঁসফাঁস করার পর চন্দ্র নিজেই জিজ্ঞেস করে,”রাতে আমি গোসল করেছি কেনো?”

চন্দ্রর প্রশ্ন শুনে নিষাদ ভীষণ মজা পায়,মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি খেলে যায় নিষাদের,নিরীহ মুখ করে বলে,”স্বামী-স্ত্রী একসাথে থাকলে রাতে গোসল কেনো করে, সেটা কি আমার আবার তোমাকে বুঝিয়ে বলতে হবে চন্দ্র?”

চন্দ্র শিউরে উঠে শুনে,কাঁপা কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করে,”আপনি ও গো-গো-গোসল করেছেন না-কি?”

“অদ্ভুত প্রশ্ন করছো তুমি,গোসল করবো না কেনো,ফরজ গোসল না করলে কি পবিত্র হওয়া যায় না-কি,এটুকুও বুঝো না তুমি?”

চন্দ্র কেঁদে উঠে নিষাদের কথা শুনে,তার ধারণা তাহলে সত্যি।নিষাদ তার সাথে সব করে ফেলেছে!
এখন তার কি হবে?

কাঁদতে কাঁদতে জিজ্ঞেস করে,”এটা আপনি কি করলেন,কেনো করলেন?
করলেন ই যখন কোনো প্রোটেকশন ইউজ করেছেন কি,না-কি পিল এনেছেন!
হায় আল্লাহ, আমি তো পিল খাই নি,এখন আমার কি হবে?
আমাদের হোস্টেলের একটা মেয়ে বয়ফ্রেন্ডের সাথে এরকম অনিরাপদ মিলনের ফলে গর্ভবতী হয়ে গিয়েছে,আমার ও যদি তাই হয়?
আমাকে তো বাসা থেকে বের করে দিবে,এখন আমার কি হবে?”

নিষাদের ইচ্ছে করছে চিৎকার করে হাসতে,কিন্তু অনেক কষ্টে হাসি চাপিয়ে রাখে নিষাদ,চন্দ্রর এরকম ছেলেমানুষী ভীষণ উপভোগ করছে সে।

চন্দ্র টেবিলের দিকে তাকায়,তাকাতেই দেখে সব প্যাকেট করা রয়েছে।
চন্দ্র আবার কেঁদে উঠে,কাঁদতে কাঁদতে নিষাদের পাশে এসে বসে জিজ্ঞেস করে,”কেনো এরকম করলেন আমার সাথে?আমার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে নিজের কামনা মিটিয়ে নিলেন,লজ্জা করে নি আপনার একবার ও?”

“পুরুষ মানুষের আবার কিসের লজ্জা চন্দ্র?
তাও আবার নিজের স্ত্রীর কাছে?
পাগল না-কি! ”

চন্দ্র অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,”তারমানে স্ত্রীর সামনে যা খুশি তা করা যাবে?”

“অবশ্যই যাবে,তোমার সামনে আমি নাগা সন্ন্যাসী হয়ে বসে থাকতে পারবো,কোনো লজ্জা নেই তাতে।”

“নাগা সন্নাসী টা আবার কে?”চন্দ্রর কান্না থেমে গেছে ইতোমধ্যে।

“সংসার জীবন থেকে অনেক দূরে, ঈশ্বর সাধনায় মগ্ন এবং শীত-গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই শরীর থাকে উদোম বা নগ্ন- তারাই নাগা সন্ন্যাসী বা নাগা সাধু”

লজ্জায় কান লাল হয়ে যায় চন্দ্রর,এই লোক এতো নির্লজ্জ কেনো চন্দ্র বুঝতে পারছে না।আগে তো এরকম নির্লজ্জ ছিলো না,মারিয়ার সাথে সম্পর্ক থাকাকালীন তো কখনো তাদের দিকে ভালো করে তাকাহ ও নি,তবে কি স্ত্রীর কাছে সব পুরুষ এরকমই হয়?

প্রসঙ্গ পালটে চন্দ্র জিজ্ঞেস করে,”আপনার একবার ও মনে হয় নি,একা ঘরে একটা মেয়ে ‘কে পেয়ে যা করেছেন তা কাপুরুষের মতো কাজ হচ্ছে,আমাদের বিয়ে হয়েছে বলবেন হয়তো,কিন্তু ওটা এক্সিডেন্ট ছাড়া অন্য কিছু না,তবে কেনো আমার সতীত্ব কেড়ে নিলেন?”

এই প্রশ্নটা করার সময় চন্দ্র কেমন সিরিয়াস হয়ে যায়।নিষাদ এক পলক চন্দ্রর দিকে তাকায়।তারপর বলে,”এই প্রশ্নটা আমার করা উচিৎ তোমাকে চন্দ্র।”

“মানে?”

“মানে হচ্ছে,বলা যায় যে তুমি আমাকে একা পেয়ে আমার সতীত্ব হরণ করেছো,এখন পুরুষের সতীত্ব টা কেমন তা তো আমার জানা নেই,তবে গতরাতে আমাকে একা পেয়ে তুমি আমার সব মান সম্মান কেড়ে নিয়েছো,এখন লোকসমাজে আমার মুখ দেখানোর উপায় নেই।”

নিষাদের কথা বলার ধরন এতোটাই কৌতুকময় ছিলো যে চন্দ্র হেসে উঠে। নিজেকে সামলাতে অনেক দেরি হয় চন্দ্রর।অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে মুখে কাঠিন্য ফুটিয়ে তোলে।

নিষাদ গতরাতে চন্দ্রর খাওয়া ঔষধ টার নাম লিখে গুগলে সার্চ দিয়ে ফোন চন্দ্রর হাতে ধরিয়ে দেয়,চন্দ্র পুরো আর্টিকেল টা পড়ে,কিন্তু বুঝতে পারে না এটা কেনো পড়তে দিয়েছে তাকে নিষাদ।
চন্দ্রর কৌতূহলী মুখ দেখে নিষাদ সেই ঔষধের খোসা টা নিয়ে চন্দ্রর হাতে দেয়।

ঔষধের নাম পড়তেই চন্দ্রর মুখ শুকিয়ে যায়,মনে পড়ে তুরাগ তাকে এই ঔষধ খেতে দিয়েছে রাতে,তারমানে তুরাগ এই ঔষধ খাইয়ে তার সাথে খারাপ কিছু করতে চেয়েছিলো!
নিষাদ চন্দ্রর দিকে ঘেঁষে বসে জিজ্ঞেস করে,”এবার বুঝলে তো কেনো আমি বলেছি তুমি রাতে আমার সতীত্ব হরণ করেছো।

গতরাতে যদি আমি সময় মতো রুমে না আসতাম,অথবা তোমাকে একা রুমে রেখে বন্ধুদের সাথে ছাদে ঘুমাতাম,তবে তোমার কোন সর্বনাশ হতো তা হয়তো আমার আর বলতে হবে না নতুন করে।
আমরা স্বামী-স্ত্রী চন্দ্র,কেনো আমাকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছো তুমি মিথ্যা অভিমানে?

কেনো আমাকে কষ্ট দাও নিজেও কষ্ট পাও?
চন্দ্র যা হয়েছে আমাদের ভালোর জন্য হয়েছে,আমার ভাগ্যে ছিলে তুমি,তোমার ভাগ্যে আমি,তাই হয়তো এভাবেই বিয়ে হয়েছে আমাদের।তবে কেনো এই মিছে অভিমান?

কেনো ৩য় কেউ সুযোগ নিতে চেষ্টা করে তোমার ক্ষতি করার,কেনো আমার কথা অমান্য করো চন্দ্র?
আমি তো তোমার স্বামী,এখন আর আমি আলাদা তুমি আলাদা নও,এখন দুজন মিলে আমরা হয়ে গেছি,তোমার গায়ে একটা কাঁটার আঘাত লাগলে সেই আঘাত তোমার সাথে সাথে আমাকে ও রক্তাক্ত করে দেয়,পার্থক্য একটাই,তোমার শরীর হয় রক্তাক্ত আর আমার হৃদয়।

ব্যথা তো দুজনেই সমান পাই,অথচ চাইলেই আমরা সুখে থাকতে পারি।একটা বার আমাকে সুযোগ দাও চন্দ্র,কখনো অভিযোগ করার সুযোগ দিবো না আমি তোমায়।”

সোফা থেকে নেমে চন্দ্রর দুই পা জড়িয়ে কথাগুলো বলে নিষাদ,চন্দ্র স্ট্যাচুর মতো চুপ হয়ে থাকে।নিষাদের প্রতিটি কথা সত্য চন্দ্র জানে,তার ও তো ইচ্ছে করে,তবে এতো দূরত্ব কিসের!

কিছু একটা বলতে যায় চন্দ্র,তার আগেই বাহিরে তালা খোলার শব্দ আসে,দরজা খুলে রুমে প্রবেশ করে নিশান,পলাশ,লিমন,শুভ,ময়ুখ।
দুলাভাই কে রুমে ঢুকতে দেখে চন্দ্র চমকে উঠে।

চলবে…???