না_চাইলেও_তুমি_আমার পর্ব-১৭

0
2622

#না_চাইলেও_তুমি_আমার
পর্বঃ ১৭
জাহান আরা

নিশানের গাড়িতে রাত্রি,সিমি,লিপি,ইতু উঠে বসে।মারিয়া দাঁড়িয়ে থাকে সোজা হয়ে,কিছুতেই নিশানের গাড়িতে উঠবে না বলে।চাপাচাপি করে সে বসবে না।আসলে মারিয়ার উদ্দেশ্য নিষাদের সাথে বসার।

নিষাদ তার গাড়ি বের করে দরজা খুলে দেয় চন্দ্রর জন্য,মারিয়া চন্দ্রর আগেই গাড়িতে উঠে বসে যায়।পিছনে চন্দ্র হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে,মারিয়া ড্রাইভিং সিটের পাশেই বসেছে নিষাদের সাথে।

চন্দ্রর বাবা,ভাই,ভাবী সবাই নিচে এসে দাঁড়িয়েছে নিষাদ তাদের সামনে সিনক্রিয়েট করতে চাচ্ছে না।অসহায় দৃষ্টিতে চন্দ্রর দিকে তাকায় নিষাদ, চন্দ্রর দুচোখ জলে টইটম্বুর হয়ে গেছে।
পিছন থেকে আমির বলে,”দাঁড়িয়ে আছিস কেনো,যা গিয়ে গাড়িতে বস।”

এক মুহূর্ত চুপ থেকে চন্দ্র বলে,”আমার হঠাৎ করেই মাথা ঝিমঝিম করতে ভাইয়া।”

“কি বলিস,তাহলে যেতে হবে না তোর,বাসায় চল,খেয়ে রেস্ট নিবি।”

পিছন ঘুরে চন্দ্র লিফটের দিকে দৌড়ে যায়,নিষাদ মিররে সব দেখছে,রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে ঘুষি মারে স্টিয়ারিং এ।কিছুই করার নেই এখন।নিশানের গাড়ি বের হয়ে যেতেই নিষাদ ও বের হয়।

মারিয়া ভীষণ খুশি আজ,নিষাদ কে মারিয়া ভালো করে চেনে,কিছুক্ষণ কান্নাকাটি করে মন গলাতে পারলেই নিষাদের রাগ পানি হয়ে যাবে।
গাড়ি চলছে উদ্দেশ্যহীন ভাবে,নিষাদের মন খারাপ ভীষণ,ইচ্ছে করছে মারিয়া কে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দিতে।
মারিয়া এগিয়ে গিয়ে বসে নিষাদের দিকে,তারপর নিজের ডানহাত নিষাদের হাটুর উপর রাখে। ঝাপটা মেরে হাত সরিয়ে দেয় নিষাদ।মারিয়া বেপরোয়া হয়ে উঠে,যে কোনো মূল্যে নিষাদ কে চাই তার।এগিয়ে গিয়ে নিষাদ কে জড়িয়ে ধরে মারিয়া,সাথে সাথে ব্রেক করে নিষাদ,তারপর ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয় মারিয়া কে,গাড়ির দরজা খুলে বের হয়ে যায়।
মারিয়া ও বের হয়ে যায় অন্যপাশের দরজা দিয়ে।

নিশান ড্রাইভ করার পাশাপাশি মিররে চোখ রেখে নজর রাখছে নিষাদের গাড়ির উপর,নিষাদের গাড়ি ব্রেক করতেই নিশান ও গাড়ি ব্রেক করে,গাড়ি থেকে নেমে দেখতে পায় নিষাদ এলোপাথাড়ি মারিয়া কে চড় মারছে,মারিয়া সটান হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,কোনো বিকার নেই মারিয়ার।

নিশান দৌড়ে এসে নিষাদ কে সরিয়ে নেয়,রাত্রি মারিয়া কে টেনে সরিয়ে নেয়।ভীষণ রাগ হয় রাত্রির,নিষাদের সামনে এসে বলে,”মারিয়া একটা ভুল না হয় করেছে,তাই বলে ওকে এভাবে শাস্তি কেনো দিচ্ছেন আপনি?
ও তো এখন ওর ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে চায়,ওকে একটা সুযোগ অন্তত দেন।”
নিষাদ নিশানের দিকে তাকায়,নিশান রাত্রিকে বলে,”যা বুঝো না তা নিয়ে কথা বলো না রাত্রি,এটা ওর ব্যক্তিগত ব্যাপার,মারিয়ার আগেই ভেবেচিন্তে স্টেপ নেওয়া উচিত ছিলো।”

নিশানের কঠোর গলার স্বরে রাত্রি চুপ হয়ে যায়।নিষাদ গিয়ে গাড়িতে বসে,নিশান বসে নিষাদের গাড়িতে।নিশানের গাড়ি রাত্রি ড্রাইভ করে নিয়ে যায় মারিয়া,সিমি,লিপি,ইতুকে।মারিয়া কেঁদে চলেছে অনবরত,কোথাও যাওয়া হয় না আর,গাড়ি ঘুরিয়ে সবাই বাসার দিকে যায়।

রুমে এসেই চন্দ্র বিছানায় উপুড় হয়ে পড়ে,তারপর বালিশে মুখ গুঁজে কান্না করতে থাকে।সহ্য করতে পারছে না এই যন্ত্রণা। ইচ্ছে করছে সব ছেড়ে চলে যেতে অনেক দূরে,অনেক অনেক অনেক দূরে।নিজেকে নিজে বুঝায় নিষাদ কেউ না তার,শুধুমাত্র স্বপ্ন ছিলো।
বুকের ভিতর কেমন চাপা কষ্ট হচ্ছে কাউকে বলতে পারছে না,চারপাশে এতো মানুষ অথচ মাঝে মাঝে নিজের মনের কথা বলার মতো একজন মানুষ নেই।
এই একাকিত্বের যন্ত্রণা ভুক্তভোগী ছাড়া কে বুঝবে?

কাঁদতে কাঁদতে চোখ লেগে আসে চন্দ্রর,মাথা ভীষণ ভারী লাগে,ঠিক তখনই মারিয়া প্রবেশ করে রুমে।
রুমের দরজা বন্ধ করে মারিয়া চন্দ্রকে ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে।
চন্দ্র কিছুই বুঝতে পারে না,নিজের কান্না বন্ধ হয়ে যায় মারিয়ার কান্না দেখে।পুরো শরীর কাঁপে মারিয়ার কান্নার ছোটে।
চন্দ্র বুঝতে পারে না কি হয়েছে মারিয়ার আবার।

অনেকক্ষণ পরে মারিয়ার কান্না বন্ধ হয়,চন্দ্রকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখে তবুও মারিয়া।

অনেকক্ষণ পরে মারিয়া কথা বলে,”নিষাদ আজ আমাকে অনেক মেরেছে চন্দ্র,এই দেখ আমার ২গালের দিকে তাকিয়ে।”

চন্দ্র ভীত চোখে তাকায় মারিয়ার দিকে,সত্যি মারিয়ার গাল লাল হয়ে আছে,যেনো কেউ গালে লাল রঙ মেখে দিয়েছে।

চন্দ্র জিজ্ঞেস করে,”কেনো মেরেছে? ”

“আমি ওকে জড়িয়ে ধরতে চেয়েছি,আমি চেয়েছি ওর অভিমান ভুলিয়ে দিতে,কিন্তু আমি বুঝতে পারি নি ও এতো বেশী রাগ করে আছে,নিষাদ আমার জন্য কেমন পাগল ছিলো তুই তো জানতি,সেই নিষাদ আমাকে মেরেছে চন্দ্র,আমার বুক ফেটে যাচ্ছে কষ্টে।”

চন্দ্র বলার মতো কিছু খুঁজে পায় না,কি বলে সান্ত্বনা দিবে সে মারিয়াকে।
কিছুক্ষণ পর মারিয়া বলে,”চন্দ্র তোর মনে আছে যখন আমরা ক্লাস ১০ এ ছিলাম একবার ইসলাম শিক্ষা ক্লাসে কি হয়েছিলো।”

চন্দ্রর মনে পড়ে যায়। মারিয়া আর তার বন্ডিং এতো বেশী মজবুত ছিলো যে একবার ইসলাম শিক্ষা ক্লাসে হাবিব স্যার সবাইকে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছে,যে বলতে না পারবে তাকে বারান্দায় কানে ধরে দাঁড়াতে হবে।
চন্দ্রকে জিজ্ঞেস করা ৫ট প্রশ্নের উত্তর চন্দ্র ঠিকঠাক দেয়,মারিয়া কে জিজ্ঞেস করা প্রশ্নের উত্তর মারিয়া দিতে পারে না।মারিয়া কে বাঁচাতে চন্দ্র স্যার সঠিক উত্তরের অপশন বললেই একটা খোঁচা দেয়।৩য় বার খোঁচা দেয়ার সময় স্যার দেখে ফেলে চন্দ্রকে ক্লাস থেকে বের করে দেয়।
হাসিমুখে চন্দ্র বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ৩০ মিনিট।

চন্দ্র আস্তে বলে,মনে আছে আমার।

“চন্দ্র তোর মনে আছে একবার সায়েন্সের একটা মেয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় আমাকে ধাক্কা মেরেছিলো? তুই তাকে কি করেছিস!”

চন্দ্রর মনে পড়ে,টিফিন পিরিয়ডের সময় সবাই ক্যান্টিনে যাওয়ার জন্য সিড়ি দিয়ে নামছে,ক্যান্টিন নিচতলায় আর চন্দ্র দের ক্লাস ৫ তলায়,সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় সায়েন্সের রূম্পা মারিয়া কে ধাক্কা মারে,মারিয়া দেয়ালে গিয়ে মাথায় আঘাত পায়,চন্দ্র খেয়াল করে সেটা।ক্যান্টিনে যখন সবাই বসে গল্প করছে আর খাচ্ছে,চন্দ্র উঠে গিয়ে রূম্পা কে হাত ধরে টেনে মাঝখানে নিয়ে আসে ক্যান্টিনের।
তার কষে ২টা থাপ্পড় বসায় রূম্পার গালে,পুরো ক্যান্টিনের সবাই হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।
রূম্পার চোয়াল ধরে চন্দ্র বলে,”কখনো যদি দেখেছি আবার মারিয়া কে একটা টোকা দিয়েছিস আমার চাইতে খারাপ কেউ হবে না।”

রূম্পা আর মারিয়ার শত্রুতা গানের প্রতিযোগিতা নিয়ে,মারিয়া প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলো রূম্পার সহ্য হয় নি সেটা।

মারিয়া কে কেউ একটা কথা বললে চন্দ্র তাকে একশো কথা শুনিয়ে দিতো।সবই মনে আছে চন্দ্রর।

মারিয়া বিছানায় বসা থেকে ফ্লোরে নেমে বসে,তারপর চন্দ্রর ২পা জড়িয়ে ধরে বলে,”চন্দ্র সবসময়ই তো তুই রক্ষাকবচের মতো আমাকে আগলে রেখেছিলি,আজ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃসময়।আমার স্বামীকে ও পাচ্ছি না আমি,ভালোবাসার মানুষ কে ও পাচ্ছি না,আমি এই ২দিনে এটুকু বুঝতে পেরেছি নিষাদ তোর উপর দুর্বল,ও বিয়ে করে নি আমি জানি,করলে আমাকে নিশ্চয় ওর বৌয়ের ছবি দেখাতো,তুই ওর থেকে দূরে সরে যা চন্দ্র,তুই না থাকলে নিষাদ আমার কাছে ফিরতে বাধ্য হবে।আমি তোর পায়ে ধরি,নিষাদ কে কেড়ে নিস না,আমি মরে যাবো নিষাদ কে ছাড়া।”

মারিয়ার কথা শুনে চন্দ্র স্তব্ধ হয়ে যায়, এসব কি বলছে মারিয়া।নিজের প্রাণ তুলে দিবে সে মারিয়ার হাতে!
এতো বড় ত্যাগ চন্দ্র কিভাবে করবে!
চন্দ্র কে হতভম্ব দেখে মারিয়া কান্না শুরু করে আরো,”নিষাদ যদি আমার না হয় চন্দ্র,আমি আত্মহত্যা করবো,এই জীবনের আর কোনো মূল্য নেই আমার কাছে,সুখ জিনিস টাই পেলাম না জীবনে,বেঁচে থাকবো কিসের আশায়?”

মারিয়ার এসব কথা চন্দ্রর সহ্য হয় না।মারিয়ার গালে একটা থাপ্পড় বাসায় মরে যাওয়ার কথা শুনে।কিছু না বলে শুয়ে পড়ে তারপর।
প্রাণের বান্ধবীর হাতে নিজের স্বামীকে দিয়ে যাবে,এতোটাও মহান কি চন্দ্র হতে পারবে?

দরজায় নক হয় আবার,মারিয়া উঠে দরজা খোলে,দেখে রাত্রি দাঁড়িয়ে আছে। চন্দ্রর রুমে ঢুকে বিছানায় পা ভাঁজ করে বসে রাত্রি,তারপর চন্দ্রকে ঠেলে উঠায় বিছানা থেকে।
চন্দ্র উঠে বসে,রাত্রি বলা শুরু করে,”শুন চন্দ্র,কাল আমরা সবাই মিলে ঘুরতে যাবো,আর কালকেই আমরা মারিয়া আর নিষাদের মধ্যকার সকল ভুল বুঝাবুঝি মিটিয়ে দিবো,এরকম একটা জুটির বিচ্ছেদ আমার ভালো লাগছে না,তুই কি বলিস?
মারিয়া আর নিষাদকে না মিলিয়ে দেওয়া পর্যন্ত আমার শান্তি হবে না।মারিয়াকে আমি জা বানাবোই”

চন্দ্র মুচকি হাসে,যেখানে নিজের বোনই চায় মারিয়া নিষাদের হোক সেখানে তার আর কি করার আছে!

সুরমা এসে সবাইকে খেতে ডাকে,চন্দ্র শরীর খারাপ বলে শুয়ে থাকে।
খাবার টেবিলে বসে নিষাদ অপেক্ষা করছে চন্দ্রর,কখন আসবে চন্দ্র খেতে।
একে একে সবাই আসে চন্দ্র ছাড়া,কাতর চোখে নিশানের দিকে তাকায় নিষাদ।নিশান বুঝতে পারে নিষাদের মনের কথা।

রাত্রি কে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞেস করে,”চন্দ্র এলো না খেতে?”

“না, ওর শরীর খারাপ তাই আসবে না,খাবে না।”

নিষাদের মন ভেঙে যায় শুনে,প্লেটে খাবার নিয়ে বসে বসে নাড়াচাড়া করে,খায় না।কিছুক্ষণ পর উঠে চলে যায়।

রাত ২টা বাজে নিষাদ চন্দ্রর ফোনে একটা মেসেজ দেয়,”একটু ছাদে আসবা?
আমি অপেক্ষা করছি তোমার জন্য,প্লিজ না করো না।”

মেসেজের শব্দে চন্দ্র জেগে যায়।তারপর নিরবে দুফোঁটা অশ্রু বিসর্জন দিয়ে চুপ হয়ে শুয়ে পড়ে।বুকের ভিতর কেমন জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে,মন মানছে না,কিন্তু মনকে প্রশ্রয় দিতে চায় না চন্দ্র,নিজেকে কেমন যেনো দেয়াল বলে মনে হয়।যে কি-না মারিয়া আর নিষাদকে আলাদা করে দিয়েছে।
মারিয়ার দিকে তাকায় চন্দ্র,মারিয়ার গাল লাল হয়ে আছে এখনো,মারিয়ার গালে আলতো করে হাত রাখে চন্দ্র,ব্যথায় কঁকিয়ে উঠে মারিয়া।
চন্দ্রর নিজেকে খুব স্বার্থপর মনে হয়, সে সরে গেলেই তো মারিয়ার রাস্তা পরিস্কার হয়ে যায়।কেনো সে নিষাদ কে কেড়ে নিচ্ছে মারিয়ার থেকে?
মারিয়া যদি সত্যি আত্মহত্যা করে তবে?চন্দ্র কিভাবে নিষাদের সাথে জীবন কাটাবে?
নিজেকে খুনি মনে হবে তখন।না এটা পারবে না চন্দ্র,তারচেয়ে নিজেই চলে যাবে।

নিজের অশান্ত মন কে শান্ত করে নেয় চন্দ্র,মনে মনে ঠিক করে ফেলে কালই হোস্টেলে চলে যাবে।

ভোররাতের দিকে নিষাদ রুমে যায়,চন্দ্র আসে নি ছাদে,এতো রাগ,এতো অভিমান!
একবার তো সুযোগ দিতে৷ পারতো নিষাদকে এক্সপ্লেইন করার।
রাগ হয় খুব নিষাদের।ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে যায়।

নিষাদের ঘুম ভাঙে অনেক দেরিতে,১১টার দিকে।হাতমুখ ধুঁয়ে ড্রয়িং রুমে গিয়ে বসে ।নিশান আমির বসে কথা বলছে।নিষাদ কে দেখেই নিশান নিষাদকে শুনিয়ে শুনিয়ে চন্দ্রর কথা তোলে,আমির কে জিজ্ঞেস করে,”চন্দ্র এতো তাড়াহুড়ো করে চলে গেলো কেনো?হোস্টেলে যাওয়ার জন্য এতো কিসের তাড়া ছিলো?”
নিষাদ চমকে উঠে শুনে,চন্দ্র বাসা থেকেই চলে গেছে!

এতো অভিমান!
কেনো এতো অভিমান করলো চন্দ্র?
নিষাদের ভুল কি ছিলো?
বুঝতে পারে না নিষাদ,উঠে গিয়ে সোজা রুমে ঢুকে,এই বাসায় আর একমুহূর্ত ও থাকবে না।

কাউকে কিছু না বলেই ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে যায়।

হোস্টেলের রুমে শুয়ে চন্দ্র কান্না করছে,নিষাদ আপ্রাণ চেষ্টা করে চোখের পানি আটাকচ্ছে আর ড্রাইভ করছে।২জন ২জায়গায় পুড়ছে বেদনায় অথচ কেউ কারো টা জানে না।
ভালোবাসা কি অদ্ভুত!
এই হাসায় তো এই কাঁদায়।

চলবে….???