না_চাইলেও_তুমি_আমার পর্ব-২৬

0
3650

#না_চাইলেও_তুমি_আমার
পর্বঃ ২৬
জাহান আরা

১০ মিনিটের মাথায় হাসনাত সাহেব আর নিশান এসে হাজির নিষাদের ফ্ল্যাটে,নিষাদ কেমন ঠোঁট কামড়ে বুক চেপে ধরে শুয়ে আছে।
হাসনাত সাহেবের বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে উঠে দেখে,তার ছেলেগুলো কে সৃষ্টিকর্তা এতো ভালোবাসার ক্ষমতা দিয়ে পাঠিয়েছেন কেনো?

নিশান দৌড়ে গিয়ে নিষাদ কে জড়িয়ে ধরে ভাই ভাই বলে চিৎকার শুরু করে।নিশানের কথা কেমন কান্নার মতো শোনায়।নিষাদ জড়িয়ে ধরে নিশান কে।
তারপর বলে,”ভাইয়া আমার চন্দ্রকে নিয়ে গেছে ওরা,আমার চন্দ্রকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না ভাইয়া।”

নিশান শক্ত গলায় বললো,”তুই যেতে দিলি কেনো চন্দ্র কে?
চন্দ্রর ১৮ বছর হয়ে গেছে,ওর অধিকার আছে এখন নিজের পছন্দে বিয়ে করা,কেনো আটকালি না তুই?”

নিষাদ কথা শুরু করার আগেই ময়ুখ,পলাশ,লিমন,শুভ এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে নিষাদের রুমে।সবার আগে ময়ুখ প্রবেশ করে কোনো কারণ ছাড়াই উষ্ঠা খেয়ে ফ্লোরে উপুড় হয়ে পড়ে।ময়ুখের উপর পলাশ পড়ে,পলাশের উপর লিমন আর সবার উপর শুভ।
নিশান বের হওয়ার আগে সবাইকে কল দিয়ে জানিয়েছে।
প্রিয় বন্ধুর এই বিপদে সবাই ছুটে এসেছে।
কষ্টের মধ্যেও নিষাদের মুখে হাসি ফুটে উঠে বন্ধুদের এসবে।

“আমি চাইলে আমির ভাইকে আটকাতে পারতাম,আটকাই নি ২টা কারণে।
প্রথমত,গতরাতে আমি নিজের চোখে দেখেছি আমির ভাইয়ের ভালোবাসা তার বোনদের জন্য,আমির ভাই ভাবীকে আর চন্দ্রকে অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছে সেসব তো ভাবী-ই বলেছে।আমি জোর করে রাখতে পারতাম ভাইয়া,আমির ভাইয়ের সাধ্য ছিলো না আমার থেকে চন্দ্র কে কেড়ে নেয়ার,কিন্তু তাতে চন্দ্র আরো অনেক কষ্ট পেতো,ওর তো মা নেই,বাবা ভাইয়ের সাথেও ওর সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যেতো আমার জন্য।
যদি জীবনের কোনো একসময় এসে চন্দ্র আমাকে অভিযোগ করতো যে আমি তাকে ওর পরিবার থেকে আলাদা করেছি,আমাকে যদি চন্দ্র অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাতো?
সবার সব অভিযোগ আমি মেনে নিতে পারবো চন্দ্রর এই অভিযোগ মানতে পারবো না।প্রচন্ড ভালোবাসা দিয়ে আমি ওর সব কষ্ট মুছে দিতে পারবো কিন্তু ভুলক্রমে যদি আমার কোনো কথায় বা কাজে চন্দ্র কষ্ট পায় আর ভাবে সেদিন ভাইয়ের সাথে চলে গেলে ভালো করতো,তখন আমি কিভাবে মেনে নিতাম?
আমার একজনের জন্য ভাবীর সাথে ও তার পরিবারের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যেতো,এতো মানুষ কে আমি কিভাবে কষ্ট দিতাম ভাইয়া?
বাবা যখন আমাকে কল দিয়ে জানিয়েছে আমির ভাই এসেছে আমি তখনই ঠিক করেছি আমি চন্দ্রকে আটকাবো না,আমি নিজেই নিজের ভালোবাসা নিয়ে বাজি ধরেছি ভাইয়া,আমি চাই চন্দ্র নিজে ছুটে আসুক আমার কাছে,যাতে কখনো ওর মনে আমার প্রতি অভিযোগ জন্মাতে না পারে,চন্দ্র শুধু আমাকে ভালোবেসে এক বার বলুক চলে আসবে আমার কাছে সব ছেড়ে,আমি দুনিয়াকে দেখিয়ে দিবো আমার চন্দ্রকে আমি কতো ভালোবাসি।

আমি আমার দিক থেকে চেষ্টা করে যাবো আমার সবটুকু দিয়ে,চন্দ্র বিন্দুমাত্র চেষ্টা করুক ভাইয়া,সেটুকুই হবে আমার জীবনের অনেক বড় সাফল্য যে চন্দ্র আমাকে চায়।”

“গাঁধা,তুই একটা মহাগাঁধা,আমির চাইলো আর তুই দিয়ে দিলি কেনো?
তুই জানিস না ভালোবাসা এবং যুদ্ধে সবই ঠিক? ” হাসনাত সাহেবের কথাতে রাগের স্পষ্ট প্রকাশ পায়।

“২য় কারন কি শুনি?”

নিষাদ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে।

“আমির ভাই আজ এখানে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে চন্দ্রকে নিয়ে যাওয়ার।ওনার শার্টের হাতার ভাঁজে একটা চাকু ছিলো,উনি রক্তারক্তি করার প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন।আমি দরজা খুলতেই রুমের লাইটের আলোয় চাকুর বের হয়ে থাকা ফলাটুকু জ্বলজ্বল করে উঠে,আমির ভাই সন্তর্পণে সেটা ভিতরের দিকে ঢুকিয়ে দেয় যা আমার চোখ এড়ায় নি।
আমি বাঁধা দিলে উনি চন্দ্রকে আঘাত করে দিতে একটু ও ভাবতো না।উনি চন্দ্রকে একটা চড় দিয়েছে,তখনই আমি কসম করে নিয়েছি ওনার বাম হাত আমি ভেঙে দিবো চন্দ্রকে শুধু পেয়ে যাই আবার,আমি কোনো সিনক্রিয়েট করতে চাই নি তাই।আমার চন্দ্র আগে নিরাপদ থাকুক।”

সবাই অবাক হয়ে যায় নিষাদের কথা শুনে আমির এতোটা বাড়াবাড়ি করবে তা কেউ বুঝতে পারে নি।

গাড়িতে বসে চন্দ্র একটানা কেঁদেই যাচ্ছে।আমির নিষাদ কে সমানে গালাগালি দিয়ে যাচ্ছে।
চন্দ্র আর নিতে পারে না আমিরের এসব কথা।চিৎকার করে বলে,”তুমি আর একটা গালি দিয়ে দেখো ওকে খুব খারাপ হবে,নিষাদ তোমাকে বাঁধা দেয় নি বলে ভেবো না ও আমাকে এমনিতেই ছেড়ে দিবে।”

“নিষাদ চাইলেও তোকে বাঁধা দিতে পারতো না,আমি সব প্রস্তুতি নিয়েই গেছি সেখানে।”
এই বলে আমির চাকু বের করে আনে।
চন্দ্রর চোখ বড়সড় হয়ে যায় দেখে।তোতলাতে তোতলাতে বলে,”তু..তুমি চা..চা…”
চন্দ্রর কথা শেষ করার আগেই আমির বলে,”হ্যাঁ আমি চাকু নিয়ে গেছি,নিষাদ একবার বাঁধা দিলে ওখানে তোর মুন্ডু কেটে দিতাম আমি।”

চন্দ্র ভীত চোখে তাকায় আমিরের দিকে।তারপর দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে,”সেটাই ভালো করতে ভাইয়া,তা যখন করো নি এখানেই গাড়ি এক পাশে পার্ক করে আমাকে কেটে ফেলো,নিষাদের থেকে আলাদা থাকার চাইতে আমার জন্য মরে যাওয়া অনেক বেশী সুখের।”

“তুই বেঁচে থাকবি না-কি মরে যাবি সেই সিদ্ধান্ত আমি নিবো,বাবা নিবে।আর একটা কথাও বলবি না।”

চন্দ্র চুপ হয়ে যায়।নিষাদ কে চন্দ্র কী ভীষণ ভালোবাসে তা চন্দ্র এখন বুঝতে পারছে।কেনো এভাবে সেদিন মারিয়ার কথাতে নিষাদ কে ছেড়ে গেলো চন্দ্র আফসোস করে।

বাসায় পৌঁছাতে মাইনুল সাহেব চন্দ্রর গালে এক চড় বসায়।অদূরে দাঁড়িয়ে সুরমা চমকে উঠে চড়ের শব্দে,চন্দ্র কি এরকম অপরাধ করেছে যে এভাবে চড় মারলো!

আমির চন্দ্র কে ওর রুমে ঢুকিয়ে দরজা বাহির থেকে আটকে দিলো।

সুরমা কে চা বানাতে পাঠিয়ে দিয়ে বাপ ছেলে একসাথে বসে,সুরমা ওপাশ থেকে আড়ি পাতে।

“যতো তাড়াতাড়ি পারিস পাত্র দেখ,ওর বিয়ের ব্যবস্থা কর,তার আগে ওর ডিভোর্সের ব্যবস্থা করে ফেল।কালকের মধ্যেই ওর ডিভোর্স করিয়ে নে।”

“আমি আমার এক উকিল বন্ধুকে যাওয়ার পথেই কল দিয়ে বলেছি বাবা,ও কাল সকালেই সমস্ত পেপার নিয়ে আসবে,চন্দ্র শুধু সিগনেচার করে দিলেই হবে।”

“কি মনে হয় তোর,তোর বোন সিগনেচার করে নিবে?”

“না বাবা।”

“আমি কিছু জানতে চাই না আমির,এটা আমার নিজের কাছে নিজের একধরণের চ্যালেঞ্জ,আমি আমার ছেলেমেয়েদের সেখানেই বিয়ে দিবো যেখানে আমার পছন্দ,ওদের পছন্দে না।মারিয়া কে কল দিয়ে জিজ্ঞেস কর তো ওদের বিয়ে কবে হয়েছে।”

“মারিয়া আমাকে বলেছে বাবা,রাত্রির বিয়ের আগেই হয়েছে।”

ক্রোধে ফেটে পড়ে মাইনুল সাহেব।ওপাশে চমকে যায় সুরমা সব শুনে।চন্দ্র চুপিচুপি বিয়ে করে ফেলেছে!
ভয়ে সুরমার শরীর কেঁপে উঠে।নিজের স্বামী আর শ্বশুর কে জানে সুরমা,ওরা যে কি পর্যন্ত যাবে এটার জন্য সুরমা ভাবতেই শিউরে উঠে।

“বাবা,চন্দ্র কে ডেকে এনে তুমি ঠান্ডা মাথায় বুঝাও,ও যদি ডিভোর্সের জন্য রাজি না হয় তবে অনেক বড় সমস্যা হয়ে যাবে।”

আমির রুমের দরজা খুলে দেয় চন্দ্রর,তারপর ভিতরে প্রবেশ করে দেখে চন্দ্র ফ্লোরে বসে আছে পাথর হয়ে।

মাইনুল সাহেব নিজেই চন্দ্রর রুমে এলো,তারপর চন্দ্রর সামনে লেপটে বসে ফ্লোরে।চন্দ্রর দুইহাত তুলে নেয় নিজের হাতে,শান্ত গলায় বলে,”চন্দ্র,মা আমার,আমি জানি নিষাদ তোকে জোর করে বিয়ে করেছে,এসব আর এমন কি,ওখানে তো তোর কোনো ইচ্ছে ছিলো না,আমরা কাল তোর ডিভোর্সের ব্যবস্থা করেছি,তুই কোনো আপত্তি করিস না।”

বাবার কথা শুনে চন্দ্র মাথা তুলে তাকায় বাবার দিকে,তারপর হেসে উঠে,হাসতে হাসতে তারপর কান্না শুরু করে।
কাঁদতে কাঁদতে বলে,”মায়ের ভালোবাসা ও তুমি এভাবে ছিনিয়ে নিয়েছিলে তাই না বাবা?”

চমকে উঠে মাইনুল সাহেব মেয়ের কথা শুনে।

“আমি জানি বাবা,পৃথিবীর সবচেয়ে নিষ্ঠুরতম লোক তুমি,যে কি-না ভালোবাসার মূল্য দিতে জানো না,আলাদা করে দাও।মা’কে তুমি রুখতে পেরেছিলে বাবা,আমাকে পারবে না।আমি নিষাদ কে কিছুতেই ছেড়ে যাবো না বাবা,আমি এখন সাবালিকা বাবা,আমি তোমার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারি এই অভিযোগ এনে যে তুমি আমাকে আমার স্বামীর থেকে জোর করে আলাদা করে দিয়েছো।”

মাইনুল সাহেবের মাথায় কিছু ঢুকছে না যেনো,চন্দ্র কিভাবে শামসুর কথা জানলো তাই ঘুরপাক খাচ্ছে মাথায়,রাশেদার সব পুরনো ডায়েরি তো তিনি রাশেদার মৃত্যুর পর পুড়িয়ে ফেলেছেন।

চন্দ্র কে সেই কথা জিজ্ঞেস করতেই চন্দ্র হেসে জবাব দেয়,”তার সাথে আমার দেখা হয়েছে বাবা,সে নিজেই আমাকে বলেছে সব।”

এই একটা কথা মাইনুল সাহেব কে কাঁপিয়ে তোলে,চকিতে তিনি রুম থেকে বের হয়ে যান।দরজা বাহির থেকে বন্ধ করে আমির কে বলে,”যেভাবেই হোক চন্দ্রর কাল ই বিয়ের ব্যবস্থা করবি,ডিভোর্স ছাড়াই ওর বিয়ে হবে।”

“কি বলেছে চন্দ্র?”

“যা বলার বলেছে আমাকে তোকে যা বলেছি তা কর।”

মাইনুল সাহেবের শরীর কাঁপছে,ঠোঁট কাঁপছে।আমির কথা বাড়ায় না আর।রুমে চলে যায়।
চন্দ্রর রুম থেকে চন্দ্রর একটানা চিৎকার ভেসে আসে।

সুরমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে চন্দ্রর জন্য,আমির ঘুমিয়ে পড়েছে।
চন্দ্রর কান্না যেনো শুনতেই পাচ্ছে না কেউ,সুরমা সহ্য করতে পারছে না আর।নিজের অতীতের কথা মনে পড়ে।

সে ও তো কাউকে এভাবে ভালোবেসেছে,সাহসের অভাবে পারে নি চলে যেতে,চন্দ্র তো ভীষণ সাহসী মেয়ে।
সে কেনো এতো সাহসী হতে পারলো না তখন!

পা টিপে টিপে বিছানা ছাড়ে সুরমা,তারপর নিজের ফোন হাতে নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়।খুব সাবধানে চন্দ্রর রুমের দরজা খুলে দেয় সুরমা,তারপর ভিতরে ঢুকে চন্দ্রর মুখ চেপে ধরে।
আমির আর মাইনুল সাহেবের বলা সব কথা চন্দ্রকে বলে সুরমা।
তারপর নিজের ফোন চন্দ্রকে দিয়ে বলে তাড়াতাড়ি নিষাদ ‘কে কল দিয়ে সব বলতে।

চন্দ্র সুরমাকে জড়িয়ে ধরে। তারপর ফোন করে নিষাদ কে। ফোন বেজে উঠতেই নিষাদ গিয়ে হামলে পড়ে ফোনের উপর,তারপর রিসিভ করে।

চন্দ্রর ফোপাঁনোর শব্দে নিষাদ বুঝে যায় চন্দ্র কল দিয়েছে।

“চন্দ্র,চন্দ্র,চন্দ্র কথা বলো চন্দ্র।”

কান্নার জন্য চন্দ্র কথা বলতে পারে না,সুরমা চন্দ্রর থেকে ফোন ছিনিয়ে নেয়,তারপর সব কথা খুলে বলে নিষাদ কে।সুরমার কথা শেষ হয়ে গেলে চন্দ্র ফোন নেয় সুরমার থেকে,তারপর বলে,”আমি আপনাকে ছাড়া থাকতে পারবো না,আপনি আমাকে এসে নিয়ে যান।আমি কিছু চাই না আপনাকে ছাড়া,আমি আপনাকে ভালোবাসি।”

আমিরের ঘুম ভেঙে যায় হঠাৎ করেই,চোখ মেলে দেখে সুরমা বিছানায় নেই।কাউকে বিশ্বাস করে না আমির,নিজের স্ত্রী কে ও না,লাফিয়ে উঠে বের হয়ে যায়।চন্দ্রর রুম থেকে কথা বলার শব্দ ভেসে আসছে।দরজা বাহির থেকে খোলা দেখে আমির বুঝে যায় সুরমা ভিতরে।
ভিতর থেকে দরজা লাগানো,নক করে আমির দরজায়।

তাড়াতাড়ি ফোন কেটে দেয় চন্দ্র,সুরমা ফোন নিয়ে ওড়নার নিচে হাত লুকিয়ে দরজা খুলে দেয়।

ভিতরে ঢুকেই আমির জিজ্ঞেস করে,”তুই এখানে কেনো?”

“চন্দ্র পা…পানি খেতে চেয়েছিলো তাই…”

রুমের চারদিকে তাকায় আমির,তারপর সুরমার গলা টিপে ধরে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে বলে,”আমিরকে মিথ্যা বলেছিস তুই,পানি নিয়ে এসেছিস তুই?
পানির গ্লাস নেই,জগ নেই,কিভাবে আনলি পানি?”

আমিরের হাত ছাড়াতে যেতেই সুরমার হাত থেকে মোবাইল পড়ে যায় ফ্লোরে।সুরমা কে ছেড়ে দিয়ে আমির মোবাইল তুলে নেয়,কল লিস্ট চেক করতেই দেখে এইমাত্র একটা নাম্বারে কল দেওয়া হয়েছে।

আমির আবার কল দেয় সেই নাম্বারে।

ফোন বেজে উঠতেই নিষাদ রিসিভ করে জিজ্ঞেস করে,”চন্দ্র,চন্দ্র কথা বলো….”

আমির ফোন কেটে দেয়,সুরমার চুল ধরে টেনে নিয়ে যায় নিজেদের রুমে,তারপর নিজেদের রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়।বেল্ট নিয়ে সুরমাকে বেদড়ক পেটাতে থাকে আমির,গলা কাটা মুরগির মতো তড়পাতে থাকে সুরমা ফ্লোরে।
চন্দ্রর রুমের দরজা বন্ধ করতে ভুলে যায় আমির,চন্দ্র দৌড়ে যায় আমিরের রুমের সামনে,চিৎকার করে ডাকে আমির কে।সুরমার আর্তচিৎকার চন্দ্রকে পাগল করে দিচ্ছে।

সুরমা আর্তনাদ থামিয়ে বলে,”চন্দ্র এই সুযোগ,তুই পালিয়ে যা চন্দ্র,এরা মানুষ না,তোর ভালোবাসা কে এরা মেনে নিবে না,পালিয়ে যা চন্দ্র।”

চন্দ্র ছুটে যায় সদর দরজার দিকে।

চলবে…???