নীরবে তুমি রবে পর্ব-১৪

0
272

#নীরবে_তুমি_রবে
লেখনীতেঃ রিধিমা জান্নাত রূপা
পর্বঃ ১৪

.
তাসফির কথাটা কর্ণপাত হতেই কাচুমাচু মুখ করে ফেললো জাহিদ, এদিকে সবাই বেশ শব্দ করেই হেঁসে উঠলো। আর রূপা পড়ে গেল অস্বস্তি ও লজ্জায়। একে তো জাহিদের এভাবে বলা কথাটা। জাহিদ যে তাকেই উদ্দেশ্য করে বলেছে সেটা তাসফির বলা ‘এখন সে তোর ভাবি’ কথাটায় বুঝতে পেরেছে। তার উপর তাসফির তাকে এভাবে জড়িয়ে নিয়ে কাছে টানা। সব মিলিয়ে বেশ লজ্জায় পড়তে হলো তার।
একটু ইশারা করলো তাসফি, বলতে চাইলো —ছেড়ে দিন। তাসফি তার কথা বুঝলো কি না কে জানে? তবে ছাড়লো না রূপাকে, আড়চোখে তাকিয়ে চেপে ধরলো মেয়েটার জড়িয়ে রাখা হাতের বাহু। কিঞ্চিৎ কেঁপে উঠলো রূপা, মাথা বাকিয়ে তাকালো তাসফির দিকে। সামান্য এগিয়ে ধীর কণ্ঠে বলে উঠলো,
“কি করছেন? সবাই দেখছে তো, ছাড়েন। কি ভাববে ওনারা।”

“ওদের ভাবাভাবি দিয়ে তো আমার কাজ নেই, আমি আমার বউকেই ধরেছি। বলা তো যায় না, কেউ আবার কিউট টিউট বলে ভুজুংভাজুং বুঝিয়ে তোমাকে ফাঁসিয়ে নিলো আমার বউ’টাকে।”

জোরেই কথাটা বললো তাসফি, আর শেষ কথাটা জাহিদ’কেই উদ্দেশ্য করে বললো। সবাই আবারও একসাথে হেঁসে উঠলো, শুধু মাথা নিচু করে রাখলো রূপা। তাসফির নির্দ্ধিধায় বলা ‘আমার বউ’ কথাটার পর হাতের বাঁধন দৃঢ় করায় বেশ অস্বাভাবিক কম্পন সৃষ্টি হলো তার। অচিরেই তার একহাত চলে গেল তাসফির হাঁটুর উপর ভাঁজ করে রাখা হাতে। খামচে ধরলো রূপা, আর সেই হাতের বাঁধনটা দৃঢ় করলো তাসফি। মুচকি হেঁসে আড়চোখে রূপার পানে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলো। মেয়েটা যেন ধারণায় করতে পারে নি তাসফির করা এই ব্যবহার গুলো। সকাল থেকেই যেন বেশ পরিবর্তন লক্ষ্য করছে তার মাঝে।
সামান্য পর যখন তাসফির হাতে হাত রাখার বিষয়টা রূপার খেয়াল হলো, তখন সরিয়ে নিতে চাইলো। কিন্তু তাসফির হাতের বাঁধন ছুটাতে পারলো না। পরমুহূর্তে আর চেষ্টা করলো না। তাসফির হাতে হাত রেখে তার তো খারাপ লাগছে না, বরং অদ্ভুত এক ভালোলাগা কাজ করছে, প্রশান্তির ছায়া মিলছে। এই হাতে হাত রেখে নির্দ্বিধায় জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাটিয়ে দিতে পারবে।

বন্ধুদের আড্ডা চললো অধিক সময়ের জন্য, একসময় ভার্সিটির ক্যান্টিন ছেড়ে একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসলো সবাই মিলে। তাসফি বাসায় জানিয়ে দিলো, ফিরতে লেট হবে তাদের। এতক্ষণের মাঝে রূপার হাত ছাড়লো না তাসফি। মাঝে দু’একবার ছেড়ে দিলেও আবারও ধরেছিলো। এর সবটাই শুধু চুপচাপ দেখে গেছে রূপা। তাসফির এই সারাক্ষণ রূপার হাত ধরে থাকার জন্য বেশ হাসি ঠাট্টাও হলো বন্ধু মহলে। এর মাঝে কিয়ানা ও পায়েলের সাথে বেশ সখ্যতা গড়ে উঠেছে। কলেজে থাকাকালীন তাসফির বিষয়ে নানান কথা বলে যাচ্ছে রূপাকে, সেটা নিয়েই বারংবার খিলখিল করে হেঁসে উঠছে। কিয়ানা ও পায়েল কে বারবার বারণ করে চলছে তাসফি, তবুও যেন কানে নিচ্ছে না। হঠাৎ রূপার প্রাণবন্ত সেই হাসির দিকে নজর পড়তেই থেমে যায় তাসফি, মনে পড়ে তাদের মেহেদীর সকালে রূপার সেই হাসিটা। সেদিন মেয়েটার একটু সাজসজ্জায় ভিন্ন রুপ ধারণ করেছিলো, কিন্তু আজকে যেন ন্যাচারাল এই হাসিতে জীবন্ত বলে মনে হচ্ছে। ইস্! এই মেয়েটা তাকে এতো টানছে কেন? নীরবে অতি গোপনে যেন তার মনে জায়গা করে নিচ্ছে এই মেয়েটা। ভেবেই হাসলো তাসফি, রূপার দিকে দৃষ্টি ফেরাতেই হাসিটা প্রসস্থ হলো।

দুপুরের খাওয়া শেষে বিকেলের মধ্যাংশ পর্যন্ত তাদের আড্ডা চললো। এরপর বিদায় জানিয়ে উঠে দাঁড়ালো সবাই। আবারও খুব তারাতাড়ি দেখা করবে বলে জানালো। কিয়ানা, পায়েল রূপাকে জড়িয়ে কিছুটা আদর করে বিদায় নিলো। সবাই যেতেই তাসফি রূপাকে নিয়ে বাইকের কাছে গেল, নিজে উঠে তাকেও উঠতে বললো। তবে সহসায় উঠলো না রূপা, থম মে’রে দাঁড়িয়ে রইলো যেন। মেয়েটার দিকে একবার তাকিয়ে আবারও উঠতে বললো। তবে এবারও উঠলো না রূপা, বরং তাসফিকে উদ্দেশ্য করে,
“আর একটু থাকলে কি হতো? বাসায়, যাবার এতটা তাড়া কেন আপনার?”

রূপার কথায় আবাক হলো তাসফি, আশ্চর্যের ন্যায় তাকিয়ে রইলো, তারপর কিছু একটা ভেবে মুচকি হাসলো। বললো,
“এই যে আমার বউকে জাহিদ তার মিষ্টি মিষ্টি কথায় পটিয়ে ফেলতো। ফেলতো কি, আমার তো পটিয়ে ফেলেছে। আমার বউটাও তার কথা ভাবতে শুরু করেছে, তাই না?”

“ইস্! মোটেও না। আপনি থাকতে অন্য কারোর কথা ভাবতে যাবো কেন?”

এবার তাসফির ঠোঁটের হাসিটা যেন প্রসস্থ হলো। হাসিটা বজায় রেখেই রূপাকে,
“তাহলে? আমি যদি কখনো না থাকি, তখন ভাববে?”

তাসফির কথায় খানিকটা থতমত খেয়ে গেল রূপা, মুহুর্তেই বুঝতে পারলো কি বলে ফেলেছে সে। নিজের বলা কথাটা ভাবতেই কিঞ্চিৎ লজ্জা পেল, তবে তাসফির কথাটা যেন মেনে নিতে পারলো না। কেন জানি রাগ হলো, তবে প্রকাশ করতে চাইলো না। কথা না বাড়িয়ে বাইকে উঠে বসলো। কিছুটা মুখ ভার করে তাসফি’কে যেতে বলে নিজ মনেই বিরবির করে বলে উঠলো,

“আপনাকে আমার পাশে চাই তাসফি ভাইয়া, এই আজকের মতোই সবসময়ের জন্য পাশে চাই। আপনি হারিয়ে যাবার আগেই যেন নীরবে এই আমি’টাই হারিয়ে যাই।”

.
বিছানায় দু’টো শাড়ি নিয়ে বসে আছে রূপা। দু’টো শাড়ি’ই রেহেনা তাকে দিয়েছে। শাড়ি যে পড়তে পারে না এমনটা নয়, আবার দু’টো শাড়ি নিয়ে কোনটা পড়বে বলে কনফিউজড এমনটাও না। মূলত সে শাড়ি’ই পড়তে চায় না, কিন্তু নতুন বন্ধুদের জেদের কাছে টিকতেও পারছে না।
আজকে তাদের কলেজে নবীন বরণ। মাঝে কেটে গেছে একদিন। মেয়েরা সবাই প্ল্যান করেছে শাড়ি পড়ে যাবে, তাতে ঘোর আপত্তি জানিয়েছে। তবে সবার এত এত করে বলায় ফেলতেও পারছে না। রূপার ভাবনার মাঝেই রুমে ঢুকলো তাসফি। তাকে বসে থাকতে দেখে বলে উঠলো,

“এ্যাই মেয়ে, এখনো রেডি হও নি? কলেজে যাবা কখন? তোমাকে নিতেই তাড়াহুড়ায় আসলাম, অথচ এখনো বসে আছো।”

মাথা তুলে তাকালো রূপা। সামান্যক্ষণ চুপ থেকে বলে উঠলো,
“দেখেন না, ওরা সবাই শাড়ি পড়বে বলে আমাকেও বলছে। কিন্তু আমার মোটেও ইচ্ছে হচ্ছে না।”

“সবাই যখন এত করে বলছে, তখন পড়ো। সমস্যা কোথায়?”

“পড়বো? কিন্তু আমি তো…..”

“কোন? শাড়ি সামলাতে পারবে না?”

“অবশ্যই পারবো। আমাকে দেখে কি মনে হচ্ছে না শাড়ি সামলাতে পারবো?”

সামান্য হাসলো তাসফি। সহসায় কোন জবাব দিলো না। কয়েক সেকেন্ডের মতো সময় নিয়ে ঠোঁটের হাসিটা প্রসস্থ করে,
“তাহলে? ওদের কথা না হোক, হাসবেন্ডের মন ভালো রাখতেও তো শাড়ি পড়তে পারো।”

বলেই আর দাঁড়াতে না তাসফি, আর না তাকালো রূপার দিকে। দ্রুত পায়ে প্রস্থান করলো সেখান থেকে।

.
বিকেলের শেষ প্রহর। চোখে মুখে কিছুটা বিরক্তির ছাপ নিয়েই দাঁড়িয়ে আছে আছে রূপা। হাতের মোবাইলে একটু পর পর সময় দেখে চলেছে। অনুষ্ঠান প্রায় শেষের দিকে, এর মাঝেই অনেকে চলে গেছে, অনেকে যাচ্ছে। রূপাও আর থাকতে চায় নি, ফোন করে জানিয়েছে তাসফি কে।

মিনিট পাঁচের পর কলেজের গেইটে তাসফির আগমন ঘটলো। রূপাকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিতেই সে বেড়িয়ে আসলো। তাসফির সামনে দাঁড়িয়ে’ই বলে উঠলো,
“এত লেট হলো কেন? কতক্ষণ ওয়েট করছিলাম।”

“জ্যামে পড়ছিলাম, তাই লেট হয়ে গেল।”

তাসফির কথায় আর কিছু বললো না। শাড়ির আঁচল’টা হাতে গুঁজে নিয়ে বাইকে উঠতে গিয়েও থেমে গেল, আশেপাশে নজর বুলাতেই মুখ গোমড়া করে ফেললো। রূপাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেই তাসফি বলে উঠলো,
“কি হলো, দাঁড়িয়ে পড়লে যে? উঠো।”

উঠলো না রূপা, জবাবও দিলো না তাসফির কথার। বরং প্রতিত্তোরে বলে উঠলো,
“আপনি এত সেজেগুজে আসছেন কেন?”

হুট করে কথাটা কর্ণপাত হতেই বোকা বনে গেল তাসফি, কিছুটা আশ্চর্যের ন্যায় বলে উঠলো,
“কই?”

“এই যে। হিরোদের মতো চুলগুলো আঁচড়ে, বুকের মাঝামাঝি পর্যন্ত শার্টের দু’টো বোতাম খুলে সেখানে সানগ্লাস ঝুলিয়ে, বাইক নিয়ে হিরো লুকে আসছেন। অথচ বলছে সেজেগুজে আসেন নি?”

“ভার্সিটিতে কিছু কাজ ছিলো সেগুলো সেরে, আধা ঘণ্টা এই গরমে জ্যামে আঁটকে সরকারি এখানে আসলাম, আর তুমি বলছো সেজেগুজে এসেছি?”

“তো? নয়লে এত সুন্দর লাগছে কেন আপনাকে, আর সবাই এভাবে তাকিয়েই বা আছে কেন? আশ্চর্য!”

রূপার কথায় এবার চারদিকে নজর দিলো তাসফি। যেতে আসতে কিছু মেয়ে তাদের দিকে তাকাচ্ছে, সেটাই বলছে। রূপার কথা বুঝতেই হাসি পেল তাসফি, তবে সামলে নিলো নিজেকে। বলে উঠলো,
“আমাকে নয়, তোমাকে দেখছে। আর ভাবছে —এত কিউট একটা মেয়ের পাশে এই পাগলাটে টাইপ ছেলেটা কে?”

“ইস্! মোটেও না। জানেন, কতটা সুন্দর লাগছে আপনাকে….. ”

চুপ হয়ে গেল রূপা। কি বলছিলো এতক্ষণ সেটা ভেবেই ভীষণ লজ্জা পেল যেন। হাসলো তাসফি, রূপার লজ্জার মাত্রা বাড়িয়ে দিতেই যেন শব্দ করে করে হাসলো। কিছুটা সময় নিয়ে বলে উঠলো,
“আমি সুন্দর? কোন দিক থেকে আমাকে সুন্দর বলে মনে হলো?”

“উহুঁ! সুন্দর না।

“কিইই? সুন্দর না আমি।”

“সেটাই তো বলছি, সুন্দর না। ছেলেরা তো কখনো সুন্দর হয় না।”

হাসালো রূপা, তাসফিও মুচকি হাসলো রূপার কথায়। জিজ্ঞেস করলো,
“তাইলে? কেমন লাগে আমাকে?”

“সেটা না হয় আপনিই বুঝে নিন।”

বলেই বাইকে উঠে বসলো রূপা। আশেপাশে নজর বুলিয়ে এক হাত বাড়িয়ে তাসফি’র পেট ও বুকের মাঝ বরাবর শার্টের অংশ জড়িয়ে ধরলো, অপর হাতে নিজের ব্যাগ’টা সামলে পিঠের কাছটায় শার্ট খামচে ধরলো। তাসফি কে —ভালোভাবে ধরে বসো, বলার সুযোগ’টাও দিলো না। কিঞ্চিৎ অবাক হলেও তাসফি হাসলো শুধু, মুখ ফুটে কোন বাক্য ব্যায় করলো না।
এদিকে তাসফি কে জড়িয়ে ধরে আবারও আশেপাশে তাকালো রূপা। তাসফির দিকে তাকিয়ে থাকা মেয়েগুলো দিকে তাকিয়ে মুখ কুঁচকে ফেললো। তাদের বোঝাতে চাইলো —এই মানুষ’টা শুধু আমার।

ইতিমধ্যে বাইক চলতে শুরু করছে, চলে এসেছে কলেজের গেইট পেড়িয়ে কিছুটা দূরে। রূপা তাসফি কে হালকা করে ছেড়ে সরে আসতে চাইলেও পারলো না। যদি পড়ে টড়ে যায়, সেই ভয় লাগলো। উপায় না পেয়ে সেভাবেই থাকতে হলো। তবে খারাপ লাগলো না। আনমনেই বিড়বিড়িয়ে বলে উঠলো,
“আপনাকে শুধু আমার লাগে, একান্ত আমার তাসফি লাগে। যে শুধু নীরবে তার খুব কাছে টানে।”

.
রাস্তার মাঝেই চলন্ত বাইক হঠাৎ থামাতে বললো রূপা। পর পর দু’বার বলার পরও যখন বাইক থামলো না, তখন বেশ জোরেই বলে উঠলো রূপা। থতমত খেয়ে হঠাৎ বাইক’টা থামিয়ে দিলো তাসফি, জানতে চাইলে —কি হয়ছে?
কিছু না বলে পিছনে তাকিয়ে ফেলে আসা এক ফুসকার দোকানের দিকে ইশারা করলো। বুঝতে পারলো না তাসফি। আবারও জিজ্ঞেস করতেই এবার বলে উঠলো রূপা, আবদার করলো ফুসকা খাবে বলে। রূপার করা আবদার’টা ফেলতে পারলো না তাসফি, বাইক’টা রাস্তার পাশে পার্ক করে এগিয়ে গেল সেদিকে।

ফুসকার দোকান থেকে বেড়িয়ে আসতেই সামনে আইসক্রিমওয়ালা কে চোখে পড়ে। এবার আর আবদার করে না রূপা, তার আগেই বুঝে ফেলে তাসফি। দু’টো আইসক্রিম হাতে নিয়ে এবার তাসফি’ই আবদার করে ফেলে রূপার কাছে। ফাঁকা রাস্তায় একাকী রূপার হাত ধরে হাঁটতে চাওয়ার আবদার। না করে নি রূপা, মুখ ফুটে হ্যাঁ ও করে নি। তাসফির আবদারে চোখ মুখে এক আলাদা প্রশান্তির ছায়া ফুটে উঠে তার, হাতের বাঁধণ’টা দৃঢ় করে বুঝিয়ে দেয় রূপার মুখ ফুটে না বলা কথাটা।

সন্ধ্যা রাত্রির সেই মুহুর্ত’টা দু’জন হাতে হাত রেখে বেশ খানিকটা সময় হাঁটতে থাকে। দু’জনের কেউ’ই মুখ ফুটে কোন বাক্য ব্যায় করে না, মনে মনে বলে যায় নানান কথা।
মাথা উঁচিয়ে তাসফির পানে চায় রূপা। ভাবতে থাকে —ইস্! এই মানুষ’টা এতটা লম্বা কেন? উঁহু! উনি লম্বা নয়, বরং আমি’ই একটু বেশি’ই শর্ট। ভেবেই যেন সামান্য মন খারাপ হলো তার, কিছুটা রাগ এসে জমা হলো তাসফির প্রতি। তাদের বিয়ের দিনে সেই যে সামান্য পা পিছলে গেল, তারপর থেকে উঁচু জুতা পড়াই বন্ধ করে দিলো তার। উঁচু জুতা পড়লে অন্তত তাসফির বুকের কাছ থেকে গলা পর্যন্ত তো হতে পারতো? এভাবে তো তাকে পাশের এই মানুষ’টার সাথে মানাচ্ছে না।

কথাটা ভেবেই সেই সামান্য মন খারাপ’টা যেন বৃদ্ধি পেল, ভীষণ রকম মন খারাপে ধারণ করলো। সাথে সেই রাগের আভাস নিয়েই তাসফি’কে উদ্দেশ্য করে বিড়বিড়িয়ে বলে উঠলো,

“বজ্জাত লোক একটা!”

.
.
চলবে…..