#পবিত্র_বন্ধনে_আবদ্ধ
#পর্ব – ১৭
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
ফারহাজ ফিহার মুখ চেপে ধরে আছে। ফিহা ও ফারহাজ এর মধ্যে এক ইঞ্চি দূরত্বও নেই! ফিহা দেয়ালে একেবারে ঘেসে আছে। ফিহা মুখ দিয়ে উম উম করে যাচ্ছে। ফারহাজ রাগান্বিত কন্ঠে বলে উঠে-
তুমি এই বাড়িতে কি করছো? তাও আমার ঘরে। সাহস কি করে হয় বিনা পার্মিশনে আমার ঘরে ঢুকার হুহ?? আন্সার মি!
ফিহা শুধু উম উম করেই যাচ্ছে। ফারহাজ আবারও বলে উঠে–
শুধু শুধু উম উম করলেই চলবে? আন্সার দাও পুচকি!
ফিহা ইশারা করে বলছে-আরে বোকা লাটসাহেব।
মুখ এইভাবে চেপে ধরলে উত্তর দিবো কীভাবে?
ফারহাজ তা বুঝতে পেরে হাত সরিয়ে ফেলে।
ফিহা জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিয়ে ফারহাজ এর দিকে এগিয়ে গিয়ে বলে উঠে-
আপনার কি কোনো মানবতা নেই? ছোট একটা মানুষ এর মুখ এইভাবে চেপে ধরেছেন? জানেন আমার কত কস্ট হচ্ছিলো হুহ? আমি ইরিপু কে সব বলে দিবো!
ফারহাজ ভ্রু কুচকে বলে উঠে–
ওহ আচ্ছা! আমার মধ্যে মানবতা নেই কিন্তু তোমার মধ্যে তো সামান্য কমন্সেন্স টাও নেই!
বিনা পার্মিশনে আমার রুমে ঢুকে পড়েছিলে আবার চিল্লাছিলে। বাড়ির সবাই চলে আসলে কি হতো ভাবতে পারছো??
ফিহা মাথাটা নিচু করে বলে উঠে-
কি হতো??
ফারহাজ এখন এই মেয়েকে কি বলবে? এই মেয়ের মধ্যে ম্যাচুরিটি কবে আসবে।
ফিহা আবারও বলে উঠে–
আর তাছাড়া আমি এখানে ইরিপুর সাথে এসেছি।
কিন্তু নীচে ইরিপু কিংবা কাউকেই দেখলাম নাহ।
তাই উপরে চলে এসেছি আর উপরে এই ঘর থেকে শব্দ এলো তাই এসেছিলাম। কিন্তু এসে আপ্নাকে এই অবস্হায় দেখে আমার জানি কেমন করছিলো তাই চিৎকার করে ফেলেছি!
ফারহাজ ফিহার দিকে এগোতে এগোতে বলে উঠে—
কেমন করছিলো?
ফিহা মুখটা একেবারে শুকিয়ে গেছে!
ফারহাজ শুধুমাত্র একটা টাওয়াল পড়ে আছে। ফারহাজ ওর চুল থেকে টুপ টুপ করে জল গড়িয়ে পড়ছে।
ফিহার লজ্জায় মুখ লাল-নীল হয়ে যাচ্ছে।
ফিহাঃ আপনার কি একটুও লজ্জা নেই হুহ
এইভাবে খালি গাঁয়ে দাঁড়িয়ে আছেন!
ফারহাজঃ তোহ!
হুহহহ আমার তো মনে হচ্ছে তুমি বেশি লজ্জা পাচ্ছো!
ফিহার সেই নীল মনি বিশিষ্ঠ চোখজোড়া কেমন যেনো মিয়ে পড়ছে।
ফারহাজ সেই নীল চোখে যেনো ঢুবে যাচ্ছে।
ফিহা তাড়াতাড়ি দৌড়ে চলে যায়।
ফারহাজ বিড়বিড় করে বলে উঠে–কে তুমি?
এই চোখের গভীরতা যে আমি মাপতে পারছিনা।
কেমন একটা মিল পাচ্ছি আমি! কিন্তু তুমি কে???
কেন এই চোখ জোড়া আমাকে এতোটা টানে।
ফারহাজ আবারও নিজে নিজে বিড়বিড় করে উঠে-
আরে ফারহাজ তুই এইসব কি ভাবছিস। ফিহা একটা পুচকি মেয়ে!
ফারহাজ নিজেকে নিজে বুঝাতে থাকে!
এদিকে,,,
ফারহাজ এর দাদি বালাজোড়া খানা ইরিনার দিকে এগিয়ে গিয়ে বলে উঠে–
কেমন হয়েছে দিদিভাই।
ইলিনা বলে ওঠে –অনেক সুন্দর হয়েছে দাদি
দাদিঃ এটা আমার শ্বাশুড়ি আমাকে দিয়েছিলো বুঝেছো দিদিভাই! এ কিন্তু যেমন তেমন বালা নয়!
এই বালা আমাদের বাড়ির বড় বউদের পরিচয় বহন করে
এই বালা তোমার মানে আমার ফারহাজ দাদাভাই এর বউ এর!
ইরিনা চুপ হয়ে যায়।
মিসেস প্রিয়া বলে উঠেন—
আচ্ছা এইবার ইরিনা তুমি পরে দেখো!
ইরিনা বালা জোড়া দুটো নিজের হাতে পড়ে নেয় কিন্তু কিছুতেই পড়তে পারছে নাহ!
দাদিঃ কি হয়েছে ইরি দিদিভাই??
ইরিনাঃ বালা জোড়া টা ছোট আমার হাতে হচ্ছে নাহ।
মিসেস প্রিয়াঃ ওহ তাহলে তো বালা জোড়া টা ভাজ্ঞতে হবে!
এদিকে ফিহা দৌড়ে নীচে নামতে গিয়ে হঠাৎ করেই কারো সাথে ধাক্কা লাগে।
ফিহা পড়ে যেতে নিয়েও নিজেকে সামলিয়ে নেয়।
ফিহা তাঁকিয়ে দেখে নিলয়!
নিলয় কিছুটা অবাকের সুরে বলে উঠে–
লিটেল প্রিন্সেস তুমি তাও আমাদের বাড়িতে ওয়াট আ প্রিজেন্ট সারপ্রাইজ!
ফিহা বলে উঠে–
আসলে আমি ইরিপুর সাথে এসেছি!
নিলয় কিছুটা হাঁসি দিয়ে বলে উঠে–
তোমাকে বলে বুঝাতে পারবো নাহ!
আমি আজ কতটা খুশি তুমি আমাদের বাড়িতে
এসেছো!।
তা ফিহা এসেছে তাই বলে তুই এতো খুশি কেন??
ফিহা কি তোর কাছে স্পেশাল কেউ ?
ফারহাজ এর কন্ঠস্বর শুনে ফিহা ও নিলয় পিছনে তাঁকায়।
ফারহাজ নীচে নামছে ফোন টিপতে টিপতে।
গাঁয়ে খয়েরী রজ্ঞের একটি শার্ট!
চেহারায় কিছুটা গম্ভীরতা প্রকাশ পাচ্ছে।
কিন্তু যথেস্ট সুন্দর লাগছে।
ফিহার অবাধ্য চোখ শুধু ফারহাজ এর দিকেই যায়।
নিলয় বলে উঠে–
কি যে বলো নাহ ভাই! আমি তো ভাবছি তোমার হবু শালিকা বলে কথা! তাই আর কি।
ফারহাজ বলে উঠে–
আমার শালিকা আমাকে ভাবতে তুই আপতত তোর কাজে যাহ!
নিলয়ঃ এই ভাইয়াটাও নাহ। আমার আর লিটেল প্রিন্সেস এর মাঝখানে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় !
দুরর ভালো লাগেনা!
(মনে মনে)
নিলয় একটা মেকি হাঁসি দিয়ে
উপরের দিকে চলে যায়!
ফারহাজ ফিহার দিকে তাঁকিয়ে দেখে ফিহা তার দিকেই তাঁকিয়ে আছে!
ফারহাজঃ কি দেখছো?
ফারহাজ এর কথায় ফিহা তাড়াতাড়ি চোখ নামিয়ে বলে উঠে–
নাহ মানে অইখানে একটা টিকটিকি আপনার দিকে তাঁকিয়ে আছে মনে হয় আপনাকে ভয় পাচ্ছে!
(কোনোরকম জোড় করে হেঁসে)
ফারহাজঃ ওয়াট? টিকটিকি আমাকে দেখে ভয় পাচ্ছে লাইক সিরিয়াসলি!
(ধমকের সুরে)
ফারহাজের ধমকে পারলে বিচারি ফিহা কেঁদেই দেয়।
ফিহাঃ এমন করে বলছেন কেন লাটসাহেব
সত্যি তো বললাম!
এই বলে ফিহা কান্নার ভান করলো!
ফারহাজ ফিহার দিকে তীক্ন দৃস্টিতে তাঁকিয়ে বলে উঠলো–
এইসব ন্যাকা কান্না এখনি অফ করো!
নাহলে এইবার সত্যি সত্যি জেলে নিয়ে যাবো।
তোমার ইরিপু ও আটকাতে পারবেনাহ।
ফিহার কান্না সাথে সাথে অফ হয়ে যায়।
সে দেয় এক দৌড়। এদিকে ফারহাজ না চাইতেও হেঁসে দেয়। ফারহাজ ও নিচে নেমে পড়ে।
ফিহাকে নামতে দেখে ইরিনা ফিহার কাছে গিয়ে বলে উঠে–
কিরে ফিহু!
তুই উপরে কোথায় ছিলি?
ফিহাঃ আসলে তোমাকে এখানে পাচ্ছিলাম তাই আর কি উপরে গিয়েছিলাম!
ফারহাজের দাদি কিছু বলতে গিয়েও বলল নাহ কেননা জানে ইরিনা এই আশ্রিতা মেয়েকে একেবারে মাথায় করে রেখেছে। কিছু বললে ইরিনাই পরে মাইন্ড করবে!
ইরিনাঃ ফারহাজ শুনবে একটু !
ফারহাজ ইরিনার দিকে একপলক তাঁকিয়ে বলে উঠে–
সরি টু সে ইরিনা আমাকে আবার থানায় যেতে হবে!
মিসেস প্রিয়া ফারহাজ এর দিকে এগিয়ে বলে উঠে–
সেকি একটু আগেই তো ফিরলি।
ফারহাজঃ মা তুমি তো জানোই একটা কেস নিয়ে আমি ফেঁসি গেছি!
কিছুক্ষন আগেও ফোন আসলো।
ফারহাজ বেড়িয়ে গেলো।
প্রিয়াঃ সত্যি ছেলেটা নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে সারাদিন থানার কেস ই সামলাচ্চছে।
ইরিনা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।
।।।।।।
ফিহা কিছুটা মন খারাপ করে বসে আছে নিজের ঘরে!
পামকিন ও চুপ!
ফিহা পামকিন এর দিকে তাঁকিয়ে বলে উঠে–
পামকিন জানিস পরশু আমার জন্মদিন!
কিন্তু আমার মনে হয় কারো মনে নেই!
কেউ তো কোনো আয়োজন ই করছে নাহ।
কারো মনে নেই আমি সিউর বুঝেছিস!
পামকিম ড্যাবড্যাব করে তাঁকিয়ে আছে ফিহার দিকে।
পামকিন ফিহার কাছে গিয়ে চুপটি করে বসে থাকে।
এদিকে দরজার আড়াল থেকে সব কিছুই শুনছে ফিহার মা মিসেস ফাতেমা।
ফিহার মা কিছুটা বিড়বিড় করে বলে উঠে–
সবাই ভুলে গেলোও সে ভুলবে নাহ!
।।।।
অন্ধকার একটি ঘরে। একজন ইজি চেয়ারে বসে
ক্যালেনডার দেখে যাচ্ছে। অজান্তেই তার মুখে ফুটে উঠে হাঁসি। সারাদিন এতো কাজের চাপে একটা ইম্পোর্টেন্ট দিনের কথা সে প্রায় ভুলেই গিয়েছিলো
তখনি একজন রুমে প্রবেশ করে বলে উঠে–
স্যার আপনার বাংলাদেশে যাওয়ার সব ব্যবস্হা করা হয়েছে।
অজানা ব্যাক্তি তার মুখের হাঁসিটা চওরা করে বলে উঠে–
গুড ভেইরি গুড!
চলবে!
#পবিত্র_বন্ধনে_আবদ্ধ
#পর্ব -১৮
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
ফিহা পামকিন কে নিয়ে স্কুলের মাঠের এক কিনারে বসে আছে তার বন্ধুদের সাথে। তখনি একটা মহিলা এসে ফিহাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে– এই মেয়ে এই
তুমি এখানে কি করছো? তোমার তো এখানে থাকার কথা নাহ। অজানা একটা মহিলার মুখে এইরকম বানী শুনে ফিহা ও তার বাকি বন্ধুরা কিছুটা অবাক হয়। মহিলাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে মানষিক ভাবে অসুস্হ! ৷ ফিহা অবাক চোখে মহিলার দিকে তাঁকিয়ে আছে। মহিলা আবারোও বলে উঠে–
সেই নীল মনি। সেই একই চাহনি! আমি ঠিকই ভেবেছি। আমার ধারনা কখনো ভুল হতে পারে নাহ!
তুই এইখানে কি করছিস হ্যা? কি করছিস? শুনে রাখ তুই অনেক বড় বাড়ির বউ হবি! রাজরানী হবি!
আল্লাহর তাকদীর কেউ বদলাতে পারে নাহ রে।সব অন্যায়ের বিচার হবে। আমি দেখেছি হ্যা আমি নিজে সব দেখেছি। একটা বাচ্ছা ছোট ছেলেকে কীভাবে সেদিন অই বাজে লোকেরা মেরেছিলো। আর ছেলেটা মা মা করে কেঁদে যাচ্ছিলো। আর একটা ছোট বাচ্ছা মেয়ে হ্যা ছোট বাচ্চা মেয়ে
মহিলা টা আবারোও এইসব বিড়বিড় করতে করতে চলে গেলো। ফিহা অবাক চাহনিতে শুধু মহিলা টার দিকে তাঁকিয়েই আছে। সিমি বলে উঠে–
ফিহা তুই কি এই মহিলাকে চিনিস?
ফিহা বলে উঠে— নাহ আমি চিনি নাহ!
পটকা বলে উঠে– আমি এইটাই বুঝতে পারছিনা।
মহিলা এইসব বলে গেলে কেনো?
টিউপ একটা কেবলামার্কা হাঁসি দিয়ে বলে উঠে-কেন
আবার! বুঝিস নাহ আমাদের ফিহা অনেক বড় বাড়ির বউ হবে তার মানে আমরা ফিহার বিয়েতে পেটপুড়ে খেতে পারবো!
ফিহা কিছুটা রাগ্বানিত কন্ঠে বলে উঠে–
তোদের মাথা ঠিক আছে কিসের বিয়ে হ্যা?
আমি আমার মামনি ভালো আব্বু আর সব থেকে বড়
থেকে বড় কথা আমার মাকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবো নাহ!
পটকা বলে উঠে–তোরা ভেবে দেখেছিস? উনি কি বললো!
ফিহাঃ একটা ছোট ছেলেকে বাজে লোকেরা মারছিলো। কোন ছোট ছেলে? আর কেনই বা মারছিলো?
টিউপঃ অই আন্টিটার কথা শুনে আমার সব কিছু মাথার উপর দিয়ে চলে গেলো।
সিমি বলে উঠে– আর যাই বলিস
প্রত্যেক মেয়েকেই বিয়ে করে পরের বাড়ি যেতে হবে। আর আমার মনে হচ্ছে আমাদের ফিহু রানিরও অনেক বড় বাড়িতে বিয়ে হবে!
ফিহা কিছুটা রেগে বলে উঠে–
আমি এইসব নিয়ম মানি নাহ হুহ !
আমার মাকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবু নাহ।
এই বলে ফিহা দৌড়ে চলে যায়।
পটকাঃ যাহ বাবাহ! চলে গেলোও। আচ্ছা আমরাও বা অই পাগল মহিলার কথা বিশ্বাস করছি কেন?
যার নিজেরেই মাথা ঠিক নেই।
টিউপঃ হুম রে পটকা। ঠিক বলেছিস!
সিমিঃ কিন্তু এইটাও তো ঠিক ফিহার অদ্ভুদ নীল মনি।
অজানা ব্যাক্তি উঠে দাঁড়িয়ে তার পাশের ঘরের দিকে যায়। সেখানে একজন মহিলা জানালার পাশে আকাশে আনমনে কিসব জেনো ভেবে যাচ্ছে। রুমে চারপাশে তিনজন নার্স দাঁড়িয়ে আছে।
অজানা ব্যাক্তি আসতেই তারা রুম থেকে বেড়িয়ে যায়।
অজানা ব্যক্তি তার কাছে আসতেই সেই মহিলাটি পিছিয়ে পড়ে।
সে বলে উঠে–
আসবে নাহ আমার কাছে আসবে নাহ বলে দিচ্ছি
তোমরা পচাঁ খুব পচাঁ!
আমার ছোট ছোট বাচ্ছাদের তোমরা আমার থেকে কেড়ে নিয়েছো!
মহিলার কথাটা শুনে অজানা ব্যক্তির চোখ থেকে অজান্তেই জল গড়িয়ে পড়ে।
অজানা ব্যক্তি টি বলে উঠে–
মা দেখো আমি তোমার ছেলে!
তোমার নিজের সন্তান। তুমি আর কতদিন নিজের ছেলের থেকে দূরে দূরে থাকবে বলো??
মহিলাটি বড় বড় চোখ করে তাঁকিয়ে বলে উঠে–
ছেলে? কিসের ছেলে? আমার বাচ্ছারা তো ছোট ছোট ছিলো আর তুমি তো বড় হি হি হি
এই বলে মহিলাটি কিছুটা জোড়ে হেঁসে দেয়।
অজানা ব্যাক্তিটি রাগে একটি ফুলের বাস ছুড়ে ফেলে।
এতে মহিলাটি ভয় পেয়ে যায় কিছুটা!
অজানা ব্যাক্তিটি বলে উঠে–মা তুমি কবে বুঝবে?
আমি তোমার ছেলে? কবে আমাকে একটু কাছে টেনে নিবে? বলতে পারো!
তখনি একজন ডক্টর ছুটে এসে বলে উঠলো–
একি মিঃ আপনি এইসব কি করছেন? আপনি বুঝতে পারছেন এইসব শব্দে আপনার মায়ের জন্য ঠিক নাহ। আপনার এইসব উত্তেজনা উনার জন্য ক্ষতিকর। দেখছেন উনি কতটা ভয় পাচ্ছে।
(লেখিকাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
অজানা ব্যক্তি একপলক নিজের মায়ের দিকে তাঁকায়।
ভয়ে কাঁপছে। সে বুঝতে পেরেছে সে যা করেছে একেবারেই ভুল!
অজানা ব্যাক্তি ডক্টরের দিকে তাঁকিয়ে বলে উঠে–
আমার সত্যি এমন করা ঠিক হয়নি!
আপনি প্লিয মাকে একটু চেক করুন।
ডক্টরঃ ঠিক আছে আমি দেখছি!
অজানা ব্যক্তি বেড়িয়ে যায় রুম থেকে।
ফারহাজ স্পিকারে নিজের ফোর্স দের সাথে কন্ট্রাক্ট করে যাচ্ছে।
শহরের সব থেকে বড় বড় নাইট ক্লাব যেখানে বড় বড় ব্যাবসায়ীরা আসে তাদের ই সিরিয়াল কিলার টার্গেট করে খুন করছে। তাই ফারহাজ এর পুলিশ ফোর্স রাও বড় বড় নাইট ক্লাবে চারদিক ঘেরাও করে আছে। যাতে আজকে অন্তত খুন না হয়।
এইসব কিছুরেই মনেটরিং করে অজানা ব্যক্তি দেখে যাচ্ছে।
অজানাঃ ফারহাজ মির্জা নিজেকে কি ভাবো তুমি?
তোমার সো কল্ড ফোর্স রা আমাকে আটকাতে পারবে হা হা হা!
আমাকে আটকানো এতোই সোজা? এতো ভয় আমাকে যে চারদিকে এতো কড়া পাহাড়া।
এদিকে,,
ফারহাজ রুপ কে ডেকে বলে উঠে–
রুপ চলো ফাস্ট! আজকে অই সিরিয়াল কিলারকে আটকাতে হবে!
রুপঃ জ্বী স্যার!
ফারহাজ ও রুপ ও বেড়িয়ে পড়ে সব থেকে বড় ক্লাবে যাওয়ার জন্য!
ফারহাজ গাড়িতে বসার সাথে সাথেই ওসি সাহেব ফারহাজ কে কল করে।
ফারহাজঃ জ্বী স্যার!
ওসি ঃ ফারহাজ তোমরা প্রিপার্ড তো??
ফারহাজ ঃ জ্বী স্যার আমার ফুল টিম রেডি যেকরেই হোক আজকে অই সিরিয়াল কিলার কে ধরবো।
ওসিঃ হুম আমার তোমার উপর ভরসা আছে।
ফিহা পামকিন কে নিয়ে বের হয়েছে আজকে।
হাওয়াই মিঠাই খেতে। কিন্তু আজকে কোথাও হাওয়াই মিঠাই খেতে পারছে নাহ।
ফিহা পামকিন এর দিকে তাঁকিয়ে বলে উঠে–
পামকিন রে হাওয়াই মিঠাই কোথায় পাবো?
আজকে হাওয়াই মিঠাই ছাড়া যে আমার দিন ই ভালো যাবে নাহ।
সিমি রিশকা করে কোথাও যাচ্ছিলো। ফিহাকে দেখে সে থেমে যায়।
সিমি ফিহার দিকে তাঁকিয়ে বলে উঠে–
ফিহা তুই আর পামকিন এই সময় কোথায় যাচ্ছিস??
ফিহাঃ অইতো হাওয়াই মিঠাই খেতে কিন্তু কোথাও আজকে হাওয়াই মিঠাই পাচ্ছি নাহ।তুই তো জানিস একদিন হাওয়াই মিঠাই না খেয়ে আমি থাকতে পারিনা হুহ।
সিমি ঃ ওহ আচ্ছা চল তুই আমার সাথে। অইযে শহেরের সব থেকে বড় ক্লাব টা আছে নাহ সেখানে এইসময় হাওয়াই মিঠাই পাওয়া যায়। আর তাছাডা আমি সেখানেই যাচ্ছি আমার এক কাজিন এর বাসা সেখানে।
ফিহা ঃ হুম গুড আইডিয়া চল আমিও যাই।
ফিহা পামকিন কে নিয়ে রিশকায় বসে পড়ে।
এদিকে,
ফারহাজ ও রুপ গাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়ে। ফারহাজ কানে ব্লু ট্লুথ রেখে তাদের ফোর্স দের কাছে গিয়ে বলে উঠে-/
তোমরা সবাই রেডি তো! আজকে যেনো কোনো খুন না হয় যেকোনো মুল্যে অই সিরিয়াল কিলার কে আটকাতে হবে গট ইট।
সবাই বলে উঠে–
ইয়েস স্যার!
ফারহাজ বলে উঠে-
সবাই সচেতন হও। যেকোনো সময় আক্রমন হতে পারে।
এই বলে ফারহাজ কাউকে কল করে।
সিমি ও ফিহাও সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো।
ফারহাজকে দেখে ফিহা রিস্কাওয়ালাকে বলে উঠে*-।এই মামা থামুন!
সিমি ঃ কি হয়েছে?
ফিহা রাস্তার অইপাড়ে ইশারা করে বলে উঠে–
অই দেখ লাটসাহেব চল আমরাও যাই।
সিমিঃ কি বলছিস কি? অইখানে আরো পুলিশ আছে।
ফিহা ঃ প্লিয চল!
।চলবে।।