পিচ্চি_বউ
পর্বঃ ০৪
নিজেকে অপরাধি মনে হচ্ছে! পরের দিন বাবা আমাকে আর কথাকে হানিমুনে পাঠিয়ে দিল। আমি সাথীকে বলে সব রেডি করে রেখেছি! আমাদের সাথে সাথীও কক্সবাজার যাবে। সবাই জানবে আমি হানিমুন করতে যাচ্ছি কথার সাথে কিন্তু না, আমি হানিমুন করবো সাথীর সাথে “”””
“”” সাথীকে,এসব বলে ফোন রাখতেই পিছন দিকে তাকাতেই দেখি কথা সিলিং ফ্যানের সাথে, ঝুলছে এমন একটি উড়না গলায় পড়ছে। বুকের ভিতর কেমন জানি চিনচিনে ব্যাথা করতে লাগল।
.
দৌড়ে গেয়ে, কথাকে একটা থাপ্পর দিলাম! ” কি করছো এসব? ”
.
আমি ছোট বলে,এতিম বলে কারো ভালবাসা পাবো না! বিয়ের পর সকল নারীই তাঁর স্বামীর অধিকার চায়। আর আপনি বিয়ের পর একটি রাত আপনার বুকে পর্যন্ত ঘুমাতে দেননি।কতটা স্বপ্ন দেখেছিলাম তোমায় নিয়ে। কিন্তু তুমি আমায় রেখে অন্য মেয়ের সাথে অবৈদ সম্পর্ক করতে চাচ্ছো! ( কথা)
.
প্লিজ বুঝায় চেষ্টা করো,এখন এসব বলার সময় নয়। চলো দেরি হয়ে যাচ্ছে, গাড়ি মিস করবো আবার। কথা আর কিছু বললো না!
.
এদিকে কথারর এসব কান্ড-কারখানা সব সাথীকে সব বললাম! সাথী বললো, কোন চিন্তা না করতে। আমাদের সাথে একই গাড়িতে সাথী গেল কক্সবাজার।
.
রাতের বেলা রুমে শুয়ে আছি হঠাৎ,সাথীর ফোন, ফোন ধরতেই বললো পাশের রুমে এসো। এদিকে পাশের রুমে যেতেই সাথী সেভেন-আপের সাথে কি যেন মিশিয়ে দিয়ে খেতে বলল। আমি কিছু না মনে করেই খেলাম! সাথীকে খুব কাছে পেতে ইচ্ছে করছে।নিজের অজান্তেই সাথীকে জড়িয়ে ধরে ফেললাম! সাথীও রেসপন্স করলো। আমি আস্তে আস্তে সাথীর লিপের সাথে আমাল লিপ জোড়া মিলানোর আগেই সাথীর ফোনটা ক্রিং ক্রিং করে বাজতে লাগল! ফোনটা ধরেই সাথী উঠে ওয়াশরুমে চলে গেল। এদিকে কিছুক্ষণ পর এসে বললো বাবু আমি অসুস্থ, কাল যা মন চাই তাই করো। এই বলে আমাদের রুমে দিয়ে গেল। কথাকে বললো সে আমাদের কলেজ ফ্রেন্ড। (কথা কখনো সাথীকে দেখেনি)
.
এদিকে রুমে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। এখন আমার শরীর আর চোখ দিয়ে উওাপ বের হচ্ছে। কথা আজ খুব সুন্দর করে সেজেছে। নীল শাড়ির সাথে মিচিং ব্লাউজ সাথে নীল রঙের চুড়িতে কি অপরুপটাই লাগছে। কথার চোখে কাজল দেওয়াতে আরো মায়াবি লাগছে। কথা এসে খাটে বসতেই টান দিয়ে বুকে জড়িয়ে নিলাম। ঘটনায় আকস্মিক ব্যবহারে কথা কিছুটা বিব্রত হলো।
.
” আপনাকে একটা কথা বলবো?”
.
হুম বলো কি বলবে? ( আমি)
.
আপনার কাছে একটা জিনিস চাইবো। দিবেন তো আমাকে?
.
আচ্ছা বলো দেওয়ার মতো হলে দিব? টাকা লাগবে কি?
.
নাহ্ আমার টাকা চাইনা, আমার তো তোমাকে চাই। ( কথা)
.
কি বলবে?
.
নাহ্ কিছু না! শুন তুমি কি আমাকে একটা কিউট মেয়ের মা বানাবে? যার নাম হবে তোমার নামানুসানে রাইসা।( লজ্জাভরা মুখে কথাটা বলে মাথা নিচু করে ফেলল)
.
ইশশ! বাবুর মা হবার কথা বলে কিরকম লজ্জা পেয়েছে!
.
হুম লজ্জা পাবোই তো। ( কথা)
.
আমি কথার কানের কাছে মুখটা নিয়ে বললাম” কাছে আসো তোমাকে রাইসার মা বানাচ্ছি, দুষ্টমির ছলে কথাটা বললাম!
.
” কথা ছোট বাচ্চার মতো আমার বুকে মুখ লুকালো। আমি কথার কপালে একটা চুমু দিয়ে, আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম। পিচ্চিটা তাঁর ঠোঁট জোড়া আমার ঠোঁটের সাথে মিলিয়ে দিলো। এরপর নারী-পুরুষের সবচেয়ে ঘণিষ্ট কিছু মুর্হুর্ত পার করলাম। তারপর বুকে জড়িয়ে শুয়ে পড়লাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি কথার কাপড় চোপড়ের কিছু ঠিক নেই। আমার শরীলের বিভিন্ন জায়গায় লিপিস্টিকের দাগ। পিচ্চিটা এখনো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে আমায়।
.
রাতের কথা মনে হতেই লাফ দিয়ে উঠলাম। একি করলাম আমি, আমি তো কথাকে ডির্ভোস দিবো। তবে কেনইবা তাঁর সতিত্ব হরণ করলাম। মাথা কাজ করছে না! কথাকে আজ খুশি খুশি লাগছে। বিয়ের পর কখনই এতটা খুশি দেখিনি ওকে।
.
সকাল সকাল ফোন দিয়ে সাথীকে সবকিছু বললাম। সাথী আমার কথা শুনে তেলে বেগুনে ফুলে -ওঠল। সাথীকে বললাম সবকিছু তোমার জন্যই হয়েছে তুমি যদি গতরাতে সে মেডিসিন না খাওয়াতে তা হলে এমনটি হতো না!
.
আচ্ছা বাদ দাও, কোনন চিন্তা করো না। কাল তোমাকে একটা পিল দিব সেটা খাইয়ে দিয়ো তাহলে আর কোন চিন্তা করতে হবে না। ( সাথী)
.
সাথীর কথা শুনে বেশ অবাক হলাম। কিন্তু সাথীকে ভালবাসি। কথাও দিয়েছি সাথীকেই বিয়ে করবো। তাই আর কোন কিছু চিন্তা না করে রাজি হয়ে গেলাম।
.
পরের দিন রাতে একটা পিল নিয়ে বললাম। খেয়ে নাওতো পিলটা কথা। ( আমি)
.
কিসের পিল এটা? আমি তো সুস্থ আপনি কিসের পিল খেতে বলছেন আমাকে? ( কথা)
.
তোমাকে মিথ্যা বলে লাভ নেই ক্ষমা করে দিয়ো। সেদিনের রাতে তোমার সাথে যা হয়েছে তা নিছক একটি দুর্ঘটনা মাএ। আমি জানি তুমি যা হারিয়েছো তা পৃথিবীর বিনিময়ে ফিরিয়ে দিতে পারবো না। আমি ডির্ভোস পেপার রেডি করে রেখেছি, তাই আমি চাইনা আমার সন্তান তুমি গর্ভে ধারণ করো। চিন্তা করো না,ডির্ভোস এর সাথে তোমাকে বিশ লাখ টাকার একটা চেক দিয়ে দিচ্ছি সময় করে ব্যাংক থেকে তুলে নিবে। ( আমি)
.
এদিকে আমার কথাটা শুনে কথা আমার দু’পা জাপটে ধরে বলতে লাগল” প্লিজ আপনি আ
.
আমার গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বলবেন না। আপনার মন চায় আপনি আরো একটা বিয়ে করেন। আমি কখনো কোনদিন স্বামীর অধিকার চাইবো না। আপনার বাড়িতে তো দুইটা কাজের মেয়ে রাখছেন। আমাকে নিয়ে না হয় তিনটা হবে, প্লিজ আমার সন্তানকে নষ্ট করে দিতে বলবেন না প্লিজ। আমি সারাজীবন আপনাদের বাসায় কাজের মেয়ে হয়ে থাকব। কোন পারিশ্রমিক দিতে হবে না! শুধু আমাকে ডির্ভোস দিয়েন না। আমার সন্তানটা যেন বলতে পারে আপনি তাঁর বাবা। আমি চাইনা আমার মতো আমার অনাগত সন্তানটা পিতৃহীন পরিচয়ে বড় হয়। প্লিজ একটা এতিম কে এভাবে ফিরিয়ে দিবেন না, আপনার পায়ের নিচে একটু জায়গা দেন। নইতো গলাটিপে মেরে ফেলেন। ( কথা)
.
এই কি করছো, পা ছাড়ো। আমি পারবো না, আমার জীবনে সাথী ছাড়া কেউ নেই। এখন পিলটা খেয়ে নিবে। যদি না খাও মনে করবো তুমি আমার বুকে পা রেখে তুমি গর্ভধারণ করবে। এখন তোমার ইচ্ছা।( আমি)
.
প্লিজ এমন কসম দিয়ো না, আমার কাছে যে তোমার স্থান সবার উপরে। পারবো না আমি তোমার বুকে পা রেখে এ সন্তানকে নিজের মাঝে বড় করতে।
.
ক্ষমা করে দিয়ো কথা এ ছাড়া আমার কোন উপায় ছিল না। এই নাও পিল আর এই নাও পানি খেয়ে নিয়ো।
.
আচ্ছা দাও, এই বলে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিলটা হাতে নিয়ে নিল। চোখ থেকে টপ-টপ করে পানি পড়তেছে। করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মনে মনে ভাবছে হয়তো আমি বলব” পিল খেতে হবে না কথা “কিন্তু না আমি কোন কথা বললাম না, । কথা আমার দিকে তাকিয়ে থেকে, বিষ যেমন করে মানুষ মুখে নেয় তেমনি করে মুখে নিয়ে নিল। গ্ল্যাস থেকে একটি পানি মুখে দিল।নিজের অজান্তেই মনে হচ্ছে খুব বড় কোন পাপ করে ফেললাম।
.
এদিকে বাবা ফোন করল যে বাবা অসুস্থ। তাই বাড়ি ফিরে যেতে হবে।মনে মনে স্থির করে নিলামম বাড়িতে ফিরেই ডির্ভোস পেপারের জন্য আবেদন করবো।
.
কথাকে নিয়ে বাসায় ফিরলাম। এদিকে সাথী বলল,যে কথাকে আমাদের দুজনের মাঝ থেকে সরিয়ে ফেলবে।
.
আমি অনেক বুঝানোর পর কথা বলল, সেদিন কক্সবাজার মেয়েটা যা বলেছে সব শুনেছি। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো,মেয়েটাকে তোমার বাবা অনেক স্নেহ করে। আমি তোমাদের বাড়ি রহিমের কাছে খবর পেয়েছি যে তোমার বাবা নাকি তোমার সম্পত্তি কথার নামে লিখে দিবে! তাই আমাদের ভবিষতের জন্য কথাকে আমাদের পথ থেকে সরিয়ে দিবে। আমি তোমাকে না বলেই প্রফেশনাল কিলার এর সাথে কন্টাক্ট করেছি।
.
নাহ্ এ হতে পারে না, আমাদের ভালোবাসার জন্য একটা নিষ্পাপ জীবনকে হত্যা করবো। চলবে
“””””‘”
বিঃদ্রঃ ভুলক্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।