প্রীতিলতা আসবে বলে ২ পর্ব-০৩ + বোনাস পর্ব

0
1754

প্রীতিলতা আসবে বলে
লেখিকা :আফরিন ইসলাম
সিজন :২
পার্ট :৩

১৯৮৪ সালের প্রায় শেষের দিকে ৷ঢাকা তখন খুব একটা ব্যস্ত নগরী নয় ৷এখনকার মতো তখন এত মানুষের কোলাহল ছিল না ৷চারিদিকে কনকনে শীত পড়েছে ৷আজকে চারুলতার কলেজের শেষ দিন ৷তারপর এইচ এস সি পরীক্ষার জন্য বন্ধ ৷চারু কলেজ ড্রেসের সাথে সোয়েটার পরে নিল ৷তারপর আস্তে আস্তে বাড়ী থেকে বেড়িয়ে গেল ৷চারু রাস্তায় এসে দেখলো তেমন একটা মানুষজন নেই ৷পরিবেশটা অনেক নির্জন ৷চারু হেটে চললো কলেজের দিকে ৷

বেশ কিছু দূর যাওয়ার পর চারুর মনে হলো কেউ চারুর পিছু নিয়েছে ৷চারু পিছনে তাকিয়ে দেখলো চার পাচঁটা ছেলে তার পেছনে ৷চারু খুব একটা গুরুত্ব দিল না ৷নিজের মতো হাটতে লাগলো ৷কিন্তু না সে যেই দিকে যাচ্ছে ছেলে গুলো ঐ দিকেই যাচ্ছে ৷চারু হাটার গতি বাড়ীয়ে দিল ৷তারপর একসময় দৌড়াতে লাগলো ৷ছেলে গুলোও তার পিছু দৌড়াতে লাগলো ৷ছেলে গুলো এবার চারুর পিছনে খুব জোড়ে দৌড়াতে লাগলো ৷

চারু দৌড়াতে দৌড়াতে একটা সময় হোচট খেয়ে পড়ে গেল রাস্তায় ৷চারু উঠার জন্য চেষ্টা করেও পারলো না ৷পায়ে ব্যাথা পেয়েছে খুব সে ৷এদিকে ছেলে গুলো তার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে ৷আর চারু প্রানপন চেষ্টা করেই যাচ্ছে ৷

ছেলে গুলো চারুকে ঘেড়াও করে ধরেছে ৷চারু কাদঁতে কাদঁতে বলল

আপনারা আমার পিছু কেন নিয়েছেন ৷আমি কি করেছি ৷দয়া করে আমাকে যেতে দিন ৷

ছেলে গুলো তার দিকে তাকিয়ে হু হা করে হাসতে হাসতে বলল

আরে সুন্দরী তো খুব ভয় পেয়েছে ৷তোমাকে আমাদের এমপির ছেলের জন্য নিয়ে যাব ৷অনেক দিন তোমার উপর আমাদের নজর ছিল ৷আজ পেয়েছি তোমাকে ৷এই তাড়াতাড়ি বেধেঁ ফেল ওকে ৷ছেলে গুলো চারুর গায়ের ওরনা কেড়ে নিল ৷তারপর ওর হাত আর মুখ বেধে ফেললো ৷চারুর আজ নিজেকে বড্ড অসহায় মনে হচ্ছে ৷ আয়ানকেও আজ কোথাও দেখতে পাচ্ছে না ৷ঐ মানুষটাকে যে চারুর আজ বড্ড প্রয়োজন ৷ চারু নিজেকে ছাড়াতে অনেক চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না ৷চারুকে ওরা টেনে হিচড়ে নিয়ে যাচ্ছে ৷

ছেলে গুলো চারুকে নিয়েই যাচ্ছিল ৷কিন্তু হঠাৎ করেই তারা যা দেখলো তাতে তাদের শরীর ঘামতে লাগলো ৷কলেজের প্রায় একশ ছেলে তাদের দিকে ধেয়ে আসছে ৷তাদের সবার হাতে লাঠি ৷ছেলে গুলো চারুকে ছেড়ে উঠে দৌড় লাগালো ৷কিন্তু বেশি দূর যেতে পারলো না তার আগেই কলেজের ছেলেরা তাদের ধরে ইচ্ছা মতো পেটাতে লাগলো ৷ চারু রাস্তায় এখনো পরে আছে ৷ সে ছোটার চেষ্টা করছে ৷হঠাৎ করেই চারুকে অবাক করে দিয়ে একটা ছেলে চারুকে হেচকা টান দিয়ে জরিয়ে ধরলো ৷চারুকে ছেলেটা খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরেছে ৷চারু নিজের ঘাড়ে গরম পানির আভাস পেল ৷তবে কি ছেলেটা কাদঁছে তার জন্য ৷আর ছেলেটাও যে তার বড্ড চেনা ৷ছেলেটার পাওয়া এই স্পর্শ প্রথম হলেও ছেলেটা তার অচেনা নয় ৷তার নিখাদ ভালোবাসাও অচেনা নয় চারুর কাছে ৷ছেলেটা আর কেউ নয় তার আয়ান ৷

(যারা আফরিন কে খুব অপছন্দ করেন ৷তাদের জন্য নিচে কিছু কথা লেখা আছে ৷পড়ে যাবেন কষ্ট করে ৷)

আয়ান চারুকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল ৷তারপর ওর গাল দুই হাতে শক্ত করে চেপে ধরে বলল

এই তুই একা একা কেন বের হয়েছিস ৷তোকে বলেছি না একা একা না বের হতে ৷আজ যদি আমার বন্ধু জামিল রিকশা দিয়ে যাওয়ার পথে না দেখতো ৷তাহলে তোর কি হতো ৷আমার কথা কেন শুনিস না তুই ৷ও তোর তো মুখ বাধাঁ ৷আয়ান চারুর মুখের আর হাতের বাধঁন খুলে দিল ৷তারপর বলল এবার বল কেন আমার কথা শুনিস না ৷নাকি আমার কথা গায়ে লাগে না তোর ৷আর তুই এতো সুন্দর কেন ৷এত সুন্দর হতে তোকে কে বলেছে ৷আয়ানের বন্ধুরা ঐ ছেলে পাচঁটাকে মেরে রিকশা করে পাঠিয়ে দিয়েছে ৷চারু আয়ানের রাগী চেহারা দেখে অনেক ভয় পাচ্ছে ৷আয়ান যে এত রাগী তা কখনো সে বুঝতেও পারে নি ৷চারু কিছুটা সাহস নিয়ে বলল

আয়ান আমি কিন্তু আপনার বড় ৷আমার সাথে…..

চারু কিছু বলতে পারলো না ৷তার আগেই আয়ান আরো জোরে চিৎকার করে বলে উঠলো ৷

তুই আর একটা কথাও বলবি না ৷বড় মাই ফুট ৷আর একদিন যদি বলেছিস তুই আমার বড় তো ঐ দিন তোকে পুতে ফেলবো ৷আয়ান রাগে কাপঁছে ৷আয়ান মাথা নিচু করে চোখ বন্ধ করে রইলো ৷আর চারু মাথা নিচু করে কাদঁছে ৷আয়ান চারুকে অবাক করে দিয়ে কোলে তুলে নিল ৷

চারু আয়ানকে মারতে মারতে বলল আমাকে নামান আয়ান ৷আমাকে একদম ছুবেন না ৷

আর একটা কথা বললে তুলে আছাড় মেরে ফেলে দেব ৷চুপচাপ থাকো ৷

আয়ান চারুকে একটা ক্লিনিকে নিয়ে গেল ৷তারপর ওর পা টা ব্যান্ডেজ করার ব্যবস্থা করলো ৷চারুর পা অনেকটাই কেটে গেছে ৷আয়ান চারুকে রিকশায় করে বাসা পর্যন্ত পৌছে দিচ্ছে ৷চারু আয়ানের কাধেঁ মাথা দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে ৷আর আয়ান চারুকে এক হাত দিয়ে জরিয়ে ধরেছে ৷চারু অনেক বার আয়ানের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে ৷কিন্তু আয়ান কথা বলে নি ৷

চলবে

প্রীতিলতা আসবে বলে
লেখিকা :আফরিন ইসলাম
সিজন :২
বোনাস পার্ট

আয়ান চারুকে নিয়ে বাড়ী চলে এসেছে ৷তারপর চারুকে ধরে ওর ঘর পর্যন্ত নিয়ে যায় ৷চারুর দাদি চারুর পায়ে ব্যান্ডেজ দেখে কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে ৷সে কাদঁতে কাদঁতে স্বামীকে ডাকতে গেল ৷আয়ান চারুকে বিছানা বসিয়ে দিল ৷তারপর কিছু না বলে চলে যেতে নিল ৷কিন্তু যেতে পারলো না ৷চারু আয়ানের হাত ধরে আটকে বলল

আমার সাথে কথা বলবেন না আয়ান ৷

আয়ান চারুর হাত ঝাড়া মেরে সরিয়ে দিল ৷তারপর ওর গাল আবারো চেপে ধরে বলল

একদম ঢং করবি না তুই ৷আর শোন রোজ সন্ধ্যায় ছাদে যাবি ৷যদি এসে তোকে না দেখি তাহলে খুন করে ফেলবো ৷ আর সন্ধ্যার পর বাইরে কেউ মরে গেলেও গেট খুলবি না ৷ঔষুধ খাবি ঠিক মতো ৷আর বাড়ীর বাইরে ভুলেও যাবি না ৷জামিল আসবে প্রতিদিন সকালে ৷যা লাগবে ওকে বলে দিবি ৷আমি পরের দিন জামিলকে দিয়ে পাঠিয়ে দেব ৷আর যদি শুনেছি ঔষুধ খাস না তাহলে তোর পা আমি ভাঙ্গবো এসে ৷ঠিক মতো পড়বি ৷এবার বোর্ডে ফাস্ট হবি তুই ৷নইলে তোকে তুলে নিয়ে বিয়ে করে ফেলবো ৷আয়ান চারুর গাল ছেড়ে দিল ৷তারপর চারুর কপালে চুমু খেয়ে বেড়িয়ে গেল ৷ কথা গুলো ধমক দিয়ে বললেও তার কথায় রয়েছে গভীর ভালোবাসার প্রকাশ ৷

আয়ান চলে যেতেই চারুর দাদি ঘরে গেল ৷তারপর চারুর পাশে বসে বলল

কি রে সতিন পোলাডা কেডারে ৷তোরে কেমনে ধইরা লইয়া আইলো ৷ আবার কেমনে ধমক দিয়া কথা শুনাইয়া গেল ৷

চারু তার দাদির দিকে তাকিয়ে বলল আমার বয়েই গেছে তার কথা শুনতে ৷শুনবো না তার কথা আমি ৷আমাকে তুলে নিয়ে যাবে ৷কত বড় সাহস ৷যাব না সন্ধ্যায় আমি ৷চারু হালকা কাদঁতে কাদঁতে কথা গুলো বলল ৷

হইছে আর রাগ দেখাইতে হইবো না ৷তার সামনে তো পুরাই বিলাইয়ের মতো ছিলি ৷আর এহন বিলাই থেইকা বাঘিনী হইয়া গেছে ৷

বুড়ি বেশি কথা বলবা না ৷খুধা লাগছে আমার ৷খাবার দাও ৷

ঠিক আছে আমি আনতাছি তুই বস ৷

একদিন পার হয়ে গেছে ৷ আয়ান আর চারুর দেখা হয়নি ৷সন্ধ্যা হয়ে গেছে ৷আয়ান চারুর বাড়ীর সামনে ৷চারু আসে নি ছাদে ৷কিন্তু আয়ানের দৃষ্টি ছাদের দিকেই ৷অপর দিকে একজন যে তাকে জানালার ফাকাঁ দিয়ে দেখছে আর হাসছে ৷সেটা আয়ান জানেই না ৷চারুকে একপলক দেখার জন্য বেচারা আয়ান মরিয়া হয়ে উঠেছে ৷সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে গেছে ৷আয়ান এখনো দাড়িয়ে আছে ৷সে তার চারুলতাকে না দেখে যাবে না ৷এদিকে অন্ধকারের জন্য চারুও আয়ানকে আর দেখতে পারছে না ৷চারু জানালার একদম কাছে বসে আছে ৷

আয়ান আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলো না ৷সে চারুর ঘরের কাছে গেল ৷চারুদের বাসাটা এক তলা বিল্ডিং ৷আয়ান লোহার জানালায় আঘাত করলো হাত দিয়ে ৷তারপর নরম গলায় বলল

চারুলতা আমার ভুল হয়ে গেছে ৷আর কখনো আপনার সাথে রাগ করবো না ৷আর কখনো জোড়ে কথা বলবো না চারু ৷আমাকে মাফ করে দিন ৷আপনাকে না দেখে আমি আর থাকতে পারছি না ৷খুব কষ্ট হয় চারু ৷এক পলক আপনাকে দেখবো ৷আপনার সাথে আর খারাপ আচরন করবো না ৷চারু জানালাটা খুলুন একবার ৷

আয়ানের কথার মাঝেই জানালাটা খুলে গেল ৷কিন্তু একি চারু জানালা খুলে নি ৷জানালা খুলেছে ওর বুড়ি দাদিটা ৷দাদিকে দেখেই আয়ান জোড় করে একটা হাসি দিল ৷বুড়ি আয়ানের দিকে তাকিয়ে বলল

এই রাইতে একটা মাইয়া মানুষের জানালার কাছে কি পোলা ৷

আয়ান কি বলবে বুঝতে পারছে না ৷সে মাথা নিচু করে রইলো ৷

এখন থেইকা আমি নিজে তোমার এই মুখপুড়ি বউরে ছাদে লইয়া যামু ৷তোমার আর কষ্ট করা লাগবো না ৷বেশিক্ষন কথা কইতে পারবা না ৷চারুর দাদায় নইলে টের পাইবো ৷কথা কও দুইজনে তাড়াতাড়ি ৷

আয়ান দাদির দিকে তাকিয়ে রইলো ৷দাদি হালকা হেসে বলল আমারে তোমার বউ সব কইছে ৷যেই মানুষ ভালোবাসার মানুষের বিপদে পাশে থাকে ৷সেই আসল মানুষ ৷লও কথা কও দুইজন ৷দাদি সরে গেল ৷চারু জানালার কাছে এসে বসলো ৷

চারুকে দেখে আয়ান বলল কেমন আছেন চারুলতা ৷

হুমম ভালো ৷

আপনার জন্য কতক্ষন দাড়িয়ে ছিলাম জানেন ৷ আপনি তো আমাকে ঠিকই জানালা দিয়ে দেখেছেন ৷আর চোখ দিয়ে গিলে খেয়েছেন ৷

চারু আয়ানের কথায় হয়ে তাকিয়ে রইলো ৷ কারন আয়ানের তো জানার কথা না ৷আয়ান মুচকি হাসলো৷তারপর বলল আমার এখন যেতে হবে চারু ৷আর একটা কথা ভুলেও রাতে দরজা খুলবেন না ৷আর যদি কেউ চলেও আসে ৷তাহলে সিড়ি বেয়ে উপরে চলে যাবেন ৷তারপর আপনাদের আম গাছ বেয়ে নিচে নেমে সোজা আমার বাড়ী চলে যাবেন ৷নয়তো জামিলের বাড়ী যাবেন ৷মনে রাখবেন আপনার উপর শকুনদের নজর লেগেছে ৷আমি আসি কেমন ৷জানালাটা লাগিয়ে দিন ৷

আয়ান একা আসে নি ৷সাথে তার আরো চারজন বন্ধুও ছিল ৷তারা দূরে দাড়িয়ে ছিল ৷ আয়ান ওদের নিয়ে রওনা দিল বাড়ীর দিকে ৷তাদের সবার বাড়ী কাছাকাছি ৷আয়ান তার বন্ধুদের নিয়ে যাচ্ছিল ৷হঠাৎ করেই জামিল বলল

আয়ান আমার কেন যেন মনে হচ্ছে ৷এখানে আমরা একা নই ৷আরো লোক আছে ৷

আয়ান বলল আমি তো কাউকে দেখতে পারছি না ৷

জামিল ফিসফিসিয়ে বলল হতেই পারে না ৷এখানে লোক আছে ৷আমরা আগের মতোই গল্প করবো ৷কিন্তু সাবধান থাকবো ওকে ৷আর যদি মনের ভুল হয় তাহলে হোক ৷সবাই জামিলের সাথে সহমত হলো ৷কারন এমপির ছেলের লোকদের তারা মেরেছে ৷তারা এত তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেবে না ৷

আয়ান সবার সাথেই গল্প করছিল আগের মতো ৷হঠাৎ করেই পেছন থেকে কয়েকটা ছেলে ওদের ওপর হামলা করলো ৷

ছয় দিন পার হয়ে গেছে আয়ান চারুর বাড়ীর কাছে আসে নি ৷ চারু রোজ ছাদে যায় কিন্তু আয়ান আসে না ৷জামিলও আসে না ৷চারুর এখন আর কিছুই ভালো লাগে না ৷দুই দিন আগে কেউ তাদের দরজায় অনেক ধাক্কা দিয়েছে ৷কিন্তু চারুর দাদা দাদি গেট খুলে নি ৷তারাও জানে এরা কারা ৷চারুদের বাড়ীটা ছোট হলেও বেশ মজবুত ৷তাই দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকাও কষ্টের আর আগে দরজা জানালা কাটার এত মেশিনও ছিল না ৷তাই মজবুত বাড়ীতে সন্ধার পর দরজা না খুললে ঢোকা বড্ড মুশকিল হয়ে যেত ৷

চারু এখন আর ঠিক মতো খায় না ৷ কেন যেন অকারনেই তার বড্ড কান্না পায় ৷ ছেলেটা সেই ছয় দিন আগে এসেছিল ৷তারপর আর আসে নি তার কাছে ৷চোখের নিচে কালী পড়েছে চারুর ৷আয়ান নামক শ্যাম পুরুষকে সেও ভালোবাসে ৷কথাটা বুঝতে কি তবে একটু বেশি দেরি হয়ে গেছে তার ৷ চারু কাঠের আলমারিটার ভেতর থেকে আয়ানের দেওয়া সেই উপহারের প্যাকেটটা বের করলো ৷আয়ান বলেছিল যেইদিন চারু বুঝবে সেও আয়ানকে ভালোবাসে ঐ দিন যেন প্যাকেটটা খোলে ৷চারু প্যাকেটটা বের করলো ৷তারপর ভেতরের জিনিস গুলো বের করে যা দেখলো তাতে তার চোখে পানি টলমল করে উঠলো ৷প্যাকেটের ভেতর একটা বিয়ের শাড়ী , একজোড়া লাল রেশমি চুড়ি ,কপালের লাল টিপ ,
আর একটা সোনার হার ৷পাশেই একটা চিরকুট ৷যেটাতে লেখা

চারু আপনাকে বউ সাজলে কেমন লাগে তা বড্ড দেখতে ইচ্ছা করে ৷যেই দিন আপনার আর আমার ভালোবাসা এক হবে ঐ দিন শাড়ীটা আমার জন্য পড়বেন ৷হারটা আমার মায়ের ৷মা আপনাকে দিয়েছে ৷বড্ড ভালোবাসি চারু আপনাকে ৷

আমার গরুর গাড়ীতে বউ সাজিয়ে ৷
তুত্তুর তুত্তুর তুত্তুর তু সানাই বাজিয়ে ৷
আরে যাবো তোমায় শ্বশুড় বাড়ী নিয়ে ৷

চারু গানের লাইন গুলো পড়ে এইবার কেদেঁই দিল ৷এই নাকি তার ভালোবাসা ৷আজ কতদিন সে তার চারুলতার খোজঁটাও নেয় নি ৷এই সে ভালোবাসে তার চারুকে ৷

চলবে….