প্রীতিলতা আসবে বলে ৪ পর্ব-১২

0
1055

প্রীতিলতা আসবে বলে
লেখিকা :আফরিন ইসলাম
সিজন :৪
পার্ট :১২

মেয়েদের নিয়ে তিন তলায় নামবে প্রীতিলতা ৷কিন্তু তার আগেই কতোগুলো কালো পোশাক পড়া লোক তাদের দিকে আসতে লাগলো ৷লোক গুলো আক্রমন করার আগেই প্রীতিলতা ওদের দিকে গুলি ছুড়তে লাগলো ৷মেয়ে গুলো যেন প্রীতিলতার আরেক রূপ ৷তারাও প্রীতিকে অনুসরন করে গুলি করতে লাগলো ৷ফলে যা হওয়ার তা হয়েই গেল ৷ সামনে সারি সারি লাশ পরে রইলো ৷ একেই বলে সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে ৷

চারিদিক স্তব্ধ ৷ বিশাল বিল্ডিং এর মাঝে কোথাও কোনো শব্দ নেই ৷ প্রীতিলতা তিন তলায় নেমে এলো ৷যে দিকে চোখ যায় শুধু ফাকাঁ ৷প্রীতি চিৎকার করে ডাকতে লাগলো অফিসারদের ৷কিন্তু কোনো উত্তর এলো না ৷ক্লান্ত শরীরটা ঢলে পড়লো ফ্লোরে ৷রক্তে শরীরের মাখামাখি অবস্থা ৷কোমর থেকে এখনো টুপটুপ করে রক্ত পড়ছে ৷প্রীতি মেয়েদের দুই দিকে পাঠিয়ে দিল ৷কারন এখনো এই বদ্ধ বাড়ীতে অনেকে আটকে আছে ৷যত দূর আন্দাজ করতে পারছে আর কোনো ক্রিমিনাল নেই ৷আর যারা আছে তাদের উপরের ঘরে আটকে রেখে এসেছে সে ৷তারা চাইলেও বের হতে পারবে না ৷তাহলে এখনো কেন পুলিশ আসছে না ৷ প্রীতিলতা নিজের কোমরটা হাত দিয়ে চেপেঁ ধরলো ৷তারপর অনেক কষ্টে উঠে দাড়ালো ৷আস্তে আস্তে পা চালিয়ে নিজেও খোজার চেষ্টা করলো বাকিদের ৷কিন্তু শরীর বড্ড ক্লান্ত ৷মাথার প্রচন্ড ব্যাথা অসহনীয় পর্যায় চলে যাচ্ছে ৷ হঠাৎ একটা মেয়ে পেছন থেকে দৌড়ে এসে বলল

আপু বাকি মেয়েদের আর বাচ্চাদের পেয়েছি ৷উত্তরের কোনার ঘরে ছিল সবাই ৷

ওরা ঠিক আছে তো ৷

হ্যা আপু ঠিক আছে ওরা ৷

অপর দিক থেকে দুইটা মেয়ে দৌড়ে এসে বলল

আপু যেসব অফিসারদের আটকে রাখা হয়ে ছিল ৷তাদেরকে পেয়েছি ৷তাদের হাত পা বাধাঁ ছিল ৷তাদের মুক্ত করা হচ্ছে ৷

প্রীতিলতা ওদের মাথায় নিজের হাত রেখে বলল

দেখলে ভয়কে জয় করা কত সহজ ৷ ভয়কে নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসতে হয় ৷ হয় ভয়কে শেষ করো ৷নইলে ভয় তোমাদের শেষ করবে ৷একদিন অনেক বড় হবে সবাই দেখে নিও ৷

পুলিশ অফিসার সবাই চলে এসেছে ৷দেখে বোঝাই যাচ্ছে তাদের খুব মারা হয়েছে ৷সবার চেহারায় লাল দাগ পরে গেছে ৷একজন অফিসার প্রীতিলতার দিকে এসে বললেন

আপনার শরীরে এত রক্ত কেন ৷আপনি ঠিক আছেন ৷

প্রীতিলতা এত মানুষের ভিড়ে নিজের মানুষ গুলোকে খুজে না পেয়ে বলল

অফিসার শান্ত কোথায় ৷তার স্ত্রীকেও তো দেখছি না ৷আর আমার সাথে যেই অফিসাররা এসে ছিলেন ৷তারাই বা কোথায় ৷

আমরা জানি না ৷ আমাদের সাথে তাদের রাখা হয় নি ৷আপনার কথা মতো আমরা সব ব্যবস্থা করছিলাম ৷কিন্তু তার আগেই এসিপি স্যার সব শেষ করে দেয় ৷ যতক্ষনে আমরা জানলাম উনি মূল কালপিট ৷ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে যায় ৷আপনার বাবা এসিপি শরীফ তাদের হাতে বন্দি ছিল ৷আপনি ভেতরে ঢোকার কিছুক্ষন পরেই আমাদের উপর হঠাৎ হামলা হয় ৷আমরা কিছু করবো ৷তার আগেই দেখতে পাই আপনার বাবা ওদের হাতে বন্দি ৷কিছু করার ছিল না আমাদের ৷

বাবা ওদের হাতে বন্দি মানে ৷আমার বাবা কোথায় এখন ৷প্রীতিলতা চিৎকার করে বললো ৷

আমরা জানি না ৷কিন্তু আমাদের সাথেই এই বাড়ীর ভেতরে নিয়ে আসা হয়েছে ৷

প্রীতিলতা বলল অফিসার আপনারা মেয়েদের নিয়ে চলে যান এখান থেকে ৷কেন যেন মনে হচ্ছে বিপদ এখনো কমে নি ৷আর বাকি অফিসাররা নিচ থেকে আসছে না কেন ৷

ম্যাডাম নিচে নকল বোমা লাগানো হয়েছে ৷বাইরে থাকা সকল অফিসার আর লোকেরা ভাবছে তারা ভেতরে আসতে চাইলে বোমা ফাটবে ৷তাই ভয়ে কেউ আসছে না ৷আর তারা আসলে আমাদের জীবন আরো সংকটে পড়ার ঝুকি আছে ৷তাই ভয়ে কেউ আসছে না ৷

ওকে আপনারা মেয়েদের নিয়ে তাহলে বাইরে চলে যান ৷শুধু দুইজন থাকুন এখানে ৷বাকিদের আমি খুজতে যাবো ৷

কিন্তু ম্যাডাম যদি কিছু হয় ৷

প্লিজ আপনারা যান ৷এখানে যে কোনো কিছু হতে পারে ৷আমার যতটা ধারনা এখানে আরো বিপদ আছে ৷আপনারা যান দয়া করে ৷মেয়ে গুলোর কিছু হলে ওদের মা বাবা বাচঁবে না ৷তাড়াতাড়ি যান ৷

অফিসাদের মধ্যে সবাই মেয়েদের নিয়ে চলে গেল ৷শুধু দুইজন রয়ে গেল ৷প্রীতি তাদের নিয়ে তন্ন করে খুজতে লাগলো বাকিদের ৷অবশেষে একটা বদ্ধ ঘরের দিকে তাকিয়ে প্রীতি থেমে গেল ৷ঘরটা বাইরে থেকে তালা দেওয়া ৷প্রীতি অফিসারদের তালা ভাঙ্গতে বললেন ৷ পাশে থাকা পাথর দিয়ে বারি দিতেই তালা ভেঙ্গে গেল ৷প্রীতি আস্তে করে ছিটকিনি খুললো ৷দরজার ওপাশে যেকোনো বিপদ থাকতে পারে ৷প্রীতি আস্তে ঘরে দরজা খুললো ৷

দরজা খুলতেই প্রীতিলতার মুখে হাসি ফুটে উঠলো ৷তার প্রিয় মানুষ গুলো তারই চোখের সামনে আছে ৷প্রীতি ছুটে ওদের কাছে যেতে লাগলো ৷আপন মানুষ গুলো ভালো আছে ৷এর থেকে খুশির আর কিছুই হতে পারে না ৷কিন্তু প্রিয়জনদের কাছে তার আর যাওয়া হলো না ৷পেছন থেকে একটা ধারালো অস্ত্র প্রীতির শরীরকে আঘাত করলো ৷পিঠ ভেদ করে পেটের বাইরে চলে এলো ধারালো ছুড়িটা ৷পেছন থেকে কেউ একজন ছুড়িটা বের করে নিল প্রচন্ড গতিতে ৷ প্রীতি আহ করে চিৎকার করে উঠলো ৷তারপর আবারো ঢুকিয়ে দিল প্রীতিলতার পিঠে ৷প্রীতির মুখ থেকে একটা কথাও বের হলো না আর ৷টলমল চোখে তাকিয়ে রইলো সামনে থাকা মানুষ গুলোর দিকে ৷এসিপি শরীফ হাত পা বাধাঁ অবস্থায় ছটফট করছে ৷নিজের মেয়েকে এভাবে আঘাত প্রাপ্ত হতে কোনো বাবাই দেখতে পারে না ৷হয়তো চিৎকার করছে ৷তাই মুখটা বাধাঁ থাকলেও আর্তনাদ ঠিকই শোনা যাচ্ছে ৷উপস্থিত অফিসার নিজেদের ছোটাতে চেয়েও পারছে না ৷প্রীতির সাথে আসা অফিসারদের চারজন লোক ধরে রেখেছে ৷ প্রীতিকে আঘাত করা লোকটা তার লোকেদের বলল

বাইরে থেকে একটা মানুষও যেন না আসতে পারে আগুন লাগিয়ে দে দুই তলায় থেকে তিন তলায় আসার পথে ৷ আমরা এমনিতেও পুলিশের হাত থেকে বাচঁবো না ৷তাহলে ওদের কেন ছেড়ে দেব ৷

বাকি অফিসারদের বেধেঁ লোক গুলো চলে গেল ৷প্রীতিলতা পরে আছে ফ্লোরে ৷লোকটা প্রীতিলতার চুল ধরে টেনে তুলে বলল

কি রে শেষ তোর সব তেজ ৷আমাকে মারবি না ৷কিন্তু দেখ আমি নিজেই তোকে মেরে দিলাম ৷তুই এতক্ষন কি কি করছিস সব আমি দেখেছি ৷ এই পুরো বাড়ীতে সিসি ক্যামেরা আছে ৷বেশ ভালোই লাগছিল ৷তবে মানতে হবে তোর বুদ্ধি আছে ৷ তা না হলে প্রদীপের মুখোশ ফাঁস করে দিলি ৷আবার আমার অপকর্মের কথাও ফাঁস করলি ৷আর তোর ভাই ঐ আবেশ ৷ওকে তো আগেই শেষ করা দরকার ছিল ৷শালী এখানে আসার আগে আমার সব তথ্য ওর ইমেইলে পাঠিয়ে দিলি ৷আর ও সাংবাদিকদের কাছে সব দিয়ে দিল ৷

প্রীতি সামনে থাকা লোকটার দিকে তাকিয়ে কাপাঁ কাপাঁ গলায় বলল

বেশ করেছি আমি ৷ কেন আমার পরিবারটা শেষ করলে জামিল কাকা ৷আমরা কি অপরাধ করে ছিলাম ৷প্রীতি নিজের চোখের পানি ছেড়ে দিল ৷

জামিল প্রীতির গাল চেপেঁ ধরে বলল

ভালোবাসতাম তোর মাকে আমি ৷কিন্তু তোর বাপ এসে সব শেষ করে দিল ৷মাথা খারাপ হয়ে যেত ওদের একসাথে দেখলে আমার ৷স্কুলে পড়া লেখা করার সময় তোর দাদা সাথে নারী পাচারের কাজে ঢুকে পড়ি আমি ৷সব ঠিকই ছিল ৷কিন্তু তোর বাবা সবটা যেনে গেল ৷শালা বারবার হুমকি দিয়েই যাচ্ছিলো ৷এই করবে সেই করবে ৷তাই প্লান করেই ওকেই ওপরে পাঠিয়ে দিলাম ৷ আর তোর মায়ের প্রতি থাকা অতৃপ্ত বাসনা পূরন করে নিলাম ৷তোর চাচা দ্বীপকে মারা প্লানে আমারও হাত ছিল ৷ শালঅ বেশি উড়ছিল ৷ তারপর এলো তোর ঐ দাদিটা ৷ওটা আধা পাগল হলে কি হবে ৷আয়ানকে মারার আগে সব প্লান জেনে গিয়ে ছিল ৷ নিজের মাকে খুন করার কাজটা মিহান করেছে ৷তারপরের কাজটা আমি করেছি ৷তবে একটা কথা মানতেই হবে আমাদের প্লানে শুধু একটা ভুল রয়ে গেছে ৷আর তা হলো তোকে ঐ দিন টুকরো টুকরো না করা ৷

পেছন থেকে দুইজন লোক এসে জামিলকে বলল

স্যার আগুন ছড়িয়ে পড়ছে ৷দাহ্য পদার্ধের জন্য আগুন পুরো বাড়ী ছড়িয়ে পড়বে কিছুক্ষনের মধ্যে ৷

জামিল প্রীতির কাছে গেল ৷ তারপর ওর গলা দুই হাতে চেপেঁ ধরে বলল

এবার কালেমা পড়ে উপরে ……৷আর কিছু বলতে পারলো না জামিল ৷গলায় তীব্র ব্যথা অনুভব করলো সে ৷ তাকিয়ে দেখলো প্রীতি ওর গলায় একটা ইঞ্জেকশন পুশ করেছে ৷প্রীতির ফেকাসে হয়ে যাওয়া মুখটায় শয়তানি বাকাঁ হাসি ৷জামিল কিছু বলার আগেই প্রীতি বলল

ওপারে দেখা হবে তোর সাথে ৷পটাসিয়াম সায়ানাইড দিলাম তোকে ৷ আসার সময় সাথে নিয়ে এসে ছিলাম ৷তোকে মারার জন্য কাজে লেগে গেল ৷

জামিলের লোকেরা কিছু করার আগেই প্রীতি জামিলের কোমরের থেকে পিস্তল নিয়ে গুলি করতে লাগলো ৷পরপর চারটা গুলি করার পর প্রীতির হাত থেকে পিস্তল পরে গেল ৷জামিলের মুখ থেকে ফেনা বের হতে শুরু করেছে ৷পাশেই মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে সে ৷ প্রীতি ফ্লোরে ছেচড়াতে ছেচড়াতে শান্তর কাছে গেল ৷একহাতে নিজের পেট চেপে ধরে সে যেতে লাগলো ৷তীব্র পোড়া গন্ধ আসছে নাকে ৷হয়তো আগুনে সব পুড়ে যাচ্ছে ৷প্রীতি শান্তর এক হাতের বাধঁন খুলে দিতেই শান্ত দ্রুত নিজের অপর হাতের বাধঁন খুলে নিল ৷প্রীতিকে কিছু বলবে তার আগেই প্রীতি বলল

আগে ওদের মুক্ত করো ৷বাইরে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে ৷

শান্ত সবার হাত খুলে দিল ৷শরীফ মেয়ের কাছে দৌড়ে এলেন ৷নিজের কলিজার টুকরাকে দুই হাতে জরিয়ে ধরে বলল

আমার মায়ের একি হাল হয়েছে ৷বেশি কষ্ট হচ্ছে আমার মায়ের ৷একবার এখান থেকে বের হই ৷তারপর অনেক বড় হাসপাতালে আব্বু তোকে নিয়ে যাবে ৷আব্বু তোর কিছু হতে দেবে না ৷আমরা খুব ভালো থাকবো দেখিস মা ৷

প্রীতি কাপাঁ কাপাঁ হাতে শরীফের চোখের পানি মুছে দিল ৷ শরীফের ডান হাতে চুমু খেয়ে বলল

খুব কষ্ট হচ্ছে না ৷আমারও কষ্ট হয়ে ছিল ৷ এর থেকেও বেশি ৷এবার বুঝতে পারছো ভালোবাসার মানুষদের খুন কতটা কষ্টের ৷কতটা যন্ত্রনার ৷

প্রীতি অর্ধ খোলা চোখে শান্তর দিকে তাকিয়ে আস্তে করে বলল

শান্ত সবাইকে নিয়ে তাড়াতাড়ি যাও ৷আগুন ছড়িয়ে পড়ছে ৷আমি আসছি ৷তোমরা যাও ৷

অন্য অফিসাররা বের হওয়ার পথ খুজতে চলে গেল অনেক আগেই ৷তিন তলায় আগুন ছেয়ে যাচ্ছে ৷ হয়তো কিছুক্ষন পর সব গ্রাস করবে সর্বনাশের আগুন ৷ কিছুক্ষন পর দুইজন অফিসার এসে বলল

স্যার বের হওয়ার একটা রাস্তা পেয়েছি ৷ তাড়াতাড়ি চলুন ৷ দড়ি দিয়ে নিচে নামতে হবে ৷ প্রীতিকে এই অবস্থায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব না ৷ শরীফকে কেউ নিয়ে যেতে পারছিল না ৷তাই বাধ্য হয়ে প্রীতি আত্মহত্যার হুমকি দেয় ৷শরীফ মেয়ের জীবন বাচাঁতে অফিসারদের সাথে যায় ৷লক্ষ বাইরে যেয়ে মেয়েকে বের করার ব্যবস্থা করবেন ৷কারন এই অবস্থায় প্রীতি দড়ি বেয়ে নিচে নামতে পারবে না ৷শান্ত জবাকে প্রীতির পাশে রেখে বাকি অফিসারদের নিয়ে চলে গেল ৷সবাই দড়ি বেয়ে নিচে নামার পর শান্ত প্রীতি আর জবার কাছে দৌড়ে এলো ৷কিন্তু ততক্ষনে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে ৷শান্ত এসে দেখলো জবা কাদঁছে ৷জবা কাদঁতে কাদঁতে বলল

আপু কথা বলছে না ৷তুমি দেখ না কি হয়েছে তার ৷শান্ত প্রীতির মাথা নিজের কোলে নিয়ে নিল ৷তার চোখেও পানিও ৷প্রীতির রক্তে ফ্লোর লাল হয়ে গেছে ৷শান্ত হালকা চড় দিয়ে ডাকতে লাগলো প্রীতিকে ৷

ম্যাডাম উঠুন ৷উঠুন ম্যাডাম ৷চলে যাবেন না ম্যাডাম ৷উঠুন প্লিজ ৷

হালকা চড়ের আঘাতে মৃদু চোখ মেলে তাকালো সে ৷তারপর বলল

তোমরা এখনো আছো কেন ৷তাড়াতাড়ি যাও ৷নইলে আর যেতে পারবে না ৷

প্রীতিলতা ঘনঘন নিঃশ্বাস নিয়ে যাচ্ছে ৷শান্ত প্রীতির চুল গুলো ঠিক করতে করতে বলল

আপনার কিছু হবে না ম্যাডাম ৷আপনি আবার আগের মতো হয়ে যাবেন ৷

প্রীতিলতা শান্তর দিকে তাকিয়ে বলল এই যাত্রায় তা আর হচ্ছে না ৷নিজের ডান হাতটা উঠিয়ে প্রীতি বলল

আমার বাম হাতের তর্জনী আঙ্গুলে থাকা আংটি টা খুলে নাও ৷তোমাদের সন্তানকে দিও ৷সে বড় হলে বলো তার এক খুনী ফুপি দিয়েছে ৷শেষ বিদায়ে দেওয়ার মতো আর কিছুই নেই আমার ৷ আমার ঘরের টেবিলে একটা চিঠি আছে ৷আমার হয়ে তাকে দিয়ে দিও ৷আমার না হওয়া ঐ মানুষটাকে দিও ৷ সবাইকে আমার হয়ে চির বিদায় জানিয়ে দিও ৷বলে দিও প্রীতি লতা আর ফিরবে না ৷

চলবে