#ফুলপিসি
#লেখা_Bobita_Ray
শেষপর্ব
পৃথিলা খুব কষ্টে বাবার বাড়ি দুটো দিন থাকল। জন্ম থেকে এই বাড়িতে বেড়ে ওঠেছে পৃথিলা। তারপরও বাড়িটা কেমন পর পর লাগছে। শুধু মনে হচ্ছে, ঋষি কখন নিতে আসবে! ঋষি যদিও বলেছিল, আরও দুটো দিন থাকো! পৃথিলা রাজি হয়নি। অধৈর্য হয়ে বলল,
-‘আমার এই বাড়িতে একদম মন টিকছে না। আমাকে নিয়ে যাও প্লিজ?
উত্তরে ঋষি হেসে দিল। আসলে ঋষিরও পৃথিলাকে ছাড়া ভাল লাগছিল না।
ফুলপিসি সোফায় পা তুলে বসে বসে, বাদাম খাচ্ছিল। আর ডিসকভারি চ্যানেলে, ‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’ শো দেখছিল। কেবলই বিয়ার ঘন জঙ্গল থেকে একটা কালো রঙের পোকা ধরে এনে তাতে কামড় বসাল। তারপর সময় নিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে খেলো আর পোকা খেলে কী কী প্রোটিন পাওয়া যায় তা একনাগাড়ে বলতে লাগল। বাদাম খাওয়া বাদ দিয়ে, বড় বড় চোখ করে ফুলপিসি খুব মনোযোগ দিয়ে পোকা খাওয়ার দৃশ্যটা দেখছিল। ঠিক তখনই পৃথিলা আচমকা এসে ফুলপিসির গলা জড়িয়ে ধরল। চমকে উঠে বুকে থু থু দিল পিসি। ভীতু কণ্ঠে বলল,
-‘ওই ছেমড়ি ভয় দেখিয়ে, মেরে-টেরে ফেলবি না কী আমারে?
পৃথিলা সে’কথায় উত্তর দিল না। বলল,
-‘তুমি কেমন আছো পিসি?
-‘এতক্ষণ একটু একটু ভাল ছিলাম। এই যে তুই আসলি। এখন অনেক বেশি ভাল আছি।
ঋষি ফোঁড়ন কেটে বলল,
-‘ফুলপিসির কথায় পটে যেও না পৃথিলা। আজ সকালেও আমাকে বুদ্ধি দিচ্ছিল। বউ বাপের বাড়ি বেড়াতে গেছে। এই সুযোগে চিল কর চিল। এই প্যারা এত তাড়াতাড়ি আনার দরকার নেই।
ফুলপিসি ক্ষেপে গেল। ঋষির কান মলা দিয়ে বলল,
-‘মিথ্যে বলোস কেন গাধার বাচ্চা? তুই তো বললি, বিয়ে করে ফেঁসে গেছোস। পৃথিলা না কী তোর…
আর কিছু বলার আগেই ঋষি আস্ত দু তিনটে বাদাম পিসির মুখের ভেতর গুঁজে দিয়ে, মুখ বন্ধ করে দিল।
পৃথিলা কনফিউজড হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। এখন কার কথা বিশ্বাস করবে? বুঝতে পারছে না।
ঋষি, পৃথিলাকে জোর করে ঘরে নিয়ে গেল। ফুলপিসি মুচকি হেসে শো দেখায় মনোযোগ দিল। এই শো টা দেখতে এত কেন ভাল লাগে, কে জানে!
ফুলপিসি ঘরে গিয়ে দেখল, অনিলবাবু শুয়ে আছে। পিসি কিছু বলল না। বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়াল। বাতাসে এলোমেলো চুলগুলো উড়ছে। শাড়ির আঁচল মাটিতে লুটিয়ে পরেছে।
“ওই দূর আকাশের আলো ঝলমলে চাঁদটাও বোধহয় ফুলপিসির দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসছে।”
প্রতি মাসের প্রথম দুটো দিনের জন্য অনিলবাবু উধাও হয়ে যায়। দুটো দিন পর ফিরে এসে বলে,
-‘অফিস থেকে মিটিং এ গিয়েছিলাম।
বিয়ের পর পর অবশ্য যেতো না। কিন্তু বিয়ের সাত বছর পর থেকে নিয়ম করে যায়। প্রথম প্রথম ফুলপিসিও বোকার মতো অনিলবাবুর কথা বিশ্বাস করে নিতো। অনেক পরে জানতে পেরেছে, আসলে ট্রেনিংয়ের নাম করে মানুষটা তার পুরোনো প্রেমিকার সাথে দেখা করতে যায়। সেখানে গিয়ে দুটো দিন থাকে। শুধু তাই না। পেনশনের অর্ধেক টাকাও তার পুরোনো প্রেমিকাকে দিয়েছে। আগে বেতনের টাকাও দিতো। ফুলপিসি সবকিছু জানে, বুঝে, দেখে, তারপরও চুপ করে থাকে। কিছুই বলে না। কী লাভ শুধু শুধু অশান্তি করে? দুটো দিন তার প্রেমিকাকে দিলেও বাকি আটাশ দিন তো ফুলপিসিকে দেয়। এতেই খুশি মানুষটা। আদৌও প্রেমিকা থেকে বউ হয়েছে না কী! তাও সঠিক জানে না ফুলপিসি। জানার চেষ্টাও করে না। কিছু কিছু কথা অজানা থাকায় ভাল।
অনিলবাবু, পিসির কাঁধে হাত রাখতেই ফুলপিসি খিলখিলিয়ে হেসে দিল। এই হাসি দিয়েই তো সমস্ত দুঃখ লুকিয়ে রাখে মানুষটা। অনিলবাবুর ভুঁড়িতে গুঁতো দিয়ে বলল,
-‘এই বুড়ো? এতরাতে ঘুম বাদ দিয়ে এখানে কী করছো?
অনিলবাবু হেসে দিল। ফুলপিসির কাঁধ জড়িয়ে ধরে বলল,
-‘বউ ছাড়া তো আজকাল ঘুমই হয় না আমার।
কী নিখুঁত অভিনয়? অভিনয় কী মানুষটা একাই করতে পারে? উহুম..ফুলপিসিও করতে পারে। এই তো বছরের পর বছর মানুষটার সাথে পাল্লা দিয়ে নিখুঁত অভিনয় করে দিব্যি হেসে-খেলে, আনন্দ-আমুদে কাটিয়ে দিচ্ছে। মানুষটা যদি জানতো, ফুলপিসি সবকিছু জানে। লজ্জায় মাথা তুলে, চোখে চোখ রেখে তাকাতেই পারতো না কিংবা অনুতাপের আগুনে পুড়তে পুড়তে শেষ হয়ে যেতো। কী দরকার মানুষটাকে এই বয়সে ভড়কে দেওয়া? ভালোবাসার অভিনয় করছে করুক না। দেখতে মন্দ লাগে না।
ফুলপিসি পিসেমশাইকে জাপ্টে ধরে বলল,
-‘এই বুড়ো চলো.. চলো? শুতে চলো? আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।
-‘আহা..ফুলি? কী করছো কী? ছাড়ো?
-‘উহুম ছাড়ব না।
-‘পাগলী বউ আমার।
পৃথিলা কনসিভ করেছে। কথাটা শুনে সব চেয়ে বেশি খুশি হলো ফুলপিসি। সারাক্ষণ আঠার মতো পৃথিলার সাথে লেগে থাকে। আর একটু পর পর বলে,
-‘কামডা করলি কী ছেমড়ি? তোগোই ভগবান পেট দিছে। শুইলেই বেঁধে যায়। আর আমার পেট দ্যাখ? দিন দিন খালি চর্বিতেই মোটা হচ্ছে।
উত্তরে পৃথিলা লাজুক হাসে। ফুলপিসির উচ্ছ্বাস দেখে পৃথিলার খুব ভাল লাগে। ঋষির মাসি, মামীরা প্রায়ই পৃথিলাকে ফোন করে বলে,
-‘ তোমাদের বন্ধ্যা ফুলপিসির কাছ থেকে দূরে দূরে থাকবা বৌমা। বলা তো যায় না। কখন নজর লেগে যায়।
পৃথিলার ভারি মন খারাপ হয়। টক্সিক মানুষগুলোর সাথে একদম কথা বলতে ইচ্ছে করে না। তারপরও দাঁতে দাঁত চেপে তিক্ত কথা গুলো হজম করে নিতে হয়। মানুষটা কী ইচ্ছে করে বন্ধ্যা হয়েছে? না তো। তাহলে কেন এই মানুষটাকে নিয়ে সবসময় এত কথা হবে? ঋষিকে বললে ঋষি ক্ষেপে যায়। বলে,
-‘তুমি আর ওনাদের ফোন ধরবে না। দাঁড়াও আমি ফোন করে জিজ্ঞেস করতেছি।
পৃথিলা জোর করে ঋষিকে থামায়। বলে,
-‘কথাগুলো যদি কোনভাবে ফুল পিসির কানে যায়। মানুষটা কত কষ্ট পাবে। সেই ধারণা আছে তোমার?
ঋষি দমে যায়। আর কিছু বলার সাহস পায় না।
দেখতে দেখতে পৃথিলার বাচ্চা হওয়ার ডেট ঘনিয়ে এলো। সাত মাসের সময় আল্ট্রাসনো করে জানা গেছে, পৃথিলার জমজ বাচ্চা হবে। কথাটা জানার পর, ঋষি, পৃথিলা এত খুশি হয়েছে বলার মতো না। পৃথিলাকে ঘুমের সময়টুকু বাদে সারাক্ষণ চোখে চোখে রাখে ফুলপিসি। পৃথিলার কখন কী লাগবে, কখন কী খাবে, সব দিকেই নজর মানুষটার। একদম মায়ের মতো ভালোবেসে আগলে রাখে।
পৃথিলার একটা ছেলেবাবু আরেকটা মেয়েবাবু হয়েছে। ফুলপিসি, পৃথিলার মেয়েবাবুর দিকে মায়াভরা চোখে তাকিয়ে থাকে। আর কী যেন গভীর মনোযোগ দিয়ে ভাবে। মনের অজান্তেই দুচোখ ভিজে ওঠে মানুষটার।
পৃথিলাকে বেডে দেওয়া হয়েছে। হাত বাড়িয়ে ফুলপিসিকে কাছে ডাকল পৃথিলা। বলল,
-‘তোমার কী বাবু বেশি পছন্দ পিসি?
ফুলপিসি মুখ ফস্কে বলে ফেলল,
-‘মেয়েবাবু।
ঋষি মেয়েবাবুকে ফুলপিসির কোলে তুলে দিল। পৃথিলা ধীর কণ্ঠে বলল,
-‘আজ থেকে এই মেয়েটা তোমার পিসি।
ফুল পিসির সর্বাঙ্গ কেঁপে উঠল। হাতদুটোও অসম্ভব কাঁপছে। এত খুশি বোধহয় জীবনেও হয়নি মানুষটা। বার বার চোখ মুছে, বিড়বিড় করে বলছে,
-‘দেখো মেয়ের কাণ্ড। আমি বুড়ো মানুষ। এই বয়সে বাচ্চা পালতে পারব না কী?
পৃথিলার অবশ ছুটে যাচ্ছে। পেটের ব্যথা ধীরে ধীরে তীব্র হচ্ছে। পৃথিলা ক্লান্ত কণ্ঠে বলল,
-‘আমি আরও পারব না পিসি। ওকে আমি সারাজীবনের জন্য গিফট দিলাম তোমাকে। তুমি খুব যত্নে রেখো ওকে।
ফুলপিসি মেয়েবাবুর কপালে চুমু এঁকে দিল। এতটুকু বাচ্চা অথচ কপাল কুঁচকে ফুল পিসির দিকে মিটিমিটি চোখ করে তাকিয়ে আছে। হয়তো বোঝার চেষ্টা করছে, এ আবার কোথায় এসে পড়লুম? এতদিন তো ভালোই ছিলাম। অতিরিক্ত খুশিতে ফুলপিসি বার বার চোখ মুছছে। কী আশ্চর্য এত কেন কান্না পাচ্ছে?
ঋষি-পৃথিলা একটা বাবু ফুলপিসিকে দিয়ে দিয়েছে। এই কথাটা সহজ ভাবে কেউ মেনে নিতে পারছে না। ঋষি কড়া কণ্ঠে সবাইকে বলে দিয়েছে,
-‘বাচ্চাদের নিয়ে যদি এই বাড়িতে আর একটাও কথা উঠে। ওরা বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। এরজন্য এখন সামনে আর কেউ কিছু বলে না। তবে পেছনে গসিপ করে খুব। তাতে ওদের বয়েই গেছে।
এতগুলো বছর পর মানুষটা মন খুলে হাসে। বাচ্চা কেঁদে দিলে মানুষটার চোখেও জল এসে যায়। দৌঁড়ে পৃথিলার কাছে নিয়ে আসে। অস্থির হয়ে বলে,
-‘এই পৃথিলা? দ্যাখ না রুলিটা কাঁদছে খুব। বোধহয় খিয়ে লেগেছে। একটু খাইয়ে দে না মা?
পৃথিলা বিরক্ত হলো। মেয়েকে টেনে নিয়ে ব্রেস্টফিডিং করিয়ে দিয়ে বলল,
-‘তোদের খিদে লাগার আর সময় পায় না। আমি যখনই ঘুমাতে নেই। তখনই তোরা বিরক্ত করিস।
ফুলপিসি মিনমিন করে বলল,
-‘আহ্..পৃথিলা ওকে বকছিস কেন? খিদে পেলে ও কী করবে?
-‘এরপর থেকে তোমার মেয়ে তুমি খাওয়াবা।
-‘আচ্ছা।
মুখে ‘আচ্ছা” বললে, কী হবে! মেয়েটার খিদে লাগলেই মেয়ে কোলে নিয়ে দৌঁড়ে আসে ফুলপিসি। পৃথিলা যদি বলে,
-‘কেনা দুধ খাওয়াতে পারো না?
ফুলপিসি আঁতকে উঠে। বলে,
-‘এ কেমন কথা পৃথিলা? ও অপুষ্টিতে ভুগবে না? আটটা মাস তুই একটু কষ্ট কর না সোনা। তারপর থেকে আর তোকে জ্বালাব না।
আশ্চর্যজনক ভাবে জনম ভাইবোন হলেও দুজনের চেহারা দুই রকম হয়েছে। কারো সাথে কারো চেহারার মিল নেই।
ছয় বছর পর,
পৃথিলার ছেলে প্রীতম আর ফুলপিসির মেয়ে রুলি বারান্দায় বসে বসে খেলছে। দুপুরে প্রতীম খায়নি দেখে, পৃথিলা রেগে গিয়ে ধুমধাম করে প্রীতমের পিঠে দুটো থাপ্পড় মেরে দিয়েছে। মায়ের হাতে মাইর খেয়ে প্রীতমের খুব মন খারাপ। আফসোস করে রুলিকে বলল,
-‘ইশ, আমি যদি তোর মায়ের পেটে জন্ম নিতে পারতাম!
রুলি অবাক হয়ে বলল,
-‘তুই আমার মায়ের পেটে জন্ম নিবি কেন?
প্রীতম বলল,
-‘তোর মা কত ভাল। তুই দুষ্টমি করলেও তোকে মারে না। বকা দেয় না। সারাক্ষণ আদর করে। তুই যা চাস, তাই এনে দেয়।
রুলি বলল,
-‘আমার মা বলে, আমি না কী ভগবানের দেওয়া তার জীবনের সেরা গিফট। তাই মা আমাকে এত্ত আদর করে। আমিও আমার মাকে অনেক ভালোবাসি।
ফুলপিসি রুলিকে খুঁজতে খুঁজতে ঋষিদের বেলকনিতে এসে পেল। বিড়বিড় করে বলল,
-‘উফ, এই মেয়ে আমাকে পুরো পাগল বানিয়ে দেবে। সারাক্ষণ ওর পেছনে ঘুরঘুর করলেই আমার প্রেশার বেড়ে যায়। এক জায়গা দুদণ্ড বসে খেলে না। একদম ঋষির মতো বিচ্ছু হয়েছে। মুখে বলল,
-‘রুলি মা। কী করো তুমি? আজ স্কুল বন্ধের দিন। পার্কে যাবে না?
রুলি দৌঁড়ে এসে ফুলপিসিকে জড়িয়ে ধরল। খুশিতে গদগদ হয়ে বলল,
-‘হ্যাঁ মা। যাব তো।
প্রীতম এগিয়ে এলো। ফুলপিসিকে বলল,
-‘আমাকেও তোমাদের সাথে নিয়ে যাবা বড়দিদি?
পৃথিলা দরজার সামনে এসে দাঁড়াল। বলল,
-‘না প্রীতম। আমরা আজ তোমার মামা বাড়ি বেড়াতে যাব।
-‘আমি যাব না মা। আমি রুলির সাথে ঘুরতে যাব।
-‘সামনে সপ্তাহে যেও বাবা।
প্রীতম মন খারাপ করে ঘরে চলে গেল। রুলিকে দেখে মাঝে মাঝে খুব হিংসা হয় প্রীতমের। এক বাড়িতে থেকেও রুলি পায় অবাধ স্বাধীনতা। আর প্রীতমের বেলায় যত নিষেধাজ্ঞা। এখানে যেও না, ওখানে যেও না। এটা করা যাবে না। ওটা করা যাবে না। অসহ্য!
রুলি না পড়লেও ওর মা কিছু বলে না। পৃথিলা যদি পড়া নিয়ে ফুলপিসিকে কিছু বলে। ফুলপিসি বলে দেয়।
-‘তুই বরং তোর ছেলের চিন্তা কর। আমার মেয়ের চিন্তা তোর করতে হবে না। এত ছোট বয়সে, এত পড়ে মাথাটা নষ্ট হবে না কী? রুলি পড়াশোনায় ডাব্বা মারলেও ওকে আমি ঘুষ দিয়ে, ঠিকই চাকরি পাইয়ে দেব। তোর জামাইয়ের মতো বেকার বানাবো না। শিওর।
প্রীতমকে সময় নিয়ে রেডি করিয়ে দিল পৃথিলা। তারপর নিজে রেডি হতে বসল। এই ফাঁকে প্রতীম দৌঁড়ে রুলির ঘরে চলে গেল। রুলিকে ফিসফিস করে বলল,
-‘এই রুলি, আয় আমরা মা বদল করি? তোর মাকে আমি নেব। আমার মাকে তুই নিবি।
রুলি ঝগড়ুটে ভঙ্গিতে, কোমরে দুই হাত রেখে বলল,
-‘কেন? আমার মাকে তোকে দেব কেন?
-‘বেশি না মাত্র এক সপ্তাহের জন্য বদল করব।প্লিজ?
রুলি বিরক্ত হয়ে বলল,
-‘এক সেকেন্ডের জন্যও আমার মা, তোকে দেব না আমি। তুই এখন যা তো।
প্রীতম মন খারাপ করে চলে গেল। দুজনের খুনসুটি দেখতে বেশ লাগে ফুলপিসির। মনে মনে ভাবে,
-‘ ভাল থাকার মূলমন্ত্র জানা থাকলে, ছোট্ট একটা জীবন হেসে-খেলে, আনন্দ-আমুদে দিব্যি কাটিয়ে দেওয়া যায়।”
(সমাপ্ত)