গল্প:- #বিয়ের_বন্ধন
লেখা_মোহাম্মদ_সৌরভ
বাসর ঘরে ঢুকে দেখি বউ মোবাইলে কথা বলতেছে। আমাকে দেখে অবাক হয়ে হাত থেকে মোবাইলটা ফেলে দিয়েছে। মোবাইলের স্কিনে ইমরান নামটা ভেসে আছে। আমি একবার মোবাইলের দিকে আরেক বার তসিবার দিকে তাকিয়ে আছি। তসিবা মাথাটা নিছু করে রাখছে আমি মোবাইলটা হাত নিয়ে তসিবার হাতে দিলাম।
আমি:- ইমারন তোমার কি হয়?
তসিবা:- খালাত ভাই। তখনি তসিবাকে জোরে এক দমক দিয়ে বলছি,,,,
আমি:- প্রথম রাতে মিথ্যা দিয়ে শুরু করেছো? আর বাকী জীবনটা তাহলে কি করে কাটাবা?
তসিবা:- (তুতলাতে তুতলাতে তসিবা বলে,,,) কিসের মিথ্যা বলছি যেইটা সত্যি সেইটা বলছি ইমরান আমার খালাত ভাই।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে ইমরানকে কল করো আমি ওর সাথে কথা বলবো। তখনি তসিবা আমতা আমতা শুরু করেছে। আমি ওর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।
তসিবা:- সরি মিথ্যা বলার জন্য। সত্যি বলতে ইমরান হলো আমার বয়ফ্রেন্ড। আজকে অনেক কান্না করতেছে তাই ওকে কল করে সান্তনা দিতে ছিলাম।
আমি:- তার মানে তুমি ইমরানকে অনেক ভালবাসতে?
তসিবা:- হ্যা।
আমি:- তাহলে আমাকে বিয়ে করেছো কেনো?
তসিবা:- সত্যিটা বলবো?
আমি:- হ্যা বলো?
তসিবা:- ইমরান এখনো পড়া লেখা করে। আর আমাদের পরিবারের কেও আমাদের সম্পর্কটা মেনে নিতে চাইছে না। আর এদিকে আব্বু আম্মু আমার বিয়ে দেওয়ার জন্য পাগল হয়ে উঠছে।
আমি:- কেনো?
তসিবা:- কারন আমার ছোট দুইটা বোন আছে ওদের ওত বিয়ে দিতে হবে তাই আমি বাদ্য হয়ে আপনাকে বিয়ে করেছি।
আমি:- বুঝতে পারছি। আসলে আমাদের সমাজে ছেলে পড়া লেখা করলে বা বেকার থাকলে তাদের কাছে কারো মেয়ে বিয়ে দিতে চাইনা। একটা সত্যি কথা বলবে?
তসিবা:- হ্যা বলেন কি সত্যি কথা জানতে চান?
আমি:- আমাকে মন থেকে স্বামি হিসাবে মেনে নিতে তোমার কতদিন লাগবে?
তসিবা:- (কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর বলে,,) জানি না তবে ইমরান আমার হৃদয় ঝুরে সারাটা জীবন থাকবে।
আমি:- ধন্যবাদ সত্যিটা বলার জন্য। আচ্ছা আমি যদি তোমাকে ডির্ভোস দিয়ে দেয় তাহলে কি ইমরান তোমাকে মেনে নিবে?
তসিবা:- এখন সিউর বলতে পারছি না। তবে ইমরান আমাকে অনেক লাভ করে।
আমি:- ঠিক আছে ইমরানের সাথে তুমি কথা বলো। যদি ইমরান তোমাকে মেনে নেয় তাহলে আমি তোমাকে ডির্ডোস দিবো। ডির্ভোসেরর কথাটা শুনে তসিবা আমার দিকে কেমন জানি একটা মায়াবি চোখে তাকিয়ে আছে।
তসিবা:- বাসর ঘরে ডির্ভোসের নাম নিলেন?
আমি:- হ্যা কারন তুমি জীবনেও আমাকে মন থেকে স্বামি হিসাবে মেনে নিতে পারবে না। আচ্ছা তুমি ঐ পাশে শুয়ে পড়ো আমি এদিকে শুয়ে পড়তেছি। আর হ্যা ইমরান কি বলছে সেই কথাটা আমি সকালে শুনবো তোমার কাছ থেকে।
তসিবা:- এখন ইমরানকে কল করতাম?
আমি:- হ্যা করো তাহলে ইমরান তোমাকে সহজে বিশ্বাস করতে চাইবে।
তসিবা:- ঠিক আছে।
আমি:- শুভ রাত্রি বলে ঘুমাবার বান করে শুয়ে পড়েছি। তসিবা ইমরানের সাথে কথা বলছে আর কান্না করছে। ইমারনকে তসিবা সব কিছু বলতেছে হঠাত করে তসিবা খাঠের উপর থেকে নেমে বারান্দায় চলে গেছে। আমি চোখ গুলো বন্ধ করে ঘুমবার মত শুয়ে আছি। আরে আমি তো আমার পরিচয়টা দিলাম না? আমি আল মোহাম্মদ সৌরভ একটা কম্পানিতে চাকরি করি। আব্বু চাকরি করে আর আম্মু বাড়ীতে থাকে। বড় আপুর বিয়ে হয়ছে ওনার বর সরকারী চাকরি করে।
এখন অনেক ঘুম পাচ্ছে বাকী কথা সকালে বলবো কেমন। পুরুনো কিছু স্মৃতি মনে করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে নেয়। সকালে ঘুম ভাঙ্গছে ফজরের আজান শুনে। ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামায পড়তে চলে গেলাম। নামায পড়ে এসে দেখি তসিবা শুয়ে আছে। পড়নের গহনা গুলা খুলেনি চোখের নিছে কালো দাগ হয়ে গেছে কাজল গুলা ছেত্রায় গেছে তার জন্য। মনে হয় সারা রাত অনেক কান্না করেছে আমি কিছু না বলে ওর গায়ের উপর চাদর দিয়ে শাওয়ার নিতে চলে গেলাম। শাওয়ার শেষ করেছি কিন্তু ভূলে টাওয়াল নিতে মনে ছিলো না। একবার শুধু বলছি আমার টাওয়ালটা বলে বের হয়ে দেখি তসিবা আমার টাওয়ালটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আরে তুমি আমার টাওয়াল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছো কেনো?
তসিবা:- বারে তাতে কি আপনি ভূলে টাওয়াল ফেলে চলে গেছেন তাই। আর যদি কিছু মনে করেন তাহলে যেখানেরটা সেখানে রেখে দেয়।
আমি:- মনে করার কি আছে? দাও আমার কাছে টাওয়াল হাতে নিয়ে তসিবাকে জিজ্ঞেস করেছি,,, তাহলে আমাদের ডির্ভোস কবে হবে?
তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে অবাক দৃষ্টিতে,,,, আমি আবারো বলছি ইমরান কি তোমাকে মেনে নিবে যদি আমি তোমাকে ডির্ডোস দেয়,,,,,,?
তসিবা:- হ্যা নিবে তবে একটা সমস্যা আছে।
আমি:- কি সমস্যা?
তসিবা:- ইমরানের পড়া লেখা শেষ হতে আরো ৯মাস সময় লাগবে। এই ৯ মাস আমাকে আপনার কাছে থাকতে বলছে।
আমি:- তা কি করে হয়? আর আমার একটা জীবন আছে। আমার আবার কাওকে তো বিয়ে করতে হবে।
তসিবা:- ঠিক আছে বিয়ে করেন। আপনি বিয়ে করলে আমি বাড়ী ছেড়ে চলে যাবো।
আমি:- আমরা ডির্ভোসের জন্য এপলিগেশন করবো। যতদিন ডির্ডোস না হবে ততদিন তুমি এই বাড়ীতে থাকতে পারবে। রাজি থাকলে আমি তোমাকে ইমরানের কাছে যেতে দিবো আর যদি রাজি না হও তাহলে আমার সাথে সংসার করতে হবে।
তসিবা:- ঠিক আছে আপনাকে ডির্ডোস দিয়ে আমি ইমরানের কাছে চলে যাবো। কথাটা বলে তসিবা চলে যেতেছে তখনি শাড়ীতে পা লেগে পড়ে যাচ্ছে আমি তসিবাকে ধরে নিয়েছি। আমাকে ধরছেন কেনো ছাড়েন বলছি,,, তখনি তসিবাকে ছেড়ে দিয়েছি আর তসিবা ঠাসস করে নিছে পড়ে গেছে। আর জোরে এক চিৎকার দিয়ে বলে,,, আমার কমরটা বুঝি গেছে আমি শেষ হয়ে গেলাম,,,,,,, To be continue
।।