গল্প:- #বিয়ের_বন্ধন পর্ব:-(০৬)
লেখা_মোহাম্মাদ_সৌরভ
!!!
স্বামীকে কাজিন বলতে তোর লজ্জা করছে না। তসিবা তুই কেমন মেয়েরে নিজের স্বামীকে বান্ধবীদের সাথে কাজিন বলে পরিচয় করাচ্ছিস। আচ্ছা তুই বড় হবি কবে নিজের স্বামিকে মেয়েরা আরো সব বান্ধবীর সাথে গর্ব করে পরিচয় করিয়ে দেয়। যাতে করে কোনো বান্ধবীর সাথে রিলেশনে জড়াতে না পারে। (আমি ওনার কথা শুনে থমকে গেছি। তসিবা ভয়ে কাপতে শুরু করেছে। তসিবা আমার বুকের মাঝে ওর মুখ লুকিয়ে নিয়েছে। আর ওনি তসিবাকে মন মত বলতেছে,,,)
তসিবা:- খালামনি তুমি এখানে? আসলে আমি দুষ্টমি করতেছি সৌরভের সাথে। তুমি সৌরভকে জিজ্ঞেস করো বিশ্বাস না হলে।
আমি:- আন্টি আসলে তসিবা দুষ্টমি করে বলছে। কিন্তু আপনি এখানে?
খালামনি:- রাবেয়ার আম্মু আর আমি একি অফিসে কাজ করি। আমি তোর আব্বাকে সব বলবো দিন দিন বাচ্ছাদের মত তোর আচরন করতে আরম্ভ করেছিস।
তসিবা:- খালামনি তুমি ভূলেও আব্বুকে কিছু বলোনা আমি তোমার পায়ে পড়ি প্লিজ।
খালামনি:- আর সৌরভ তুমিও কেমন তোমাকে সবার সাথে কাজিন বলতেছে তুমি দাঁত কেলিয়ে হাসতেছো। আচ্ছা তোমাদের মাঝে সম্পর্কে কোনো জামেলা হয়ছে না তো?
আমি:- আন্টি আপনি কি যে বলেন না। তসিবা আমাকে অনেক ভালোবাসে আমরা হলাম পৃথিবীতে সবচেয়ে বেস্ট স্বামী স্ত্রী। আন্টি তসিবার বাড়ীতে কাওকে কিছু বলার দরকার নেই। আমি ওর হয়ে ক্ষমা চাচ্ছি আপনার কাছে।
আন্টি:- ঠিক আছে! তসিবা তোর ভাগ্য অনেক ভালো সৌরভের মত একটা ছেলেকে বর হিসাবে পেয়েছিস। শুন স্বামিকে শাড়ীর আঁচল দিয়ে বেদে রাখবি। যদি একবার বাঁধন ছিড়ে যায় তাহলে কিন্তু সহঝে আর জোড়া দিতে পারবি না।
তসিবা:- ঠিক আছে!
খালামনি:- কি ঠিক আছে?
তসিবা:- আপনি যা বলছেন। (আন্টি রাবেয়াকে হলুদ লাগিয়ে চলে গেছে। তসিবার দিকে তাকিয়ে দেখি তসিবার প্রানটা মনে হয় ফিরে এসেছে।) জানেন এই ছোট খালামনি অনেক সাংগাতিক খালু পর্যন্ত ভয় পায়।
আমি:- দেখে বুঝা যায়। (তখনি তসিবার সব বান্ধবীরা তসিবাকে ঘিরে ধরেছে,,,,)
বান্ধবীরা:- তসিবা তোর বিয়ে হয়ে গেছে হারামি আমাদের বলিসনি। আবার নিজের বরের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিতে চাসনি। সবাই তসিবাকে না না কথা বাত্রা বলতেছে।
রাবেয়া:- তসিবা তোর বরটা অনেক সুন্দর তোর সাথে অনেক মানিয়েছে। সত্যি তুই অনেক লাকি ওনি তোর বর।
তসিবা:- হ্যা আমি অনেক ভাগ্যবতি।
বান্ধবীরা:- বিয়েতে তো দাওয়াত দেসনি এবার বল কবে ট্রিট দিচ্ছিস।
তসিবা:- আমি বললে তো আর হবে না ওকে তো ফ্রি থাকতে হবে। ( তসিবা আমার কানের কাছে এসে বলতেছে,,) শুনেন আপনি ওদের সবাইকে বলে দিন আপনার সময় হবে না। আপনার অফিসে অনেক কাজ।
আমি:- কেনো মিথ্যা বলবো কেনো?
তসিবা:- প্লিজ আমার জন্য না হয় একটা মিথ্যা কথা বলেন। তানা হলে ওরা আমাকে ফকির বানিয়ে দিবে। ওরা মাগনা পেয়ে সব রাক্ষুসের মত খেতে থাকবে প্লিজ।
বান্ধবীরা:- কিরে দুজনে কি ফিস ফিস করে কথা বলতেছিস। বল কবে আমাদের ট্রিট দিচ্ছিস।
তসিবা:- আসলে ওর অফিসের ছুটি নেই। আমি পরে তোদের ফোন করে জানিয়ে দিবো কেমন।
আমি:- তসিবা মিথ্যা বলছো কেনো আমার অফিসে তেমন কাজ নেই আপনারা যখন বলবেন তখনি আমি রাজি।
বান্ধবীরা:- তাহলে রাবের বিয়ের পরের দিন অর্থাৎ শুকরুবার কেমন। তাহলে তসিবা ঐদিকে নাছ হচ্ছে আমরা এখন নাছ দেখতে গেলাম।
তসিবা:- হ্যা যা আপনি কেনো রাজি হলেন বলেন তো? আমার কাছে টাকা নেই এখন আমি টাকা পাবো কোথায়?
আমি:- কেনো তোমার বয়ফ্রেন্ড ইমরানের কাছ থেকে চেয়ে নাও।
তসিবা:- জীবনেও আমি পারবো না দেখি আম্মুর কাছ থেকে নিবো। আপনি আমাকে ইচ্ছে করে ফাসিয়েছেন। সমস্যা নেই আমারো সময় আসবে তখন দেখবেন।
আমি:- রাত অনেক হয়ছে এবার বাড়ীতে চলো।
তসিবা:- আমার অনেক পিপাসা পেয়েছে গলা শুকিয়ে গেছে একটু পানি খেতে হবে।
আমি:- তুমি এখানে বসো আমি পানি নিয়ে আসতেছি। (তসিবাকে রেখে আমি পানি আনতে গেছি। পানি নিয়ে এসে দেখি তসিবা এখানে নেই। কিছুটা খুঁজা খুঁজির পর দেখি তসিবা ছেলেদের আড্ডায় নাছতেছে। পানির গ্লাসটা ফেলে তসিবার দিকে এগিয়ে গেছি। তসিবা মাঝে আর ছেলেরা চারদিকে গুল হয়ে নাছ করতেছে। আমি ছেলেদের ধাক্কা দিয়ে মাঝে গিয়ে দেখি ইমরানের সাথে নাছতেছে। মনটা খারাপ হয়ে গেলো ইচ্ছে করছিলো ইমরানকে কয়টা কসিয়ে থাপ্পড় বসিয়ে তসিবাকে নিয়ে যাই। কিন্তু তসিবা ইমরানকে ভালোবাসে এখানে তসিবা ইচ্ছে করে এসেছে আমি চলে আসছি বাহিরে। চেয়ারে বসে তসিবার কাহিনী গুলা দেখছি তখনি একটা ছেলে এসে বলে,,,,
ছেলে:- আপনার নাম সৌরভ আর আপনি কি তসিবার বর?
আমি:- হ্যা আমার নাম সৌরভ আর তসিবা আমার বউ। আপনি কে?
ছেলে:- আমি কে তা না জানলে হবে আপনি তসিবাকে কিছু বলছেন না কেনো? আর ইমরান কিন্তু ছেলে হিসাবে ওতটা ভালো না। তসিবা যানে ইমরান গরিব পরিবারের ছেলে কিন্তু ইমরান হলো ধনি পরিবারের ছেলে। তসিবা অনেক ভালো মেয়ে তাই ওর ইমুশনাল ভাবে ইমরান ওকে প্রেমে ফেলছে।
আমি:- কিন্তু আপনি এত কিছু জানেন কি করে?
ছেলে:- আমার সম্পর্কে না জানলে হবে। আর তসিবার কিন্তু এখন হুস নেই ওকে পানির সাথে ড্রিংক্স মিসিয়ে খাওয়ানো হয়ছে। (কথা গুলো বলে ছেলেটা অনুষ্টান হতে বের হয়ে গেছে)
আমি:- যাই আগে তসিবাকে এখান থেকে বাসায় নিয়ে যাই। নাছের যায়গায় গিয়ে প্রথমে মিউজিক বন্ধ করে দিয়েছি। আর সবাই নাছ বন্ধ করে দিয়ে সোজা তসিবার কাছে চলে গিয়ে তসিবার হাত ধরে টেনে নিয়ে আসতেছি। তখনি তসিবা নিজের হাতটা টান মেরে ছাড়িয়ে নিয়েছে,,,,
তসিবা:- আপনার সাহোস হলো কি করে আমাকে স্পর্শ করার। আপনি তো বলছেন আমি মরে গেলেও আমাকে স্পর্শ করবেন না। ঐ মিউজিক বন্ধ করছে কে রে এ মিউজিক চালু করো।
আমি:- তসিবা হচ্ছে টা কি এমন করছো কেনো এখন তোমার সেন্স নেই। তুমি বাসায় যাবে এখনি চলো আমার সাথে। আবারো তসিবার হাত ধরেছি তসিবা ঠিক আবার হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে বলে,,,,
তসিবা:- এই আপনার লজ্জা করে না মেয়েদের হাত ধরতে। আপনার মত বেহায়া ছেলে আমার জীবনে কম দেখছি। কত অপমান করি তাও আমার সাথে কথা বলেন। আমি হলে না জীবনেও আপনার সাথে কথা বলতাম না। তখনি ইমরান এসে আমাকে বলে,,,,
ইমরান:- সৌরভ তুমি বাসায় যাও আমি তসিবাকে ড্রপ করে দিবো বাসায়।
আমি:- খেয়ালের কাছে নিজের মুরগি বাগী দিবো তুমি কি করে বুঝলে।
ইমরান:- মানে তুমি কি বলতে চাচ্ছো?
আমি:- যা বুঝার বুঝো আর আমি বাংলাতে বলছি। এতদিন আমি তসিবাকে তোমার হাতে তুলে দিতে চাইছি কিন্তু আজকের পর আর তোমার কাছে যেতে দিবো না। যেহেতু বিয়ের বন্ধনে জড়িয়ে গেছি তা আর ছিড়ে যেতে দিবো না।
ইমরান:- তসিবা কোনো দিন তোমার হবে না। তসিবা আমাকে আর আমি তসিবাকে ভালোবাসি। আর তুমি তসিবাকে ভালোবাসো এক হাতে তালি বাজেনা।
আমি:- কে বলছে বাজেনা এই দেখো তালি বলে আঙুল দিয়ে তুরি মেরে দেখিয়ে দিয়েছি। ইমরান সহ সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তসিবা চলো অনেক হয়ছে তোমার রং তামাশা।
তসিবা:- আমি যাবো না আপনার সাথে। তখনি তসিবাকে একটা জুড়ে থাপ্পড় দিয়েছি আর সাথে সাথে তসিবা গালে হাত দিয়ে চেয়ারে বসে পরেছে।
ইমরান:- তোর এত বড় সাহোস তসিবাকে থাপ্পড় দিয়েছিস।
আমি:- মার পুরেনা মারানির জ্বলে। দেখি সর তানা হলে তোর গালে পড়বে। ইমরানের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে তসিবাকে কোলে তুলে নিলাম। তসিবার বান্ধবীরা তাকিয়ে আছে। তসিবাকে কোলে নিয়ে সোজা গাড়ীতে এনে বসিয়ে দিয়েছি। তসিবার বা গালে আঙুলের ছাপ পরে গেছে গাড়ীটা চালিয়ে বাসার সামনে এসেছি। কলিং বেল বাজিয়ে তসিবাকে গাড়ী থেকে কোলে নিয়ে নিলাম।
আম্মা:- সৌরভ বউমার কি হয়ছে?
আমি:- তেমন কিছু না। গাড়িতে ঘুমিয়ে গেছে তাই আমি কোলে নিয়েছি।
আম্মা:- ঠিক আছে তাহলে আর ঘুম থেকে এখন উঠাই বার দরকার নেই কেমন।
আমি:- ঠিক আছে! আম্মা দরজা লাগিয়ে চলে গেছে। তসিবাকে নিয়ে খাঠের উপর শুয়িয়ে দিলাম। রান্না ঘরে এসে ফ্রিজ থেকে লেবু নিয়ে লেবুর সরবত করে নিয়েছি। জীবনে প্রথম রান্না ঘরে ঢুকেছি তাও বউকে সরবত করে দিবার জন্য। সরবতের গ্রাসটা হাতে নিয়ে রুমে ঢুকে তসিবাকে ডাক দিলাম তসিবা উঠো দুই তিনটা ডাক দিতে তসিবা চোখ মেলেছে,,,,
তসিবা:- আমি কোথায় আছি?
আমি:- রুমে নাও লেবুর সরবত।
তসিবা:- আমার খেতে ইচ্ছে করছে না। (তসিবাকে জোর করে সরবতটা খায়িয়ে দিলাম) সরবতটা খেয়ে আবার শুয়ে পড়েছে। আমি ফ্রিজ থেকে বরফ নিয়ে এসে তসিবার গালে বরফ ঢলে দিতেছি। সকালে উঠে যদি দেখে গালে আঙুলের দাঁগ তাহলে অনেক কষ্ট পাবে। তসিবার গালে বরফ ঢলে একটু মলম লাগিয়ে দিয়েছি। আমি উঠে সুফায় ঘুমাতে যাবো তখনি তসিবা আমার সাট ধরে রাখছে।
আমি:- তসিবা সাট ছাড়ো আমি ঘুমাতে যাবো।
তসিবা:- এখানে আমার পাশে শুয়ে পড়েন। আমার অনেক ভয় করছে আজকে জন্য প্লিজ। (তসিবা চোখ গুলো বন্ধ করে ঘুমের মাঝে কথা গুলা বলছে।)
আমি:- ঠিক আছে! তসিবার পাশে শুয়তে তসিবার একটা হাত আর এক পা আমার উপর তুলে দিয়েছে। আমি তসিবার হাত আর পা নামিয়ে দিয়ে অন্য দিকে ঘুরে শুয়ে পড়েছি। তসিবার কথা ভেবে ভেবে ঘুমিয়ে গেছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি তসিবা আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে। এই রে কাম সারছে আজকেও আবার তাহলে থাপ্পড় খেতে হবে। তখনি আম্মা এসে দরজায় কন্ক করে ডাকছে,,,,
আম্মা:- বউমা সৌরভ তুই অফিসে যাবি কখন আর বউমা তুমি কলেজে যাবে না। তখনি তসিবা চোখ মেলে দেখে আমাকে নিজেই জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছিলো। তসিবা একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলে,,,,
তসিবা:- আম্মু জ্বি উঠতেছি। আমাকে রেখে তসিবা উঠে কোনো কিছু না বলে শাওয়ার নিতে চলে গেছে। আরে তসিবা আমাকে কিছু না বলে চলে গেছে? তসিবা কি তাহলে আমাকে ভালোবেসে ফেলছে নাকী রাতের গটনার জন্য চুপচাপ ছিলো? দুর কোনো কিছুই মাথায় আসছেনা। যাই গিয়ে ফ্রেস হয়ে নেই শুয়া থেকে উঠে ফ্রেস হতে চলে গেছি। ফ্রেস হয়ে এসে দেখি তসিবা কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ছে,,,
আমি:- তসিবা তুমি চাইলে আমি তোমাকে কলেজে ড্রপ করে দিবো।
তসিবা:- ঠিক আছে তাই হবে।
আমি:- ওকে চলো রুম থেকে বাহিরে এসে আম্মা আব্বা তসিবা সহ নাস্তা করেছি। আম্মা আর আব্বা আপুর বাসায় যাবে আর আমি অফিসে তসিবা কলেজে। সবাই এক সাথে বের হয়েছি।
আব্বা:- সৌরভ তসিবার খেয়াল রাখিস কেমন।
আমি:- ঠিক আছে! ওনারা চলে গেছে আমি তসিবাকে নিয়ে ওর কলেজের সামনে এসেছি। তসিবাকে নামিয়ে দিয়ে আমি চলে আসবো তখনি তসিবা বলে,,,,
তসিবা:- শুনেন একটু দ্বাড়ান আপনার সাথে একটু কাজ আছে। তখনি ইমরান সহ আরো কিছু ছেলে মেয়ে এসেছে,,,,
ইমরান:- তসিবা নাও ডির্ভোসের এপ্লিকেশন।
তসিবা:- নেন এই এপ্লিকেশনে একটা সাইন করে দেন।
আমি:- কিন্তু তসিবা তুমি আমার কথাটা তো শুনবে?
তসিবা:- কাল রাতে অনেক বলছেন আমি শুনছি যদিও আমার সব কথা মনে নেই। তবে আমি ইমরানকে অনকে বেশি ভালোবাসি। কথা না বাড়িয়ে সাইন করে দেন।
আমি:- ঠিক আছে দাও, কাগজটা হাতে নিয়ে পড়তে আরম্ভ করেছি। এখানে যা লিখা আছে সব কিছু আমার দোষ আমি মদ খায় প্রতিদিন তসিবাকে অত্যাচার করি। আর আমার অনেক মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িত। তসিবার দিকে তাকিয়ে দেখি তসিবা অনেক খুশি আমি ডির্ভোসের এপ্লিকেশন কাগজে সাইন করে দিলাম। নাও তসিবা আশা করি তুমি জীবনে অনেক বড় ভূল করেছো। আমি বাইক নিয়ে চলে আসবো তখনি তসিবার বান্ধবী একটা বলে,,,
মিস্টার সৌরভ আপনি আমাকে বিয়ে করবেন?
আমি:- মানে?
তসিবা:- স্নেহা তুই কি বলছিস তুই ওকে বিয়ে করবি?
স্নেহা:- হ্যা আর তোদের তো ৩ মাস পর এমনিতে ডির্ডোস হয়ে যাবে। আপনাকে আমার অনেক ভালো লাগে আপনি চাইলে আমি আপনাকে বিয়ে করবো। যদি রাজি থাকেন তাহলে আপনার মোবাইল নাম্বারটা দেন।
আমি:- হ্যা রাজি আছি আপনার মোবাইলটা দেন। স্নেহার মোবাইলে আমার নাম্বারটা উঠিয়ে সেইব করে দিয়েছি। তসিবার হাসি মাখা চেহারাটা কালো হয়ে গেছে। আচ্ছা স্নেহা আজকে আমি এসে তোমাকে কলেজ থেকে বাসায় নিয়ে যাবো।
স্নেহা:- ঠিক আছে আমি অপেক্ষা করবো।
তসিবা:- তাহলে আমাকে কে নিয়ে যাবে?
আমি:- তোমার বয়ফ্রেন্ড ইমরান আছে ও তোমাকে নিয়ে যাবে। স্নেহা তাহলে এখন যাই আমি এসে তোমাকে নিয়ে যাবো কেমন। তসিবা আমার দিকে চোখ গুলো বড় বড় করে তাকিয়ে আছে আমি স্নেহাকে চোখ টিপ মেরে চলে এসেছি,,,,,
To be continue