বৃষ্টিতে ভেজা সেই রাত পর্ব-২১

0
1280

বৃষ্টিতে ভেজা সেই রাত
লেখকঃ আবু সাঈদ সরকার
পর্বঃ 21

অফিসে ডুকার সাথে সাথে পুরো অফিসটাই কাপতে শুরু করলো মনে হচ্ছে এই ভেঙ্গে পড়ে তাহলে কী ভূমিকম্প যাচ্ছে যার ফলে এমনটা হচ্ছে…

তামান্নাঃ বোমটা এখনো একটিভ হচ্ছে না ধুর আবার কী সমস্যা হলো..

সাঈদঃ দ্রুত নিচে চলে আসলাম…

তামান্নাঃ বিল্ডিং এর নিচে যেতেই অবাক হয়ে গেছি এখন আমি কী করবো বোমটা তো আগেই একটিভ হয়ে গেছে আর মাএ ১০ সেকেন্ড বাইরে যেতে কম করে হলেও ৩০ সেকেন্ড লাগবে তখনি..


সাঈদঃ উপর থেকে নিচে নামার সময় হঠাৎ একজনকে দেখতে পেলাম ততক্ষণে মনে হচ্ছে বিল্ডিং টা ভেঙ্গে পড়ে যাবে তাই দ্রুত ওই মেয়েটাকে ধাক্কা মরে বাইরে বেড় করে দিলাম..

সাঈদঃ ঠিক তার ১ সেকেন্ড পরেই পুরো অফিসটাই ভেঙ্গে মাটির সাথে তালিয়ে গেলো..

এটা কীভাবে হলো ততক্ষণে পুলিশ ফায়ার সার্ভিস চলে এসেছে..

এই খবরটা টিভিতেও লাইভ দেখানো হচ্ছে খবর টা শুনেই আদ্রিতা এখানে চলে এসেছে..

আদ্রিতাঃ আপনাকে কত বার বলেছিলাম এখানে না আসতে তবুও চলে আসলেন আমার কোনো কথাই শুনেন না আপনি এখনি যদি কিছু হয়ে যেতো আপনার ( কাদতে কাদতে )

সাঈদঃ..

সাঈদঃ সেই মেয়েটা কোথায় যাকে ধাক্কা মেরে বাইরে ফেলে দিচ্ছিলাম তার আবার কিছু হয়ে যায় নি তো…

আদ্রিতাঃ এখনি বাড়ি চলুন এখানে আর একটি মুহূর্ত থাকতে হবে না আপনাক..

সাঈদঃ একটু দাড়াও না..

আদ্রিতাঃ না একটুও না কথাটা বলতে না বলতেই ওনাকে সেখান থেকে টেনে নিয়ে চলে আসলাম আসার সময় মানুষ গুলো কেমন ভাবে জানি তাকিয়ে ছিলো তাতে আমার কী আসে যায়..

সাঈদঃ কোথা থেকে কী হয়ে গেলো কিছুই বুঝতেই পারলাম না…

আদ্রিতাঃ আজ থেকে বাসার বাইরে যাওয়া একদমি বন্ধ কোথাও যেতে হবে আমার সাথে যেতে হবে..

সাঈদঃ এখন তো মনে হচ্ছে আমিই আদ্রিতার বউ আর ও আমার স্বামী যে ওর সব আদেশ মেনে চলতে হবে

এগুলো ভাবা যায়..

আদ্রিতাঃ কোথায় গুলো মাথার মধ্যে ডুকছে নাকি আবারো বুঝিয়ে দিতে হবে..

সাঈদঃ থাক আর বলতে হবে না…


অপর দিকে..

তামান্নাঃ যাকে মারার জন্য এত কিছু করলাম সেই কী না আমার প্রাণ টা বাচালো..
সে কেনো এমনটা করলো আমি তার শএু হয়েও আমার প্রাণটা বাচালো..

তামান্নাঃ অন্যর জন্য ফাদ পাতলে নাকি সেই ফাদে নিজেকে পড়তে হয় কোথাটা আজ প্রমাণ হয়ে গেলো…

আজ আমার চোখটা খুলে গেছে আমি এত গুলো পাপ কাজ করেছি যার কোনো ক্ষমা হয় না তবুও একবার সাঈদের কাছে মাফ চেয়ে নিবো না হলে জাহান্নামেও জায়গা হবে না আমার…


তার দু দিন পর..

সাঈদঃ আজ সকালটা বেশ সুন্দর কাল সরকার বলেছি অফিসের ক্ষতি পুরণ সরকারে দিবে…

আদ্রিতাঃ আজ মনে হয় বৃষ্টি হবে আকাশটা অন্ধকার হয়ে আসতেছে..

সাঈদঃ হুম অনেক দিন হয়ে গেলো বৃষ্টি হয় নি..

আদ্রিতাঃ ওমনি কয়েক দিন আগেই তো বৃষ্টি হলো.

সাঈদঃ সেটা অতীত হয়ে গেছে আজকের বৃষ্টি টা কিন্তু অনেক রোমান্টিক হবে

আদ্রিতাঃ কিছু বললেন..

সাঈদঃ কই না তো..

তার কিছু খন পরেই ঝুম ঝুম করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করলো..

ছাদে আদ্রিতা আর আমি ভিজতে ছিলাম তখনি নজরটা পড়লো আদ্রিতার লাল টুকটুকে ঠোঁট গুলোর উপর

এক টান মেরে আদ্রিতাকে বুকে টেনে নিয়ে কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই দুই ঠোঁট এক করে দিলাম..

এভাবে কয়েক মিনিট থাকার পরে..

আদ্রিতাঃ নিজেকে কোনো মতো ছাড়িয়ে

বা বা এই বুড়ো রয়সেও আপনি এত রোমান্টিক কেনো..

সাঈদঃ কে বললো আমি বুড়ো হয়ে গেছি হুম

আদ্রিতাঃ আমি ঠিক তখনি বৃষ্টি টা সেরে গেলো..

ভিতরে এসে কাপড়টা চেনজ করে ওনার সাথে বাইরে বেড়িয়ে পড়লাম..

সাঈদঃ এই মেয়েটাকে নিয়ে একদমি পারা যায় না এত করে বললাম আমার সঙ্গে আসতে হবে না তবুও চলে আসলো

গাড়ি থেকে নেমে কাজটা সেরে গাড়িতে উঠতে যাবো ঠিক তখনি..

তামান্নাঃ এই যে একটু শুনন..

সাঈদঃ ধুর কাকে না কাকে বলছে গাড়ির দরজাটা খুলে ভিতরে ডুকার সময়.

তামান্নাঃ মিঃ সাঈদ তোমাকে বলছি..

সাঈদঃ আমার নাম ধরে কে ডাকলো পিছনে ঘুরে তাকাতেই একি এটা তো তামান্না..

তামান্নাঃ সাঈদের কাছে গিয়ে দেখুন আমি না জেনে অনেক বড়ো ভুল করে ফেলেছি আমাকে প্লিজ ক্ষমা করে দিন আপনার পায়ে পড়ছি..

সাঈদঃ আরে এটা তুমি কী করতেছো আমার কখনো তোমার উপর রাগ ছিলো না নিজের ভুলটা বুঝতে পারছো আমি এতেই খুশি…

তামান্নাঃ সত্যি..

সাঈদঃ হুম

তামান্নাঃ সত্যি সাঈদ মতো মানুষ হয় না আমি এই মানুষ টাকে না বুঝেই কত বার মারতে চেয়েছি…

তামান্নাঃ সাঈদ গাড়িতে উঠতেছিলো ঠিক তখনি লক্ষ্য করলাম একজন মানুষ ওর দিকে বন্দুক নিয়ে নিশান করে আছে সে সামনে এগতোই দেখলাম লোকটা ফায়ার করতে যাচ্ছে ওমনি…

সাঈদঃ গাড়িতে উঠার সময় হঠাৎ গুলির শব্দ পেয়ে পিছনে তাকাতেই দেখলাম তামান্নার বুকে গুলি লেগেছে..

তামান্নাঃ যখন দেখলাম লোকটা ফায়ার করছে দৌড়ে সাঈদের সামনে চলে গেলাম আর গুলিটা আমার বুকে এসে লাগলো লোকটা আমাকে নয় সাঈদকে.. মারতে চেয়েছিলো…

সাঈদঃ তামান্না এটা কী হলো তোমার কে করলো তোমার এ অবস্থা দ্রুত এম্বুলেন্স কে কল করলাম..

তামান্নাঃ এসবের দরকার নেই আমি বেশি ক্ষণ বাচবো না তবে মরার আগে একটি বার একবার বলো ক্ষমা করে দিয়েছো..

সাঈদঃ কী বলছো এসব আমি অনেক আগেই ক্ষমা করে দিয়েছি..

তামান্নাঃ কথাটা শুনে শান্তি পেলাম এবার খুশি খুশি মরতে পারবো আর হ্যা সাবধানে থাকবেন কারণ আপনাকে মারার জন্যই গুলিটা চালানো হয়েছিলো…

সাঈদঃ কথাটা শুনে অবাক হয়ে গেলাম কে আমাকে মারতে চায়…
আর তামান্নাকে কীভাবে গুলিটা লাগলো..

চলবে