বৃষ্টিতে ভেজা সেই রাত
লেখকঃ আবু সাঈদ সরকার
পর্বঃ ৩
আমার মেয়েটাকে তোমার কাছে রেখে গেলাম…
আমার মন বলছে তুমি কখনো তাকে অবহেলা করবে না….
।
।
সাঈদঃ কথা দিলাম তাকে যত্নে রাখবো কথাটা বলার সাথে সাথে তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন।
।
।
মেয়েটা তার মার পাশে বসে প্রচুর কাদছে আর কাদবেই না বা কেনো পৃথিবীতে তার আপন বলতে তার মায়েই ছিলো..
।
।
ততক্ষণে পুলিশ চলে এসেছে..
।
।
সাঈদঃ এই যে উঠো এভাবে কাদলে তো আর তিনি ফিরে আসবেন না…
।
।
মেয়েটার কোনো respond এ নেই আজব তো…
।
।
সাঈদঃ এভাবে হবে না তার হাতটা ধরে দাড়করালাম….
।
।
সাঈদঃ কেদে কেদে মেয়েটা চোখ গুলো লাল করে ফেলেছে…
।
।
সাঈদঃ এখন থেকে চলো..
।
।
মেয়েটাঃ না আমি মা ছাড়া কোথাও যাবো না…
আমি ছাড়ুন আমি মার কাছে যাবো…
।
।
সাঈদঃ দেখতেছো তো পুলিশ তোমার আম্মুকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে আমরা তো আর সেই গাড়িও যেতে পারবো না তাই তুমি আমার সাথে যাবা আর তোমার আম্মু কী বলেছিলো মনে নেই..
।
।
।
মেয়েটাঃ হুম আছে…
।
।
সাঈদঃ তাহলে গাড়িতে বসো
।
এর পর মেয়েটাকে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে আমিও বসে পড়লাম..
।
মেয়েটা মনে হয় সকাল থেকে কিছুই খাই নি তাই একটা বড় রেস্টুরেন্টের সামনে এসে গাড়ি দাড় করালাম
।
।
মেয়েটাঃ এটা আমরা কোথায় আসলাম
।
।
সাঈদঃ তুমি তো সকাল থেকে কিছুই খাওয় নি তাই এখানে তোমাকে কিছু খেতে নিয়ে এসেছি…
।
।
মেয়েটাঃ আপনি কীভাবে বুঝলেন যে আমি সকাল থেকে কিছুই খাই নি…
।
।
সাঈদঃ সেটা হয় নাই জানলে এখন ভিতরে চলো..
।
।
এই হোটেলের একা গুন রয়েছে এখানে পারসোনাল রুম পাওয়া যায় তাই আমিও একটা রুম বুক করলাম
।
।
সাঈদঃ ফ্রেশ হয়ে নাও আমি ততক্ষণে কিছু অর্ডার করি..
।
।
মেয়েটাকে ভিতরে ডুকিয়ে দিয়ে ভাত আর চিকেন ফ্রাই অর্ডার করলাম
।
।
তখনি মেয়েটা
।
।
মেয়েটাঃ এটা কী হচ্ছে দেখুন পানি নিজে থেকে পড়তেছে,..
।
।
সাঈদঃ ভিতরে গিয়ে আরে এটা ঘুরালে আবার বন্ধ হয়ে যাবে তার পর সেখানে দাঁড়িয়ে সব কিছু শিখিয়ে দিলাম
।
।
মেয়েটা যখন তার মুখ থেকে কাপড়টা সরালো তখন আবারো তার উপর cRush খেলাম এত সুন্দর কীভাবে একটা মানুষ হতে পারে…
।
।
মেয়েটা আবার মুখটা ডেকে ফেললো..
।
।
তার পর বাইরে এসে..
।
।
ভাত গুলো খেয়ে নাও
।
।
মেয়েটাঃ না খিদে পাই নি
।
।
সাঈদঃ তা বললে হয় কিছু খেয়ে নাও
।
।
মেয়েটাঃ না আমি খাবো না..
।
।
সাঈদঃ এভাবে হবে না আমাকেই কিছু করতে হবে
।
।
এই নাও আমি খাইয়ে দিচ্ছি হা করো..
।
।
মেয়েটাঃ মুখটা না খুলে আর থাকতে পারলাম না তিনি খুব আদরে করে খাইয়ে দিচ্ছিলো….
।
।
।
।
অপর দিকে
।
।
মাঃ ওই যে ছেলেটা সকাল বেলা বেড় হয়েছে দিন গরিয়ে রাত হয়ে গেলো এখনো ফিরছে না কেনো তখনি ফোনটা বেজে উঠলো..
।
।
।
মাঃ হ্যালো..
।
।
অন্য দিক থেকে…
হ্যালো আপনার সাথে জরুরি কথা রয়েছে..
।
।
মাঃ কে আপনি..
।
।
আমি কে সেটা বড় কথা নয় আপনার ছেলে আজ কাল পতিতালয়ে আসতে শুরু করেছে আজ পতিতালয় থেকে একটা মেয়েকে নিয়ে যাবে …
।
।
মাঃ হ্যালো কে আপনি কথাটা বলার আগেই কলটা কেটে দিলো…
।
।
কথাটা শুনার পর টেনশনে পড়ে গেলাম আমার সাঈদ তো এইরকম ছেলে না তাহলে কে মেয়ে যে এই কথাটা বললো…
।
।
।
সাঈদঃ মেয়েটাকে খাইয়ে দিয়ে আচ্ছা তোমার নামটাই তো জানা হলো না..
।
।
মেয়েটাঃ আমার নাম আদ্রিতা…
।
।
সাঈদঃ বা খুব সুন্দর নাম তো…
।
।
তার মেয়েটাকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম
।
।
আদ্রিতাঃ এটা আমরা কোথায় এসেছি
।
।
সাঈদঃ এটা আমার বাসা..
।
।
আদ্রিতাঃ এত বড় বাড়ি আমার তো স্বপ্নের মতো লাগছে আচ্ছা আমরা মার কাছে কখন যাবো
।
।
সাঈদঃ কাল সকালে…
।
।
মাঃ গাড়ির শব্দ পেয়ে বাইরে এসে যা দেখলাম তা দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না
।
।
তার মানে সাঈদ সত্যি খারাপ হয়ে গেছে ছিঃ কখনো ভাবতেও পারি নি সাঈদ এমন কাজ করবে..
।
।
সাঈদঃ ভিতরে চলো এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি..
।
।
তখনি মা
মাঃ কে এই মেয়ে আর এত রাতে তোর সাথে কী করছে ..
।
।
সাঈদঃ মা এ আদ্রিতা আজ থেকে আমাদের সাথেই থাকবে..
।
।
মাঃ ছিঃ লজ্জা করে না বাসায় একটা পতিতা নিয়ে আসার তোর কী লজ্জা সরম সব পুরে খেয়েছিস…
।
।
তোর চরিত্র যে এতটা খারাপ আমি আগে জানতাম না
।
।
সাঈদঃ আম্মু তুমি এসব কী বলছো ও পতিতা হতে যাবে কেনো এর মতো ভদ্র মেয়ে পাওয়া ভাগ্যর বেপার আর তুমি কী তার চরিত্রে দাগ বসছো..
।
।
মাঃ তুই আমার ছেলে বলতেই লজ্জা করে কে করবে তোকে বিয়ে..
।
।
সাঈদঃ মাথাটা গরম করে দিয়েছে আম্মু কী আজে বাজে বকছে আদ্রিতা কেদেই দিয়েছে..
।
।
সাঈদঃ আম্মু তুমি যদি আরেকটা আজে বাজে কথা বলো তাহলে আমাকে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে কেনো আমি এসব কথা শুনার জন্য মেয়েটাকে আনি নি…
।
।
।
মাঃ থাক তুই মেয়েটাকে নিয়ে আমাকে মা বলে ডাকবি না
।
।
আদ্রিতাঃ আমাকে ছেড়ে দিন আমি আপনাদের মাঝে কাটা হয়ে থাকতে পারবো না
।
।
।
সাঈদঃ আমি যতদিন বেচে রয়েছি ততদিন আমার সাথেই থাকবে এতে সমাজ কী বললো তাতে আমার কিছু যায় আসে না..
।
।
আদ্রিতাঃ আচ্ছা পতিতা কাকে বলে…
।
।
সাঈদঃ মেয়েটা কোন দিন বাড়ি থেকে বেড় হয় নি তাই পতিতা কাকে বলে জানে না
।
।
ওই যে কোনো ছেলে যদি কোনো অপরিচিত মেয়েকে নিয়ে আসে ততখন তাকে পতিতা বলে এমনিতে..
।
।
আদ্রিতাঃ ওও
।
।
এর পর তাকে আমার রুমে নিয়ে আসলাম..
।
।
।
।
অন্য দিকে
।
।
তামান্নাঃ হ্যালো আন্টি …
।
।
মাঃ হুম বলো তামান্না
।
।
তামান্নাঃ আমি সাঈদকে ভালোবাসি আর তাকেই বিয়ে করতে চাই
।
।
মাঃ এটাই সুযোগ সাঈদের সাথে তামান্নার বিয়ে দেওয়ার যেভাবে হোক তামান্নার সাথে বিয়েটা দিতে হবে..
।
।
মাঃ আচ্ছা তাই তুমি বিয়ের প্রস্তুতি নাও আমি সাঈদকে রাজি করাচ্ছি
।
।
চলবে