বৃষ্টিতে ভেজা সেই রাত
লেখকঃ আবু সাঈদ সরকার
পর্বঃ ৬
তুই একটা নষ্টা মেয়ের জন্য নিজের মায়ের সঙ্গে সম্পর্কটা নষ্ট করছিস…
ভালো ভালো খুব ভালো তাহলে তুই থাক ওই মেয়েকে আমার কাছে কোনো দিনও আসার চেষ্টা করবি infact আমি মরে গেলেও না…
।
।
সাঈদঃ আচ্ছা ভালো থাকো বলেই সেখান থেকে চলে আসলাম জানি না কাজটা ঠিক করলাম নাকি ভুল তবে এমন মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা আমার পক্ষে সম্ভব না….
।
।
কিছু খন পরেই বাসায় চলে আসলাম.
।
আদ্রিতাঃ এত ক্ষণ কই ছিলেন আপনি জানেন না আমার একা থাকতে ভয় করে…
।
।
সাঈদঃ একটু কাজ ছিলো সেখাই গেছিলাম…
।
।
আদ্রিতাঃ আচ্ছা একটা কথা বলবো আপনাক কিছু মনে করবেন না তো…
।
।
সাঈদঃ আরে না বলে ফেলো..
।
।
আদ্রিতাঃ থাক আজ বলবো না অন্য কোন দিন ( হয়তো আজ কথাটা বললে আমাকে স্বার্থ পর মনে হয় আমার আপনার সঙ্গে থাকতে অনেক ভালো লাগে তাই বলতে যেও বলতে পারলাম না)
।
।
সাঈদঃ আচ্ছা ঠিক আছে তোমার যখন বলতে মন চাইবে তখনি বলিও এখন কিছু খেয়ে ঔষধ গুলো খেয়ে নাও.
।
।
আদ্রিতাঃ এত খেতে ভালো লাগে না…
।
।
সাঈদঃ না খেলে আবার শরীর খারাপ করবে
।
।
আদ্রিতাঃ
।
তখনি আমরা বেস্টু ফ্রেন্ড… নীলের ফোন…
।
নীলঃ হ্যালো বা রে তোর তো খোজ খবরে পাওয়া যাচ্ছে না…
।
।
সাঈদঃ কী করবো বল আমি তো আমারি খোজ রাখি না তোদের আর কী খোজ রাখবো .
।
নীলঃ আচ্ছা যাই হোক কাল আমার বিয়ে তোকে কিন্তু আসতেই হবে…
।
।
সাঈদঃ কী কাল বিয়ে তুই আমাক আজ জানাচ্ছিস…
।
।
নীলঃ কী করবো বল তোর ভাবির অত্যাচার আর সহ্য হচ্ছে না ওর কথা অনুযায়ী আজ তোকে ফোন দিলাম ..
।
।
সাঈদঃ বা রে সালা বিয়ের আগেই বউরে গোলাম হয়ে গেলি তোর কপালে দুঃখ আছে বলে দিলাম তো মেয়েটা কে শুনি…
।
।
নীলঃ তাসফিয়া…
।
।
সাঈদঃ ও ( তাসফিয়া মেয়েটা একটু সাইকো টাইপ এর আমার অফিসে কাজ করে কিছু দিন আগে আমাকে প্রপোজও করেছিলো কিন্তু আমি একসেপ্ট করিনি কারণ তার আচরণ গুলো আমার ভালোই লাগতো না )
।
।
নীলঃ কী হলো… কথা বলছিস না কেনো তোকে কিন্তু আসতেই হবে না হলে আমি কিন্তু বিয়ে করবো না…
।
।
সাঈদঃ আরে আসবো তো সাথে একজনকে নিয়েও যাবো যাকে দেখে তাসফিয়া লুচির মতো জ্বলবে..
।
।
নীলঃ এখনতো কিছুটা সম্মান কর ওর তোর ভাবি হয়…
।
।
সাঈদঃ চুপ কর…. এখন ফোন রাখি কাল দেখা হচ্ছে…
।
।
বলেই ফোনটা কেটে দিলাম…
।
আদ্রিতাঃ কে ছিলো..
।
সাঈদঃ আমার বেস্ট ফ্রেন্ড. নীল কাল ওর বিয়ে আমাদের যেতে বলেছে…
।
।
আদ্রিতাঃ আমাকে নিয়ে যাবেন না…
।
।
সাঈদঃ কে বললো নিয়ে যাবো না তোমাকে একা রেখে যেতে পারি…
।
।
এখন ঘুমিয়ে পড়ো কাল তাড়াতাড়ি উঠতে হবে…
।
আদ্রিতাঃ হুম এর পর আমি বিছানায় শুয়ে পড়লাম আর ওনি সোফায়..
।
।
সাঈদঃ হে উপর ওয়ালা আজও বৃষ্টি দেয় না…
ধুর সারা রাত বৃষ্টির আশায় থাকলাম এক ফোটা পানিও পড়লো না…
।
।
সারা রাত ঘুম হয় নি বলে যে একটু ঘুম ধরে এসেছিলো ওমনি মেঘের আওয়াজ শুনতে পেলাম মনে হয় বৃষ্টি হবে…
।
ওমনি বৃষ্টি শুরু…
যাক আমার মনের কথা তাহলে উপর ওয়ালা শুনছে খুব জোরে বৃষ্টি হচ্ছে আর বজ্রপাত ও ঠিক তখনি আমি যেটা চাচ্ছিলাম ঠিক সেটাই হলো
।
।
আদ্রিতাঃ মেঘের আওয়াজ শুনলে আমি খুব ভয় পায় তার উপর এত জোরে বজ্র পাত হচ্ছে এতটাই ভয় পেয়ে গেছিলাম যে ওনাকে দৌড়ে গিয়ে জরিয়ে ধরলাম…
।
।
সাঈদঃ কথায় আছে না সবুরে মেওয়া ফলে কথাটা ঠিকি বলেছিলো এখনকার ফিলিংসটাই আলাদা…
।
।
সাঈদঃ এখন একটু ঘুমের অভিনয় করতে হবে না হলে যদি জানতে পারে আমি জেগে আছি তাহলে আবার চলে যাবে..
।
।
ঘুমরে অভিনয় করতে করতে এক সময় ঘুমিয়ে পড়লাম…
।
আদ্রিতাঃ আমিও ওনাকে জরিয়ে ধরে কখন যে
ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তা মনে নেই যখন চোখ খুলো তখন নিজেকে ওনার কোলেই দেখাম যাক বাবা ওনি দেখননি…
।
।
তাড়াতাড়ি উঠে বিছানায় চলে আসলাম..
।
।
সাঈদঃ হুম যাও তুমি তো আর জানো না আমি এসবের সব জানি
।
এর পর আমিও উঠে পড়লাম অনেক বেলা হয়ে গেছে আজ আবার নীলের বাসায় যেতে হবে…
।
।
আদ্রিতাঃ এতক্ষণে ঘুম ভাঙ্গলো…
আমি তো সেই কখন উঠছি…
।
।
সাঈদঃ এত বড় মিথ্যা কথা এই মাএ দৌড়ে বিছানায় গেলো আর বলে সেই কখন উঠছে..
।
।
আচ্ছা রেডি হয়ে নাও নীলের বাসায় যেতে হবে তো…
।
।
আদ্রিতাঃ আচ্ছা…
।
।
সাঈদঃ আমি ততক্ষণে ফ্রেশ হয়ে গাড়ি, ড্রাইভার কে গাড়ি বেড় করতে বললাম…
।
।
আদ্রিতাঃ এই যে শুনছেন কোন শাড়িটা পড়বো…
।
।
সাঈদঃ তোমাকে না আমি দুটা নীল শাড়ি এনে দিচ্ছি ওগুলোর মধ্যে যেকোনো একটা পড়ে নাও…
।
।
আদ্রিতাঃ আপনার কী নীল খুব পছন্দ…
।
।
সাঈদঃ হুম অনেক..
।
আদ্রিতাঃ আচ্ছা আপনি কী পড়বেন…
।
সাঈদঃ তোমার ড্রেসের সাথে মেচিং নীল কমপ্লিট টা পড়বো…
।
।
কিছু খনের মধ্যে আমিও রেডি হয়ে নিলাম..
।
এর পর আদ্রিতা সেজে গুজে বেড় হলো বাহ আদ্রিতাকে এতটাই সুন্দর দেখাচ্ছিলো যে যেটা বলে প্রকাশ করতে পারবো না…
।
।
।।
আদ্রিতাঃ আমি এভাবে যাবো সবাই তো আমাকে দেখবে…
।
।
সাঈদঃ দেখুক তুমি তো আর সঙ্গেই থাকবা ভয় কীসের…
।
।
আদ্রিতাঃ আপনি বলছেন বলে এভাবে যাচ্ছি না হলে কিন্তু কখনোই যেতাম না…
।
।
তার পর দুজনে বেড়িয়ে পড়লাম
কয়েক ঘন্টা পরে নীল বাসায় পৌঁছে গেলাম
..
।
।
সেখানে যেতেই…
.।
।
অফিসের সকল স্টাফদের সাথে দেখা তার তো আমার সাথে আদ্রিতাকে দেখে হা করে তাকিয়ে আছে…
।
নীলঃ কে রে এই মেয়েটা…
।
সাঈদঃ কেনো তোকে সব বলতে হবে নাকি…
।
তখনি নীলের বাবা..
নীলের বাবাঃ নীল কে এই ছেলে..
।
।
নীলঃ বাবা আমার অফিসের বস মিঃ আবু সাঈদ সরকার..
।
।
নীলের বাবাঃ সরি বাবা বুঝতে পারি নি…
।
।
সাঈদঃ আরে আঙ্কেল কোনো ব্যপার না…
এখানে এতে তো আদ্রিতা হাত টা ছাড়ছেই না..
।
।
সাঈদঃ হাতটা একটু ছাড়ো না…
।
আদ্রিতাঃ না আমি যদি হারিয়ে যাই তাই আর ছাড়ছি না
।
সাঈদঃ আজকাল দুনিয়ায় ই কেউ হারিয়ে যায় তা ভাবা যায় .
।
।
তার পর নীলের গায়ে হলুদ পর পর্ব শেষ বিকেল বেলা বর যাএী আমি আর আদ্রিতা আমাদের গাড়িতে গেছিলাম সেখানে যেতেই..
।
।
তামান্নাঃ আরে এটা তো সাঈদ পাশের ওই মেয়েটা সেদিন কার মেয়েটা না…
।
।
সাঈদঃ গাড়ি থেকে নামতেই চোখটা হঠাৎ তামান্নার উপড়ে পড়ে গেলো..
।
।
এই মেয়েটা এখানেও এসেছে ধুর সব মজাই নষ্ট করে দিলো…
।
।
সেখানে কিছু খন পরেই
।
আদ্রিতাঃ দেখুন না ছেলে গুলো কীভাবে আমার দিকে আছে…
।
।
সাঈদঃ সত্যি তো ছেলে গুলো কুনজরে আদ্রিতার দিকে তাকিয়ে রয়েছে…
।
।
সাঈদঃ এই যে মিস্টার সমস্যা কী ওমন ভাবে ওর দিকে কী তাকাচ্ছেন…
।
ছেলেগুলোঃ তাতে তোর কীরে..
।
।
সাঈদঃ আমার কী দিলো মেজাজটা খারাপ করে দিলাম দুই গালে দুটা থাপ্পড় ওমনি ভয়ে দিলো সবাই দৌড় তখনি পিছনে থেকে.
।
।
সাঈদ আমি তোমাকে অনেক ভালো বাসি বিয়ে করবে আমায়…
।
।
চলবে