গল্প: ব্ল্যাকমেইলার চাচাতো বোন যখন বউ
লেখক:মেহেদি ইমরান
পর্ব: 5
তানহা: ওহ আমি আরো তানভীর ভাইকে কি বলে ফেললাম যাক ভাইকে আমি সামলাতে পারবো আর সরি নিধি আমি আসলে বুজতে পারি নাই তাই তোমাকে ওই কথা গুলো বলে ফেললাম মাফ করে দিও...
নিধি: আচ্ছা ঠিক আছে…
তারপর তানহা চলে গেলো আর আমি বলতে শুরু. করলাম….
আমি: তুই আর তানহা এতোক্ষন কি বলছোস কিছুই বুঝতে পারি নাই। একটু বুঝিয়ে বলবি আমাকে।
নিধি:তোর এতো বুঝতে হবে না।
আমি:বললে কি হয় ।
নিধি: তোর আমার প্রতি বিশ্বাস আর ভালোবাসা আছে না।
আমি:অবশ্যই আছে..
নিধি: তাহলে বিয়ে কর আজকে আমাকে।
আমি:মজা করছ
নিধি: কেন বিয়ে করতে সমস্যা আছে।
আমি:কি বলছ চাচা চাচী আব্বু আম্মুকে না জানিয়ে কি করে বিয়ে করি আমরা বল।
নিধি:ছোট বেলায় একটা কথা শিখেছি আমি আর আজ পর্যন্ত তা পালন করতেছি আমি
আমি: কি কথা।
নিধি: যা সোজাসোজি পাবে না তা জোর করে আদায় করতে শিখো..।
আমি: মানে ।
নিধি: তুই দুই মিনিট দারা আমি আসছি একটুও নড়বি না নড়লেই খবর আছে তোর।
আমি: আচ্ছা নড়বো না।
কিছুক্ষন পর নিধি হাতে একটা বোতল আর একটা কাগজ নিয়ে আসে আমার কাছে…
নিধি:তুই যদি আজকে আমাকে বিয়ে না করস তাহলে এই বিষ খেয়ে মরে যাবো আমি আর এ কাগজ দিয়ে যাব আর এতে লেখা আছে আমি মরছি তোর কারনে।
আমি:আচ্ছা নিধি ছেলে মানুষি করিস না এটা কোনো পুতুল খেলা নয় বুঝার চেষ্টা কর।
নিধি:আমি কিছু বুঝতে চাই না তুই হ্যা বা না বল। তাড়াতাড়ি বল..
আমি:আচ্ছা এসব পাগলামু রাখ চল আমর ঘুরে আসি..
নিধি: হ্যা বা না বিষের বোতলের মুখে হাত দিয়ে..
আমি:হ্যা হ্যা করব।করব তোকে আমি বিয়ে বোতল টা আমার হাতে দে প্লিজ।
যে মেয়ে সত্য সত্য খেয়ে ফেলতে পারে।
নিধি:না আগে করবি তারপর..
বাড়িতে তানহা আর তানহার ভাইয়ের সাথে খাওয়া দাওয়া আর কথা বলছে সবাই এ ফাকে আমাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো নিধি।
আমি ত শেষ ।আব্বু আম্মু চাচা চাচীকে কি জবাব দিব এ কথা ভাবতে ভাবতে আমি শেষ।
এ ভাবনার মাঝে নিধি স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে ওর ফ্রেন্ডদের খবর দিছে ওরা রেডি করছে সব।আমার মনে তাদের আগে থেকেল প্লান ছিল।
যাইহোক তখন আমি কাজী অফিসে দারিয়ে আছি হাতে কলম নিয়ে নিধি বার বার আমাকে ঝাক্কাচ্ছে সাইন করার জন।
আমার মাথা চিন্তার কারনে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।
নিধি বাম হাত টা আমাকে দেখালো যেখানে বিষের বোতল টা মুস্টি বদ্ধ করে রেখেছে।
এটা দেখে আমি তাড়াতাড়ি সাইন করে দিলাম তারপর নিধিও করে দিল ব্যাস হয়ে গেলাম স্বামী স্ত্রী একদম সিম্পল।
বাড়িতা আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। এসে শুনি তানহারা চলে গেছে।
আমরা কিছু না বলে রুমে চকে গেলাম তারপর সবাই খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে রইলাম।
এর মাঝে নিধি একবারও আমার কাছে আসে নাই।আমিও শুয়ে পরলাম।
কিছুক্ষন পর নিধি আসলো আর আমাকে ঝাক্কাচ্ছে আর বলতাছে…
নিধি:ওই কুত্তা উঠ আজ না আমাদের বাসর।
আমি:হুম কে ও নিধি ঘুমাতেও দিবি না।
নিধি:না আজকে কোনো ঘুম হবে না শুধু রোমান্স হবে।
আমি:কি বলতেছিস তোকে বুঝতে আমার সাত জন্ম লাগবে।
নিধি:কি আমরা বিবাহ করছি আর বাসর করবো না এই জন্যই বান্ধুবিরা বলে আনরোমান্টিক বর বিয়ে করতে নাই।
আমি: কি আমি আনরোমান্টিক
নিধি: তা নয় কি নিজের বউকে আদর করতে পারে না।
দাড়া দেখাচ্ছি মজা বলেই হাত ধরে দিলাম এক টান সোজা আমার উপর এসে পড়ে গেল।
দুজনে একদম কাছাকাছি নিধির গরম নিঃশ্বাস আমার উপর পড়ছে।
আমি নিধির দিকে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছি আর নিধির মুখ আমার দিকে ধাবিত করছে।
আস্তে করে আমার ঠোট মুখের ভেতর নিয়ে নিলো।
অনেকক্ষন পর যখন ছেড়ে দিয়ে অন্য কিছু করতে যাবে তখন আমি তাকে বাধা দিলাম।
আর আমার দিকে কেমন রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তখন আমি নিধির মাথাটা আমার বুকের সাথে চেপে ধরে বললাম।
নিধি আমরা যে বিবাহ করেছি সেটা কেউ জানে না।…..
চলবে….