ভালোবাসার নতুন প্রনয়ণ পর্ব-১০

0
666

গল্পের নামঃ- #ভালোবাসার_নতুন_প্রনয়ণ

লেখিকাঃ- #konika_islam (sanju)

part:10

এরিশ বলে

” এই ভালো কথা তোর বিএফ মানে নীলআদ্রের কি খবর? সে জানে দিদুন তোর বিয়ে ঠিক করেছিল? রুমে গিয়ে ফোন করে কান্না করতে করতে বলিসনি, নীল বেইবি, জান, আমার বাবু তোমার আম্মু উফফস্ সরি সরি তোমার জিএফ মানে আমার বিয়ে ঠিক হয়েগিয়েছে। আমাকে এসে নিয়ে যাও। নয়তো আমি কচু গাছের সাথে গালায় দড়ি দিয়া আত্মহত্যা করব। আর সুইসাইড নোটে তোমার নাম লিখে যাবো।

হূর রেগে বলে

” চুপ করবেন আপনি!! কতবার বলবো আমার বিএফ নেই। এরিশ বলে

” তাহলে বুঝ তুই কেমন তোর বিএফ নাই।

এরিশকে উদ্দেশ্য করে হূর বলে

” আপনার কি?? এরিশ হূরের কথার জবাব না দিয়ে ড্রাইভিং-এ মনযোগ দেয়।

_____________

সেই কখন থেকে রেস্টুরেন্টে বসে আছে হূর আর এরিশ। এরিশ আইসক্রিম খাচ্ছে আর ফোন নিয়ে পরে আছে। হূর হাস ফাস করছে। ভার্সিটি না মিস হয়ে যায় যদি টাইম পেরিয়েছে অনেক সময়।

হঠাৎ করেই হূরের নজর যায় এরিশের দিকে। সে ব্যস্ত নিজের মতো ফোন চালাতে। মাঝে মাঝে সামনে আসা তার চুলগুলো হাত দিয়ে ঠিক করছে। ঠোঁটের কোনে ছোট একটা হাসি। এরিশ হূরের দিকে তাকাতেই হূর কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে যায়। আর সাথে সাথে অন্য দিকে তাকিয়ে বলে

” আর কতক্ষণ?? তখনই রেস্টুরেন্টে আসে অহি, তিথি, আবির আর আকাশ । হূর ওদের দেখে অবাক হয়ে যায় । আকাশ তাড়াতাড়ি করে বলে

“দোস্ত জলদি চল লেট হচ্ছে। এরিশ বলে

” হুমমমম। হূর বলে

” আমরা আবার কোথায় যাবো?? তিথি লাজুক হেসে বলে

” আজ আমি আর আবির গোপনে বিয়ে করব। অহি বলে

” তুই আর আমি, এরিশ ভাইয়া আর আকাশ ভাইয়া ওদের বিয়ের সাক্ষী হিসাবে থাকবো।

হূর অবাক হয়ে বলে

” যদি আঙ্কেল আন্টির কানে এই কথা যায়। আবির বলে

” পেয়ার কিয়া তো ডারনা কেয়া?? আকাশ সবাই তাড়া দিয়ে বলে

” সে সব কথা পরে, হবে এখন চল চল।

_____________

সবাই কাজি অফিসে চলে আসে।
কাজী যখন বলে কবুল বলতে, তিথি তখন চুপ হূর তিথিকে বলে

” এই তিথি কবুল বল। অহি বলে

” হূর তুই বলেদে তিথির হয়ে। হূর বলে

” আজব তো! আমি কেন কবুল বলতে যাবো? আমি বিয়ে করছি? আমার বিয়ে নাকি যে কবুল বলতে যাবো??? আকাশ বলে

” আচ্ছা থাক বলতে হবে না। এরিশ বলে

” কেন বলবে না!? তিন কবুল এক সাথে বলবে। এক কবুল ২ কবুল আর ৩ কবুল এইভাবে। আবির বলে

” আলহামদুলিল্লাহ। সবাই অবাক হয়ে আবিরের দিকে তাকায় আবির বলে

” আরে আমিতো অনেক খুশি যে এরিশের মতো বন্ধু পেয়েছি। তিন দুগনে ছয় কবুল এক সাথে। আমি বলে দিলাম তিথির আর আমারটা। এখন তাড়াতাড়ি বলো কোথায় আমাদের সাইন লাগবে??

_____________

পেপারে সাইন কারার পর। এরিশ বলে

” হূর চলো বাসায় যাবে। হূর অবাক হয়ে বলে

“তুই থেকে সোজা তুমি?? এরিশ বলে

” তোর সাথে কথা বলাই বেকার। বেশি পকপক করবি রাস্তায় থেকে একটা পাগল এনে তোদেরও বিয়ে করিয়ে দিব।

হূর বিরক্ত হয়ে বলে

” আপনি এতো বকবক করবেন আপনাকে ফেলেই আমি চলে যাবো। এরিশ আবির আর আকাশকে হাগ করে বিদায় দিয়ে চলে আসে। সাথে হূর আবির আর তিথিকে শুভেচ্ছা দিলেও তার বিশ্বাস হচ্ছে না, তিথি এমন কিছু করবে। কারণ সব কিছু তার পরিবার ঠিক করে। এরিশ হূরকে দেখে বলে

” কি এমন ভাবছিস?? হূর বলে

” না তিথিই কত সাহসি। এরিশ বলে

” আর তুই একটা বোকা। হূর ভ্রু-কুচকে বলে

” কি ভাবে বোকা? আমি আবার কি করলাম?? এরিশ হাই তুলতে তুলতে বললো

” কারণ তুই আসলেই বোকা। ওরা একজন আরেকজনকে লাভ করে তাই বিয়ে করে নিয়েছে । আমার কি মনে হয় জানিস?? তোর মাথায় ব্রেন নাই। হূর মেকি হাসি দিয়ে বলে

” হ্যা ঐটাতো আপনার হাটুতে। এরিশ বলে

” চুপ। থাক নয়তো বিনা রকেটে তোকে চাঁদে পাঠাবো। হূর কিছু বলতে চেও বলে না। হূর বলে

” ওয়াও। পাঠান না বারণ কে করেছে?? আমি আপনার জন্য একটা এলিয়ান নিয়ে আসবো।

এরিশ বলে

” তুই চুপ করবি? হূর ওড়না দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে ফেলে।

দুপুরের দিকে দুজনেই বাসায় আসে। এরিশ সোজা রুমে চলে যায়। হূর বাসায় ফিরতেই আলাইনা এসে জড়িয়ে ধরে হূরকে,। হূরও কোলে তুলে নেয় আলাইনা কে। তা দেখে এরিশের মা বলে

” এত বড় মেয়ে বোনের কোলে উঠেছে, এই আলাইনা নাম। আর হূর যা ফ্রেশ হয়ে আয় খাবি। হূর বলে

” না কাকি মা আমি খেয়ে এসেছি। আলাইনা হূরের কোল থেকে নেমে চুপ করে রান্না ঘরে চলে যায় সাথে হূর নিজের রুমে।

তখন হয়তো বিকেল ৩ঃ৩০ কি ৪০ হবে, হূর নিচে নামে পানি তৃষ্ণা পেয়েছে। কিচেনে যেতেই দেখে এরিশ কিছু খুঁজছে। হূর। হালকা কাশি দেয়

” এহেম এহেম। আর এরিশ পিছনে তাকায় হূরের কনঠ শুনে। হাতে চকলেট। তা দেখে হূর জোরে ডাক দিয়ে বলে

” আলাইনা,,,, তো। আর কিছু বলতে যাবে তখনই এরিশ হূরের মুখ চেপেঁ ধরে। হূর নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। অপর দিকে বাসার সবাই এই সময়টা ঘুমে থাকে , তাই কেউ এখন নেই। হূর এরিশের হাতে মারছে। এরিশ বলে

” তুই এতো বজ্জাত কেন?৷ আলাইনা দেখলে কাচা চিবিয়ে খাবে আমাকে। হূর কোনো রকম নিজেকে ছাড়িয়ে দেয় দৌড় কিন্তু বেশি দূর যাওয়ার আগেই এরিশ ধরে ফেলে হূরকে। হূর বলে

” আচ্ছা আচ্ছা, বলবো না। হাত ছাড়ুন কেউ দেখলে ভুলভাবে। এরিশ কিছু একটা ভেবে হূরের হাত ছেড়ে দিয়ে বাসায় থেকে বেরিয়ে পরে বাইক। হূর পরপর দুই গ্লাস পানি খেয়ে নিজেকে শান্ত করে।

পা বাড়ায় নিজের রুমের দিকে। হূর নিজের রুমে যাওয়ার আগে চোখ যায় এরিশের রুমে সোফার উপরে। হূর যেই না রুমে প্রবেশ করবে তখনই এরিশ পিছন থেকে বলে

” এই তুই আমার রুমের সামনে কি করিস?? হূর চমকে পিছনে তাকিয়ে বলে

” আপনি না মাত্র বাইক নিয়ে বেরহলেন। এরিশ হূরেকে বলে

” হ্যা ফোনটা নিতে ভুলে গিয়েছিলাম৷ আর এখনে এসে দেখে তুই। তা কি চুরি করার ধান্দায় আছিস শুনি?? হূর বলে

” আমি কেন চুরি করতে যাবো?? আমিতো জাস্ট আপনার ঐ শার্ট টা দেখছিলাম কেমন চেনা চেনা লাগছে। এরিশ বলে

” পরতে দেখছিস তাই লেগেছে এমন, যা নিজের রুমে যা। হূর চলে যেতেই এরিশ ফোন নিয়ে বেরিয়ে যায়।

_____________

রাতের বেলা ছাঁদে দোলনায় বসে আছে হূর আর আলাইনা। আলাইনা চকলেট মিল্কসেক খাচ্ছে আর হূর কফি। আলাইনা বলে

” আপুই সকালে তো সবাই বললো তোমাকে বিয়প দিয়ে দিবে। তা আমাকে কবে বিয়ে দিবে? আলাইনার এমন কথা শুনে টাশকি খেয়ে যায় হূর। তখনই ছাদেঁ আসে এরিশ। এরিশকে দেখেই আলাইনা বলে

” আসছে প্যারিস হাসের পেক পেক। এরিশ বলে

” কি বললিরে বুড়ি?? আলাইনা বলে

” আমি বুড়ি?? এরিশ এসে আলাইনার চুল ধরে টেনে দিয়ে বলে

” না ঠাকুমা। আলাইনা ঠাস করে এরিশের হাতে মেরে বলে

” বেয়াদব বৎস, ঠাকুমা যেহতু বলেছ। তাহলে বসো ঠাকুমারঝুলি খুলি গল্প শুনো। এরিশ বলে

” ইশশশশ আসছে। যা ঘুমাতে যা। আলাইনা বলে

” তুমি যে আমার কথার মাঝে বা পা ঢুকাও না কোন দিন যেন এই পা কেটে তোমার হাতে ধরিয়ে দেই। যাও নিচে যাও আর আমার জন্য চকলেট নিয়ে আসো। এরিশ বলে

” আমি কেন যাবো তুই খাবি তুই যা। আলাইনা চোখ পাকিয়ে তাকাতেই এরিশ বলে

” যাচ্ছি যাচ্ছি, তাও এমন রাক্ষসীর মতো তাকাস না। আলাইনা বলে

” তুমি যাবে?? এরিশও চলে যায়

চলবে।

ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে, রিচেক হয়নি।