#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ২২
সবাই রুমে গিয়ে শুয়ে পরেছে,,,,পরী ছাদের দরজার তালা ভেংঙে,,,,ছাদে বসে আছে,,,ছাদের চারপাশের ফ্লাট এর অনেকেই ফুলগাছ মরিচ গাছ লাগিয়েছে,,,,,
পরি বসে বসে আকাশ দেখছে তখনি কেও তার পাশে এসে দারালো সে এটা বুঝতে পেরে পাশে তাকিয়ে দেখলো,,,,,,,
-আপনি এখানে কেনো এসেছেন,,,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
.
সিহাব-ওহ কাম ওন পরী,,,,তুমি যখন দৌড়ে ওপর এ আসছিলে তখন আমার সাথেই তোমার ধাক্কা লাগে,,,,তুমি ওপরে এতো রাত এ কোথায় যাচ্ছ দেখতে এলাম,,,,
(সিহাব কে তাইতো,,,সিহাব হলো বাড়ি ওয়ালার মেয়ের জামাই,,,, ঘরজামাই আর কী,,,,পরী এই লোকটাকে দুচক্ষে দেখতে পারে না,,,লোকটার নজর খারাপ পরী তাই ফ্লাট এর সব মহিলা আর মেয়েরা এনারর থেকে দূরে দূরে থাকে,,,,)
পরী নিজের চোখ মুছে বলে-দেখা হলে এখন যেতে পারেন,,,,
সিহাব-পরী তুমি আমার আপমান করছো,,,,
পরী বুঝলো না এতে আপমান এর কী আছে,,,যে ওনার আপমান হলো,,,পরী কিছু বললনা,,,,
তাদেখে সিহাব পরীর পাশে বসতেই পরী তারাতারি দাড়িয়ে গেলো,,,,তাদেখে সিহাব এক গাল হাসলো তারপর বলল-ভয় পেওনা আমি কিছু করবো না,,,,
পরী বেশ বিরক্ত হচ্ছে,,,এসেছিলো একটু নিজের মনটাকে হালকা করতে কিন্তু এখন এই সিহাব এর জালা,,,
পরী রেলিং এর পাশে গিয়ে দাড়িয়ে আকাশ দেখতে মগ্ন হয়ে গেলো,,আর সিহান নিজের মতোই বক বক করছে,,,
সবাই ঘুমিয়ে পরেছে কিন্তু কিছুতে রেদ এর চোখ এ ঘুম নেই,,,রেদ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো,,,১:২৭ বাজে,,,,হঠাৎ করে মনে একটা কথাই আসলো,,,,,
পরী কী ফিরেছে,,,,,রেদ উঠে বসলো,,,তারপর আলতো পায়ে রুম থেকে উঠে বাইরে এলো,,,,মেন ডোর এর কাছে গিয়ে দেখলো ডোর লক করানা,,,,তারমানে পরী এখনো আসেনি,,,,
পরী একমনে আকাশপথ দেখছে,,,,কিন্তু আকাশ দেখতে দেখতে সে ভুলেই গেছে ছাদে সে একা না,,,,
সিহাব কথা বলছিলো হঠাৎ দেখলো বাতাসে পরীর চুল উড়ছে,,,যার ফলে তার পিঠ মাঝে মাঝে দৃশ্যমান হয়েযাচ্ছে,,,,,
সিহাব উঠে পরীর পিছনে গিয়ে দাড়ালো,,,যেই পরীর পিঠ এ নিজের হাত ছোয়াবে তখনি একটা হাত সিহাব ধরে ফেলল,,,,
সিহাব তাকিয়ে দেখে একটা ছেলে তার হাত ধরে রেখেছে,,,কিছু বলার আগেই ছেলেটা সিহাব এর হাত মচকে দিলো,,,,
সিহাব ব্যথ্যায় চিৎকার করে উঠলো চিৎকার শুনে পরী চমকে পিছে ফিরে তাকিয়ে দেখে রেদ সিহাব এর হাত মচকে ধরে রেখেছে,,,,
পরী-স্যার কী করছেন ছাড়েন,,,
রেদ-how dare you তোর সাহস কী করে হয়ে পরীকে ছোয়ার চেষ্টা করিস,,,,
সিহাব-সরি সরি এই ভুল আর হবে না,,,প্লিজ ছেড়ে দিন,,,,
পরী-স্যার ওনাকে ছেড়ে দিন,,,, উনি ব্যাথ্যা পাচ্ছেন,,,,,
রেদ পরীর কথা শুনে আরো জোরে সিহাব এর চেপে ধরলো,,,,যার ফল সিহাবের চোখে পানি চলে এলো,,সে রেদ কে মিনতি করতে লাগলো তার হাত ছেড়ে দেওয়ার জন্য,,,,,,
পরী রেদ এর হাত ধরে সিহাবের হাত ছাড়িয়ে দিয়ে বলল-আপনি এখান থেকে যান এখনি,,,,
সিহাব ছাড়া পেতেই দৌড়ে চলে গেলো,,,,এবার রেদ পরীর দুই বাহু চেপে ধরে বলল-ওকে যেতে দিলে কেনো,,,
পরী-স্যার ইউু হার্টিং মি,,,,
রেদ-আমার প্রশ্নের উওর দেও আগে,,,,ও তোমাকে কেনো ছুবে,,,বলো,,,
পরী নিজের চোখ নামিয়ে নেয় রেদ এর কথার কোনো উওর দিলো না,,,,তাদেখে রেদ পরীর বাহু জাকিয়ে বলল-এখন বলছো না কেনো,,,,ও তোমাকে ছুলে কী তোমার তাতে কোনো প্রব্লেম নেই নাকি,,,নাকি,,,
রেদ কে আর কিছু বলার শুযুগ না দিয়ে নিজের সব শক্তি দিয়ে রেদ কে ধাক্কা দিয়ে বলল-পেয়েছেন টা কী হ্যা আমি কী করবো না করবো তা আপনাকে বলতে হবে না,,,আর হ্যা আমি পার্টির রাত টাও মনে রেখেছি আর আজকের রাত টা ও,,,,
কিন্তু যানে সেদিন আর আজকের মধ্যে পার্থক কী,,,সেদিন আপনি নেশার ঘোরে আমার থেকে আমার সব থেকে দামি সম্পদ টা কেরে নিয়েছিলেন,,,,আর আজ আমাকে আমার পরিবার এর কাছে ফিরেয়ে দিয়েছেন,,,,
কিন্তু আমি আপনাকে থ্যাংক ইউ বলবো নাকি আমার জিবন নষ্ট করার জন্য,,আপবাদ দিবো,,,বলুন,,,,,
রেদ একদম স্তব্দ হয়ে যায়,,,,ছোটো একটা কথা কতো বড় হয়ে গেলো,,,,,রেদ আর কিছু বলতে পারলো না কারন পরীর বলা এক এক টা অক্ষর সে সত্যি বলছে,,,,
পরী চোখের পানি মুছে বলল-আচ্ছা রেদ সেদিন কী আমাকে বাজারের মেয়ের মতো লাগছিলো কী,,,
পরীর মুখেনিজের নাম শুনে মুখ তুলে পরীর দিকে তাকালে কিন্তু পরীর কথা শুনে রেদের মাথায় আগুন ধরে গেলো,,,,,
সে পরীর হাত ঠান দিয়ে একদম নিজের বুকের সাথে মিসিয়ে বলল-সব শুনতে রাজি তোমার দেওয়া সব শাস্তি মাথা পেতে নিতে রাজি,,,,কিন্তু এই কথা যদি আর কোনো দিন তেমার মুখে শুনি,,,জানে মেরে ফেলবো,,,,রেদ পরীকে ছেড়ে দিয়
বেশ কিছু ক্ষন চুপ থেকে রেদ পরীকে বলে-মানছি আমি ভুল করেছি কিন্তু বিশ্বাস করো পরী আমি সব নেশার ঘোর এ করেছি,,,,আমি ইচ্ছে করে করিনি,,এসব,,,,এই ভুলের তুমি যা শাস্তি দিবে আমি মাথা পেতে নিবো,,,,
পরী নিজের চোখ মুছে বলল-বিয়ে করবেন,,,,
রেদ-মানে,,,,
পরী-এইতো বললেন যা বলবো তাই করবেন,,,বিয়ে করবেন আমাকে,,,,
রেদ চুপ হয়ে ভাবনায় পরে গেলো তা দেখে পরী একটা তুচ্ছ হাসি দিয়ে চলে আসার জন্য যেই পা বাড়াবে তখনি রেদ বলল-চলো,,,,
আর কিছু না বলে রেদ পরীর হাত ধরে নিচে নেমে রেদ ফ্লাট এ ডুকে নিজের গাড়ির চাবি নিয়ে পরীর হাত ধরে বেড়িয়ে পরলো,,,,
পরী-আমরা কোথায় যাচ্ছি,,,,
রেদ-গেলে দেখতে পারবে,,,,,
বলপ রেদ কাকে যেনো কল একটু দূরে চলে গেলো,,,,,
১ঘণ্টা পর রেদ আর পরী একটা বাড়ির সামনে এসে নামলাম,,,বাড়িতে লাইট জলছে মানা সবাই জেগে আছে,,,,কিন্তু হঠাৎ রেদ পরীকে এখানে কেনো আনলো কিছুই বুঝতে পারছে না,,,,,
রেদ পরী হাত ধরে বাড়ির ডোর এ গিয়ে বলে দিলো,,,,একটা ছেলে দরজা খুলে সলাম দিলো,,,রেদ পরী সালাম এর উওর দিয়ে ভেতরে ডুকলো,,,,
ভেতরে ডুকে দেখলাম ৩জন মহিলা আর ২জন পুরুষ বসে আছেন কিন্তু মাছে একটা সাদা পরদা টানানো,,,
পরী রেদ কে বলল-আমারা এতো রাতে এখানে কেনো এলাম,,,আর এটা কার বাড়ি,,,,
রেদ-এটা আমার আরবি শিক্ষক এর বাড়ি,,,আর আমরা এখানে এসেছি তোমার কথা মানে নিতে,,যাও ওই পাশে যাও,,,,
পরী-মানে,,,,
রেদ এটা বলে ওই দুইজন লোক এর কাছে গিয়ে কুশুল বিনিময় করে,,,তাই পরী ও পরদার ওপারে ওই ৩মহিলার কাছে চলে যায়,,,,
৩জন এই পরীকে সালাম দেয়,,,পরীও সাথে সাথে উওর দেয়,,,,,তখন একটা মেয়ে পরেকে সোফায় বসিয়ে তার নতুন কেনে একটা লাল ওড়না পরীর মাথায় দিয়ে বলে,,,,,
-বিবাহের শুভ কামনা জানাই,,,,
এই কথা শুনে পরী চমকে সোজা হয়ে দাড়িয়ে যায়,,,,তখনি ওপাশ থেকে আওয়াজ আসে,,,,নিকা শুরু করলাম,,,,
৩জন মহিলা আমাকে বসিয়ে দিয়ে বলল-যখন কবুল বলতে বলবে তখন কবুল বলবে ঠিক আছে,,,,
পরী শুধু মাথা নেরে হ্যা বলে,,,,পরদাটা বেশি বাড়ি হয়,,,,ওপাশে কী মোটা মোটি বুঝা যাচ্ছে,,,রেদ কে কবুল বলতে সে ৩বার কবুল বলে দেয়,,,,
এরপর পরীর পালা,,,,শেষে পরী ও কুবুল বলে বিবাহ সম্পুন করে,,,,,তারপর সবাই দোয়া পরার পর আমাকে আর রেদ কে একটা রুমে ২রাকাত নফল নামাজ পরতে দেওয়া হয়,,,,,
দুজনে নামাজ শেষ বাইরে এসে অল্প মিষ্টি খেয়ে সবার থেকে বিদায় নিয়ে আবার বেড়িয়ে পরি,,,
বাকিটা পরে জানবেন,,,,