#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ৩৩
পরী শুধু রেদ এর কথা জিজ্ঞাস করছে সবার কাছে,,,,তখন রেদ এর দাদিজান বলে,,,,
রাবেয়া বেগম-মা রেদ ভালো আছে কিন্তু তুমি ভালো নেই আগে ডাক্তার দেখিয়ে নেও তারপর রেদ এর সাথে দেখা করো,,,
পরী রেদ এর দাদিজান এর কথা মেনে ডাক্তার দেখাতে রাজি হয়,,,,একজন নার্স পরীকে একটা কেবিন এ নিয়ে যায়,,,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
পরীর হাতে রেদ এর ফাইল,,,ডাক্তার এর সামনে চেয়ারে বসে আছে পরী,,,,১৩দিন পর আজ রেদ বাড়ি ফিরবে,,,এই কই দিন রেদ হাসপাতেই ছিলো,,,
ডাক্তার -দেখুন মিস মি.রেদ কে আপনারা বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন ভালো বাট ওনার অনেক খেয়াল রাখতে হবে,,,আমি বলছি একজন নার্স দিয়ে দেই তার সাথে,,,,
পরী-তার দরকার হবে না তার জন্য আমি আছি,,,আর হ্যা আমি মিস.পরী
ডাক্তার -ওকে মিস পরী,,,,চুলুন মি.রেদ এর কাছে যাওয়া যাক,,,,
পরী ডাক্তার এর পিছন পিছন যায়,,,,একটা কেবিন এ ডুকে তারা,,,যেখান একজন ওয়াডবয় রেদকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে দিলো,,,
পরী-কেমন আছো রেদ,,,আহ আই মিম রেদ স্যার
রেদ পরীর দিকে তাকালো মেয়েটাকে তার কাছে খুব চেনা চেনা লাগে বাট কিছুতেই মনে করতে পারছে না মেয়েটা কে,,,
রেদ-ফাইন,,,দাদিজান কোথায়,,,,তিনি আসেন নি কেনো,,,,
পরী-উনি বাড়িতে আপনার ওয়েট করছে,,,,
রেদ-ওকে,,,,তাহলে ডাক্তার সাহেব আসি এখন,,,
ডাক্তার-নিজের খেয়াল রাখবেন মি.রেদ,,,আর হাটাচলা করবেন না ফুল বেড রেষ্ট,, আর নিজের ব্রেইন এ বেশি পেশার দিবেন না,,,,
রেদ-ওকে,,,,
পরী রেদ কে হাসপাতাল থেকে তার বাড়ি নিয়ে গেলো,,,
বাড়িতে ডুকতেই সবাই রেদের গ্রেন ওয়েলকাম করলো,,,রেদের দাদিজান তো রেদকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলেন,,,পরী দূরে দাড়িয়ে সব দেখছে,,,,
পরীর চোখ বেয়ে ও জল পরছে পরী সবার আড়ালে চোখ মুছে নিলো,,সবার চোখের আড়ালে পরী বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিলো,,,,
পরীর চোখে পানি কারন তার ভালোবাসার মানুষটা তাকে বাদে সবাইকে চিনতে পারছে,,,,শুধু মাএ পরী তার স্মিতিতে নেই,,,
সেদিন পরীকে যখন নার্স বেন্ডেজ করে দিচ্ছিল তখন হঠাৎ করে মিলি পরীকে খুজতে খুজতে দৌড়ে এসে বলে,,,,
মিলি-পরী আপা রেদ ভাইজান এর জ্ঞান ফিরেছে,,,জ্ঞান ফিরার পর থেকে সে আপনাকে খুজছে,,,
পরী এ কথা শুনে দৌড়ে রেদ এর কাছে ছুটে যায়,,,কিন্তু ততক্ষন এ রেদ আবার জ্ঞন হারিয়ে ফেলে,,,,
পরী রেদ এর পাশে গিয়ে তাকে অনেক ডাকে বাট রেদ উঠেনা,,,পরী কান্নায় ভেঙে পরে তার মামি তাকে বাইরে নিয়ে যায়,,,,
সেদিনের পর ৩ দিন পর রেদ এর আবারজ্ঞান ফিরে,,,যেই রেদ এর মাঝে ছিলোনা পরীর সাথে কাটানো সব স্মিতি,,,
পরী যখন রেদ এরকাছে যায় তখন রেদ বলে-আপনি কাকা খুজছেন,,,,
পরী রেদ এর কাথা শুনে বলে-রেদ আমি তোমার সাথে দেখা করতে এসেছি,,,,তুমি এমনে বলছো কেনো,,,
রেদ-সরি মিস বাট আমি কী আপনাকে চিনি,,,
তখন পরী একনয়ন এ রেদ এর দিকে অনেক ক্ষন চেয়েছিলো রেদ এর চোখ দিয়ে চপ চপ করে পানি পরছিলো,,,পরী কিছু না বলে কেবিন থেকে বের হয়ে সোজা ডাক্তার এর কেবিম এ যায়,,,,
পরী-ডাক্তার রেদ আমাকে কেনো চিনতে পারছে না,,,,আমি কে সে আমাকে জিজ্ঞাস করছে কেনো,,,
ডাক্তার -আগে বসুন বুঝিয়ে বলি,,,,
পরী চেয়ার টেনে চেয়ারে বসে,,,ডাক্তার এক গ্লাস পানি পরীকে এগিয়ে দেয়,,,,,আর বলে,,,,
-দেখন আমাদের মনে হয়ে মি.রেদ এর Shot time memory loss হয়েছে,,,,এটায় হয় কী যেমন কোনো ব্যক্তি তার জিবন এর সবচেয়ে গুরুত্ব পূনন মুহত গুলো ভুলে যায়,,,,অথবা কয়েক মাস বা ১/২বছর এর সব ঘটনা ভুলে যায়,,
পরী-বাট প্রথম যখন রেদ এর জ্ঞান ফিরে ও আমাকে চিনতে পেরেছিলো,,,,ইভেন ও আমার নাম ও নিয়ে ছিলো,,,
ডাক্তার -হ্যা,,,বাট আমার এই কারন টাই মনে হয় যার কারনে মি.রেদ আপনাকে ভুলে গেছে,,,
পরী-মানে,,,,
ডাক্তার -মানে এমন হওয়ার কারন হলে যখন পেশেন্ট মাথায় আঘাত পাওয়ার পর যেই ব্যক্তিকে জ্ঞান পাওয়ার পর খুজে বাট তখন সে তার সামনে আসেনা এতে ব্রেইন ভেবে নেই এমন কেও,,,,,
নেই তা সে তা ভুলে যায়,,,,আর তার ফল পরে যখন সেই ব্যক্তি তার সামনে আসে পেশেন্ট তাকে চিনে না,,,,এর এটাই মি.রেদ এর বেপার এ ও হয়েছে,,,,,
পরী ডাক্তার এর কথা শুনে ভেঙে পরে সে ভাবে তাহলে রেদ আমাকে ভুলে যাবে আমাকে চিনবে না,,,,তহলে রেদ আমাদের ভালোবাসা ও ভুলে গেলো,,,
পরী কিছু না বলে উঠে ডাক্তার এর কেবিন থেকে বেরিয়ে যায়,,,,সেদিন ও পরীর মুখে কোনো কথা ছিলো না শুধু চোখ দিয়ে চপ চপ করে পানি পরছিলো,,,,,
বর্তমান,,,,
পরী নিজের বাড়ি ুসে নিজের বেগ গুছিয়ে তার মামিমা এর থেকে বিদায় নিয়ে রেদ এর বাড়ি যায়,,,,
পরী রেদ এর দাদিজান কে আগেই বলে রেখেছে রেদ এর পুরো দেখা শুনা পরী করবে,,তাই তিনি ও রাজি হয়ে জান,,,
পরী রেদ এর বাড়ি চলে আসে মিলি পরীকে রেদ এর পাশের রুমে থাকতে দেয়,,,যাতে পরী ওল টাইম রেদ এর আসে পাশে থাকতে পারে,,,,
পরী এই বাড়িতে এসে প্রথম এ রেদ কে একবার দেখে আসে সে ঘুৃমিয়ে রয়েছে তাই পরী নিজের রুমে ফ্রেস হতে চলে যায়,,,,,হলুদ রং এর গোল ৩পিস পরেছে পরী,,,,
ভিজা চুল এ তোয়ালে পেচানো,,,,পরী আয়না সামনে গিয়ে দারায় আর তখনি কিছু পরার শব্দ আসে রেদ এর রুম থেকে,,,পরী ছুটে রেদ এর রুম এ যায়,,,,
রেদ নিজের ফোন নেওয়ার জন্য বিছানা থেকে হাত দিয়ে চেষ্টা করছে যার ফলে বেচার গ্লাস ফ্লোর এ পরে ভেঙে গেছে,,,,
পরী রুমে ডুকতে ডুকতে বলল-ফোন লাগবে ডাকলেই পারতেন,,,
রেদ পরীর দিকে তাকিয়ে একদম থমকে যায়,,,,তার সামনে একজন হলুদ সুন্দরি,,,,পরী রেদ এর ফোন টা চার্জার থেকে খুলে রেদ এর সামনে দেয়,,,,
রেদ নিজের ফোন হাতে নিয়ে বলে-আপনি এই বাড়িতে,,,,
পরী ফ্লোর এ বসে গ্লাস ভাংঙা টুকরো গুলো উঠাতে উঠাতে বলল-আমার ইচ্ছে তাই,,,,
রেদ-ও গুলো আপনাকে করতে হবে না বাড়িতে সার্ভেন্ট আছে তারা করে নিবে,,,,
পরী সব কাচ গুলো উঠেয়ে বলল-হুম তা নাহয় করলো বাট আমি কাজটা যখন ধরেছি তাহলে আমি নাহয় শেষ করি,,,,,
রেদ আর কিছু বলল না পরী কাচ গুলো ফেলে একটা বেজা কাপর দিয়ে জায়গাটা মুছে দিলো যাতে কাচের কনা ও না থাকে,,,,
কাজ শেষ এ পরী রুম থেকে ভের হতে যাবে তখনি রেদ পরী বলে উঠে আর পরী থেমে যায়,,,,
বাকিটা পরে জানবেন,,,,,
#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ৩৪
পরী সব কাচ গুলো উঠেয়ে বলল-হুম তা নাহয় করলো বাট আমি কাজটা যখন ধরেছি তাহলে আমি নাহয় শেষ করি,,,,,
রেদ আর কিছু বলল না পরী কাচ গুলো ফেলে একটা বেজা কাপর দিয়ে জায়গাটা মুছে দিলো যাতে কাচের কনা ও না থাকে,,,,
কাজ শেষ এ পরী রুম থেকে ভের হতে যাবে তখনি রেদ পরী বলে উঠে আর পরী থেমে যায়,,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
পরীর চোখে পানি চলমল করছে কিন্তু চোখ বেয়ে নামছে না,,,পরী রেদ এর দিককে ঘুরে তাকালো তখনি রেদ বল,,,,
রেদ-এই পরী আবার কে এতো কল করেছে কেন আমায়,,,,
পরী যেনো অনেক বড় শক খেলে রেদ তার নাম ও জানেনা এটা ভেবেই চোখের পানি গড়িয়ে মাটিতে পরতে লাগলো,,,,
পরী ঘুরে দাড়িয়ে বলল-পরী আমার নাম
বলে রুম থেকে-বেড়িয়ে গেলো,,,রেদ পরীর কথা শুনে পরীর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো,,,
পরী নিজের রুমে এসে দরজা বন্ধ করে কান্নায় ভেঙে পরলো,,,,সেদিন যদি ও সময় মত রেদ এর সামনে পৌছাতো তাইলে আজ সব ঠিক থাকতো,,,,
২ঘণ্টা পর পরী রুম থেকে ফ্রেস হয়ে বের হয়,,,সোজা রান্নাঘর এ গেলো সেই জায়গায় দুজন লোক রান্না করছে,,,
সে রেদ এর জন্য চিকেন সুপ রেধে বাটিতে করে তার রুমে চলে গেলো,,,রেদ এর দাদি সবই দেখছে,,,,
রেদ এর প্রতি পরীর কেয়ার ভালোবাসা যত্ন,,,পরী গিয়ে দেখে রেদ শুয়ে রয়েছে,,,পরী সুপ টা রেদ এর বেড এর পাশের টেবিল এ ডেকে রাখলো,,,
তারপর রেদ কে ডেকে তুলল,,,রেদ উঠে বলল-ডাকছো কেনো,,,,,
পরী-আপনার খাবার সময় হয়ে গেছে,,,,
রেদ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো ১২:৩৪ বাজে,,,
রেদ-আমি ২:৩০ এর আগে লাঞ্চ করি না,,,,
পরী- ডাক্তার বলে দিয়েছেন রুটিন অনুযায় খাওয়া দাওয়া করতে হবে,,,আর এখন আপনার ওষুধ ও আছে,,,,
রেদ-এখন ওষুধ আছে মানে,,,না আমি এখন খাবো না,,,,
পরী-রেদ বেশি জোরাজরি কোরো না,,,,খেয়ে নাও,,,
রেদ-হেই ওয়েট ওয়েট তুমি আমার নাম ধরে ডাকছো,,,
পরী-আব সরি খেয়ে নিন প্লিজ,,,,আমি এখনি আসছি,,,,
বলে পরী উঠে দাড়ালো তখন রেদ পরীর হাত ধরে বলল-ও হ্যালো ঘুম থেকে উঠেছি আগে ফ্রেস হবো তারপর খাবো,,,,
পরী-ওকে আমি নিচে গিয়ে রহিম চাচা কে পাঠাচ্ছি,,,,
রেদ-তুমি থাকতে আর কাওকে লাগবে না হাত টা ধরে এগিয়ে দেও শুধু,,,
পরী-আমি,,,
রেদ-না তোমার ভুতে,,,,
পরী রেদ এর হাত ধরে খুব সাবধনে ওয়াসরুমে নিয়ে গেলো,,,রেদ ফ্রেস হয়ে এসে সুপ খেয়ে ওষুধ খেয়ে নিলো,,,,
আজ ৯দিন হয়ে গেছে পরী রেদ এর সব দিক খেয়াল রাখছে,,,রেদ এখন একা একা হাটতে পারে আল্প আল্প বাট পরী রেদকে একা হাটতে দেয় না,,,,
রেদ এর অনেক খেয়াল রাখছে,, রেদ নিজের রুমে বসে লেপটপ এ ছবি দেখছে,,,,কিছুদিন আগের,,,,
হঠাৎ একটা ছবি দেখে রেদ এর চোখ আটকে গেলো,,,,,ছবিটা দেখে রেদ কী বুঝলো না বুঝলো বাট জোরে জোরে পরীকে ডাকতে লাগলো,,,,
পরী রেদ এর এমন ডাক শুনে দৌড়ে রেদ এর রুমে চলে এলো,,,,
পরী-কী হয়েছে,,,,,এমন করে ডাকছেন কেনো,,,,,
রেদ-একটা কথা জানার ছিলো,,,,
পরী-হুম বলুল,,,,
রেদ লেপটপ টা ঘুরিয়ে পরীকে দেখালো,,,পরী বেশ দেখতে পারছে এটা তার নিজের ছবি,,,,,
ছবিতে পরীর গলায় রেদ এর মায়ের ৭নরিহার খানদানি হারটা,,,,
রেদ-এটা তোমার কাছে কেনো,,,,
পরী-আসলে,,,
রেদ-এটা তুমি কেন পরেছো,,,,বলো,,
পরী-এটা আমি,,,
রেদ-হাউ ডেয়ার ইউ আমার মায়ের জিনিস ধরার আগে,,,,এখন যাও আর এই হার নিয়ে আসো আমার কাছে,,,,
পরী অবাক হয়ে রেদ এর দিকে চেয়ে রয়েছে তাদেখে রেদ চিৎকার করে বলে উঠলো-যাও নিয়ে আসো বলছি,,,,
পরী রুম গিয়ে আলমারি থেকে একটা গহনার বক্স বের করে রেদ এর রুমে চলে গেলো,,,
পরী রেদ এর হাতে বক্স টা দিয়ে বলল-সময় হলে আবার পরিয়ে দিও,,,,
বলে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো,,,,
বাকিটা পরে জানবেন