ভালোবাসার_অভিনয় পর্ব-৭+৮

0
3686

#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ৭

পরী না দেখেই বলল-এই কানা দেখে চলতে পারেন,,,,,

পরী আর কিছু বলতে পারলো না সামনে রেদ কে দেখে,,,

পরী-আপনি এখানে👀👀👀
.
.
.
.
.
.
.
রেদ-তুমি এখানে,,,

পরী কিছু বলতে যাবে তখনি রেস্টুরেন্ট এর ঘটনা মনে পরে যায় তাই এবার রেদ কে দেখে নিজের হাত দিয়ে মুখ ডেকে ফেলে,,,,

তাদেখে রেদ মিম এর দিকে তকিয়ে বলে-এই কী হলো এই ভাবে মুখে হাত দিলে কেনো,,,

বাট পরী মুখ থেকে হাত শরালো না,,,,তাই মিম বলল-এই তোর কী আবার বমি আসছে নাকী,,,

মিম এর কথা শুনে রেদ মিম কে প্রশ্ন করলো-বমি আসছে মানে কী হয়েছে,,,,

মিম-আরে রেদ ভাইয়া আর বলবেন না ওর অফিস এর বস ওকে আজ জোর করে এক গ্লাস করলার জুস খাইছে,,,,সাধে কী পরী তাকে তিতা নিমপাতা বলে নাকী,,,বেটা শয়তান

মিম এ কথা শুনে পরী নিজের মুখ ছেড়ে মিম এর মুখ চেপে ধরলো,,,,মিম পরীর হাত সরিয়ে বলল

মিম-ছাড় তো বলতে দে,,জানেন রেদ ভাইয়া আপনার বন্ধু বেজায় খারাপ লোক কী হাল টাই না হয়েছে করলার জুস খেয়ে,,,আপনার বন্ধুর বদনাম করছি কিছু মনে করবে না,,,,

রেদ-হুম হুম ঠিক আছে,,,,

পরী মিম আর রেদ এ কথার মনে বুঝতে না পেরে বলল-মানে কী এই তুই ওনে চিনিস আর কী ভুল বকছিস ওনার বন্ধু না ওনিই আনার বস মি.রেদওয়ান আহামেদ রেদ,,,

মিম-কী,,,,বাট ওনি যেদিন তোকে পৌছে দিলো সেদিন তো বলল উনি তোর বস এর বন্ধু,,,আর ওনিই তোকে ২দিন রেস্ট ও ও থাকতে বলেছিলো,,,

রেদ-জ্বী কারন তখনি আমার অসল পরিচয় বললে আপনি পরীকে ও বলে দিতেন আমি তার বস শুনলে তখন হার্ট আর্টাক করতো,,কারন যা যা গাড়িতে বলেছিলো,,,,,

রেদ এর কথা শুনে পরী মাথা নিচু করে নিলো,,,আর মিম বলল-আসলে আই এম সরি ভাইয়া

রেদ কিছু একটা ভেবে বলল-হুম সরি আক্টসেপ্ট করবো যদি তোমরা আমার একটা হেল্প করো,,,,

পরী-আমি এসব এ নেই,,,,

রেদ-ওর কথা ছাড়ো মিম বলো প্লিজ না বলো না,,,,

মিম-ওকে ঠিক আছে,,,

রেদ-থেংক ইউ,,,,

তারপর রেদ সব বলল কী হেল্প চাই,,,তখন মিম রেদ আর পরীকে নিয়ে একটা শাড়ির দোকান এ গেলো,,,,,

মিম অনেক গুলো শাড়ি দেখে বাট পছন্দ করতে পারছে না পরে পরীর হেল্প নিয়ে একটা সুন্দর হালকা কাজ করা হলকা পিং কালার একটা শাড়ি পছন্দ করে দিলো,,,

মিম ও একটা শাড়ি কিনলো,,,লাল কালার পরী একটা নীল শাড়ি নিয়ে ও রেখে দিলো পরতে পারে না তাই,,,,

তারপর ওরা ৩জন এই বেরিয়ে এলো,,,,তারপর ৩জন অন্য একটা দোকানে ডুকলো,,,রেদ একটা দামি সুন্দর জামা কিনে নিলো,,,

পরী বলল-আচ্ছা আপনার কী কেনা কাটা শেষ হয়েছে না মানে আমরা ও একটু কেনা কাটা করতাম,,,,

রেদ-জ্বী হয়েছে এখন আপনার যা ইচ্ছা কিনুন,,,,

রেদ সেখানেই বসে রইলো মিম আর পরী কিনা কাটা করছে,,,,কেনা কাটা শেষ এ বিল পে করতে গেলো তাদের বিল টা রেদ দিয়ে দেয়,,,এই নিয়ে পরী আর রেদ এর এক লংকা কান্ড বাধিয়ে দিয়েছে,,,,

শেষ এ মিম এর ধোমক খেয়ে পরী নিজের বিল পে করে মিম কে রেখেই ওই দোকান থেকে বেড়িয়ে গেলো,,,পরী চলে যেতেই দোকানদার থেকে পরীর টাকা ফেরত নিয়ে মিম এর কাছে দিয়ে রেদ বিল পে করলো,,,

মিম রেদ এর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সে ও বেড়িয়ে পরলো,,,,

বাড়ি এসে পরী সোজা রুমে ডুকে শপিং বেগ গুলো বিছানায় রেখে ফ্রেস হতে চলে যায়,,, পরী মিমকে রেখেি চলে এসেছে,,,ফ্রেস হয়ে শপিং বেগ গুলো আলমারি তে রেখে না খেয়ে শুয়ে পরলো,,,,

মিম বাড়ি এসে দেখে পরী শুয়ে পরেছ,,তাই মিম ও ফ্রেস হয়ে ওর পাশেই শুয়ে পরে,,,,

রেদ এর বাড়ি এসে সোজা তার দাদিজান এর রুমে ডুকলেন,,সেখানে মিনা দাদিজান এ পাশে বসে পরছে আর দাদিজান তাকে পরাচ্ছে,,,,

রেদ-এখন পড়া রাখো আর দেখো পছন্দ হয় কী না বলে দাদি কে একটা শপিং বেগ দিলো তর মিনা কে একটা শপিং বেগ দিলো,,,

দুজনেই জামা কাপর দেখে বেশ খুশি
দিদা-খুব ভালো আমাদের পছন্দ হয়েছে,,,,

রেদ- তাহলে এখন আমি যাই কাল তাহলে পার্টিতে এগুলোই পপরবে দুজনে,,,,,

বলে রুম থেকে বেরিয়ে ননিজের রুমে চলে গেলো,,,,দাদিজান হাসতে হাসতে বলে-রেদ তুই যাই বল এটা তোর পছন্দ সেটা বিশ্বাস হয় না,,,তোর পছন্দ সমন্ধে আমার জানা আসে,,,,

মিনা-আপনি এইডা বললেন,,,,,আর ভাইজান আরো ২টা বাগ হাতে দেখলাম সেই গুলা তো দেখাইলো না,,,,

দিদা-ওরে কেন যানি মনে হচ্ছে আমার নাতবউ খুব তারাতারি আসতে চলেছে,,,,

মিনা-তাইনাকী দাদি

দিদ-হুম এখন কালকের অপেক্ষা,,,,,

রেদ ফ্রেস হয়ে এসে দেখে সে শপিং বেগ গুলো বিছানায় রেখে ফ্রেস হতে চলে গিয়েছিলো আর দরজা ও খোলা,,,,

রেদ তারতারি দরজা ওফ করে শপিং বেগ দুটো হাতে নিলো একটা বেগ এ পরীর পছন্দ করা সেই নীল শাড়িটা,,,রেদ শাড়ির সাথে মেচিং চুড়ি কানের দুল আর একটা পায়েল কিনে এনেছে,,,পরীর থেকে লুকিয়ে শাড়িটা কিনেছে,,,,

বেগ ২টা খুব সুযত্নে আলমারিতে রেখে বিছানায় শুয়ে পরলো আর আজ সারাদিন এর কথা ভাবতে লাগলো আর নিজেই হাসতে লাগলো,,,,

পরের দিন সকালে পরী ঘুম থেকে উঠে দেখলো মিম তার পাশে নেই,,,পরী উঠে ফ্রেস হয়ে একটা গোলাপি গোল জামা পরে পরে চোখে কাজল দিয়ে আর চুল গুলোকে পাটি করে একজোরা কানের দুল পরে রুম থেকে বেরিয়ে এলো,,,

দেখ মিম পরীর প্রিয় পাস্তা রান্না করেছে,,,সাথে একটা বড় চকলেট,,,পরী টেবিলে বসে পাস্তা খাচ্ছে আর বলছে-রাগ ভাংগে নাই,,,

মিম-সরি তো,,,

পরী-এদিকে আয়,,,,

মিম পরীর পাশে একটা চেয়ার টেনে বসলো,,,,পরী মিম এর মুখে পাস্তা খাইয়া দিয়ে বলল-হুম এবার রাগ কমছে,,,

বলে দুজনেই হেসে দিলো,,,,,

#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ৮

মিম-সরি তো,,,

পরী-এদিকে আয়,,,,

মিম পরীর পাশে একটা চেয়ার টেনে বসলো,,,,পরী মিম এর মুখে পাস্তা খাইয়া দিয়ে বলল-হুম এবার রাগ কমছে,,,

বলে দুজনেই হেসে দিলো,,,,,
.
.
.
.
.
.
পরী অফিস গেট এ নেমে রিক্সা চালককে টাকা দিয়ে অফিস এর লিফটে উঠে পরে,,,,লিফট ওফ হওয়ার আগে একজন হাত দিতেই আবার লিফট এর দরজা খুলে যায়,,,,

রেদ লিফটে ডুকে দেখে পরী ও লিফটে তাই রেদ বলল-হায়,,,

বাট পরী কিছু বলল না,,লিফট এর দরজা ওফ হয়ে গেলো,,,,পরী কিছু না বলায় রেদ ও কিছু বলল না,,,

২য় ফ্লোর পৌছে হঠাৎ লিফট বন্ধ হয়ে যায়,,,পরী চিৎকার দিয়ে ওঠে,,,রেদ নিজের কানে হাত রেখে বললে,,,,

রেদ-এই আস্তে এতো জোরে কেও চেচায় উফ কানটাই শেষ করে দিলো,,,,

পরী-আমি,, আমি বাইরে যাবো বলে লিফট এর দরজা ধাক্কা দিতে লাগলো তাদেখে রেদ বলল

-এই তুমি এমন করছো কেনো কী হয়েছে সেটা তো বলো,,,,,

পরী-আমার আমার,,,,বন্ধ জায়গায় থাকলে,,,,নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়,,,,

বলে পরী নিচে বসে পরলো,,,রেদ বুঝতে পারছে পরীর প্রব্লেম হচ্ছে,,,,রেদ পরীর পাশে বসে বলল -চিন্তা করো না এখনি সব ঠিক হয়ে যাবে,,,,

পরী জোরে জোরে হাপাতে লাগলো আর বলল-পিলিজ..দরজা.. টা.. খুলুন,,,,নাইলে আমি,,,

পরী ঠিক মতো কথা ও বলতে পারছে না,,,রেদ পরীকে জোরিয়ে ধরে আর দরজায় ও ধাক্কা দিতে লাগলো,,,,

বাইরে ও সোর গোল পরে গেছে লিপট ওফ হয়ে গেছে বলে,,, সিকোরেটি গার্ট মেকেনিক কে কল দিয়ে তারাতারি আসতে বলেছে,,,,,

পরী ঘেমে একা কার রেদ এর ও কিছুটা সেই হাল তাই রেদ কোট টা খুলে পাশে রেখে দেয়,,,পরীর অবস্তা খারাপ এর দিক যাচ্ছিলো,,, তাই রেদ পরীর মাথা নিজের বুকের মাঝে পরীর মাথায় হাত দিয়ে ধরে রেখেছে,,,,

পরীর জ্ঞান পরো পরি হারায়নি তখন সে সেই অবস্তায় বলতে লাগলো আমতা আমতা করে-কেনো কেনো ছেড়ে গেলে আমায় আমার কী দোষ ছিলো,,,,,

রেদপরীর বলা কথা গুলো শুনার চেষ্টা করতে লাগলো আর যা শুনলো তাতে বেশ অবাক হলো পরী এসব কী বলছে,,,,,

পরী রেদ এী শার্ট এর কলার ধরে টান দিয়ে বলল-আমার ভালোবাসায় কী কোনো কমতি ছিলো,,,,কেনো আমাকে ঠকালে,,,কেনো

বলে কাঁদতে লাগলো,,,, বলে মানুষ ভয় পেলে তার মনের কথা তার মুখে চলে আসে,,,,আর পরীর মনে তার অতিত এর কষ্ট গুলো লুকানো ছিলো যা এখন তার মুখে চলে এলো,,,,

রেদ পরীর কথা গুলো শুনে বুঝতে পারলো পরী ভালবাসায় অনেক কষ্ট পেয়েচে,,,পরীর কথা গুলো শুনে রেদ এরই অনেক খারাপ লাগছে তাইলে পরীর কী অবস্তা ছিলো তখন,,,,,

পরী-খুব ভালোবেসেছিলা তোমায় এভাবে না ঠকালে ও পারতে,,,, কেনো success এর জন্য আমাকে ঠকালে,,,,

রেদ-পরী কী বলছো এসব,,,,

পরী-খুব ভালোবেসেছিলা নি….আর কিছু বলার আগেই পরী জ্ঞান হারায়,,,

রেদ-পরী এই পরী বলো কথা বলো,,,,এই পরী,,,,,

তখনি লিফট খুলে যায়,,,,অনেকেই ভির করে রেখেছে দরজায়,,,রেদ তাদের কেউর পরয়া না করে পরীকে কোলে তুলে নেয় আর লিফট তেকে বেরিয়ে পরে,,,,

রেদ কে দেখে ম্যানেজার আর কয়েক জন স্টার্ফ রেদ এর পিছু পিছু গেলো,,,,রেদ সিড়ি দিয়ে উঠে ৩য় ফ্লোর এর নিজের কেবিন এ চলে যায়,,,,

তারপর নিজের কেবিন এর সাথে এটার্চ বেড রুমে পরীকে নিয়ে শুয়ে দিয়ে বলে

রেদ-ম্যানেজার সাহেব ডাক্তার কে কল করেছেন,,,

ম্যানেজার সাহেব-জ্বী স্যার উনি ওন দ্যা ওয়ে আছে,,,,

রেদ এসি বাড়িয়ে দিলো আর পরীর পাশে বসে বলতে লাগলো-পরী আর ইউ ওকে,,,,ম্যানেজার সাহেব পানি দিন তো,,,,

ম্যানেজার সাহেব-জ্বী স্যার বলে টেবিল এর থেকে এক গ্লাস পানি এনে দিলো,,,

রেদ পরীর মুখে পানি ছিটিয়ে দিলো তাও পরীর জ্ঞান ফিরলো না,,,

তাদেখে সবাই কিছুটা ভয় পেয়ে গেলো,,,তখনি একজন ডাক্তার কে নিয়ে চেলে এলো,,,,

ডাক্তার পরীকে দেখে একটা ইঞ্জেক্সন দিলো আর বলল কিছু ক্ষন এর মাঝেই জ্ঞান ফিরবে,,,একটু বেশি ভয় পেয়ে গিয়েছিলো তাই,,,,

ডাক্তার চলে গেলে রেদ সবাইকে কাজ এ চলে যেতে বলে,,,রেদ নিজের চেয়ারে বসে পরে আর ভাবতে থাকে কী হয়েছিলো পরীর সাথে,,,,,

পিউন এসে রেদকে এক গ্লাস সেলাইন এর পানি দিয়ে যায়,,,,রেদ সেলাইন পানি টা খেয়ে কাজে মন দেয়,,,,

বেশ কিছুক্ষন পরে পরীর জ্ঞান ফিরে,,,পরী জ্ঞান ফিরার পর পরী নিজেকে এক অচেনা জায়গায় নিজেক পায়,,,,

পরী উঠে বসে তারপর চারদিকে চেয়ে দেখে রুম টা বেশি বড় না একটা বেট একটা ছোটো আলমানি আর একটা টেবিল রাখা,,,,পরী এখন বুঝতে পারছে এটা হয়তো অফিসের কোনো রেস্ট রুম,,,,

পরী দরজা খুলে বাইরে এসে দেখে রেদ চেয়ারে বসে কী যেনো ভাবছে,,,,পরী রেদ এর কেবিনে এটা বুঝতে পেরে কেমন যেনো অস্থির লাগতে লাগলো,,,,

পরী কোনো মতে নিজেকে সামলে নিয়ে বলে-স্যার আমি আমার কেবিনে গেলাম,,,,,

বলে একপ্রকার দৌড়ে কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলো,,,পরীর কথা শুনে রেদ চমকে সামনে তাকিয়ে দেখে পরী কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলো,,,

পরী নিজের কেবিনে এসে ভাবতে লাগলো কী হয়েছিলো,,,লিফটের ঘটনা সব মনে না পরলে ও অল্প অল্প করে সব মনে পরছে,,,,

এসব ভাবতেই পরী বেশ ওকয়াড ফিল হতে লাগলো,,,তখনি মিলি আর শিলা পরীর কেবিনে ডুকপ আর বলে,,,,,

শিলা-পরী তুই কেমন আছিস,,,যা ভয় টাই না পেয়েছিলা,,,,

মিলি-এখন কেমন আছিস,,,সেটা বল,,,,

পরী-এখন ভালো আছি,,,

শিলা-রেদ স্যার এর মুখ টা দেখার মতো ছিলো মনে হয় ওনিও ভয় পেয়েছিল তকে ওই ভাবে দেখে,,,,

মিলি-আমার তো হিংসা লাগছে পরী সাথে,,,

পরী মিলির এই কথা কেনো বলল তা জানার জন্য ভ্রু কুচকে মিলির দিকে তাকালো,,,,মিলি বলল

-স্যার যেই ভাবো তোকে কোলে করে নিজের কেবিনে নিয়ে গেলো কত কেয়ার করলো,,,,দেখে মনে হচ্ছিল তার খুব কাছের কেউ,,,,

শিলা-একদম ঠিক,,,,আচ্ছা এসব বাদ দে পার্টিতে জাওয়ার কী প্লেন,,,,

তিন জন আরো অনেক কথা বলল শিলা বর মিলি চলে যেতেই পরী কিছুটা ভাবনায় পরে গেলো,,,,কী বলল ওরা

চলবে,