ভালোবাসি পর্ব-১৪

0
5280

#ভালোবাসি
#পর্বঃ১৪
#Tanisha Sultana (Writer)

“লুচ্চা

” হুম আর

“সরেন

তুলি সায়ানকে ধাক্কা দিয়ে সরে যায়
” এইতো ভালোবাসতে বলছিলি

“এভাবে কেউ ভালোবাসে

” তো কিভাবে বাসে

“আপনি কিচ্ছু জানেন

” জানি না বলেই তো জানতে চাইছি

“ঘুমাবো আমি

” বললি না

তুলি সায়ানের চুল টেনে শুয়ে পরে। সায়ান একটু মুচকি হেসে তুলির পাশে শুয়ে পরে।
“তুলি

” কান খোলা আছে

“আমি তোকে ভালোবাসি কি না জানি না তবে এটুলু বলতে পারি কাকায়ের মতো কিছু আমি করবো না

” অলরেডি করছে। আমার তো পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই দাদু আপনার বাবা হয়ত প্রটেক্ট করছে তবে আপনি যদি মায়াকে বিয়ে করেন ওনারাও আস্তে আস্তে রাজি হয়ে যাবে

“কিসের মধ্যে কি। আমি একটা সিরিয়াস বিষয়ে কথা বলছি তার মধ্যে তুই তোর মন্তব্য এনে মুড টাই নষ্ট করে দিলি

” সত্যি কথা বললাম

“সত্যি বলিস নি তুই। আমি তোকে বিয়ে করেছি।তুই ছাড়া অন্য কেউ আমার জীবনে আসবে না। আমি তোকে ভালোবাসি

তুলি এবার ফট করে উঠে বসে সায়ানের মুখের দিকে তাকায়। তারপর জোরে জোরে হাসতে থাকে। সায়ানও বসে

” হাসছিস কেনো?

“জোকস টা দারুণ ছিলো

” তুলি আমি সিরিয়াসলি বলছি

“হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেলো।

সায়ান মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে পরে। তুলিও শুয়ে পরে

“আমাকে আপনি ভালোবাসেন না। ভালোবাসলে আপনি কখনো মায়াকে আনতেন না। আর আমি আপনার ভালোবাসা চায়ও না। যারা ভালোবাসে কেয়ার করে তারাই ছেড়ে চলে যায়। আমার বাবাকেই দেখুন না কতো ভালোবাসতো আমাকে আর এখন

তুলি আর কিছু বলে না। চোখ বন্ধ করে ফেলে। সায়ানও কিছু বলে না।

সকালে
আজ তুলি সায়ান আর মায়া ঢাকা চলে যাবার কথা কিন্তু আজ রুহির বিয়ের পাকা কথা বলতে আসবে তাই ওরা আর যেতে পারে না। সবাই মিলে ড্রয়িং রুমে গল্প করছে তখন কলিং বেল বাজে

” এই সময় আবার কে এলো ( সায়ানের বাবা)

“আমি দেখছি

তুলি দরজা খুলতে যায়। দরজা খুলে দেখে তুলির বাবা সাথে সেই মহিলা আর ছেলেটা। তুলিতো ওদের দেখে ভীষণ রেগে যায়

” এ বাড়িতে কি চায়

“মামনি আমাদের ভেতরে যেতে দাও

ওরা তুলিকে ঠেলে ভেতরে ঢোকে। তুলির দাদু সায়ানের বাবা মা তুলির মা সবাই ওদের দেখে অবাক। দাদু চিৎকার করে বলে

” তোর সাহস কি করে হলো এবাড়ি ঢোকার

“বাবা তোমার নাতি দোয়া করবে না

ছেলেটাকে দেখিয়ে বলে

” আমার ছেলেই তো মারা গেছে নাতি আসবে কোথা থেকে। বেরিয়ে যাও

“বাবা প্লিজ এমন করো না

” কেমন করবো বলো? তুমি মানুষ? কি করে পারলে এরকম একটা ফুটফুটে মেয়েকে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করতে। বউমার কথা বাদ দিলাম। তুলি রোজ কাঁদতো তোমার জন্য রাসেল (সায়ানের বাবা) তোমার অভাবটা পুরণ করার চেষ্টা করেছে

দাদুর চোখ ভিজে যায়। তুলি আর তুলির মায়ের চোখেও পানি। তুলি তুলির বাবার সামনে গিয়ে বলে

“আমি ভেবেছিলাম আমার বাবা খারাপ। কিন্তু আপনি যে জঘন্য খারাপ আজ বুঝতে পারলাম। এখানে নিশ্চয় প্রপার্টির ভাগ নিতে এসেছেন। কিন্তু আপনি প্রপার্টির ভাগ পাবেন না। কারণ আপনার নামের সব প্রপার্টি আমার দাদু আমার মায়ের নামে করে দিয়েছে

” কিহহহ বলছে এই মেয়েটা তুহিন

ওই মহিলাটা বলে

“ও ঠিকি বলেছে। এবার তোমরা আসতে পারো আর কখনো যেনো এই বাড়ির আশেপাশে তোমাকে না দেখি (দাদু)

ওই মহিলাটি তুহিনের কলার ধরে বলে

” সামান্য প্রপার্টি টুকু তোমার নামে নেই। কি আছে তোমার হ্যাঁ। এতোদিন তো খুব বলতে তোমার অনেক টাকা পয়সা,আছে আর এখন

“আপনি কি টাকা পয়সার জন্য ওনাকে বিয়ে করেছিলেন (তুলি)

” তুমি চুপ করো

“দুই মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে যাবে তোমরা

তুলির বাবা ছলছল চোখে বেরিয়ে যায়। তুলিও রুমে চলে যায়।

রুহিকে দেখতে লোকজন এসে গেছে। তুলি রুহিকে সাজিয়ে দেয়। তুলিও একটা শারি পরে। সাজানো শেষে রুহিকে নিয়ে যায়। বড়রা কথা বলছে। তুলি এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে।

সায়ান তুলির কাছে এসে

” বাহহহ তোকে তো দারুণ লাগছে

“ধন্যবাদ

” সায়ান আমাকে কেমন লাগছে

পেছন থেকে মায়া বলে। সায়ান আর তুলি মায়ার দিকে তাকায়। মায়া হাটু পর্যন্ত ড্রেস পরেছে। সায়ান চোখ ফিরিয়ে নেয়

“মায়া আপু তোমার হাটুটা না খুব সুন্দর

” হাটু সুন্দর (মায়া)

“আমার মনে হলো। সায়ান বেবি আপনি একটু দেখে বলেন তো

সায়ান তুলির দিকে তাকায়

‘আমার দিকে না মায়ার দিকে তাকান

” ভালো (সায়ান)

“কি ভালো হাটু না কি

সায়ান রাগী লুকে তুলির দিকে তাকায়।
” সায়ান এই মেয়েটা এতো স্টুপিট কেনো?

“ওই হেলো স্টুপিট তুই আমি না। আর হ্যাঁ এরকম দুই হাত ড্রেস পরে আমার স্বামীকে তুই ইমপ্রেস করতে পারবি না

” সায়ান এমনিতেই ইমপ্রেস। ওকে আবার নতুন করে ইমপ্রেস করার কিছু নেই

তুলি রাগী দৃষ্টিতে সায়ানের দিকে তাকায়। সায়ান কিচ্ছু বলছে না

“দশ দিনের মধ্যে যদি মায়া এবাড়ি থেকে না যায়। তাহলে আমি চলে যাবো

” আমি কোথাও যাবো না

তুলি চলে যায়।
“মায়া একটু বেশি বারাবাড়ি করছো তুমি

” তোমার বউ বাড়াবাড়ি করছে না। ও আমাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বললো সাহস কতো ওর

“তুমি চলে যাবে মায়া

” আমি যাবো না। যদি যায় তবে আমার লাশ যাবে

মায়াও চলে যায়। সায়ান এবার ভাবি বিপদে পরেছে। কি করবে? মায়ার এরকম থ্রেট দেওয়া ভালো লাগছে না।

তুলি আর রুহি আজ শপিং করতে গেছে। সারা শপিংমল ঘুরে ঘুরে শপিং করছে।
হঠাৎ রিককে দেখে তুলি থেমে যায়।
“এ এখানে এলো কি করে? এখন যদি দেখে ফেলে? কি করবো এবার আমি

তুলি উল্টো দিকে দৌড় দিতে যায়। তার আগেই রিক ডাক দেয়

” তুলি

তুলি থেমে যায়

“আপনি এখানে?

” হুম তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে চলে এসেছি

চলবে

পর্বটা অতিরিক্ত ছোট হওয়ার জন্য সরি।