#ভালোবাসি_বুঝে_নাও🍁🍁
#পর্ব_২৪
#সুমাইয়া_সুলতানা _সুমী(writer)
.
কি হলো ওমন চোরের মতো মিটমিট করে হাসতেছেন কেনো??(মাহি)
কই না তো আমি তো ওই এমনি (এই বলে মেহরাব বিছানার উপর সটান হয়ে শুয়ে পড়ল,, সারাদিন অনেক ধকল গেছে অফিসে অনেক কাজের চাপ,,, কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে শুয়ে থেকে তারপর চোখ খুলে মাহিকে বলল)
তা মেড্যাম আপনার রাতে খাওয়া হয়েছে??(মেহরাব)
মাহি কিছু না বলে,, মুখ বাকিয়ে বলল জানি না,, (আমি যে এতো রাত অবধি ওনার জন্য না খেয়ে অপেক্ষা করছি,, আর এখন ওনি জিগাস করছে আমি খেয়েছি কি না,,, বলবো না পারলে বুঝে নেন,, মনে মনে বলল মাহি)
মাহির জানি না শুনেই মেহরাব যা বোঝার বুঝে গেছে,,, শুয়া থেকে উঠে দাড়িয়ে মাহিকে বলল।
আচ্ছা তাহলে তুই পড় আমি নিচে থেকে খেয়ে আসছি ওকে।(এই বলে মেহরাব বেরিয়ে গেলো)
ইইইই ওনি একটুও বুঝেন না আমায় আমি যে ওনার জন্য না খেয়ে বসে আসি আর ওনি ড্যাং ড্যাং করে খেতে চলে গেলো,, উফ মনচাই একটা বাড়ি দিয়ে মাথাটাই ফাটাই দিই (নিজে নিজেই একা একা বকবক করছিলো মাহি)
প্রায় অনেকক্ষণ পর হাতে খাবারের থালা নিয়ে রুমে আসলো মেহরাব,, একদম মাহির টেবিলের পাশে গিয়ে একটা টুলের উপর বসে ভাত মাখিয়ে মাহির মুখের সামনে ধরে বলল।
নেন মুখটা খোলেন দেখি।
মাহি মেহরাব এর দিকে তাকিয়ে দেখে,, চোখ গুলো হালকা লাল মুখে ক্লান্তির ছাপ,, সারাদিন অফিসে এতো কাজ করেও এছেলেটা ক্লান্ত হয় না?? এখন আবার নিজে না থেকে আমাকে খাওয়াতে এসেছে,, এখন তো ওনার পেট ভরে খেয়ে লম্বা একটা ঘুম দরকার নইলে তো অসুস্থ হয়ে পড়বে, কিন্তু না তা না করে ওনি এখন আমার সেবা করতে এসেছে,,, ওনার আচার আচরণেই বোঝা যায় যে ওনি আমায় কতটা ভালোবাসেন কিন্তু ওই যে বদ পোলা মুখে বলবে না।
কি হলো এতো কি ভাবছিস?? নে হা কর।
মাহি টেবিলের উপর থেকে গ্লাসটা নিয়ে হাতটা ধুয়ে প্লেট থেকে এক লুকমা ভাত নিয়ে মেহরাব এর মুখের সামনে ধরে বলল।
নেন হা করুন।
মাহির এমন কাজে মেহরাব এর ঠোঁটের কোনে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠল। তারপর দুজন দুজন কে খাইয়ে দিলো,,
,,,,,সকালে,,,,
নেহাল বাইক এর চাবি ঘুরাতে ঘুরাতে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছিলো তখনি মেঘ ওকে ডেকে বলল।
কিরে আমি যে তোকে অ্যাপলাই করতে বলেছিলাম সেটা করেছিস??(মেঘ)
হ্যাঁ ভাইয়া করেছি, (নেহাল)
তা এখন কোথায় যাচ্ছিস??
কেনো ভার্সিটীতে,,
ওহ আচ্ছা।
মেঘ আর নেহাল এর কথা বলার মাঝেই মীরা হুরমুর করে সেখানে আসলো এসে নেহাল কে বলল।
আমিও ভার্সিটীতে যাচ্ছি আমায় একটু ড্রপ করে দিবেন?? (মীরা)
পাগল নাকি আমি ওসব পারবো না,, ভাইয়া আমি গেলাম(নেহাল)
প্লিজ দিন না,, এমন করেন কেনো(মীরা)
হ্যাঁ নেহাল, মেয়েটা যখন এতো করে বলছে তখন নিয়ে যা, আর তুই ও তো ওদিক দিয়েই যাবি যা ওকে নিয়ে যা (মেঘ)
কিন্তু ভাইয়া?
নেহাল(মেঘ চোখ গরম করে বলল)
আচ্ছা ঠিক আছে যাচ্ছি,, এই যে আসেন (এই বলে নেহাল আগে আগে চলে গেলো ধুত কোথায় ভাবলাম মাহিকে নিয়ে যাবো তা না এখন এই ময়দা সুন্দরী কে নিয়ে যেতে হচ্ছে, যত্তসব ঝামেলা)
আর মীরাও খুশি হয়ে নাচতে নাচতে নেহাল এর পিছন পিছন গেলো।
কি মনে হচ্ছে মাহির প্লান কাজে দিবে??(পিছন থেকে মেঘলা বলল)
জানিনা,, আমার মনে হয় না নেহাল এতো সহজে মানবে, আমি চিনি তো ওকে ও কেমন , (মেঘ)
হুম হিতে বিপরীত হয়ে না যাই আবার (মেঘলা)
কি জানি সেটা পরে ভাবা যাবে এখন চলো আমরা শুরু করি,, এবাড়ি আসার পর থেকে তো তোমার ভাইয়ের জন্য কিছুই করতেই পারছি না(মেঘ)
মানে?? কি করবেন??
কেনো রোমাঞ্চ,, আরে আমার বাবা হওয়া লাগবে না?? চলো চলো।
এই না একদম না,, বাবা মা আছে কিন্তু পাশের রুমে।
তাতে কি তুমি চলো তো।
মোটেও না (এই বলে মেঘলা দৌড়ে উপরে চলে গেলো আর মেঘ ও মেঘলার পিছন পিছন গেলো)
🌼🌼৷সময় চলমান সত্যি সময় যে কীভাবে কোন দিক দিয়ে চলে যায় সেটা বোঝাই যায় না,, কেটে গেছে অনেক গুলোদিন,, এরি মাঝে মাহি মেহরাব আর মেঘ মেঘলা খুব ভালোভাবেই বুঝে গেছে যে মাহির প্লান সম্পুর্ন হয়নি।(গল্পের লেখিকা;,,,,সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী)
মীরা নেহাল কে ভালোবাসলেও নেহাল মীরাকে ভালোবাসিনী ও মাহিতেই আটকে আছে।
মাহি এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়ে দেছে অনেক ভালো রেজাল্ট হয়েছে আজকে মেহরাব ওকে নিয়ে ভার্সিটীতে ভর্তি করাতে যাবে ,, কেননা আর মাসখানেক পরেই মাহি আর মেহরাব এর বিয়ে।
যেহেতু নেহাল এখন নেই তাই মেঘও বলছিলো যে এই সুযোকেই বিয়েটা হয়ে যাক। নেহাল ট্রেনিং এ ওর পুলিশের পোস্টে জব হয়ে গেছে তাই এখন বর্তমানে ট্রেনিং এ আছে।
কিরে মাহি তোর হলো জলদি কর তোকে ওখানে ভর্তি করায়ে আমার তো আবার অফিসে যেতে হবে নাকি (মেহরাব)
আসছি তো, , আচ্ছা শোনেন না, বলছি কি আমাকে মেঘলা আপুর বাসায় দিয়ে আসবেন, তারপর আপনি অফিস থেকে ফিরার পথে না হয় নিয়ে আসবেন(মাহি ওদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়ির কাছে গিয়ে বলল)
আরে আর কয়দিন পর তো মেঘলাকে এখানে নিয়েই আসবো, তাহলে এখন তোর যাওয়ার কি দরকার?
না না আমি তবুও যাবো আর এই সময় আপুর কাছে কারো থাকা খুবি দরকার,, প্লিজ যায়(কিউট ফেস করে বলল)
হুম এমন কিউট করে বললে আর না মেনে থাকা যায়?? ঠিক আছে নিয়ে যাবো, এখন তো গাড়িতে উঠেন দেরি হয়ে যাচ্ছে।
তারপর ওরা দুজনে গাড়িতে উঠে ভার্সিটীর উদ্দেশ্য রওনা দিলো,,,, আর হ্যাঁ মেঘলা ৬ মাসের পেগনেন্ট।
ওদিকে,,,,,,
আর তো মাএ কটা মাস তার পরই আমি আসছি, এসেই বাড়িতে তোমার কথা বলবো, আর এখন তো কেউ আমায় বেকার ও বলতে পারবে না,, ১ বছর তো হয়েই গেছে আর কয়মাস গেলেই ট্রেনিং শেষ তারপর তোমাকে নিজের করে নেবো (শুয়ে মাহির একটা ছবির দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বলল নেহাল, আর নেহাল যেহেতু জানেনা যে মাহি আর মেহরাব এর বিয়ে ঠিক হয়ে আছে তাই ও নিজে মাহিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে,,, এখন ব্রেক টাইম তাই নেহাল শুয়ে আছে,, তখনি ওর ফোনটা বেজে উঠল অনেক বিরক্তি নিয়ে ফোনটা ধরল)
হ্যালো, আপনি এমন কেনো বলেন তো, আমি এতো ফোন দেই তবুও আমার ফোনটা ধরেন না কেনো?? আমার খারাপ লাগে না বুঝি (মীরা)
প্রথমত, আমি এখানে বেড়াতে আসিনি আমার ট্রেনিং চলছে,, দ্বিতীয়ত, ফোন নিয়ে সবসময় বসে থাকি না আমি।আর আপনি কে এমন যে আপনার ফোন আমায় ধরতেই হবে,, কে আপনি??(রেগে বলল নেহাল)
আমি কে কেনো ফোন দিই সেটা তো গত ১ বছর ধরে বলেই আসছি,,, এখন আবারো বলছি আমি আপনার কাছে এতো ফোন দিই কারন আমি আপনাকে ভালোবাসি তাই,, প্লিজ নেহাল একটিবার বুঝার চেষ্টা করুন,, অনেক ভালোবাসি আপনাকে (মীরা)
ওহ তাই বুঝি,, আচ্ছা আপনি না মেহরাব কে ভালোবাসতেন তাহলে হঠাৎ আমার ঘাড়ে ভর করলেন কেনো?? যে মেয়ে এভাবে ঘন্টায় ঘন্টায় প্রেমিক চেঞ্জ করে সে কাউকে ভালোবাসাতে পারে না (নেহাল)
আমি আর কতবার বলবো আপনাকে, সেটা আমার মহো ছিলো,, আমি মেহরাব কে ভালোবাসিনি আমার ওকে ভালোলাগতো আর আমি মাহিকে হারাতে চেয়েছিলাম,, ,, আমি চাইনি ও মেহরাবকে পাক আর আমি ওর কাছে হেরে যাই,, কিন্তু আমি এখন বুঝি কোনটা ভালোবাসা আর কোনটা ভালোলাগা,, প্লিজ নেহাল একটু বুঝুন ভালোবাসি আপনাকে। (মীরা)
এই শোনেন আপনার এমন বকবক শোনার টাইম নেই আমার আমি রাখছি। (এই বলে নেহাল ফোনটা রেখে দিলো,, আর মীরাও ফোনটা বুকের সাথে জরিয়ে ধরে কাদতে লাগল।এখন ও বুঝে সেদিন মাহির বলা প্রতিটা কথার মানে,, এখন হারে হারে ঠিক পাই,, সত্যি কাউকে ভালোবাসলে এমনি হয়)
চলবে,,,,,??
#ভালোবাসি_বুঝে_নাও🍁🍁
#পর্ব_২৫
#সুমাইয়া_সুলতানা _সুমী(writer)
.
৭ দিন পর।
বাড়ির সবাই মিলে আজকে শপিং এ এসেছে শুধু মেঘলা বাদে ওকে এই অবস্থায় আনিনি, আর কয়েকদিন পরই বিয়ে তাই সবাই মিলে হইহই করে শপিং করতে চলে এসেছে।
এই শুনুন আমি কিন্তু আপনাকে একদম বিয়ে করবো না (একটা দোকানের সামনে দাড়িয়ে মেহরাব ফোন টিপছিলো আর বাকিরা দোকানের ভেতরে সব কিছু দেখছিলো তখনি কোথা থেকে মাহি এসে মেহরাব এর হাত ধরে টেনে সাইড এ নিয়ে গিয়ে এই কথাটা বলল)
কিন্ত কেনো??(অবাক হয়ে বলল মেহরাব)
সেই আশি বছর আগে আপনাকে একটা প্রশ্ন করেছিলাম আপনি এখনো তার উওর টাই দিলেন না,, ওকে দেওয়া লাগবে না, তাহলে হার মেনে যান।
নো ডেয়ার তুই বলেছিলি যে আমি যত ইচ্ছে সময় নিতে পারি,, তবে এখন কেনো এমন বলছিস হুম?? আমার যখন ইচ্ছে হবে তখন উওর দেবো ওকে। আর হ্যাঁ বিয়ে তো হবেই দরকার পরলে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবো তবুও বিয়ে হবেই (মেহরাব)
আমি সত্যই বোকা কোন কুক্ষণে যে বলেছিলাম যে যত ইচ্ছে সময় নেন হুট এখন নিজেই ফেসে গেলাম।তবে আপনি উওর দিতে এতো দেরি করছেন এই জন্য শাস্তি হিসেবে আমি বিয়ের আগ পযন্ত আপনার সাথে দেখাও করবো না আর কথাও বলবো না।
ওকে ফাইন না বললি তাতে কার কি,, এখন সামনে থেকে সর তো,, দেখি বাকি সব কোথায় (এই বলে মেহরাব ফোন টিপতে টিপতে চলে গেলো)
কিহ?? এতো বড় অপমান ঠিক আছে আমিও কথা বলবো না দেখি কি হয় হুম, এই যে আমার ফোন আমি বাড়ি গিয়েই মেঘলা আপুর কাছে রেখে দেবো তারপর একেবারে বিয়ের পর দিনই নেবো,, কি ভাবে কি নিজেকে হুম (কথাগুলো বলে মাহি ও চলে গেলো)
সবাই শপিং করে একেবারে গাড়ি ভরে ফেলছে সেই সকালে আসছে আর এখন সন্ধ্যা সত্যি মেয়ে মানুষ নিয়ে শপিং এ এলে যা হয়। তারপর সবার সবার বাড়ি চলে গেলো।
মাহিও তার কথা অনুযায়ী ওর ফোন মেঘলার কাছে দিয়ে দেছে ও পণ করেছে যে বিয়ের আগে নো দেখাদেখি আর নো কথা বলাবলি।
দুইদিন হয়ে গেছে এর মধ্যে মাহি মেহরাব এর সাথে কোনো কথাও হয়নি আবার দেখাও হয়নি হবে কি করে ওদিকে যে মেঘও মেহরাব এর ফোনটা নিয়ে নেছে কি জালা।
মাহি এই রুম থেকে বার হ দাখ কারা আসছে।
মায়ের কথায় মাহি রুম থেকে বেরিয়ে বাইরে গিয়ে দেখল,, ছোট মামা, ছোট মামী, রকি রাকিব, ইশিতা আর নানু এসেছে,, মাহি তো হেব্বি খুশি দৌড়ে গিয়ে নানু আর ইশিতা কে জড়িয়ে ধরল।
আরে ছাড় ছাড় পড়ে যাবো তো বুড়ো হয়ে গেছি তো এখন,,,বাবা ভাবা যায় আমার সেই ছোট্ট মাহিটাও বিয়ে (নানু)
হ্যাঁ নানু, এই তুই আমার ছোট হয়েও আগে আগে বিয়ে করছিস কেনো?? আরো ২ বছর অপেক্ষা করতি তাহলে আমি একবারে বর সমেত আসতাম (ইশিতা।ইশিতার ও বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে তবে সেটা এখনো দেরি আছে ১ বছর পর,, কেননা ইমরান সবে জবটা পেয়েছে আগে সব কিছু ঠিকঠাক করবে তারপর বিয়ে,, তবে ওদের শুধু আংটি পরানো হয়েছে।)
আরে আপু তুমি তো বর সমেত আসতে কিন্তু আমি তোমার বিয়েতে বেবি সমেত যাবো দেখে নিও (ফিসফিস করে বলল মাহি)
তবে রে পাজি মেয়ে।
আচ্ছা অনেক হয়েছে দুষ্টামি এখন সবাই রুমে চলো অনেক দূর থেকে আসছে সবাই। এরপর ওরা সবাই রুমে চলে গেলো রেস্ট নিতে।
,,,,,বিকালে,,,,,
সোফার রুমে বসে ইশিতা,, নানু,, রকি রাকিব আর ছোট মামি সবাই মিলে ফোনে মেঘলা আপু মেঘ ভাইয়া আর মামীর সাথে ভিডিও কলে কথা বলছে,, আর আমি দূর থেকে উকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করছি যদি মেহরাব কে দেখা যায় সেই আশায়।
কিরে মাহি তুই ওখানে কি করছিস?? (ইশিতা)
কিরে ইশিতা আপু আমার দিকে না তাকায়ে দেখলো কেমনে (মনে মনে বলল মাহি)
আচ্ছা আপু তুমি আমায় দেখলে কামনে??
আরে ঢেপি তোকে ফোনে দেখা যাচ্ছে যা ওখান থেকে রুমে যা,, আমরা কথা বলছি দেখিস না??
হ্যাঁ নানু যাও রুমে যাও (নানু)
হুট দেখতেই পারলাম না৷, তাই রাগ করে ওখান থেকে রুমে চলে আসলাম, আর আমি ওখান থেকে আসতে ওখানে হাসির রোল পড়ে গেলো।
ওদিকে,,,,,
আহারে আমার একমাএ শালির অবস্থা দাখো খুবি করুন (মেঘ)
তা যা বলেছেন,, আচ্ছা ভাইয়া ওদিকে মেহরাব ভাই এর কি অবস্থা?? (ইশিতা)
আরে ওর অবস্থা তো পুরাই শোচনীয়,, বেচারা বিয়ের আগেই বিধবা হয়ে গেছে (মেঘলা)
তবে যাই বলিস না কেনো তোরা কিন্তু এটা ঠিক করছিস না,, এভাবে ওদের সাথে মজাটা না করলেও পারতিস,, আহারে বেচারা না পারছে বলতে না পারছে সইতে (ছোট মামী)
আরে ছোট কাকী এটাই তো মজা ও তুমি বুঝবা না (মেঘলা)
হ্যাঁ হ্যাঁ আরে এখন না মজা করলে কখন করবে শুনি এটাই তো মজা করার বয়স।(নানু)
ওরা যখন কথা বলছিলো তখন মেঘ দেখলো যে ওদের পিছনে মেহরাব উঁকি ঝুকি মারছে,, একবার এদিক যাচ্ছে তো আবার ওদিক যাচ্ছে।
ধুর কেনো যে সেদিন মেয়েটাকে ক্ষেপাতে গেলাম,, এখন তো আমার হাল বেহাল হয়ে যাচ্ছে কি যে করি,, আর এই মেয়েটাও না একটু ওদের পিছনে দাড়িয়ে থাকলে কি হতো,, কথা না বলতে পারি একবার দেখতে তো পারতাম (আপডাওন করতে করতে কথাগুলো নিজে নিজেই বলল মেহরাব)
এই কিরে তুই এখানে কি করছি হুম??(মেঘ)
হ্যাঁ ভাইয়া তোর এখানে কি কাজ?? তুই না রুমে বসে কাজ করছিলি তাহলে এখানে কি??(মেঘ)
আ,,,আমি তো ওই হেঁটে হেঁটে খাবার হজম করছিলাম আসোলে আজকে খাওয়াটা একটু বেশি হয়ে গেছে তো তাই (একটু হাসার চেষ্টা করে)
কিন্তু তুই তো সেই দুপুরে খেয়েছিস, তারপর তো কিছু খাসনি তাহলে?? এখন হাঁটছিস কেনো??(ভ্রু কুঁচকে বলল মেঘ)
দুপুরে খেয়েছি না?? ইস কেনো যে দুপুরে খেলাম এখন কি বলি (নিজে নিজে বলল মেহরাব তারপর বলল)
আরে আ,,,আমি তো প,,পানি হ্যাঁ রাইট পানি খেতে এসেছি হে হে হে।
পানি খেতে তুই এতো দূর আসলি?? কেনো?? সিঁড়ি থেকে নেমেই তো পাশেই রান্নাঘর তুই তো ওখান থেকেই নিতে পারতিস আবার ডাইনিং থেকেও তো নিতে পারতিস তাহলে এতোদূর আসলি কেনো??(ভ্রু কুঁচকে জিগাস করলো মেঘ)
এতো বেশি বুঝিস কেনো তুই?? আমার ইচ্ছে হয়েছে আমি সেন্টা টেবিল থেকে পানি খাবো তাই আসছি ওকে ,, সর সামনে থেকে (এই বলে যেই মেহরাব রুমের দিকে যাবে তখনি মেঘ বলল)
কিরে তুই না বললি যে পানি নিবি তাহলে না নিয়ে চলে যাচ্ছিস কেনো??(সন্দেহের চোখে বলল বলল মেঘলা)
ওহ হ্যাঁ তাই তো,, কই পানি,, তারপর মেহরাব পানি নিয়ে বড়বড় পা ফেলে চলে গেলো।
মেহরাব যেতেই মেঘ মেঘলা, আর বাকি সবাই হু হা করে হেসে উঠল।
চোর ধরা পড়ে গেছে গো (বলেই হেসে উঠল মেঘ)
তোরা এভাবে আমার ছেলেটার পিছনে কেনো পড়ে আছিস বলত,, ছাড় না ওকে দেখছিস তো বেচারার অবস্থা (রুপালী)
আরে আম্মু তুমি আমাদের মাঝে এসো না তো,, আগে আগে দেখো হোতা হে কেয়া।
,,,,,রাতে,,,,
চলবে,,,,,?