ভালোবেসে ফেলেছি পর্ব-০৩

0
1968

#ভালোবেসে_ফেলেছি
part : 3
writer : Mohona

.

বহ্নি : হ্যালো… আসলে আমার না কোনো অভিজ্ঞতা নেই ক্লাস করানোর… যদি পরে কোনো ভুল করি বা কারো সাথে খারাপ ব্যাবহার করি তবে সরি… চলো ক্লাস শুরু করি…
বহ্নি ক্লাস শুরু করলো।

তাসু : এই মনি… আপুটা কি সুন্দর বাজায় রে…
মনি : হামমম।
পিউ : আপুর ড্রেসটাও খুব সুন্দর।
ইমা : আমার তো আপুটাকেই ভীষন ভালো লেগেছে। কি সুন্দর দেখতে…
তাসু : কি রে মনি তুই চুপ কেন?
মনি : আরে চুপ না থাকলে রিদমটা বুঝবো কি করে… তোরাও চুপ থাক…
বহ্নি : এইযে থার্ড বেঞ্চের মিষ্টি আপুরা নো সাইড টক প্লিজ…

পিউ : সরি মিস …
তাসু : কিরে আমাদের দিকে এভাবে কেন তাকিয়ে আছিস?
পিউ : তো কিভাবে তাকাবো? কথা বললাম সবাই … আর সরি বললাম আমি একা…
ইমা : তো তোকে সরি বলতে বলেছে কে শুনি… হাহাহা…
মনি : গাইস গাইস গাইস… প্লিজ কুয়াইট… কিছু বুঝতে পারছিনা…
বহ্নি : এই যে কিউট আপুরা… প্লিজ প্লিজ প্লিজ চুপ…

বহ্নি মনির দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বলল।
পিউ : উই আর এগেইন সরি মিস…

বহ্নি : ক্লাসে কনসেনট্রেট করো। না হলে কিছুই বুঝবেনা। এটা একটু কমপ্লিকেটেড লেসন। আসলে এখান থেকে মুল শেখা সুরু হয়। সো প্লিজ…
ইমা : ওকে ম্যাম…

সেদিনের মতো ক্লাস শেষ হলো। দহন মনিকে নিতে এলো। মনি গিয়ে গাড়িতে বসলো। মনটা একটু একটু খারাপ।
দহন : কি ব্যাপার… আমার নয়নমনির মনটা খারাপ খারাপ লাগছে কেন? কি হয়েছে?
মনি : নাথিং…
দহন : নাথিং? ইশ বললেই হবে…? আমি আমার মনিটাকে খুব ভালোভাবে চিনি… কিছু তো হয়েছে…
মনি : তেমন কিছুনা ভাইয়া… এমনিতেই…
দহন : নিউ টিচার কি কিছু বলেছে? ভীষন রাগি বুঝি?
মনি : না মোটেও রাগি না।
দহন : তবে?
মনি : ভাইয়া …
দহন : ওকে বাবা… হেই দেখো দেখো ওই যে তোমার প্রিয় প্রিয় ভেলপুরি। খাবে?
মনি : হামম হামমম।
দহন : দেন চলো চলো চলো…

.

অর্নব : কিরে ডিমের ভীতু…. ক্লাস কেমনি ছিলো…?
বিষয় : ডিমের ভীত…? হাহাহা… ছোটভাই নামটা কিন্তু চমৎকার …
অর্নব : ধন্যবাদ বড়ভাই… 😁।

বহ্নি : আম্মু… দেখো ভাইয়া আর অর্নব আমার লেগ পুল করছে। 😏
বিষয় : ছোটভাই… লেগ মানে যেন কি?
অর্নব : পা বড়ভাই…
বিষয় : ও ….
অর্নব : বড়ভাই… পুল মানে যেন কি?
বিষয় : টান না টান মারা…
অর্নব : ওওও…
বিষয়-অর্নব : এই বহ্নি … আমরা তোর পা ধরে টানলাম কখন রে…? 😁😁😁…
বহ্নি : তোরা খুব বাজে…
অর্নব : বড়ভাই ওই দেখো চোখে ডালিমের রস চলে এসেছে….
বিষয় : এর অক্ষিগোলকের ভেতর মনে হয় আটলান্টিক মহাসাগর আছে ছোটভাই…
বলেই ২জন হাহা করে হাসতে লাগলো। বহ্নি মন খারাপ করে রুমে চলে গেলো।

বিনা : এই যে আমার দুই সুপুত্র … আজকে আমার ভোলাভালা মেয়েটার পিছে পরেছিস কেনরে? জানিস না ও মজা বোঝেনা …
অর্নব : মমি ডার্লিং … মজা বোঝেনা বলেই তো ওর সাথে মজা করার মজাই আলাদা …
আবারও বিষয় আর অর্নব হাসতে লাগলো।

.

পরদিন …
নিশা রান্না করে কেবল হলরুমে এলো।তখন দেখলো কাকন ভেতরে ঢুকছে। হাতে ১টা বক্স নিয়ে।
নিশা : আরে কাকন যে।।
কাকন : হ্যালো আন্টি…
নিশা : আন্টি…? এখন থেকেই মামনি বললে কি হয় শুনি?
কাকন : বিয়ের পর বললে অন্যরকম মজা …

দীপন : হ্যালে কাকন মা… কি খবর…
কাকন : এই তো ভালো আংকেল…
দীপন : মা-বাবা কেমন আছে ?
কাকন : জী আংকেল ভালো।
দীপন : মামনি … দহন তো বাসায় নেই…
কাকন : আমি তো দহনের স়াথে দেখা করতে আসিওনি। এসেছি তোমাদের সাথে দেখা করতে। স্পেশিয়ালি মনির সাথে সময় কাটাতে…

তখন মনি বল হাতে নিয়ে গার্ডেন থেকে বেশ ফুরফুরে মেজাজে ভেতরে ঢুকলো। আর ঢুকেই কাকনকে দেখতে পেয়ে ওর মুখে কালো মেঘ নেমে এলো।

মনি মনে মনে : ইশ এই মিস ব্ল্যাক ম্যাজিকটা আবার কেন সামনে পরলো? নির্ঘাত কালকের দিনটা জাস্ট জঘন্য যাবে…
কাকন মনে মনে : এমন করে তাকিয়ে আছে যেন আমাকে কাচা চিবিয়ে খাবে… এই কাটাটা না থাকলে আমি অনায়সে দহনের বউ হতে পারতাম। আর দহনটাকেও ভালোমতোই চিনি… তার নয়ন মনিকে রাজি না করানো পর্যন্ত সে আমায় বিয়ে করবেনা। মাস্টার্স কমপ্লিট করার পরও বোধহয় জনম জনম ওয়েট করতে হবে… ১টা বার খালি দহনের বউ হয়ে নেই… এই পুচকু কে নাকে দরি দিয়ে ঘুরাবো। আই জাস্ট হেইট কিডস…

কাকন : মনি…

বলেই কাকন গিয়ে মনিকে জরিয়ে ধরলো। এরপর কপালে চুমু দিলো।
মনি মনে মনে : ঢং এর জ্বালায় আর বাচিনা… জানি তো সব নাটক…

এরপর কাকন নিজের সাথে আনা বক্সটা মনির হাতে দিয়ে
বলল : অ্যা স্মল গিফ্ট ফর ইউ…
মনি : ঠিকই বলেছো। মনি আহমেদের তুলনায় ভীষন স্মল।

নিশা : মনি…
কাকন : ইটস ওকে আন্টি।দেখো তো নয়ন মনি গিফ্ট পছন্দ হয় কিনা?
মনি : তুমি যখন এনেছো নিশ্চয়ই ব্র্যান্ডেড এন্ড এক্সপেন্সিভ হবে…
নিশা : মনি…
মনি : মামনি এখন আমি কি বললাম? আমি তো জাস্ট বললাম যে আপু যখন এনেছে তখন পছন্দ তো হবেই… থ্যাংক ইউ আপু।
কাকন : ওয়েলকাম মনি।

মনি মনে মনে : তুমি ভাইয়া-মামনি-বাপীর ওপর ব্ল্যাক ম্যাজিক করতে পারো। কিন্তু আমার ওপর না… হুহ।
কাকন মনে মনে : এরজন্য এতো কিছু করি… এর মন জয় করার জন্য কি কি করি তবুও এর মন জয় করতে পারলামনা।
মনি মনে মনে : তুমি যতো ড্রামাই করো… আমার মনে জায়গা করতে পারবেনা… আমি জানি তুমি মোটেও আমাকে ভালোবেসে কোনো কিছুই করোনা। জাস্ট সবার কাছে নিজেকে গুড গুড প্রমান করতে সব করো।

মনি : মামনি আমি রুমে গেলাম। আই হেইট জার্মস …
বলেই মনি ওপরে চলে গেলো।

তখনই দহন বাসায় ঢুকলো।
দহন : আরে জা… কাকন…
দীপন : বেটাজী… জান বলো। আই ডোন্ট মাইন্ড। আমি কান দুখানা বন্ধ করে রাখছি…
দহন : বাপী … তুমি যে কি বলো…
দীপন : তুমি কি লজ্জা পাচ্ছো হামমম? ।
নিশা : লজ্জা তোমার ছেলের নেই… বাট জাস্ট তোমাকে একটু না না একটু না অননননেক বেশি ভয় পায়…

দহন : তোমরা ডিসকাশন করতে থাকো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি। আর এসেই কিছু খাবো মামনি…. ভীসন ক্ষুধা পেয়েছে…
নিশা : ওকে… গো..
কাকন : আমিও এখন আসছি…
দীপন : আসছি মানে? খাওয়া দাওয়া করে তারপর যাবে।
কাকন : না না আং…
দীপন : নো এক্সকিউজ… এই কৃষ্ণচূড়ায় দীপন আহমেদের কথাই শেষ কথা।।। গট ইট?
কাকন: জী আংকেল …

.

মনি : কি আছে এটাতে? খুলে দেখবো? দেখিই একটু…
মনি খুলে দেখলো যে বক্সটার মধ্যে সব ওর পছন্দের চকোলেট।
মনি : ওয়াও চকোলেটস…
মনি খেতে নিলো। কিন্তু থেমে গেলো।
মনি : নো মনি নো… ডোন্ট ইট দেম… ওই শকুনেরটা আমি খাবোনা…
মনি সবগুলো ওর রুমে থাকা বাস্কেটে সব ফেলে দিলো।

দহন : কি ফেললে বাস্কেটে মনি…?
মনি : চকোলেটস ভাইয়া…
দহন : ডেটওভার হয়ে গিয়েছিলো …?
মনি : 😅।।
দহন বাস্কেটের দিকে তাকালো। গিফ্ট বক্স দেখলো। দহনের আর বুঝতে বাকি রইলোনা যে এই চকোলেটস গুলো কাকন নিয়ে এসেছিলো।

দহন : তুমি বসো ফ্রেশ হতে যাচ্ছি …
মনি : ওকে ভাইয়া…
দহন মন খারাপ করে রুমে চলে গেলো। মন খাপাপ করে বারান্দায় রকিং চেয়ারে গিয়ে বসলো। সিগারেট ধরালো। যখন মনটা ভীষন খারাপ হয় তখন দহন সিগারেট খায়।

দহন : মনি কি কোনোদিনও কাকনকে আপন করে নিতে পারবেনা…

তখন কাকন এসে পেছন থেকে দহনকে জরিয়ে ধরলো।

কাকন : সিগারেট কেন খাচ্ছো জান… মন খারাপ বুঝি…
দহন : না …
কাকন : ইশ বললেই হলো …
বলেই কাকন গিয়ে দহনের কোলে বসে ওর বুকে মাথা রাখলো।
কাকন : মনি আমার দেয়া চকোলেটস গুলো ফেলে দিয়েছে বলে তোমার মনটা বুঝি এতো খারাপ…
দহন : দেখো মনি আমার দুনিয়া… তুমি আমার ভালোবাসা। না তোমাকে ছারতে পারবো আর না মনির মন খারাপ করতে পারবো।
কাকন : দোষটা আমারই … প্রথম দেখার দিন যদি ওর সাথে ঝামেলা না করতাম … ভুল করে ওর প্রিয় আইসক্রীম টা যদি কিনে না খেতাম… আবার সেটা নিয়ে ওর সাথে অযথা ঝগড়া না করতাম তাহলে হয়তো ওর মনে জায়গা করে নিতে পারতাম…
দহন : ছোটমানুষ তো… তাই মাথায় যেটা ঢুকেছে সেটা ঢুকেছেই… কিন্তু আমার বোনকেও আমি চিনি। একটু রাগী কিন্তু ভীষন ভালো। ও ঠিকই তোমাকে আপন করে নিবে…
কাকন : কিন্তু কবে? ওর এই অভিমান যে আমায় অপরাধী বোধ করায়…

.

অর্নব : কিরে ডিমের ভীতু … তোর আবার ক্লাস কবে?
বহ্নি : জানিনা… যা সর…
বিষয় : ছোটভাই আমি জানি…
অর্নব : কবে ক্লাস ?
বিষয় : কালকে ছোটভাই…
অর্নব : বড়ভাই আই হ্যাভ অ্যা ডাউট…
বিষয় : কি ডাউট ছোটভাই…
অর্নব : আমাদের ডিমের ভীতু ক্লাস নেয়? নাকি ক্লাস ওর মানে ক্লাসের বাচ্চারা ওর ক্লাস নেয়!!!
বিষয় : ঠিক ঠিক। লজিক আছে ছোটভাই।
অর্নব : থ্যাংক ইউ বড়ভাই…
বহ্নি : আম্মু…
বিনা : আবার কি হলো?
বহ্নি: দেখোনা অর্নব কি বলছে…
বিনা : কি বলছে?
বহ্নি : বলে আমি ক্লাস নেই নাকি ক্লাস আমার ক্লাস নেয়…
বিনা : ঠিকই তো বলেছে। তোর গলার যে সাউন্ড … এই গলা নিয়ে ওদের শিখাস বলতো? বাচ্চারা তো দুষ্টুমি করবেই। তো ওদের সামলানোর জন্য চুপ তো করাতে হবে। যদি না করাস তবে ওরা শিখবে কি করে? ওদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করছিস ।
বহ্নি : তাই বলে বাচ্চাদেরকে বকবো…
বিনা : আরে বকবি কেন? একটু স্ট্রিক্টলি চুপ করাতে হবে তো।
অর্নব : মমি ডার্লিং … এ স্ট্রিক্টলি বাচ্চাদের চুপ করাবে… ক্ষেপেছো…?
বিষয় : যদি বলতে একে বাচ্চাদের সামনে দারিয়ে কানে ধরে উঠবস করতে তবে করতে পারতো।
বহ্নি : ভাইয়া এবার কিন্তু বেশি বলছিস…
বিষয় : ঠিকই তো বলেছে । চন্দনা ম্যাম হয়তো ভুলে গিয়েছে যে বহ্নি স্টুডেন্ট হিসাবে বেস্ট হলেও টিচার হিসেবে নট সো গুড। ওরা কিছুই শিখবেনা…
বহ্নি : 😒।
অর্নব : বড়ভাই … ও যদি কাউকে ধমক দিয়ে চুপ করাতে যায় তবে … ভয়েই নিজেই হার্ট অ্যাটাক করবে।
বহ্নি : মোটেও না… আমি ওদের ঠিক ভাবেই শেখাবো । দেখে নিও । হুহ…

.

পরদিন…
পিয়ানো ক্লাসে…
বহ্নি : হ্যালো কিউটিরা। কেমন আছো?
সবাই : ভালো মিস…
বহ্নি : কালকের লেসনে কি কারো কোনো সমস্যা হয়েছিলো?

সবাই : নো মিস…
বহ্নি : তাহলে কি আজকে নতুন লেসন শুরু করবো?
সবাই : ওকে মিস…
বহ্নি ক্লাস নেয়া শুরু করলো।

ইমা : এই পিউ…
পিউ : বল…
ইমা : মনিকে দেখ… সেই কোনায় গিয়ে বসেছে।
তাসু : হামম। আসলে ও মিউজিক অনেক ভালোবাসে…
ইমা : মনিরে ও মনিরে…
মনি : তোরা আজকেও শুরু করেছিস? থাম না ইয়ার…

বহ্নি : ফার্স্ট বেঞ্চ… নো সাইড টক।
সবাই ক্লাস করতে ব্যাস্ত হয়ে পরলো । হঠাৎ মনির কলমটা নিচে পরলো । দেখাও যাচ্ছেনা। আর ভুল করে ১টাই কলম নিয়ে এসেছে। এখন কলম খুজে তুলতে গেলে সময় লাগবে।

মনি : এই তাসু …তোর পেনটা একটু দে তো।
তাসু : এইনে…
মনি : ব্লু পেন নেই? থাকলে দেনা প্লিজ।
তাসু : ট্যাক্স দিতে হবে… 😁… ট্রিট দিতে হবে।
মনি : সব দিবো আগে পেন টা দে…
তাসু : প্রমিস কর…
মনি একটু জোরেই বলে উঠলো : দিবো তো বললাম। আজব তো…

বহ্নি : কি হচ্ছে ওখানে? এতো কথা হচ্ছে কেন? এই যে পিংক ড্রেস স্ট্যান্ড আপ…
মনি উঠে দারালো।
বহ্নি : আপু পরশু বলেছি না যে সেদিনের ক্লাস থেকে কমপ্লিকেটেড লেসন স্টার্ট হয়েছে। তারমানে আজকের টা তুলনামূলক বেশি কঠিন। তাহলে কেন সাইড টক করছো ? আপু তুমি কিন্তু সেদিনও ক্লাসে কথা বলছিলে। আবার আজকেও। আচ্ছা শিখবে কি করে বলো তো… হামম? এটা তো ঠিকনা…
ইমা : মিস ও খুব ভালো বাজায়। আর ও মনোযোগ দিয়ে ক্লাসও করছিলো।
বহ্নি : …
পিউ : এমনকি ও এই রিদমটাও ভালোভাবেই দেখছিলো। বিশ্বাস না হলে ওকে বাজাতে বলুন…

পিউ আর ইমা তো আর জানেনা যে মনি কলমের চক্করে দেখতেই পারেনি…

ইমা : হ্যা মনি যা তো …
মনি চুপ করে রইলো ।

বহ্নি : আচ্ছা আসো মনি। শুনি কাম কাম কাম।
মনি : …
বহ্নি : তুমি কি ভয় পাচ্ছো? ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আসো।

মনি : আমি বাজাতে পারবোনা। কারন আমি শুনিনি…

পিউ-ইমা : 😱।

বহ্নি : এখন তো মিস হয়ে গেলো বলো।।। আচ্ছা এক কাজ করছি। আমি আবার শুরু থেকে শুরু করছি। সবাই বসো। এন্ড নো সাইড টক। তোমাদের যদি বুঝতে অসুবিধা হয় তবে আমাকে বলবে। ১বার ছারা ১বার বলবে। আমি বুঝিয়ে দিবো। কিন্তু তাছারা কোনো কথা বলোনা।

বহ্নি আবার শুরু করলে মনি ক্ষেপে গিয়ে হনহন করে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেলো।

তাসু : সর্বনাশ হয়েছে … মনি যে ক্ষেপে গিয়েছে…

বহ্নি মনির পিছে পিছে গেলো। কিন্তু ততোক্ষনে মনি গাড়িতে উঠে বসে পরেছে। আর ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দিয়েও দিয়েছে।

বহ্নি : ও কি রেগে গেলো? রাগ করেছে? বেশি বলে ফেলেছি…?

.

মনি তারাতারি বাসায় ফেরাতে নিশা অবাক হলো। মনি ভাঙচুর করতে লাগলো। নিশা বেশ বুঝতে পারলো যে মনি ভীষন রেগে আছে। আর মনির রাগ ঠান্ডা করার জন্য দহনকে প্রয়োজন। নিশা দেরি না করে দহনকে ফোন করলো। দহন ক্লাসে ছিলো। মনির কথা শুনে ক্লাস ফেলে চলে এলো।

দহন : মনি কোথায় মামনি?
নিশা : মনে হয় রুমে…
দহন ছুটে রুমে গেলো। মনি নিজের রুমেও ভাঙচুর করছে ।
দহন : মনি মনি মনি…
দহন মনির হাত ২টা ধরে ফেলল।
মনি : ছারো ভাইয়া … ভাঙতে দাও আমাকে।
দহন : হ্যা ভাঙবে তো। ১কাজ করো তুমি বেডে বসো । আমি ১টা ১টা করে জিনিষ দিচ্ছি তুমি ভাঙো … ওকে…?
দহন কোলে করে মনিকে বেডে বসালো। এরপর ১টা ১টা করে জিনিষ মনির হাতে দিতে লাগলো। আর মনি ভাঙতে লাগলো । মনির রাগ কিছুটা কমলো।
দহন : এই নাও হা করো চকোলেট খাও… আর বলো কি হয়েছে…
মনি চকোলেট খেতে লাগলো।
মনি : ওই স্টুপিড নিউ টিচারটা আজকে কি করেছে জানো?
দহন : কি করেছে?
মনি : আমাকে সারা ক্লাসের সামনে অপমান করেছে… 😡😡😡

চলবে…