ভালোবেসে ফেলেছি পর্ব-০৬

0
2424

#ভালোবেসে_ফেলেছি
part : 6
writer : Mohona

.

বহ্নি : আপনার মতো ভয়ংকর মানুষের সাথে যেন আর কোনোদিন দেখা না হয়…

ওদিকে দহন যখন বহ্নিকে ফুলের তোরা দিচ্ছিল তখন কাকন দেখে ফেলেছিলো। আর তাই ও দহনকে ভুল বুঝলো । দহনের সাথে ঝামেলা হলো অনেক। দহন যতোই বোঝানোর চেষ্টা করলো লাভ হলোনা । কাকন নিজের জেদটাই বজায় রাখলো। ও দহনকে বলে দিলো যেন আর কোনোদিন দহন ওর সাথে দেখে না করে। দহন অনেক আকুতি-মিনতি করলো লাভ হলোনা। দহন ভেবেই পাচ্ছেনা যে ও এখন কি করবে? কাকনকে ও ভীষন ভালোবাসে।

.

রাত ১০টা…
অর্নব : এই ভীতুর ডিম তু…
তখন ডোরবেল বাজলো। আর বিষয় গিয়ে দরজা খুলল। দেখলো দহন দারিয়ে আছে। বেশ অগোছালো অবস্থায় । চুল উস্কোখুস্কো , শার্ট এলোমেলো …সব মিলিয়ে ওকে ১টা ছ্যাকা খাওয়া বখাটে ছেলে লাগছে । বিষয় তো দহনকে চিনেনা।
বিষয় : হু আর ইউ।
দহন : দহন আহমেদ।
বলেই দহন ভরভর করে ভেতরে ঢুকে গেলো। বহ্নি দহনকে দেখলো এভাবে এমন অগোছালোভাবে এতোরাতে দহনকে দেখে বেশ অবাক হলো।
বহ্নি : আপ…
দহন : প্লিজ চলো আমার সাথে…
বহ্নি : কি?
বিষয় : এই ছেলে কি বলছো কি তুমি ? আমার বোন তোমার সাথে কোথায় যাবে আর কেন যাবে?
দহন : কারন এটা আমার জীবনের প্রশ্ন… চলো বহ্নি…
বলেই দহন বহ্নির হাত ধরতে গেলে আরফান বহ্নির সামনে দারালো।
আরফান : আমার মেয়ের দিকে হাত বারাতে এলে জানে মেরে দিবো।
দহন : দেখুন… আমার ওকে এখন ভীষন দরকার। আমি ওকে সম্মানের সাথে নিয়ে যাবো আর সম্মানের সাথে দিয়ে যাবো। কথা দিচ্ছি ।
আরফান : তোমার সাহস দেখে অবাক হচ্ছি… চিনিনা , জানিনা… বাসায় এসে হাজির। আবার আমার মেয়েকে নিয়ে যেতে চাইছো? হাই ডেয়ার ইউ…
দহন : বহ্নি আমাকে চিনে…
সবাই অবাক হলো। বহ্নি দহনকে চিনে। ও তো ছেলেদের সাথে তেমন মিশেনা…
আরফান : মা তুমি ওকে চিনো?
বহ্নি কোনো ভনিতা না করে স্পষ্টভাবে বলে
দিলো : চন্দনা ম্যামের যে ক্লাসটা আমি নেই সেই ক্লাসের ১জন স্টুডেন্ট , মনি আহমেদের ভাই ইনি।
আরফান : ওহ। তুমি এতো রাতে আমার মেয়েকে নিয়ে যেতে চাইছো কেন?
দহন : স্যার আমি আপনাকে সব বলবো। কিন্তু এখন আমাকে ওকে নিয়ে যেতে দিন।
আরফান : না… গেট আউট…
দহন : প্লিজ স্যার…
বিষয় : জাস্ট আউট।
দহন দেখলো যে সেন্টার টেবিলে গান টা রাখা। আসলে বিষয় ওর গানটা পরিষ্কার করছিলো। দহন কিছুনা ভেবে গানটা নিয়ে বহ্নির মাথায় ঠেকালো ।
আরফান : মামনি…
বিনা : বহ্নি…
দহন : ডোন্ট শাউট… না হলে আমি বহ্নিকে গুলি করে দিবো।
বিষয় : ছারো আমার বোনকে।
আরফান : তুমি জানোনা আমি কে…
দহন : পুলিশ কমিশনার। বাট ইউ ডোন্ট নো হু আই অ্যাম। আমি শিল্পপতি দীপন আহমেদের ছেলে। বলেছিনা এখন বহ্নিকে দরকার আমার। সবার ফোন টেবিলে রাখুন…
অর্নব : ছেরে দাও বহ্নিকে…
দহন : রাখো সবাই ফোন। না হলে আমি বহ্নিকে গুলি করে দিবো।
আরফান : না … সবার ফোন আনো…
সবার ফোন আনলো। রাখলো। দহন রিদিকে জিজ্ঞেস
করলো : এই যে মামনি তোমাদের বাসায় আরো কোনো মোবাইল আছে ? মিথ্যা বললে কিন্তু তোমার ফুপ্পিকে মেরে দিবো।
রিদি ভয় পেয়ে বলে দিলো যে আরও ২টা মোবাইল আছে। দহন সব মোবাইল আনিয়ে ওগুলো সিমকার্ড বের করিয়ে নিজের পকেটে ভরলো।
দহন : আপনাদের ওয়াকিটকি গুলো আনুন…

বিষয় সেগুলোও আনলো … দহন সেগুলেও নিলো।
দহন : টেলিফোন লাইনের তার টা কাটুন…
অর্নব কেটে দিলো। এরপর বহ্নিকে নিয়ে বের হয়ে দরজা লাগিয়ে বাহির থেকে। এরপক গান পকেটে রেখে বহ্নির হাত ধরে টানতে টানতে নিচে নামালো। গাড়িতে বসিয়ে ড্রাইভ শুরু করলো। পাগলের ড্রাইভ করতে লাগলো।

আরফান : দেখো তো কোনোভাবেই গাড়ির নাম্বার দেখা যায় কিনা দেখো।
বিষয় : না বাবা । তবে বাবা আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে পারি।

আরফান : গেট দ্যাট ফাস্ট।
বিনাতো কান্নাকাটি শুরু করে দিলো।

.

বহ্নি দেখলো দহন এয়ারপোর্টের দিকে যাচ্ছে। বহ্নি তো ভয়ের চোটে কিছু জিজ্ঞেস করতেও সাহস পাচ্ছেনা। দহন এয়ারপোর্টে গিয়ে গাড়ি থামালো । এরপর বহ্নির হাত ধরে টেনে নামালো। হাত ধরে রেখে কাকনের গাড়ি দেখতে লাগলো আশেপাশে আছে কিনা। পেলোনা। ঠিক তখনই গাড়ি দেখতে পেলো। থামলো । দহন বহ্নির হাত ধরে নিয়ে কাকনের সামনে গিয়ে দারালো। কাকন গাড়ি থেকে নামলো। দহনের হাতে বহ্নির হাত দেখে
বলল : তুমি না বলেছিলে ওর সাথে তোমার কোনো সম্পর্ক নেই… তবে কেন হাত ধরে দারিয়ে আছো ?
দহন বহ্নির হাতটা ছেরে দিলো।
দহন : আমি তোমাকে জানাতে এসেছি যে দহন কেবল কাকনের। বহ্নির সাথে দহনের কোনো সম্পর্ক নেই।
কাকন : …
দহন : ওকে ফুলের তোরা দিয়েছিলাম সরি বলার জন্য…তাছারা আর কিছুই না… বলোনা বহ্নি… বলোনা সত্যিটা… তা না হলে যে ও আমাকে ছেরে চলে যাবে… বলো বহ্নি… বলো…
বহ্নি : কি বলবো!!!
দহন : ১টা থাপ্পর দিবো মেয়ে। বুঝতেছো কি বলতে হবে? তোমার সাথে কি আমার কোনো সম্পর্ক আছে?
বহ্নি : নট এ্যাট অল।
দহন : তাহলে বলো কাকনকে।
বহ্নি : আপু… এই ভাইয়ার আমার কোনো সম্পর্ক নেই…
দহন : জাস্ট এতোটুকুই বলবে… পুরোটা বলো…
বহ্নি টয়শপ থেকে বলা শুরু করলো।
দহন : স্টুপিড… কি বলছো এগুলো?
বহ্নি : আপনিই না বললেন যে শুরু থেকে বলতে…
দহন : মনির ক্লাস থেকে শুরু করো…
বহ্নি : হামমম…
বহ্নি বলতে শুরু করলো…
দহন : দেখেছো… শুনেছো? আমি কেবল আর কেবল তোমাকে ভালোবাসি। খুব বেশি ভালোবাসি… আমাকে ছেরে যেওনা প্লিজ… আই লাভ ইউ…
কাকন দহনকে জরিয়ে ধরলো।
কাকন : আম সো সরি জান… অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি। প্লিজ ক্ষমা করে দাও…
দহনও কাকনকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।
দহন : ইটস ওকে জান।

বহ্নি অন্যদিকে ঘুরে গেলো।
বহ্নি মনে মনে : কেমন নির্লজ্জ মানুষরে বাবা… এমন রাস্তা ঘাটে কেউ কাউকে জরিয়ে ধরে? ইশ কি লজ্জা কি লজ্জা…

দহন-কাকনের মধ্যে হাজারও মেলোড্রামা হলো।

দহন : জান তুমি বাসায় যাও আমি বহ্নিকে বাসায় পৌছে দিয়ে আসছি।
কাকন : কেন তুমি ওকে পৌছাতে যাবে কেন?
দহন : জান… পুলিশ কমিশনারের মেয়ে। বাসা থেকে রীতিমতো হাইজ্যাক করে এনেছি। কিভাবে যে এনেছি তা কেবল আমিই জানি… আল্লাহই জানে যে জেলে যেতে হয় কিনা… বাকি কাহিনি কালকে এসে বলবো । বাই…
কাকন : ওকে জান… বাই…
কাকন চলে গেলো।
দহন : এই যে মিস… গাড়িতে উঠুন…
বহ্নি গাড়িতে বসলো। দহন গাড়ি চালাতে লাগলো। বহ্নি চুপচাপ বসে আছে।

দহন : বহ্নি আরো ১বার সরি হ্যা… আসলে তখন আমি নিজের মধ্যে ছিলামনা । কাকনের চলে যাবার কথা শুনে মাথা হ্যাং হয়ে গিয়েছিলো।
বহ্নি : আপনি আপুকে খুব ভালোবাসেন তাইনা?
দহন : হামমম। ভীষন ভীষন ভীষন…
বহ্নি ১টা মুচকি হাসি দিলো।
দহন : তোমার ভালোবাসার মানুষের নামটা কি হামম?
বহ্নি : মানে?
দহন : মানে তুমি কাকে ভালোবাসো??? ইউর লাভ?
বহ্নি : উহু…
দহন : বলে কি… বিশ শতকের মেয়ে হয়ে বলছো তোমার কোনো লাভার নেই? তোমাকে তো জাদুঘরে তুলে রাখা উচিত… হাহাহা…
বহ্নি : 😒

.

বিনা : কিসের পুলিশ তুমি হ্যা? কিসের পুলিশ? তোমার সামনে থেকে আমার বাচ্চাটাকে নিয়ে চলে গেলো অথচ কিছু করতে পারলেনা…
বিষয় : আম্মু… বহ্নির মাথায় গান ধরে ছিলো।
আরফান : আচ্ছা ছেলেটা এখান থেকে বহ্নির মাথায় গান ধরলেও পরে তো হাত ধরে নিয়ে গেলো… কার…
তখন বাহিরে থেকে দরজা খোলার শব্দ পেলো। দেখলো দহন-বহ্নি। বিনা ছুটে গিয়ে মেয়েকে জরিয়ে ধরলো। বিষয় তো দহনকে দিয়ে বসলো ১টা ঘুষি। দহনের রাগ উঠলো। কিন্তু ভুল করেছে বলে চুপ করে রইলো। বিষয় দহনের কলার ধরে টেনে তুলল।
বিষয় : তোর খুব সাহস না ? তুই আমার বোনকে তুলে নিয়ে যাস… আমার বোনকে…
দহন কারো হাতের মাইর , থাপ্পর , ঘুষি সহ্য করতে পারলেও কেউ ওর কলার ধরলে মেনে নিতে পারেনা। তাই কঠোর ভাবে হাতটা সরিয়ে দিলো।
দহন : ভুল করেছি তাই ১টা ঘুষি হজম করেছি। দরকার হলে আরও হজম করবো। কারাবাসও মেনে নিবো… কিন্তু কলার ধরা দহন আহমেদ মেনে নেয়না। নেহাত ভুল করেছি তাই ঘুষিটা দিতে পেরেছেন। না হলে দহন আহমেদের দিকে ওঠানো হাত , হাতের মালিকের গলায় ঝোলে। কিন্তু আজকে দহন থাপ্পর-ঘুষি সয়ে নিবে। তবে দ্বিতীয়বার কলার ধরলে… হাতটা সত্যি গলায় ঝুলবে…
বিষয় : তুই আমাকে হুমকি দিচ্ছিস? আমাকে? ১জন পুলিশ অফিসারকে? তোকে তো আম…
বহ্নি : লেট হিম গো নাউ।
বিষয় : তুই চুপ থাক। আজকে আমি একে….
বহ্নি : ভাইয়া বললাম তো এনাকে যেতে দে। আগে আমার কথা শোন। সবটা শুনে যা করার করিস। এখন যেতে দে এনাকে। আর ইনি তো পালিয়ে যাচ্ছেন না। সো লেট হিম গো। প্লিজ..
আরফান : লেট হিম গো।
তবে দহন ঠ্যাটার মতো দারিয়েই রইলো।
বহ্নি : এখন আপনি যাচ্ছেন না কেন?
দহন : আমি তোমার ভাইয়ার সাহস দেখতে চাই … 😡
বিষয় : ইউ…
বলেই বিষয় দহনের দিকে তেরে যেতে নিলো। আরফান আর অর্নব বাধা দিলো।
আরফান : এই ছেলে শোনো…. যদি তুমি গুরুজনদের একটুও সম্মান করো তবে প্লিজ এখন যাও। আই ইনসিস্ট গো…

দহন চলে গেলো।

বিষয় : বাবা তুমি ওকে যেতে দিলে কেন? হি ইজ অ্যা ক্রিমিনাল।

আরফান : তুমি কি? তোমার আচরনে তো তোমাকে পুলিশ অফিসার না গুন্ডা মনে হচ্ছিলো।
বিষয় : কিন্তু বাবা আমার বোন কে ক…
আরফান : চুপ। মা বলো তো ঘটনা কি?

বহ্নি : বাবা দহন আহমেদের ছোটবোন মনি আহমেদ। খুব মিষ্টি। তো ও আমাকে ফুলের তোরা গিফ্ট করেছিলো। সাথে ওর ভাইয়াও ছিলো। তোরাটা ভারি ছিলো। আর মনি ছোট। তাই মনি ওঠাতে পারছিলোনা। তাই ওর ভাইয়া আমাকে দিয়েছিলো। আর তখন দহন আহমেদের উড বি দেখে ফেলে। তিনি মনিকে দেখতে পাননি… অনেক বড় ভুল বোঝাবোঝি হয়। তার উড বি দেশ ছেরে চলে যাচ্ছিলো। দহন আহমেদের কোনো কথাই বিশ্বাস করছিলোনা। তাই আমাকে নিয়ে যাওয়া ছারা আর কোনো উপায় ছিলোনা। আর সবকিছু তখন এক্সপ্লেইন করারও সময় ছিলোনা। আর তার থেকেও বড় কথা হলো যে টেনশনে কারো মাথা কাজ করেনা। তাই তারও করেনি। দ্যাটস হুয়াই তিনি প্যানিক হয়ে গিয়েছিলো।
বিষয় : তাই বলে ১টা মেয়ের সাথে এমন করবে?
বহ্নি : ভাইয়া … সবার মেন্টালিটি তো আর এক না। ভুল করেছে আমি জানি… বাট সত্যি বলতে তিনি আমাকে সম্মানের সাথে নিয়ে গিয়েছেন আর সম্মানের সাথেই নিয়ে এসেছেন…

বহ্নি মনে মনে : সরি বাবা… এখন মিথ্যা বলার জন্য। এখন পুরো সত্যিটা বললে অনেক ঝামেলা হবে।

অর্নব : তবুও লোকটার শাস্তি পাওয়া উচিত । বাবাই ডু সামথিং। লিগাল অ্যাকশন নাও।

আরফান : জানো আমি ১জন এসআই হিসেবে জয়েন করেছিলাম। আর এখন আমি ১জন পুলিশ কমিশনার । অনেক অভিজ্ঞতার পর আজকে আমি এখানে। ভুলের শাস্তি দেয়া উচিত । বাট কিছু কিছু সময় এমন হয় যে ছার দিতে হয়। তাই আমার মনে হয়না যে দহন আহমেদের বিরুদ্ধে কোনো লিগাল স্টেপ নেয়া ঠিক হবে…

.

নেক্সট ক্লাসে…
মনি : আপু আপু আপু…
বহ্নি : আরে মনি… তুমি না চলে গেলে…
মনি : আবার ফিরে এলাম।
বহ্নি : কোন দরকার ছিলো?
মনি : হামমম অনেক । এখন চলো ।
বহ্নি : কোথায় ?
মনি : আইসক্রীম খেতে…
বহ্নি : আইসক্রীম …. এই শীতে?
মনি : হামমম। তুমি খাওনা আইসক্রীম ?
বহ্নি : হামম খাইতো। ভালোওবাসি। বাট শীতের দিনে খাইনা । ঠান্ডা লেগে যায় যদি…
মনি : কিচ্ছু লাগবেনা। শীতের দিনে আইসক্রীম খাওয়ার মজাই আলাদা। চলো চলো চলো…
বহ্নি : আচ্ছা দারাও বাসায় বলে দেই। যে একটু দেরি হবে।
মনি : একটু না বলে দাও অনেক দেরি হবে। আজকে অনেক ঘুরবো।
বহ্নি : কিন্তু…
মনি : আমি কিন্তু কান্না করবো… 😢। খুব খুব খুব কান্না করবো। অ্যা হ্যা হ্যা হ্যা…
বহ্নি : ওরে ব্ল্যাকমেইলার… খুব দুষ্টু না?
মনি : 😁।
বহ্নি বাসায় ফোন করে জানিয়ে দিলো।
মনি : হয়েছে তো… এখন চলো…
বহ্নি : ওকে বাবা চলো চলো… পাগলিটা।
মনি বহ্নিকে টেনে নিয়ে গেলো ।
বহ্নি : আস্তে পরে যাবো তো…

.

মনি : আচ্ছা আপু সেদিন কি ক্যাফে তো ভাইয়া তোমার সাথে খুব রাগারাগি করেছিলো?
বহ্নি : না খুব রাগারাগি করেনি।
মনি : এরমানে একটু কম রাগারাগি করেছে…
বহ্নি : 😅।
মনি : হাহাহা… আমি ভালো মতোই জানি যে আমার ভাইয়া ভীষন রাগী। আমি ছারা সবার সাথেই ভয়ংকর রাগী। ও হ্যা জল্লাদ বাপ মানে বাপীর সামনেও ভাইয়া রাগী নয় । রাগী তো দূরের কথা… বাপীর সামনে তো ভাইয়া সহজ সরল হিমু সেজে থাকে । কারন বাপী ভাইয়ার থেকেও বেশি রাগী। টেন টাইমস।
বহ্নি : হাহাহা।
মনি : আমি জানি আমিও রাগি। আসলে আমি আর ভাইয়া একই রকম। আর আমরা ২জনই বাপীর মতো। 😁।
বহ্নি : হামম আর ২জনই বাবাকে জল্লাদ বাপ বলে ডাকো।
মনি : হামম হামম। কারন আমি আর ভাইয়া কেবল বাপীকেই ভয় পাই… 😅। আপু তোমার বাবা তো পুলিশ। তার মানে আরো ভয়ংকর। তারমানে তুমি তো তোমার বাবাকে নিশ্চয়ই খুব ভয় পাও। আর হ্যা ভাইয়াকেও। তাইনা।
বহ্নি : না। আমি আম্মুকে বেশি ভয় পাই। আমার আম্মু অনেক রাগি… আমার বাবা অনেক ভালো।
মনি : তাহলে ভাইয়া যে বলল পুলিশরা খারুস হয়।
বহ্নি : মোটেওনা… 😒…
মনি : আপু জানো তোমাকে না আমার এততততোগুলো ভালো লাগে… যদি তুমি আমার ভাবি হতে তাহলে খুব ভালো হতো। সবসময় তুমি আমার সাথে থাকতে…

.

চলবে…