ভালোবেসে ফেলেছি পর্ব-০৮

0
2243

#ভালোবেসে_ফেলেছি
part : 8
writer : Mohona

.

নিশা : হামম। কি করছিলে?
কাকন : জব অফার দেখছিলাম…. ইউরোপ-আমেরিকার কোনো দেশের…
নিশা : ওহ…
কাকন : দেখোনা আন্টি আমি চাই বিয়ের পর … দহনকে নিয়ে ইউরোপ-আমেরিকাতে শিফ্ট হতে। বাংলাদেশে যতোটুকু সময় পার করার ছিলো করেছি। তাই এখন আর এখানে থাকা মানে লাইফটাকে ওয়েস্ট করা।
রিমা নিশা-মনির জন্য চা-নাস্তার ব্যাবস্থা করতে গেলো।

মনি মনে মনে : তাহলে এই কাকড়া আমার ভাইয়াকে নিয়ে দূরে চলে যাবে… 😭

কাকনের কথায় নিশাও বেশ চিন্তায় পরে গেলো।

.

দীপন : নিশা …
নিশা : হামমম।
দীপন : আজকে এমন বেখেয়ালি লাগছে কেন? মনটা খারাপ খারাপ দেখাচ্ছে ? কি হয়েছে বলো তো।
নিশা কাকনের সব কথা বলল।
দীপন : এই নিয়ে মন খারাপ…?
নিশা : হামমম।
দীপন : এতে মন খারাপের কি আছে বলো তো?
নিশা : মন খারাপের কিছু নেই বলছো? আমার কি ১০টা ছেলে? আমার তো ১টাই ছেলে। সেও যদি বিদেশ গিয়ে পরে থাকে তবে আমি থাকবো কিভাবে বলো তো… ওদের এজন্য পড়াতে বিদেশ পাঠালাম না। আর তুমি বলো এতো মন খারাপের কি ?
দীপন : দেখো বাচ্চাদের শাষন করা যায়। বাট ডমিনেট না… ওরা ১জেনারেশনের আমরা ১জেনারেশনের… আমাদের মতের ভিন্নতা থাকবেই।
নিশা : তাই বলে ছেলেকে ছারা থাকতে হবে…
দীপন : তা থাকতে হবে কেন? ওরা কি সম্পর্ক ছিন্ন করে যাবে কিনা? মাঝেমাঝে ওরা আসবে। মাঝেমাঝে আমরা যাবো।
নিশা : আচ্ছা দহন কি এই নিয়ে কথা বলেছে তোমার সাথে?
দীপন : না তো।
নিশা : ওহ।
দীপন : গুড নাইট ডিয়ার।
নিশা : গুড নাইট।
চিন্তায় চিন্তায় সারা রাত নিশার ঘুম হলোনা।

.

পরদিন…
মনি : বহ্নি আপু আছে?
বিনা : হ্যা আছে। কিন্তু তুমি কে?
মনি : আন্টি আমি মনি আহমেদ।
বিনা : আসো ভেতরে আসো। এই বহ্নি… বহ্নিরে… বহ্নি….
বহ্নি : হ্যা আম্মু… আরে মনি?
মনি : হাই আপু।
বহ্নি : হাই কিউটি। আম্মু ও মনি। চন্দনা ম্যামের স্টুডেন্ট..
বিনা : ওহ।

বহ্নি মনিকে নিয়ে রুমে গেলো।
মনি : আপু জানো… কাকন আপুনা… বিয়ের পর ভাইয়াকে নিয়ে আমাদের থেকে দূরে চলে যাবে। ইউরোপ-আমেরিকাতে… 😥…
বহ্নি : সে কি?
মনি : হামম। বলেছিলাম না কাকন আপু খুব পচা। দেখো চলে যাবে…
বহ্নি : তোমার ভাইয়াও রাজী হয়ে গেলো!!!
মনি ঘটনা বলল।
বহ্নি : ওহ তবে এই ব্যাপার।
মনি : হামমম।
বহ্নি : পাগলিটা। দেখো কাকন আপু বলেছে। তোমার ভাইয়াতো আর বলেনি…
মনি : না।
বহ্নি : তাহলে এতো ভয়ের কি আছে? এটাতো ভালো মতোই জানো যে তোমার ভাইয়া তোমাকে কতোটা ভালোবাসে… দেখো তোমার ভাইয়া কখনো কোনোদিন তোমাকে ছেড়ে যাবেনা।
মনি : সত্যি?
বহ্নি : সত্যি গো নয়ন মনি।

.

কিছুদিন পর…
দহন-কাকনের এনগেজমেন্ট পার্টির কার্ড চলে এসেছে ।
দহন : নয়ন মনি কার্ডটা কেমন হয়েছে?
মনি : ভীষন সু্ন্দর …
নিশা : মনি… তোর ক্লাসের জন্য ৪৩টা কার্ড রাখলাম।
মনি : ওকে। বাট ১টা কার্ড আমাকে দাও।
নিশা : এই নে।
মনি : এই কয়টার থেকে দিচ্ছো কেন? ওখান থেকে দাও।
নিশা : ৪৩ জনই তো আছে তোর ক্লাসে আছে।
মনি : ওদের জন্য না। আমি স্পেশাল কারো জন্য নিবো।
নিশা : তোর আবার স্পেশাল কেউ কে? 😒।
দহন : আই থিংক আই নো।
নিশা : কে?
দহন : মনি… ইজ ইট বহ্নি?
মনি : হ্যা ভাইয়া।
নিশা : ওইযে ওই মিষ্টি মেয়েটা যে বাসায় এসেছিলো?
মনি : হামমম মামনি।
নিশা : মেয়েটা ভীষন মিষ্টি ।
দহন : মিষ্টি। বাট সাংঘাতিক লেভেলের ভীতু। ১টা বিড়াল ছানাকে দেখেও ভয় পায় … হাহাহা।
নিশা-মনি : পেতেই পারে হাসির কি আছে?
দহন : কি নেই হাসির ? মনি যে ওর কতো ছোট তবুও তো ভয় পায়না।
মনি : আজবতো। আমি তুমি পাইনা বলে কি কেউ পাবেনা? অদ্ভুদ তো তুমি…
নিশা : প্রথমবার ঠিক বলেছিস।
দহন : কি ব্যাপার? এই মিরিকেল কিভাবে হলো? আমার মা আর বোন এক টিমে কিভাবে হলো? অবাস্তব তো ।
নিশা-মনি : 😒।
দহন : হায়রে নারীজাতি। যাই হোক তুমি কবে যাবে বহ্নিকে ইনভাইট করতে।
মনি : কালই।
দহন : ওকে দেন আমিও তোমার সাথে যাবো।
নিশা-মনি : হুয়াই? 😒
দহন : এমন রিঅ্যাকশন দিয়ে আস্ক করার কি আছে? আমি কি যেতে পারিনা?
নিশা-মনি : মাত্র যে আপনি ভীতু বললেন তাকে। তো?
দহন : আরে ভীতু বলার সাথে যাওয়ার কি সম্পর্ক ?
নিশা : সেটা আপনি বুঝবেন না… হুয়াট এভার… আমার সন্তানেরা আপনারা কি খাবেন এখন?
দহন-মনি : পাস্তা …

.

পরদিন…
বিকালে…
ডোরবেল বাজতেই দিনা গিয়ে দরজা খুলল। দেখলো দহন আর মনি দারিয়ে আছে। দহনকে দেখেই তো দিনা ক্ষেপে গেলো।
দিনা : তুমি? তোমার সাহস কিভাবে হয় আবার এই বাসায় আসার? নিশ্চয়ই গুন্ডাগিরি করতে আসছে।
বিনা : কে আসছে দিনা ?
দিনা : সেদিনের সেই গুন্ডাটা। তারাতারি বাবা আর তোমার ছেলেকে ফোন দাও।
মনি কিছুই বুঝতে পারছেনা। ওর মাথাতেই ঢুকছেনা যে দিনা দহনকে এভাবে কেন কথা শোনাচ্ছে। বিনা দরজার দিকে এলো। দেখলো দহনের সাথে মনিও আছে ।
বিনা : আসো তোমরা ভেতরে আসো।
দিনা : কিন্তু মা…
বিনা : লেট দেম…
দহন-মনি ভেতরে ঢুলো।
মনি : আন্টি আমার ভাইয়ার না এনগেজমেন্ট । তাই আপুকে আর তোমাদেরকে ইনভাইট করতে এসেছি।
বিনা : ওহ।
দহন : ভালো আছেন ম্যাম? 😅।
বিনা : হামম। তোমাকে অনেক অনেক অভিনন্দন । দিনা যাও তো গিয়ে বহ্নিকে ডেকে নিয়ে আসো।
দিনা গিয়ে ডেকে আনলো । বহ্নি আসতেই মনি ছুটে গিয়ে ওকে জরিয়ে ধরলো। বিনা কাপা কাপা হাতে ছোট্ট ১টা ছুরি নিয়ে দহনের ঘাড়ের কাছে দারিয়ে রইলো। দহন বিষয়টা লক্ষ করলো। ওর হাসি পেলো। দহন বিনার ছুরি ওয়ালা হাতটা ধরে ফেলল। বিনা তো ভয় পেয়ে গেলো। ও মনে করলো ওর এই আচরনের জন্য হয়তো দহন ক্ষেপে যাবে। দিনা না করার সত্ত্বেও যে কেন ও দহনকে ভেতরে আসতে দিলো। দহন টেনে বিনাকে বসিয়ে দিলো।
দহন : ম্যাম আই অ্যাম সো সরি। আসলে সেদিন আমার মাথা ঠিক ছিলোনা। তাই অমন আচরন করেছি। প্লিজ ক্ষমা করে দিন। যদি ক্ষমা নাও করেন তবুও ভয় পাবেননা প্লিজ । আজকে আমি আবারও ক্ষমা চাইতে এসেছি আর ইনভাইট করতে এসেছি। যদি এখনও ভয় লাগে তবে আমি চলে যাচ্ছি।
বিনা : না না বসো। 😅

.

একটুপর …
দহন ড্রাইভ করছে। আর মনি দহনের দিকে তাকিয়ে আছে।
দহন : কি হয়েছে মনি? কি দেখছো তখন থেকে এভাবে?
মনি : কি হয়েছে সেটা কি আমার জিজ্ঞেস করা উচিত নয়?
দহন : বুঝলাম না।
মনি : না বোঝার কি আছে? তুমি কবে এসেছিলে এই বাসায়? কি করেছিলে এমন যে তারা এমন আচরন করলো?
দহন অবাক হয়ে গাড়ি ব্রেক মারলো। এরপর অবাক হয়ে মনির দিকে তাকালো।
দহন : কেন তুমি জানোনা? তোমার বহ্নি আপু তোমাকে কিছু বলেনি?
মনি : কি বলবে?
দহন মনে মনে : মেয়েটাতো অনেক ভালো।
দহন মুচকি হাসি দিয়ে
বলল : তোমার বহ্নি আপুর মোবাইল নাম্বারটা দিও তো…
মনি : কেন? আর এটা তো আমার প্রশ্নের উত্তরনা।
দহন : ওকে আমি উত্তর দিচ্ছি তুমি ততোক্ষনে আমার মোবাইলে বহ্নির ফোন নাম্বার সেভ করো।
মনি : ওকে ….

.

২দিনপর…
মনি ওর ১ফ্রেন্ডের বার্থডে পার্টিতে ১টা রেস্টুরেন্টে এসেছে। ভুল করে ড্রেসে জুস পরে যাওয়ায় ও ওয়াশরুমের দিকে গেলো। ফিরে আসার সময় দেখলো কাকন বসে আছে। সাথে ১টা অন্য ১টা ছেলে। যে কিনা কাকনের হাত ধরে আছে।
মনি : আরে কাকন আপুর সাথে ছেলেটা কে? যেই হোক। কারো পার্সোনাল ব্যাপারে মাথা ঘামানো ঠিক না। ১মিনিট মামনি না বলে যে বাপী-ভাইয়া ছারা অন্য কোনে ছেলে যদি আমার হাত ধরে তাহলে যেন ভাইয়া-মামনি-বাপী কাউকে বলি… কারন এটা পচা কথা । তাহলে ওই ভাইয়াটা কাকন আপুর হাত ধরেছে তাও আপু কিছু বলছেনা কেন? দেখিতো গিয়ে।

গিয়ে মনি যেসব কথা শুনলো সেসব কথা ওকে অবাক করে দিলো।

কাকন ওর প্রাক্তন স্বামী রকির সাথে বসে আছে ।

কাকন : ছারো আমার হাত…
রকি : না ছারবোনা।
কাকন : ছারতে বলেছি না…
রকি : ছারবোনা।
কাকন নিজের হাত টান দিয়ে ছারিয়ে নিলো।
কাকন : বলেছি না আর কখনো আমার সামনে আসবেনা।
রকি : কাকন … আমি আজও তোমাকে ভালোবাসি…
কাকন : আর আমি তো তোমাকে ভালোবাসিনা। কখনো বাসিনি আর বাসতে পারবোও না ।
রকি : যদি ভালোনাবেসে থাকো তবে কেন সেদিন আমার হাত ধরে পালিয়ে গিয়েছিলে? বলো?
কাকন : ওটা কেবল আমার টিনএজের আবেগ ছিলো। দ্যাটস ইট।
রকি : যেটাকে তুমি আবেগের নাম দিচ্ছো সেটাই তোমার জীবনের প্রথম ভালোবাসা।
কাকন : …
রকি : ফিরে আসো আমার কাছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তো কতোরকমের ঝামেলাই হয় । তাই বলে ক…
কাকন : রকি… তুমি বোধহয় ভুলে যাচ্ছো যে আমরা আর স্বামী-স্ত্রী নই। সারে তিন বছর আগেই আমাদের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে ।
রকি : কিছুই ভুলিনি। তুমি দহনের প্রেমে পাগল হয়ে , অন্ধ হয়ে আমাদের বাচ্চাটা নষ্ট করে দিয়েছিলে । তাই একটু বকেছিলাম বলে আর ১টা থাপ্পর মেরেছিলাম বলে তুমি ডিভোর্স দিয়েছিলে… তুমি নিজেই বিচার করো… কাজটাকি ঠিক করেছিলে…
কাকন : ….
রকি : ১টা কাগজের টুকরা কি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভাঙতে পারে? প্লিজ ফিরে এসো আমার কাছে।
কাকন : না কক্ষনো না। কারন আমি দহনকে আর দহন আমাকে প্রচুর ভালোবাসে । দহনকে ছারা আমি বাচতে পারবোনা। ও আমার সব । বুঝেছো?
রকি : তোমার ভালোবাসা আমি জানি… কিন্তু দহন… জানিনা ও তোমাকে ঠিক কতোটা ভালোবাসে… কিন্তু আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি । দহন তোমাকে এতো ভালোবাসতে পারবেনা। কারন তুমি এতোদিন দহনের সাথে কাটানোর পরও আমি তোমাকে ভালোবাসি… তোমাকে ফিরিয়ে নিতে চাই। কিন্তু দহন যদি তোমার অতীত জানে তবে কোনোদিনও তোমার মুখটা পর্যন্ত দেখবেনা।
কাকন : মোটেও না। তুমি আমার দহনকে চেনোনা। ও আমাকে অনেক ভালোবাসে। ও কখনো আমার সাথে এমন করবেনা। ও আমাকে থাপ্পর মারা তো দূরের কথা কখনো চোখ রাঙিয়েও আমার সাথে কথা বলেনা।
রকি : দেখো আমাদের তিন-সারে তিন বছরের সংসারে আমি কিন্তু তোমাকে ওই ১টাই থাপ্পর দিয়েছিলাম। আর কোনো স্বামীই এটা নেবেনা যে তার স্ত্রী অন্য কোনো ছেলের জন্য নিজের বাচ্চা নষ্ট করবে। তোমার দহনও না। আমি তো কেবল ১টা থাপ্পর মেরেছিলাম। কিন্তু আমার সাথে যা করেছো তা যদি তুমি তোমার দহনের সাথে করো তবে দহনকে যতোদূর জানি… ও তোমাকে জানে মেরে ফেলবে…
কাকন : এই রকি এই… খবরদার আমার দহনের সম্পর্কে কোনো বাজে কথা বলবেনা। আমার দহন আমাকে অনেক ভালোবাসে। অনেকেরও অনেক বেশি । ও তোমার মতো না। আর যদি তুমি কখনো আমার সামনে আসো তবে খবর আছে। আমি নিজেকে শেষ করে দিবো।
রকি : না… আমি আর কখনো তোমাকে ডিস্টার্ব করবোনা। তবুও তুমি ঠিক থাকো।
কাকন : …
রকি : শেষে কেবল ২টা কথাই বলতে পারি যে … আমি তোমাকে ভালোবাসি। আর তুমি যদি আমার কাছে ফিরে আসো তবে ফিরিয়ে দেবোনা।

বলেই রকি চলে গেলো।
কাকন : তোমার কাছে কোনোদিনও ফিরবোনা। কারন আমি আর দহন সবসময় একসাথে থাকবো…

কাকনও চলে গেলো। মনির মাথায় এতোকিছু না ঢুকলেও বিয়ে আর ডিভোর্স বিষয়টা বুঝলো। ও আর দেরি না করে বাসায় চলে গেলো।

আসলে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে মা-বাবার অমতে গিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে কাকন রকিকে বিয়ে করেছিলো। মা-বাবার একমাত্র মেয়ে হওয়ায় কাকনকে মেনে নেয়। ভালোই চলছিলো সব। কিন্তু অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে দহনকে দেখে কাকনের দহকে ভীষন ভালোলাগে। ধীরে ধীরে সেই ভালো লাগা ভালোবাসাতে পরিনত হয়। দহন অন্য ডিপার্টমেন্টে ছিলো। দহনের প্রেমে পরে কাকন অ্যাবর্শন করায়। সব ঘটনা জেনে রকি স্বাভাবিকভাবেই ভীষন ক্ষেপে যায়। আর কাকনকে থাপ্পর মারে। ব্যাস… কাকন রকিকে ডিভোর্স দেয়। মা-বাবা ধনী হওয়াতে কোনো সমস্যাও হয়নি । আর বিয়েটা পালিয়ে গিয়ে হওয়াতে তেমন জানাজানিও হয়নি। দহন এগুলোর কিছুই জানেনা।

.

মনি : মামনি মামনি….
নিশা : আরে তুই? এতো তারাতারি?
মনি : সব বাদ দাও । আগে বলো তো ডিভোর্স মানে কি?
নিশা একটু অবাক হলো।
নিশা : ডিভোর্সের মানে জেনে তুই করবি?
মনি : বলোনা মামনি। খুব দরকার। আমি ডিকশনারিতে দেখলাম যে ডিভোর্স মানে তালাক। কিন্তু তালাক মানে কি? বলো না।
নিশা : ডিভোর্স মানে হলো আলাদা হয়ে যাওয়া। বিয়ে ভেঙে ফেলা। আল্লাহ না করুক… মনে করো যদি তোমার বাবা আর আমি অফিশিয়ালি আলাদা হয়ে যাই তবে এটাকে ডিভোর্স বলে। বুঝেছো?
মনি : ওহ। আচ্ছা ২টা বিয়ে করা কি পচা কাজ?
নিশা : তোর আজকে কি হয়েছে রে? কি সব আবোল তাবোল বলছিসরে?
মনি : বলোনা…
নিশা : এখন বললে বুঝবিনা…
মনি কিছু না বলে ১দৌড়ে নিজের রুমে গেলো। দহনকে ফোন করলো। দহন তুলতেই মনি একদমে সব বলে দিলো….

.

চলবে…