ভালোবেসে ফেলেছি পর্ব-০৯

0
2460

#ভালোবেসে_ফেলেছি
part : 9
writer : Mohona

.

মনি একদমে সব বলে দিলো।
মনি : তুমি ওই মেয়েটাকে বিয়ে কোরোনা ভাইয়া…
মনি কেবল হামম শব্দটা পেলো।
মনি : ভাইয়া তোমার কন্ঠ এমন লাগছে কেন?
লাইনটা কেটে গেলো ।
মনি : হ্যালো ভাইয়া … হ্যালো … ভাইয়া কেটে দিলো কেন?
আসলে ফোনটা কাকনই তুলেছিলো । আর ও সব শুনেফেলেছে। 😅🙊🙉🙈।

কাকন : মনি এসব কি করে জানলো? কি করে? ও যদি দহনকে সব বলে দেয়? তাহলে তো আমি আমার দহনকে হারিয়ে ফেলবো । না … এটা হতে পারেনা। আমি দহনকে ছারা বাচতে পারবোনা । আমি দহনকে ভীষন ভালোবাসি। ভীষন…
তখন দহন এসে কাকনকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলে। ওর কাধে মাথা রেখে
বলল : কাকে বলছো যে তুমি আমাকে ভালোবাসো… হামম?
কাকন : জান জানো আমার বুকটা কেন যেন কাপছে। মনে হচ্ছে কিছু ১টা খারাপ হবে…
দহন : কি খারাপ হবে? আর তুমি এসব কবে থেকে বিশ্বাস করো।
কাকন : জানিনা… মনে হচ্ছে তুমি হারিয়ে যাবে
দহন : ধ্যাত পাগলি। আমি কখনো তোমার থেকে হারাবোনা । মৃত্যু ছারা।

.

কাকন পেছন ফেরে দহনের ঠোট জোরা দখল করে নিলো। একটুপর ছেরে দিয়ে দহনের বুকে মাথা রাখলো। চুপ করে রইলো। দহন বুঝলো যে কাকন কাদছে।
দহন : জান … ও জান … কি হয়েছে তোমার বলো তো…
কাকন : ১টা রিকুয়েস্ট রাখবে দহন…
দহন : বলো…
কারন : আজকে রাতটা আমাদের বাসায় থেকে যাওনা প্লিজ …. প্লিজ …
দহন : ওকে থাকবো। বাট মাই ম্যাডাম … আমি থাকলে অনেক কিছুই হতে পারে… 😏
কাকন : আই ট্রাস্ট ইউ জান। আর কিছু হলেই ক্ষতি কি? তুমি তো আমারই…
দহন : ওরে দুষ্টু … আমার মজার ওপর মজা করছো? ভালোনা ভালোনা…
কাকন : তুমি বসো আমি গেস্টরুমটা খুলে দিচ্ছি।
দহন : এই চলোনা আজকে গল্প করি ।
কাকন : সে তো করবোই। আসছি দারাও…

কাকন বেরিয়ে গেলো ।
দহন : এখন যদি বাসায় বলি যে আমি রাতে কাকনদের বাসায় থাকবো তবে জল্লাদ বাপের কাছে শুধুশুধু বকা গুলো খাবো । আর কাকনকে ছেরে এখন যাওয়াটাও ঠিক হবেনা। ১কাজ করি… মামনি বলি যে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিবো। তাই রাতে ফিরবোনা। হ্যা এটাই ভালো হবে।
দহন নিশারে ফোন করে দিলো । বলল।

.

পরদিন…
দহনের অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে মনি স্কুলে গেলো। স্কুলে যাওয়ার পথেই কাকনের লোকজন মনিকে কিডন্যাপ করে ফেলল।

☆ : হ্যালো ম্যাম… কাজ শেষ।
কাকন : গুড। রাখছি। আমি একটুপরে আসছি।
ফোন রেখে দিলো।
কাকন : আই অ্যাম সরি জান। তোমার একটু কষ্ট হবে তোমার নয়ন মনিকে হারিয়ে । তোমাকে পাওয়ার জন্য যদি আমি নিজের সন্তানকে শেষ করতে পারি তবে মনিকেও শেষ করতে পারি। আমি তোমাকে ভালোবাসি … কোনো কিছুর বিনিময়েই আমি তোমাকে হারাতে পারবোনা জান… মনি মরে গেলে তোমার একটু কষ্ট হবে। আমাদের বিয়েটা ২-৪ পিছিয়ে যাবে। কিন্তু তুমিতো আমারই থাকবে… আমি যে কোনো কিছুর মূল্যেই তোমাকে হারাতে পারবোনা। কিছুতেই না।
কাকন ব্রেকফাস্ট নিয়ে দহনের কাছে গেলো।
কাকন : গুড মর্নিং জান। উঠে পরো। অনেকবেলা হয়েগিয়েছে।
দহন ঘুম।
কাকন : এই ওঠোনা… এই জান ওঠো … দহন । দহন …
দহনের ঘুম ভাঙলো।
দহন : বিয়েই আগেই বউগিরি করছো কেন গো। একটু ঘুমুতে দাওনা।
কাকন : দিতাম। কিন্তু জনাব বাসায় ফিরবেননা আপনি? আপনার ছোট্টবোনটা যে আপনার অপেক্ষা করবে। সেটা কি আপনি জানেন না?
দহন : ওহ শীট… কটা বাজে।
কাকন : ১২টা।
দহন : ১২টা? ড্যাম ইট। মনি তো স্কুলে চলে গিয়েছে। আরো আগে ডাক দিবেনা।
কাকন : এই যে মিস্টার আমি না অনেক্ষন ধরে ডাকছি। এখন যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।

দহন ফ্রেশ হয়ে এসে জুসের গ্লাস হাতে নিয়ে কেবল ১টা চুমুক দিলো। আর তখনই নিশা ফোন করলো।
দহন : হ্যালো মামনি…
নিশা : কারা যেন মনিকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গিয়েছে…
দহন : হুয়াট?
দহনের হাত থেকে মোবাইলটা পরে গেলো।
কাকন : কি হয়েছে দহন?
দহন : কককে যেন মমমনিকে কিডন্যাপ করেছে…
কাকন : কি বলছো কি?
দহন কিছু না বলে পাগলের মতো বেরিয়ে গেলো।
কাকন : সরি জান। এতোটুকু কষ্ট সহ্য করো। আজকে একটু কষ্ট করে খোজো। কালকে আর খুজতে হবেনা। কারন কালকে মনির লাশ পেয়ে যাবে। মনির কাছে একটু পরে যাই… আগে একটু দহনদের বাসায় যাই…

.

দহন : মামনি মামনি…
দহন দেখে ওর মামি নিশার মাথায় পানি ঢালছে।
দহন : মামনি… মামি মামনির কি হয়েছে?
মামি : জ্ঞান হারিয়েছে।
দহন : ডক্টরকে ফোন কর…
মামি : করেছি। আসছে।
দহন : মামি… বাপী কোথায়?
মামি : তোমার সাথে বের হয়েছে।।

তখন দীপন আর দহনের মামা ফিরে এলো। দহন ছুটে দীপনের কাছে গেলো।
দহন : বববাপী … আমার মমনিকে পেয়েছো? ও বাপী… বলোনা। ও বাপী…
দীপন : পুলিশ , গোয়েন্দা সবাই কাজে লেগে পরেছে ।
দহন : লেগে পরলে হবে না বাপী… আমার মনিকে খুজে পেতে হবে। আমার মনিকে নিয়ে আলো বাপী … আমার নয়নমনিকে নিয়ে আসো …
বলেই দহন বাচ্চাদের মতো হাউমাউ করে কাদতে লাগলো। তখন কাকন এলো।
কাকন : দহন… 😢…
মনে মনে : ক্ষমা করে দিও দহন আমাকে… প্লিজ ক্ষমা করে দিও…
দীপন : দহন … দহন সোনা না কান্না করে না। পেয়ে যাবো দহনকে। ২৪ঘন্টার মধ্যে তোমার মনিকে সহী-সলামতে তোমার সামনে হাজির করবো । কথা দিলাম।
কাকন মনে মনে : ২৪ঘন্টার মধ্যে মনিকে অবশ্যই হাজির করতে পারবে আংকেল। কিন্তু মৃত।

কিছুটা শান্ত হয়ে দহন বেরিয়ে এলো। দেখলো বিলু কাকার (ড্রাইভার) হাতে পায়ে ব্যান্ডেজ। সে কপালে হাত দিয়ে কান্না করছে। দহন তার কাছে গেলো।

দহন : বিলু কাকা…
বিলু : দহন বাবা…
দহন : বববিলু কককাকা আমার মনি…
বিলু : দহন বাবা বিশ্বাস করো … আমি মনিমা কে বাচানোর অনেক চেষ্টা করেছি। অনেক … কিন্তু পারিনি। ক্ষমা করে দাও বাবা… ক্ষমা করো আমাকে।
দহন : বিলু কাকা। তুমি কেন ক্ষমা চাইছো বলো তো… এতে তোমার কি দোষ? আচ্ছা ডল কাকা ওরা কয়জন ছিলো?
বিলু : ৬জন…
দহন : কারো মুখে দেখতে পেয়েছো?
বিলু : দহন বাবা সবাই মাথায় হেলমেট পরে ছিলো । কিন্তু মনিমার হাত-পা নারানোর চোটে ১জনের মাথা থেকে হেলমেট পরে যায়।
দহন : তার চেহারা দেখেছো?
বিলু : হ্যা। দেখেছি।
দহন : মনে আছে?
বিলু : থাকবে না আবার… আমার মনিমাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে আর আমি তার চেহারা ভুলে যাবো …
দহন : হামম। চলো আমার সাথে কাকা…
বিলু : কোথায়?
দহন : স্কেচ আর্টিস্টের কাছে।
বলেই দহন বিলুকে গাড়িতে বসিয়ে ভীষন জোরে ড্রাইভ করে স্কেচ আর্টিস্টের কাছে গেলো। লোকটার স্কেচ আকিয়ে সকল পুলিশ স্টেশনে দেয়া হলো। সবাই খুজতে লাগলো। দহনও খুজতে লাগলো।

.

রাত হয়ে গিয়েছে…
দহন গাড়ি চালাচ্ছে আর সেই লোকটাকে খুজছে।

দহন : হ্যালো… রবি পেয়েছিস…
রবি : না রে।
দহন : কিভাবে খুজছিস? ভালোভাবে খোজ । জাস্ট গেট দ্যাট পার্সন …

একটুপর দহন ১টা চায়ের দোকানের সামনে গাড়ি থামালো
রাস্তায় যতোগুলো চায়ের দোকান দেখেছে সবগুলোতে দহন দেখেছে। তাই এটাতেও দেখতে নামলো। হঠাৎ ও স্কেচের সেই লোকটাকে দেখতে পেলো। খপ করে ধরে ফেলল। যেমন করে সিংহ তার শিকার ধরে।

.

মনি : আমার ভাইয়া যদি জানতে পারে না তবে তোমাদেরকে এমন মার মারবে যে মজা বুঝবে।
কাকন : তাই বুঝি?
মনি দেখার চেষ্টা করছে যে এই মেয়ে কন্ঠ আবার কার।
কাকন : নাও… আলোতে এলাম। এখন তো দেখতে পাচ্ছো…
মনি : কাকন আপু…?
কাকন : হামম আমি।
মনি : কাকন আপু দেখোনা এই দুষ্টু লোক গুলো আমাকে ধরে এনেছে।আমাকে বাচাও…
কাকন : বাচাবো? কিন্তু আমিই তো তোমাকে কিডন্যাপ করিয়েছি। তোমাকে জানে মারবো বলে…
মনি ভয় পেয়ে গেলো।
কাকন : দহন আহমেদের নয়ন মনি ভয় পাচ্ছে তাও আমাকে… গুড।
বলেই কাকন ছুরি বের করলো।
কাকন : দেখে নাও… এটা দিয়ে তোমাকে ওপরে পাঠাবো।
মনি তো ভয়ে শেষ।
মনি : আপু তততুমি এমনটা কেন কককরছো?
কাকন : কারন তুমি আমার অতীত জেনে ফেলেছো। আর এগুলো দহন জানতে পারলে আমাকে ঘৃণা করবে। আর আমি আমার দহনকে হারাতে পারবোনা। সো গুড বাই…
মনি : আআআপু… আমি প্রমিস করছি যে আমি কাউকে কিছু বলবোনা।।।।.তবুও তুমি আমাকে মেরোনা প্লিজ..
কাকন : আম সরি… মাই ডিয়ার মনি… তোমার বেয়াদবি মেনে নিতাম বলে যে তুমি আমার দহনকে কেরে নিবে সেটাও মেনে নিবো এটা ভাবা ভুল।সো … বা বাই…
বলেই কাকন ছুরিটা মনির পেটে ঢুকাতে নিলো। তখনই দহন এসে ওর হাত বরাবর গুলি করলো।
কাকন : আহ…
মনি : ভাইয়া…
মনির মুখে ভাইয়া শুনেই কাকনের আত্মাটা কেপে উঠলো। দহন কাকনের দিকে তাকিয়ে মনির দিকে এগিয়ে এলো। এরপর কাকনের দিকে তাকিয়েই মনির হাতের বাধন খুলে দিলো। মনি ভাইয়া বলে দহনকে জরিয়ে ধরলো। আর কান্না করতে লাগলো। কাকন দহনের দিকে তাকিয়ে আতকে উঠলো। ও ভালোমতোই জানে যে এই মুহুর্তে ওকে খুন করতে দহন ২বার ভাববে না। ও দহনের রাগটাও জানে … ও মনির প্রতি দহনের ভালোবাসাটাও জানে…

দহন : একদা একসময় ভালোবাসতাম বলে গুলিটা হাতে লেগেছে। তা না হলে বুকের বা পাশে লাগতো। আর কখনো সামনে এসোনা…
বলেই দহন মনিকে কোলে নিয়ে চলে যেতে নিলো।
কাকন : দ…
দহন হাত দিয়ে ইশারা করে থামিয়ে দিলো।
দহন : নো এক্সকিউজ… কি করেছেন … কেন করেছেন …. আমি জানতে চাইনা। এখন মুখ খুলে কিছু বললে আমি ভুলে যাবো যে একসময় ভালোবাসতাম। গুলিটা হার্ট বরাবরই করবো। মাইন্ড ইট।

বলেই দহন চলে গেলো।

.

নিশা মেয়েকে কোলে নিয়ে বুকে জরিয়ে ধরলো। দহন মনিকে নিশার কোলে দিয়েই দৌড়ে রুমে চলে গেলো।
পুলিশ : মিস্টার দীপন আহমেদ… আমরা আপনার মেয়ের স্টেটমেন্ট নিতে চাই।
দীপন : নট নাও অফিসার নট নাও। অপরাধীকে শাস্তি দেয়া থেকে আমার কাছে আগে আমার মেয়ের স্বাভাবিক হওয়াটা জরুরী। আমার মেয়ে যেদিন-যখন স্টেটমেন্ট দেয়ার অবস্থায় আসবে সেদিন দিবো। এখন আমার বাচ্চাটা আতঙ্কে আছে।
পুলিশ : ওকে মিস্টার আহমেদ ।

পুলিশ চলে গেলো। বেশ কিছুক্ষনপর নিশা
বলল : ভাইয়া তোকে কোথায় পেলোরে মা…
মনি : কাকন আপুর কাছে।
দীপন : কি? তাহলে কাকন আপু তোমাকে পেয়েছে?
মনি : না। কাকন আপু আমাকে কিডন্যাপ করিয়েছিলো। আর আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো। কারন আমি আপুর কথা সব শুনেছি।
দীপন-নিশা : কথা ? কি কথা?

মনি সব বলল।
নিশা : কি ভয়ংকর মেয়েরে বাবা… দীপন তুমি এখনই ওই মেয়েকে পুলিশে দাও।
দীপন : হামম। দারাও। তবে তার আগে আমার দহনের সাথে কথা বলা প্রয়োজন।

দীপন দহনের রুমে গেলো। দখলো দহন এনগেজমেন্টের বাকী কার্ড গুলো , কাকনের দেয়া গিফ্টগুলো , দহন-কাকনের ছবি গুলো জরো করে সেগুলোর ওপর আগুন লাগিয়ে দিয়েছে ।যদিও দহনের চোখের কোনে পানি তবুও রাগের চোটে ফেটে যাচ্ছে ও। দীপন ভাবলো যে এখন দহনের সাথে কথা বলা ঠিক হবেনা। ও এখন তেমন অবস্থায় নেই। তাই নিচে নেমে গেলো। আর নিশাকে সবটা বলল।

.

একটুপর…
দহন নিচে নেমে এলো।
দহন : বাপী…
দীপন : হামম বলো।
দহন : মনি হয়তো সব বলেছে যে এসবের পিছে কাকনই আছে।
দীপন : হামম বলেছে। এখন তুমি ঠান্ডা হও। কারন আমি জানি যে তুমি এখন নিজের মধ্যে নেই।
দহন : বাবা বাবা বাবা… আমার কথা ভেবে কোনো ডিসিশন নিওনা। কাকন যা করেছে তারজন্য কোনো ক্ষমা হয়না…. আমার মনে ওর কোনো জায়গা নেই। আই জাস্ট হেইট হার …

তখন কাকন , ওর মা রিমা , ওর বাবা উজ্জ্বল এসে হাজির হলো।
উজ্জ্বল : ১দিনের ছোট্ট ১টা ভুলের জন্য এতোদিনের ভালোবাসা ভুলে যাবে বাবা দহন…
দহন পিছে ঘুরলো। ৩জনকে দেখে দহনের মেজাজ বিগড়ে গেলো।

উজ্জ্বল : দেখো মানছি আমার মেয়েটা অনেক বড় অন্যায় করেছে। কিন্তু সবথেকে বড় সত্য এটা যে ও তোমাকে ভালোবাসে…
দহন ৩জনের দিকে এগিয়ে গেলো।
দহন : আমার কাছে সবথেকে বড় সত্য এটা যে এই মেয়েটা আমার বোনকে খুন করতে চেয়েছিলো। দ্যাটস ইট। ওকে সামনে আসতে না করেছিলাম… এসে ভুল করেছে। বাপী… কল দ্যা পুলিশ রাইট নাও…
রিমা : দহন…
কাকন : দহন প্লিজ ফরগিভ মি…
দহন : বাপী… ডোন্ট ইউ হেয়ার মি? কল দ্যা পুলিশ রাইট নাও।

দহন প্রথম এভাবে দীপনের সাথে কথা বলল। দীপন পুলিশকে ফোন করলো।

দহন : আপনাদের ভাগ্য ভালো যে আমার বাপী এখানে দারিয়ে আছে। তা না হলে এখন ওকে জানে মেরে দিতাম…

পুলিশ এসে কাকনকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে গেলো।

দীপন : দহন…
দহন : এক্সাম শেষ বাবা। কালকে থেকে আবার অফিস জয়েন করবো। এন্ড আই উইল বি পাংচুয়াল….
বলেই দহন বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো।

.

চলবে…