ভালোবেসে ফেলেছি পর্ব-১২+১৩

0
2552

#ভালোবেসে_ফেলেছি
part : 12
writer : Mohona

.

বিষয় কাজী সাহেবকে নিয়ে চলে এলো ।

অর্নব : এইযে ডিমের ভীতু এখনই আমার বউ হয়ে যাবি বুঝেছিস? আর কখনো তুই করে বলতে পারবিনা।

বহ্নি : ১০০বার বলবো। তুই তুই তুই…

অর্নব : তুই আমাকে তুই বললেনা ঘুপুরঘুপুর পিঠের মধ্যে লাগাবো।

বহ্নি : ত…

দিনা : ২জনই চুপ… না হলে ২জনকে আমি ঘুপুরঘুপুর লাগাবো। বিয়ের সময়ও কেউ ঝগড়া করে? স্টুপিড ২টা…

২জনকে হলরুমে নেয়া হলো। বসানো হলো। আর ঠিক তখনই বাহিরে গোলাগুলির আওয়াজ ভেসে উঠলো। আরফান আর বিষয় ভয়ে আতকে উঠলো । আরফান দেখতে যেতে নিলে বিষয় থামিয়ে দিলো ওকে। বিষয় দেখতে গেলো । বিষয় কোনোরকমে আড়াল থেকে দেখলো যে জঙ্গীরা হামলা করেছে ওদের বাড়িতে। গার্ডসদের মেরে ফেলেছে।

বিষয় : ওহ নো .. বাবা ইটস দেম…

বিনা : এখন কি হবে?

আরফান : সেই সিক্রেট দরজাটা দিয়ে তোমরা সবাই বেরিয়ে যাও। এখনই। এদিকটা আমি আর বিষয় দেখছি…

ওরা পুলিশ ফোর্সকে ফোন করলো । এরপর ২জন নিজেদের গান হাতে নিয়ে গুলি ছুরতে লাগলো। তখন ঘরের ভেতরেও গুলির শব্দ পেলো। দেখলো কাজী সাহেব বিনাকে গুলি করে ফেলেছে। বিষয়ের দিকেও গুলি ছুরে মেরেছে। কিন্তু বিষয় ঘুরে যাওয়ায় হাতে লেগেছে। বিষয় কিছু না সেই নকল কাজীর কপালে গুলি করে দিলো। সবাই বিনার দিকে ছুটে এলো।

আরফান : অর্নব তুমি … বউমা , দিদিভাই আর বহ্নিকে নিয়ে চলে যাও…

বহ্নি : না আমি যাবোনা.. তোমাদের ছেরে আমি যাবোনা বাবা..

অর্নব : বাবাই তোমরাও চলো…

বিষয় : আমরাও যদি এখন বের হতে যাই তবে কেউ বাচবোনা। প্লিজ বোঝার চেষ্টা করো। যাও…

.

অর্নব দিনা-রিদি-বহ্নিকে নিয়ে সেই গোপন দরজা দিয়ে দ্রুত বেরিয়ে গেলো। আর এদিক দিয়ে সন্ত্রাসীরা বাসার ভেতরে ঢুকে গেলো । আরফান-বিষয় অনেক চেষ্টা করলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মারা গেলো। সন্ত্রাসরা খুজতে খুজতে গোপন দরজাও পেয়ে গেলো। ওখান দিয়ে বের হতে লাগলো। ২দল ২দিকে গেলো। রিদি ভয় পেয়ে মায়ের কাছে গেলো। অর্নব কোলে নেয়ার জন্য কতো জোরাজোরি করলো। কারন দিনা রিদিকে কোলে নিয়ে কিভাবে দৌড়াবে । কিন্তু রিদি গেলোই না অর্নবের কাছে । অর্নব কারো জুতোর শব্দ শুনতে পেয়ে লুকিয়ে পরতে বলল। ৩জন কাছাকাছিই ৩জায়গায় লুকিয়ে পরলো। রিদি মায়ের কাছে । সন্ত্রাসটা চলেই যাচ্ছিলো তখন রিদি কান্না করে উঠলো। তখন সন্ত্রাসটা রিদি-দিনার দিকে গুলি ছুরতে গেলে অর্নব ওর মাথায় বারি মারলো। কিছু সময়ের জন্য সে বেসামাল হয়ে পরলো। কিন্তু আবার সোজা হয় দারালো । অর্নব ওর হাত ধরে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করতে লাগলো।

অর্নব : তোমরা পালাও।

কেউ নরলোনা।

অর্নব : আরে পালাও…

বহ্নি-রিদি-দিনা পালাতে লাগলো। হঠাৎ গুলির শব্দ পেলো। ৩জন পিছে ঘুরে দেখলো অর্নব পরে আছে । তবে সন্ত্রাসটার পা ধরে আছে যেন বহ্নিদের দিকে না যেতে পারে।

বহ্নি : অর্নব…

বহ্নি ছুটে আসতে নিলে দিনা বাধা দেয়…

দিনা : চলো বহ্নি… প্লিজ চলো… 😥…

বেসামাল পায়ে ২জন দৌড়াতে পাগলো। সন্ত্রাসটা অর্নবের হাতে মধ্যে গুলি করে ওদের পিছু নিলো। এরপর আরেকটা গান বের করলো। ২হাতে ২গান নিয়ে ৩জনের দিকে ছুরলো। ৩জনের গায়েই গুলি লাগলো।

.

সকালে…

খাবার টেবিলে…

দীপন : নিশা ব্রেকফাস্ট কোথায়?

নিশা : এই তো হাজির।

৪জন বসলো নাস্তা করতে । দীপন টিভিটা অন করলো। খবরের চ্যানেলে দিলো। ব্রেকিং নিউজটা দেখে ভীষন অবাক হয়ে গেলো।

‘পুলিশ কমিশনার আরফান রহমানের বাসায় সন্ত্রাসবাদীদের হামলা। আরফান রহমান , তার স্ত্রী বিনা রহমান , তার ছেলে ওসি বিষয় রহমান এবং তার বন্ধুর ছেলে অর্নব খান সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত। তার মেয়ে বহ্নি রহমান , ছেলের বউ দিনা রহমান এবং নাতনি রিদি রহমান গুরুতরভাবে আহত। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ তে রাখা হয়েছে। ‘

দীপন : ওহ নো।

মনি : ভাইয়া এরা তো বহ্নি আপুর আম্মু-বাবা।।। এরা সবাই মারা গিয়েছে…

মনি ছোটমানুষ তাই খবরটা দেখে ভয় পেয়ে গেলো। কান্না শুরু করলো। দীপন নিশাকে বলল মনিকে রুমে নিয়ে যেতে। দহনেরও খবরটা দেখে বেশ খারাপ লাগলো। কারন ও জানে যে বহ্নি ওর পরিবারকে ভীষন ভালোবাসে ।

দীপন : দহন তুমি অফিসে যাও । আমি মনেহয় আজকে অফিসে আসতে পারবোনা। আই থিংক আমার ওখানে যাওয়া দরকার।

দহন : ওকে বাবা… আই উইল হ্যান্ডেল…

দীপন বেরিয়ে গেলো।

.

দীপন হসপিটালে গেলো। সেখানে পুলিশ মিডিয়ার ভীর জমে আছে । দীপন পুলিশদের সাথে আর ডক্টরদের সাথে কথা বলল। বহ্নির কাকারা-মামারা কেউ তেমনভাবে এগিয়ে আসতে সাহস পেলোনা জঙ্গীদের ভয়ে। ওর ২টা ফুপ্পি কেবল এগিয়ে এলো।

বড় ফুপ্পি : ডক্টর আমার ভাতিজি, নাতি ভাতিজা বউ , আর বউয়ের অনাগত সন্তানকে বাচান প্লিজ…

ছোটফুপ্পি মিডিয়ার লোকদের সামনে দারিয়ে এই হত্যাকান্ডের বিচার চাইতে লাগলো। এসব কিছু দেখে দীপন ১টা লম্বা নিঃশ্বাস ছারলো।

দীপন মনে মনে : হয়তো জঙ্গীদের দাপটে এসব কিছু ভিত্তিহীন হয়ে যাবে। আর শাস্তি পেলেও কি আর এনারা ফিরে আসবেনা। বহ্নি ওর মা-বাবা-ভাইকে ফিরে পাবেনা। নিষ্পাপ শিশু তার বাবাকে ফিরে পাবেনা। অনাগত সন্তানটাও তার বাবাকে পাবেনা। দিনা তার স্বামীকে পাবেনা…

বিকালের দিকে বহ্নি-রিদি-দিনার অবস্থার উন্নতি হলো। দিনা এবং ওর অনাগত সন্তান ২জনই সুস্থ আছে।

.

পরদিন…

বহ্নি-দিনার জ্ঞান ফিরতেই পুলিশ-মিডিয়ার হামলা পরলো ওদের ওপর । কয়জন ছিলো , কেমন ছিলো, চেহারা দেখেছিলো কিনা… হাজারো প্রশ্নের সমাহার। তারা নিজেদের কাজই করছে। কিন্তু নিজেদের কাজের চক্করে তারা ভুলে গিয়েছে যে বহ্নি-দিনার মানসিক অবস্থাটা এখন কেমন। প্রথমত এমন ভয়ংকর ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। সেই সাথে আপনজনদের হারিয়েছে। কিছু বলার বা জানানোর অবস্থাতে ওরা নেই।

বড়ফুপ্পি : দেখুন আপনাদের যা যা জিজ্ঞেস করার পরে করবেন প্লিজ। ওরা এখন কিছু বলার মতো অবস্থাতে নেই।

ফুু্প্পির কথাতেও কোনো কাজ হলোনা। শেষে ডক্টর বলল। এরপর পুলিশ-মিডিয়া বাহিরে গেলো।

পরদিন নিহতদের দাফনের কাজ সম্পন্ন হলো। দীপন-নিশা-দহন-মনি … এসেছিলো। বহ্নি আর দিনার সে কি কান্না।

.

রাতে…

নিশা : কেমন ১টা ঘটনা ঘটে গেলো….

দীপন : হামমম।

নিশা : আচ্ছা যদি সন্ত্রাসরা আবার ওদের ওপর হামলা করে?

দীপন : তুমি ভাবছো এই কথা…. আমি ভাবছি ২টা মেয়ে প্রচলিত ধারার নষ্ট সমাজে কিভাবে একা একা থাকবে। কতোধরনের কতো অবস্থার যে সম্মুখীন হতে হবে ওদের… লোকের কতো কথা শুনতে হবে….

নিশা : আচ্ছা বহ্নির সাথে যার বিয়ে ঠিক হয়েছিলো সে কি বিয়ে করবে বহ্নিকে?

দীপন : না। কারন যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছিলো সেও মারা গিয়েছে। অর্নব…

নিশা : আল্লাহ।

দীপন : আসলে কি… বর্তমান পৃথিবীতে অনেস্ট পুলিশ অফিসারদের পরিনতি এমনই হয়। বাংলাদেশ আরো ২জন সৎ অফিসারকে হারালো…

মনি : বাপী… আমি বহ্নি আপুদের বাসায় যাই?

দীপন : কটা বাজে দেখেছে? রাত ১০টা…

মনি : তাহলে কালকে ঘুম থেকে উঠেই চলে যাবো।

নিশা : মনি… দেখো বহ্নি আপুর এখন মন ভালোনা। এখন কেন যাবে?

মনি : বহ্নি আপুর মন ভালো নয় বলেই তো আপুর কাছে যাবো। আপুর পাশে থাকবো। আপুতো আমার বন্ধুও তাইনা…

দীপন : কালকেরটা কালকে দেখা যাবে। অনেক রাত হয়েগিয়েছে। যাও গিয়ে ঘুমাও…

মনি : ওকে বাপী…

মনি মন খারাপ করে চলে গেলো।

নিশা : ধ্যাত পুলিশ, আর্মি … মোট কথা প্রশাসন বিষয়ক কোনো কাজই ভালোনা। শত্রু হয়ে যায় সারা সমাজ…

দীপন : তা ঠিক। কিন্তু যদি এনারা না থাকতো তবে আমাদের কি হতো ভেবে দেখেছো…

.

দেখতে দেখতে ১২দিন কেটে গেলো। আজকে ফুপ্পিরা-কাকারা চলে যাচ্ছে। তাদেরও সংসার আছে। আর কতোদিন এখানে থাকবে? সারাবাড়িতে এখন কেবল ওরা ৩জন থাকবে। ভেবেই খারাপ লাগছে। বড়ফুপ্পি আবার ফিরে এলো।

বড়ফুপ্পি : এই তোরা চল আমার সাথে।

দিনা : না ফুপ্পি… তোমরা চলে যাও আমাদের জন্য কেন তোমরা কষ্ট করবে বলো তো…

বড়ফুু্প্পি : কষ্টের কি আছে? চল তোরা আমার সাথে।

বড়ফুপ্পি জোর করে ওদের নিয়ে গেলো। আর ওরাও গেলো। কারন এখন সকলের কথাই ওদের মেনে চলতে হবে।

.

২দিন…

ফুপ্পি : বহ্নি…

বহ্নি : হ্যা ফুপ্পি…

ফুপ্পি : তুই কি মাস্টার্সে ভর্তি হবি?

বহ্নি : দেখি ফুপ্পি… ঢাকায় যাই এরপর ভেবে দেখবো।

ফুপ্পি : বলছি কি ঢাকা আর কি যাবি? এখানেই থেকে যা। একা একা ২টা মেয়ে মানুষ কিভাবে থাকবি বলতো?

বহ্নি : …

দিনা : না ফুপ্পি একা থাকবোনা। আমরা আমার বাবার বাসাতেই থাকবো। পাশেই আমার বাবার বাসা।

ফুপ্পি : ওহ…

দিনা : হ্যা… বাসাটা ভারা দিয়ে আমি বহ্নি আর রিদিকে নিয়ে আমার বাবার বাসায় গিয়ে উঠবো।

দিনার বাবার বাসায় ওঠার কথা শুনে বহ্নির চিন্তা শুরু হলো। কেন যেন দিনার ভাইয়ের স্বভাবচরিত্র ওর ভালোলাগেনা। বহ্নি মনে মনে ঠিকই করে নিলো যে ও হোস্টেলে থাকবে…

রিদি : ফপ্পি … ও ফপ্পি… বাবা এখনও এলোনা কেন? মামনি না বলল যে সানডে তে বাবা আর দাদুভাই আসবে। আজকে না সানডে…. তাহলে ওরা এলোনা কেন?

বহ্নি : আসবে ফুপ্পিমনি… বাবা আর দাদুভাইনা কতোগুলো পচা লোককে ধরতে গিয়েছে। ওদেরকে সাথে করে একবারে আসবে । বুঝেছো?

রিদি : কিন্তু কবে?

বহ্নি : …

রিদি : ও ফপ্পি বলোনা…

বহ্নি : একটু লেট হবে মা…

.

৭দিনপর…

ওরা ঢাকা ফিরে এলো। আগে নিজেদের বাসাতেই উঠলো । সব কিছু গোছগাছ করে তারপর দিনার বাবার বাসায় শিফ্ট হবে।

বহ্নি : ভাবি…

দিনা : হ্যা বহ্নি…

বহ্নি : ভাবি বলছিলামকি আমি তো কাল-পরশু অ্যাডমিট হবো…

দিনা : হ্যা হবে তো…

বহ্নি : আসলে কি… আমি চাইছিলাম যে আমি হোস্টেলে থাকি…

দিনা : সেকি কেন? হোস্টেলে থাকবে কেন তুমি? তুমি আমার সাথে আমাদের বাসাতেই থাকবে…

বহ্নি : না আসলে ভাবি… আংকেল আন্টি আর দিবস ভাইয়ার কষ্ট হবে।

দিনা : কেন কষ্টের কি আছে? তুমি আমার সাথে আমার রুমে থাকবে।

বহ্নি : ভাবি সব দিক বোঝার চেষ্টা করো…

দিনা : কি বোঝার চেষ্টা করবো ? ১মিনিট তুমি এটা ভাবছো না তো যে তুমি আমার বাবা-ভাইয়ের কামাই খাবে…

বহ্নি : …

দিনা : দেখো তুমি কেন? আমিও আমার বাবা-ভাইয়ের কামাই খাবোনা। ১টা বার ডেলিভারি হয়ে গেলে আমি জবের জন্য অ্যাপ্লাই করবো। আর ততোদিনের জন্য ব্যাংকের টাকা দিয়েই চলবো। আর এ বাসাটা ভারা দিয়েও তো কিছু টাকা পাবো। আমাদের ৪জনের ঠিক হয়ে যাবে…

বহ্নি : ভাবি। আই অ্যাগরি। বাট। ভাবি সমাজটা অনেক খারাপ। আমি যদি তোমাদের বাসায় থাকি তবে কে বলতে পারে হয়তো কেউ দিবস ভাইয়া আর আমাকে নিয়ে কোনো কথা বলে ফেললে… দেখো ভাবি… বাবা ভাইয়া যখন ছিলো তখন কারো সাহস ছিলোনা কোনো কথা বলার। কিন্তু এখন… ওরা নেই। কেউ যদি কিছু বলে ফেলে তবে সেটা ফেরানো যায়না…

দিনা : তুমি কি কখনো হোস্টেলে থেকেছো বহ্নি? কিভাবে এডজাস্ট করবে?

বহ্নি : ভাবি… করে নিতে হবে… কিছু করার নেই…

.

২দিনপর…

পুলিশের ১জন কর্মকর্তা এলো।

বহ্নি : আসসালামু আলাইকুম আংকেল।

☆ : ওয়ালাইকুম আসসালাম মামনি… ভালো আছো?

বহ্নি : জী আংকেল…

☆ : তোমার ভাবি কোথায়?

তখন দিনা এলো। সালাম দিলো।

☆ : আসলে আমি এসেছি ১টা কাজে।

দিনা : কি কাজ আংকেল…?

☆ : দেখো বহ্নি… তোমার বাবা আর ভাইয়া ২জনই পুলিশ ছিলো। তুমি অনার্স কমপ্লিটও করেছো। তো তুমি ইচ্ছা করলে পুলিশে জয়েন করতে পারো। তুমি কি করবে?

বহ্নি : …

দিনা : আংকেল … আমার ব্যাক্তিগত ১টা মত আছে…

☆ : কি মত মা বলো…

চলবে…

#ভালোবেসে_ফেলেছি
part : 13
writer : Mohona

.

☆ : কি মত মা বলো…
দিনা : আংকেল… সরি টু সে… এই পুলিশের কাজের জন্যই আমি , বহ্নি , রিদি সব হারিয়ে আছি। এখন আমার কাছে আছে রিদি আর বহ্নি… আমি ওদেরকে আর হারাতে পারবোনা। বহ্নি … বাবা আর বিষয়ের অনেক আদরের ছিলো। তাই আমি চাইনা বহ্নির জীবন বিপদে ফেলতে। ১রাতে সব হারিয়েছি। এই শেষ ২টা অবলম্বনও আমি হারাতে পারবোনা।
☆: এটা তোমাদের ব্যাক্তিগত ব্যাপার । তবুও ভেবে দেখো। বহ্নি মা… তুমি মাস্টার্স কমপ্লিট করবেনা?
বহ্নি : জী আংকেল। আজই অ্যাডমিট হয়েছি।
☆ : আচ্ছা ভালো থেকো তোমরা।
বহ্নি-দিনা : দোয়া করবেন আংকেল।
☆ : হ্যা অবশ্যই।

তিনি চলে গেলেন।
দিনা : বহ্নি… তুমি কিছু মনে করোনি তো? আমি যে জোর দিয়ে বললাম।
বহ্নি : ভাবি… তুমি আর রিদিই তো এখন আমার সব। তুমি যা করবে অবশ্যই আমার ভালোর জন্য করবে…

.

রাতে…
দিনা রিদিকে নিয়ে ঘুমিয়ে আছে। বহ্নির ঘুম আসছেনা । বসে আছে।
বহ্নি মনে মনে : পুলিশে কি জয়েন করবো? না কি করবোনা? ভাইয়া আর অর্নব তো সবসময়ই বলতো সাহসী হতে… আর তাছারাও… যারা আমার পুরো পরিবারটাকে শেষ করে দিলো তাদেরকে কি শাস্তি দেয়া উচিত নয়? কিন্তু ভাবির ওপর দিয়ে কথা বলি কি করে? এখন তো ভাবিই আমার গুরুজন… না এখন ভাবির ওপর দিয়ে কথা বলা ঠিক হবেনা। এমনিতেই ভাবির এই অবস্থা। তার ওপর এই সময়ের মধ্যে এমন ভয়ংকর ঘটনার সাক্ষী হলো… মাস্টার্সটা কমপ্লিট করি । এরপর ভাবির সাথে ঠান্ডা মাথায় কথা বলবো… এখন ভাবি মেন্টালি অনেক ডিস্টার্ব…

সকালেই মনি-নিশা-দীপন এসে হাজির হলো। কথা টথা বলল। শান্ত্বনা দিলো। কিছুক্ষন থেকে চলে গেলো। পরের মাসথেকে বহ্নি হোস্টেলে থাকা শুরু করলো। আর দিনা মেয়েকে নিয়ে বাবার বাসায় উঠলো। বহ্নি ২-৩দিন পরপরই ভাবি-ভাতিজিকে দেখে যায়…

.

বেশকিছু দিনপর…
নিশা : বলি কি শুনছো…
দীপন : হ্যা বলো…
নিশা : বলছিলাম কি অনেকদিন তো হয়ে গেলো বহ্নি ওর পরিবারকে হারিয়েছে। হোস্টেলে থাকে। প্রায় দেড় দুই মাস ধরে… মেয়েটা অমন নয় যে সবার সাথে লড়াই টড়াই করে হোস্টেলে থাকবে…
দীপন : হামম।
নিশা : তাই বলছিলাম কি এখন ওকে আমরা দহনের বউ করে আনলে কেমন হয়…
দীপন : ভালোই হয়…
নিশা : তাহলে বলোনা…
দীপন : বলতাম… তবে শুনেছি এর আগে সমস্যাটা হওয়ার জন্য বহ্নির ভাবির ডেলিভারির তারিখটা এগিয়ে দেয়া হয়েছে। কি যেন সমস্যা দেখা দিয়েছে।
নিশা : ওহ…
দীপন : এখন এই অবস্থার মধ্যে তো আর যেতে পারিনা তাই না?
নিশা : হামম।
দীপন : বাবুটা হোক। দেখতেও যাবো আর প্রস্তাবও দিয়ে আসবো।
নিশা : হ্যা ঠিকই বলেছো।
দীপন : আগেই মনিকে বলোনা… তো আগে থেকেই ঢোল পিটানো শুরু করবে।
নিশা : আচ্ছা বাবা আচ্ছা।

.

পরদিন…
দহন অফিস যাচ্ছে। তখন দেখলো বহ্নি রোড পার করার চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছেনা। কারন অভ্যাস নেই… বহ্নি অনেক শুকিয়ে গিয়েছে। মুখের মধ্যে হাজারো কষ্টের ছাপ দেখতে পাচ্ছে দহন । মেয়েটা ভীতু ছিলো। মুখে সব সময় ভয় ফুটে থাকতে। কিন্তু ১টা উচ্ছাস থাকতো। আজকে সেটা দহনের চোখে পরলোনা। কারন আজকে সেই উচ্ছাসটা নেই ।

বহ্নি : বহ্নি ইউ হ্যাভ টু ডু দিস…
বলেই বহ্নি চোখ বন্ধ করে ১টা লম্বা নিঃশ্বাস নিলো। তখন ডান হাতে টান অনুভব করলো। চোখ মেলে দেখে দহন। হাত ছারিয়ে নিতে চাইলো।
বহ্নি : আপনি?
দহন : পার করে দিচ্ছি চলো। পারবেনা পার হতে ।
দহন পার করে দিলো বহ্নিকে।
বহ্নি : ধন্যবাদ।
দহন : ইটস ওকে।
বহ্নি : মনি আংকেল আন্টি সবাই ভালো আছে?
দহন : হামম।
বহ্নি : আপ…
দহন : তুমি ব্লাড ব্যাংকের বাহিরে কি করছিলে?
বহ্নি : আসলে পরশুদিন ভাবির ডেলিভারি । ডক্টর বলেছে রক্ত লাগবে। তাদের স্টকে নেই । তাই খোজ করতে এসেছিলাম। বাট পেলাম না।
দহন : তোমার ভাবির ব্লাড গ্রুপ কি?
বহ্নি : এবি পজিটিভ…
দহন : কখন ডেলিভারি?
বহ্নি : পরশু দুপুর ১টায়।
দহন : কোন হসপিটাল?
বহ্নি : হলি ফ্যামিলি…
দহন : ওকে আই উইল বি দেয়ার। আমার ব্লাড গ্রুপও এবি পজিটিভ।
বহ্নির মুখে কৃতজ্ঞতার হাসি ফুটলো ।
বহ্নি : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দহন : তোমাকে পৌছে দেই চলো।
বহ্নি : না না লাগবেনা। আমি পারবো।
অনেকক্ষন ভেবে দহন বহ্নিকে ১টা রিকশা ঠিক করে দিলো। এরপর চলে গেলো।

ডেলিভারির দিন দহন গিয়ে রক্ত দিলো দিনাকে। দিনার ১টা ছেলে হলো। বিষয়ের ইচ্ছা ছিলো যে ছেলে হলে ভোর রাখবে আর মেয়ে হলে সকাল রাখবে। তাই বিষয়ের শেষ ইচ্ছানুযায়ী দিনা ছেলের নাম ভোর রাখলো। ৭দিন হসপিটালে রাখা হলো। বহ্নি চেয়েছিলো হসপিটালে থাকতে। কিন্তু সবকিছু বুঝবেনা বলে দিনার মা বহ্নিকে থাকতে দেয়নি। সে নিজেই থেকেছে। ৭দিনপর দিনাকে রিলিজ দেয়া হলে বহ্নি দিনার সাথে ওর বাবার বাসাতেই গেলো। কারন ভোর যে ওর ভাইয়ের ছেলে। ওর যে বিশাল দায়িত্ব। ভোরটা দেখতেও একেবারে বাবার মতোই হয়েছে।

.

১৫দিনপর…
দীপন-নিশা-মনি হাজির হলো দিনার বাবার বাসায় । দিনা-বহ্নি সালাম দিলো। দীপন ভোরকে কোলে নিলো। আদর করতে লাগলো। চা-নাস্তা করলো। এর দীপন দিনাকে আর ওর মা-বাবাকে ডেকে এনে বসালো। মনিতো বহ্নি আর রিদিকে নিয়ে রুমে গিয়ে বসে বকবক করতে লাগলো। ছোট বাচ্চা নিয়ে তার উৎসাহ অনেকবেশি। কারন এরআগে এতো ছোটবাবু দেখেনি।

দিনা : আংকেল কিছু বলবেন?
দীপন : হ্যা ।
দিনা : বলুন।
দীপন : আমরা তোমার ননদকে আমার ছেলে দহনের বউ বানাতে চাই। এখনতো তুমি আর তোমার পরিবারই ওর সব। তাই তোমার কাছেই প্রস্তাবটা দিলাম।
দিনা : আংকেল প্রথম কথা হলো এই যে আমি যতোদূর জানি আপনার ছেলে কাউকে ভালোবাসে।
দীপন : এখন আর বাসেনা। কাকন দহনের জীবন থেকে চলে গিয়েছে।
দিনা : ওহ। যাই হোক আংকেল… দ্বিতীয়ত আমিই ওর সবনা। কারন ওর কাকা-মামা-ফুপ্পিরা আছে… তাই আমিই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবোনা। আর আপনাকেও কিছু বলতে পারছিনা। আর তাছারাও… বহ্নিরও তো মতামত আছে।
দীপন : হামম। আচ্ছা সবাইকে একসাথে দেখা করার কোনো উপায় আছে? বা ওর কাকা-ফুপ্পি-মামা কারও ফোন নাম্বার পাওয়া যাবে?
দিনা : কেন নয় আংকেল। আর হ্যা নেক্সট ফ্রাইডে তে সবাই বাবুকে নিতে আসবে। প্লিজ আপনারাও কিন্তু আসবেন। আর সেদিন এলে তাদের সাথে কথাও বলতে পারবেন।
দীপন : হামম ঠিকই বলেছো মা । আচ্ছা ভালো থেকো। ছেলের আর নিজের খেয়াল রেখো। আসি…
দিনা : সে কি আংকেল খাওয়া দাওয়া করে যান।
দীপন : করলাম তো মা।
দিনা : রাতে ডিনার করে যাবেন।
দীপন : না মা অন্যদিন। আর নেক্সট ফ্রাইডেতে তো আসবোই। সেদিন কব্জি ডুবিয়ে খাবো। চলবে?
দিনা : জী আংকেল।
দীপন : এই মনি… মনি। চলো বাসায় ফিরতে হবে…
মনি ছুটে এলো। বহ্নিও ভোরকে কোলে নিয়ে এলো।
নিশা : চলো বাসায় চলো।
বহ্নি : বলেন কি আন্টি পরে যেয়েন।
নিশা : না রে মা। আবার আসবো। তাও নেক্সট ফ্রাইডেতেই…
বহ্নি : সেদিন কিন্তু থাকতে হবে।
নিশা : আচ্ছা মা।
নিশা রিদি-ভোর-বহ্নির কপালে চুমু দিয়ে চলে গেলো।

ওরা যাওয়ার পর বহ্নিও বাচ্চাদের নিয়ে রুমে চলে গেলো।

.

দিনার মা : বিয়েটা হয়ে গেলেই ভালো হয়। আর তুই বললেই তো হয়ে যেতো। আবার কাকা-ফুপ্পিদের কথা বলতে গেলি কেন বলতো?
দিনা : মা… এতো বড় ১টা সিদ্ধান্ত আমি একা নিতে পারিনা। পরে কিছু ১৯/২০ হলে সারাজীবনের জন্য আমি দোষী হবো। আর তার থেকেও বড় কথা … আমি পার্সোনালি চাইনা দহনের সাথে বহ্নির বিয়েটা হোক। কারন দহন কাকনকে অনেকবেশিই ভালোবাসতো। জানিনা কোন কারনে ওদের সম্পর্কটা ভেঙে গিয়েছে। তাই আমার মনে হয় যে দহন-বহ্নির বিয়ে হলে ওরা সুখী হবেনা। তবুও যদি ভাগ্যে থাকে তবে হবে।
বলেই দিনা বাচ্চাদের কাছে গেলো।

.

পরদিন…
দহন ১টা বড় ডিল সাইন করতে গিয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখে যে এমডির চেয়ারে কাকন বসে আছে। যার মানে টেন্ডারটা কাকনের কোম্পানি ওদেরকে দিচ্ছে। কাকনকে দেখেই দহনের রাগ উঠে গেলো। কাকন পেপারটা এগিয়ে দিয়ে
বলল : সিগনেচার প্লিজ মাই জান…
দহন পেপারটা হাতে নিয়ে সেটা কুটিকুটি করে ছিরে ফেলে কাকনের দিকে ছুরে মারলো।
দহন : ডু ইউ গেট ইট…?
বলেই দহন অফিস থেকে বেরিয়ে পরলো। সেই স্পিডে ড্রাইভ করতে লাগলো। হুট করে বহ্নি ওর গাড়ির সামনে চলে এলো। দোষটা ২জনেরই ছিলো। বহ্নি খেয়াল করেনি যে গাড়ি আসছে। আর দহনেরও ঠিক হয়নি এতো জোরে গাড়ি চালানো। ভয়ের চোটে বহ্নির হাতে থাকা সব জিনিষপত্র পরে গিয়েছে। ও ভোরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছিলো। যেগুলো কিছুটা চলে গিয়েছে দহনের গাড়ির নিচে। আর কিছুটা নিচে পরে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কাকনকে দেখে এমনিতেই দহন ক্ষেপে গিয়েছে তারওপর বহ্নির এমন আচরনে দহনের রাগ ৭ম আসমানে চলে গিয়েছে। রেগে বোম্ব হয়ে বহ্নির সামনে গিয়ে দারালো।
দহন : এই মেয়ে এই… তুমি কি চোখে দেখোনা? দেখতে পাওনি যে গাড়ি আসছে… হ্যা ? বাই অ্যাট এনি চান্স যদি এ্যাক্সিডেন্ট হতো তখন দোষটা তো আমার ঘাড়েই পরতো তাইনা… যখন রোড ক্রস করতে পারোইনা তখন করতে যাও কেন? সেদিনও দেখেছি আবার আজকেও। স্টুপিড গার্ল ।
বহ্নির ভীষন কান্না পাচ্ছে ।
দহন : একদম কান্না করবেনা বলছি মেয়ে।
দহন নিচে তাকিয়ে দেখলো যে নিচে ছোটবাবুদের জিনিসপত্র পরে আছে।
দহন : একাই তো পার হতে পারোনা তবে আবার এগুলো নিয়ে পার হতে যাচ্ছিলে কেন…
বলেই দহন পকেটে হাত দিয়ে আবার থেমে গেলো। কারন ওর ভালোই মনে আছে সেদিনের কথা যেদিন বহ্নির সাথে ওর প্রথম দেখা হয়েছিলো। ডাবল টাকা দিতে চাওয়ায় বহ্নি ক্ষেপে গিয়েছিলো। বহ্নি দেখছে দহনকে।
বহ্নি মনে মনে : আজকে কেবল টাকা বের করে দিতে আসুক। টাস করে ১টা থাপ্পর লাগাবো…
দহন টেনে বহ্নিকে গাড়িতে বসালো।
বহ্নি : আমরা কোথায় যাচ্ছি?
দহন : কোনো সুপার শপে।
বহ্নি : কিন্তু কেন?
দহন : আজব তো … জিনিসগুলো যে নষ্ট হলো সেগুলো কিনতে হবেনা আবার। বাবুদের প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছেই রাখতে হয়। গট ইট?
বহ্নি কেবল মাথা নারালো। সুপার শপে গিয়ে দহন সবকিছু কিনে দিলো। কারন ওর কারনে সব নষ্ট হয়েছে। বহ্নি তো নিবেই না।

দহন : আমি তো এগুলো তোমাকে দিচ্ছিনা তাইনা? আমি তো বাবুকে দিচ্ছি। আমি কি কোনো গিফ্ট দিতে পারিনা?
বহ্নি : কি…
দহন : নো আর্গুমেন্ট।

বহ্নি কিছু বলার সুযোগই পেলোনা। কেনাকাটার পর দহন বাসায় পৌছে দিতে চাইলে বহ্নি আজকেও না করে দিলো।

.

২দিনপর…
দীপন আজও ডিনারের পর ফ্যামিলি মিটিং এর ব্যাবস্থা করেছে।
মনি : বাপী বাপী আজও কি ভাইয়া আ…
নিশা : মনি… চুপ থাকো এখন। বাপী কথা বলবে এখন।
মনি : হামম।
দহন : বাপী… আগেই বলে দিচ্ছি কাকনের টপিক বাদ দিয়ে কথা বলবে প্লিজ। ওর কোনো জায়গা নেই।
দীপন : আই নো… দেখো আমি তোমাকে প্রশ্ন করেছিলাম যে তুমি বহ্নিকে বিয়ে করবে কি না? তুমি আজও কোনো জবাব দাওনি…
দহন : …
দীপন : আজকে আমি উত্তর চাই…
দহন : …
দীপন : বলো…
মনি : ও ভাইয়া হ্যা বলোনা গো। দেখো তোমার নয়নমনি বলছে… আমি না বহ্নি আপুকেই ভাবি হিসেবেই চাই… ও ভাইয়া বলোনা… আমি আর কখনো কিছু চাইবোনা। ভাইয়া প্লিজ…
দীপন ধমক দিয়ে
বলল : মনি… ভালোমতোই জানো আমার বেয়াদবি একদম ভালো লাগেনা। কতোবার বলেছি যে বড়দের মধ্যে কথা বলবেনা…
মনি কান্নাই করে দিলো। দহন ওকে আদর করে শান্ত করলো।
দীপন : মনিকে রাখো দহন… আমার প্রশ্নের উত্তর দাও…
দহন : হামমম দিবো।
দহন মনির ২গালে হাত দিলো।
দহন : নয়নমনি… তুমি কি সত্যি সত্যি চাও বহ্নিকে ভাবি বানাতে?
মনি : হামম।
দহন মনির কপালে চুমু একে দিলো।
দহন : যখন আমার নয়নমনি চায় যে বহ্নির সাথে আমার বিয়ে হবে। তখন হবে।
দীপন : তারমানে তুমি বহ্নিকে বিয়ে করবে?
দহন : হ্যা করবো।
বলেই দহন চলে যেতে নিলো।
নিশা : দারাও দহন… বিয়ে করবো বললেই সব হয়না। আর বিয়ে করলেও সব হয়না। আজকে কেবল বোনের আবদার রাখতে বিয়ে করবে পরে আফসোস করে ওকে মাঝপথে ছেরে দিবে সেটা কিন্তু আমরা মেনে নিবোনা।
দহন : দহন আহমেদ কখনো নিজের দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেনা। দহন বহ্নির হাত কখনোই ছেরে দিবেনা….

চলবে…